নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

DEATH IS BETTER THAN DISGRACE

রসায়ন

রসায়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিমরা কেন পিছিয়ে পড়ছে

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৭

বড়ই আফসোস আর লজ্জার ব্যাপার

পৃথিবীতে ১৮০ কোটি মুসলিম থাকার পরও নোবেল প্রাইজ চালুর পর থেকে এই পর্যন্ত নোবেল উইনার মুসলিমের সংখ্যা ২০ ও ক্রস করবে না । অথচ প্রতি বছর ইসরায়েল থেকে নোবেল প্রাইজ পাচ্ছে মানুষ ।

আসলে আমরা মুসলিমরা চরম মাত্রায় অলস আর বোকা জাতি । মুসলিম দেশ গুলোর কি সম্পদ কম না যায়গা কম সবই পর্যাপ্ত কিন্তু নেই কাজ করার হ্যাডম । আছি কেবল আল্লাহর ওয়াস্তে কি পাওয়া যায় তা নিয়ে । একবার কোন এক মসজিদে গেলাম জুমার নামাজ পড়তে , ইমাম সাহেব কেবল পরকালে কি কি পাব সেই কথাই বললেন কিন্তু একবারও দুনিয়াতেও কিভাবে ভাল থাকতে পারি তার কথা নেই । এই যদি হয় অবস্থা তাহলে তো আমাদের লাথির উপরেই থাকতে হবে । এককালে ইংরেজরা লাথি মেরেছিল , আজকে ইউএসএ মারছে , কাল চীন মারবে । মানে লাথির উপরেই জীবন চলে যাবে । এর একমাত্র কারণ আমাদের ইনোভেশন বা উদ্ভাবনী ক্ষমতা জিরোর কাছাকাছি নিয়ে এসেছি আমরা । সেই মধ্যযুগে কয়েকজন মুসলিম বিজ্ঞানীর নাম বেঁচে আর কতকাল খাব আমরা । আমি আমার বাসার নিত্য ব্যবহার্য যা জিনিস পেলাম সবই অমুসলিম দেশ নয়ত কোম্পানির তৈরি করা । ১৮০ কোটি লোক বসে বসে ডিমে তা দিচ্ছি ।

পুরনো ঢাকার সিদ্দিকবাজার গিয়েছিলাম বাসার জন্য স্যানিটারি সামগ্রী(কল , বেসিন , পাইপ এইসব আর কি) কিনতে । দোকানিকে জিজ্ঞাসা করলাম আরএফএল এর প্রোডাক্ট বের করতে , সে উত্তর দিল নাই কারণ হিসেবে বলল সে কাদিয়ানীদের (প্রাণ আরএফএল গ্রূপের মালিক মৃত মেজর জেনারেল অব. আমজাদ আলী আহমদিয়া বা কাদিয়ানী ছিলেন) জিনিস বিক্রি করে না !!!

কি অদ্ভুত চিন্তাধারা ।

বাংলাদেশের প্রমিনেন্ট দুটো কোম্পানি আরএফএল আর স্কয়ার লিমিটেড দুটোই কিন্তু ননমুসলিম ওউন্ড । এইভাবে এরককম হিংসা জিনিসটাই আমাদের পিছিয়ে দিচ্ছে ।

বিশ্বের যত বড় বড় কোম্পানি যেমন মাইক্রোসফট , বোয়িং এয়ারক্রাফট কর্পোরেশন , সনি কর্পোরেশন , স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স লিমিটেড , এপোল ইনকর্পোরেট লিমিটেড , ফেইসবুক , টয়োটা অটোমোবাইলস , গুগল ইত্যাদি প্রায় সবই অমুসলিমদের । মুসলিমদের যদি কিছু পাওয়া যায় তারও সব টেকনোলজি আর ইঞ্জিনিয়ার ননমুসলিমদের দেয়া ।

মুসলিমরা ইনোভেশনে বাকিদের চেয়ে শত বছর পিছিয়ে । একটা ব্যাপার এ ব্যাপারে বিবেচ্য তা হল ইনোভেশন আর ব্যবহার করা । যে উদ্ভাবন করতে জানে সে তার প্রয়োজন মেটাতে নতুন কিছু বানিয়ে নিতে পারবে আর যারা টাকায় কিনবে তারা পণ্যের যোগান না পেলে শেষ । যেমন আমেরিকায় যদি ফোন তুলে দেয়া হয় তবে মার্কিন বিজ্ঞানীরা হয়ত এমন কোন প্রযুক্তির উদ্ভব ঘটাবে যার দ্বারা ফোনের কাজ হাতঘড়ি বা চশমার মাধ্যমেও করা সম্ভব যেমন আমরা দেখতে পাচ্ছি স্মার্ট ওয়াচ কিংবা মাইক্রোসফট হলো লেন্স বা গুগোল গ্লাস । কিন্তু সৌদি আরব বা আরব আমিরাতে যদি আজ মোবাইল টেকনোলজি বন্ধ করে দেয় তবে তাদের পঁচে মরা ছাড়া আর গতি নেই । বলতে পারেন তেলের কথা । আরে ঐ খনিজ তেলটুকুও নিজের যোগ্যতায় উঠানোর মুরোদ নেই । পশ্চিমা কোম্পানিরা যদি তাদের প্রযুক্তি আর যন্ত্রপাতি প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে ভাতে মারা যাবে তারা । তেল উঠানোর আগে তো তারা ভিক্ষা করেই খেত । এই তেল আবিষ্কারের পরেই না এত চর্বি জমল গায়ের ভিতর । এত বড় একটা দেশ সৌদি আরব অথচ নিজের যোগ্যতায় একটা সুঁই বানানোর ক্ষমতা নেই । আল্লাহর নামে তেল উঠাচ্ছে , বেচছে আর খাচ্ছে । জগ থেকে পানিটা ঢেলে খাওয়ার জন্যও তারা গরীব দেশগুলোর থেকে শ্রমিক নিয়ে যাচ্ছে । কয়দিন আগে দেখলাম সৌদি কিং ইন্দোনেশিয়ায় গিয়েছে সাথে চারশ টন মাল ইভেন লিফটও সাথে করে নিয়ে গেছে । এভাবে বিলাসিতায় তারা টাকা অপব্যয় করছে অথচ এই টাকা গুলো যদি তারা ইনোভেশনে ব্যয় করত তাহলে মুসলিম তো বটেই গোটা মানব জাতির উপকার হত । ফ্রান্সের লুই পাস্তুরের হাইড্রোফোবিয়া বা জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন যেমন আমরা ব্যবহার করছি একই ভাবে ইবনে হাসানের মাগনিফাইং গ্লাসও । এগুলো মানব জাতির উপকারে আসছে ।
একদিন এক ইন্ডিয়ান কে বললাম তোমরা কাশ্মীরে কেন মানুষ মারছো সে পাল্টা বললো সৌদি আরব কেন ইয়েমেনিদের মারছে সেটার প্রতিবাদ করেছো তো ?
আসলেই এই প্রশ্নের কোন উত্তর নেই আমার কাছে । ক্ষমতাকে ধরে রাখতে এই আরবি নেতারা মুসলিমদের বাঁশ দিয়ে পশ্চিমা বাবাদের খুশি রাখতে ব্যস্ত । বিচারটা এখন দেব কার কাছে ।


আবার একলা মুসলিম লিডারদের উপরও দোষ দিলে ব্যাপারটা অন্যায় হয়ে যায় । কারণ যখনই কোন মুসলিম দেশ উন্নত হওয়ার চেষ্টা করে তখনই পশ্চিমারা কোন এক ছুতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে ধ্বংস করতে । যেই ইরাক নিজে নিজে নতুন নতুন টেকনোলজি বানাতে শুরু করল অমনি সেখানে জঙ্গি বিষ ঢুকিয়ে , ভুয়া অস্ত্রের নাম করে আজকে ধুলিস্মাৎ করে দিলো আমেরিকা , সেই একই অবস্থায় লিবিয়ার এখন আবার চোখ পড়েছে আমার বাংলাদেশের উপর ।


আসলে কেউ যদি যুগের চাহিদা ধরতে ব্যর্থ হয় তবে তো মহাবিপদ । এখন আর তরবারির যুগ নেই । এখন হল মাথার যুগ । যে যত বেশি মাথা ইউজ করবে সেই অনায়াসে চলে যাবে নেতৃত্বে । এই যেমন চীন । তার আজকে এই টপ পজিশনে পৌঁছতে যুদ্ধ লাগে নি । সে উদ্ভাবনে মন দিয়েছিল তাই আজকে আমেরিকা জাপানের সাথে তার সাপে নেউলে সম্পর্ক থাকার পরও চীনের শীর্ষ দুই বাণিজ্য সহযোগী দেশ আমেরিকা আর জাপান । কিচ্ছু করার নেই । চীন নিজেকে টেকনোলজিতে দক্ষ করে তুলেছে , জন্ম দিয়েছে প্রযুক্তির আজ তাই সুঁই থেকে জাহাজের দশ হাজার হর্স পাওয়ারের মেরিন ইঞ্জিন সবই মেড ইন চায়না । কেউই চীনের মত কম দামে এই পণ্য সরবরাহ করতে পারবে না তাই ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক চীন ছাড়া গতি নেই ।

আমরা মুসলিমরা এখন শর্টকাট খুঁজি খুব । নামাজ রোজা করে বেহেস্তে যাওয়ার কি দরকার , যেয়ে বোমা মারো কিংবা বিধর্মীর কল্লা কাটো আর লাফ দিয়ে চলে যাও জান্নাতে । যদিও জঙ্গিবাদ মুসলিমদের রিপ্রেজেন্ট করে না বা এটা মুসলিমরা সাপোর্টও করে না কিন্তু এই বলে দায় এড়ানো যায় না ।

যেমন কোন জঙ্গি হামলা হলে আমরা যতোই বলি না কেন প্রকৃত মুসলিম এই কাজ করতে পারে না তাতে কোন লাভ নেই । হামলা কারীর নামের ভিতর আরবি ভাষা পেলেই দোষটা চলে আসবে আমাদের উপর , এবং আসাটা অবাক করার মত কিছু নয় । এই যেমন মায়ানমারে যে রোহিঙ্গাদের কচুকাটা করা হল নির্দয় ভাবে এখন সেখানকার বুদ্ধরা যদি বলে আমরা অহিংসা পরম ধর্মে বিশ্বাস করি কাজেই যারা রোহিঙ্গা হত্যা ও নির্যাতনে জড়িত তারা সহীহ/প্রকৃত বুদ্ধ না !!! তবে কেমন হবে ব্যাপারটা !!!

