নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ইফতারের প্ল্যাটার ৪২০০ টাকা" নিয়ে কিছু কথা।

০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০৩

লেখাটি অনেকেরই ভাল লাগবেনা। বরং উল্টো কথা বললেই জনপ্রিয় হতো বেশি। কিন্তু একটি সত্য বলা আবশ্যক হয়ে পড়েছে। এবং ক্যানভাসও জনপ্রিয়তা লোভী কোন গ্রূপ না।
হজরত সুলাইমান (আঃ) আল্লাহর কাছে একটা দোয়া করেছিলেন, সেটা হচ্ছে, তাঁকে যেন এমন সাম্রাজ্য দেয়া হয়, যা অন্য কাউকে আগে দেয়া হয়নি, এবং ভবিষ্যতেও দেয়া হবেনা।
অনেকেই শুনে হয়তো ধাক্কার মতন খেয়েছেন। নবী রাসূল হচ্ছেন আখিরাতের রিপ্রেজেন্টেটিভ। তাঁরা দুনিয়াদারি সম্পর্কে উদাসীন থাকবেন। আমাদের রাসূলই (সঃ) যখন ইন্তেকাল করেন, তাঁর ফেলে যাওয়া ক্যাশ ছিল মাত্র কয়েক কড়ি পয়সা, সেটাও দান করে দেয়ার জন্য আয়েশাকে (রাঃ) জোরালো হুকুম দিতে থাকেন।
সাথে একটি ছোট পাত্রে রাখা বার্লি, একটি খচ্চর যার নাম দুলদুল।
যতদিন বেঁচে ছিলেন, কখনও ভরপেট আহার করেননি, কুসুমশয্যা নেন নি। শোয়া থেকে উঠে বসলে তাঁর পিঠে খেজুর পাতার ছাপ পরে যেত। উমারের (রাঃ) মতন সিংহহৃদয় পুরুষও সেই দাগ দেখে কেঁদে ফেলতেন।
আলিশান রাজপ্রাসাদে থাকেননি। তাঁর আস্ত ঘরের সাইজ আমাদের "টেক্সাস সাইজ ক্লজেটের" (মাস্টার বেডরুমের পাশে আলাদা একটা ছোট ঘর যেখানে কাপড় চোপড় রাখা হয়) সমান বা ছোট।
সেখানে সুলাইমান (আঃ) "দ্য কিং" কিভাবে নবী হয়েও আল্লাহর কাছে সাম্রাজ্য চেয়ে বসেন? এটিতো পিওরলি দুনিয়া।
সুলাইমান (আঃ) এই কারনে বেশি সম্পদ চেয়েছিলেন যাতে তিনি জনকল্যাণে বেশি করে অর্থ ব্যয় করতে পারেন।
আমাদের একটি বহুল জনপ্রিয় দোয়া আছে, "রাব্বা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাহ, ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাহ...." যার মানে হচ্ছে, "হে আমার রব, আমাকে দুনিয়া এবং আখিরাতে হাসানাহ, সহজ ভাষায় সফলতা, দান করুন।"
এর মানে কী জানেন? আমাদের ধর্ম কোন কমিউনিস্ট ঘরানার ধর্ম না। আপনি দুনিয়ায় বেঁচে থাকাকালীন সময়ে আনলিমিটেড অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আপনার টাকা থাকলে আপনি খরচও করতে পারবেন। কোনই সমস্যা নাই। কেবল খেয়াল রাখতে হবে টাকাটা যেন কুপথে ব্যয় না হয়। আপনি যদি মদ, জুয়া, মেয়ে মানুষে খরচ করেন, তখন সেটাকে নিয়ে তিরষ্কার করার অধিকার আছে সবার।
উদাহরণ দিচ্ছি।
ইদানিং ঢাকার কোন এক রেস্টুরেন্টে চার হাজার টাকায় ইফতারের প্ল্যাটার বিক্রি হচ্ছে নিয়ে অনেকেই মনক্ষুন্ন হয়েছেন। অনেকেই বলছেন যে দেশের মানুষ খেতে পারেনা, সেই দেশে এত দামি খাবার অধিকার কারোরই নেই।
আমি দ্বিমত পোষণ করবো ব্যাপারটির সাথে।
