নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ

ব্লগার মাসুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিরাপদ খাদ্য আমাদের সকলের অধিকার ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৩


এবারের পোস্টের বিষয় নিরাপদ খাদ্য অধিকার। খাদ্য আমাদের বেঁচে থাকার প্রধান এক নিয়ামত । আজ আমরা যাই খাচ্ছি না কেন সবই অনিরাপদ ও বিষময় । আজ আমরা এমন এক অবস্থানে এসে পৌঁছেছি যে খাদ্য জীবন বাঁচানোর পরিবর্তে আমাদের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মিত্যুরদিকে বা ঝুঁকিপূণ্য অবস্থানে ঠেলে দিচ্ছে । অনিরাপদ খাদ্য আমাদের নিঃশব্দ হাতছানি দিয়ে প্রবাহের তোরে জীবনকে ভাসিয়ে নিচ্ছে নিশ্চিত এক আঁধারঘেরা নির্মম গন্তব্যের দিকে । তাই আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাদ্যই প্রয়োজন সবার আগে নিরাপদ হওয়া ।

তাই এখন আমাদের শ্লোগান হওয়া প্রয়োজনঃ
“প্রয়োজন আমাদের আগে সবার
নিরাপদ খাদ্য অধিকার”



খাদ্য নিরাপত্তার এক অন্যতম দিক হচ্ছে নিরাপদ খাদ্য । সরকারি ব্যবস্থার পাশাপাশি আমাদের নিজেদেরও কিছু সতর্ক ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিত । যেমন সাধারনত যতটুক সম্ভব নিরাপদ খাদ্য মানে ভেজাল এবং বিষমুক্ত খাদ্য বা খাদ্যশৃঙ্খলা বজায় রেখে আমাদের সকলের খাদ্য গ্রহণ করা প্রয়োজন ।প্রাকৃত বা যে কোন কারনেই হোক না কেন অনিরাপদ বিষযুক্ত ভেজাল খাদ্য থেকে বেঁচে থাকার তাগিদে আমাদের সকলের বিরত থাকতে হবে । সকলের মনে রাখতে হবে আবর্ত বা অনিরাপদ বিষযুক্ত খাদ্য থেকে
মুক্ত নিরাপদ খাদ্যয়ই আমাদের বেঁচে থাকার প্রধান অধিকার ।এক কথায় ভেজালহীন রাসায়নিকমুক্ত সাস্থ ঝুঁকিহীন পূর্ণ গুনমান সমৃদ্ধ খাদ্যয়ই আমাদের বেঁচে থাকার জন্য একমাত্র নিরাপদ খাদ্য এবং তা আমাদের গ্রহন উপযোগী খাদ্য । অতি দুঃখের কথা হলেও না বলে পারছি না যে খাদ্যের অনিরাপত্তার আবর্তে বিস্তৃতিতে নিরাপদ খাদ্য পাওয়া এবং নিশ্চয়তা এখন অনেকটাই বিলীনের পথে এগিয়ে চলছে ।

আমাদের সাধারন কৃষকদের হাতে চাষ করা শাকসবজি থেকে শুরু করে ফলমূল প্রতিদেন সব খাবারেই রয়েছে ভেজাল এবং রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতি ।

খাদ্যে ভেজালের প্রক্রিয়া যেমনঃ
ক্ষতিকর ও অকেজো বা প্রয়োজনীয় বহির্জাত দ্রব্য সরাসরি মেশানো অথবা যোগ করা হয় । যেমনঃ-ওজন বাড়ানোর জন্য বালি মেশানো । ভালো শস্যের সাথে কীটপতঙ্গ আক্রান্ত বা বিনষ্ট শস্য মেশানো বা মিশিয়ে বাজার জাত করা । আসল ও ভালো ডালের সাথে রঙ্গিন ইঁটের কনা বা টুকরো মেশানো ।
তাছাড়াও ঘি এর সাথে পশুরচর্বি মিশিয়ে বাজার জাত করন হচ্ছে । তিল বা নারিকেল তেলের সাথে বাদামের তেল বা তুলাবীজের তেল মেশানো হচ্ছে ।সরিষার সাথে শিয়াল কাঁটার বীজ মিশানো হচ্ছে ।সয়াবিন তেলে পামতেল মিশানো হচ্ছে ।দুধের মাখন তুলে নিয়ে পানি মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ।বাজারে এখন যেসব গুড়ো দুধ পাওয়া যায় তাতে বেশির ভাগ ময়দা আটা মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে ।