ইন্টারন্যাশনাল প্রখ্যাত ম্যাগাজিন TIME কিন্তু ঠিকই এক বুদ্ধ গুরুর ছবি ছাপা হয়েছিল(১ জুলাই ২০১৩ তারিখে) এই শিরোনামে "THE FACE OF BUDDHIST TERROR" অর্থাৎ বুদ্ধ জঙ্গির মুখ

একই ভাবে ইন্ডিয়ায় উত্তর প্রদেশে সন্ত্রাসী মৌলবাদী যোগী আদিত্যনাথকে মুখ্যমন্ত্রী করার আজকে আমেরিকার প্রখ্যাত নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকার নিউজ হয়েছে "Mr. Modi's Perilous Embrace of Hindu Extremists" অর্থাৎ জনাব মোদির হিন্দু উগ্রবাদীদের সাথে চাতুর্য্ পূর্ণ আঁতাত

এখানে উপরের দুটো জিনিসে ব্যক্তির জন্য তার দায় তাদের ধর্মের উপর চলে গেছে । আমিও এটা বলব না আর কেউই এটা বিশ্বাস করবে না যে বৌদ্ধ বা হিন্দুদের অধিকাংশ লোক নির্মম বা সন্ত্রাসী । বরং গুটিকয়েক লোকের দায় পুরো ধর্মের উপর চলে আসছে । আর এটা আসাটাই স্বাভাবিক কারণ ভালোর ক্রেডিট নিলে খারাপের টাও আপনাআপনি চলে আসবে । এখানে আমাদের চাওয়া বা না চাওয়াতে অন্যদের কিছু আসবে বা যাবে না । যেমন ইবনে সিনা নামের মধ্যযুগের একজন মুসলিম বিজ্ঞানীকে নিয়ে আমরা মুসলিমরা গর্ব করি এখন তিনি কয় ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন , রমজানে রোজা রাখতেন কিনা , কেমন ধার্মিক ছিলেন , কোরআন কয়বার খতম দিয়েছেন সেটা আমরা জানি না আর জানতেও চাই না কিন্তু তার পরও তার মুসলিম নামের কারণে তার ভাল কাজের ক্রেডিট মুসলিমদের উপরে চলে আসে । এখন একই ভাবে জঙ্গিরা আদৌ নামাজ রোজা করে কিনা বা কোরআন পড়েছে কিনা কিংবা কারো প্ররোচনায় জঙ্গিবাদে নেমেছে কিনা এটা কেউ যাচাই করতে যাবে না । তার নামের জন্য আর তার মুখে আল্লাহু আকবার ধ্বনির কারণে তাদের কাজের দায় ইসলাম আর আমাদের তথা মুসলিমদের উপরে চলে আসছে !!!

পরিশেষে আমাদের মুসলিম সমাজের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা এটাই থাকবে যে আমাদের শর্টকাট মারার ধান্দা থেকে বের করে এনে জ্ঞান বিজ্ঞানে , ল্যাবরেটরিতে মনোনিবেশ করিয়ে দাও ।

মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪

রিফাত হোসেন বলেছেন: মুসলিমদের ঈমান ঠিক আছে নাকি? আগে ঈমান ঠিক করতে হবে। বাংলাদেশ তো খৃষ্টান মেজরিটি নয় তবুও মুসলিমরা যে হারে ঘুষ,দুর্নীতি করে...
পয়সা থাকলে অলস থাকে আরবীদের মত আর জুলুম হয় দরিদ্রের উপর সামান্য মজুরী দিয়ে।(সব আরবী/মুসলিম এক নয়)
আর পয়সা একটু কম থাকলেই দুর্নীতি। আর অনেকে স্বচ্ছল থাকার পরেও লোভে পরে, নিজের ঈমান কে জলাঞ্জলী দিয়ে আমানতের খেয়ানত করে।

এমন করলি কি উন্নতি হবে নাকি?
আর জঙ্গিবাদ তো বাদই দিলাম...


২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৭

রসায়ন বলেছেন: ঈমানটা কমলো কেন সেটাই আমাদের বের করতে হবে । আসলে আমার মনে হয় হতাশা থেকে এর উৎপত্তি ।

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: যদি খালি আপনারা সত্য ইসলামের সন্ধান করতেন, এমনটা হতোনা।
প্রথম মুসলমান নোবেল বিজয়ীর গল্প জানেন? তাঁকে বলা হয়েছিল এই তত্ত্ব কোথায় পেলেন? তিনি বলেছিলেন, আল কোরআনে।
কুরআনের প্রথম নাযিলকৃত আয়াত হচ্ছে
"اقْرَأْ بِاسْمِ رَبِّكَ الَّذِي خَلَقَ
অর্থ: পড়ো ( হে নবী ) , তোমার রবের নামে ৷ যিনি সৃষ্টি করেছেন৷
আর আজকের সমাজে জ্ঞানীর কদর সবার পরে, অশিক্ষিত আলেম সবার আগে!
আমাদের মুসলিম সমাজের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা এটাই থাকবে যে আমাদের শর্টকাট মারার ধান্দা থেকে বের করে এনে জ্ঞান বিজ্ঞানে , ল্যাবরেটরিতে মনোনিবেশ করিয়ে দাও ।
আল্লাহ আপনার দোয়া কবুল করুন, আমীন।

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

রসায়ন বলেছেন: প্রথম মুসলিম নোবেল বিজয়ীর এই ঘটনার বিস্তারিত জানতে চাই । ভ্যালিড সোর্সের লিঙ্ক দিয়ে সাহায্য করুন

৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২২

চাঁদগাজী বলেছেন:


মুসলমানেরা পেছনে পড়েনি, তারা ঠিক আছে; তারা দুনিয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলে পরকাল হারাবে।

ইহুদী, খৃস্টান, বুদ্ধ ও হিন্দুদের জন্য এই দুনিয়ার আরাম আয়াস দেয়া হয়েছে; এখানেই তাদের সব শেষ; মুসলমানদের জন্য পরকাল।

আপনি যদি পারেন, খুবই শক্তিশালী একটি দোয়া আবিস্কার করেন, যেটা পড়লে ইরান ও বাংলাদেশ এটম বোমা তৈরি করে ফেলতে পারবে ।

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০১

রসায়ন বলেছেন: যদি তাই হয় তবে এই লাথি গুতা অত্যাচারকে নিয়তি ধরে নিয়ে চুপ করে থাকা ছাড়া উপায় দেখছি না । আর বর্তমান বিশ্বে এটা সম্ভব ও না । মানুষ ইসলামে সল্যুশন না পেলে নাস্তিকতার দিকে পা বাড়াবে আর কি

৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ধ্রুবক আলো বলেছেন: পৃথিবীতে ১৮০ কোটি মুসলিম থাকার পরও নোবেল প্রাইজ চালুর পর থেকে এই পর্যন্ত নোবেল উইনার মুসলিমের সংখ্যা ২০ ও ক্রস করবে না । অথচ প্রতি বছর ইসরায়েল থেকে নোবেল প্রাইজ পাচ্ছে মানুষ ।

নোবেল তো শান্তি পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয়, ইসরাইলিরা কি আদৌ শান্তির জন্য কাজ করে? নোবেল পাওয়া টা মুখ্য না মূল হলো ভালো কিছু করা।

আছি কেবল আল্লাহর ওয়াস্তে কি পাওয়া যায় তা নিয়ে।
আসলেই আমরা মুসলমানেরা অলস হয়ে গেছি, কোন উদ্ভাবনী কাজে মনোনিবেশ করছিনা। আর করতে চাইলেও তা করতে পারছিনা। অনেক বাধা ও বৈষম্য।
সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এক মুসলিম আরেক মুসলিম ভাইয়ের ভালো সহ্য করতে পারেনা!!
অনেক কিছু বলার আছে কিন্তু বলবোনা, শেষ একটা কথা আমরা মুসলমানেরা এক নই আর আমাদের শক্তিশালী কোনো অভিভাবক দেশ নেই যে আরেক মুসলিম দেশের বিপদে পাশে এসে দাঁড়াবে।

লেখা ভালো লাগলো। গবেষণামূলক +++

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৩

রসায়ন বলেছেন: নোবেলের একটা ক্যাটাগরি হল শান্তি । জ্ঞান বিজ্ঞানের জন্য আলাদা ক্যাটাগরি আছে । যাই হোক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

@ধ্রুবক আলো বলেছেন,

"সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো এক মুসলিম আরেক মুসলিম ভাইয়ের ভালো সহ্য করতে পারেনা!!
অনেক কিছু বলার আছে কিন্তু বলবোনা, শেষ একটা কথা আমরা মুসলমানেরা এক নই আর আমাদের শক্তিশালী কোনো অভিভাবক দেশ নেই যে আরেক মুসলিম দেশের বিপদে পাশে এসে দাঁড়াবে। "

-মুসলমানেরা ১ম দিকে ভাই ছিলো, এখন কমপ্লেক্স অবস্হা: শিয়া ও সুন্নী ভাই নয়, তারা যুদ্ধ করছে; সৌদী ওহাবীরা ইয়েমেনের শিয়াদের উপর বোমা ফেলছে ৯ মাস; কুর্দীরা সুন্নী পেলে মেরে ফেলার চেস্টা করে; কে কার ভাই?

৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৬

ভিরাট বলেছেন: ১৮০ নয় ১৮ কোটি মাত্র আছে : :P :P

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৪

রসায়ন বলেছেন: হা হা প গে

৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫১

ইউনিয়ন বলেছেন: মুসলিমরা কেন পিছিয়ে পড়ছে - নিজেরা কিছু না করে সাদা চামড়াওয়ালাদের চরণ ধরছে আর বড় বিচিওয়ালাদের মুরিদ হইছে!

২৫ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৪

রসায়ন বলেছেন: দারুন বলেছেন । এককথায় এর চেয়ে আর ভাল জবাব হতে পারে না

৮| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৩১

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ইউনিয়ন ভাই , অছাম ! ;)

৯| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:৪৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: প্রাসঙ্গিক দেইখা আমার পূর্বের একখান মন্তব্য এখানে দিলাম :
আরব জাতির তথা মুসলমানদের উন্নতির কারণ ১০০ ভাগের ১০০ ভাগ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিসসাল্লাম এবং সাহাবীদের অনুসরণ করা, পতনেরও কারণ হলো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম এবং সাহাবাদের পথ থেকে দূরে সরে যাওয়া। মুসলমানদের উন্নতি অন্য জাগতিক উন্নত জাতির মতো হয় নাই, মুসলমানের উন্নতি একই সাথে আখলাক , চরিত্র , সামাজিক মেলামেশা , আত্মীয়তার সম্পর্ক উন্নয়ন , আচার ব্যবহার , লেনদেন সার্বিক ভাবে সব কিছু মিলেই হয়েছে। অন্যান্য জাতির মতো জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত , আচার ব্যাবহারে অসভ্য , চরিত্রে ধুতরা ফুলের পবিত্রতা, এমন নয়। ( পরিস্থিতি এমনই যে ফাদার্স ডেতে কারে উইশ করবো বুঝে পায়না !) আর মুসলমানের পতন কেন হবে, উন্নতি কিভাবে হবে সেটাও বলে দেওয়া হয়েছে। (পড়তে পারেন, পুস্তিকা ওয়াহেদ এলাজ , মাওলানা এহতেশামুল হাসান রঃ ) . তো এহেন জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত , আচার ব্যাবহারে অসভ্য , চরিত্রে ধুতরা ফুলের পবিত্রতা সম্পন্ন পশ্চিমা জাতিকে যদি অনুসরণ করা হয় তাহলে ব্যাক্তির জাগতিক উন্নতি তো হবে , তবে বাকি সব হারাবে। আর মুসলমানরা যদি পশ্চিমাদের মতো জাগতিক উন্নতির শিখরে উঠতে চায় তাহলে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম ও সাহাবীদের শিক্ষা পুরোপুরি ভুলে গিয়ে পশ্চিমাদের শিক্ষাই পুরোপুরি ধারণ করতে হবে তাহলে জাগতিক উন্নতিতো হবে সাথে তাদের বদ সংস্কৃতির আমদানিও হবে, পোলাপাইন আর বাপ্ খুইজা পাইবোনা ! আর আখেরাতও হইবো সাহারা মুরুভুমি !(পরিস্থিতি কি সেইদিকেই যাচ্ছে না ?)

