নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

solitude

মেরিনার

প্রকৃতির মাঝে নির্জনতায় একাকী থাকতে পছন্দ করি!

মেরিনার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বলুন তো এটা কোন দেশ - শেষ অধ্যায়(২)

১৭ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫২

[এর আগের পর্বটা রয়েছে এখানে:view this link]

লেখাটা যখন শুরু করি, তখন, রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যে কথা বলবো তা ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি। তবু, কথায় কথায় অনেক কথা বলা হয়ে গেলো! চলুন, আবার আরবদেশের প্রসঙ্গে ফিরে যাই। আরবদেশ সম্বন্ধে আমি তেমন খারাপ কিছুই বললাম না। প্রশ্ন থেকে যায়: আরবদেশ থেকে তাহলে ইথারে এত Bad News ভেসে/বয়ে আসে কেন? “যাহা রটে, তাহা কিছুটা বটে” সেটাতো রয়েছেই – আর কোথাও কি কোন information gap থেকে যায় তাহলে? এই ব্যাপারে, নিজে এই ব্লগের ব্লগার নন - এমন একজন মুসলিমাহ্ আগেই তার অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন নীচে লিংক দেয়া দু’টি পর্বে:
view this link
view this link

আমি Bad News-এর কারণ হিসাবে কিছু পয়েন্ট উল্লেখ করতে চাই:

১) প্রচার প্রচারণায় মুসলিমরা সব সময় খারাপ হবারই কথা – প্রচার, প্রপাগান্ডা, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি সঙ্গত কারণেই ইসলামের সাথে ঠিক যায় না! মরুর প্রাচীর পেরিয়ে তাই ভালো খবরগুলো হয়তো তেমন একটা এপাশে আসে না। এছাড়া আমরা সে দেশের রাষ্ট্রযন্ত্র আর জনসাধারণকে অনেক সময়ই একাকার করে ফেলি। আমাদের বোঝা উচিত যে, আল্লাহকে চূড়ান্ত বিধানদাতা মনে করা সত্ত্বেও, সৌদী আরব তথাপি একটা Nation State। রাষ্ট্রযন্ত্র সৌদী উলামার (অর্থাৎ আলেমদের) মতকে/কথাকে যথেষ্ট মূল্য দিলেও, দেশটার সবকিছু উলামার ইচ্ছামত চলে না। সৌদী রাজ পরিবার বলতে সুষম কোন জনসমষ্টি বোঝায় না। রাজপরিবারের সদস্যদের ভিতর তাহজুদে অশ্রুবিসর্জনকারী পরহেজগার যেমন পাওয়া যাবে, তেমনি মোনাকোর মন্টি কর্লোতে বারবণিতার বাহু সংলগ্ন হয়ে ঘুমানো “রাজপুত্র”ও পাওয়া যাবে। তবু, এখনও প্রতিদিন কোটি কোটি রিয়ালের ব্যবসায় করা Bin Dawood বা Hyper Panda-র মত মেগা-শপগুলো ব্যবসাকালীন সময়ে প্রতি ওয়াক্ত সালাতের জন্য বিরতী নেয়/দেয়; এখনও জুয়েলারি দোকান খোলা ফেলে রেখে মানুষ সালাতে যায় নির্দ্বিধায়! মসজিদ মুসলিমদের দৈনন্দিন জীবনের কেন্দ্রবিন্দু - কথাটা এখনো সৌদী জনপদে ভুলে থাকা যায় না। গত শীতে বেড়াতে গিয়ে আমরা Jizan থেকে, লোহিত সাগরে অবস্থিত পর্যটকদের প্রিয় Farasan Island-এ গিয়েছিলাম। একরাত থেকে পরদিন সকালে যখন ফেরীতে উঠতে যাবো, এমন সময় জানলাম যে ওয়েটিং লিস্টে থাকা আমাদের গাড়ীটার শেষ পর্যন্ত ঐ ফেরীতে জায়াগা হয়নি। আবার টার্মিনালে ফিরে এসে দুপুরের ফেরীতে গাড়ীর জায়গা করে নেবার জন্য অপেক্ষা করতে হলো। আমাদের মত “ধরা খাওয়া” আরো কিছু যাত্রী ছিলেন। এছাড়া সকাল গড়িয়ে যতই দুপুরের কাছাকাছি যাচ্ছিল, ততই টার্মিনালের ওয়েটিং লাউঞ্জে ভিড় বাড়ছিল। এক সময় যোহরের সময় হলো। আমার ধারণা ৭/৮ বছরের উপরে যাদের বয়স, তাদের শতভাগই সালাত আদায় করলেন সেখানে। ওখানে একটা “মুসোল্লা” বা নামাজের স্থান ছিল। একবারে সকলের জায়গা হয় না বলে, একের পর এক জামাত হতে লাগলো।
সৌদী আরবে আরো যে কয়টি ব্যাপার দেখে/বুঝে অভিভূত হয়েছি তার একটি হচ্ছে মেয়েদের privilege । পশ্চিমা জগতের অনেকেই যেখানে সৌদী মেয়েদের “বন্দী-দশা” থেকে মুক্তি দেবার জন্য উদগ্রীব, সেখানে সকল পাবলিক SPACE-এ মেয়েদের অগ্রাধিকার ঈর্ষনীয় পর্যায়ের – বিশেষত উঠতি বয়সী সৌদী ছেলেদের নিজেদের কখনো যদি দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক মনে হয়, তাতে অবাক হবার কিছু নেই। একজন কালো বোরকা পরা নেকাবওয়ালি (কালো বোরকা ও নেকাব বাইরে বেরুবার জন্য সৌদী মেয়েদের জাতীয় পোষাক) মেয়েকে পাশে বসিয়ে, আপনি হাইওয়ে ধরে গোটা সৌদী আরব নির্বিঘ্নে গাড়ী চালিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন – প্রতিটি হাইওয়োতো উল্লেখযোগ্য সংখ্যক চেকপোস্ট থাকলেও কেউ যে আপনাকে কিছু জিজ্ঞেস করবে না, তা প্রায় নিশ্চিত! শপিং মলে, এয়ারপোর্টে, খাবারের দোকানে, পার্কে, ফেরীতে – সবখানে যেন Ladies First কথাটা প্রযোজ্য! শুধু তাই নয়, এমন অনেক SPACE রয়েছে, যেখানে কন্যা-জায়া-জননী সাথে না থাকলে, একজন একাকী পুরুষের প্রবেশাধিকারই থাকবে না! এছাড়া কোথাও কোন বিলবোর্ডে একটি নারী অবয়ব না দেখেও প্রায় ১৫০০০ কিলোমিটার ভ্রমনে ৪০ দিন সময় পার হয়ে গেছে ভাবতে অবাক লাগে – ঢাকা শহরে যেখানে একটি প্রায়-নগ্ন, অর্ধ-নগ্ন, বা ইঙ্গিতবহ নারী-প্রতিকৃতি না দেখে ১ কিলোমিটার রাস্তা পার হওয়া মুশকিল! যারা গয়না বা হীরা-জহরতের বিজ্ঞাপনে সবখুলে দেয়া নারী প্রতিকৃতিকে প্রগতি বলে আখ্যায়িত করে থাকেন, তারা হয়তো আমার বর্ণনা শুনে সৌদী আরবের নাগরিকদের করুণা করবেন!
সৌদী আরব সম্বন্ধে আরেকটা ব্যাপার উল্লেখ না করলেই নয় – সেটা হচ্ছে ওখানকার বিচার ব্যবস্থা। সৌদী আরবে বিচারক হন কেবল বড় মাপের আলেমরা – যেমন ধরুন মদীনার মসজিদ নববীর ইমাম/খতীব সালাহ্ আল বুদাইর একজন বিচারক। সৌদী বিচার ব্যবস্থায় একজন সাধারণ মানুষের সুবিচার পাবার সম্ভাবনা যতটুকু, অন্য বিচার ব্যবস্থায় তা হওয়া সম্ভব নয়। আইনের প্রক্রিয়ার মারপ্যাচে আর ব্যয়বহুলতায়, সাধারণের সুবিচার পাবার সম্ভাবনা অনেক সময়ই ক্ষীণ হয়ে যায়। নীচের খবরটা একটু খেয়াল করে দেখুন:
Man gets jail, lashes for beating up mom

MAKKAH — The penal court in Makkah sentenced a man in his 30s to five years in prison and 2,400 lashes at a public place for beating up his mother inside his car while taking her from Al-Laith to Makkah. Presiding judge Turki Bin Dhafer Al-Qarni said the man broke his mother’s tooth, causing her gums to bleed. When they arrived at a checkpoint, the hapless mother pleaded for help from the policemen. The son was taken into custody and the Red Crescent was called to take the mother to hospital.

