নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মঞ্জুর চৌধুরী

আমি ঝন্ঝা, আমি ঘূর্ণি, আমি পথ-সমূখে যাহা পাই যাই চূর্ণি’। আমি নৃত্য-পাগল ছন্দ, আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ। আমি হাম্বার, আমি ছায়ানট, আমি হিন্দোল, আমি চল-চঞ্চল, ঠমকি’ ছমকি’ পথে যেতে যেতে চকিতে চমকি’ ফিং দিয়া দিই তিন দোল; আমি চপলা-চপল হিন্দোল। আমি তাই করি ভাই যখন চাহে এ মন যা, করি শত্রুর সাথে গলাগলি, ধরি মৃত্যুর সাথে পান্জা, আমি উন্মাদ, আমি ঝন্ঝা! আমি মহামারী আমি ভীতি এ ধরিত্রীর; আমি শাসন-ত্রাসন, সংহার আমি উষ্ন চির-অধীর! বল বীর - আমি চির উন্নত শির!

মঞ্জুর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এই পৃথিবীর শাস্তি এই মুনাফেকদের জন্য অনেক হাল্কা হয়ে যায়।

২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১:৪৬

হজ্ব হচ্ছে প্রতিটা মুসলিমের স্বপ্নের ইবাদত। সামর্থ্যবান মুসলিমদের জীবনে একটিবার হলেও আল্লাহর ঘর জিয়ারত করতেই হয়। সামর্থ্য যাদের নেই, তাঁদের এই ইবাদত থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তারপরেও মুসলিম মাত্রই হজ্ব করতে চান। যে কাবার দিকে মুখ ফিরিয়ে পুরো জীবন নামাজ আদায় করে, সেই কাবা একটিবার হলেও দর্শন করতে কে না চায়?
এছাড়া হজ্বে গেলে "দুনিয়ার জান্নাত" আমাদের প্রিয় নবীজির রওজা মোবারক জিয়ারত করার সুযোগ থাকে। এ সুযোগ হাতছাড়া করবে কোন পাগলে?
প্রসঙ্গ ওঠায় বলে নেই, "হজ্বে" গেলে আপনার মদিনায় যাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। হজ্বের রীতিনীতি পালন করতে পাঁচ থেকে ছয়দিন প্রয়োজন, আপনার হাতে যদি এর বেশি সময় না থাকে, তবে আপনি ইচ্ছা করলে হজ্ব শেষে ইচ্ছা করলে মক্কা থেকেই বাড়ি ফিরে আসতে পারেন। "মদিনায় না গেলে আপনার হজ্ব বাতিল" - এমন কোন শর্ত নেই।
তাছাড়া মর্যাদার দিক দিয়ে মক্কার ধারে কাছেও কিছু নেই। হারাম শরীফে এক রাকাত নামাজ আদায়ের সওয়াব হচ্ছে এক লক্ষ রাকাতের সমান। সেদিক দিয়ে মসজিদে নববীতে এক হাজার রাকাতের সমান। পার্থক্য এতটাই বিশাল। তাই কেউ যদি এই কারণেও মক্কায় থেকে কম সময়ে বেশি বেশি ইবাদতের ফায়দা লুটতে চান, অবশ্যই তাঁকে দোষ দেয়া যায় না।
হ্যা, আমরা এতদূর গিয়ে প্রিয় নবীজির (সঃ) পবিত্র মসজিদে নামাজ আদায় করার লোভ সামলাবো কিভাবে? তাছাড়া যার মাধ্যমে আমরা পবিত্র কুরআন পেলাম, যার দাওয়াতে ইসলাম গ্রহণ করলাম, এবং যাকে না দেখেও এত শতাব্দী পরেও জান, মাল, পরিবারের উর্দ্ধে ভালবেসে গেলাম - তাঁর কবরে গিয়ে সালাম দিতে না পারলে জীবনটাই বৃথা মনে হয়। এই কারণেই আমরা হজ্বের প্যাকেজে অবশ্যই মদিনা সফর রাখি।
কথাটা বলার প্রয়োজন হতো না, কিন্তু একটা ভিডিওতে দেখলাম বাংলাদেশের এক হুজুরকে একজন প্রশ্ন করেছেন হজ্বে মদিনা জিয়ারত বাধ্যতামূলক কিনা, হুজুর সত্যি কথা বলেছেন, এবং এজন্য কমেন্টে বাংলার ফেসবুকীয় আলেমগণ কাজ্জাব, মুনাফেক ইত্যাদি গালাগালিতে ভরে দিচ্ছে। কতটা মূর্খ হলে এরা এই সামান্য ধারণাটাও রাখে না যে আমাদের নবীজি (সঃ) স্বয়ং মদিনা থেকে হজ্বে গিয়েছিলেন! এবং হজ্বের রীতিনীতির সবকিছুই মক্কায় করতে হবে, কোনটাতেই মদিনায় অবস্থানের প্রয়োজনীয়তা নেই।