দামি খাবার খাওয়ার সাথে ইসলামের কোনই শত্রুতা নেই। শত্রুতা খাদ্য অপচয়ের সাথে। দুইটা সম্পূর্ণ ভিন্ন দুইটি বিষয়।
যারা আপত্তি করছেন, তাঁরা নিজেরাও কিন্তু সমাজের এক শ্রেণীর মানুষের তুলনায় অনেক আভিজাত্যপূর্ণ জীবন যাপন করছেন। আপনি পরিবার নিয়ে স্টার কাবাব বা এইরকম কোন রেস্টুরেন্টে দুই হাজার টাকায় একবেলার ইফতার করছেন, সেখানে দেশের একটি বিপুলাংশের মাসিক বেতন দুই হাজার টাকা বা কম। সেই টাকায় একমাস ধরে আস্ত সংসার চালাতে হয়। আপনি দামি ফ্ল্যাটে বাস করছেন, সেখানে হাজার হাজার মানুষের মাথার উপর ছাদ নেই। আপনি ট্যাক্সি ক্যাব সিএনজিতে চড়েন, ওরা পায়ে হেঁটে বা বাসে যাতায়াত করে। এক টাকা বাঁচাতে কন্ডাক্টরের সাথে ঝগড়া করে। আপনি বড়লোকদের নিয়ে বলছেন, ওরাও আপনাকে নিয়ে বলছে। কাটাকাটি।
ধরুন, আমি আমার পরিবার নিয়ে, কোন ভিড় ঠ্যালাঠ্যালি না করে, নিরিবিলি পরিবেশে, ভাল এনভায়রনমেন্টে বসে ইফতার খেতে চাই। আমাকে যদি সেই পরিবেশটা ঐ রেস্টুরেন্ট দিয়ে থাকে, বিনিময়ে খানিকটা বেশি টাকা নেয় - তাহলে ক্ষতির কিছু দেখছি না। আমি ঘাম ঝরিয়ে টাকা রোজগার করেছি, যাকাত সাদকা দেয়ার পরেও আমার মনে হয়েছে আমি ভাল মন্দ খেতে পারবো - তাহলে অন্যের এত আপত্তি কিসের?
শেষবার যখন দেশে গিয়েছিলাম, মিরপুর থেকে চক বাজারে ইফতার করতে যাব। রওনা হলাম দুপুর দেড়টায়। লালমাটিয়া পৌছুলাম তিনটার মধ্যেই। এবং তারপর যে ট্রাফিক জ্যাম শুরু হলো, তার সামনে আরিচা ফেরিঘাটের জ্যাম কিছুই না। আমরা সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত বাসেই রইলাম, এবং এলিফ্যান্ট রোড পর্যন্ত অতিক্রম করতে পারলাম না।
কিছুই করার নেই। বাস থেকে নেমে স্টার কাবাবে গেলাম। সেখানেও আসরের নামাজের আগে থেকেই লোকে সব চেয়ার দখল করে বসে আছে। ইফতার করতে হলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খাও।
অন্যান্য রেস্টুরেন্টে ঘুরতে শুরু করলাম। প্রত্যেকটার একই অবস্থা। সব শেষে একটা অখ্যাত (এখন হয়তো বিখ্যাত) রেস্টুরেন্টে ঢুকে মাত্র একটা টেবল খালি পেলাম, যেখানে আমি, আমার বন্ধু এবং আমার বৌ কোন রকমে বসতে পারলাম। এবং প্রচুর টাকা ব্যয়ে যে ইফতার করলাম, তারচেয়ে অনেক মজায় বাসায় খেতে পারতাম।
এখন যাদের অবস্থা আমার মতন মধ্যবিত্ত না, যাদের গুনে গুনে টিপে টুপে টাকা খরচ করতে হয়না, সে যদি এই ঝক্কি ঝামেলা এড়িয়ে বেশি টাকায় বাইরে ইফতার করতে চায় - তাহলে দোষের কী?
তাছাড়া, তাঁকে সেই পরিবেশ দিতে সেই রেস্টুরেন্টকেও "অপরচুনিটি cost" বহন করতে হয়েছে। মানে হচ্ছে, সর্বসাধারণের ভিড় এড়াতে তাঁদের বিক্রির পরিমান কমাতে হয়েছে। সেটা দেখতে হবেনা? তাঁরাতো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, কোন লঙ্গরখানা নয় যে জনকল্যাণে খাদ্য বিলিয়ে দিবে।
