নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

solitude

মেরিনার

প্রকৃতির মাঝে নির্জনতায় একাকী থাকতে পছন্দ করি!

মেরিনার › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে সবচেয়ে গর্হিত পাপ কি?

১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

মূল: জামাল আল দীন জারাবোজো

[এই লেখাটি কেবলমাত্র বিশ্বাসী মুসলিমদের জন্য]

মুসলিম স্পেনের বিখ্যাত স্কলার ও তফসীরকার আল কুরতুবী, তাঁর তাফসীরে, যেসব লোক কুরআন পড়তে গিয়ে বলে ‘আমার মনে হয়’, ‘আমার মন বলে’ অথবা ‘আমার মতে’ সে সব লোক সম্পর্কে বলেন যে, তারা আসলে আল্লাহ সম্পর্কে না জেনে কথা বলে এবং এটা একটা অন্যতম বড় অপরাধ। এবং এরা প্রকৃতপক্ষে যিনদিক এবং [তাদের অপরাধের গুরুত্ব বোঝাতে] তিনি বলেন যে, এদের মুরতাদ হিসেবে হত্যা করা উচিত।

যখন কেউ কুরআনের আয়াত আবৃত্তি করে এবং যথাযথ পদ্ধতি অনুসরণ না করে এবং যথাযথ জ্ঞান ব্যতীত ঐ আয়াতের ব্যাখ্যা করে, সে হয়তো তার নিজের ‘হাওয়া’র অনুসরণ করে (হঠাৎ একটা কিছু মনে হল, ভাল মন্দ বিচার না করেই সেটার অনুসরণ করা), অথবা নিজের বাসনার বশবর্তী হয়, অথবা সে হয়তো শয়তানের দ্বারা পরিচালিত হয়, নয়তো সে নিজের অনুমানের উপর নির্ভর করে; যেটার (অনুমানের ভিত্তিতে কথা বলা) সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা কুরআনে বহুবার উল্লেখ করেছেন, অথবা তার মনে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার পক্ষ থেকে ইলহাম হতে পারে, কিন্তু এই শেষোক্ত সম্ভাবনাটি অত্যন্ত ক্ষীণ। কেন? কেননা এক্ষেত্রে কুরআনের ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে সঠিক পদ্ধতির অনুসরণ করা হয়নি, এবং যেহেতু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিটি তাফসীরের যথার্থ পদ্ধতি অবলম্বন না করেই তাফসীর করেছে, অতএব সে ইতিমধ্যেই একটি অপরাধ করে ফেলেছে। যথার্থ জ্ঞান ব্যতীত কুরআন সম্পর্কে কথা বলে এবং সঠিক জ্ঞান, প্রশিক্ষণ এবং যোগ্যতা ছাড়াই এর ব্যাখ্যা দান করে, সে ইতিমধ্যেই একটি বড় অপরাধ করেছে, তাই এর সম্ভাবনা খুবই কম যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা একটা ‘অপরাধের’ মধ্য দিয়ে তাকে অনুগ্রহ করবেন ও কুরআনের সঠিক ব্যাখ্যা তাকে শিক্ষাদান করবেন। যখন কেউ বলে যে, অমুক আয়াতে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা এটা বোঝাতে চেয়েছেন কিংবা ওটা বলতে চেয়েছেন, তখন সে প্রকৃতপক্ষে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলার পক্ষে কথা বলছে এবং সে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা সম্পর্কে বলছে, আর তাই সেটা যদি সে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ব্যতীত করে, তাহলে সে অত্যন্ত গর্হিত একটি কাজ করছে।

ইবনুল কায়্যিম এটাকে প্রকৃতপক্ষে ‘সবচেয়ে গুরুতর’ পাপকাজ বলে অভিহিত করেছেন, তিনি বলেছেন না জেনেই আল্লাহ সম্পর্কে কোন কথা বলা সবচেয়ে গুরুতর অপরাধ। এ সম্পর্কে কুরআনের উদ্ধৃতি : “বল, যেসব বস্তু আমার প্রতিপালক নিষেধ করেছেন তা হলো আল ফাওয়াহিশা (গুরুতর মন্দ কাজ, আইন বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক) প্রকাশ্যে বা গোপনে ঘটিত, অপরাধ ও অত্যাচার, শিরক এবং আল্লাহ সম্পর্কে না জেনে কিছু বলা”। (কুর’আন, ৭: ৩৩)