সূত্র:
view this link

আমাদের একটা ছোট্ট ই-মেইল গ্রুপ আছে, যেখানে এক ভাই উপরের খবরটা তুলে দিয়ে নীচে তার বক্তব্যে লিখেছিলেন:

....They know that, if nobody is there to take care of them - the Qadhi i.e. the State will ultimately ensure their safety and security. That's why you see a tyrant son could not slip past a highway police check-post after hitting his mother and eventually ends up in jail. I can imagine the old haggard mother could have been extremely irritating, cheeky and demanding - despite that, the Qadhi considered her to be a MOTHER - being a MOTHER was enough there. Can you imagine a mother going to police in BD demanding her right just on one point - she gave birth to her son!! .....

২) আমাদের দেশ থেকে যারা ঐ দেশে কাজ করতে যান, তাদের বেশীরভাগই শ্রমজীবী মানুষ। তারা অনেক ক্ষেত্রেই এদেশের এবং ঐ দেশের “আদম ব্যাপারী’দের হাতে নিগৃহীত হয়ে থাকেন। মানুষ যাদের কাছে commodity তারা অত্যন্ত নিকৃষ্ট শ্রেণীর জীব হবারই কথা। শ্রমিকদের অভিজ্ঞতা তাই অনেক সময়ই খুবই বেদনাদায়ক হয়ে থাকে। ঐ দেশের আদমব্যাপারী বা “রক্ত-চোষা” শ্রেণীর মানুষদের সাথে শ্রমজীবী অসহায় মানুষগুলোর লেন-দেন বা আদান-প্রদানের গল্পগুলো যখন আমরা পড়ি, তখন মনে হয় গোটা দেশটাই বুঝি ওরকম। অথচ, ঐ দেশে থাকা শ্রমজীবী মানুষদের মাঝে যাদের ওখানকার অভিজাত বা দ্বীনদার সাধারণ মানুষদের সাথে মেলামেশার সুযোগ রয়েছে, তাদের impression জানলে মনে হবে আমরা বুঝি ২টা ভিন্ন দেশের গল্প শুনছি।

৩) পেশাজীবীদের যারা ঐ দেশে অনেকদিন বসবাস করেন, খুব দুঃখজনক হলেও সত্য যে, তারা আরবদের সাথে মেশেন না বরং নিজেদের একটা “ক্ষুদে দেশ” সৃষ্টি করে নিজেদের নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। তারা এখান থেকে নাটক, গান, সিনেমা, পরচর্চা/পরনিন্দার অভ্যাস, দলাদলি, কোন্দল ইত্যাদি লটবহর হিসবে নিয়ে যান এবং সে সব সংগে করে নিয়েই আবার ফিরে আসেন। ফলে দেখা যায় ইসলামের জন্মভূমিতে দীর্ঘ দিন কাটিয়েও তারা সেখান থেকে কোন benefit নিতে পারেন না। কিছু কেতাবী হজ্জ্ব/উমরাহ্ পালন করলেও, অনেকে শুদ্ধভাবে সালাত/নামাজ আদায় করাটাও শিখে আসেন না! সুতরাং সৌদী জীবনব্যবস্থা বা গণসাধারণের জীপন-যাপন সম্বন্ধে তাদের অভিজ্ঞতা বা জ্ঞান একেভারেই ভাসা ভাসা বা অগভীর হয়ে থাকে!


এবার আরো কিছু ছবি দেখুন তাহলে:



সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে ৭৯০০ ফিট উপরে অবস্থিত "আবহা" শহরের পাশে সুদাহ জায়গাটা দেখে আমরা যখন গাড়ীতে উঠেছি ফিরে আসার জন্য, তখন উৎসাহী বানরেরা এসেছিল আমাদের দেখতে।



আমরা জিযানের সমুদ্র বন্দর ছেড়ে যাচ্ছি ফারাসান আয়ল্যান্ডের উদ্দেশ্য





ফারাসান আয়ল্যান্ডের সূর্যোদয়





আল উলা



ফারাসান আয়ল্যান্ডের জনৈক মুক্তা ব্যবসায়ীর বাড়ী - এখন পর্যটকদের দেখার স্থান



ফারাসান আয়ল্যান্ডের পথে ফেরীতে




"মাদাইন সালিহ"র পুরাকীর্তি



আবহার পার্শবর্তী এলাকায় খাড়া "ক্লিফ"

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫৪

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি কুয়েতে প্রায় ২৩বছর।। আমার পর্যালোচনায় শুধু একটি কথাই বলবো যতটুকু মিডিয়াতে আসে তা সত্যি হলে অনেক আগেই ফিরে যেতে হতো।। কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে আমরাই যে তাদের খারাপ ব্যাবহার করতে বাধ্য করি,তা কিন্তু কেউ বলে না।। আর ২ এবং ৩ নম্বর পর্যালোচনায় শত নাম্বার পেয়েছেন।। ধন্যবাদ।।

১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:২৭

মেরিনার বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ!

