নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজান জোরে/আস্তে দেয়া বিতর্ক

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:০০

টু বি অনেস্ট, আজান শোনাশোনির চেয়ে আমাদের ধর্মে নামাজের উপর সব গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আজান জোরে দিতেই হবে এমনও কোন হাদিস আমার জানা নেই। নবীজি (সঃ) হজরত বিলালকে বলেছিলেন সুমধুর স্বরে আজান দিতে, ফুসফুসের সর্বোচ্চ জোর খাটিয়ে চিৎকার দিতে বলেননি।
এবং সাথে এও যোগ করি, অন্যের ডিস্টার্বেন্স হয়, এমন যেকোন কিছুই আমাদের ধর্মে নিষেধ। যে কারনে আমাদের ধর্মে ঢাকের বাদ্য বা উচ্চরবে যেকোন কিছু একদম গোড়া থেকেই নিষিদ্ধ। আমাদের ধর্মে এমনকি অতিরিক্ত উচ্চস্বরে কোরান পড়াও নিষিদ্ধ, কারন তাঁর আশেপাশে অন্যান্য কাজে ব্যস্ত যারা তাঁর তেলাওয়াত শুনছে, তাঁরা যদি মনোযোগ না দেয়, তাহলে তাঁদের পাপ হবে। এবং তাঁদের যেন এই অসুবিধায় না পড়তে হয়, তাই আমাকেই আগে সাবধান হতে বলা হয়েছে।
এখন "যদি" মসজিদের সামনে হাসপাতাল থাকে, এবং উচ্চস্বরের আজান হার্টের রোগীদের ডিস্টার্ব করে, তাহলে অবশ্যই প্রয়োজনে মাইক ছাড়াই আজান দেয়ার পক্ষে আমি। এতে ইসলাম "বিপন্ন" হয়ে যাবেনা মোটেও, বরং এতেই ইসলামের প্রকৃত মহিমাই ফুটে উঠবে - মানুষের সমস্যা বাড়াতে নয়, বরং সমস্যা সমাধান করতেই এর আগমন ঘটেছে।
আমি নিজেও ধর্মের নামে অনেক ফাজলামির বিরুদ্ধে লেখালেখি করি। পীর ফকির - মাজার - উরস - তাবিজ কবজ - ঝারফুক - কুসংস্কার ইত্যাদির বিরুদ্ধে অনেক আগে থেকেই গলাবাজি করছি। এখনও করছি, এবং ইন শা আল্লাহ যতদিন দম থাকবে, করে যাব।
অবশ্যই দেশে উরস পালনকে দন্ডনীয় অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হোক।
অবশ্যই দেশের সব মাজার ভেঙ্গে মাজার ব্যবসা বন্ধ করা হোক।
এবং দেশের সব পীর ধরে ধরে ক্ষেত্রবিশেষে মানসিক রোগের চিকিৎসা করানো হোক, নতুবা কারাগারের বাগানের মালি বানানো হোক।
সব দাবি মানি এবং সব যুক্তিও মানি।
তবে একটা কথা কী, ফেসবুকের শখের ব্লগার মঞ্জুর চৌধুরীর কোন উক্তি এবং দেশের অন্যতম প্রধান দৈনিকের উচ্চপদস্থ কর্মীর উক্তির মধ্যে কিছুটা পার্থক্যতো থাকেই। আমি যাই বলিনা কেন, গুরুত্ব পাবে কম, লোকে পাত্তাই দিবেনা কিন্তু তাঁদের যেকোন উক্তি সমাজে অনেক বড় ছাপ ফেলে। তাই তাঁদের শব্দ চয়নে অনেক বেশি সাবধানী হতে হয়।
একটা রিক্সাওয়ালা যে ভাষায় কথা বলে, একজন সাংসদকে সেই ভাষায় কথা বলতে নেই। এটাই নিয়ম।
শব্দদূষণ অবশ্যই দেশের একটা বড় সমস্যা। এবং এর পেছনে অনেকগুলো এলিমেন্টই দায়ী। তিনি যদি কথাটাকে এইভাবে বলতেন, "দেশে শব্দদূষণ একটি বিরাট সমস্যা। মাননীয় মেয়র, আপনাকে একটা আইন করতেই হবে যে এত ডেসিবেলের উপরে কোন শব্দই একসেপ্টেবল হবে না" - তাহলে কিন্তু ঝামেলা হতো না। বেশিরভাগ মানুষই তাঁর পক্ষে থাকতেন। যারা টু শব্দটি করতো, তাদের স্বভাবই হাউকাউ করা। ওদের পাত্তা না দিলেও চলবে।
তাহলে এই আইনের ভিতরে সবার আগে গাড়ির হর্ন ঢুকতো, বিয়েবাড়িতে লাউড স্পিকারে উচ্চস্বরে কোলাহল ঢুকে যেত, রাজনৈতিক সমাবেশের ন্যুইসেন্স ঢুকে যেত, এবং চিপা দিয়ে আজানও ঢুকে যেত এবং তাতে কোনই সমস্যা হতো না।
এখন প্রধান প্রধান এলিমেন্ট বাদ দিয়ে তিনি স্পেসিফিকালি যখন বললেন, "শব্দদূষণে কেবল আজানই দায়ী - আজানের ভলিউম কমাও" তখন কথাটা একটু কানে বাজে। যেখানে আমরা জানি পূজার সময়ে ঢাকের ধ্বনি আজানের চেয়েও জোরে এসে কানে ধাক্কা দেয়। এবং গাড়ির হর্নের কথা নাহয় নাইবা বললাম।
এখন অনেকেই বলতে পারেন ত্যানা প্যাচাচ্চি, "এটা কেন বলল, ওটা কেন বলল না" ঠিক যেমনটা মানুষ প্যারিস হামলায় ফেসবুকের প্রফাইল পিক নিয়ে প্যাচিয়েছিল - আমি কিন্তু উল্টাটা বলছি। আমি বলতে চাইছি এইসব ক্ষেত্রে স্পেসিফিক্যালি কিছু বলাটাই উচিৎ না, জেনারেলাইজ করেই বলতে হয়। যেই আপনি স্পেসিফিক হবেন, অমনি একটা গ্রুপ ধরেই নিবে আপনি তাঁদেরকেই আক্রমন করেছেন। এবং ব্যপারটি মিথ্যাও না।
অ্যামেরিকায় মসজিদের পার্কিং লট থেকেও ভিতরের আজান শোনা যায় না - কেউ কমপ্লেন করে? না। কারন? এখানে রাস্তাঘাটে রাশ আওয়ারের লক্ষাধিক গাড়ির ভিড়েও হর্নের আওয়াজ শোনা যায়না বলেই।
আইন হওয়া উচিৎ সবকিছুকে মাথায় রেখেই - স্পেসিফিক কিছুকে বা গোষ্ঠিকে মাথায় রেখে নয়।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৫৩