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০০

রসায়ন বলেছেন: শুধু জাগতিক বা পরকাল কেন , শ্রেষ্ঠ ধর্ম হিসেবে যেহেতু দাবি করা হয় তবে এটাতে দুই জগতেই শ্রেষ্ঠত্ব পাওয়ার সল্যুশন থাকা উচিৎ ।

১০| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৯:৫৩

এ আর ১৫ বলেছেন: ঈহুদিরা শক্তিশালী এবং মুসলমানেরা শক্তিহীন কেন?
পৃথিবীতে ইহুদির সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লক্ষ। এই জনসংখ্যায় প্রতি ১ জন ইহুদীর জন্য মুসলমানের সংখ্যা ১০০ জনের ও বেশী। অথচ ইহুদীরা মুসলমানদের তুলনায় শক্তিশালী, কেন?
আলবার্ট আইনস্টাইন ছিলেন ইহুদী। টাইম ম্যাগাজিনের নির্বাচনে নির্বাচিত শতাব্দীর সেরা মানব “ সিগমন্ড ফ্রয়েড” ছিলেন ইহুদী সিগমন্ড ফ্রয়েড কে বলা হয়ে থাকে “ সাইকোএনালিসিসের জনক” কার্ল মার্কস, পল স্যামুয়েলসন , মিল্টন ফ্রয়েডম্যান এরা সবাই ছিলেন ইহুদী।
অনান্য উল্লেখযোগ্য ইহুদী যারা সমগ্র মানব কল্যানে নিবেদিত ছিলেন এবং তাদের অবদান হল-
বেঞ্জামিন রুবিন(Benjamin Rubin ) প্রতিরোধক ভ্যাক্সিনের সুচ আবিস্কার, জোনাস সক ( Jonas Salk ) পোলিও ভ্যাক্সিনের উদ্ভাবক। এলার্ট সেবিন- Alert Sabin মুখে খাওয়ার পোলিও প্রতিরোধক ভ্যাক্সিনের উদ্ভাবক। গারট্রুড এলিওন Gertrude Elion রক্ত ক্যান্সারের ঔষধ আবিস্কার, বারুখ ব্লুমবার্গ (Baruch Blumberg )- হেপাটাইটিস বি’র প্রতিষেধক আবিস্কার, পল আরলিখ-( Paul Ehrlich) সিফিলিসে ঔষধ আবিস্কার, এলি মেচনিকফ(Elie Metchnikoff ) সংক্রামক রোগের উপর নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী। বার্নার্ড কাজ (Bernard Katz) স্নায়ু এবং মাংশপেশীর উপর নোবেলজয়ী, এনড্রু শ্যালী (Andrew Schally) এন্ডোক্রাইনোলজী’র উপর নোবেলজয়ী, আরন বেক-( Aaron Beck)- কগনিটিভ থেরাপী- মানসিক ব্যাধি চিকিৎসার উপায়। গ্রেগরী পিনকাস- Gregory Pincus জন্ম নিরোধক বড়ি
জর্জ ওয়াল্ড (George Wald) মানব চক্ষুর উপর কাজের জন্য নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী,স্ট্যানলী কোহেন. (Stanley Cohen) ভ্রুনবিদ্যায় embryology নোবেলজয়ী, উইলেম কলফ(Willem Kolff ) কিডনী ডায়ালাইসিস যন্ত্রের আবিস্কারক।
নোবেল পুরস্কারের ১০৫ বছরের ইতিহাসে নোবেলজয়ী ইহুদীর সংখ্যা-১৮০, মুসলমানের সংখ্যা- ৩।
ইহুদীরা এত শক্তিশালী কেন?
স্টানলী মেজর (Stanley Mezor ) মাইক্রোপ্রসেসিং চিপসের আবিস্কারক, (micro-processing chip.) লিও সিলার্ডLeo Szilard পারমানবিক শক্তির “ চেইন রিয়্যাক্টরের এর উদ্ভাবক the first nuclear chain reactor; পিটার শুলজ (Peter Schultz) অপটিক্যাল ফাইবার কেবল the optical fibre cable; চার্লস এডলার Charles Adler – ট্রাফিক লাইট traffic lights; বেনো স্ট্রস Benno Strauss – ইস্পাত stainless steel; ইসাডর কিস- Isador Kisee - সবাক চলচিত্র sound movies; এমিল বার্লিনার Emile Berliner – টেলিফোন মাইক্রোফোন telephone microphone and চার্লস গিনসবার্গ Charles Ginsburg – ভিডিও টেপ রেকর্ডার videotape recorder.
ব্যাবসা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ইহুদীরা -
র‍্যালফ লরেন Ralph Lauren- পোলো (Polo), লেভী স্ট্রস Levis Strauss লেভী’স জিনস(Levi's Jeans), হাওয়ার্ড শুলজ Howard Schultz স্টারবাক (Starbuck's) , সের্গেই ব্রিন Sergey Brin গুগল(Google), মাইকেল ডেল ( Michael Dell ) ডেল কম্পিউটার (Dell Computers),ল্যারি এলিসন Larry Ellison (Oracle),
প্রশাসনিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ইহুদীরা- হেনরী কিসিঙ্গার (Henry Kissinger) এবং ম্যাডলিন অলব্রাইট (Madeleine Albright) আমেরিকার প্রাক্তন পররাস্ট্র মন্ত্রী (American Foreign Secretary) ) ম্যাক্সিম লিটভিনভ(Maxim Litvinov)- রাশিয়ার পররাস্ট্র মন্ত্রী (USSR Foreign Minister), ডেভিড মার্শাল David Marshal সিঙ্গাপুরের মুখ্যমন্ত্রী, বেঞ্জামিন ডিজরেলী Benjamin Disraeli বৃটিশ রাস্ট্রনায়ক ও লেখক (British statesman and author), পিয়েরে মেনডেস (Pierre Mendes )-ফরাসী প্রধানমন্ত্রী (French Prime Minister), মাইকেল হাওয়ার্ড(Michael Howard )- বৃটিশ স্বরাস্ট্রমন্ত্রী (British Home Secretary),.
মানব কল্যানে দাতা হিসেবে ইহুদী- জর্জ সরস- পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিজ্ঞানের উন্নয়নে যিনি দিয়েছেন ৪০০ কোটি ডলারের ও বেশী, ওয়াল্টার এনেনবার্গ জ্ঞান সাধনার উন্নয়ন কল্পে দিয়েছেন ২০০ কোটি ডলার।
হলিউডের প্রতিষ্ঠাতা একজন ইহুদী। হলিউডের অনেক অভিনেতা,অভিনেত্রী পরিচালক, ইহুদি।
আমেরিকার রাজধানী ওয়াশিংটনের এক উল্ল্যেখযোগ্য প্রতিষ্ঠান হল আমেরিকান ইজরায়েলী পাবলিক এফেয়ার্স কমিটি American Israel Public Affairs Committee, or AIPAC.। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন পৃথিবী গোল পরদিন আমেরিকান কংগ্রেসে ইজরায়েলী প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়ে আইন পাশ করা হবে ‘ পৃথিবী গোল”
এ যাবত কালের সবচে’ বেশী ইন্টেলিজেন্স কোশেন্ট বা আই কিউ(২৫০-৩০০) ছিলেন একজন ইহুদী, উইলিয়াম জেমস সিডিস(William James Sidis)
প্রশ্নঃ- ইহুদীরা এত শক্তিশালী কেন?
উত্তরঃ- শিক্ষা
পৃথিবীতে মুসলমানের সংখ্যা ১৪০ কোটির ও বেশী, এই সংখ্যা হিন্দুদের বা বৌদ্ধদের দ্বিগুন, পৃথিবীতে প্রতি পাঁচজনের একজন মুসলমান, অথচ মুসলমানদের এমন দুরবস্থা কেন?
অর্গানাইজেশান অফ ইসলামিক কান্ট্রি’জ বা ও আই সি’র সদস্য সংখ্যা ৫৭, ঐ দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা মোট ৫০০ , প্রতি ৩০ লক্ষ লোকের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়, অথচ আমেরিকাতে প্রতি ৫৭,০০০ লোকের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয় , প্রতিবেশী দেশ ভারতেই রয়েছে ৮,৪০৭টি বিশ্ববিদ্যালয়।২০০৪ সালের সাংহাইয়ের জিয়াও টং বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের র‍্যাঙ্কিং এ মুসলিম দেশের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ছিল না।
ইউ এন ডি পি’র সুত্র অনুসারে খৃস্টান দেশ গুলোতে শিক্ষার হার ৯০ শতাংশের ও বেশী ১৫টি খৃস্টান দেশে শিক্ষার হার ১০০% আর মুসলিম দেশগুলোতে তা ৪০ শতাংশ এবং কোন মুসলমান দেশে ১০০% শিক্ষার হার নেই। খৃস্টান বিশ্বে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ নিয়েছেন শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর ৪০ শতাংশ সেখানে মুসলিম বিশ্বে তা ২%।
মুসলিম বিশ্বে প্রতি ১০ লক্ষ জনের জন্য রয়েছেন ২৩০ জন বিজ্ঞানী সেখানে আমেরিকাতে রয়েছেন ৪,০০০ জন। সমগ্র আরব বিশ্বে মোট গবেষকের সংখ্যা ৩৫,০০০ এবং প্রতি ১০ লক্ষ লোকের জন্য রয়েছে ৫০জন কারিগর বা টেকনিসিয়ান খৃস্টান বিশ্বে প্রতি ১০ লক্ষ জনের জন্য টেকনিসিয়ান-১০০০ জন।গবেষনার পেছনে খৃস্টান বিশ্ব যেখানে খরচ করে জি,ডি,পি’র ৫% সেখানে মুসলিম বিশ্বে তা ০ .২%।
পাকিস্তানে প্রতি ১০০০ জনের জন্য রয়েছে ২৩টি সংবাদপত্র সেখানে সিঙ্গাপুরে তা ৩৬০টি। বৃটেনে প্রতি ১০ লক্ষ জনের জন্য রয়েছে ২০০০টি টাইটেলের বই সেখানে মিশরে তার সংখ্যা মাত্র ২০।
উচ্চ প্রযুক্তি’র পন্য রফতানী জ্ঞান বিজ্ঞানের সূচক। পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তা ১%, সৌদি আরব, কুয়েত, মরক্কো, আলজেরিয়া ইত্যাদির ক্ষেত্রে তা .৩% এবং সিঙ্গাপুরে তা ৫৮%।
৫৭টি ও আই,সি দেশের জি,ডি,পি, ২ ট্রিলিয়ন সেখানে আমেরিকার ১২ ট্রিলিয়ন, চীনের ৮ ট্রিলিয়ন, জাপান ৩.৮ ট্রিলিয়ন, ভারত- ১.৭৫ ট্রিলিয়ন, জার্মানী ২.৪ ট্রিলিয়ন।( purchasing power parity basis).
সৌদি আরব, আরব আমীরাত, কুয়েত এবং কাতার মিলে উৎপাদন করে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের পন্য( বেশীর ভাগ তেল) সেখানে স্পেনের তা ১ ট্রিলিয়নের উপরে, পোল্যান্ডের ৪৮৯ বিলিয়ন এবং থাইল্যান্ডের তা ৫৪৫ বিলিয়ন।
সমস্ত কিছুর কারন কি শিক্ষার অভাব নয়?
বিঃদ্রঃ - ব্লিৎস পত্রিকা ৮ই জানুয়ারী ২০১০ সংখ্যা থেকে অনুদিত। লেখক ডঃ ফারুক সালীম । লেখাটার শেষের কয়েক লাইন অনুবাদ করতে সাহস পাই নি। এ পরিবর্তনের কারন হল পরিপূর্ন অনুবাদ অনেকের কাছে সুখকর হবে না এবং ফারুক সালীমের পরিবর্তে আমার উদ্দেশ্যে”বানী” বর্ষিত হবে এমনকি ধড়ের উপরের মাথাটাও হারাতে পারি।

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০২

রসায়ন বলেছেন: তথ্যপূর্ণ কমেন্ট । ইহুদি বিজ্ঞানীরা কি ধর্ম কর্ম ছেড়ে দিয়ে এসব গবেষণা করেছেন নাকি ধর্ম গবেষণা যুগপৎ চালিয়েছেন ?

