নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী কিছু কথা।

২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭



হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে ।হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী ছিলেন বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দির সন্তান। স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দি কলকাতা হাইকোর্টের একজন খ্যাতনামা বিচারক ছিলেন । তার পরিবারের সদস্যবর্গ সেসময়ে ভারতবর্ষের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের প্রথা অনুসারে উর্দু ভাষা ব্যবহার করতেন ।

কিন্তু সোহরাওয়ার্দি নিজ উদ্যোগে বাংলা ভাষা শিখেন এবং বাংলার চর্চা করেন । তিনি কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষাজীবন শুরু করার পর যোগ দেন সেইন্ট জ্যাভিয়ার্স কলেজে। সেখান থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে তিনি স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। এরপর তিনি তার মায়ের অনুরোধে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে আরবি ভাষা এবং সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন ।

তিনি ১৯১৩ সালে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান । যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি বিজ্ঞান বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতক অর্জন করেন। তাছাড়াও সেখানে তিনি আইন বিষয়ে পড়াশোনা করেন ও বিসিএল ডিগ্রী অর্জন করেন ।হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী ১৯১৮ সালে গ্রেস ইন হতে বার এট ল ডিগ্রী অর্জন করেছেন । তারপর তিনি ১৯২১ সালে কলকাতায় ফিরে যায় এবং সেখানে আইন পেশায় নিয়োজিত হন ।

হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী ১৯২০ সালে বেগম নেয়াজ ফাতেমাকে বিয়ে করেন । বেগম নেয়াজ ফাতেমা ছিলেন সেসময়ের ব্রিটিশ ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্যার আবদুর রহিমের কন্যা ।

হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী প্রথমে যোগ দিয়েছিলেন চিত্তরঞ্জন দাসের স্বরাজ পার্টিতে । সে পাটিটি মূলত তখন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের অভ্যন্তরে একটি গ্রুপ ছিল । ১৯২৩ এর বেঙ্গল প্যাক্ট স্বাক্ষরে তার যথেষ্ট ভূমিকা ছিল।হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী ১৯২৪ সালে কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন । ১৯২৭ সালে সোহরাওয়ার্দী পদত্যাগ করেন । হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী ১৯২৮ সালে সর্ব ভারতীয় খিলাফত সম্মেলন এবং সর্ব ভারতীয় মুসলিম সম্মেলন অনুষ্ঠানে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন ।

মুসলমানদের মধ্যে তার ব্যাপক রাজনৈতিক প্রভাব থাকলেও ১৯৩৬ সাল পর্যন্ত মুসলিম লীগের সাথে তিনি জড়িত ছিলেন না । ১৯৩৬ সালের শুরুর দিকে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইন্ডিপেন্ড্যান্ট মুসলিম পার্টি নামক একটি দল গঠন করেছিলেন ।এবং ১৯৩৬ এর শেষের দিকে এই দলটি বাংলা প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাথে একীভূত হয় । সেই সুবাদে তিনি বেঙ্গল প্রভিন্সিয়াল মুসলিম লীগ তথা বিপিএমএল এর সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ।

১৯৪৩ সালের শেষ দিক পর্যন্ত হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এই পদে ছিলেন । ১৯৪৩ সালে শ্যমা হক মন্ত্রীসভার পদত্যাগের পরে গঠিত খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রীসভায় তিনি একজন প্রভাবশালী সদস্য ছিলেন। খাজা নাজিমুদ্দিনের মন্ত্রীসভায় তিনি শ্রমমন্ত্রী পৌর সরবরাহ মন্ত্রী ইত্যাদি দায়িত্ব পালন করেছেন । তাছাড়াও তিনি এবং আবুল হাশিম ১৯৪৬ এর নির্বাচনে বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের বিপুল বিজয়ে মূল কৃতিত্বের দাবীদার ছিলেন । ১৯৪৬ সালে বাংলার মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তান আন্দোলনে শহীদ

সোহরাওয়ার্দী ব্যাপক সমর্থন প্রদান করেন ।পূর্ব বাংলার মূখ্যমন্ত্রী হিসেবে ১৯৪৬ সালে তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের প্রতি তার সমর্থন এবং সহযোগিতা প্রদান করেছেন । স্বাধীন ভারতবর্ষের ব্যাপারে কেবিনেট মিশন প্ল্যানের বিরুদ্ধে জিন্নাহ ১৯৪৬ সালের আগস্ট ১৬ তারিখে প্রত্যক্ষ সংগ্রাম দিবসের ডাক দেন ।