এ আয়াতের ব্যখ্যায় তিনি বলেছেন যে, দুই ধরনের হারাম কাজ রয়েছে। হারাম লি যাতিহী, হারাম লিগাইরিহী। প্রথম শ্রেণীর (হারাম লি যাতিহী) কাজগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এদের নিজস্ব অশুভ প্রকৃতির জন্য, দ্বিতীয় শ্রেণীর (হারাম লিগাইরিহী) কাজগুলোকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, কেননা সেগুলো অন্য কোন পাপের দিকে মানুষকে নিয়ে যায়। তিনি এই আয়াতে উল্লেখিত চার ধরনের কাজকে প্রথম গোত্রের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এই চার ধরনের কাজের মধ্যে আল ফাওয়াহিশা কম গুরুতর হারাম কাজ, এরপর সত্যের অবলেপন যা পূর্বের চেয়ে গুরুতর, অতঃপর আল্লাহ শিরকের কথা বলেছেন এবং সবশেষে বলেছেন আল্লাহ্ সম্পর্কে না জেনে কথা বলাকে। তিনি বলেছেন যে, আল্লাহ তা’আলা ছোট থেকে বড় গুনাহের কথা পর্যায়ক্রমে বলেছেন। তিনি বলেন, যখন কেউ আল্লাহ সম্পর্কে না জেনে কথা বলে, যা কিনা কেউ কুরআন সম্পর্কিত জ্ঞানার্জন না করে ও সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন না করে কুরআনের তাফসীর করতে গিয়ে করে থাকে, তাতে এমন কতগুলি গুনাহ্ অন্তর্ভূক্ত হয়ে যায়, যা কিনা “কেবল শিরক”-এর ক্ষেত্রে হয় না। গুনাহগুলো হলো —

১. কোন আয়াতের অসত্যভাবে উপস্থাপন।
২. আল্লাহ তা’আলার মনোনীত ধর্মের পরিবর্তন।
৩. এমন কিছু অস্বীকার করা যা আল্লাহ তা’আলা বর্ণনা করেছেন।
৪. এমন কিছু স্বীকার করা যা আল্লাহ তা’আলা অস্বীকার করেছেন।
৫. কোন মিথ্যাকে সত্য বলে উপস্থাপন।
৬. কোন সত্যকে মিথ্যা বলে উপস্থাপন।
৭. এমন কিছু সমর্থন করা যা আল্লাহ তা’আলা অপছন্দ করেন।
৮. এমন কিছু পছন্দ করা যা আল্লাহ অপছন্দ করেন।


অন্য কথায়, যখন ধর্ম সম্পর্কে না জেনে কেউ কিছু বলে, সে ধর্মকে পরিবর্তন করে। প্রকৃতপে ‘মাদারিজ উস সালিকীন’ বইতে তাঁর (ইবনুল কায়্যিম) লেখা পড়তে থাকলে দেখা যাবে যে, সব ধরনের কুফরী ও শিরকের মূল উৎস হচ্ছে এই অজ্ঞতা।

তিনি উদাহরণস্বরূপ বহু-ঈশ্বরবাদীদের কথা উল্লেখ করেছেন। তারা বলে থাকে যে, তারা যাদের পূজা করে, তারা তাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করবে। সুতরাং তাদের শিরকের উৎস হচ্ছে, আল্লাহ তা’আলা সম্পর্কে অজ্ঞতা। তেমনিভাবে বর্তমানে সবচেয়ে বড় কুফরী হচ্ছে ধর্মনিরপেতা – মুসলমানদের এবং বিশেষত অমুসলিমদের মাঝে যা প্রায় সর্বজনস্বীকৃত ও গ্রহণযোগ্য জীবন-পদ্ধতি। তারা বলে যে, আল্লাহ পার্থিব জীবনের কর্মকাণ্ডকে গুরুত্ব দেন না বা তিনি আমাদের পার্থিব জীবনে সঠিক দিক নির্দেশনা দেননি। অথবা, ধর্ম দৈনন্দিন জীবনের জন্য নয়। এসব তারা না জেনে বলে থাকে।

সুতরাং, এটা একটা অন্যতম গুরুতর অপরাধ এবং ইবনুল কাইয়্যিম বলেন, এটা সবচেয়ে বড় অপরাধ। এবং তিনি বলেছেন যে, প্রত্যেক বিদাত, প্রত্যেকে নতুন প্রথা কিছু বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে যা কুরআন ও হাদীস দ্বারা সমর্থিত নয়।

যদি কেউ বলে যে, আমি ধার্মিক, আমি বিশ্বাসী, আমি কুরআন পড়ে এর অর্থ বুঝতে পারি — এ কথা শুধুমাত্র মহানবী (সা.)-এর সাহাবাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হতে পারে। কেননা:

১. তাঁরা কুরআনের অবতীর্ণ হওয়া প্রত্যক্ষ করেছেন।
২. তাঁরা, তা যে প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে তার সাক্ষী এবং তাঁদের জীবনেই সে সব প্রাসঙ্গিক ব্যাপারগুলো ঘটেছে।
৩. কুরআন তাঁদের ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে।
৪. আল্লাহ তা’আলা তাঁদেরকে মহানবী (সা.)-এঁর সাথী হিসেবে মনোনীত করেছেন।
৫. তিনি তাঁদেরকে সর্বোত্তম উম্মত হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন।


তাই কেউ যদি নিজেকে সাহাবাদের মত এমন পবিত্র হৃদয় ও আল্লাহ তা’আলার ঘনিষ্ঠ মনে করে, তবে সে ব্যাখ্যা নিজের মত করে দিতে পারে। কিন্তু আমরা যদি সাহাবীদের জীবনীর দিকে তাকাই, তাহলে এর বিপরীতটাই দেখব। তাঁরা রাসূলুল্লাহ (সা.)-এঁর কাছ থেকে এই শিক্ষাই পেয়েছিলেন যে, যথাযথ জ্ঞানার্জন না করে পবিত্র কুরআন সম্পর্কে মন্তব্য করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

উদাহরণস্বরূপ, আবুবকর (রা.) একদা বলেছেন, “যদি আমি কুর’আন সম্পর্কে এমন কিছু বলি যা আমি জানি না, তাহলে কোন মাটি আমাকে বসবাসের জায়গা দেবে, কোন আকাশ ছায়া দেবে?” উমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেছেন “ধর্মীয় ব্যাপারে তোমার মত প্রদানের ক্ষেত্রে সতর্ক হও।” ইবনে আব্বাস, যাঁর সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’আ করেছিলেন যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা যেন তাঁকে কুর’আন ও দ্বীনের বুঝ দান করেন, তিনি বলেছেন, “অনুসরণ করার মত যা কিছু আছে, তা হল আল্লাহ তা’আলার কুরআন ও রাসূলের হাদীস। এই দুইটি থাকার পরও কেউ নিজের মতামত দিলে, আমি জানি না এটা তার ভাল না খারাপ কাজের অন্তর্ভুক্ত হবে।” অর্থাৎ, তুমি যা করেছ, তা তুমি ভাল মনে করে করলেও এটা অবশেষে গুনাহর অন্তর্ভুক্ত হবে। তিরমিযী বলেছেন : “পণ্ডিতগণ এবং আল্লাহর রাসূলের (সা.) সাহাবাদের থেকে বর্ণিত আছে যে, কুরআন সম্পর্কে না জেনে কথা বলার ব্যাপারে তাঁরা অত্যন্ত কঠোর ছিলেন। ”

দৃষ্টি আকর্ষণী:
যারা আল্লাহয় ও আখেরাতে বিশ্বাস করেন, তাদের জন্য এটা অত্যন্ত জরুরী যে, কি কি কারণে একজন মুসলিম ইসলাম থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন সেটা জানা - যেন আমাদের নামাজ, রোজা, হজ্জ্ব, যাকাত ইত্যাদি নিস্ফল হয়ে না যায়। এই ব্যাপারে একটি ধরাবহিকের প্রথম ৩টি পর্ব রয়েছে এখানে:

ঈমান বিনষ্টকারী বিষয়সমূহ - ১
ঈমান বিনষ্টকারী বিষয়সমূহ - ২
ঈমান বিনষ্টকারী বিষয়সমূহ - ৩

অনুগ্রহ করে দেখে নেবেন ইনশা'আল্লাহ্, যেন আপনার আমলসমূহ ভুলবশত বরবাদ না হয়ে যায়!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চমৎকার ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের আলোচনা
যা প্রতিটি মোমিন মুসলমানের জানা উচিত।
মেরিনার , ধন্যবাদ আপনাকে। আল্লাহ আপনাকে
এই ভালো কাজের পুরস্কার দিবেন।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

মেরিনার বলেছেন: আমীন!

২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

তারেক ফাহিম বলেছেন: ভালো বলেছেন।

ভালো লিখাগুলোর জন্য রাব্বুল অাল-অামিন আপনাকে উত্তম পুরুস্কার দান করুক।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৯

মেরিনার বলেছেন: আমীন! সুন্দর দোয়া করলেন বলে ধন্যবাদ!!

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ ভোর ৪:৪৩

এম এ কাশেম বলেছেন: উত্তম পোস্ট।
প্রত্যেক মুসলমানের জানা উচিৎ।

জাজাকাল্লাহু খায়রান।

২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

মেরিনার বলেছেন: ধন্যবাদ!