জিল্লুর রহমান রিফাত বলেছেন: বিবেক গেছে চান্দের দেশে,
মানবত শুধু ভঙ্গী রামের জন্য সবই আছে রহিম
শুধু জঙ্গী।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:১০

দ্য েস্লভ বলেছেন: অবশ্যই নামাজটাই বেশী গুরুত্বপূর্ণ। তবে আযানের প্রচলন হয়েছিলো এ কারনে যাতে আযানের আহবানে মানুষ সাড়া দিয়ে মসজিদে আসে। এখানে উচ্চ শব্দটাই আসল। মানুষ অবশ্য ইবাদতের চেয়ে মসজিদ প্রতিষ্ঠাকেই বেশী প্রাধান্য দিয়েছে কারন এটার ভেতর সামাজিক স্টাটাস রয়েছে। বাহ্যিক সম্মানের আশায় একই এলাকায় অধিক সংখ্যক মসজিদ গড়েছে। আযানের উদ্দেশ্য হল উক্ত মসজিদে যেসব লোক আসতে পারবে,সেসব লোকের কান পর্যন্ত ধ্বণী পৌছানো। সেক্ষেত্রে আওয়াজটা সেভাবে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। কিন্তু আযান হয় মাত্র কয়েক মিনিটের জন্যে। এ কয়েক মিনিটে হার্টের অথবা মানুষিক রোগীরা সব মারা যাবে বা অতিষ্ঠ হয়ে উঠবে এটা ভাবার কারন নেই। আযান শব্দ দূষন ঘটায় না। কারন এর নিজস্ব সুর রয়েছে যা ইসলামে বিশ্বাসী মানুষের কাছে প্রিয়। কারো কাছে তার প্রিয় গান উচ্চস্বরে বাজলেও তার খারাপ লাগেনা। আর এখানে আযানের সুরের সাথে তার বিশ্বাসের মিলন থাকাতে সে এটাকে অষান্তি ভাবেনা। তবে এটি ইসলামে বিশ্বাসী নয় এমন মানুষের জন্যে ভালো লাগার বিষয় নয়। একইভাবে অন্য ধর্মের এমনই কিছু শব্দ যা তাদের ধর্মীয় উপাসনালয় থেকে আসে,সেটাও মুসলিমদের ভালো লাগবে ,এটাই স্বাভাবিক। তবে যেহেতু সকল ধর্মের লোক পাশাপাশি থাকে,তাই সকলের স্বার্থেই সকলকে ছাড় দিতে হয়। এটিই মনুষত্ব। এটাই ধর্মীয় সহানুভূতিশীলতা। কিছু সময়ের জন্যে কিছু মানুষ ছাড় দিবে। কারন বিষয়টি মানুষের বিশ্বাস সংক্রান্ত। এটিই কল্যানকর সমাজের জন্যে। নইলে আগামী কাল মুসলিমরা বলবে মন্দীরের কোনো শব্দও আমরা দূষন হিসেবে বিবেচনা করব। গীর্জার ঘন্টার আওয়াজও শব্দ দূষন হিসেবে বিবেচিত হবে। সকলের স্বার্থে সকলকে ধৈর্যশীল হতে হয়। তাতে সকলেরই কল্যান

