নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"উর্দু-ফার্সি-ইংরাজ/পড়তে আমি নিমরাজি/পড়লে পড়াম বাংলা/অইলে অয়্যাম কামলা।" - খুবই ফাউল কথা।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৫

"উর্দু-ফার্সি-ইংরাজি
পড়তে আমি নিমরাজি
পড়লে পড়াম বাংলা
অইলে অয়্যাম কামলা।"
ভাষার মাসে অনেকের ওয়ালে/প্রোফাইলে এই চার লাইন শেয়ার হতে দেখছি। ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং ডিসেম্বরে বাঙালির দেশপ্রেম চেতনাবোধ বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, কাজেই গা করার কিছু নেই। বিপদসীমা একারনেই বলছি যে এই সময় অনেকেই ফ্যানাটিক ন্যাশনালিস্টদের মতন আচরণ শুরু করে দেন।
"বাংলা ছাড়া এইমাসে একটি ইংলিশ "ওয়ার্ডও" উচ্চারণ করবো না। মোদের গরব মোদের আশা, আমাদের বাংলাভাষা!"
এবং এদের সামনে যদি কেউ ভুল করেও ইংলিশে কথা বলে বসে, তাইলে কথাই নাই। দেশপ্রেমের সার্টিফিটেক হাতছাড়া হয়ে যাবে। যেকোন বিষয়ে ফ্যানাটিসিজ্ম বা উগ্রবাদ মানুষকে কেবল মূর্খই প্রমাণ করে, এর বেশি কিছু নয়।
যাই হোক, এই লাইনগুলোর ভুল ব্যাখ্যা বা মিসইন্টারপ্রিটেশন নিয়ে কিছু কথা বলতেই হয়।
সোজা বাংলায় উপরের কবিতা হচ্ছে "আমি বাংলা ছাড়া আর কিছুই পড়বো না। এরজন্য যদি কামলাগিরিও করে খেতে হয়, তাহলেও সমস্যা নাই।"
খুবই ইমোশনাল কথাবার্তা, বুঝতেই পারছেন। সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই। নিলেই বরং বিপদে পড়বেন।
ভাষার মাসে আমরা বেশিরভাগই লিখি আমাদের dude generation যেভাবে নিজেদের বাংলা ভাষাকে খ্যাত, অশিক্ষিত শ্রেণীর মানুষের ভাষা গণ্য করছে, ইংলিশে কথা বলতে না পারাকে unsmart জ্ঞান করছে সেটা কেবল ভুলই না, রীতিমত দন্ডনীয় অপরাধ। কিন্তু তাই বলে ইংলিশ ভাষা জানাটাকে কী তিরস্কার করা ঠিক? অবশ্যই না। বরং আমার মতে প্রতিটা বাঙালির অবশ্যই বাংলার পাশাপাশি ইংলিশ ভাষায় সমান দক্ষ হওয়াটা জরুরি। সাথে ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ ভাষায় দক্ষ হলেতো কথাই নাই। নাহলে গ্লোবাল প্রতিযোগিতায় কখনই সামনে এগুতে পারবো না।
অ্যামেরিকানরা আমাদের মুখে ইংলিশ শুনে খুব অবাক হয়। জিজ্ঞেস করে, "তুমি মাত্র এই কটা বছরে ইংলিশ শিখে ফেলেছো?"
যখন বলি আমরা আমাদের দেশে শৈশব থেকেই ইংলিশ শিখি, হেমিংওয়ে, এডগার এলেন পোদের লেখাগুলো আমরাও পড়ি; তখন মোটামুটি একটা খটকা খায়। কারন ওরাতো না পারতে নিজের মাতৃভাষা ছাড়া অন্য বিদেশী ভাষা শিখেনা। আমাদের সমস্যাটা কী? বিশেষ করে চায়না, জাপান, কিংবা ইউরোপিয়ানরা নিজেদের মাতৃভাষা ছাড়া ইংলিশ তেমন শিখেই না।