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৫

বিষাদ সময় বলেছেন: আপনার উদ্দেশ্য মহৎ এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু ধর্মকে যে কঠিন ভাবে আপনি উপস্থাপন করছেন তাতে হিতে বিপরীত না হয়।
সব ধরনের কুফরী ও শিরকের মূল উৎস হচ্ছে এই অজ্ঞতা।

কি করে সম্ভব? তাহলে আমাদের দেশের সহজ সরল অশিক্ষিত ব্যাক্তি (বিশেষ করে আমাদের মা বোনরা) যারা জেনে নয়, শুনে আল্লাহকে বিশ্বাস করছেন, ভয় করছেন, কখনও ভুল, কখনও শুদ্ধভাবে জীবন যাপন করছেন। জ্ঞানের অভাবে কি তাদের সব পন্ড হয়ে যাবে?
পৃথিবীর আইন কেউ জেনে ভাঙ্গুক আর না জেনে ভাঙ্গুক শাস্তি তার প্রাপ‌্য। কিন্তু আল্লাহর আইন (জানার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও) কেউ অজ্ঞতা বশতঃ ভাঙ্গলে তা ক্ষমার যোগ্য। এখানেই আল্লাহর মহাত্ম। তাই নয় কি?


২০ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪৯

মেরিনার বলেছেন: প্রথমত লেখাটা আমার কোন মতামত নয়, বরং বর্তমান অনারব বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্কলারদের একজন, ধর্মান্তরিত মুসলিম জামাল আল দীন জারাবোজোর একটা লেখা এটা। তিনিও এখানে কুর'আনের ঐ আয়াত সম্পর্কে যার বক্তব্য সবচেয়ে ফলাও করে বলেছেন, তিনি হচ্ছেন হাফিজ ইবনুল কায়্যিম - এখন থেকে প্রায় সাত শতাব্দী আগের বড় মাপের একজন সিরিয়ান স্কলার।

দ্বিতীয়ত সব ধরনের কুফরী ও শিরকের মূল উৎস হচ্ছে এই অজ্ঞতা - এটা তো খুব সাধারণ একটা কথা। যে নিজেকে মুসলিম ভাবে, তার যদি জ্ঞান থাকতো যে কোন একটা কাজ অঠিক বা ঐ কাজটা তাকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে, তাহলে সে কি জ্ঞানত শিরক বা কুফরের মত একটা কাজ করতে পারবে? আপনি হয়তো জেনে থাকবেন যে, কারো কারো অজ্ঞতার অজুহাত থাকতে পারে, আর সেক্ষেত্রে সে শিরক বা কুফরে লিপ্ত হয়েও আল্লাহর ক্ষমা লাভ করতে পারে।

ইসলামে "অজ্ঞতার অযুহাত" বা العذر بالجهل হচ্ছে রীতিমত একটা অধ্যয়নের বিষয়। তবে আজকের এই আমাদের অজ্ঞতার অযুহাত ধোপে টেকা খুব মুশকিল। তার কারণ হচ্ছে আমরা একটু চাইলেই জানতে পারি/পারতাম - কিন্তু আমাদের সেই সময় হয় না - আমরা ব্যাপারগুলোকে জরুরী মনে করি না! একটা ছোট্ট উদাহরণ দিচ্ছি: আমাদের দেশের একজন অতি সাধারণ মানুষও যদি তার একটা ছোট্ট ঘর বানাতে চান, তবে তিনিও জানতে চেষ্টা করবেন কিসে বা কোন সিমেন্ট ব্যবহার করলে তার ঘর টেকসই হবে - তিনি কিন্তু এই ব্যাপারে অজ্ঞ থাকতে চান না। একজন মুসলিমের সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে তার ঈমান, যা টেকসই না হলে তার জন্য অফুরন্ত জাহান্নাম বাসের সম্ভাবনা থেকে যায়। কিসে তার ঈমান নষ্ট হতে পারে বা কোন বিশ্বাসগুলো সঠিক, সেটা জানতে তার নিশ্চয়ই অনেক সময়, সম্পদ, শ্রম ও মেধা ব্যয় করা উচিত?! ঈমান বা আমলের পূর্বশর্ত হচ্ছে জ্ঞান আর এজন্যই আল্লাহ্ কুর'আনে বলেছেন:
فَاعْلَمْ أَنَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ অর্থাৎ, "So, know that, La ilaha illallah..." (Qur'an, 47:19) - জানতে বলেছেন "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্"। তোতা পাখির মত কেবল জপতে বলেন নি!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.