চলুন আজ আমরা প্রজাপতি মাছ সম্পর্ক জানি ।

১৬ ই মে, ২০১৫ ভোর ৪:২৩

প্রজাপতি মাছ নয়নাভিরাম একটি সামুদ্রিক মাছ । এরা প্রজাপতির মতো বাতাসে উড়ে না বেড়ালেও সমুদ্র তলদেশের শৈলভূমিতে ঘুড়ে বেড়াতে ভালাবাসে । বড় কথা এদের গাত্র নানা রঙে বর্ণিল ও বিচিত্র নকশায় সজ্জিত । এ কারণেই এদের চলতি নাম প্রজাপতি মাছ । কিছু প্রজাপতি মাছের দেহের রঙ অনুজ্জ্বল হলেও অধিকাংশের দেহে রয়েছে উজ্জ্বল নীল ও লাল কমলা এবং হলদে পটভূমিতে বিচিত্র অনেক ধরনের নকশা । কোনোটির চোখের চার পাশে রয়েছে কালো রঙের রেখা পুচ্ছদেশে চোখের মতো দেখতে ফোটা দাগ যা দেখে সম্ভাব্য শিকারি প্রাণী ধাধায় পড়ে যায় । আর এই ফাকে প্রজাপতি মাছ পালিয়ে প্রাণ বাচায় ।


পৃথিবীর অধিকাংশ সামুদ্রিক এলাকায় এদের অস্তিত্ব পরিলক্ষিত হয় । মৎস বিশেষজ্ঞদের মতে কিটোডনটিডে পরিবারভুক্ত । বিশেষজ্ঞরা এ মাছটির এখন পযন্ত ১১৪টি প্রজাতি সনাক্ত করেছেন । এর একটির বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে আর তা হলো কিটোডন লুনুলা । প্রজাপতি মাছ আকারে বেশি বড় হয় না । ছোট ছোট মাছগুলো ৭ থেকে ৯ ইঞ্চি দীর্ঘ হয়ে থাকে । দেহ চ্যাপ্টা এবং পাতলা হয় । দেহের এরকম গঠন অনেকটা এদের সহদোর প্রজাতি অ্যাঙ্গলার ফিশের মতো । দিনের বেশির ভাগ সময় এরা প্রবালের মধ্যে ঘুরে ফিরে অতিবাহিত করে । খাদ্য নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো এ প্রজাতির মাছ খুব বাহানা করে এরা প্রবাল ছাড়া আর কিছুই খেতে চায় না । লম্বা ঠোট দিয়ে ক্লান্তিহীনভাবে প্রবালের গায়ে ঠুকরে ঠুকরে প্রবাল ও পলিপ কীট এবং অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রাণীর সন্ধান করে । কোনো কোনো প্রজাতির প্রজাপতি মাছ ছোট ঝাক বেধে পানির নিচে ঘোরাফেরা করেন । তবে এরা বেশির ভাগই জোড়ায় জোড়ায় চলাফেরা করেন । এরা জোড় গঠনের আগ পর্যন্ত নি:সঙ্গ থাকে । রাতে প্রজাপতি মাছ অন্ধকার প্রবালের ফাকে লুকিয়ে থাকে । এ সময় এদের উজ্জ্বল রঙ আর বিচিত্র নকশা প্রবালের পটভূমির সাথে মিশে যায় । ঘরে যারা মাছ পোষে তাদের কাছে প্রজাপতি মাছের বিশেষ কদর । তবে অ্যাকুয়ারিয়ামে এদের পালন করা অত সহজ নয় । এদের বাচিয়ে রাখার জন্য সর্বক্ষণিক বিশেষ পরিচর্যার প্রয়োজন হয় । এ মাছের দামও তুলনামূলক অনেক বেশি । কিন্তু এদের সৌন্দর্যের কথা ভেবে ক্রেতারা কিনতে মোটেও দ্বিধা করে না । আর যাই হোক সখের তোলা আশি টাকা ।

তথ্যঃ ইন্টারনেট ।

১ টি +০/-০