নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক

পৃথিবীর পথে পথে আমি একা অনভিজ্ঞ এক নাবিক।

মারুফ তারেক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন পাঠ করা জরুরি?

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১৫



গার্সিয়া লোরকা তার আসন্ন মৃত্যুকে উপলব্ধি করেছিলেন। তাই মৃত্যুর আগে লেখেছেন মৃত্যুর বর্ণনা। লোরকা তার মৃত্যুর ভবিষ্যতবাণী করেছেন কবিতায়।

"I understood they had murdered me.
They searched the cafés and the graveyards and churches,
they opened the wine casks and wardrobes,
they destroyed three skeletons to pull out their gold teeth.
Still they couldn't find me.
They couldn't?
No. They couldn't."

নজরুলের জেলে যাওয়া কিংবা না খেয়ে থাকার কষ্টের কাছে জীবনানন্দের চাকরি না পাওয়ার কষ্ট ম্লান। মূলত ভিন্ন ভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়ার ফলে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের সাহিত্য রচিত হয়।

আর একারণে আমরা নজরুলকে বুঝতে পারি না, বুঝি জীবনানন্দের চাকরি না পাওয়ার কষ্ট, সমাজে অপদস্ত হওয়ার কষ্ট। কারণ আমরা জীবনানন্দের মতো একই পথের পথিক, আমাদের হয়তো স্ত্রীর সাথে মনমালিন্য কিংবা আমরা হয়তো বাজার-সদাইয়ের দামে ক্লান্ত।

নজরুল এই সবকিছুর উর্দ্ধে ছিলেন। তিনি রবীন্দ্রনাথের জমিদারি নিয়ে ভাবতেন না, জীবনানন্দের চাকরি হারাবার কষ্টও তাকে ছুঁতে পারেনি। আর তাই তিনি এমনসব কবিতা লেখতে পেরেছেন, শহুরে রাস্তায় ঢোল হাতে নিয়ে এমনসব গান গেয়েছেন, যার দরুন তাকে গ্রেপ্তার হতে হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন বিপ্লবী কবি ও গায়ক দ্বিতীয়টি আছে কি-না আমার জানা নেই।

রবীন্দ্রনাথ পৃথিবীর সব বড় বড় মানুষের সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন, তাই হয়তো ঈশ্বরের রূপকল্প আঁকতে পেরেছিলেন, সারাজীবন এঁকেছেনও তাই। অন্যদিকে জীবনানন্দ আমাদের আটপৌরে নিন্মমধ্যবিত্ত জীবনকে পাঠ করেছেন। আমরা যখন নজরুল-রবীন্দ্রনাথ কিংবা অন্য যে কোন সাহিত্যককে পাঠ করি, প্রত্যেককে কিন্তু বুঝতে পারি না। আমরা তাকেই সবচেয়ে বেশি বুঝি, যার সাথে আমাদের যতো বেশি মিল৷

এই মিল খুঁজে পাওয়ার জন্য পাঠ করা জরুরি। পাঠ করা জরুরি জীবনকে, যেভাবে বুদ্ধ পাঠ করেছেন জীবনকে, মাঝি পাঠ করেন নদীকে।
মানুষ যখন পাঠ করতে শিখবে তখন দেখবে আমেরিকা কিংবা ফ্রান্সের খেটে খাওয়া শ্রমিক শ্রেণির সাথে আলজেরিয়া কিংবা ইরাকের মানুষদের তেমন কোন পার্থক্য নেই।

ছবি: Installation view, Pictures to be Read/Poetry to be Seen, MCA Chicago
Photo: David Van Riper © MCA Chicago

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:৩৮

কামাল১৮ বলেছেন: শ্রেনীর উর্ধে কেউ নয়।যে যেই শ্রেনীর তার চিন্তা চেতনা সেই শ্রেনীর উর্ধে নয়।উঁচ্চ শ্রেনী ,মধ্য শ্রেনী বা নিম্ন শ্রেনী, প্রত্যেকে আমরা কোন না কোন শ্রেনীর অন্তর্গত।মোটা মোটি এই তিন শ্রেনী ছাড়াও আরো অনেক শ্রেনী আছে।আমি প্রত্যেক শ্রেনীর শ্রেনী চরিত্র জাতি।
তাদের প্রত্যেকের রচনায় শ্রেনী চরিত্রের ছাপ আছে।রবীন্দ্রনাথ নজরুলের মতো লিখতে পারবেনা,নজরুল পারবেনা রবীন্দ্রনাথের মতো লিখতে।

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: জীবনানন্দ এবং নজরুল দুঃখে কষ্টে জীবন পার করেছেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ জমিদারপুত্র ছিলেন। তার দাদা দ্বারকানাথ তো বিশাল ব্যবসায়ী। বিশ্বের ধনী ও বিখ্যাত লোকদের সাথে তার উঠাবসা ছিলো। দ্বারকানাথ মারা যাওয়ার পর দেখা গেলো তিনি এক কোটি টাকা ধারধেনা করে গেছেন। রবীন্দ্রনাথ একসময় আর্থিক সমস্যার পোড়েছিলেন। ব্যসবা করতে গিয়ে লস খেয়েছেন। ঋণের টাকার জন্য রবীন্দ্রনাথ বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দিয়েছেন। শেষমেষ নোবেল প্রাইজের মানি দিয়ে সমস্ত ঋণ শোধ করেন।

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: জীবনানন্দ এবং নজরুল দুঃখে কষ্টে জীবন পার করেছেন। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ জমিদারপুত্র ছিলেন। তার দাদা দ্বারকানাথ তো বিশাল ব্যবসায়ী। বিশ্বের ধনী ও বিখ্যাত লোকদের সাথে তার উঠাবসা ছিলো। দ্বারকানাথ মারা যাওয়ার পর দেখা গেলো তিনি এক কোটি টাকা ধারধেনা করে গেছেন। রবীন্দ্রনাথ একসময় আর্থিক সমস্যার পোড়েছিলেন। ব্যসবা করতে গিয়ে লস খেয়েছেন। ঋণের টাকার জন্য রবীন্দ্রনাথ বিভিন্ন ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দিয়েছেন। শেষমেষ নোবেল প্রাইজের মানি দিয়ে সমস্ত ঋণ শোধ করেন।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৪

মারুফ তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা জানবেন।

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

বিজন রয় বলেছেন: শেষ কথাগুলো অনেক বেশি ভাল বলেছেন। এরকমই তো চাই।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৪

মারুফ তারেক বলেছেন: ধন্যবাদ। শুভকামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.