নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অযুকে উদু বা রমযানকে রামাদান ডাকা নিয়ে হাসি তামাশা যারা করেন।

২২ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:৩২

বাংলাদেশের কোন বাঙালিকে যদি বলি "ফুল" উচ্চারণ করতে, তাহলে সে অবশ্যই উচ্চারণ করবে fool. এ উচ্চারণ শুনে শান্তিনিকেতনি বা নদীয়া অঞ্চলের বাঙালিরা হেসে গড়াগড়ি খাবেন। কারন আসল উচ্চারণ হচ্ছে, phool. বাংলা ভাষায় "fo" বলে কোন শব্দ নেই, "pho" হবে।
"ফাঁক" শব্দটি যেমন হবে "phank" - ইংলিশ দুষ্ট শব্দটি নয়।
আবার ওপার বাংলায় কিছু উচ্চারণ আমাদের কাছে উদ্ভট লাগে। "সেটা"কে (Sheta) তাঁরা উচ্চারণ করেন, "seta" - সাপকে (Shaap) ডাকেন saap। Sh কে তাঁরা S উচ্চারণ করেন।
গ্রামবাংলায় "ছ"কে ইংরেজি S এর মতন উচ্চারণ করেন। "ছাতি" হয়ে যায় "satti."
কেউ কেউতো "সোনিয়া" নামের বানান লিখেন "ছনিয়া।" শামসুর রহমান হয়ে যান "শামছুর" রহমান।
তা এখন কেউ যদি এসে দুই বাংলার লোকেদেরই শুদ্ধ উচ্চারণ শিখিয়ে দেন, তাহলে তাঁকে নিয়ে কী হাসাহাসি করা উচিৎ।
কোন বিষয়েই হাসি মজাক করার আগে আমাদের কী উচিৎ না একটু ভাবা যে আমি যা নিয়ে হাসতে চলেছি, কারনেই হাসছিতো?
ধরা যাক আমি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী, এবং আমি খাস বাঙাল উচ্চারনে গাইছি "foole foole ঢ'লে ঢ'লে বহে কি'বা মৃদু বায়।"
শ্রুতিকটু ঠেকতে আমাকে কলকাতা পর্যন্ত যেতে হবেনা, দেশেরই অনেকে আমাকে উচ্চারণ শুধরাতে বলবেন। এখন আমি যদি বলি, "fool কে fool ডাকবো, Phool ডাকতে পারবো না। কী করবি তুই?"
অথবা হাসাহাসি শুরু করে দিলাম।
"শুনছিস, ব্যাটা fool কে phool বলতে বলতেছে। হাহাহা।"
তাতে লাভের লাভ কারোরই হবেনা, ক্ষতি হলেও হতে পারে।
এখন কিছু আরবি শব্দ নিয়ে দেশে তোলপাড় চলছে। এবং যথারীতি, ফেসবুক এ নিয়ে সয়লাব। যেমন আমরা জন্ম থেকে জেনে এসেছি রমজান, কিন্তু সঠিক আরবি উচ্চারণ হচ্ছে রামাদান। "ওযু"কে "উদু" বললে দেশের কেউ বুঝবে না, আবার উদুকে ওযু ডাকলে বিদেশী কেউ বুঝবেনা।
কী করা যায় এখন?
ওযুকে উদু ডাকলে, বা রমজানকে রামাদান ডাকলে কী এক্সট্রা সওয়াব পাওয়া যায়?
যেমন আমরা সালাতকে "নামাজ" এবং ইংলিশে "প্রেয়ার" ডেকে অভ্যস্ত। এতে কী সোয়াবের কম বেশি কিছু ঘটে?
হ্যা, যদি না জানি যে কুরআনে বারবার "সালাত আদায় করো" বলতে আসলে "নামাজ পরার" কথা বলা হয়েছে, তাহলে সমস্যা। কাজেই, ভোকাবুলারি যত সমৃদ্ধ হবে, তত লাভ।
কুরআনে "রামাদান" বলা হয়েছে (বাকারা, আয়াত ১৮৫)। কুরআন পড়ার সময়ে আমি যদি "রমজান" উচ্চারণ করি, তাহলে চলবেনা। কুরআনকে আমার সেভাবেই পড়তে হবে যেভাবে তা নাজেল হয়েছে। একদম খাস ক্লাসিক কুরাইশী উচ্চারনে - মদিনা বা ইয়ামেনী উচ্চারনেও নয়।
কিন্তু আমি যদি আমার দেশি বন্ধুর সাথে কথা বলার সময়ে অভ্যাস মতন "রমজান" বলি, তাহলেতো সমস্যা নেই। একই সাথে, আমার আরব বন্ধু, যে "রমজান" বুঝেনা, তাঁকেতো "রামাদান" বলতেই হবে।
শব্দগুলোর সাথে পরিচিত থাকা ভাল। যাতে কনফিউজড না হয় কেউ।
"রমজান" শব্দটা ফার্সি থেকে উর্দু হয়ে আমাদের দেশীয় শব্দে মিশেছে। যারা কট্টরপন্থী বাংলাদেশী, বাংলাভাষা থেকে উর্দুর নাম গন্ধ দূর করে দিতে চান, তাঁদেরই অনেককে আবার দেখছি আল্ট্রা কনজারভেটিভ হয়ে এই শব্দটিকে প্রটেক্ট করতে। তাঁরা একটু ভেবে দেখবেন কী?
বাংলাদেশকে বিদেশিরা, কিংবা বিদেশে বড় হওয়া বাংলাদেশি সন্তানরা "ব্যাংলাডেস" বললে তাহলে খেপে উঠেন কেন।
এটি স্রেফ উচ্চারণগত ব্যাপার। টেক ইট ইজি। হাসি মজাক করার কিছু নেই।
ধন্যবাদ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৪:১২