১১| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

এ আর ১৫ বলেছেন: টারজন চার বিচী ৭ (Tarzan00007 ) { যার সাতটা বিচী ছিল এখন আছে চারটা তাই ২৪ ঘন্টা বিচীর জন্য মাতন করে} ,বলেছে ----
। অন্যান্য জাতির মতো জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত , আচার ব্যাবহারে অসভ্য , চরিত্রে ধুতরা ফুলের পবিত্রতা, এমন নয়।
---- তাই নাকি ??? পশ্চিমাদের শুধু ২টা জিনিসের উপর ইসলামের আপত্তি আছে সেটা হোল ওপেন সেক্স ও মদ্যপান এবং এই দুটো বাদ দিলে তাদের মন মানুষিকতা ব্যবহার চরিত্র যে কোন তৃতীয় বিশ্বের মানুষের চেয়ে অনেক অনেক উন্নত এবং ইসলাম সম্মত কারন তারা সুশিখিত সভ্য জাতি ।
আরব জাতির তথা মুসলমানদের উন্নতির কারণ ১০০ ভাগের ১০০ ভাগ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিসসাল্লাম এবং সাহাবীদের অনুসরণ করা,
মুসলিম বিজ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবি যাদের নিয়ে আজ মুসলমানরা গর্ভ করে তারা কেউ সঠিক ভাবে ইসলাম ফলো করতো না তাদের মুরতাদ নাস্তিক বলা হতো যেমন ইবনে সিনা , ওমর খৈয়াম ইত্যাদি । তিনটা বিচী হারিয়ে কান্ড জ্ঞান লোপ পেয়েছে বোঝা যায় ।
পতনেরও কারণ হলো আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম এবং সাহাবাদের পথ থেকে দূরে সরে যাওয়া

রসুল [সা:] এবং সাহাবাদের আসল পথ কোনটা সেটা তো জানার কোন উপায় নাই হাদিসের মাধ্যমে কারন ঔগুলো লিখা হয়েছে ৩০০ বৎসর পরে , কোরান নয় এই সমস্ত হাদিসই মুসলমানদের কে সঠিক পথ থেকে দুরে নিয়ে যাচ্ছে , ইসলাম ধর্মের এত ফেকরা ফেতনা সৃষ্ঠি হওয়ার পিছনে দায়ি মুলত কোরান বিরুধী হাদিস , অনৈক্যের জন্য দায়ি কোরান বিরুধী হাদিস , শিক্ষা অনগ্রসরতার পিছনে দায়ি ঐ ধরনের হাদিস । হাদিস ইসলাম ধর্মের যতখানি উপকার করেছে তার কয়েক হাজার গুন ক্ষতি করেছে ।
কোরান সম্মত নহে হাদিস সমুহ মুসলমানদের আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম এবং সাহাবাদের পথ থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে গেছে ।
ইবনে সিনা ওমর খৈয়ামদের আমলে হাদিসের প্রভাব অত ছিলনা তাই তারা অনেক রিসার্চ করতে পেরেছিল কারন ঐ আমলে মানুষ চাইলেই সব ধরনের হাদিস পড়তে বা জানতে পারতো না । আজকে আমরা যে হাদিসের গ্রন্থ গুলো পাই ওগুলো কম্পাইল করা হয়েছে ইমাম বুখারী ইমাম মুসলিম এনাদের মৃর্তুর ৫০০ বৎসর পর তার মানি রসুন [সা:] এর মৃর্তুর ৮০০ বৎসর পর ।

##### চার বিচীযুক্ত টারজন সহ অনেকে মনে করতে পারি আমি হাদিস বিরুধী তাই তাদের বোলছি --- আমি শুধু কোরানের সাথে ম্যাচ করে হাদিস গুলো ছাড়া অন্য হাদিস গুলো মানিনা ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৫

রসায়ন বলেছেন: কথাটা অপ্রাসঙ্গিক নয় । আসলেই প্রচুর কন্ট্রাডিক্টরি হাদিস আছে যার কারণে ঝামেলা বেড়ে যাচ্ছে । আর ইসলামিক ক্লেরিকরাও এটার সমাধানে না খুঁজে মুসলিমদের মাঝে বিভক্তি উস্কে দিচ্ছে ।

১২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০০

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: এ আর ১৫ আপনার একটা নীতি খুব সুন্দর, হাদীসের জন্য আয়াত না খুঁজে আয়াত সমর্থিত হাদীসের অনুসরণ। হাদীস সংকলিত, এবং জয়ী(দুর্বল) হাদিসের সংখ্যা অনেক, সুতরাং কুরআনের অনুসরণ না করে হাদীসের পেছনে ছোটা মানে জেনে ভ্রান্তির পথ অনুসরণ করা। হাদীসের অবমাননা করছি না আমি, তবে যেসব মুসলমান কুরআনের অনুসরণ না করে হাদীস দেখে, তারা বিভ্রান্ত হতে বাধ্য।
সম্মানিত লেখক, আপনার জন্য আমি কিছু লিংক দিচ্ছি
https://en.wikipedia.org/wiki/Abdus_Salam
https://theculturetrip.com/asia/pakistan/articles/abdus-salam-first-muslim-nobel-laureate/
https://www.quora.com/Who-was-the-first-Muslim-to-receive-a-Nobel-Peace-Prize
http://www.huffingtonpost.com/qasim-rashid/first-muslim-scientist-nobel-laureate_b_4677934.html
আমাদের একটু জানতে হয় উনার সম্পর্কে, বুঝেনই তো, আমাদের অনেক প্রেরণার একজন তিনি।
আহমদীরা পাকিস্তানে অমুসলিম ঘোষিত, রাষ্ট্রীয়ভাবে। একটি রাষ্ট্রের কোনও দলকে অমুসলিম ঘোষণার কতটুকু অধিকার আছে তা জানিনা, তবে আমাদের লোকেরা সেখানে গ্রেফতার হয় প্রতিদিন। কারণগুলো জানেন?
কিছু বলি,
১. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পড়া,
২. মসজিদের বাইরে لَا إِلٰهَ إِلَّا الله مُحَمَّدٌ رَسُولُ الله লেখা
৩. প্রকাশ্যে কুরআন তিলাওয়াত করা
৪. প্রকৃত ইসলামী কায়দায় মরহুমের জানাযা করা
৫. লোকেদের আসসালামু আলাইকুম বলা
সূত্র : https://en.wikipedia.org/wiki/Ahmadis
আমি আলেম নামধারী ব্যবসায়ীদের অপছন্দ করি, কারণ এরা সাধারণ মানুষকে বলে আমাদের সম্পর্কে একটু জানলেই কাফের হয়ে যাবে। ঈমান যেন বাচ্চার হাতের খেলনার মতো কিছু, নাড়া পড়লেই খতম।
আপনার পোস্টে যা বলে এটা আমাদের দলের দাবী এবং এজন্যেই আমরা কাফের আখ্যায়িত হই। আপনার পোস্টের বেশীরভাগ কথা দুসপ্তাহ আগের আমাদের খলিফা হুজুরের(আই) জুমুআর খুতবার সাথে মেলে। বিশ্বাস না হলে দেখুন
https://www.youtube.com/watch?v=Egv_jYLeumE
আপনি এখানে ব্লগিং করছেন, একদল মুসলমান এটা দেড়শো বছর আগে থেকে প্রচার করছে। সত্যবাদী মুসলমান চিনুন, প্রকৃত ইসলামের সন্ধান করুন। আমাকে বলার সুযোগ দেবার জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: "শুধু জাগতিক বা পরকাল কেন , শ্রেষ্ঠ ধর্ম হিসেবে যেহেতু দাবি করা হয় তবে এটাতে দুই জগতেই শ্রেষ্ঠত্ব পাওয়ার সল্যুশন থাকা উচিৎ ।"
আছেতো। আপনি খুঁজেননি তাই। সব সমাধান ব্লগেতো পাইবেন না। এ আর ১৫ এর মতো ১৫ বিচিওয়ালা আবালদের কাছে জ্ঞান অন্নেষণ করলে সমাধান খুইজা পাইবেন কিভাবে ? কওমি মাদ্রাসার ওলামায়ে হকদের কাছে সমাধান নিতে হইবো। আর নোবেল পাওয়া কি সফলতার মানদণ্ড হতে পারে ?কোন ধরণের মুসলমানদের নোবেল দিচ্ছে দেখছেন ? সুদখোর , কাদিয়ানী ! মুসলমানদের উন্নতির সময় আর ধ্বংসের সময় যদি বিশ্লেষণ করেন তাহলেই সহজে বুঝে আসবে। যতক্ষণ আল্লাহ এবং রাসূল সঃ , সাহাবা রাজিঃ দের অনুসরণের উপর চলা হইছে ততক্ষন মুসলমানরাই সুপিরিয়র ছিল। যখন তাদের অনুসরণ ঢিলা হয়ে জ্ঞান বিজ্ঞানের উপরই শুধু জোর দেওয়া হয়েছে মুসলমান জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নতি করেছে ঠিকই কিন্তু এরপরই ধ্বংস হয়েছে খুব দ্রুত। হাতি পড়তেও তো সময় লাগে।

মুসলমান দুনিয়াতে কখনো আল্লাহর সাহায্য ছাড়া উন্নতি লাভ করে নাই , অন্যান্য জাতির উপর শ্রেষ্ঠত্ব লাভ করে নাই। সেই আল্লাহর সাথে সম্পর্কই যখন দুর্বল হয়েছে , কেটে গিয়েছে তখন মুসলমানের জাগতিক উন্নতি হবে না এটাই স্বাভাবিক।

অন্যান্য জাতির উন্নতি মুসলমানের অবনতির সাথে সম্পর্কযুক্ত। মুসলমান আল্লাহর সাথে সম্পর্ক হারিয়ে ফেলেছে , তাই দুনিয়াতেও তার অবনতি হয়েছে , আর একারণেই অন্য জাতির উন্নতি হয়েছে। আজ যদি মুসলমান আল্লাহর সাথে সম্পর্ক ঠিক করে , মুসলমানের জাগতিক উন্নতিও হবে সাথে সাথে অন্য জাতিগুলোর অবনতিও হবে।

এ আর ১৫ এর ১৫ বিচি থেকে আমারে ৫ টা দিছিলো। তাই সে আমার ৭ টা বিচি গুনছে। ওই ৫ টা বিচি আমি কাল ফাটাইয়া বাংলাদেশের বিজয় উৎযাপন করছি। এহন আমার দুইটা আর হের ১০ বিচি ! খিকজ ! :D :) =p~ :P

১৪| ২৬ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৫৪

কাউয়ার জাত বলেছেন: এই গোলামী আহমদী ঘোষণা দিয়ে ব্লগ থেকে অবসর নিয়ে এখন ধুমাইয়া ব্লগিং করতেছে ৷ মিথ্যাবাদী গুরুর মিথ্যাবাদী শিষ্য ৷

এই পোস্টে এ অার ১৫ নামক এক কুরান অনলি মূর্তিবাদীর সাথে এই কাদিয়ানির স্বার্থ মিলে গেছে ৷ সুস্পষ্ট সহীহ হাদীসে রাসূল (সা) বলে গেছেন, আমি শেষ নবী, আমার পরে কোনও নবী আসবেন না ৷ এখন পান্জাবের কাদিয়ানীকে নবী বানাতে হলে তো এই হাদীস অস্বীকার করতেই হবে!
সুতরাং কুরআন দরদীর ভান

১৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:৫৫

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: আপনি কাউয়ার জাত না হয়ে মানুষের জাত হলে একটু ভালো হতো। কোন ভাই যেন রোজ আপনার শ্রাদ্ধ করেন?
রোজ গালি খান লোকের, তাও লজ্জা নাই আপনার বলেউ আপনি কাউয়া, মানুষের কোনও গুনও বোধহয় আপনার নেই।

১৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৭:২৫

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: প্রথম অভিযোগ হলো, আহ্‌মদীরা ইংরেজ শাসকদের চর। তাদের বানানো এজেন্ট। ইংরেজদের সমর্থনে ও ছত্রছায়ায় হযরত মির্যা গোলাম আহ্‌মদ কাদিয়ানী (আঃ) প্রথমে মাহ্‌দী পরে মসীহ্ অর্থাৎ ঈসা (আঃ) এবং আরও পরে সর্বশেষ নবী বলে দাবী করেছেন।

এই অভিযোগের সোজা সহজ উত্তর হলো, ‘লা’নাতুল্লাহে আলাল কাযেবীন’-মিথ্যাবাদীদের প্রতি আল্লাহ্‌র অভিশাপ। হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আঃ) প্রতিশ্রুত ইমাম মাহ্‌দী ও মসীহ্ হবার দাবী করেছেন ঠিকই কিন্তু তিনি কখনও নিজেকে সর্বশেষ নবী হিসাবে দাবী করেন নি। বরং তিনি শিক্ষা দিয়ে গেছেন, শরীয়তের দিক থেকে এবং পরম আধ্যাত্নিক উৎকর্ষ লাভের দিক থেকে সর্বশেষ নবী হলেন বিশ্ব নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ)। বৃটিশ রাজ উপমহাদেশ ছাড়াও পৃথিবীর একটি অনেক বড় অংশ প্রায় দু’শ বছর ধরে শাসন করেছে। তাদের এই দীর্ঘ শাসন বৃটিশদের অসাধারণ রাজনৈতিক মেধা ও তীক্ষ্ণ প্রজ্ঞার পরিচয় বহন করে। এই বৃটিশদের কি এতটুকু কান্ডজ্ঞান নেই - তারা এমন একজন এজেন্ট বা চর নিয়োগ করলো যার প্রথম দাবীই হলো - খৃষ্টানদের স্বাভবিক-সাধারণ মৃত্যুবরণ করেছেন? তিনি ইশ্বরও ছিলেন না আবার ইশ্বরপুত্রও ছিলেন না! ইংরেজরা কি নিজ ধর্ম ‘ত্রিত্ববাদের’ গোঁড়া কাটানোর জন্য কাউকে নিজের এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে? আর যাই হোক বৃটিশদেরকে এত বোকা মনে করার কোন কারণ নেই।


যে ব্যক্তি নিজেকে আল্লাহ্‌র কাছে পূর্ণাঙ্গীনভাবে সমর্পন করে আর একই সাথে সেই নেক ও উত্তম কাজে অভ্যস্ত তার পুরস্কার তার প্রভূ-প্রতিপালকের কাছে নির্ধারিত। এমন মানুষদের জন্য কোন ভয় নেই আর তারা দুঃখিতও হবে না। (আল বাকারাঃ ১১৩ আয়াত)

অর্থাৎ মুসলমান হবার জন্য মহান আল্লাহ্‌র কাছে সম্পূর্ণভাবে নিজেকে সমর্পন করা আর নেক কাজ করা প্রধান শর্ত। হাদীস শরীফে মুসলমানের সংজ্ঞা পরিস্কারভাবে দেয়া আছে। মুসলিম শরীফের কিতাবুল ঈমানে একটি প্রসিদ্ধ হাদীস বর্ণিত আছে। হযরত জিবরাইল (আঃ) ইসলাম ধর্মের সংজ্ঞা জানতে চাইলে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বললেন,

‘ইসলাম হলো, একথার সাক্ষ্য দেয়াঃ আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন উপাস্য নেই আর হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) তাঁর বান্দা এবং রসূল আর নামায প্রতিষ্ঠা করা আর রমজানের রোজা রাখ’ আর যাকাত প্রদান করা আর সাধ্য ও সামর্থ থাকলে বায়তুল্লাহ শরীফের হজ্জ করা।’ হযরত জিবরাইল (আঃ) এই উত্তরের সত্যায়ন করে বললেনঃ ‘আপনি সঠিক বলেছেন।’

এই হলো স্বয়ং মহানবী (সাঃ) প্রদত্ত এবং ফিরিশতাদের নেতা হযরত জিবরাইল (আঃ) কর্তৃক সত্যায়িত ইসলামের সংজ্ঞা। কলেমা, নামায, রোযা, যাকাত ও হজ্জ হচ্ছে ইসলামের শর্ত। এই ইসলাম যারা পালন করবে তাদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করা স্বয়ং মহানবী (সাঃ)-এর বিরুদ্ধাচরণ করার নামান্তর।

বুখারী শরীফের কিতাবুস সালাত-এ মহানবী (সাঃ) মুসলমানেরও সংজ্ঞা বর্ণনা করে বলেছেনঃ

“যে ব্যক্তি আমাদের মত নামায পড়ে আর আমাদের ক্বিবলামুখী হয় আর আমাদের জবাই করা মাংস খায় সে মুসলমান। সে এমন মুসলমান যার দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূল (সাঃ) গ্রহণ করেছেন। অতএব তোমরা আল্লাহ্‌র দায়িত্বে হস্তক্ষেপ করো না।”

আমাদের প্রিয় প্রবাসী বাঙ্গালীদের বলবো, আল্লাহ্‌ ও তাঁর প্রিয়তম রসূল হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) প্রদত্ত মুসলমানের সংজ্ঞা জানার পর কোন মোল্লা-মৌলভীর অপ-প্রচারে আপনারা দয়া করে বিভ্রান্ত হবেন না। সমস্ত জগতের ‘ধর্মান্ধ উলামারা’ সম্মিলিত প্রচেষ্টা চালালেও আল্লাহ্‌ ও রসূল প্রদত্ত মুসলমানের সংজ্ঞাকে পরিবর্তন করতে পারবেনা। আপনারা নির্দ্বিধায় আমাদেরকে অর্থাৎ আহ্‌মদীদেরকে কাছ থেকে যাচাই করে দেখুন আমরা এসব শর্ত মান্য করি কি না। যাচাই করে যদি আপনারা আমাদেরকে ইসলামের এসব শর্ত মান্য করি কি করি না দেখতে পান তখন আপনারা আপনাদের ইচ্ছামত যেকোন সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারেন। কিন্তু তা না করে কলেমায় বিশ্বাসী কোন মানুষকে অন্ধভাবে কাফের ঘোষণা দেয়া মহাপাপ এবং কিয়ামত দিবসে এর জন্য মানুষকে জবাবদিহি করতে হবে।

আহ্‌মদীয়া জামাতের পবিত্র প্রতিষ্ঠাতা হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আঃ) বলেছেন,

“আমাদের ধর্ম বিশ্বাসের সারাংশ ও সারমর্ম হলো, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলূল্লাহ্‌’। এই পার্থিব জীবনে আমরা যা বিশ্বাস করি এবং আল্লাহ্‌ তা’আলার কৃপায় ও তাঁরই প্রদত্ত তৌফিক যা নিয়ে আমরা এই নশ্বর পৃথিবী ত্যাগ করবো তা হলো, আমাদের স্মানিত নেতা হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সাঃ) হলেন ‘খাতামান্‌ নবীঈন’ ও ‘খাইরুল মুরসালিন’ যাঁর মাধ্যমে ধর্ম পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়েছে এবং যে নেয়ামত দ্বারা সত্যপথ অবলম্বন করে মানুষ আল্লাহ্‌তা’লা পর্যন্ত পৌঁছুতে পারে তা পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথে বিশ্বাস রাখি যে, কোরআন শরীফ শেষ ঐশী-গ্রন্থ এবং এর শিক্ষা, বিধান, আদেশ ও নিষেধের মাঝে এক বিন্দু বা কণা পরিমাণ সংশোধন বা রহ���ত কিম্বা কোন একটি আদেশকেও পরিবর্তন করতে পারে। যদি কেউ এমন মনে করে তবে আমাদের মতে সে ব্যক্তি বিশ্বাসীদের জামা'ত বহির্ভূত, ধর্মত্যাগী ও কাফের। আর আমরা আরও বিশ�����াস করি যে, সিরাতে মুস্তাকীমের উচ্চমার্গে উপনীত হওয়া তো দূরের কথা, কোন মানুষ আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলায়হে ওয়া সাল্লামের অনুসরণ ছাড়া এর সামান্য পরিমাণও অর্জন করতে পারে না। আমরা আমাদের নবী (সাঃ) এর সত্যিকার ও পূর্ণ অনুসরণ ছাড়া কোন ধরণের আধ্যাত্নিক সম্মান ও উৎকর্ষ কিম্বা মর্যাদা ও নৈকট্য লাভ করতে পারি না।” (ইযালায়ে আওহাম, প্রথম খন্ড, পৃঃ ১৩৭-১৩৮)

সত্যাম্বেষী বাঙ্গালীকে জানাচ্ছি, পবিত্র কুরআনে ধর্মপ্রচারের জন্য নম্র ও মিষ্টভাষা ব্যবহারের আদেশ রয়েছে। আমাদের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) সবচেয়ে নম্রভাষী ছিলেন। ফেরাউনের মত অত্যাচারী রাজাকে সত্য প্রচার করার সময়ও মহান আল্লাহ্‌ হযরত মুসা ও হযরত হারুন (আঃ) -কে নম্রভাষণ অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই নিজেদের অকাট্য যুক্তিও প্রমাণ উপস্থাপনকালে আমরা আহ্‌মদীরা নম্র ও মিষ্ট ভাষণ অবলম্বণ করার চেষ্টা করি। ভদ্রতা ও বিনয় ঈমানের পূর্বশর্ত। মেহমানকে সাধ্যনুযায়ী আপ্যায়ন করা মহানবী (সাঃ)-এর সুন্নত। ইচ্ছা থাকা সত্বেও আমরা একাজ সঠিকভাবে করতে পারি না। আমাদের সাধ আছে কিন্তু সাধ্য সীমিত। আমাদের আন্তরীকতাকে দয়া করে খারাপ দৃষ্টিতে দেখবেন না। বলা হয়েছে, আমরা মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে দলভূক্ত করে থাকি। আমরা জাগতিক কোন প্রলোভন দেখাই না তবে আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূল হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ)-এর সন্তুষ্টি লাভের প্রলোভন অবশ্যই দেই। আমাদের কাছে একটি নিয়ামতের সংবাদ আছে। আর তা হলো, সেই প্রতিশ্রুত ইমাম মাহ্‌দী (আঃ) এসে গেছেন যাঁর আগমনবাণী স্বয়ং মহনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মুসলমানদেরকে দিয়ে গেছেন। অতএব, তোমরা ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)-কে মান্য কর যেন মহানবী (সাঃ) -এর শাফায়াত লাভ করতে পার। এটা আমাদের ঈমানের বিষয়। আমরা নবীজী (সাঃ)-এর উম্মত হিসেবে ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)-কে মান্য করার দায়িত্ব পালন করছি। আপনাদেরকেও দাওয়াত দিচ্ছি যেন আল্লাহ্‌ ও তাঁর রসূল (সাঃ)-এর সন্তুষ্টি লাভ হয়। এটা দোয় হয়ে থাকলে নিশ্চয়ই আমরা এই দোষে দোষী আর এটা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব হয়ে থাকলে প্রত্যেক মুসলমানের জন্য বিষয়টা যাচাই করে দেখা আবশ্যক। মহানবী (সাঃ) বলে গেছেনঃ

“যখন তোমরা ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)-এর সংবাদ পাবে তখন তাঁর কাছে বয়’আত করবে, বরফের পাহাড়ের উপর হামাগুড়ি দিয়ে হলেও যাবে কেননা তিনি আল্লাহ্‌র খলীফা আল মাহ্‌দী।” (ইবনে মাজাহ শরীফঃ বাব কুরুজুল মাহ্‌দী)

