নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিখতে হলে জানতে হবে আর জানতে হলে পড়তে হবে আসুন জেনে নেই আজ মুঘল সাম্রাজ্যের কিছু ইতিহাস

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৪:০৬



মুঘল সাম্রাজ্য

মুঘল সাম্রাজ্যের রাজত্ব শুরু হয় ভারত উপমহাদেশের অধিকাংশ অঞ্চল নিয়ে । আর তখন কার সময় ঐ অঞ্চলগুলো হিন্দুস্তান নামে পরিচিত ছিল। এছাড়া আফগানিস্তান ও বেলুচিস্তানের বেশ কিছু এলাকাও মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে ছিলো। মুঘল সাম্রাজ্য ১৫২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত লাভ করে ।আর মুঘল সাম্রাজ্য ১৭০৭ সাল পর্যন্ত এর সীমানা বিস্তার করে এবং ১৮৫৭ সালের এর পতন হয়। চেঙ্গিস খান এবং তৈমুর লঙের উত্তরসূরী জহিরুদ্দিন মুহম্মদ বাবর ১৫২৬ সালে দিল্লীর লোদী বংশীয় সর্বশেষ সুলতান ইবরাহিম লোদীকে প্রথম পানিপথের যুদ্ধে পরাজিত করেন এবং মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। মুঘল সাম্রাজ্যের সর্বশেষ সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ ১৮৫৭ সালে সিপাহী বিদ্রোহের প্রাক্কালে ইংরেজদের হাতে পরাজিত হয়ে ততকালীন বার্মার রেঙ্গুনে নির্বাসনে চলে যান।এবং সেখানে তার মৃত্যু ঘটে। মূলত মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবের মৃত্যুর পরেই মুঘল সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয় এবং ভারত উপমহাদেশে ইংরেজদের প্রভাব প্রতিপত্তি বেড়ে যায়।



ইতিহাসের পাতায় বলে

মুঘল সাম্রাজ্যের ৩০০ বছরের বেশি ইতিহাস অনেক উত্থান পতনের সাক্ষী আছে।



বাবরের ভারত আক্রমণের ঘটনা



ফরগণা নামে এক মধ্য এশিয়ার সামন্ত রাজ্যের তৈমুর বংশীয় রাজা ওমর শেখ মিরজারের ছেলে বাবর মধ্য এশিয়া থেকে রাজ্যচ্যুত হয়ে কাবুল আক্রমণ করেলেন। সে সময় তিনি ভারত আক্রমণের পরিকল্পণা করলেন। ১৫২৬ সালে পাণিপথের প্রথম যুদ্ধে ইব্রাহিম লোদিকে নিহত করে মুঘল সাম্রাজ্যের সুচনা করেন। আর সে যুদ্ধেই ভারতে প্রথম কামান ব্যবহার করা হয়েছিল।



খানুয়ার যুদ্ধ ১৫২৭ এই যুদ্ধে বাবর রাজপুত রাজা সংগ্রাম সিংহকে পরাজিত করেন



শেরশাহের উত্থানের ঘটনা



বিহারের এক জায়গীরদারের ছেলে ফরিদ খান তিনি শেরশাহ নাম ধারণ করে বাবরের পুত্র হুমায়ুনকে বিল্বগ্রাম ও চৌসার যুদ্ধে পরাজিত করলে হুমায়ুন পারস্যে রাজা তামাস্পের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। শেরশাহের শাসন ব্যবস্থা ভবিষ্যতে আকবরের শাসনব্যবস্থায় প্রভাব ফেলে।



পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ ও আকবরের উত্থানের ঘটনা



পানিপথের দ্বিতীয় যুদ্ধ করার সময় শেরশাহের উত্তরাধিকারী আদিল শাহের সেনাপতি হিমু হুমায়ুনেরপুত্র আকবর এবং তার সেনাপতি বৈরাম খানের সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন। তারপর আকবরের শাসনকালে মুঘল সাম্রায্য উত্তর এবং মধ্যভারতে বিস্তৃত লাভ করেন। ১৫৬০ সালে বৈরাম খানকে সরিয়ে আকবর নিজে সকল ক্ষমতা দখল করেণ। আকবর রাজপুতদের সাথে মিত্রতানীতি নেন। মান সিংহকে সেনাপতিত্বে বরণ করেন। কিন্তু মেবারের শাসক প্রতাপসিংহকে মিত্র করতে সফল হতে পারেননি ।



ইনি হলেন শেষ মুঘল সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফর

হলদিঘাটের যুদ্ধ

এই যুদ্ধে মুঘল পক্ষীয় সেনাপতি মান সিংহ মেবারের রাণা প্রতাপ সিংহকে পরাজিত করেন।



রাজমহলের যুদ্ধ

এই যুদ্ধে দাউদ খানের পরাজিত হওয়ার কারনে বাংলায় মুঘল শাসন শক্তি লাভ হয়। যদিও পরে বারো ভুঁইয়া নামে পরিচিত জমিদারেরা বিদ্রোহ করেন। আকবরের পুত্র ছিলেন জাহাঙ্গীর।



ইনি হলেন সম্রাট আকবর





১৬২৮ সাল থেকে১৬৫৭ সাল পর্যন্ত সম্রাট শাহজাহানের শাসনকাল



শাহজাহান এসে সকল উত্তরাধিকারীর দাবীদারদের হত্যা করলেনন।এবং তার সকল ভাইদের তিনি হত্যা করলেনন এবং শাহজাহানের শাসনকালে তাজমহল তৈরি হয়। ভালবাসার এক অনবদ্য নিদর্শনরূপে তাজমহল বর্তমানে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত।