তো যা বলতে লিখতে শুরু করেছি, তা হচ্ছে, আমাদের দেশে হাজারে হাজারে মানুষ হজ্বে যান। সমস্ত জীবনের গুনাহ মাফের পাশাপাশি রবের কাছে পুরস্কার দাবি করতে। কিন্তু সমস্যা করে আমাদের হজ্ব এজেন্সি নামের বাটপারগুলি। সবাই না, তবে ওদের সংখ্যা কমও না। এই বছরও পত্রিকায় দেখলাম প্রথম দিনেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এমন হজ্ব এজেন্সির সংখ্যা একাধিক। যে হোটেলে রাখার কথা, সেই হোটেলে রাখেনি, বুকিং দেয়া হয়েছে সস্তা, ফালতু, দূরের হোটেলে, তাও সেখানে রিসিভ করার লোকজন নেই, লাগেজ চলে গেছে ভুল ঠিকানায় ইত্যাদি নানান অনিয়ম ও জটিলতাতো আছেই। এই অসভ্যগুলির জন্য সৌদিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনের লোকজনকে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। এবং ঘটনা কেবল এক দুই বছরেরই না, বরং প্রতি বছরই ঘটিয়ে থাকে। সরকার এদের লাইসেন্স কেন বাতিল করে না? কেন এদের জেলে ভরে না? হজ্ব নিয়ে ব্যবসা? হজ্বের নামে ডাকাতি? অনেক হজ্ব এজেন্সি আছে টাকা পয়সা নিবে, তারপরে চম্পট। আর এরা হচ্ছে আপনাকে দেখাবে ভাল হোটেল, ভাল ব্যবস্থা, টাকাও নিবে সেই অনুযায়ী, তারপরে যেখানে রাইত, সেখানে কাইত টাইপ হোটেলে ফেলে দিবে।

আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি গিয়েছিলেন এমনই এক বাটপারের মাধ্যমে। তাঁদের পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে তাঁদের ফেলে ওরা চলে গিয়েছিল, তাঁদের পাসপোর্ট তাঁদের হাতে ছিল না, হোটেল থেকে জানিয়ে দিয়েছিল তোমাদের বুকিং শেষ, তাঁরা যে দেশে ফিরে আসবেন - এরও নিশ্চয়তা ছিল না। তাঁরা ইবাদতে মনোযোগ দিবেন কিভাবে? এইসব টেনশনেই ঘুম হারাম!
আমার ভায়রা ভাই কর্নেল ছিলেন বলেই হুমকি ধামকি দিয়ে এই ফাজিলটাকে লাইনে এনে তাঁদেরকে নিরাপদে সুস্থভাবে দেশে আনতে পেরেছিলেন। যাদের ক্ষমতা নাই, তাঁদের কথা চিন্তা করুন! প্রতিবছর বহুলোক এই ভোগান্তির শিকার হন। এই অসভ্য, অশিক্ষিত, ধর্ম ব্যবসায়ী লোকটা আবার এলাকার মসজিদ কমিটির চেয়ারম্যান। তা চেয়ারম্যান হয়ে ও কি করেছে জানেন? "ঈমামের মেয়েরা কেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে?" - এই অভিযোগে ঈমামের চাকরি খেয়েছে। নিজে টিপসই দেয়া পাবলিক, সে কিভাবে মেনে নিবে গরিব ঈমামের মেয়েরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে ফেলছে! তাই নিজের ক্ষমতা দেখালো।
তা আল্লাহ তো উপরে বসে বসে ঘুমান না। তিনি সবই দেখেন, জানেন। ঈমামের কোনই ক্ষতি হয়নি। তিনি আগের চেয়ে এখন অনেক ভাল আছে। আর এই মুনাফেকের মতন আরও হাজারো মুনাফেকদের জন্য তিনি কি ব্যবস্থা রাখেন, সেটা দেখতে হাশরের ময়দানে চোখ রাখতে হবে। এই পৃথিবীর শাস্তি এদের জন্য অনেক হাল্কা হয়ে যায়।

