নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা এন্ড মুর্শিদাবাদের নবাবগণ :) :) পর্ব ৪ ও শেষ পর্ব

১৬ ই মে, ২০১৫ রাত ১:৩৭

মীর জাফর আলী খান

মীরজাফর, যাঁর সম্পূর্ণ নাম মীর জাফর আলী খান তিনিও বাংলার একজন বিশ্বাস ঘাতক নবাব ছিলেন । মীরজাফর সিরাজদ্দৌলার একজন অমাত্য ছিলেন । তিনি নবাব সিরাজদ্দৌলার প্রধান সেনাপতি ছিলেন । নবাব আলীবর্দ্দী খান তার দৌহিত্র সিরাজউদ্দৌলাকে বাংলার নবাব করায় ক্ষুব্ধ হন মীর জাফর । তাই তিনি প্রধান সেনাপতি হয়েও কখনোই সিরাজউদ্দৌলাকে নবাব হিসেবে মেনে নিতে পারেন নি । সব সময় তিনি চেয়েছেন বাংলার নবাবের পতন । কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতা করে তিনি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রবার্ট ক্লাইভ এর সাথে তিনি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন এবং পলাশীর যুদ্ধে তার কারণেই ব্রিটিশদের হাতে সিরাজুদ্দৌলার পরাজয় ঘটে । এই যুদ্ধের পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মীরজাফরকে নবাবের মসনদে অধিষ্ঠিত করে ।

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর আম্রকাননে ইংরেজ বেনিয়াদের সঙ্গে বাংলা ও বিহার এবং উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার সৈন্যদের লড়াই হলো । এই যুদ্ধে নবাবের পক্ষে স্বাধীনতা রক্ষার লড়াইয়ে প্রধান সেনাপতি ছিলেন বিশ্বাসঘাতক মীরজাফর আলী খান । তার সঙ্গে ছিলেন মীর মদন আর মোহনলাল । মীর মদন আর মোহনলাল ইংরেজদের বিরুদ্ধে বীর বিক্রমে লড়াই করে পরাজিত হলেন । আর যুদ্ধের ময়দানে নিরবে দাড়িয়ে থেকে প্রধান সেনাপতি মীরজাফর আলী খান এবং তার দোসররা ধূর্ত ইংরেজ বেনিয়া লর্ড ক্লাইভের হাতে বাংলার শাসন ক্ষমতা তুলে দিল । পরাজিত হলেন বাংলা ও বিহার উড়িষ্যার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা । মুষ্টিমেয় ইংরেজ শাসক বিশ্বাসঘাতকদের সহায়তায় বাংলায় তাদের শাসন ক্ষমতা পোক্ত করে এবং সোয়া দুইশত বছর এদেশকে ইংরেজরা শাসন করে । সেই থেকেই মীরজাফরের নাম বিশ্বাসঘাতকতার রূপক হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছে ।

নবাব মীর মুহাম্মাদ কাসিম আলী খান


নবাব মীর মুহাম্মাদ কাসিম আলী খান
মীর মুহাম্মাদ কাসিম আলী খান ১৭৬০ সাল থেকে ১৭৬৩ সাল পর্যন্ত বাংলার নবাব ছিলেন । পলাশীর যুদ্ধ পরবর্তী নবাব মীরজাফরকে ক্ষমতাচ্যুত করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি মীর কাসিমকে ক্ষমতায় বসায় ।


নাজিম উদ্দিন আলী খান যিনি নাজিম উদ দৌলা নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন ।
নাজিম উদ্দিন আলী খান যিনি নাজিম উদ দৌলা অথবা নাজাম উদ দৌলা নামেই বেশি পরিচিত ছিলেন । তিনি ১৭৬৫ সাল থেকে ১৭৬৬ সাল পর্যন্ত বাংলা,বিহার,উড়িষ্যার একজন নবাব ছিলেন । তিনি ছিলেন মীর জাফরের দ্বিতীয় পুত্র । নাজিম উদ দৌলা তার পিতা মীর জাফরের মৃত্যুর পর রাজপদে অধিষ্ঠিত হন । রাজ্যাভিষেকের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৫ বছর । তিনি ১৭৬৫ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি সিংহাসনে আরোহন করেন ।