সাথে আমরা যখন বলি আমরা কেবল বাংলা এবং ইংলিশই না, হিন্দি উর্দু ভাষাতেও মোটামুটি পারদর্শী এবং আরবি ভাষাটা দেখে দেখে পড়তে পারি, তখন ওদের চোখ কপালে উঠে যায়। কেউ কেউ বিস্ময়ে বলেও ফেলে "তোমরা কত সৌভাগ্যবান! আমরা ইংলিশ আর কালে ভদ্রে স্প্যানিশ (ম্যাক্সিকানদের অবদান) ছাড়া কোন ভাষাই পারিনা।"
দেশের অনেককেই দেখি হিন্দি ভাষা জানা লোকজনকে তিরষ্কার করে। কেউ উর্দুতে কথা বললেতো কথাই নাই, সরাসরি রাজাকার ট্যাগ পেয়ে যাবে। কিন্তু ভাষার কী কোন জাত-ধর্ম আছে? যে দোষে আমরা পাকিস্তানিদের দুষ্ট বলি, সেই একই অপরাধ আমরা করি কোন লজিকে? মাল্টিলিঙ্গুয়াল হওয়া কোন লজ্জার বা ডিসক্রেডিটের বিষয় কেন হবে? এইটাতো অবশ্যই একটি গুন। আমি হিন্দি/উর্দু/ফার্সি/জার্মান যত ভাষা জানবো, আমার মনের জানালা ততই খুলবে। কর্মক্ষেত্রেও এর সুফল পাবো। যেমন স্রেফ ইংলিশ জানেনা বলেই বাংলাদেশ থেকে অ্যামেরিকায় আসা অনেককে আমি দেখি দেশি দোকানে টুটাফুটা কাজ করে কিংবা অ্যামেরিকান প্রতিষ্ঠানেই অত্যন্ত নিচুশ্রেনীর কাজ করে জীবন কাটিয়ে দিচ্ছেন। ম্যানেজার হবার সব যোগ্যতা থাকার পরেও কেবল ইংলিশে ফ্লুয়েন্ট নন বলেই ক্যারিয়ারে এগুতে পারছেন না।
আবার ভাল ইংলিশ জানা লোকজনও স্প্যানিশ না জানার কারনে ক্যারিয়ারে এগুতে হিমশিম খান। যেখানে তাঁর চেয়ে বিদ্যাবুদ্ধিতে অনেক পিছিয়ে থাকা লোকজনও কেবল মাত্র ভিনদেশি ঐ ভাষা জানার কারনে ক্যারিয়ারে সাকসেসফুল হয়ে যায়। রিটেইল ব্যাংকিংয়ে এই উদাহরণ পাবেন হাজারে হাজার।
সবার আগে আমাদের বুঝতে হবে নিজের ভাষাকে সম্মান করার মানে কিন্তু এই না যে বিদেশী কোন ভাষাকে অপমান করতে হবে। আমাদের একটা বিরাট অংশের জনতা এখানেই তালেগোল গোলে মাল পাকিয়ে বসেন। স্মার্টনেস মানুষের চালচলন, পোশাক আষাক, কথাবার্তা আচার আচরণের উপর নির্ভরশীল। একটি সম্পূর্ণ বাক্যে কয়টা ইংলিশ শব্দ ব্যবহার করলো সেটার উপর বিচার করা শুরু করলেই সমস্যা।
যে আহাম্মক মনে করে নিজের বাপ দাদার ভাষায় কথা বলা ক্ষ্যাত, সেই আহাম্মকের বুঝা উচিৎ নিজের মাতৃভাষা না জানাটাই বরং আহাম্মকীপনা। খুব অবাক লাগে যখন দেখি বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশী দর্শকদের উপস্থিতিতে বাঙালি বক্তা ইংলিশে বক্তৃতা দেন। বুদ্ধিশুদ্ধি কোন আস্তাকুঁড়ে ফেলে আসলে এই কান্ড ঘটানো সম্ভব? এরা কী প্রমান করতে চায়? দেশে কবে থেকে বেকুবের বাম্পার ফলন হওয়া শুরু হয়েছে?
ইংলিশ শিক্ষা নিয়ে প্রসংগক্রমে ইন্ডিয়ানদের একটি গুনের কথা বলি। তার আগে বলে নেই যে এইটা নিশ্চই সবাই জানেন যে যদিও ভারতীয়দের জাতীয় ভাষা হিন্দি, কিন্তু তারপরেও তাঁরা এক রাজ্যের লোক অন্য রাজ্যের লোকের সাথে যোগাযোগে ইংলিশ ভাষা ব্যবহার করেন। ইন্ডিয়ান উচ্চারণ নিয়ে (আসলে দক্ষিণ ভারতীয়দের ইংলিশ উচ্চারন) পশ্চিমা দেশে যতই হাসাহাসি হোক না কেন, তাঁদের "ইংলিশ বিদ্যা" নিয়ে কিন্তু কারোরই কোন সন্দেহ নাই। কাজেই মোটামুটি শিক্ষিত ভারতীয় মাত্রই ইংলিশে দক্ষ। তা তাঁর উচ্চারণ পশ্চিমাদের কাছে যতই হাস্যকর শোনাক না কেন।