বাংলায় সোহরাওয়ার্দির প্ররোচনায় এই দিন সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয় । মুসলমানদের জন্য আলাদা বাসভূমি পাকিস্তানের দাবীতে এই দিন মুসলমানরা বিক্ষোভ করলে কলকাতায় ব্যাপক হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা বেধে যায় । পূর্ব বাংলার নোয়াখালিতে এইদিন বিপুল ধ্বংসযজ্ঞ চলে । সোওহরাওয়ার্দী সেসময় তার নীরব ভূমিকার জন্য হিন্দুদের নিকট ব্যাপক সমালোচিত হন ।

তার উদ্যোগে ১৯৪৬ সালে দিল্লী সম্মেলনে মুসলিম লীগের আইন প্রণেতাদের নিকট লাহোর প্রস্তাবের একটি বিতর্কিত সংশোধনী পেশ করা হয়। এই সংশোধনীতে অখন্ড স্বাধীন বাংলার প্রস্তাবনা ছিল। কিন্তু কলকাতায় হিন্দু মুসলমান রায়টে তার বিতর্কিত ভূমিকার কারণে হিন্দুদের নিকট তার গ্রহণযোগ্যতা কমে যায় ।

ফলে শরৎচন্দ্র বসু ছাড়া কংগ্রেসের আর কোন নেতা তার অখণ্ড বাংলার ধারণার সাথে একমত ছিলেন না। ১৯৪৭ সালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী বাংলার মূখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যান ।

তবে পদত্যাগের পর শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাথে সাথে পাকিস্তান না গিয়ে কলকাতায় থেকে যান। এসময় কলকাতার মুসলমানদের সাথে হিন্দুদের পুণরায় বিরোধের সম্ভাবনায় তিনি মহাত্মা গান্ধীর সাহায্য চান। মহাত্মা গান্ধী এসময় তিনি যৌথ ভূমিকার শর্তে সোহরাওয়ার্দীর হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা প্রশমনের ডাকে সাড়া দেন।

উল্লেখ্য যে সোহরাওয়ার্দি ৪৭ এর দেশভাগের সাথে সাথে পাকিস্তানে চলে যাননি । ১৯৪৯ সালে তৎকালীন ভারত সরকার তার উপর ক্রমবর্ধমান করের বোঝা চাপালে সোহরাওয়ার্দী ভারত ত্যাগ করে পাকিস্তান চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন ।

১৯৪৭ এর আগস্টে পাকিস্তানের স্বাধীনতার পরে মুসলিম লীগের রক্ষনশীল নেতারা খাজা নাজিমুদ্দিনের নেতৃত্বে শক্তিশালী হয়ে উঠেন । তার আগে ১৯৪৭ সালের ৫ই আগস্ট খাজা নাজিমুদ্দিন জিন্নাহর পরোক্ষ সমর্থনে মুসলিম লীগের সংসদীয় দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন । তারপর থেকে পূর্ব বাংলার প্রাদেশিক মুসলিম লীগের প্রগতিশীল নেতারা কোনঠাসা হয়ে পড়েন । খাজা নাজিমুদ্দিন পূর্ববাংলার মূখ্যমন্ত্রী হবার পর বেশ কয়েকবার সোহরাওয়ার্দীকে ভারতীয় এজেন্ট এবং পাকিস্তানের শত্রু হিসেবে অভিহিত করেন । এবং সোহরাওয়ার্দীকে পাকিস্তানের আইনসভার সদস্য পদ থেকে অপসারিত করা হয়।

তার অনুসারী রা অনেকে ১৯৪৮সালের শুরুর দিকে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগ এবং ১৯৪৯সালের জুন মাসে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামিলীগ ও মুসলিম লীগ গঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং আবুল হাশেমের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের একাংশের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩রা জুন ঢাকার টিকাটুলীর কেএম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে ধর্মনিরপেক্ষতার চর্চা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সংগঠনটির নাম থেকে পরে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়া হয়।

