নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের সরকারেরই কথার যেখানে দাম নেই!

১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:১৬

কিছুদিন আগে একটা খবর বেশ ভাইরাল হয়েছিল, এবং সেটা হচ্ছে, "বিশ্ব করোনা ভাইরাস কনফারেন্স করোনা ভাইরাসের কারণেই ক্যানসেল হয়েছে।"
যেহেতু আমরা বাঙালিরা আমোদপ্রিয় জাতি, এইটা নিয়ে খুব ট্রলিং হয়েছিল। সবার ফেসবুকে নিউজফিডে এই সংবাদ পৌঁছেছিল আমি নিশ্চিত। কিন্তু মূল বিষয়টাই সবাই মিস করে গেছি। সেটি হচ্ছে, "কনফারেন্স ক্যানসেলড" হয়েছিল, এবং সেটা এই ভাইরাসের কারণেই। মানে যত জরুরি কনফারেন্সই হোক না কেন, এই ভাইরাসকে হালকাভাবে নেয়ার কিছু নেই। এই ভাইরাস জনসমাগমেই দ্রুত ছড়ায়, তাই নির্বোধের মতন আচরণের কোন মানে হয়না।
আমাদের আমেরিকায় (স্টেটের নাম বলতে চাইছি না) একটি করোনা কেসকে ব্যাকট্র্যাক করে দেখা গেছে একটি নির্দিষ্ট বিজনেস মিটিংয়ে সবাই মিলিত হয়েছিলেন। মানে, সেই মিটিংয়ে কেউ একজন অসুস্থ ছিলেন, তাঁর থেকেই বাকিদের মধ্যে ছড়িয়েছে।
কালকে এক বড় ভাইয়ের স্ট্যাটাসে পড়লাম, সাউথ কোরিয়ায় কেবল একজন মহিলার খামখেয়ালির ফলে, যিনি নিষেধাজ্ঞা সত্বেও দুইবার চার্চে এবং একবার বাফেট রেস্টুরেন্টে খেয়ে পুরো শহরকে মহাবিপদে ফেলে দিয়েছেন। patient ৩১ south Korea লিখে গুগল সার্চ দিলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
উল্লেখ্য, উপরের দুই কেসের কেউই বুঝতে পারেনি তাঁরা ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত। চাইনিজ বন্ধুর কাছ থেকে জানলাম, এই রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে আক্রান্ত ব্যক্তি প্রথম সাতদিন টেরই পাবেনা তাঁর শরীরে এই ঘাতক বসত গেড়েছে। সপ্তম দিনে জ্বর আসে, কাশি আসে, শ্বাসকষ্ট হয় এর পর থেকে। কিন্তু শরীরে প্রবেশের একদম প্রথম দিন থেকেই এই ভাইরাস আশেপাশে ছড়িয়ে বেড়ায়।
এই কারণেই বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞরা বারবার মিনতি করছেন, চৌদ্দদিন নিজেকে আলাদা করে রাখতে। যেভাবেই হোক। কারন অন্যান্যদের কথা বাদই দিলাম, নিজের পরিবারেরই অন্যান্য সদস্যদের প্রাণ বাঁচাতে হবে। বিশেষ করে বয়স্কদের। বিশেষ করে যাদের ডায়েবেটিস আছে। স্পেনে ২১ বছরের এক যুবক মারা গেছে। লিউক্যামিয়া হয়েছিল বেচারার, আর্লি স্টেজ বলে বুঝতে পারেনি। আর্লি স্টেজের লিউক্যামিয়া আরোগ্য যোগ্য। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হতেই ওটা ভয়াবহ শক্তিশালী হয়ে তাঁকে মেরেই ফেলল। এই ভাইরাসের এইটাই বৈশিষ্ট্য, অন্যান্য রোগকেও শক্তিশালী করে ফেলে। ডায়াবেটিক রোগী মারা যাচ্ছেন, যাদের ইমিউন সিস্টেম দুর্বল, তাঁরা মারা যাচ্ছেন এই কারণেই।
আরেকটা বিষয়, আমরা খুব নিশ্চিন্তে বলে দিচ্ছি, "ড্রপলেট থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তি কাশলে, থুথু ফেললে সেই জীবাণু বেরিয়ে এসে সারফেসে পড়ে, এবং তারপরে সেই সারফেস কেউ স্পর্শ করলে তবেই তাঁর হয়।"
বাংলাদেশের এক ডাক্তার মায়ের কবরের মাটির কসম খেয়ে নেমেছেন, তিনি একের পর এক ভিডিও বানিয়েই যাচ্ছেন যে এই রোগ বাংলাদেশে ছড়াবে না। কারন বাংলাদেশ গরমের দেশ।
