নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I am a simple man with simple thoughts. I have some believes, so I respect others too.Try to learn sth in deep and try to teach too. I believe \" Dream big, aim high, do whatever you suppose to do, one day you will be successful\" - ex us air c

ম্যাভরিক০৫

ম্যাভরিক০৫ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চন্দ্রনাথ পাহাড় এবং গুলিয়াখালি সি বীচ ভ্রমণ

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:২৩

মাঝে মাঝে নিজের মন কে ছুটি দিতে হয় এই শহুরে কোলাহল থেকে। ক্লান্ত-শ্রান্ত মন কে নিয়ে যেতে হয়  প্রকৃতির কাছে, সবুজের মাঝে। এজন্যই গত সপ্তাহে ঘুরতে গিয়েছিলাম সীতাকুণ্ড এর চন্দ্রনাথ পাহাড়ে।

শহর থেকেমাত্র ২৫ কিমি দূরেই সীতাকুণ্ড। সেখানে সিএনজি অটো বা মাইক্রো ভারা করে আপনি সহজেই যেতে পারেন। আমরা ১৩ জন মিলে লেগুনা ভাড়া করেছিলাম। সকাল ৮ টায় চিটাগাং এ কে খান বাস স্টপ থেকে যাত্রা শুর করে দেড় ঘন্টার মধ্যেই পৌঁছে যাই। মাঝপথে আবার গাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল বলে ৩০ মিনিটের বিলম্ব। দিনটা বেশ পরিষ্কার। মেঘ মুক্ত পরিস্কার নীল আকাশ, সকাল ১০ টার দিকেই প্রচন্ড তাপ দিচ্ছে।কয়েকদিন বৃষ্টির পরে আকাশে যেন নতুন সূর্য  উঠেছে।

সীতাকুণ্ড শহর থেকে পুব দিকে চন্দ্রনাথ পাহাড়। রাস্তায় কাওকে বললেই দেখিয়ে দিবে। কলেজ রোড, এর পর ব্যাস কুন্ড। তারপর আর গাড়ি যায় না। গাড়ি থেকে নেমেই দেখি পাহাড় দেখা যাচ্ছে।

পাহাড় দেখেই এত তাড়াতাড়ি উঠতে শুরু করি যে ১০ মিনিট হাটার পড়েই একদম ক্লান্ত হয়ে যাই। তারপর রেস্ট নিয়ে নিয়ে উঠে যেতে প্রায় ২ ঘন্টা লেগে গেল। প্রথম পাহাড়ে উঠার পড়ে মনে হচ্ছে আর কোন শক্তি নাই। এদিকে পানি যা নিয়ে এসেছিলাম, সব খেয়ে শেষ। আরো বেশি পানি আনলে ভালো হত হয়ত। সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগতেছিল অসহ্য গরমের জন্য। তবে পাহাড়ে উঠে দেখি ঠাণ্ডা বাতাস আর মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। মনে এত কস্ট করে আসা টা স্বারথক হলো।

আমরা প্রায় দেড় ঘন্টা পাহাড়ের উপর ছিলাম। কি অপরূপ দৃশ্য। একপাশে বড় বড় টিলা-পাহাড়, অন্য পাশে সমুদ্র। সীতাকুন্ড শহরটাও দেখা যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, এখানেই একটা বাড়ি বানিয়ে থেকে যাই। কিন্তু তা কি আর হয়? আমাদের নেমে যেতে হলো একটু তাড়াতাড়ি করেই। কারন এরপর খেয়ে দেয়ে আবার গুলিয়াখালি যেতে হবে।

গুলিয়াখালি সি বীচ সীতাকুণ্ড থেকে মাত্র ১০ কিমি পশ্চিমে। যেতে প্রায় ২৫ মিনিট লাগলো। সাড়ে ৫ টায় গিয়ে পৌছলাম, তারপর অ মনে হলো দেরী হয়ে গেল। আরো আগে আসলে ভাল লাগত। 


অবশেষে আমরা ফেরার জন্য রওনা করি। সাক্সেসফুল একটা ট্যুর ছিল। তবে যারা এখানে যাবেন তাদের জন্য কিছু টীপ্সঃ

১। ভোরে পাহাড়ে উঠা সবচেয়ে ভাল। নাহয় রোদের তাপে যায় যায় অবস্থা হয়ে যায়।

২। প্রচুর পানি এবং স্যালাইন নিয়ে যাবেন। পাহারে উঠার সময় এর উপযোগিতা হারে হারে টের পেয়েছিলাম।

৩। গামছা বা সান ক্যাপ নয়ে যাবেন। সানগ্লাস নেয়াও ভালো। 

৪। পাহাড়ে উঠার সময় বামের রাস্তা ফলো করবেন আর নামার সময় ডান পাশের টা, মানে যেটায় সিঁড়ি করা।

৫। গুলিয়াখালি বিচে যাওয়ার সময় অবশ্যই জোয়ার ভাটার সময় যেনে নিবেন।



সবশেষে আমার করা একটু ছোট্ট ভিডিও দেখে নিতে পারেন, ভালো লাগবে আশা করি 

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

জয়নুলের কাক বলেছেন: ভালো পোস্ট। সমৃদ্ধ হলাম....

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৯

ম্যাভরিক০৫ বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

সুমন কর বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। ভালো লাগল।

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মন্দিরের সেবার লোকজন ছিল ওখানে?

ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটা মন্ডপের গায়ে গাছগাছড়া হয়ে উহাকে ধ্বংস করছে; ওরা কোন কিছুর যত্ন করে না?

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

ম্যাভরিক০৫ বলেছেন: হ্যা।

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

রাজীব নুর বলেছেন: খুব ভালো লাগলো পোষ্ট টি।

২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:৩২

ম্যাভরিক০৫ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.