লিফলেটে বলা হয়েছে: আহ্‌মদীরা বলে যারা মির্যা গোলাম আহমদকে মানবে না তারা কাফের। এ কারণেই নাকি আমরা মুসলমানদের মসজিদে নামায পড়তে যাইনা।
বিষয়টা মোটেও এ রকম নয়। প্রকৃতপক্ষে, আহ্‌মদীয়া জামাতের পবিত্র প্রতিষ্ঠাতা ও তাঁর মুসলমান অনুসারীদেরকেই প্রথমে কাফের আখ্যা দেয়া হয়েছে। সেজন্যই আমাদেরকে এই অবস্থান গ্রহন করতে হয়েছে। ১৮৯১ সনে ৭২ দলের ২০০ জন আলেম-উলামা হযরত মির্যা গোলাম আহ্‌মদ কাদিয়ানী ও তাঁর অনুসারীদেরকে কাফের ফতোয়া দেন। কয়েক বছর পর্যন্ত কুরআন ও হাদীসের আলোকে হযরত মির্যা সাহেব তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেন। তিনি নিজ মতবাদের সপক্ষে কুরআন-হাদীসের অকাট্য দলিল প্রমান উপস্থাপন করেন। এসব সত্ত্বেও ৭২ ফিরকার আলোম-উলামা তাদের কুফুরী ফতোয়া তুলে নেন নি। তখন হযরত ইমাম মাহ্‌দী (আঃ) বলেন,

সমস্ত যুক্তি প্রমাণ উপস্থাপন করা সত্ত্বেও যেহেতু তোমরা আমাকে এবং আমার অনুসারী মুসলমানদেরকে কাফের বলে যাচ্ছো, এখন তোমাদের বিষয়ে মহানবী (সাঃ)-এর সিদ্বান্ত প্রযোজ্য। তিনি (সাঃ) সাবধান করে গেছেনঃ “যখন একজন মুসলমান অপর একজন মুসলমান ভাইকে কাফের আখ্যা দেয় তখন এই ‘কুফুরী’ কাফের-আখ্যাদানকারী ব্যক্তির উপরেই বর্তায়।”

তখন থেকে আমরা কাফের আখ্যাদানকারী কাউকে নিজেদের নামাযের ইমাম হিসেবে মানিনা। মোদ্দা কথা, মহানবী (সাঃ)-এর শিক্ষানুযায়ী, মুসলমানদেরকে কাফের আখ্যাদানকারী লোককেরা মুসলমানদের ইমাম থাকতে পারে না। তবে মসজিদ নিয়ে আমাদের বিতন্ডা নেই। সব মসজিদই আল্লাহ্‌র ঘর। সব জায়গায়ই নামায হয়। তবে ইমাম নির্ধারণে আমরা সাবধানতা অবলম্বন করে থাকি।
আলোচ্য লিফলেটে বলা হয়েছে, আমরা নাকি মহনবী (সাঃ)-কে ‘শেষ নবী’ হিসেবে মানি না। মির্যা গোলাম আহমদকে আমরা নবী বলে মানি। কিন্তু একথা আমরা প্রথমে গোপন রেখে মানুষকে ব্রেইন ওয়াশ করার পর প্রকাশ করি, ইত্যাদি।

এ প্রসঙ্গে পরিস্কার কথা হলো, যারা আমাদের বিরুদ্ধে ‘সর্বশেষ নবী’ না মানার অভিযোগ তুলেছেন তারাই কিন্তু প্রকৃতপক্ষে মহানবী (সাঃ)-কে সর্বশেষ নবী মানেন না; তারা উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টায় রত। তাদেরকই জিজ্ঞেস করুন, ঈসা নবী (আঃ) মহানবী (সাঃ) উম্মতে আবার আসবেন কিনা? উত্তরে তারা বলবেন অবশ্যই আসবেন। তবে তিনি পুরনো নবী, তাঁর আগমনে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ‘শেষত্ব’ ধবংস হয় না। কী অদ্ভুত যুক্তি। এক মুখে বলছেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) শেষ নবী তার পরে কোন নবী নেই, আবার, সেই একই মুখে বলছেন তাঁর পর ঈসা নবী (আঃ) আসবেন! তাহলে শেষ নবী কে হলেন? আমাদের নবী (সাঃ) নাকি ঈসা (আঃ)? এখন আহ্‌মদীদের বক্তব্য শুনুন। আমরা বলি, ইহুদী উম্মতের ঈসা (আঃ) স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন। যে ঈসা (আঃ)-এর আগমনের ভবিষ্যদ্বানী ছিল, তিনি হলেন ঈসা (আঃ)-এর গুনে গুনান্বিত হয়ে, তাঁর মত দায়িত্ব পালনের উদ্দেশ্যে এই উম্মতে জন্মগ্রহণকারী একজন রূপক ঈসা (আঃ)। তিনি মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর অনুসারী হবেনা। তাঁরই আনুগত্য ও প্রেমের কারণে আল্লাহ্‌ তা’লা তাঁকে ‘আনুগত্যকারী নবুওত’ বা ‘ছায়া নবুওত’ দান করবেন। ছায়া নবুওত বা আনুগত্যকারী নবুওত বলতে কোন নতুন শরীয়ত বা বিধান বুঝায় না বরং মহানবী (সাঃ)-এর বরকতে এমন আধ্যাত্নিকতা বুঝায় যখন মানুষ তার প্রভূ-প্রতিপালকের সাথে অধিক পরিমানে সংলাপের সৌভাগ্য লাভ করে। এই উম্মতের মাছে মহানবী (সাঃ)-এর আনুগত্যের শর্তসাপেক্ষে এই নিয়ামত লাভ করার কথা কুরআন শরীফে আল্লাহ্‌ তা’লা সূরা নিসার ৭০ নম্বর আয়াতে উল্ল্যেখ করেছেন। আমাদের মতে খাতামান নবীঈন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এত বড় নবী যে তাঁর নগণ্য সেবকও আল্লাহ্‌র ইচ্ছায় আধ্যত্নিকতার শেখরে পৌছতে পারে তবে সে মহানবী (সাঃ)-এর অনুসারীই থাকবে, খাতামান নবীঈন (সাঃ)-এর আনুগত্যের বিন্দুমাত্র বাইরে যেতে পারবেনা। এ অর্থেই মহানবী (সাঃ) নিজেই তাঁর আগমনকারী মহান পুরুষকে ঈসা ‘নবীউল্লাহ্‌’ বলে আখ্যা দান করেছেন।

এই ব্যাখ্যা বিশ্লেষনের পর পাঠক মাত্রই বিচার করতে পারবেন কারা মহানবী (সাঃ)-কে সঠিক অর্থে খাতামান নবীঈন মান্য করেন? যারা বাইরের উম্মত থেকে স্বাধীন ইহুদী মতবাদের নবীর আগমনে বিশ্বাসী তারা, নাকি যারা মহানবী (সাঃ)-এর অনুগত্য সাপেক্ষে আল্লাহ্‌র নৈকট্য লাভে বিশ্বাসী তারা?
এই বক্তব্যের দ্বিতীয় অংশটি ডাহা মিথ্যা। আহ্‌মদীরা অহরহ তাদের মৃতদেরকে সাধারণ মুসলমানদের কবরস্থানে কবর দিয়ে থাকে। ঢাকার আজিমপুর, বুদ্ধিজীবি, বনানী কবরস্থান ইত্যাদি অনেক কবরস্থানে আহ্‌মদীয়া জামাতের প্রাক্তন নেতাদের কবর বিদ্যমান। অতএব এই লিফলেট প��রকাশকারীরা যে মিথ্যাবাদী এ কথা স্পষ্টভাবে প্রমানিত।

বাকী রইল বিয়ের প্রসঙ্গ। যে স্বামী আহ্‌মদী হন বা যে স্ত্রী আহ্‌মদীয়া মতবাদ গ্রহণ করেন তাদের আত্নীয়তার সম���প��্কে কোন তারতম্য সৃষ্টি হয় না বা আত্নীয়তা ছিন্ন হয় না। তবে সাধারণভাবে পারিবারিক অশান্তি এড়ানোর জন্য আহ্‌মদীরা এমন কোন পরিবারে বিয়ে করে না যারা তাদেরকে কাফের জ্ঞান করে। আরও মজার বিষয় হচ্ছে যারা আহ্‌মদীয়াদেরকে বাংলাদেশে অমুসলমান ঘোষণার আন্দোলনে মাঠ গরম করে থাকেন তারাই কিন্তু জোর গলায় সাধারণ মুসলমানদেরকে বুঝিয়ে থাকেন, খবরদার! আপনারা আহ্‌মদীয়াদের সাথে শুধু যে আত্নীয়তা করবেন না তাই নয় বরং কোন রকম সম্পর্কই রাখবেন না। এমতাবস্থায়, আপনারাই বলুন কোনো মানুষ কি জেনেশুনে পারিবারিক জীবনটা অশান্তির বানাতে চাইবে?
লিফলেটের শেষের প্যারায় সাধারণ মুসলমানদেরকে আহ্‌মদীয়াদের সাথে মেলামেশা করার, তাদের অনুষ্ঠানে বা আমন্ত্রনে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আহ্‌মদীদের বক্তব্য ও যুক্তি শুনতেও নিষেধ করা হয়েছে।

একথা আমাদেরকে ১৪০০ বছর আগের মক্কার অস্বীকারকারী যালেমদের কথা স্বরণ করিয়ে দেয়। কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী এরা মক্কার জনসাধারণকে সত্য-বিমুখ করে রাখার জন্য বলতো-“লা তাসমাউ লেহাযাল কুরআন ওয়ালগাও ফিহি।” অর্থাৎ তোমরা এই কুরআনের বাণী শোনারও চেষ্টা করো না বরং কুরআন পাঠের সময় হৈ চৈ করবে। এ যুগের উগ্র সাম্প্রদায়িক লোকেরাও মানুষকে সত্য-মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ দিতে ভয় পায়। পাছে তাদের নিজেদের মুখোশ খসে পড়ে। নিরীহ মুসলমানরা জানতেও পারে না তাদেরকে কত বড় আধ্যত্নিক সম্পদ থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। তাদেরকে একতা ও ভ্রাতৃত্বের কত বড় নেয়ামত থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে। এই উগ্র-সাম্প্রদায়িক চক্রকে বিনীতভাবে প্রশ্ন করতে চাই মুসলমানদের ঈমান কি এতই নাজুক একটা তাসের ঘর যে মানুষের মুখের ফুৎকারে তা উড়ে যাবে? আপনাদের শত ফতোয়া ও বাধা বিপত্তি ডিঙ্গিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ যেমন আগেও সত্য উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছে এখনও সচেতন মানুষকে আপনাদের এসব ফতোয়া ধরে রাখতে পারবে না।
আমি আসলেই ভেবেছিলাম ব্লগিং বাদ দেবো, ব্লগে সবাই আপনার মতো কাউয়া, কেউ মানুষ নেই। তবে যখন দেখলাম শিক্ষিত লোকজনও ব্লগিং করে, সিদ্ধান্তটা বাদ দিলাম।
ভাই কাউয়া, আপনি মুসলমান বেহেশতী হুরের লোভে, আপনার সাথে তর্ক করার চেয়ে গাছের সাথে গল্প করা শ্রেয়। আগে কাউয়া থেকে মানুষ হোন।

১৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:৫০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: @একজন আহমদী গোলাম কাদিয়ানী! ব্রিটিশদের কাছে হোগা বন্ধক রাইখা, মুসলমানদের পিঠে ছুরি মারার লাইগা ব্রিটিশ কিছু ঘেটুপুত্র তৈরী করছিলো, এরাই হইলো কাদিয়ানী।মুঘলদের সময় হইলে হোগার ভিতরে কামান ভইরা লন্ডনে পাঠাইতো , এহন প্লেনে কইরা যায়।গোলাম ব্রিটিশ কাদিয়ানীরে নবী বা মাহ্দী মানার চেয়ে নাস্তিক হওয়াও ভালো।

১৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪১

এ আর ১৫ বলেছেন: একজন আহমদী মুসলিম----- এই ব্লগের বিষয় বস্তু হোল কেন মুসলমানরা পিছিয়ে সেই খানে আপনি কি কারনে অপ্রসঙ্গিক বিষয় নিয়ে এসেছেন । আপনি আমার এক কমেন্টের প্রেক্ষিতে দাবি কোরলেন আপনি কোরান সমর্থিত হাদিস ছাড়া অন্য কোন হাদিস মানেন না কিন্তু কার্দিয়ানিকে ইমাম মেহেদী মানেন এবং বোলেছেন গোলাম আহমেদ নিজেকে ইমাম মেহেদী বা পরে মসিহ দাবি করেছেন - এই দাবির পিছনে কোরানের তো কোন সমর্থন নাই এবং কোরানে ইমাম মেহেদীর সম্পর্কে কিছু বলেনি, তাহোলে তো আপনারা কোরান না মেনে হাদিস মানছেন ---
হযরত মির্যা গোলাম আহমদ (আঃ) প্রতিশ্রুত ইমাম মাহ্‌দী ও মসীহ্ হবার দাবী করেছেন ঠিকই কিন্তু তিনি কখনও নিজেকে সর্বশেষ নবী হিসাবে দাবী করেন নি।
এই দাবির পিছনে কোরনের কোন সমর্থন নেই --- ইমাম মেহেদীর কাহিণী যে একটা মিথ সেটা নিচের লিংকে রেফারেন্স সহ ব্যাখা করা হয়েছে এবং আপনাদের দাবির পিছনে কোন কোরানিক সমর্থন নেই --

ইমাম মেহেদী- একটি ষড়যন্ত্র এবং পৌরাণিক কাহিনী

তার মানে দাড়ায় আপনাদের ফেতনাটা সম্পুর্ন একটা মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত !!!!!!!! আপনি বোলছেন কোরান বিরুধী হাদিস মানেন না কিন্তু মিথ্যার উপর ভিত্তি করে কোরান বিরুধী হাদিস চর্চা কোরছেন ।

১৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১১

এ আর ১৫ বলেছেন: আহমেদিয়া বাবাজী --- একজনে লিখা শেয়রা কোরছি
////////////
ব্লগার “নাজিব হোসেন আকাশ” নামক একজন ব্লগার ভাই গত ২৮ আগস্ট “ইসলামের জাগরণের পথ ইমামের আনুগত্য” এই শিরোনামে একটা পোস্ট করে।ঐ পোস্টের কমেন্টে আমি উনাকে বেশ কিছু প্রশ্ন করি এবং উত্তর জানতে চাই। আমার প্রশ্নগুলি ছিলঃ

১। মির্যা গোলাম আহমদের জন্ম এবং নবুয়াত প্রাপ্তির ঘটনা কি?
২। উনি নিজেকে কি দাবী করেন? নবী, রাসুল, ঈসা, মেহেদী, কৃষ্ণ, অথবা অন্য কোন ইমাম?
৩। উনার নিদর্শন কি?
৪। উনি কোন ভবিষ্যৎবাণী সম্পূর্ণ করেছেন?
৫।উনার শিশ্য/ অনুসারীরা উনার সম্পর্কে কি লিখেছেন?

এর উত্তরে উনি আমাকে জানান যে উনি আমার প্রশ্নগুলির উত্তর ধারাবাহিক ভাবে পোস্ট আকারে দিবেন। উনি ভুলে যেতে পারেন বিধায় আমি উনাকে মাঝখানে স্মরণ করিয়ে দেই। এর পর যখন কোন উত্তর পাচ্ছিলাম না (খুব সম্ভব উনি ব্যাস্ত ছিলেন) তখন দেখলাম উনি আমার পোস্টে মন্তব্য করছেন। আমি উনাকে আবার আমার প্রস্নগুলি স্মরণ করিয়ে দেবার পর উনি আমাকে আমার পোস্টে এই প্রস্নগুলির উত্তর দেন। উনার দেওয়া উত্তর গুলি আমি নিচে কপি পেস্ট করছি সাথে আমার মন্তব্য লিখেছি

(ধর্ম নিয়ে পড়ালেখা করা আমার অনেক আগের অভ্যাস। এই একটা শখ যা এখনও টিকে আছে। ছোট বেলায় শখ ছিল ডাকটিকেট সংগ্রহ, বিভিন্ন মুদ্রা সংগ্রহ, সেবার কিশোর ক্লাসিক, অনুবাদ এইসব বই পড়া। বই পড়তে গিয়ে ধর্মীয় বিষয় নিয়েও বই পড়েছি। সময়ের সাথে সাথে সব শখই দূর হয়েছে, শুধু বই পড়ার অভ্যাসটা রয়ে গেছে। বিশেষভাবে বললে ধর্মীয় বই পড়ার প্রতি আগ্রহটা রয়ে গেছে। সেই আলোকে আমার এই লেখা। )

কাদিয়ানি সম্পর্কে আমার তাত্বিক ধরানা খুব কম। এর আগে আমি কখনো কাদিয়ানীদের লিখিত কোন বই পড়িনি, মানুষের কাছ থেকে শোনা কথা আর শুধুমাত্র বিভিন্ন ধর্ম সংক্রান্ত বই পড়ার সময় প্রসঙ্গক্রমে যেখানে কাদিয়ানিদের কথা এসেছে ততটুকুই জানতাম। ব্লগে আমার কিছু পোস্টের মন্তব্যে আমি কাদিয়ানি কিনা সেই সম্পর্কে কিছু মন্তব্য পাওয়ার পর আমি বলেছিলাম যে আমার কোন কথাটার প্রেক্ষিতে আমাকে কাদিয়ানি বলে মনে হচ্ছে। এর কোন উত্তর আমি পাইনি। যাই হোক, এই ব্লগার ভাই “নাজিব হোসেন আকাশ” কে প্রশ্ন গুলি করার সময় আমি নিজেও এই প্রস্নগুলির উত্তর খুজার চেষ্টা করি। উনি যখন এই প্রশ্নগুলির উত্তর দিলেন, আমি আমার সীমিত জ্ঞান দিয়ে দেখব যে উনার উত্তর কতটা সঠিক বা যুক্তিযুক্ত।

প্রশ্ন ১ঃ মির্যা গোলাম আহমদের জন্ম এবং নবুয়াত প্রাপ্তির ঘটনা কি?
ব্লগার নাজিব হোসেন আকাশের উত্তরঃ মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি আঃ ১৮৩৫ ইং জন্ম, ১৮৮৯ ইং আল্লাহ্'র পক্ষ হতে ওহী / ইলহাম পেয়ে ইমাম মাহদী দাবী ।
আমার মন্তব্যঃ
আর খুইজা তো পাইলাম না যে ১৮৮৪ সালের রমজানে সূয` গ্রহন হইছিলো।

নিচের লিস্টে দেখেন ১৮৮৪ এ ৩টা সূয` গ্রহন হইছিলো

২০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:১৫

এ আর ১৫ বলেছেন: কার্দিয়ানি বাবাজী --- সম্পুর্ন লেখাটা আসেনি তাই লিংটা দিলাম
একজন ব্লগারের সাথে আমার ধর্ম অথবা অধর্মীয় আলোচনা
৩। উনার নিদর্শন কি ?
উত্তর: ঊনার নিদর্শন ১৮৮৪ সালের চন্দ ও সূর্য গ্রহণ একই রমজানে, যা সৌরজগতের নিয়মের ব্যতিক্রম ।

কিভাবে ব্যাতিক্রম হইলো???

আর খুইজা তো পাইলাম না যে ১৮৮৪ সালের রমজানে সূয` গ্রহন হইছিলো।

নিচের লিস্টে দেখেন ১৮৮৪ এ ৩টা সূয` গ্রহন হইছিলো

২১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১২

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: ভাই ওটা ৮৪ না, ৯৪।
আপনার জ্ঞান অসীম, যেটা খ্রীস্টানরাও অস্বীকার করতে ভয় পায় আপনি করে বসলেন!
১। মির্যা গোলাম আহমদ (আ) এর জন্ম এবং নবুয়াত প্রাপ্তির ঘটনা কি?
উত্তর: আপনি কি আমার কমেন্ট ভালোমতো পড়েননি?
২। উনি নিজেকে কি দাবী করেন? নবী, রাসুল, ঈসা, মেহেদী, কৃষ্ণ, অথবা অন্য কোন ইমাম?
উত্তর: সামান্য জ্ঞানও যার ধর্ম সম্পর্কে নেই তার কাছেই এমন প্রশ্ন আশা করা যায়। নবী ও রাসূলে আপনার মাওলানা যা বোঝান আপনি ওটুকুই জানেন। দুটোর শাব্দিক প্রয়োগ এক এ জ্ঞান আপনার নেই।
কৃষ্ণ তিনি কেন হবেন বললে ভালো হত, আপনি পারলে হিন্দুধর্মের ব্যাপারে ও শেষ যামানায় তাদের বিশ্বাসের ব্যপারে জেনে নেবেন।
৩। উনার নিদর্শন কি?
উত্তর: বলাই আছে। আরোও জানতে ইচ্ছা থাকলে আমাদের ওয়েবসাইট খোঁজেন। তবে আপনি এখন অলৌকিক মোজেজা চাইলে বলবো, ধর্মের ব্যপারে আপনার প্রকৃত জ্ঞান খুব কম।
৪। উনি কোন ভবিষ্যৎবাণী সম্পূর্ণ করেছেন?
উত্তর: কয়েক হাজার। রাসূলুল্লাহ (সা) এর সব প্রতিশ্রুতির পূর্ণতার মধ্যে তিনি একজন।
৫।উনার শিশ্য/ অনুসারীরা উনার সম্পর্কে কি লিখেছেন?
উত্তর: বানান ভুল, আমাদের বইয়ের সংখ্যা অসংখ্য। আপনাদের মৌলবীরা ফতোয়া দিয়ে না রাখলে তা আমরা বাইরেও দিতে পারতাম।
অশিক্ষিতের মতো না হয়ে একটু হিকমতের সাথে কাজ করুন।

২২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২২

এ আর ১৫ বলেছেন: বাবা কার্দিয়ানি --- আমি যে লিংকটা দিলাম সেটা কি আমার লিখা ?? এত টুকু বোঝার ক্ষমতা বুঝি আপনার নাই
প্রশ্ন ১ঃ মির্যা গোলাম আহমদের জন্ম এবং নবুয়াত প্রাপ্তির ঘটনা কি?
ব্লগার নাজিব হোসেন আকাশের উত্তরঃ মির্যা গোলাম আহমদ কাদিয়ানি আঃ ১৮৩৫ ইং জন্ম, ১৮৮৯ ইং আল্লাহ্'র পক্ষ হতে ওহী / ইলহাম পেয়ে ইমাম মাহদী দাবী ।
আমার মন্তব্যঃ
উনার সঠিক জন্মসাল কেউ জানেনা। ধারনা করা হয় উনার জন্মসাল ১৮৩৫-১৮৪০ এর মধ্য। উনার ছেলের গবেষণা অনুযায়ী উনার জন্ম ১৮৩৫ সাল। সুতরাং ধরে নিলাম ১৮৩৫ সালেই উনারা জন্ম। এবার আসি উনার জন্মকাহিনির ব্যপারে। এই ব্যপারে উনি নিজে বলেছেনঃ

“ঈসার রুহ আমার মধ্যে প্রবেশ করানো হয় যেভাবে মরিয়মের গর্ভে প্রবেশ করানো হয়েছিল এবং রূপক অর্থে আমি গর্ভবতী হই। দশ মাসেরও কম সময়ে আমি মরিয়ম থেকে ঈসাতে পরিণত হই, এবং এইভাবেই আমি মরিয়ম পুত্র ঈসা”। (কাশ্তি নুহ)

“বাবু এলাহি আমার menstruation দেখতে চায়, কিন্তু আল্লাহ বলেন তুমার কোন menstruation নাই কারন তোমার ভিতরে ঐ শিশু (ঈসা) রয়েছে”। (হাকিকাতুল ওহী)

সুতরাং দেখা যাচ্ছে উনি প্রথমে ছিল বিবি মরিয়ম, তারপর নিজের থেকে নিজে দশ মাসের কম সময়ে ঈসা হিসাবে জন্ম নেন। কোন ধরনের ব্রেইন ওয়াশ হলে মানুষ এইসব বিশ্বাস করে?