১৭৬৫ সালে বক্সারের যুদ্ধে ব্রিটিশরা জয়লাভের ফলে বাংলা ও বিহার এবং ওরিষ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় শাহ আলম এর কাছ থেকে দেওয়ানী রাজ্য শাসণের জন্য পদ লাভ করে । ১৭৬৫ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে নবাব কর্তৃক ব্রিটিশদের কাছে দেওয়ানী অর্পণ করা হয় ।
নাজিমুদ্দিন মুর্শিদাবাদের দূর্গে রবার্ট ক্লাইভের সম্মানে দেওয়া একটি পার্টিতে জ্বরে আক্রান্ত হন এবং ১৭৬৬ সালের ৮ই মে মৃত্যুবরণ করেন । তাকে জাফরগঞ্জের সমাধিক্ষেত্র সমাহিত করা হয় এবং উত্তরাধিকারসূত্রে তার ছোট ভাই নাজাবুত আলী খান নবাব পদে অধিষ্ঠিত হন ।

মীর জাফরের মৃত্যুর পর নাজিমুদ্দীন সুজা উল মুলুক দেশের নায়ক নাজাম উদ দৌলা রাজ্যের স্টার মহবত জং যুদ্ধের বিভিষীকা উপাধি গ্রহণ করে ১৫ বছর বয়সে ৫ই ফেব্রুয়ারি ১৭৬৫ সালে সিংহাসনে আরোহন করেন । ১৭৬৫ সালের ২৩শে ফেব্রুয়ারি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিও তাকে অনুমোদন দেয় । এরজন্য তাকে বেশ কিছু অর্থ ব্যায় করতে হয় এবং এটি কলকাতা কাউন্সিলের সদস্যদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয় ।
১৭৬৬ সালের ৮ই মে নাজিমুদ্দীন মৃত্যুবরণ করেন । এরপূর্বে রবার্ট ক্লাইভের সম্মানে দেওয়া এক পার্টিতে তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন । তাকে জাফরগঞ্জ সমাধিক্ষেত্রে তার পিতা মীর জাফরের সমাধির পশ্চিম পাশে সমাধিস্থ করা হয় । তিনি ছিলেন নিঃসন্তান । তার ছোট ভাই নাজবুত আলী খান মোহাম্মদীয় আইন অনুসারে রাজত্ব লাভ করেন ।


নবাব নাজাবুত আলী খান
সাঈদ নাজাবুত আলী খান বাহাদুর জন্মনাম মীর ফুলওয়ারী । তিনি ১৭৬৬ সালে তার বড় ভাই নবাব নাজিম নাজিমুদ্দীন আলী খানের মৃত্যুর পর বাংলা ও বিহার এবং উড়িষ্যার নবাব হিসেবে সিংহাসনে আরোহন করেন । নাজাবুত আলী খান সাইফ উদ দৌলা নামেই বেশি পরিচিত । তিনি ছিলেন মুন্নী বেগম এবং মীর জাফরের তৃতীয় পুত্র । সিংহাসনে আরোহনের সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৭ বছর । তিনি তার মায়ের তত্ত্বাবধানে সিংহাসন ত্যাগ করেন এবং ১০ই মার্চ ১৭৭০ সালে গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ।

নবাব আশরাফ আলী খান
আশরাফ আলী খান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা । স্বাধীনতা যুদ্ধে তার সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে ।
আশরাফ আলী খানের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার চট্টিগ্রামে । তার বাবার নাম আবদুল মমিন খান মোজাহেদী এবং মায়ের নাম মরিয়ম খাতুন । তার স্ত্রীর নাম জীবুন্নাহার । এ দম্পতির তিন ছেলে ।
প্রথম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক ছিলেন আশরাফ আলী খান । ১৯৭১ সালের ৩০শে মার্চ যশোর সেনানিবাসে আক্রান্ত হন । এরপর তারা সেখান থেকে বেরিয়ে চৌগাছায় মিলিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন । তিনি সিলেটের গৌরীপুর ছাড়াও কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার কোদালকাটি কামালপুর যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ।


