নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন কোয়ারেনটাইনে থাকবেন?

১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:০৬

করোনা ভাইরাসের এখন পর্যন্ত কোন প্রতিষেধক নেই। আমেরিকা কালকে থেকে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করবে, কিন্তু সেটার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি, কতটা নিরাপদ, সেটা বুঝতে এক বছর সময় লেগে যাবে। কাজেই, বুঝতেই পারছেন, নিশ্চিন্ত হবার মতন সময় আসেনি।
কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের হাবভাব, কথাবার্তা এবং কার্যকলাপ দেখে বুঝতে পারছি আমরা এখনও এর ব্যাপারে অনেক কিছুই বুঝতে পারছিনা। মূল দোষ ফেসবুকের। যে যা পারছে, অথেন্টিসিটি যাচাই বাছাই না করেই শেয়ার করে দিচ্ছে। কেউ গরম পানি খেয়ে ভাইরাস মারার ধান্দা করছে, কেউ রোদে বসে থাকছেন ঘন্টার পর ঘন্টা, কেউ আগুনে স্যাক দিচ্ছেন। বুঝতেই পারছেন, কতটা হাস্যকর কার্যকলাপ! একটা ভুল তথ্য এইসব ব্যাপারে মারাত্মক ক্ষতি সাধন করতে পারে, এই সাধারণ আক্কেলটাই আমাদের নাই। অদ্ভুত!
প্রথম কথা, যেহেতু এই রোগের কোন চিকিৎসা নাই, এবং এই রোগ অতিরিক্ত ছোঁয়াচে এবং বিদ্যুতের বেগে ছড়ায়, সেহেতু এই রোগকে ঠ্যাকাবার এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে isolation, self quarantine বা সবার থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। কোন করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে না আসলে আমি আক্রান্ত হবো না - এইটা পরম সত্য বাক্য। কাজেই আমার জন্যই ভাল হবে যদি আমি কারোর কাছে না যাই। সে আমার বাবা হোক, মা হোক, বোন হোক, বা বৌ। আমি যখন করোনা আক্রান্ত কোন অঞ্চল থেকে যাব, বা আমার কাছে কেউ আসবে, সে আমার যত আপনই হোক না কেন, চৌদ্দদিন সময় শেষে যত হাগাহাগি কিসাকিসি করা যাবে। এর আগে না। এর উদ্দেশ্যটা কি আমি বুঝিয়ে বলি। যদি কেউ নতুনভাবে আক্রান্ত না হয়, তাহলে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দিতে পারবে ডাক্তাররা। এর ফলে একদল বাঁচবে, একদল মারা যাবে। যেহেতু বাকি সুস্থ জনগোষ্ঠী নিজেদের আগে থেকেই আলাদা করে রেখেছে, ফলে নতুনভাবে আর কেউ আক্রান্ত হবে না। শেষ রোগীর সুস্থ হওয়া বা মৃত্যুর সাথে সাথে ভাইরাসটিও বিলুপ্ত হবে। তাই অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই (খুব বেশি হলে এক মাস) এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে আমাদের মুক্তি সম্ভব। ভ্যাকসিন পর্যন্ত আর অপেক্ষা করতে হবেনা।
ফর্মুলাটা সহজ না?
কিন্তু আমরা কথা মানলেতো।
এই যে হাসপাতাল থেকে পটেনশিয়াল করোনা রোগী পালিয়ে গেল, এখন এই লোক যে কি কেয়ামত নামাবে সেটা আল্লাহই জানেন। সরকারের উচিৎ এই লোকটিকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা। লোকটিকে কড়া নজরদারিতে চিকিৎসা করা হোক। আহাম্মকটা কোটি মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। একে অতিসত্বর খুঁজে বের করতে হবে। হাসপাতালের কাছে নিশ্চই নাম ঠিকানা ছিল। খুঁজে বের করা কঠিন কিছু হবেনা। যে গাধা একে আশ্রয় দিবে, সে নিজেকেই ঝুঁকিতে ফেলবে। এই বিষয়টা বুঝাতে পারলে তার নিজের বাপ ওকে ডাক্তারের হাতে তুলে দিবে।