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:২২

আরিফুজ্জমান শাকিল বলেছেন: সত্য বলেছেন ভাই! ধন্যবাদ

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:০৭

নতুন বলেছেন: আজানে কারুর সমস্যা হবার কথা না...

কিন্তু ওয়াজ/ওরসে যেটা হয় সেটা বিরক্তিকর পযায়ে চলে যায়।

কিন্তু একটা প্রশ্ন যারা এই গুলি নিয়ে এতো আলোচনা করছে তারা নামাজ ঠিক মতন পড়ে তো?

কারন কয়েদ দিন আগে দাড়ী রাখার উপকারিতা নিয়ে গবেষনায় দাড়ির পক্ষে কথা বললৌ বিজ্ঞানিরা...ফেসবুকের একটা পেজে ৯০% দাড়ীর পক্ষে কথা বলাদের প্রফাইলের ছবিতে কিন্তু দাড়ী নেই... এটা কি ভন্ডামী না?

এদের জন্যই কবি অনেক আগে বলেছিলেন... practice before you preach :)

৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৯

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: চিৎকার করে আযান দিতে শুনি নাই, কারণ আযানের নিজস্ব সুরেই আযান হয়। আযানে শব্দ দূষণ হয় !! অবাক হলাম ---
তবে হ্যা মাজার, ওরস এসব ইসলামে নেই ----

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৬:৩৪

আজিব দুনিয়ার মানুষ। বলেছেন: আপনার লেখাগুলো পড়লাম। আপনি সুন্দর ভাবে বলেছেন আপনি ইসলামের পক্ষে, পীর বিরোধী ও মাজার বিরোধী। আপনি বলেছেন, হাসপাতালের সামনে মসজিদ থাকলে সেখানে আস্তে আযান দেয়া যেতে পারে, সেখানে কোন সমস্যা নেই(আপনার দৃষ্টিতে)। হাসপাতালের সামনে এমনকি স্কুল, কলেজের সামনেও যে উচ্চস্বরে মিছিল, মিটিং রাজনৈতিক সভা হচ্ছে অহরহ, এটা নিয়ে আপনি কিছুই বলেন নি। আর যাদের কথা থেকেই এই আযান বিতর্কের শুরু এরা কিন্ত বিয়ে, উৎসব, কন্সার্ট এর নামে যেই শব্দ দূষন ও বেহায়াপনা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে একে কিন্ত সমর্থন করে। এটা সকলেই স্বীকার করবে।

আর আপনি লেখার শেষে আমেরিকার উদাহরণ টেনে এনেছেন সেখানে আযান আস্তে দেয়া হয়, সেটা তো বিধর্মিদের দেশ। সেখানে নগ্ন হয়ে সমুদ্রসৈকতে চলাফেরের বৈধতা দেয়া আছে। এমনকি পূরুষে পুরুষে বিয়ের বৈধতা দেয়া হয়েছে। এরকম একটা দেশের উদাহরন টেনে আপনি আপনার সকল কথা অসার এবং নেতিবাচক উদ্দেশ্য প্রমান করলেন।

এধরনের ভুল মতাদর্শের কারনেই আজকে নারী হিজাবের নামে সম্পূর্ণ শরীর প্রদর্শন করে শুধু চুল ঢেকে রাখে!!!

৭| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৭:৩৪

মুজিব আলম বলেছেন: আপনি আসলেই একজন মানসিক রোগী। আপনার চিকিৎসার প্রয়োযন।

৮| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৭

আ্যন্টিভাইরাস বলেছেন: চিপা দিয়ে আজানও ঢুকে যেত এবং তাতে কোনই সমস্যা হতো না

৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:০৯

আহসানের ব্লগ বলেছেন: B:-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.