দোষ কখন হবে জানেন? যখন লোকে সেটাকেই শো অফ করার চেষ্টা করবে। ফেসবুকে চেকইন দিবে, যাতে লোকে বুঝে সে ৪২০০ টাকা প্ল্যাটারের ইফতার খায়। অথবা ৪২০০ টাকার ইফতার কিনে মুখ ছুঁইয়ে খাবার ফেলে দিবে। কিংবা লোক ঠকিয়ে, অন্যের গলায় ছুরি চালিয়ে, ঘুষ, দুর্নীতি করে টাকা কামিয়ে সেই রেস্টুরেন্টে খেতে যাবে। তখন আপনি ছিঃছিঃ করতে পারেন। তখন আপনার ছিঃছিঃ ভ্যালিড।
কিন্তু সব বড়লোককে এক কাতারে ফেলে, সবাই দুর্নীতিবাজ, চোর ইত্যাদি বলে সবাইকে তিরষ্কার করাটা আপনার উচিৎ না। বড়লোক হওয়াটা মোটেও অপরাধ না। কোন পথে বড়লোক হলো, সেটার উপর পাপ পুন্য নির্ভর করে।
কেউ বলবেন, এই দেশে দুর্নীতি না করে কেউ বড়লোক হতে পারেনা।
কেন ভাই, আমি যদি বিদেশে পড়াশোনা শেষে দেশে গিয়ে দামি কোন মাল্টিন্যাশনালে উচ্চপদে কাজ করি - আমার স্যালারি তিন সাড়ে তিনলাখ টাকা হয় - তাহলে আমি কী অপরাধটা করলাম?
একজন ডাক্তার সৎভাবে রুগী দেখে, মাথার ঘাম পায়ে ঝড়িয়ে যে টাকা রোজগার করে - সেটাতে দোষ কোথায়?
কিংবা ছোটখাট ব্যবসা করে, কাউকে না ঠকিয়ে আমি যদি লাখ টাকা কামাই, সেটাতেওতো কোন অপরাধ দেখিনা।
চায়না থেকে এক কাটায় মাল এনে আমি যদি সেটা দেশে পঞ্চাশ-একশো টাকায় বেঁচি, এবং লোকে কিনে, এতে কিন্তু কোন অপরাধ নেই - সেটা জানেন? As long as আমি কাউকে সেই প্রোডাক্ট সম্পর্কে মিথ্যা কিছু বলছি না। আমাদের নবীজি (সঃ) হজরত খাদিজার ক্যারাভান নিয়ে ব্যবসা করতে গিয়ে কয়েকগুন লাভ নিয়ে ফেরত এসেছিলেন। উসমান(রাঃ), তালহা (রাঃ) প্রত্যেকেই ছিলেন তখনকার বিজনেস টাইকুন। শুনেছিলাম হজরত তালহা (রাঃ) নাকি তখনকার সময়েই এক হাজার দিরহামের পোশাক পড়তেন। মাথা নষ্ট করে দেয়ার মতন তথ্য। কিন্তু যখন দান খয়রাতের ব্যাপার আসতো - আস্ত ক্যারাভানও বিলিয়ে দিতে কেউ কুন্ঠিত হতেন না।
নবীজির (সঃ) বিখ্যাত হাদিস, "কারোর মনে সরিষার দানা পরিমান অহংকার থাকলেও সে বেহেস্তে যেতে পারবেনা।"
সাহাবীরা বললেন, "কিন্তু ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমাদেরওতো ইচ্ছে হয় মাঝে মাঝে ভাল পোশাক আশাক পড়তে।"
তিনি বললেন, "ভাল পোশাক আশাক পড়াকে অহংকার বলেনা, অহংকার হচ্ছে সত্যকে অস্বীকার করা।" (নিজের মতন ট্রান্সলেট করলাম।)
মানে হচ্ছে, আমাকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে হয়তো আমি কর্পোরেট ওয়ার্ল্ডের ফাইন্যান্সিয়াল ব্যাপারে মোটামুটি জ্ঞান রাখি, কিন্তু কৃষিকাজে একটা লুঙ্গি পড়া কৃষক আমার চেয়ে বহু বহু বহু মাইল এগিয়ে। সে যদি চাল, ডাল, গম উৎপন্ন না করতো - তাহলে কোন অবস্থাতেই আমি সার্ভাইভ করতে পারতাম না। কাজেই তাঁকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দিতেই হবে। না দিলে, সেটাকে অহংকার বলে।
