নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রাচীন বাংলার ইতিহাস কি জানেন ? না জানলে দয়া করে পড়ুন ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:৩২

বাংলার ইতিহাস বলতে অধুনা অথবা আদি বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের বিগত চার সহস্রাব্দের ইতিহাসকে বোঝানো হয়েছে । গঙ্গা এবং ব্রহ্মপুত্র নদ এক অর্থে বাংলাকে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছিল । কিন্তু তা সত্ত্বেও ভারতের ইতিহাসে বাংলা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।

প্রাচীন কালের ইতিহাস



প্রায় চারহাজার বছরের পুরনো তাম্রযুগের ধ্বংসাবশেষ বাংলায় পাওয়া যায় ।



ইন্দো-আর্যদের আসার পর অঙ্গ ও বঙ্গ এবং মগধ রাজ্য খ্রীষ্টপূর্ব দশম শতকে গঠিত হয় । এই রাজ্যগুলি বাংলা এবং বাংলার আশেপাশে স্থাপিত হয়েছিল । অঙ্গ ও বঙ্গ এবং মগধ রাজ্যের বর্ণনা প্রথম পাওয়া যায় অথর্ববেদে প্রায় ১০০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে ।



খ্রীষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতক থেকে বাংলার বেশিরভাগ এলাকাই শক্তিশালী রাজ্য মগধের অংশ ছিল । মগধ ছিল একটি প্রাচীন ইন্দো আর্য রাজ্য । মগধের কথা রামায়ণ এবং মহাভারতেও পাওয়া যায় । বুদ্ধের সময়ে এটি ছিল ভারতের চারটি প্রধান রাজ্যের মধ্যে একটি । মগধের ক্ষমতা বাড়ে বিম্বিসারের রাজত্বকাল ৪৯১ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ৫৪৪খ্রীষ্টাব্দের ভেতরে,, এবং তার ছেলে অজাতশত্রুর রাজত্বকাল ৪৯১ থেকে ৪৬০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ আমলে । বিহার এবং বাংলার অধিকাংশ জায়গাই মগধের ভিতরে ছিল ।



৩২৬ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের সেনাবাহিনী মগধের নন্দ সাম্রাজ্যের সীমানার দিকে অগ্রসর হয় । এই সেনাবাহিনী ক্লান্ত ছিল এবং গঙ্গা নদীর কাছাকাছি বিশাল ভারতীয় বাহিনীর মুখোমুখি হতে ভয় পেয়ে যান । এই বাহিনী বিয়াসের কাছে বিদ্রোহ ঘোষনা করে এবং আরও পূর্বদিকে যেতে অস্বীকার করে । আলেকজান্ডার তখন তার সহকারী কইনাস Coenus এর সাথে দেখা করার পরে ঠিক করেন ফিরে যাওয়াই ভাল ।



মৌর্য সাম্রাজ্য মগধেই গড়ে উঠেছিল । মৌর্য সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য । এই সাম্রাজ্য অশোকের রাজত্বকালে দক্ষিণ এশিয়া,, পারস্য,,আফগানিস্তান অবধি বিস্তার লাভ করেছিল । পরবর্তীকালে শক্তিশালী গুপ্ত সাম্রাজ্য মগধেই গড়ে ওঠে যা ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরাংশে এবং পারস্য ও আফগানিস্তানের কিছু অংশে বিস্তার লাভ করেছিল ।



মধ্য যুগের প্রথমাবস্থা গৌড় রাজ্য

বাংলার প্রথম স্বাধীন রাজা ছিলেন শশাঙ্ক যিনি ৬০৬ খ্রীষ্টাব্দ থেকে ৬৩৭ খ্রীষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন । সম্ভবত তিনি গুপ্ত সম্রাটদের অধীনে একজন সামন্তরাজা ছিলেল । তিনি সম্ভবত হর্ষবর্ধন এর ভগিনী রাজ্যশ্রী কে অপহরন করে ছিলেল । এইজন্য হর্ষবর্ধন এর সঙ্গে তার যুদ্ধ হয় । এবং তার শক্তি বৃদ্ধি হতে দেখে কামরুপ রাজ ভাস্করবর্মন তার শত্রু হর্ষবর্ধন এর সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করেন । ৬৩৭ খ্রীষ্টাব্দে শশাঙ্ক এর মৃত্যুর পর তার রাজ্যের পতন ঘটে এবং বাংলাতে এক অরাজক অবস্থার সৃস্টি হয় যাকে বাংলায় মাৎস্যন্যায় বলা হয় ।



