নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ প্রিয় কন্ঠ শিল্পী মান্নাদে" র জম্ম দিন

০১ লা মে, ২০১৫ রাত ৩:২৭



আজ ১লা মে আজ প্রিয় কন্ঠ শিল্পী মান্নদের শুভজম্ম দিন । ১৯১৯ সালে ১লা মে তিনি জম্ম গ্রহণ করেন । তার ভাল নাম "প্রবোধ চন্দ্র দে" আর ডাক নাম ছিল মান্ন দে । তিনি ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের সেরা সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম একজন ।



তিনি ষাট বছরেরও অধিক সময় সঙ্গীত চর্চা করেছিলেন । তিনি হিন্দি, বাংলা, মারাঠি, গুজরাটিসহ অজস্র ভাষায় অনেক গান গেয়েছেন । বৈচিত্র্যের বিচারে তাকেই হিন্দি গানের ভুবনে সবর্কালের সেরা গায়ক হিসেবে স্বীকার করে থাকেন অনেক বিশেষজ্ঞ সঙ্গীতবোদ্ধারা ।



মান্না দে গায়ক হিসেবে ছিলেন আধুনিক বাংলা গানের জগতে সর্বস্তরের শ্রোতাদের কাছে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয় এবং একজন সফল সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব ।



তাছাড়াও তিনি হিন্দি এবং বাংলা সিনেমায় গায়ক হিসেবে অশেষ সুনাম অর্জন করেছেন । মোহাম্মদ রফি,, কিশোর কুমার,, মুকেশের মতো তিনিও ১৯৫০ থেকে ১৯৭০ এর দশক পর্যন্ত ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেন । সঙ্গীত জীবনে তিনি সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি গান রেকর্ড করেন ।



সঙ্গীত ভুবনে তার এ অসামান্য অবদানের কথা স্বীকার করে ভারত সরকার ১৯৭১ সালে পদ্মশ্রী, ২০০৫ সালে পদ্মবিভূষণ এবং ২০০৯ সালে দাদাসাহেব ফালকে সম্মাননায় অভিষিক্ত করে । ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে রাজ্যের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান বঙ্গবিভূষণ প্রদান করে ।




তার বাবার নাম পূর্ণ চন্দ্র এবং মা" মহামায়া দে । বাবা-মায়ের সংস্পর্শ ছাড়াও তিনি পিতৃসম্বন্ধীয় সর্বকনিষ্ঠ কাকা সঙ্গীতাচার্য সঙ্গীতে বিশেষ একজন দক্ষ শিক্ষক, কে.সি. দে পূর্ণনাম" কৃষ্ণ চন্দ্র দে" তাকে খুব বেশী অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত করেছেন ।



মান্না দে তার শৈশব পাঠ গ্রহণ করেছেন "ইন্দু বাবুর পাঠশালা" নামে একটি ছোট প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে । তারপর তিনি স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল এবং স্কটিশ চার্চ কলেজে স্নাতক শিক্ষাগ্রহণ করেছিলেন ।



স্কটিশ চার্চ কলেজে অধ্যয়নকালীন তিনি তার সহপাঠীদেরকে গান শুনিয়ে আসর মাতিয়ে রাখতেন । তিনি তার কাকা কৃষ্ণ চন্দ্র দে এবং উস্তাদ দাবির খানের কাছ থেকে গানের শিক্ষা লাভ করেন ।



ঐ সময়ে মান্না দে আন্তঃকলেজ গানের প্রতিযোগিতায় ধারাবাহিকভাবে তিন বছর তিনটি আলাদা শ্রেণীবিভাগে প্রথম হয়েছিলেন ।




মান্না দে ১৯৪২ সালে কৃষ্ণ চন্দ্র দে র সাথে বোম্বে বর্তমান মুম্বাই দেখতে আসেন । সেখানে শুরুতে তিনি কৃষ্ণ চন্দ্র দে র অধীনে সহকারী হিসেবে এবং তারপর শচীন দেব বর্মণ এস.ডি. বর্মণ এর অধীনে কাজ করেন ।



পরবর্তীতে তিনি অন্যান্য স্বনামধন্য গীতিকারের সান্নিধ্যে আসেন এবং তারপর স্বাধীনভাবে নিজেই কাজ করতে শুরু করেন । সে সময় তিনি বিভিন্ন হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্য সঙ্গীত পরিচালনার পাশাপাশি উস্তাদ আমান আলি খান ও উস্তাদ আব্দুল রহমান খানের কাছ থেকে হিন্দুস্তানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নেন ।




১৯৪৩ সালে চলচ্চিত্রে গায়ক হিসেবে মান্না দে র অভিষেক ঘটে । সুরাইয়া র সাথে দ্বৈত সঙ্গীতে গান এবং সুরকার ছিলেন কৃষ্ণ চন্দ্র দে । সেই সময়ে সে গানটি ভীষণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল । ১৯৫০ সালে মশাল ছবিতে শচীন দেব বর্মণের গীত রচনায় "ওপার গগন বিশাল" নামে গানটি একক কন্ঠে গেয়েছিলেন ।