মুক্তিযুদ্ধে আশরাফ আলী খান এর ভূমিকা
১৯৭১ সালের ২২ শে নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট এলাকা অদূরে সুরমা নদী এবং তার দক্ষিণ তীরে গৌরীপুর । সেখানে অবস্থান নিল মুক্তিবাহিনীর একটি অগ্রবর্তী দল । এই দলে আছেন মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান । এ দলে তিনি হেভি মেশিনগান চালান । কানাইঘাটে ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৩১ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের আলফা কোম্পানি । তারা হঠাৎ তাদের ডিফেন্স পজিশন ছেড়ে গৌরীপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণ করলো । অতর্কিত এই আক্রমণে মুক্তিবাহিনীর অবস্থান বেশ নাজুক হয়ে পড়লো । প্রাথমিক বিপর্যয় কাটিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা সাহসিকতা এবং দৃঢ়তার সঙ্গে পাকিস্তানিদের আক্রমণ প্রতিহত করে যাচ্ছেন । চারদিকে গোলাগুলির তীব্র শব্দ । আর্তনাদ আর চিৎকার । আশরাফ আলী খান বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করছেন । মাঝেমধ্যে দেখছেন সহযোদ্ধাদের শহীদ এবং আহত হওয়ার দৃশ্য । ক্রমে মুক্তিবাহিনীর হতাহতের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে । একপর্যায়ে তাদের আলফা কোম্পানির কমান্ডার ক্যাপ্টেন মাহবুব শহীদ হলেন । ক্যাপ্টেন মাহবুব শহীদ হলে কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করতে থাকেন লেফটেন্যান্ট লিয়াকত । তিনিও শত্রুর গুলিতে আহত হন । আশরাফ আলী নিজেও শত্রুর গুলিতে গুরুতরভাবে আহত হলেন । তার বুকে দুটি গুলি লাগে । সেদিন গৌরীপুরে ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয় । মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের ক্ষয়ক্ষতি উপেক্ষা করে দৃঢ়তার সঙ্গে পাকিস্তানিদের আক্রমণ শেষ পর্যন্ত প্রতিহত করেন । মুক্তিযোদ্ধারা গতানুগতিক সম্মুখযুদ্ধেও যে দক্ষ তা সেদিন তারা স্বীয় শৌর্যবীর্য এবং ত্যাগের মাধ্যমে প্রমাণ করেন । সেদিন তাদের সাহস মনোবল,, বীরত্ব এবং রণনৈপুণ্যের কাছে পাকিস্তানিরা হার মানতে বাধ্য হয়েছিল । পাকিস্তানিরা গৌরীপুর থেকে পালিয়ে আবার তাদের কানাইঘাট ডিফেন্সে অবস্থান নেয় । তিনি বীর প্রতীকের খেতাব পান

বাংলার আরো কিছু নবাব গণের নাম দিয়ে দিলাম যাদের সঠিক কোন তথ্য আমার কাছে নেই অথবা এখন আমার হাতে আছেনি ।
(*) বাবর আলী খান বাহাদুর
(*) জাইন উদ্দিন আলী খান বাহাদুর
(*) আহমেদ আলী খান বাহাদুর
(*) মুবারক আলী খান বাহাদুর

(*) মনসুর আলী খান বাহাদুর ।


মুর্শিদাবাদের নবাব গণঃ

(*) হাসান আলী মির্জা খান বাহাদুর

(*) ওয়াসিফ আলী মির্জা খান বাহাদুর

(*) ওয়ারিস আলী মির্জা খান বাহাদুর

তথ্যঃ সংগ্রহ ইন্টারনেট ও গুগল ।
আর ছবির সংগ্রহের জন্য বাংলা উইকিপিডিয়ার কাছে আন্তরীক কৃতজ্ঞতা ।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ১১:২২

আমি মিন্টু বলেছেন: চমৎকার বাহ! অসাধারণ শেয়ার ।

২| ১৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো একটা সিরিজ ছিলো।

৩| ১৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ১:৩৫

বিষক্ষয় বলেছেন: "খান বাহাদুর" ব্রিটিশদের দেয়া উপাধি..................আমার ধারনা ব্রিটিশদের দালাল কিসিমের লোকদের দেয়া হতো

৪| ১৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

কালের সময় বলেছেন: বাহ একটি অসাধারণ তথ্যমূলক সিরিজ শেষ হয়ে গেল পোস্ট ভাই প্রিয়তে নিলাম । আর আপনাকে
অনুসরণে রাখলাম ।

৫| ১৬ ই মে, ২০১৫ দুপুর ২:৫৯

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার শেয়ার ভালো লাগলো ।

৬| ১৭ ই মে, ২০১৫ রাত ১:০৯

***মহারাজ*** বলেছেন: সুন্দর ভালো লাগা পোস্ট ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.