৬৩৭ খ্রীষ্টাব্দে গৌড় রাজ শশাঙ্ক এর মৃত্যুর পর বাংলার ইতিহাসে একঘোরতর নৈরাজ্যের সৃস্টি হয় যা প্রায় দেড়শো বছর তা স্থায়ী হয় । এ সময় বাংলাতে বহু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যের সৃস্টি হয় আত্মকলহ,,গৃহযুদ্ধ,,গুপ্তহ্ত্যা,,অত্যাচার প্রভৃতি চরমে ওঠে । এ সময় বাংলার সাধারণ দরিদ্র মানুষদের দুর্দশার আর শেষ ছিল না । স্থায়ী কোন প্রশাসন না থাকার কারনে বাহুবলই ছিল শেষ শক্তি ।



পাল বংশের সময় কাল

মাৎস্যন্যায়ের সময় বাংলার বিশৃঙ্খলা দমনের জন্য বাংলার মানুষ নির্বাচনের মাধ্যমে গোপাল নামক এক সামন্তরাজা কে বাংলার রাজা হিসেবে গ্রহন করেন । গোপালই হলেন পাল বংশের প্রতিষ্ঠাতা ।পাল বংশের সবচেয়ে শক্তিশালী দুই রাজা ছিলেন ধর্মপাল রাজত্বকাল ৭৭৫ থেকে ৮১০ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত,, এবং দেবপাল রাজত্বকাল ছিল ৮১০ থেকে ৮৫০ খ্রিষ্টাব্দ ।



ব্রিটিশ শাসন সময় দিনকাল

ব্রিটিশ শাসনের সময়ে দুটি মারাত্মক দুর্ভিক্ষ বা মন্বন্তর বহুমানুষের জীবনহানি ঘটিয়েছিল । প্রথম দুর্ভিক্ষটি ঘটেছিল ১৭৭০ খ্রীষ্টাব্দে এবং দ্বিতীয়টি ঘটেছিল ১৯৪৩ খ্রীষ্টাব্দে । ১৭৭০ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির রাজত্বকালে বাংলার দুর্ভিক্ষটি ছিল ইতিহাসের সব থেকে বড় দুর্ভিক্ষগুলির মধ্যে একটি । বাংলার এক তৃতীয়াংশ মানুষের মৃত্যু ঘটেছিল ১৭৭০ এবং তার পরবর্তী বছরগুলিতে ।



১৮৫৭ খ্রীষ্টাব্দের সিপাহি বিদ্রোহ ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানির শাসনের অবসান ঘটায় এবং বাংলা সরাসরি ভাবে ব্রিটিশ রাজবংশের শাসনাধীনে আসে ।



বাংলা ছিল খুব ভালো ধান উৎপাদক অঞ্চল এবং এখানে সূক্ষ সুতিবস্ত্র মসলিন তৈরি হত । এছাড়া এই অঞ্চল ছিল পৃথিবীর পাট চাহিদার মুখ্য যোগানকারী । ১৮৫০ সাল থেকেই বাংলায় ভারতের প্রধান শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠতে থাকে । এই শিল্পাঞ্চল গড়ে উঠেছিল মূলত কলকাতার আশেপাশে এবং সদ্য গড়ে ওঠা শহরতলি এলাকায় । কিন্তু বাংলার বেশিরভাগ মানুষ তখনও কৃষির উপরেই বেশি নির্ভরশীল ছিলেন ।



ভারতের রাজনীতি এবং সংস্কৃতিতে বাংলার মানুষেরা অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণ করলেও বিশেষ করে পূর্ব বাংলায় তখনও খুব অনুন্নত জেলা ছিল । ১৮৭৭ খ্রীষ্টাব্দে রানী ভিক্টোরিয়া যখন ভারতের সম্রাজ্ঞী উপাধিতে নিজেকে ভূষিত করলেন তখন ব্রিটিশরা কলকাতাকে ব্রিটিশ রাজের রাজধানী বলে ঘোষনা করে ।




বাংলা নবজাগরণ বঙ্গভঙ্গ



১৯৪৭ সালের আগষ্ট মাসে ইংরেজ শাসিত ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে গণপ্রজাতন্ত্র ভারত এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্র আত্মপ্রকাশ পায়। তখন বাংলা ভাগ হয়ে পশ্চিম বাংলা ভারতের একটি অংশ এবং পূর্ব বাংলা পাকিস্তানের একটি অংশে পরিণত হয় ।



বাংলার স্বাধীন বৌদ্ধ ও হিন্দু নৃপতি পাল বংশদের রাজত্ব্য



প্রথম গোপাল ৭৫৬খ্রীষ্টাব্দ থেকে ৭৮১ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