প্রতিষ্ঠালগ্নে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি হন আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং সহ সভাপতি হন আতাউর রহমান খান,, শাখাওয়াত হোসেন ও আলী আহমদ। টাঙ্গাইলের শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং সে সময় শেখ মুজিবুর রহমান,, খন্দকার মোশতাক আহমদ ও এ কে রফিকুল হোসেনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।এবং কোষাধ্যক্ষ হন ইয়ার মোহাম্মদ খান। কারাগারে অন্তরীণ থাকা অবস্থাতেই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান মুজিব। অন্যদিকে পুরো পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সংগঠনটির নাম রাখা হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ। এর সভাপতি হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।

২৪ বছরের পাকিস্তান শাসনামলে আওয়ামী লীগ আতাউর রহমান খানের নেতৃত্বে দুইবছর প্রদেশে ক্ষমতাসীন ছিল এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে কেন্দ্রে ১৩ মাস কোয়ালিশন সরকারের অংশীদার ছিল। ১৯৫৩ সালে তিনি একে ফজলুল হক এবং মাওলানা ভাসানীর সাথে একত্রে যুক্তফ্রন্ট গঠন করেন। ১৯৫৪ সালের অনুষ্ঠিতব্য পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থাপক সভার নির্বাচন উপলক্ষে ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগকে পরাভূত করার জন্য আওয়ামিলীগ ও মুসলিম লীগের উদ্যোগে এই যুক্তফ্রন্ট গঠিত হয়। আওয়ামি মুসলিম লীগ

১৯৫৩ সালের ৪ ডিসেম্বর কৃষক শ্রমিক পার্টি এবং পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল ও পাকিস্তান খেলাফত পার্টির সঙ্গে মিলে যুক্তফ্রন্ট গঠন করে। এই যুক্তফ্রন্টের নেতা ছিলেনঃ ১। মওলানা ভাসানী ২।একে ফজলুল হক ৩। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। সেই যুক্তফ্রন্টে ২১ দফার একটি নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেন । ওই ইশতেহারের মধ্যে প্রধান দাবি ছিল ১। লাহোর প্রসত্দাবের ভিত্তিতে পূর্ববঙ্গকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন প্রদান করা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করা ২১শে ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা । ভাষা শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে শহীদ মিনার নির্মাণ করা ইত্যাদি বিষয়ে ।

১৯৫৪ সালের মার্চের ৮ থেকে ১২ তারিখ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তানের পরিষদের নির্বাচনে ২৩৭টি মুসলিম আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩টি আসন পায়। এরমধ্যে ১৪৩টি পেয়েছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ।



১৯৫৪ সালের নির্বাচনে মওলানা ভাসানী,, আবুল কাশেম ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কর্তৃক গঠিত যুক্তফ্রন্ট অভূতপূর্ব জয়লাভ করে। ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ সম্পূর্ণরূপে পরাভূত হয়। তারা শুধু ৯টি আসন লাভ করেন। ১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ মুসলিম শব্দটি বর্জন করে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। এরপর মোহাম্মদ আলী বগুড়ার মন্ত্রীসভায় সোহরাওয়ার্দি আইনমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৫৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ২০তারিখ হতে ১৯৫৫সালের আগস্ট পর্যন্ত সে পদে ছিলেন । এবং ১৯৫৫ সালের আগস্ট মাসের ১১তারিখ হতে ১৯৫৬সালের সেপ্টেম্বর ১তারিখ পর্যন্ত তিনি পাকিস্তান আইনসভায় বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন । ১৯৫৬ সালের পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণয়নে তার ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ।


তাছাড়াও তিনি ১৯৫৬সালের সেপ্টেম্বর ১২ তারিখ থেকে ১৯৫৭ সালের অক্টোবর ১১ তারিখ পর্যন্ত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন । ১৯৫৬ সালে চৌধুরি মোহাম্মদ আলির পদত্যাগের পর তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হন । পররাষ্ট্র বিষয়ে পাকিস্তানের যুক্তরাষ্ট্রপন্থী মনোভাবের ব্যাপারে তাকে অগ্রদূত হিসেবে অভিহিত করা হয় । ১৯৫৬ সালের সংখ্যা সাম্যের ভিত্তিতে একটি শাসনতন্ত্র গৃহীত হয় । উর্দুর সঙ্গে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকার করে নেয়া হয় । এবং সেসময় আওয়ামী লীগের ১৩ জন এমএনএ থাকা সত্ত্বেও রিপাকলিকান পার্টির সহযোগিতায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী প্রধানমন্ত্রী হন ।