এখন প্রসঙ্গে আসা যাক।
অ্যামেরিকায় একটি বিশেষ ধরণের ভিসা আছে, সহজ বাংলায় যাকে কর্মী ভিসা বলা চলে। মানে এই দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য বিদেশ থেকে কর্মী আনার জন্য যে ভিসা দেয়া হয় আর কি। তা এই ভিসায় লোকজন আসে, অ্যামেরিকান প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। তারপর এই ভিসাই বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে একসময়ে গ্রীন কার্ড এবং সিটিজেনশিপ এনে দেয়।
তা এই কর্মী ভিসা কী শর্তে দেয়া হয়? যে কোম্পানি একজন বিদেশিকে এই ভিসা দিবে, তাঁকে প্রমান করতে হবে যে যেই বিশেষ স্কিলের জন্য এই লোকটিকে ভিসা দেয়া হচ্ছে, লোকালদের মধ্যে সেই স্কিলটি নেই।
সহজ উদাহরণ দেই। ধরা যাক আমি একটি রেস্টুরেন্টের মালিক। আমার একটি মেনু হচ্ছে "হায়দ্রাবাদি জাফরানি পোলাও।" এজন্য আমার একজন বাবুর্চি লাগবে। আমাকে প্রথমে বিজ্ঞাপন দিতে হবে হায়দ্রাবাদি জাফরানি পোলাও রেসিপি জানা এমন বাবুর্চি আমার চাই। কোন সাড়া পাওয়া না গেলে তবেই আমি হায়দ্রাবাদ বা বিশ্বের অন্য কোন প্রান্ত থেকে বাবুর্চি আনতে পারবো যে এই বিশেষ রান্নায় পারদর্শী। যদি অ্যামেরিকায় আমি বাবুর্চি পেয়ে যাই, তাহলে কিন্তু আনতে পারবো না।
সমান শর্ত যেকোন কাজের জন্য প্রযোজ্য। হোক সে ইঞ্জিনিয়ার বা একাউন্ট্যান্ট। বুঝাতে পারছি?
তা ইন্ডিয়ানরা এই বিষয়ে যথেষ্ট স্মার্ট। তাঁরা নিজেদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা, বিশেষ করে আইটি সেক্টরকে এমনভাবে ডিজাইন করে যে ওরা পাশ করার সাথে সাথেই অ্যামেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলো বুভুক্ষের মতন ওদের ধরে ধরে খুঁজে খুঁজে নিয়ে আসে।
প্রশ্ন উঠতে পারে, অ্যামেরিকায় কী আই.টি পড়ানো হয়না? তাহলে সেই ইন্ডিয়া থেকে আনা হয় কেন?
উত্তর হচ্ছে, গুগল, মাইক্রোসফট বা এইসমস্ত প্রতিষ্ঠান যে স্কিলের লেবার চায়, তা আসলেই অ্যামেরিকায় পাওয়া কঠিন। অ্যামেরিকান বিশ্ববিদ্যালয় অনেক আজাইরা কোর্সও করায় যেগুলোর সাথে এইসব প্রতিষ্ঠানের দূরদূরান্ত পর্যন্ত কোন সম্পর্ক নেই। যেমন আমাকে ড্রামা/ডান্স/আর্ট/মিউজিক থেকে যেকোন কিছু সাবজেক্ট ইলেক্টিভ হিসেবে নিতে হয়েছিল। আমি ড্রামা নিয়েছিলাম ইন্টারেস্ট ছিল বলেই। ইন্ডিয়াতে যতদূর জানি এর বদলে আরও কঠিন কোন কোডিং ক্লাস ধরিয়ে দিবে। আমার ড্রামায় বিল গেটস ভাইয়ের কী যায় আসে? তাঁর দরকার ঐ কোডিং জানা ছেলে। তাছাড়া অ্যামেরিকান লোকজনের নখরারও শেষ নেই। "আমাকে এই ঐ সেই বেনিফিট দিতেই হবে। এত বেতনের নিচে দিলে কাজ করার প্রশ্নই উঠে না।" আর কোথাও ভাল অপর্চুনিটি পেলে পায়ে ধরেও ওদের আটকে রাখা সম্ভব না। বর্তমান জেনারেশনে অ্যামেরিকানরা চল্লিশ ছোঁয়ার আগেই পাঁচ ছয়টা (আরও বেশি হতে পারে) প্রতিষ্ঠানে ঢু মেরে আসে।