যারা যারা হজ্বে যাচ্ছেন, নিজের পাশাপাশি আমাদের সবার জন্য দোয়া করবেন। দোয়া করবেন যেন আমরা আল্লাহর নির্দেশিত পথে থাকতে পারি। আমরা যেন আমাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে পারি। বিশ্ব শান্তি, দুর্নীতি, যুদ্ধ, হাঙ্গামা ইত্যাদি কোন কিছু নিয়ে আলাদা দোয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা লাইনে চলে আসলে, সব আপনাতেই শুধরে যাবে। সবই ইন্টারকানেক্টেড।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ২:৪৬

নাহল তরকারি বলেছেন: এমন লোকদের সমাজচ্যুদ করা উচিৎ।

২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:১৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ফাঁসী দেয়া উচিৎ। অথবা হাত কেটে ফেলা।

২| ২৫ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:৩৭

রিদওয়ান খান বলেছেন: আমাদেরকে হেদায়েতের পথে চলার তৌতৌফিক দিক।

২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:১৪

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: আমিন!

৩| ২৫ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: এই সমস্যা বাংলাদেশ থেকে যারা বিভিন্ন এজন্সি ও সরকারি আয়জনে হজ্ব করতে যান তারা অহরহ মুখমুখি করছেন। এই সিব এজেন্সি শয়তানের থেকেও খারাপ। আসলে পাথর শয়তানের স্তম্ভে না মেরে এদের মারা উচিত।

২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:১৫

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৪| ২৫ শে মে, ২০২৩ সকাল ৭:৫৫

আমি সাজিদ বলেছেন: আমার আত্নীয়রাও কয়েক মাস আগে ওমরাহ করতে গিয়ে বিপদে পড়েছিল। বাংলাদেশ থেকে এজেন্সি বলেছে " ওমরাহ করতে অনেক কষ্ট, খাবারের কষ্ট, থাকার কষ্ট, এইটা মেনে নিতে হবে, মেনে নিয়েই অভিযোগ না করে ওমরাহ করতে হবে"।

ওরা যাওয়ার পর থাকা, খাওয়ার বেশ কষ্ট পেয়েছে। এজেন্সি ভালো ও কাছের হোটেলে রাখে নাই। সিনিয়রদের কেয়ার করে নাই।

২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:১৬

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: অথচ খাওয়া দাওয়ার কষ্ট হবার কথা না। টাকা পয়সা ঠিকই নিচ্ছে, কিন্তু সার্ভিস দিচ্ছে না।

৫| ২৫ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:১২

কামাল১৮ বলেছেন: হজ্বের অনেক আনুষ্ঠিকতা পৌত্তলিক সহ অন্যান্য ধর্ম থেকে নেয়া।

২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:১৭

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: হাহাহাহাহা। হোহোহোহোহো। হিহিহিহিহি। আইছেন আমার মহা-পন্ডিত! তবে মূর্খের সমস্যা হচ্ছে, সে যে মূর্খ সেটা প্রমান করার জন্য সে আপ্রাণ চেষ্টা করে। যা তা লিখে তা প্রমান করেই ছাড়বে।

৬| ২৫ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:২৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ এদের কিছুদিন ছাড়া দেন ছেড়ে দেন না। এসব করে কোনো লাভ নাই তবে মাঝখান দিয়ে ভুক্তভোগিরা কষ্ট পায়

২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:১৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: ঠিক।

৭| ২৫ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: হজ্ব মূলত এখন ব্যবসায় পরিনত হয়েছে।

২৫ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:১৮

মঞ্জুর চৌধুরী বলেছেন: দুঃখজনক হলেও সত্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.