প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যেকার অর্থনৈতিক বৈষম্য দূরীকরণে তিনি পদক্ষেপ নেন । কিন্তু তার এই পদক্ষেপ ব্যাপক রাজনৈতিক বিরোধিতার জন্ম দিয়েছিল । পূর্ব পাকিস্তানের মত পশ্চিম পাকিস্তানেও এক ইউনিট ধারণা প্রচলনের তার চেষ্টা পশ্চিম পাকিস্তানী রাজনীতিবিদদের কারণে নস্যাৎ হয়ে যায় । এরপর ১৯৫৮ সালের ইস্কান্দার মীর্জা পাকিস্তানে সামরিক শাসন জারী করেন । ১৯৫৯সালের আগস্ট হতে ইলেক্টিভ বডি ডিসকুয়ালিফিকেশান অর্ডার অনুসারে তাকে পাকিস্তানের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় । পাকিস্তান নিরাপত্তা আইনে রাস্ট্রবিরোধী কাজের অপরাধ দেখিয়ে ১৯৬২ সালের জানুয়ারির ৩০ তারিখে তাকে গ্রেফতার করা হয় । এবং করাচি সেন্ট্রাল জেলে তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় । এবং ১৯৬২ সালের আগস্ট মআসের ১৯ তারিখে তিনি মুক্তি পান । ১৯৬২সালের অক্টোবার মাসে তিনি আইয়ুব বিরোধী আন্দোলনের উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল ডেমোক্রাটিক ফ্রন্ট এন ডি এফ গঠন করেন।
জম্মঃ
হোসেন সোহরাওয়ার্দী জন্ম হয় ১৮৯২সালের সেপ্টেম্বর মাসের ৮তারিখে । তিনি একজন বিখ্যাত বাঙ্গালী রাজনীতিবিদ ও আইনজীবীও ছিলেন । যুক্তফ্রন্ট গঠনের মূলনেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম একজন । গণতান্ত্রিক রীতি এবং জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন । হোসেন সোহরাওয়ার্দী সুধী সমাজ কর্তৃক গণতন্ত্রের মানসপুত্র বলে আখ্যায়িত হন।
মৃত্যুঃ
স্বাস্থ্যগত কারণে ১৯৬৩ সালে তিনি দেশের বাইরে যান । এবং লেবাননের রাজধানী বৈরুতে অবস্থানকালে ১৯৬৩ সালের ডিসেম্বর মাসের ৫ তারিখে তিনি মারা যান । তার মৃত্যু অনেকের কাছে রহস্যমণ্ডিত ।

তথ্যসূত্রঃ

আমাদের কিশোরগঞ্জ
দ্য ডেইলি স্টার
http://www.thedailystar.net/story.php?nid=14212
টাইম ম্যাগাজিন
বিবেক বার্তা
দৈনিক সংবাদ
http://bibekbarta.com/bangla/article/specialreport/161/
দ্য ডেইলি স্টার

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০৪

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: ভাল পোস্ট।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৫৮

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাল থাকুন এই শুভ কামনা করি ।

২| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আরেকটি চমৎকার পোস্ট।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০০

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান ভাই আপনাদের মন্তব্যেই পোস্টের অণুপেরনা পাই । ভাল থাকবেন এই শুভ কামনা সবসময় ।

৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:১৪

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। ++++

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৭

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই ।

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০০

কালের সময় বলেছেন: অসাধারন আরেকটি শেয়ার । আপনার প্রতেকটি শেয়ারই খুব মনকড়া হয় । পরবর্তি শেয়ারের অপেক্ষায় রইলাম ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৮

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ দিয়েছি ।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১২:৩০

মোঃ শাহারুল কবীর বলেছেন: চমৎকার ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৬

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ কবীর ভাই।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৪:১৮

আমি সামুর ভ্ক্তু বলেছেন: অসাধারনশেয়ার

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০৪

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ আমার ব্লগে স্বাগতম ।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৫:২০

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ভালো লাগ্লো

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১:০২

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ মনিরা আপুনি । ভাল থাকুন এই শুভ কামনা সবসময়ের জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.