ইটালিয়ানদের আগমনের ফলে আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো হয়েছে করোনা মোকাবেলায় আমাদের সরকারের প্রস্তুতি কেমন। একটা জায়গা পর্যন্ত নেই যেখানে আমরা এদের আলাদা করে রাখতে পারবো চৌদ্দ দিনের জন্য। নোংরা পরিবেশ, পানি ছাড়া খাওয়া খাদ্যের কোনই ব্যবস্থা নাই, চিকিৎসার ব্যবস্থা নাই, পরীক্ষার ব্যবস্থা নাই - বলি আড়াইটা মাস ধরে কী ঘোড়ার ডিমটা পেড়েছে এরা? একশো পঁচিশজনের ব্যাচকেই সামলাতে পারলো না, হাজারের উপর রোগী হলে কি হবে? স্বাস্থমন্ত্রীতো বলেই দিয়েছেন, তারা এই আড়াইমাসে "হোম কোয়ারেন্টাইনের" ব্যবস্থা নিয়েছেন। মানে, কিছু জবাব শোনার পর মুখফুটে বের করার মতন কোন শব্দ খুঁজে পাওয়া যায় না। এইসব ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। অন্য যেকোন দেশ হলে এই ধরনের অথর্বগুলি রিজাইন দিত। এত নির্লজ্জতার সাথে কেউ অফিসে যায় কিভাবে?
দ্বিতীয় কথা হলো, কেন এই আতংক কাজ করছে? কারন আমরা কোনদিক দিয়েই প্রস্তুত নই। ক্যানাডিয়ান এক মেয়ে গেল বেড়াতে, সামান্য অসুস্থ হলো, ডাক্তার নার্সরা করোনা হয়েছে ভেবে তাঁর কাছেই ঘেষলো না। ডাক্তারদের না আছে পোশাক (স্পেসসুটের মতন একটা ড্রেস পরেন বিদেশী চিকিৎসকরা) না আছে রোগীর জন্য আলাদা ব্যবস্থা (বাইরে কিভাবে চিকিৎসা করছে দেখুন, একটা প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে রোগীকে ঢুকিয়ে ফেলছে, আমাদের দেশে উন্মুক্তভাবে চিকিৎসা করবে নিশ্চিত থাকুন)। মেয়েটি মারা যাবার পরে পরীক্ষা করে দেখে তাঁর করোনা ছিল না। ঝকঝকে এক তরুণী, এইভাবে হঠাৎ করেই মারা গেল। আমার বন্ধুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, কেমন লাগে এইধরনের ঘটনা শুনতে! এই হচ্ছে আমাদের সরকারি চামচাদের ঘোষণামতে "দেশ করোনার জন্য প্রস্তুত" এর নমুনা। আল্লাহর কসম, এইগুলিকে ঠিকভাবে জুতাতে পারলে মনে একটু সান্তনা আসতো।
তৃতীয় কথা, ওয়াজে মাহফিলে একদল অশিক্ষিত, মতলববাজ ধর্ম ব্যবসায়ী রটিয়ে বেড়াচ্ছে এটি অমুসলিমদের উপর গজব, মুসলমানদের ভয় নেই। মুসলিম নামধারী মুনাফেক ও কাফিরদের ধরে ধরে শেষ করবে এই ভাইরাস। স্বপ্নে দেয়া ইন্টারভিউতে করোনা ভাইরাস নিজে এই কথা বলেছে। এরপরতো আর কথা থাকেনা। এখন সমস্যা হচ্ছে, ধরেন একজন জনৈক জনাব ফজলুর রহমান সাহেবের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সব লক্ষণ প্রকাশ পেল। তিনি কাশছেন, জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে, সাথে শ্বাস কষ্টও হচ্ছে। কিন্তু তিনিতো মরে গেলেও ডাক্তারের কাছে যাবেন না। ডাক্তার যদি বলে করোনা ভাইরাস আছে, তাহলেতো লোকে ধরে নিবে তিনি একজন মুনাফেক, নামধারী মুসলমান, আল্লাহর অভিশাপে অভিশপ্ত! কারন