ধর্মপাল ৭৮১ থেকে ৮২১ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

দেবপাল ৮২১ থেকে ৮৬১ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

প্রথম বিগ্রহপাল, মহেন্দ্রপাল ও প্রথম শূরপাল ৮৬১ থেকে ৮৬৬ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

নারায়নপাল ৮৬৬ থেকে ৯২০খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

রাজ্যপাল ৯২০ থেকে ৯৫২ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

দ্বিতীয় গোপাল ৯৫২ থেকে ৯৬৯ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

দ্বিতীয় বিগ্রহপাল ৯৬৯ থেকে ৯৯৫ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

প্রথম মহীপাল ৯৯৫ থেকে ১০৪৩ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

নয়াপাল ১০৪৩ থেকে ১০৫৮ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

তৃতীয় বিগ্রহপাল ১০৫৮ থেকে ১০৭৫ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

দ্বিতীয় মহীপাল ১০৭৫ থেকে ১০৮০ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

দ্বিতীয় শূরপাল ১০৭৫ থেকে ১০৭৭ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

রামপাল ১০৮২ থেকে ১১২৪ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

কুমারপাল ১১২৪ থেকে ১১২৯ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

মদনপাল ১১৪৩ থেকে ১১৬২ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

তৃতীয় গোপাল ১১২৯ থেকে ১১৪৩ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।




সেন বংশের রাজত্ব্য সময় কাল



হেমন্ত সেন ১০৯৭ খ্রীষ্টাব্দ ।

বিজয় সেন ১০৯৭ থেকে ১১৬০ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

বল্লাল সেন ১১৬০ থেকে ১১৭৮ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

লক্ষ্মন সেন ১১৭৮ থেকে ১২০৬ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

বিশ্বরূপ সেন ১২০৬ থেকে ১২২০ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

কেশব সেন ১২২০ থেকে ১২৫০ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।




ইলিয়াস শাহী বংশের রাজত্ব্য প্রথম পর্ব



শামসুদ্দীন ইলিয়াস শাহ ১৩৪২ থেকে ১৩৫৮ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত । । ১৩৪২ খ্রীষ্টাব্দ থেকে পশ্চিম বাংলার লখনৌতি রাজ্যের সুলতান এবং ১৩৫২ খ্রীষ্টাব্দ থেকে পুরো বাংলায় রাজত্ব করেন ।

প্রথম সিকান্দর শাহ ১৩৫৮ থেকে ১৩৯০ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

গিয়াসুদ্দীন আজম শাহ ১৩৯০ থেকে ১৪১১ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

সাইফুদ্দীন হামজা শাহ ১৪১১ থেকে ১৪১৩ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

শিহাবুদ্দিন বায়াজিদ শাহ ১৪১৩ থেকে ১৪১৪ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।

প্রথম আলাউদ্দীন ফিরোজ শাহ ১৪১৪ থেকে ১৪১৫ খ্রীষ্টাব্দ পযন্ত ।






মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:১৮

***মহারাজ*** বলেছেন: ভাল লাগা

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২১

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ
ভাই । ভালো থাকুন ।
শুভকামনা রইল সবসময়ের
জন্য ।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: +++

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:২২

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ
ভাই । ভালো থাকুন ।
শুভকামনা রইল সবসময়ের
জন্য ।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৪৩

আমি সামুর ভ্ক্তু বলেছেন: ++++++

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩২

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ
ভাই । ভালো থাকুন ।
শুভকামনা রইল সবসময়ের
জন্য ।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩২

দীপংকর চন্দ বলেছেন: অনেক ভালো লাগা থাকছে ভাই।

বাংলা শাসনের গ্রন্থিত ইতিহাস মূলত বহিরাগত শাসকদের।

তবু এর মাঝেও আমাদের নিজস্ব কিছু ঘটনা বিচ্ছিন্নভাবে ঘটেছে।

যেমন, পালরাজা দ্বিতীয় মহীপালের (১০৭০ খৃঃ - ১০৭১ খৃঃ) অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বরেন্দ্র ভূমিতে ধীবর বংশোদ্ভব দিব্যকের নেতৃত্বে একটি সফল বিদ্রোহ হয়।

সেই বিদ্রোহে স্বল্পকালের জন্য বরেন্দ্রভূমির কিয়দংশে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলার প্রাকৃত মানুষের শাসন।

এই শাসনকাল ভীষণ গৌরবের আমাদের প্রান্তিক ইতিহাসে।

শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন ভাই।

ভালো থাকবেন। সবসময়। অনেক।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ১:৩৪

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ
ভাই । ভালো থাকুন ।
শুভকামনা রইল সবসময়ের
জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.