বাংলাদেশের এক আলেম একের পর এক বক্তৃতায় বলেই যাচ্ছেন, মুসলমানদের কোনই ভয় নেই, এই ভাইরাসে সব কাফের কুফ্ফার এবং মুনাফেক মরবে, মুসলিমদের ঈমানের জোরের কারনে এই ভাইরাস তাঁদের শরীরে টিকতে পারবে না।
কথা হচ্ছে, আমেরিকার ঐ বিজনেস মিটিংয়ে কেউ যে হাঁচাহাঁচি কাশাকাশি করে নাই, এইটা মোটামুটি ৯৯% নিশ্চিতভাবে বলতে পারি। আমাদের এখানে কেউ অসুস্থ বোধ করলে অফিসে যাই না। অফিসই নিরুৎসাহিত করে যেতে। কারন, একজন থেকে অন্যজনে ছোঁয়াচে রোগ ছড়াতে পারে। আস্ত অফিস অসুস্থ হয়ে যাওয়া কোন কাজের কথা না। আমরা শর্টটার্ম লাভের আগে লংটার্ম ক্ষতির কথা চিন্তা করি। তারমানে হয়তো হ্যান্ডশেকের কারনে ছড়িয়েছে, কিংবা, যেটি আরও ভয়ংকর, তা হচ্ছে, নিশ্বাসের সাথে বেরিয়ে এসে ছড়িয়েছে। কারণ, কোরিয়ান ঐ মহিলা গির্জা বা বাফেট রেস্টুরেন্টেও নিশ্চই কাশেননি, তবু ছড়িয়েছে।
এই ব্যাপারটিই বাইরের দেশের লোকজন বুঝতে পারছে। যে কারনে সান ফ্রান্সিসকোর মতন ব্যস্ততম নগরীও লকড ডাউন হয়ে গেছে।
"বিশ্বের রাজধানী"খ্যাত নিউইয়র্ক শহর অচল হয়ে গেছে। যে টাইমস স্কয়ারে মানুষের ধাক্কায় টেকা যেত না, সেই অঞ্চল পুরো ফাঁকা।
ডালাসের মতন ব্যবসায়ী নগরীতে সব ধরনের রেস্টুরেন্ট, জিম, সভাসমিতি, স্কুল, কলেজ ইউনিভার্সিটি, বড় বড় অফিস, নাইটক্লাব ইত্যাদি সব বন্ধ। মহামারী রোধে এইটাই সাধারণ মানুষের কাজ হওয়া উচিৎ।
আমাদের দেশটা অবিশ্বাস্যভাবে ঠিক উল্টাটা করছে।
লোকজন প্রথমে দাবি তুললো করোনা ভাইরাস রোধে স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ দিতে হবে। কেউ কেউ কোথাও কোথাও আন্দোলনও শুরু করে দিল। সরকার ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করলো। এবং অবিশ্বাস্যভাবে, একদল দোপেয়ে জীব ("মানুষ" বলার ইচ্ছা এবং কনফিডেন্স চলে গেছে) বিষয়টাকে ভ্যাকেশন হিসেবে নিল। ওরা কক্সবাজার, পতেঙ্গা, রাঙামাটি, বান্দরবান ভ্রমণে বেরিয়ে গেল। কেউ কেউ আবার ফাজিলের মতন ছবি তুলে লিখছে, "আল্লাহ ভরসায় চলিলাম। দোয়া করবেন যেন সুস্থ হয়ে ফেরত আসতে পারি!"
আমাদের দেশফেরত প্রবাসীগুলিও একই ইতরামি করলো। পুরো ইউরোপ লক ডাউন হয়ে গেছে, তাই এই হঠাৎ পাওয়া "ভ্যাকেশন" উদযাপন করতে তারা দলে দলে দেশে ফেরত আসছেন। আরেকটা কারন হচ্ছে, ভয়। যেহেতু পুরো শহরে আতংক ছড়িয়ে গেছে, কাজেই আক্রান্ত হবার আগে, পালাও! সমস্যা হচ্ছে, কেউই জানেনা তারা ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। এই কারণেই এর ইউনিভার্সাল নিয়ম হচ্ছে, চৌদ্দটা দিন নিজেকে বন্দি করে রাখা। কারোর সংস্পর্শে না আসা। কিন্তু সেটা পালন করলেইতো। প্রবাসী এক হারামজাদা কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ পাবার পরেও সাজেক থেকে বেড়িয়ে এসে চবি ক্যাম্পাসে গিয়ে আড্ডায় মাতে, বা আরেক ছাগল বৌ নিয়ে মোটর সাইকেলে করে বাজারে ঘুরে বেড়ায়, বা আরও হাজারও লোকে দাওয়াত খেয়ে বেড়াচ্ছে, সামাজিকতা রক্ষা করে চলেছে - এদের কাউকেই কী আইনের আওতায় এনে জেল জরিমানা করা যাবে না? সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কোটি মানুষের জীবন ঝুঁকিতে ফেলার অধিকার তাদের কে দিয়েছে? সরকারের কথা অমান্য করার সাহস তাদের কোত্থেকে আসে?
অবশ্য সরকার যেখানে নিজের কথাইতো রাখলো না, তার আবার কিসের ক্ষমতা?

বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন উপলক্ষে কয়েক লক্ষ মানুষের জনসমাগমের ব্যবস্থা করে একেকটা অনুষ্ঠান করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছিলেন প্রয়োজনে অনুষ্ঠান পরে করা হবে, আগে ভাইরাস প্রতিরোধ, তারপরেও......অবিশ্বাস্য! আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কথার দাম তাহলে কোথায় থাকলো?
ঢাকার মেয়র খুবই ভাল একটি উদ্যোগ নিয়েছেন। মানুষের হাত ধোয়ার জন্য বেসিনের ব্যবস্থা করেছেন। যদিও আমাদের দেশের নিয়মানুযায়ী সবার আগে সাবান চুরি হবে, কোথাও কোথাও আস্ত বেসিন তুলে নিয়ে চলে যাবে পাবলিক, যেখানে বেসিন থাকবে, সেখানে কল থাকবে না, কল থাকলে সেই কলে পানি আসবে না। তারপরেও ব্যবস্থাতো করেছেন। এবং সেটি করতে গিয়ে বেয়াক্কেলের মতন জনসভা করে প্রচুর লোকজন এবং সাংবাদিক জড়ো করে একটা লোক এবং মহিলাকে হাত ধোয়া ট্রেনিং দিয়েছেন। মানে, আইসোলেশন, কোয়ারেন্টাইনের একেবারে মাম্মি ড্যাডি মেরে দিয়েছেন। ঠিক যে কারনে করোনা ভাইরাস কনফারেন্স করোনা ভাইরাসের কারনে ক্যানসেল হওয়ার ঘটনায় আমাদের বাঙালিরা হাসাহাসি করেছিল, একইভাবে এই বেয়াক্কেলমি কাণ্ডে বাইরের লোকজন হাসাহাসি করছে।
আমাদের দেশের ডাক্তারদের এখনও প্রয়োজনীয় উপকরণ দেয়া হয়নি। সামান্য গ্লাভস এবং মাস্ক হাতে তাঁদের ঠেলে দেয়া হচ্ছে করোনা মোকাবিলা করতে। হসপিটালে কোন ব্যবস্থা নাই, সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে "ঘরোয়া-চিকিৎসার" জন্য ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সহজ কথায় "আল্লাহ ভরসা!" মন্ত্রী নিজে বলেছেন আমাদের দেশে এরচেয়ে বেশি ব্যবস্থা করা সম্ভব না। এদিকে এই অনুষ্ঠানের পেছনে কোটি কোটি সরকারি টাকা খরচ করা হয়েছে। কালকে যদি করোনা মহামারী আকার ধারণ করে, এবং ইতালির মতন আমাদের দেশেও ডাক্তাররা বৃদ্ধদের মরার জন্য ফেলে দেন, এবং আমাদের একজনও মুরুব্বি আত্মীয় মারা যান, তখন এই আতশবাজির দৃশ্যগুলো রোমন্থন করে লোকজনের কেমন বোধ হবে?
জাতির জনকের জন্মদিন পালন করতে গোটা দেশকে শ্মশান বানানোর ফন্দিটা কার মাথা থেকে বেরিয়েছে?
আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন এটি মিডিয়ার সৃষ্টি, এটি সর্দি-জ্বরের মতোই একটি রোগ। এর ডেথ রেট একদমই কম। মিডিয়া শুধু শুধু বাড়াবাড়ি করছে।

বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম।
১৭ মার্চ চলে গেছে। এখন ধীরে ধীরে প্রকাশ পেতে শুরু করবে কোথায় কতজন রোগাক্রান্ত হয়েছেন। ধীরে ধীরে জানতে পারবেন কোথায় কতজন মারা গেছেন। একেকটা লাশ কবর হবে, এবং আমরা তখন মনে করবো আড়াইটা মাস সময় পাবার পরেও আমাদের সরকার প্রস্তুতি নেয়নি, বরং বলে গেছে দেশ প্রস্তুত আছে। আমাদের লোকজন কক্সবাজার, পতেঙ্গায় গিয়ে সমুদ্র মন্থনে মেতেছিল। আমাদের সরকার আতশবাজিতে পয়সা পুড়িয়েছে। হায় আমার বাংলাদেশ! তোমার জন্য শুভকামনা!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৩৫

একজন অশিক্ষিত মানুষ বলেছেন: আল্লাহু আমাদের রক্ষা করবে ।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১২:৩৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আল্লাহ তুমি দুনিয়ার সব মানুষকে হেফাজত করো।

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: মার্কিন সরকার করোনা ভাইরাসের এই দুর্যোগকালে নাগরিকদের চেক পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।

সরকার লোকজনের আর্থিক ক্ষতি হতে দেবে না। মাথাপিছু এই চেকের পরিমাণ হতে পারে ১০০০--৪৫০০ ডলার।

আগামী দু সপ্তাহের মধ্যেই নাগরিকদের ঠিকানায় চেক পৌঁছে যাবে।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৩

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: জানিনাতো। কোথায় পেয়েছেন খবরটা? পেলেতো ভালই।

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:০৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: নিরাবেগী লেখাটা ভালো লাগলো। এম্নিতেই আপনার লেখা শক্তিশালী সবসময়।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: Welcome to real Bangladesh!!!!
এখানে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি, যত শিক্ষিত হয়, যত সরকারী পদে উপরের দিকে উঠতে থাকে, ততই কোমর থেকে হাঁটুর দিকে নামতে থাকে। এবং শেষমেষ বাম পায়ের কনিষ্ঠ আংগুলে যেয়ে জমা হয়। তবে এরা শুধুমাত্র বিপদে পড়লেই আল্লাহর কাছে পানাহ চায়।
লেখা ভালো হয়েছে।

১৮ ই মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ!
ঠিকই বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.