এর গানের কথা লিখেছিলেন কবি প্রদীপ । ১৯৫২ সালে মান্না দে বাংলা ও মারাঠী ছবিতে একই নামে গল্পে আমার ভূপালী গান । এরফলেই তিনি প্রতিষ্ঠিত এবং পাকাপোক্ত করেন ও জনপ্রিয় গায়ক হিসেবে সঙ্গীতপ্রেমীদের কাছ থেকে স্বীকৃতি পান ।



মান্না দে ভীমসেন জোসি র সাথে একটি জনপ্রিয় দ্বৈত "কেতকী গুলাব জুহি" গানটি গান । তিনি কিশোর কুমারের সাথে আলাদা গোত্রের দ্বৈত গান হিসেবে "ইয়ে দোস্তী হাম নেহী তোড়েঙ্গে শোলে" এবং "এক চতুর নার পডোসন" গানটিও গান ।



মান্না দে শিল্পী এবং গীতিকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায় "হেমন্ত কুমার" সহ আরো বেশকিছু গীতিকারের সাথে বাংলা ছবিতে গান গেয়েছিলেন । দ্বৈত সঙ্গীতে লতা মঙ্গেশকরের সাথে "কে প্রথম কাছে এসেছি "শঙ্খবেলা" গান করেছেন । মান্না দে রবীন্দ্র সঙ্গীতসহ প্রায় "পয়ত্রিশত" গান গেয়েছেন ।




মান্না দে পদ্মশ্রী এবং পদ্মবিভূষণ খেতাবসহ অসংখ্য খেতাব অর্জন করেছেন । অন্যান্য পুরস্কারের তালিকা

১৯৬৯ সালে হিন্দী চলচ্চিত্র মেরে হুজুর ছবির গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার "শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী" পুরুষ ।

১৯৬৯ সালে জাতীয় ছায়াছবি পূরস্কার Renaissance Sanskritik Parishad এর মধ্যে মধ্যপ্রদেশ ।

১৯৭১ সালে বাংলা চলচ্চিত্র নিশি পদ্মে ছবির গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার "শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পী" পুরুষ ।

১৯৭১ সালে ভারত সরকার পদ্মশ্রী পুরস্কার দেয় ।

১৯৮৫ সালে মধ্য প্রদেশ সরকার লতা মঙ্গেশকার পদক প্রদান করে ।

১৯৮৮ সালে রেনেসা সাংস্কৃতিক পরিষদ, ঢাকা থেকে মাইকেল সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করে ।

১৯৯০ সালে মিঠুন ফ্যানস এসোসিয়েশনের তরফ থেকে শ্যামল মিত্র পুরস্কার ।

১৯৯১ সালে শ্রী ক্ষেত্র কলা প্রকাশিকা, পুরী থেকে সঙ্গীত স্বর্ণচূড় পুরস্কার প্রদান ।

১৯৯৩ সালে পি.সি চন্দ্র গ্রুপ ও অন্যান্যদের পক্ষ থেকে পি.সি. চন্দ্র পুরস্কার ।

১৯৯৯ সালে কমলা দেবী গ্রুপ কমলা দেবী রায় পুরস্কার প্রদান করে ।

২০০১ সালে ‍আনন্দবাজার গ্রুপ আনন্দলোক আজীবন সম্মাননা প্রদান করে ।

২০০২ সালে বিশেষ জুরী বোর্ড কর্তৃক সঙ্গীতে অবদানের জন্য সারল্য যশোদাস পুরস্কার প্রদান করে ।

২০০৩ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক আলাউদ্দিন খান পুরস্কারে ভূষিত ।

২০০৪ সালে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডি.লিট সম্মাননা প্রদান ।

২০০৪সালে কেরালা সরকার গায়ক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার প্রদান করে ।

২০০৫ সালে ভারত সরকার কর্তৃক পদ্মবিভূষণ খেতাব প্রদান ।

২০০৫ সালে মহারাষ্ট্রের সরকার কর্তৃক আজীবনকাল সম্মান প্রদান ।

২০০৭ সালে ওড়িষ্যা সরকার “প্রথম অক্ষয়” পুরস্কার প্রদান ।

২০০৮সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ডি.লিট সম্মান প্রদান ।



২০১১সালে ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মান প্রদান ২০১১- পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক বঙ্গবিভূষণ প্রদান ।



২০১২ সালে তার কৃতিত্বের জন্য ২৪ ঘণ্টা টিভি চ্যানেল আজীবন অনন্যা সম্মান প্রদান করে ।


মান্ন দে"র কন্ঠে জনপ্রিয় গানগুলো



কফি হাউজের সেই আড্ডাটা,,

আবার হবে তো দেখা,,

এই কূলে আমি,, আর ওই কূলে তুমি,,

তীর ভাঙা ঢেউ আর নীড় ভাঙা ঝড়,,

যদি কাগজে লেখো নাম,,

সে আমার ছোট বোন,,

তুমি এলে,, অনেক দিন পরে যেন বৃষ্টি এলো,,,,,,,,,,,,,






মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা মে, ২০১৫ সকাল ১০:২৩

আমি সামুর ভ্ক্তু বলেছেন: ++++++

০২ রা মে, ২০১৫ সকাল ৭:২০

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো থাকুন ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.