"যে দেশে গরীবে খেতে পারেনা...." - থিওরিতে আরেকটা ফাঁক রয়ে যায়।
সব গরিব কিন্তু ভাগ্যহত গরিব না। অনেকেই আছে, ইচ্ছা করেই গরিব। কাজ করবেনা, বাড়িতে বসে বসে শুধু কমপ্লেইন করবে এ আমার জন্য কিছু করলো না, ও আমার জন্য কিছু করলো না। সে আমাকে একটু পুশ করলেই আমি উঠে যেতাম। এদের আপনি যদি ব্যাংক ব্যালেন্স খালি করেও সাহায্য করেন, তাহলেও এদের কিছু হবেনা।
যারা ভাগ্যহত গরিব, তাঁদের সাহায্য করুন। আপনার প্রতি একশো টাকায় আড়াই টাকা তাঁদের। এক হাজার টাকাতেও পঁচিশ টাকা আরামসে বিলিয়ে দেয়া সহজ। কিন্তু যখন টাকার পরিমান হয় এক কোটি, এবং জাকাতের পরিমান হয় আড়াই লাখ, তখন এত বিপুল অংকের টাকা কাউকে শুধু শুধু দিয়ে দিতে মনে খচখচানি আসা অত্যন্ত স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে আপনি জাকাত আদায় করে বাকি সাড়ে সাতানব্বই লাখ দিয়ে যত খুশি ভাল ভাল জায়গায় খেতে যান, ঘুরতে যান, বেড়াতে যান - কোনই সমস্যা নাই। এ নিয়ে অন্য কেউ কথা তোলাটা অবশ্যই দোষের।
একটা কথা মনে রাখবেন, গরিবকে দান করতে হলেও আপনাকে বড়লোক হতে হবে। কাজেই আল্লাহর কাছে নবী সুলায়মানের (সঃ) মতোই দোয়া করুন, আপনাকে যেন প্রচুর টাকা পয়সা দেয়া হয়, যাতে আপনি মানুষের কল্যানে বেশি বেশি করে খরচ করতে পারেন।
রেস্টুরেন্টের সামনে ৪২০০ টাকা প্ল্যাটারের বিজ্ঞাপন দেখে আল্লাহ কাছে দোয়া করুন, দেশের সবাইকে যেন তিনি পুরো পরিবার সহ সেখানে খাওয়ার যোগ্যতা দান করেন। দেশের সবাইর মধ্যে আপনার নিজের পরিবারও কিন্তু সামিল হয়ে গেল। আমার নিজের পরিবারও হলো। আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন।
আমার গুরু মুফতি মেংক এই ব্যাপারে চমৎকার উপদেশ দেন।
"কাউকে মার্সিডিজ চালাতে দেখে কখনও হিংসা করোনা। বরং দোয়া করো আল্লাহ যেন তাঁকে আরও তিনটা মার্সিডিজ চালানোর তৌফিক দেন। সাথে নিজের জন্যও আল্লাহর কাছে একটা চেয়ে নিবা।"
এর চমৎকার ইসলামিক কারন তিনি বলেন। অন্যের মঙ্গলের জন্য যখন আপনি দোয়া করবেন, ফেরেশতারাও সেই দোয়ায় সামিল হয়। কাজেই অন্যের মঙ্গল চাইতে চাইতে নিজের জন্য দোয়া করে নিবেন, দেখবেন ফেরেশতারাও "আমিন" বলে ফেলেছে। সাথে হয়তো আল্লাহর কাছে সুপারিশও করবে, "হে আল্লাহ, এই লোকটা অন্যের জন্য তিনটা মার্সিডিজ, দুইটা বাংলো দোয়া করেছে - আপনি তাঁকেও খুশি হয়ে কিছু দান করুন।"
শুধু মাথায় রাখবেন, যখন আপনি মার্সিডিজ চড়া শুরু করবেন, তখন যেন আবার টয়োটাওয়ালাদের তাচ্ছিল্যের চোখে দেখা শুরু না করেন। আপনাকে দিতে যেমন আল্লাহর সময় লাগেনি, নিতেও লাগবেনা।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:৩১