হুজুরের ফতোয়া! তিনি তখন এই তথ্য চেপে যাবেন, এবং এই ভয়ংকর ভাইরাসটি পরিবারের সব সদস্য, আত্মীয় বন্ধুবান্ধব প্রতিবেশী, নামাজের মুসল্লি, মসজিদের ঈমাম, মুয়াজ্জিন সবার মাঝে ছড়িয়ে বেড়াবেন। বুঝতে পারছেন এমন আজগুবি ধান্দাবাজি ভিত্তিহীন মিথ্যা গুজবের সমস্যা কতদূর পর্যন্ত টেনে নিতে পারে? ঠিক এই কারণেই আমাদের ধর্মে সবচেয়ে ঘৃণিত অপরাধ হিসেবে ধরা হয় মিথ্যা বলাকে, গুজব রটানোর শাস্তি আমাদের ধর্মে চরম, এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল দুইজনই এই অনুমান নির্ভর ও ভিত্তিহীন গুজব রটানোর অভ্যাসকে তীব্রভাবে তিরস্কার করেছেন। প্রিয় ভাইয়েরা ও বোনেরা, দয়া করে কোন মিথ্যা গুজবকে ভাইরাল করবেন না। সেটা যেই করুক। একজন মিথ্যাবাদী মিথ্যাবাদীই। যতই সেলিব্রেটি হোক না কেন।
চতুর্থ কথা, এক ডাক্তার কোন আক্কেলে কিসের উদ্দেশ্যে এক ভিডিও শেয়ার করলো বুঝলাম না যেখানে তিনি স্ট্যাটিস্টিক্যালি প্রমান করার চেষ্টা করেছেন এই ভাইরাস আসলে কিছুই না, কারন এতে মৃত্যুহার কম। এবং কেবল বয়ষ্কদের জন্য ভয়ংকর। এই ব্যাটাকে ধরে এখন জানতে ইচ্ছা করছে ইটালির ব্যাপারে ওনার বিশেষজ্ঞ মত কি। মানে সেলিব্রেটি হতে চায়, এটেনশন পেতে চায় ভাল কথা। তাই বলে এমন অদ্ভুতুড়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে কেন? এর কথা বিশ্বাস করে একপাল লোক গায়ে ফু দিয়ে বেড়াচ্ছে। আমার পোস্টে কিছুদিন আগেও এক ছাগল হাসাহাসি করেছিল। যখন বললাম শহর লকডাউন করা হবে, দোকানপাট বন্ধ হয়ে যাবে, তখন ঐ লোকটা হাসতে হাসতে বলেছিল "আপনি ভূতের গল্পের স্ক্রিপ্ট লিখলে ভাল করবেন।" গাধাটাকে এখন জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা করছে ইউরোপের অবস্থা কী? ঠিক যেটা বলেছিলাম সেটাই। আমাদের দুইজনের পার্থক্য হচ্ছে, সে ঐ বাঙালি কিউট ডাক্তারের ভিডিও দেখেই বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছে, এবং আমি WHO এবং এইরকম অথেন্টিক সোর্সের তথ্যের ভিত্তিতেই কথা বলেছি। প্রিয় ভাইয়েরা ও বোনেরা, আবারও বলছি, নিজের সোর্স অফ নলেজ অবশ্যই ভ্যারিফাই করবেন। "বাংলাদেশের গরমে করোনা ফরোনা ধরবে না" কথাটা বিশ্বাস করার আগে চেক করুন ফিলিপাইনে, অস্ট্রেলিয়ায় কেন ছড়ালো রোগটা। আল্লাহর ওয়াস্তে, জীবনে এই প্রথমবারের মতো হলেও একটু পরিশ্রম করুন। কিছু বিশ্বাস করার আগে তথ্য ভ্যারিফাই করুন। নিজের ও নিজের পরিবারের জীবনের জন্য এটি প্রয়োজন।
দেশে স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে, খুবই ভাল উদ্যোগ। এই মুহূর্তে বিমান চলাচলেও চরম নিষেধাজ্ঞা জারি প্রয়োজন। যেহেতু আমাদের এয়ারপোর্টের জ্বর পরীক্ষা করার যন্ত্র কাজ করেনা, তাই এছাড়া উপায় নেই। এবং ঐ হাজি ক্যাম্পের পরিবেশ একটু বসবাস যোগ্য করুন। প্রয়োজনে আরও কিছু ক্যাম্প খুলুন যেখানে সন্দেহজনক লোকজনকে রাখা যাবে। তাঁদের খাবার দিবেন না, মেঝেতে রাখবেন, তাঁরা থাকতে চাইবে কেন? এইটাওতো কমন সেন্সের ব্যাপার। নিউইয়র্কে