২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪২

সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: একটা ক্লাসে ১৯৬ জন ছাত্র আছে। মাত্র একজন ছাত্র পাশ করেছে অথবা ৫০% নম্বর পেয়েছে (অর্থাৎ ৫০% উত্তর সে ভুল দিয়েছে) বাকি সবাই ফেল অথবা ১০% এর নিচে নম্বর পেয়েছে। এখন আমাদের কর্তব্য কি সেই একজন পাশ করা ছাত্রকে গালি গালাজ করা নাকি ফেল করা ছাত্রদের ব্যাপারে মনযোগী হওয়া?
মানব রচিত কোন বিধানকে আল্লাহর বিধানের সমকহ্ম মনে করা যদি কুফরী হয় তাহলে সেই গালি খাওয়া রাজাবাদশাহরা ছাড়া এই দুনিয়াতে আর কে আছে যারা পাশ করবে ঈমানের সাহ্ম্য দিতে পারা না পারার পরীহ্মায়?


লেখাটি অনেক ভাল লাগল। জাঝাকাল্লাহ খায়রান।

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬

মেরিনার বলেছেন: খুব সুন্দর একটা analogy দিয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ্।

আমি অবাক হয়ে যাই, যখন তথাকথিত "সৌদী ইসলামের" (আমি বলি না, লোকে যেটাকে "সৌদী ইসলাম" বলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে থাকে) বিরুদ্ধে যুক্তি দেখাতে গিয়ে কেউ রাজারবাগী পীরের মুরীদের লেখাকে দলিল হিসেবে উপস্থাপন করেন! মুহাম্মদ (সা.)-এর আনুসারী মুসলিম হতে আমাদের আরো কত শতাব্দী পার হতে হবে কে জানে?

৩| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

আবু মুছা আল আজাদ বলেছেন: ভাই লেখাটা খুবই চমতকার ও অনুসরনীয়

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:৩৯

মেরিনার বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ - জাযাকাল্লাহু খাইরা!

৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০১

শরাফত বলেছেন: আল হামদুলিল্লাহ অবশেষে আপনার লেখা পেলাম ।

আপনার সমুদ্রে জীবন সিরিজটি পড়ে আপনার লেখা এত ভালো লেগেছিলো যে প্রায় দিনই ব্লগে এসে আপনার এখানে দেখে যেতাম কোনো লেখা দিয়েছেন কিনা। কিন্তু বার বার নিরাশ হতে হতো। আজ অনেকটা সময় নিয়ে ব্লগে ঢুকে বের হওয়ার আগেই এই লেখাটি চোখে পরল।

সত্যি এখন অনেক ভালো লাগছে।

আপনি এখন আবার নিয়মিত লিখবেন?
নাকি আবার হারিয়ে যাবেন?

০২ রা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭

মেরিনার বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য আর মনে রাখার জন্য - জাযাকাল্লাহু খাইরা। কিছুদিন আগেও আমি আর ব্লগিং করতে চাই নি - তবু, নাই নাই করেও গত তিন মাসে ৬টা পোস্ট দেয়া হয়ে গেছে। নিয়মিত হয়তো লেখা হবে না! তবে "সমুদ্রে জীবন - ১৯" হয়তো সহসাই প্রকাশিত হবে ইনশা'আল্লাহ্!

৫| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৪৬

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: ভালো লাগলো খুব :)
আপনি লাকি!! কত জায়গা ঘুরতে পারেন।

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩১

মেরিনার বলেছেন: নদীর এপার বলে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস....!

একটা ধাঁধাঁ থাকলো আপনার জন্য: আমাদের জানা প্রায় সকল নবীকেই আল্লাহ্ Barren Land-এ জন্ম দিয়েছেন - যেখানে সত্যিকার আর্থে দেখার কিছুই নেই...কেন??

৬| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৫

মধুমিতা বলেছেন: :)

৭| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৭

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: ধাঁধাঁ র উত্তর আমার ভোতা মস্তিষ্ক থেকে বের হবে না মনে হয়। তবু কিছুদিন ভাবি।

তারপর না হয় জেনে নেব আপনার থেকে।

৮| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৭

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: আচ্ছা, আপনি Barren Land বলতে কি শুধুই অনুর্বর,উষর জমি বা মরুভূমি বুঝিয়েছেন?

