নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলাকাশ

নিলাকাশ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অর্থ বুঝে কোরআন পড়া (পর্ব-৩)

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৭


একাগ্রচিত্তে, অন্তর থেকে বুঝে কোরআন পড়লে, কী বিস্ময়কর অনুভূতিই না হয় তা নিচের ভিডিওটা দেখলে বুঝা যাবে । কুয়েতের গ্র্যান্ড মসজিদের ইমাম শেখ মিশারী রাশিদ আল-আফাসী রমাদ্বানের তারাবী নামায পড়াচ্ছিলেন। একটা জায়গায় এসে ওনার কণ্ঠ ভারী হয়ে আসলো; কান্না শুরু করলেন! কান্নার তীব্রতা এতই বেড়ে গেল যে এক পর্যায়ে, নামায পড়ানোই কঠিন হয়ে গেল তাঁর জন্য! ইমাম একাই শুধু কাঁদছেন – তা নয়; সাথে বাকীরাও কাঁদছেন । ইমাম সাহেব পবিত্র কুরআন এর কোন অংশ পড়াচ্ছিলেন? কী লেখা আছে সেখানে যার জন্য মসজিদের প্রায় প্রতিটি মানুষ ঢুঁকরে কেঁদে উঠছিলেন !? পবিত্র কুরআনের ৪১নং সুরা ফুসসিলাত (সুরা হা-মীম সিজদাহ নামেও পরিচিত) এর আয়াত নং ১৯-৩৬ পড়ছিলেন তিনি । আখিরাতে জাহান্নামীদের কঠিন অবস্থার কথা বলা আছে । একজন সচেতন মুসলিম মাত্রই এই অংশটুকু মন দিয়ে পড়লে ভয়ে কাঁদতে বাধ্য । কী দুর্ভাগা আমরা ! কোরআন পড়ছি কিন্তু অর্থ না বুঝার কারণে তা আমাদের অন্তরকে স্পর্শ করছে না ।

view this link

আল্লাহ্ বলেন -

“তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের কাছে যেও না; যতক্ষণ না তোমরা যা বলছো তা বুঝতে পারো ।” [নিসা ৪:৪৩]

আয়াতটি নাজিল হয়েছিল মদকে নিষিদ্ধ করার ২য় পর্যায়ে (১ম পর্যায়ে মদকে নিরুৎসাহিত করা হয়, তারপর একে নামাযে নিষিদ্ধ করা হয় এবং সবশেষে একে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়) । মদকে নিষিদ্ধ করার জন্য নাজিল হলেও আয়াতটি আরও একটা গুরুত্বপুর্ন ম্যাসেজ দেয় । আর তাহলো নামাযে আমরা কী বলছি তা বুঝে বলা । একটু চিন্তা করুন … দিনের পর দিন আমরা তো অর্থ না বুঝে শুধু মুখস্ত করা কয়েকটা সূরা দিয়েই আমাদের নামায আদায় করছি । মদপান না করেও আমরা যেন নেশাগ্রস্তের মত নামায পড়ছি !! কিন্তু নামায তো হবে মেরাজ সরূপ; আল্লাহ্র সাথে কথা বলা । কারো সাথে কথা বলতে গেলে কি আমরা না বুঝে কথা বলি ?

কোরআনিক শব্দ ভান্ডার বাড়ানোর প্রচেষ্ঠায় এই পর্বে ১৬ থেকে ২৫ নং শব্দের অর্থ দেয়া হল । নিচের টেবিলে এগুলোর অর্থ ও কোরআনে এর ব্যবহারসহ, পুনারাবৃত্তি সংখ্যার ভিত্তিতে অধঃক্রমে সাজানো হল । গত পর্বগুলো এবং এ পর্ব মিলিয়ে আমরা মোট ২৫ টি শব্দ (যা কোরআনের মোট শব্দ সংখ্যার ৩৭% !) শিখব ইনশা আল্লাহ্ ।

‘রব্বী যিদনী ইলমা’ ।



(চলবে ইনশা আল্লাহ্‌ ….)

সব পর্বের লিংক একসাথে পেতে এখানে ক্লিক করুন
view this link


PDF download এর জন্য এখানে ক্লিক করুন ।view this link

Note: মানুষ মাত্রই ভূলের উর্দ্ধে নয় । তাই যেকোন ভূল কারো চোখে পরলেই শুধরে দেয়ার অনুরোধ রইল ।

যেসব বইয়ের সাহায্য নেয়া হয়েছেঃ
১। Qur’an word frequency, http://quran.ilmsummit.org
২। সহীহ নূরানী কোরআন শরীফ, মূল তরজমা - মাওলানা আশরাফ আলী থানবী (রঃ) ।
৩। কোরআনের বাংলা অনুবাদ - মুহিউদ্দীন খান ।
৪। আল-কোরআনের ভাষা - এস এম নাহিদ হাসান ।
৫। তিন ভাষায় Quranic Vocabulary - আবদুল করিম পারেখ, দারুস সালাম বাংলাদেশ ।
৬। কোরআন বোঝার মূলনীতি - ড. আবু আমীনাহ বিলাল ফিলিপস, সিয়ান পাবলিকেশন লিমিটেড, ২০১৬
৭। Arabic-English Dictionary of Qur’anic Usage By Elsaid M. Badawi, Muhammad Abdel Haleem, Koninklijke Brill NV, Leiden, The Netherlands, 2008.
৮। The Easy Dictionary of the Qur'an, Compiled by Shaikh Abdul Karim Parekh, Translated by (Late) Abdur Rasheed Kamptee, Dr. Abdulazeez Abdulraheem, Shaikh Abdul Ghafoor Parekh, 2000.
৯। কোরআনের অভিধান - হাফেজ মুনির উদ্দীন আহমদ, আল কোরআন একাডেমী লন্ডন ।
১০। লুগাতুল কোরআন, মূলঃ মওলানা আবদুল করীম পারেখ, অনুবাদকঃ মওলানা নাজমূল হক নোমানী, ভারত, ১৯৯৭ ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

নাবিক সিনবাদ বলেছেন: ভালো উদ্যোগ, জাযাকাল্লাহ।

২৮ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

নিলাকাশ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.