আর ভারতীয়রা অ্যামেরিকায় কাজ পাচ্ছে এতেই আলহামদুলিল্লাহ! অর্ধেক বেতনে করে দিচ্ছে। মোটামুটি এক দুই প্রতিষ্ঠানেই রিটায়ারমেন্টের প্ল্যান নিয়ে এগোয়।
শুনেছি গুগল নিজেরাই নাকি ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে, কেবলমাত্র নিজেদের প্রতিষ্ঠানের জন্য। তাঁরা যা যা চায়, যেমন কর্মী চায়, সেরকম তৈরী করে নিবে। কারন ডোনাল্ড ট্রাম্প এসে ঘ্যানর ঘ্যানর শুরু করেছে এইসব কর্মী ভিসা বন্ধ করে অ্যামেরিকানদের হায়ার করতে। দক্ষ কর্মী সংকটে পড়লে এর দায়ভার ট্রাম্প নিবে?
যে কারনে উদাহরণটা দিলাম, দেখুন আমরাও কিন্তু লেবার পাচার করছি। মধ্যপ্রাচ্যে। মিস্ত্রি, ঝাড়ুদার, খানসামা এইসব। আমাদের দেশের খুব কম শিক্ষিত লেবার বাইরে কাজ নিয়ে আসে। বেশিরভাগ পড়াশোনা করতে এসে থেকে যায়। দুইয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। অথচ আমরা যদি অন্যান্য কাজের সাথে ইংলিশ শিখিয়ে শিখিয়ে লোকজন পাচার করা শুরু করতাম, তাহলে আমাদের ইকোনোমি আরও বহু আগেই বদলে যেত। যেমন আমাদের নাপিত সম্প্রদায়। হাতে হাতে যেভাবে যেই ডিজাইন দেখিয়ে দেই সেই ডিজাইনে চুল কাটে, এমন কাস্টম বারবার সার্ভিস এখানে $১০০ দিয়েও পাওয়া কঠিন। আমাদের বাবুর্চিরা বিশ্বসেরা। এই বিষয়ে আমার কোন তর্ক নাই। আমাদের মুচি, দর্জি, কিংবা আমাদের কাঠ মিস্ত্রি। কিছুদিন আগেই দেখলাম মিরপুরে চিপা গলির ভিতরে এক ভাঙা দোকানে ফার্নিচার তৈরী হচ্ছে। কী নিখুঁত ডিজাইন যে লোকগুলো ফুটিয়ে তুলছে। এইদেশে এইরকম কাস্টম ডিজাইন হ্যান্ডমেড ফার্নিচার হাজার দশেক ডলারের নিচে পেলে নিজেকে ভাগ্যবান বলতেই হবে। এরা যদি ইংলিশ জেনে বাইরের দেশে গিয়ে ব্যবসা খুলতে শুরু করতো - এদের কোটিপতি হতে বেশিদিন লাগতো না। স্রেফ ইংলিশ না জানার এবং ভাগ্যবিড়ম্বনায় তাঁদের জীবন রাস্তার ধারে ফুটপাথে কেটে যাচ্ছে। হ্যা, সেগুন কাঠের অর্ডার নিয়ে কেরোসিন কাঠ গছিয়ে দেয়ার অভ্যাস ধরে রাখলে এদের অবস্থান গলির চিপাতে থাকাই ভাল।
মদ্দা কথা, বাংলা শিখুন, বাংলা জানুন, নিজের মাতৃভাষাকে নিয়ে গর্বিত হন। কিন্তু অন্য কোন ভাষাকে কটাক্ষ করলে, অসম্মান দেখালে লোকসানটা নিজেরই হবে। শিক্ষিত হয়ে কামলা হবেন কেন? অফিসার হন।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:১৮