বার, রেস্টুরেন্ট, স্কুল সব বন্ধ ঘোষণা করেছে। ধীরে ধীরে গোটা আমেরিকাতেও সেটাই হবে। আমাদের দেশেও এমনটা করতে হবে। এমন যেকোন সমাবেশ, যেখানে লোকের সমাগম হয়, কনসার্ট, রাজনৈতিক জনসভা, স্টেডিয়ামে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ইত্যাদি সব বাতিল। জুম্মা সহ যেকোন নামাজের জামাত বাতিল। যারা বাড়ি থেকে অফিস করতে পারবেন, তাঁদের বাড়িতে থাকতে বলুন। প্রয়োজনে রাস্তায় সেনাবাহিনী নামান। চীন সরকার যেভাবে কঠোরভাবে নিজেদের পাবলিককে নিয়ন্ত্রণ করেছে, সেইভাবে কঠোর হতে হবে। কেউ কথা শুনতে না চাইলে সোজা ডান্ডা, আর কোন কথা নাই। বৃহত্তর স্বার্থে দুই চারটা বেয়াদব নির্বোধকে পেটালে পাবলিক খুশিই হবে।
এখন আমাদের আমেরিকানদের জন্য একটা দুঃসংবাদটা দেই। আমাদের এখানে এই ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বাড়বে। কারন আমাদের আছেন কোটি কোটি ইল্লিগাল ইমিগ্র্যান্ট, যারা প্রয়োজনে মরে যাবে, তবু সরকারের দৃষ্টিতে আসতে চাইবে না। ওদের কেউই করোনা আক্রান্ত হলে চিকিৎসা নিতে যাবেনা। এবং যেহেতু সিংহভাগেরই দিন আনি দিন খাই অবস্থা, কাজ থেকেও ছুটি নিতে পারবে না। এরা রোগ ছড়াবেই। দ্বিতীয় কারন হচ্ছে, কোটি কোটি মানুষের হেলথ ইন্সুরেন্স নাই। এরাও এক্সপেন্সিভ চিকিৎসা সেবা নিতে ডাক্তারের কাছে যাবেনা। কার সামর্থ্য আছে সামান্য কয়েক মিনিটের পরামর্শের জন্য পাঁচশো ডলার পকেট থেকে খসাবার? টেস্ট ফেস্ট করতে দিলেতো হাজার হাজার ডলারের বিল ধরিয়ে দিবে। হেলথ ইন্সুরেন্স থাকার পরেও ডিডাকটিবল দেয়ার সামর্থ্য অনেকেরই থাকেনা। এরচেয়ে সাধারণ সর্দি কাশির ওষুধ খেয়ে কাজে যাওয়া সহজ। একদিন কাজে না যাওয়া মানে একদিনের আয় বন্ধ। ফলে রোগ ছড়াবে। এছাড়া আমাদের দেশের মতন এদেশেও প্রচুর ঘাড়ত্যাড়া ইতর আছে সেটাতো সবাই জানেনই। এদের ঘাড় একটু বেশিই ত্যাড়া। বাংলাদেশ পুলিশের ডিম থ্যারাপি দিলেও এরা সোজা হবেনা। কাজেই, যেহেতু সরকার বলেছে সাবধান থাকতে, তাই এরা থাকবে না। ইচ্ছা করেই সেটাই করবে যেটা নিষেধ করা হয়েছে। ফলে রোগ ছড়াবে।
কাজেই, আগামী কিছুদিন আমাদের খুব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এই সময়টা নিজে সাবধান থাকতে হবে। বাড়ির অন্যান্যদেরও সাবধান রাখতে হবে। কিন্তু প্যানিক করার কিছু নেই। ঐ যে বললাম, সবাই যদি সাবধান থাকি, নিয়ম মানি, তাহলে নতুনভাবে কেউ আক্রান্ত হবেন না। যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের সুস্থ হওয়ার মধ্য দিয়েই এই বিপদ কেটে যাবে ইন শা আল্লাহ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:১৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
প্রয়োজনে রাস্তায় সেনাবাহিনী নামান। চীন সরকার যেভাবে কঠোরভাবে নিজেদের পাবলিককে নিয়ন্ত্রণ করেছে, সেইভাবে কঠোর হতে হবে। কেউ কথা শুনতে না চাইলে সোজা ডান্ডা, আর কোন কথা নাই। বৃহত্তর স্বার্থে দুই চারটা বেয়াদব নির্বোধকে পেটালে পাবলিক খুশিই হবে।