মসলার মধ্যে লঙ্কা অথবা হলুদ ও মরিচের গুড়োতে কাঠের গুড়ো এবং ইটের গুড়ো ও রঞ্জক পদার্থ মিশিয়ে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ।বাজারের বোতল করন ফলের রসে কৃত্রিম এবং নিষিদ্ধ দ্রব্য মিশিয়ে বিক্রি হচ্ছে যা শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সের সকলের জন অউপযোগী এবং ক্ষতিকর খাদ্য । মিনারেল ওয়াটারের বোতলে ওয়াসার পানি বিক্রি করা হচ্ছে । এমনকি বেকারির বিস্কুট চানাচুর কেক সহ বিভিন্ন বেকারির পন্যগুলোতে মিশানো হচ্ছে নানা ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ । আর এই রাসায়নিকের বিশাক্ত ছোবল থেকে মাছ গোশতও মুক্ত নয় । বলতে গেলে এখন সব কিছুতেই ভেজাল মিশানো । তবে আমাদের একটু কষ্ট হলেও এসব ভেজাল খাদ্যকে পাশ কাটিয়ে আসল খাদ্য খুঁজে বের করে তা গ্রহণ করতে হবে ।
ছবিসূত্র গুগল থেকে ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করে দেখান!

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৯

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই । আমরা বাংলাদেশে চেষ্টা করলে সব করাই সম্ভব । শুধু একটু পরিশ্রম করতে হবে ।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৪

আজমান আন্দালিব বলেছেন: ভেজাল বিষয়ক যা বললেন নিত্যইতো খাচ্ছি। এখন ভেজালহীন খেতে গেলে আবার মারা না যাই!

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৪

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই
তবেআমাদের একটু কষ্ট হলেও এসব ভেজাল খাদ্যকে পাশ কাটিয়ে আসল খাদ্য খুঁজে বের করে তা গ্রহণ করতে হবে ।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:৪৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ডাকাত ব্যবসায়ীরা জাতির জেনেটিকস বদলায়ে দেবে, রুগ্ন, ডায়াবেটিক, ক্যানসারের দেশ বানচ্ছে বাংলাদেশকে।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৬

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: সহমত ভাই ।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:২৮

আমি মিন্টু বলেছেন: নিরাপদ খাদ্য আমাদের অধিকার ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৭

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: জী মিন্টু ভাই নিরাপদ খাদ্য আমাদের সকলের অধিকার ।

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: এদেশে নিরাপদ খাদ্য খুঁজে বের করাটাই এখন মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে ।ভালো শেয়ার ।
খাদ্য বিষয় আমিও একটি পোস্ট লিখতেছি আপনার পোস্টিও প্রিয়তে রাখলাম ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।

৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
বিদেশীরাও তো Food grade প্রিজারভেটিভ ব্যবহার করে যা মার্কিন FDA এপ্রুভড।
চীন থেকে কমলা, কানাডা থেকে আপেল এক-দেড়মাস হাজার মাইল সাগর পাড়ি দিয়ে জাহাজে আসছে ঢাকায়।
পাপুয়ানিউগিনির পাকা কলা নিউইয়র্কের স্টোরে সোভা পাচ্ছে।
আমরা সেই বৈধ প্রিজারভেটিভ কেন ব্যবহার করছি না?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২৯

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: আপনা সাথে এক মত আমরা সেই বৈধ প্রিজারভেটিভ কেন ব্যবহার করছি না?

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৪৩

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার সুন্দর ভাবে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরছেন ।

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৩০

ব্লগার মাসুদ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.