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: লেখককে ধন্যবাদ খুবই অপ্রিয় সত্য তুলে ধরার জন্য |

আমি মধ্যপ্রাচ্যের যেকোনো বিমানবন্দরে গেলেই সেখানে কর্মরত বাংলাদেশী ভাইদের সাথে গল্প করে সময় পার করে দেই, এদের অনেকের সাথে আমার বেশ বন্ধুত্বও হয়ে গেছে | তাই আবারো যখন ওই এয়ারপোর্টে কখনো ট্রানজিট পড়ে, আমি তাদেরকে খুঁজে বের করতে চেষ্টা করি | এই সকল বাংলাদেশী ভাইরা কাজে কর্মে অনেক পরিশ্রমী হওয়া সত্বেও তাদের চেয়ে বেশি বেতনের কাজগুলো নিয়ে নেয় ভারতীয়রা | এর কারণ একটাই, ভারতীয়দের ইংরেজির দক্ষতা অনেক বেশি |

এখন চাইলেও বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত এই সকল প্রবাসী বাঙালিরা ভারতীয়দের মতো ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন না | কিন্তু ভবিষ্যতের জনশক্তি রপ্তানির সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে অবশ্যই বর্তমান প্রজন্মকে ইংরেজিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ সরকারকে খুব সিরিয়াস হতে হবে | বাংলাদেশের যেকোন পেশার সাথে জড়িতরাই বেশ দক্ষ | তাদের একটিমাত্র দুর্বলতা হচ্ছে ইংরেজিতে দক্ষতার অভাব | আজ যদি তারা এতে দক্ষ হতো, আমরা সারা বিশ্বে ভারতীয় এবং পাকিদের চাইতে বিভিন্ন পেশায় ডমিনেট করতাম |

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১১

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান ফিডব্যাকের জন্য। আসলে, দেশে নিজের ড্রয়িংরুমে কম্পিউটার ডেস্কের সামনে বসে অনেক কথা বলা যায়, প্র্যাকটিক্যালি চিন্তা করতে হলে ফিল্ডে নামতে হবে। যেমনটা আপনি দেখেছেন। গতমাসে দুবাই এয়ারপোর্টে গিয়ে আমি একটু অবাকও হয়েছি। ডিউটি ফ্রী শপগুলোতে ফিলিপিনো চাইনিজ গিজগিজ করছে, খুব কম বাঙালি সেখানে কাজ করেন। অথচ স্রেফ ইংলিশ জানলেই তাঁরা সেসব কাজ সহজে পেয়ে যেতেন। বেচারাদের জেনেটরি করে জীবন কাটিয়ে দিতে হচ্ছে।

২| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: আপনাকে অজস্র ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন এই চমৎকার লেখাটা লেখবার জন্য। যেসব বিষয়ে আলোকপাত করেছেন তার অনেকটাই জানা ছিল না। আপনি ঠিকই বলেছেন, আমাদের বাবুর্চি, কাঠমিস্ত্রিদের নিজেদের কাজে দক্ষতা অনেক বেশি- কেবল ইংরেজি না জানায় এরা বিদেশে কাজ করতে পারে না। কদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক আত্মীয় বাসার পানির লাইন নিয়ে কাজ করা বাবদ প্লামারকে দিয়েছেন সাড়ে তিন হাজার ডলার- দেশে এই কাজ করতে বড়জোর লাগত এক হাজার টাকা। এই কর্মক্ষেত্রে আমাদের কিত লোক, কিন্তু তারা ইংলিশ জানে না!!!

আমার একটা পোস্ট আছে এ নিয়ে, সময় পেলে পড়ে দেখবেন Click This Link

যেমন বলেছেন, আমরা ইংলিশ শিখি না মায়ের ভাষার অপমান, মাতৃভূমির অপমান ইত্যাদি জিগির তুলে। যারা মাতৃভাষার সম্মান, মাতৃভাষার সম্মান করতে হবে বলে মহাব্যস্ত তাদের ছেলেমেয়েদের পড়ান ইংলিশ স্কুলে। স্পষ্টতই, দেশে দুই ভাগ জনগণ তৈরি হচ্ছে- ইংলিশ জানা আর না জানা!!!

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: "আমার ছেলে বাংলাটা পারেনা" নামের একটা কবিতা ফেব্রুয়ারিতে খুব শেয়ার হয় ওয়ালে ওয়ালে। বাস্তবে দেখা যায় শেয়ারকারীদেরই অনেকের ছেলেমেয়েদের এই অবস্থা। হুদাই শেয়ার না করে বাচ্চাদের যদি বাংলা শেখানোর ব্যাপারে আগ্রহী হতেন, তাহলে বরং কাজের কাজ হতো।
বাঙালির দেশপ্রেম এখন ফেসবুক কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। খুবই দুঃখজনক।

৩| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯

করুণাধারা বলেছেন: আমাদের ইংরেজি শিক্ষা নিয়ে আজকের প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতায় যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত একজন অধ্যাপক চমৎকার নিবন্ধ লিখেছন "সুপারম্যান তুমি কোথায়?" নামে। লিংক দিতে পারলাম না- দিতে পারলে হয়ত আমাদের ইংরেজি শিক্ষার এই দিকটা জানতে পারতেন!

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: পেলে অবশ্যই দিবেন। ধন্যবাদ। :)

৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৫৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: "সুপারম্যান তুমি কোথায়?" প্রথম আলোর সম্পাদকীয় পাতা লিংক :

http://www.prothomalo.com/opinion/article/1437691/সুপারম্যান-তুমি-কোথায়

৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ভোর ৬:৫৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: Click This Link

৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮

সোহানী বলেছেন: সহমত! ঠিক একই বিষয় নিয়ে আমারো লিখা আছে.................+++++++++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.