মনের কথা বলেছেন। পুরো পোস্টে ++

২| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:২৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই মুহূর্তে প্রবাসীরা অত্যন্ত জরুরী কাজকর্ম ছাড়া দেশে না যাওয়াই উত্তম। প্রবাসীরা নবাবজাদা কারণ তারা বিদেশ হতে দেশে টাকা পাঠায়। মন্ত্রীর মত লোকেরা দেশ হতে বিদেশে টাকা পাচার করে। জনগণের সম্পদ ও ভোট চুরি করে বড় বড় কথা বলে। যে ইটালি প্রবাসী পুরা মাতৃভূমিকে গালি দিয়েছে সে চোখে কালো চশমা পরা পাপিয়া ,সাদিয়া ,ডি সি ,জিকে শামিম পর্যায়র লোক। দেশের আয়ের দুইটা বড় খাত হলো প্রবাসীদের আয় আর পোশাক খাত। আশকোনায় যেভাবে প্রবাসীদের গণ বিছানা করে ক্যাম্পে রাখে এমন করে ,কোন নেতার ঘরের চাকরও থাকে না । এখন প্রবাসীদের উচিত দেশের সম্পদ পাচারকারীদের বিদেশে কুত্তার মত আচারন করা। আর টাকা পাঠানো বন্ধ করা।

৩| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৪:৪৩

এম এ হানিফ বলেছেন:



হোম কোয়ারেন্টিন আমাদের দেশে সুফল বয়ে আনার চেয়ে ভাইরাসটাকে পরিবার, প্রতিবেশি আত্মীয় স্বজনদের কাছে খুব দ্রুত ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে। আর সেখান থেকে ধীরে ধীরে সারা দেশে। কারণ হোম কোয়ারেন্টিন বলে যাদের কে রাখা হয়েছে তারা যে কি কোয়ারেন্টিনে আছে তা ইতিমধ্যেই বোঝা হয়ে গেছে। আমাদের এখন প্রধান সমস্যা দুটো বলে মনে করি এক করোনা ভাইরাস দুই গুজব। কখন কি ভাইরাল হচ্ছে বোঝা দায়। আর এসব বিশ্বাসও করছে মানুষ।

তাই সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে। উন্নত বিশ্ব যেখানে নাকানি চুবানি খাচ্ছে সেখানে আমরা যে তলিয়ে যাব না এমন ভাবাটা অমুলক নয়।

৪| ১৬ ই মার্চ, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: সারা পৃথিবীতে আজ খাদ্যাভাবে মৃতের সংখ্যা ১৭,৮০৬ জন কিন্তু এযাবৎ করোনায় মৃতের সংখ্যা মাত্র ৬৫২৪
সুত্রঃ World meter
ভয় পাবেন না...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.