খরতাপ বলেছেন: ইফতারকে একটা উৎসব হিসেবে দেখায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। কেমন হত যদি একদিন রাসূল (সঃ) এর সুন্নত অনুসরণ করে কেবল খেজুর এবং পানি দিয়ে ইফতার করে দেখি? ৫ টাকাও খরচ হবেনা। আরেকদিন শুকনো রুটি আর মধু? ১০ টাকাও খরচ হবেনা। দেশীয় সংস্কৃতির দই চিড়া কলা? বাজেট ২০ টাকারও নিচে থাকবে। ইফতারের আইটেম দিয়ে কি হবে? সবাই মিলে ইফতার করার আনন্দ কি কোন অংশে কম?

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:১৯

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: খুব ভাল বলেছেন। :)

২| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:১১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।
আমাদের দেশের লোক হিংসুক। অন্যর ভাল দেখলেই হিংসে করে।
যে যেমন ইসলামে তাকে সে ভাবেই চলতে বলা হয়েছে। যে ধনী সে কেন শুধু শুধু ফকিরের মত চলবে।
যার আছে সে ৪২০০ কেন আরও বেশি খরচে ইফতার করুক।

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:২০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:১০

স্বতু সাঁই বলেছেন: পোস্টা পড়ে লালনের একটা গানের কথা মনে পড়ে গেলো,

গুণে পড়ে সারলি দফা
করলি রফা গোলেমালে।
খুঁজলি নে মন কোথা সে ধন
ভাজলি বেগুন পরের তেলে।।

করলি বহু পড়াশুনা
কাজের বেলায় ঝলসে কানা
কথায় তো চিড়ে ভেজে না
জল কিংবা দুধ না দিলে।।

আর ক্ হবে এমন জনম
লুটবি মজা মনের মতন
বাবার হোটেল ভাঙ্গবে যখন
খাবি তখন কার বা শালে।।

হায় রে মজার তিলেখাজা
খেয়ে দেখলি নে মন কেমন মজা
লালন কয় বিজাতের রাজা
হয়ে রইলি চিরকালে।।

০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:২০

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.