শাহজাহান অসুস্থ হয়ে পড়লে তার ছেলেরা গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। দারা ও সুজা এবং মুরাদকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসেন আওরঙ্গজেব। তিনি মারাঠা, ইংরেজ, শিখ ও অন্যান্য মুঘল্বিরোধীদের দমন করার সাময়িক চেষ্টা করেন। কিন্তু স্থায়ীভাবে সফল হননি








ছবি গুগল থেকে সংগ্রহ

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৭:৪২

সরদার হারুন বলেছেন: হা: ভাই বইতে পড়েছি । আবার আপনার লেখায় পড়লাম ।

+++++++++++++++++++++++++

১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৩৭

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ হারুন ভাই ।শুভ নববর্ষ

২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৯

সাইলেন্ট পেইন বলেছেন: নব বর্ষের শুভেচ্ছা…

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২৫

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।শুভ নববর্ষ

৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৮:৩০

করিম মিয়া বলেছেন: ফসলী সন/পহেলা বৈশাখের উদ্ভাবক সম্রাট আকবর পরিচিতি
---------------------------------------------------
জালাল উদ্দিন আকবর মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও তার বিশ্বাস ছিলো সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী। সে নিজেই একটি ধর্ম চালু করেছিলো যার নাম দ্বীন-ই-ইলাহি। তার রাজত্বকালেই হিন্দি কবি তুলসীদাস হিন্দি ভাষায় রামায়ণ রচনা করেছিলো। বাদশাহ বিশ্বাস করতো যে ,সূর্য বাদশাহ গনের অভিবাবক ও হিতাকাঙ্খী। তাই সে হিন্দুদের কাছ থেকে সূর্যকে বশীভূত করার মন্ত্র শিখেছিলো । মাঝরাত্রে ও ভোরে আকবর এই মন্ত্র পাঠ করতো। শিবরাতে সে যোগীদের আসরে সমস্ত রাত্রি বসে থাকতো এবং বিশ্বাস করতো যে , ইহাতে আয়ু বৃদ্ধী পায় । সম্রাট আকবর হিন্দুদের পূনর্জন্মবাদে বিশ্বাস করতো। মৃত্যুর পর সেও পুনরায় অন্য কোন সিংহাসনে আরোহন করবে বলে বাদশাহ বিশ্বাস করতো। ইসলাম ছাড়া অন্য সব ধর্মই বাদশাহর চোখে সুন্দর মনে হত। তার চোখে সবচেয়ে সুন্দর মনে হতো হিন্দুধর্ম। তাই তার নতুন ধর্ম 'দ্বীন-ই-ইলাহির' বেশীর ভাগ উপাদানই গৃহীত হয়েছিল হিন্দুধর্ম হতে। রাজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে আকবর হিন্দুদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছিলো। রাজস্ব সচিব রাজা টোডরমল এবং সেনাপতি রাজা মানসিংহ তাদের অন্যতম। আকবর হিন্দু নারীদের বিয়ে করতে পছন্দ করতো। জয়পুরের রাজকুমারী যোধবাইকে আকবর বিয়ে করেছিলো। বিকানের ও জয়সলমীরের শাসকেরাও নিজ নিজ কন্যার সঙ্গে আকবরের বিয়ে দেয়।একদিন বাদশাহ’র দরবারের ধর্মব্যবসায়ী আবুল ফজল বাদশাহকে একখানি কেতাব দেখাইয়া বলিলো,''আপনার জন্য ফেরেশতা ইহা আসমান হতে এনেছেন। সেই কেতাবের একস্থানে একটি আরবি বাক্য লিখিত ছিল,যাহার অর্থ এইরূপঃ ''হে মানুষ তুমি গাভী হত্যা করিও না । যদি কর তবে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।'' নিরক্ষর বাদশাহ ইহা বিশ্বাস করিলো এবং গরু জবেহ করা নিষিদ্ধ ঘোষনা করে দিলো । কানুন জারী করলো, কসাই এর সাথে কেউ আহার করলে তার হাত কেটে দেয়া হবে এমনকি তাহার স্ত্রীও যদি তাহার সাথে আহার করে তবে তার আঙ্গুল কাটা হবে। এই নুতন ধর্মে গরু, উট, ভেড়া প্রভৃতি জন্তুর গোশত হারাম বলিয়া ঘোষিত হল। পক্ষান্তরে বাঘ ভাল্লুকের গোশত হালালের মর্যাদা লাভ করে। মোট কথা সর্বক্ষেত্রে ইসলামের বিরোধিতা করাই ছিল দিন-ই-ইলাহির মূল উদ্দেশ্য।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার মুল্যবান মন্তব্য থেকে অনেক কিছু জানলাম ।শুভ নববর্ষ

৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:৫২

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল পোস্ট।

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২৬

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।শুভ নববর্ষ

৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:১১

কালের সময় বলেছেন: ভালো লাগা পোস্টে++++++

১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:২৭

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।শুভ নববর্ষ

৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১০:০০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: সব ইতিহাস সেইম কথা বলে
বিজয়, উত্থান, সপ্রসার, যুদ্ধ, রক্ত, ক্ষমতার লড়াই নিজেদের মাঝে, পতন।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২৪

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: শুধু সেইম কথা না আপু কাজে কর্মেও যুগ যুগ ধরে মনে তাই চলছে । ধন্যবাদ আপু । শুভ নববর্ষ ।

৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

হাসান মাহবুব বলেছেন: +++

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২৫

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ মাহবুব ভাই । শুভ নববর্ষ

৮| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩৩

ইটিশ পিটিশ বলেছেন: Onk kisu janlam

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২৬

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ভাল থাকুন । শুভ নববর্ষ ।

৯| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: শুভ নববর্ষ

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:২৭

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ নববর্ষ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.