০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:০৬

মেরিনার বলেছেন: মরুভূমি বুঝিয়েছি!

৯| ০১ লা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৬

দিশেহারা আমি বলেছেন: আমি মুসলিম হওয়া সত্ত্বেও আরবের নাম শুনলে আমার গা ঘিনঘিন করে এদের বর্বরতা আর অসভ্যতা দেখে।
ওয়াক থু :-P

০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:১২

মেরিনার বলেছেন: আপনি "দিশেহারা" বলেই এমন মনে হচ্ছে। আমারও এককালে আরব দেশসমূহ নিয়ে গাত্রদাহ ছিল। কিছু পড়াশোনা করার পর, আর বেশ কয়েকবার যবার পর, সেই ধারণা বদলে গেছে! প্রাক্তন ইহুদী,অস্ট্রীয়-জার্মান ধর্মান্তরিত মুসলিম মুহাম্মাদ আসাদের The Road to Mecca দিয়ে শুরু করতে পারেন!

১০| ০২ রা মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৫

দিশেহারা আমি বলেছেন: আপনিই বেশি বেশি করে বই পড়েন আর আরবে ঘুরাঘুরি করেন।আমার রুচি নাই। ২/৪ জন আরব ফেরত বন্ধুদের গল্প শুনে শুয়োরের পাশাপাশি আরবের নাম মুখে নেই না। :-P

১১| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৭:১৪

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: আমি যা পেলাম তাতে এটুকু বলতে পারি,
যখনই কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে নবী পাঠানো হয়েছে তখনই প্রথমে সেই সম্প্রদায়ের বাহ্যিক পরিবেশকে নবীর দাওয়াত গ্রহণের সর্বাধিক অনুকূল বানানো হয়েছে। দুর্ভিক্ষ, মহামারী, বাণিজ্যিক ক্ষয়ক্ষতি ইত্যাদির সৃষ্টি হয়েছে ,যাতে তাদের মন নরম হয়। অহংকার ও ঔদ্ধত্তদৃপ্ত মস্তক নত হয়। নিজেদের উপায় উপকরণ, শক্তি ও যোগ্যতার ওপর নিজেদের নির্ভরতা ভেঙ্গে পড়ে।আর তারা যাতে অনুভব করতে পারে ওপরে কোন শক্তিধর সত্তা আছে এবং তার হাতেই রয়েছে তাদের ভাগ্যের লাগাম।

এখন নবীদেরকে Barren Land এ পাঠানোর আর কি কারণ থাকতে পারে আপনি বলে দিন।

১২| ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

অন্তঃপুরবাসিনী বলেছেন: কোথায় হারিয়ে গেলেন? :(

২০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৭

মেরিনার বলেছেন: There are manу more beautiful landscapes in the world, but none, I think, that can shape man's spirit in so sovereign a way. In its hardness and sparseness, the desert strips our desire to comprehend life of all subterfuges, of all the manifold delusions with which a more bountiful nature maу entrap man's mind and cause him to project his own imageries into the world around him. Тhe desert is bare and cIean and knows no compromise. It sweeps out of the heart of man all the lovely fantasies that couId be used as a masquerade for wishful thinking, and thus makes him free to surrender himseIf to an Absolute that has no image: the farthest of all that is far and yet the nearest of all that is near.

Ever since man began to think, the desert has been the cradle of all his beliefs in Оne God. Тrue, even in softer environments and more favourable climes have men had, time and again, an inkling of His existence and oneness, as, for instance, in the ancient Greek concept of Moira, the indefinabIe Power behind and above the Olympian gods: but such concepts were never more than the outcome of a vague feeling, a divining rather than certain knowledge - until the knowledge broke forth with
dazzling certainty to men of the desert and from out of the desert. It was from a burning thornbush in the desert of Midian that the voice of God rang out to Moses; it was in the wilderness of the Judean desert that Jesus received the message of the Кingdom of God; and it was in the cave of Нira, in the desert hills near Мecca, that the first call came to Muhammad of Arabia.

It came to him in that narrow, dry gorge between rocky hills, that naked valley burnt by the desert sun - an all-embracing Yes to life, both of the spirit and of the flesh: the call that was destined to give form and purpose to a formless nation of tribes and, through it, to spread within a few decades, like a flame and a promise, westward as far as the Atlantic Оcean and eastward to the Great Wall of China: destined to remain a great spiritual power to this day, more than thirteen centuries later, outliving all poIitical decay, outlasting even the great civilization which it brought into being: the call that came to the Prophet of Arabia... (Page#144~145, The Road to Mecca - Muhammad Asad)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.