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: কারন অনেক আগের জানা, দোয়াল্লিন/জোয়াল্লিনের ঝামেলা!! (ব্যাখ্য্য দিতে পারবো না)।। এখন এটুকুই বলতে পারি ইংরেজী পি এর মত জ ও গায়েব ।। স্থান নিয়েছে দ!!

২| ২২ শে জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

স্বতু সাঁই বলেছেন: শুদ্ধ আরবী ভাষা শিক্ষার প্রতি উৎসাহ প্রাদনকারী পোস্ট।

লেখকের উদ্দেশ্যে বলছি। একজন মানুষ পঞ্চাশটা বিজাতি ভাষা শিখতে পারে, এতে কোন আপত্তি নেই। কিন্তু ভাষা শিক্ষার সাথে শব্দের উচ্চারণ ঐ জাতির স্বরূপ উচ্চারণ হতেই হবে এটা আপনি আশা করেন কিভাবে? যেখানে একই জাতির একেক অঞ্চলের ভোকাল এক্সপ্রেশন ভিন্ন ভিন্ন হয় সেখানে ভিন্ন জাতির ভোকাল এক্সপ্রেশন এক হয় কি করে? যেমন নোয়াখালীর বাংলা উচ্চারণ আর কুষ্টিয়ার বাংলা উচ্চারণ যেখানে একই রকম না সেখানে একজন ব্রিটিশ বা এ্যারাবিয়ানের কণ্ঠে বাংলার শুদ্ধ উচ্চারণ আপনি আশা করেন কিভাবে? একটা কথা মনে রাখবেন, উচ্চারণ শুদ্ধতার সাথে বাক্যের ভাবের পরিবর্তন কখনই ঘটেনা। বাক্যের ভাবার্থের পরিবর্তন তখনই ঘটে যদি পাঠক বাক্যের মর্মার্থ সঠিকভাবে না বুঝে। দাল্লিন না জাল্লিন এতে কিছুই যায় আসে না যদি পাঠক এর অর্থ ভ্রষ্ট হওয়া বুঝে থাকে তাহলে কোন সমস্যাই নেই।

তবে পোস্টের উদ্দেশ্য যদি শুদ্ধ আরবী শেখানো হয় তাহলে ভিন্ন কথা। তবে বাঙালীর কাছে শুদ্ধ আরবী উচ্চারণ আশা করাটা একেবারেই ভুল প্রত্যাশা। কারণ বাঙালী এযারাবিয়ান নয়। কোরাইশ তো অবশ্যই নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.