এইবার উনার ওহী প্রাপ্তির বিষয়ে আসিঃ উনি বলেছেন “১৮৮৯ ইং আল্লাহ্'র পক্ষ হতে ওহী / ইলহাম পেয়ে ইমাম মাহদী দাবী “।– এই ইলহাম/কাস্ফ (ওহী কাফি) এর ধরনার উৎপত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলাচনা আমি আমার “সুফীবাদ (ইসলামিক মিষ্টিসিজম)” পার্ট ১-৪ এ আলোচনা করেছি। সুতরাং এখানে আবার করতে চাছিনা। যাদের জানার ইচ্ছা তারা আমার ঐ লেখা গুলি দেখতে পারেন।
উনার সাহাবী উনার ওহী প্রাপ্তির অভিজ্ঞতার কথা যেভাবে বলেছেনঃ

The state of divination so engulfed Mirza Ghulam as if he was a woman and Allah was expressing His power of manhood. (Islami Qurbani Tract No.34 Qazi Yad Muhammad Qadiyani) । খাস বাংলা ভাষায় এইটার অনুবাদ করলে দ্বারায় যে উহী প্রাপ্তির সময় উনার মনে হত যে সে একজন নারী এবং আল্লাহ উনার সাথে সেক্স করছেন ।

“ মার্চ ০৫, ১৯০৫ সালে আমি একজন ফেরেস্তাকে দেখি। তার নাম জিজ্ঞেস করলে সে আমাকে বলে তার নাম “টিকি টিকি” (হাকিকাতুল ওহী)


উনার প্রাপ্ত একটা ওহী নিচে ইংরেজীতে দিলাম যার অর্থ উনি নিজেও জানেনা। এইটা কোন ভাষা তাও একটা প্রশ্ন।

Shaana Naasa Peration Omar Paratoos Yaani Parratoos Yaani Palatoos.

২৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৩

এ আর ১৫ বলেছেন: কেমন আছেন কার্দিয়ানি ??
প্রশ্ন ঃ ২। উনি নিজেকে কি দাবী করেন? নবী, রাসুল, ঈসা, মেহেদী, কৃষ্ণ, অথবা অন্য কোন ইমাম?
ব্লগার নাজিব হোসেন আকাশের উত্তর ঃ ঊনি নিজেকে উম্মতি নবী, ইমাম মাহদী (আঃ), কলকি অবতার, মসীহা, মসীলে ঈসা (আঃ), সবই দাবী করেন ।

আমার মন্তব্যঃ
১। ইমাম মাহদীঃ উনি আবার ইমাম মাহদীর পর ব্রাকেটে “(আঃ)” বসিয়েছেন। যাই হোক, এই নামে যে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই, তা আমি আমার ব্লগে লিখেছি। দয়া করে দেখতে পারেন Click This Link
২। ঈসা (আঃ)ঃ উনি যে মৃত (ক্রুসবিদ্ধ হয়ে নয়, স্বাভাবিক ভাবে) তা আমি আমার ব্লগে প্রমান করে দেখিয়ছি। Click This Link দেখতে পারেন
মির্জা সাহেব বলেছেনঃ আমি আদম, নুহ, দাউদ, মরিয়ম পুত্র ঈসা, আমি মুহাম্মদ (রূহানী খাযাইন)
আপানর কথা অনুযায়ী উনি একের ভিতরে সব। সুপার শপের মত আর কি

২৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৫

এ আর ১৫ বলেছেন: হায়রে কার্দিয়ানি ----
প্রশ্ন ৩ঃ উনার নিদর্শন কি ?

ব্লগার নাজিব হোসেন আকাশের উত্তর ঃঊনার নিদর্শন ১৮৮৪ সালের চন্দ ও সূর্য গ্রহণ একই রমজানে, যা সৌরজগতের নিয়মের ব্যতিক্রম ।মোবাহেলায়, পণ্ডিত লেখরাম, আলেক জানডার ডুই, মৌলভী সানাউললা সহ অনেকের মৃত্যু ।

বড় সত্যতা আপনার সামনে আমরা ২০৭ টি দেশে ২০ কোটির বেশি আহমদী আছি, এ বছর ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ ৩৩ হাজার ৩ শত নতুন ইসলামে প্রবেশ করে (আহমদী হয়)

আমার মন্তব্যঃ
উনার জন্ম যদি ১৮৩৫ সালে হয় এবং উনি ওহী প্রাপ্ত হন ১৮৮৯ সনে, তাহলে ১৮৮৪ সালের “চন্দ ও সূর্য গ্রহণ একই রমজানে, যা সৌরজগতের নিয়মের ব্যতিক্রম” এর সাথে কি সম্পর্ক? (আমি জানিনা ঐ সময়ে এই রক্ম ঘটনা ঘটে থাকলেও কিছু প্রমানিত হয় না)। বরং বলতে পারেন ঐ সময়কালে টমাস আলভা এডিসন বৈদ্যুতিক বাতি আবিস্কার করেন, এইটা একটা নিদর্শন হতে পারে। ফাইযলামির একটা সীমা থাকা উচিত।

আলেক জানডার ডুই কি মোবাহেলায় অংশ নিয়ছিল? আপনার কাছে কি প্রমান আছে যে উনি অংশ নিয়েছিল? আর মোবাহেলা কোন নিদর্শন হতে পারে না। এটা সম্পূর্ণ হাস্যকর।

সংখ্যাধিক্য কোন নিদর্শন না। আপনার জান উচিত নবীদের নিদর্শন থাকে। যেমন মুহাম্মদ (সাঃ) এর নিদর্শন কোরআন। সেই প্রেক্ষিতে আপনার নবীর নিদর্শন কি?

২৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৬

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: এ আর ১৫
আপনি জানতে যদি চান কেন মানি, তবে এটা আপনার জন্য।
অন্যান্য সব মুসলমানের মত আমরাও হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম-এর উম্মত হিসাবে ইমাম মাহ্‌দী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্ (আঃ)-এর আগমনের প্রতীক্ষায় ছিলাম। আজ থেকে শতাধিক বছর আগে ১৮৮৯ খৃষ্টাব্দে তথা ১৩০৬ হিজরী সনে ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের এক নিভৃত গ্রামে হযরত মির্যা গোলাম আহ্‌মদ (আঃ) সেই প্রতিশ্রুত মহাপুরুষ হবার দাবী করেন। আমরা পবিত্র কুরআন ও হাদীসের আলোকে তাঁকে যাঁচাই করে সত্য মাহ্‌দী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্ হিসাবে গ্রহণের তৌফিক লাভ করেছি। কুরআনের ভবিষ্যদ্বাণী ও সহীহ্ হাদীসের আলোকে একথা সুস্পষ্ট, খাতামান্নাবীঈন (সাঃ)-এর আধ্যাত্মিক কল্যাণে ও তাঁর আনুগত্যে তাঁরই উম্মত হতে ইমাম মাহ্‌দী ও প্রতিশ্রুত মসীহ্’র চতুর্দশ শতাব্দীর শিরোভাগে আগমনের কথা। হযরত মির্যা সাহেব তদনুযায়ী সঠিক সময়ে আগমন করেছেন।

মহানবী (সাঃ) বলেছেন:

“ইমাম মাহ্‌দী আবির্ভূত হবার সংবাদ পাওয়া মাত্রই তাঁর হাতে বয়’আত করিও, যদি বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়েও যেতে হয়; কেননা নিশ্চয় তিনি আল্লাহ্‌র খলীফা আল-মাহ্‌দী”। (সুনানে ইবনে মাজা-বাবু খুরূজুল মাহ্‌দী)

যাঁরা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপরোক্ত আদেশানুযায়ী তাঁকে মান্য করে তাঁর বয়’আত গ্রহণ করেছেন তারাই আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামা’তের সদস্য।

আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামা’তের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মির্যা গোলাম আহ্‌মদ কাদিয়ানী (আঃ) {জন্ম ১৮৩৫, মৃত্যু ১৯০৮ খৃঃ}। তিনি আল্লাহ্ তা’আলার নিকট থেকে ইলহাম প্রাপ্ত হয়ে জগতের সংশোধনকল্পে মহান আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে প্রত্যাদিষ্ট হবার দাবী করেন আর বলেন, তিনি সেই ‘প্রতিশ্রুত মসীহ্’ ও মাহ্‌দী যাঁর আগমনের সুসংবাদ স্বয়ং মহানবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) করেছিলেন, যাঁর আবির্ভাবের মাধ্যমে সব ধর্মমতের ওপর ইসলাম ধর্মের বিজয় নির্ধারিত।

ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)-এর সত্যতা সম্পর্কে হযরত রসূল করীম (সাঃ) বলেছেন:

“নিশ্চয় আমাদের মাহ্‌দীর সত্যতার এমন দু’টি লক্ষণ আছে, যা আকাশমন্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি অবধি আজ পর্যন্ত অন্য কারও সত্যতার নিদর্শন স্বরূপ প্রদর্শিত হয়নি। একই রমযান মাসে (চন্দ্র গ্রহণের) প্রথম রাতে চন্দ্র গ্রহণ হবে এবং (সূর্য গ্রহণের) মধ্যম তারিখে সূর্য গ্রহণ হবে”। (দারকুতনী-১৮৮ পৃঃ এবং আরও ছয়টি প্রসিদ্ধ কিতাবে এই হাদীস বর্ণিত হয়েছে)

উল্লেখিত গ্রহণদ্বয় ১৮৯৪ খৃষ্টাব্দে পূর্ব গোলার্ধে এবং ১৮৯৫ খৃষ্টাব্দে পশ্চিম গোলার্ধে সংঘটিত হয়েছে। (আযাদ পত্রিকা উর্দূ লাহোর, ৪ ডিসেম্বর ১৮৯৫ খৃষ্টাব্দ, সিভিল এন্ড মিলিটারী গেজেট, লাহোর, ৬ ডিসেম্বর ১৮৯৬ খৃষ্টাব্দ), এছাড়া চন্দ্রপাড়ার পীর সাহেবের পুস্তিকা ‘মদীনা কলকি অবতারের সফিনা’, পৃষ্ঠাঃ ২৫)

হযরত মির্যা গোলাম আহ্‌মদ (আঃ) প্রথম ২৩ মার্চ, ১৮৮৯, ভারতের লুধিয়ানা শহরে চল্লিশজন নিষ্ঠাবান ব্যক্তির বয়’আত গ্রহণ করেন আর মহানবী (সাঃ)-এর ‘আহ্‌মদ’ নাম অনুযায়ী এই জামা’তের নাম ‘আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামা’ত’ রাখেন।

তিনি পবিত্র কুরআন থেকে অকাট্টরূপে প্রমাণ করেন, বনী ইসরাঈলী নবী হযরত ঈসা (আঃ)-এর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তিনি প্রায় ৮৮ খানা পুস্তক রচনা করেন এবং খৃষ্টান, আর্য্য-সমাজী আর অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের পক্ষ থেকে পরিচালিত ইসলাম-বিরোধী হামলাসমূহকে তিনি আজীবন নজিরবিহীনভাবে প্রতিহত ও পরাভূত করেন। ১৯০৮ সনে তাঁর মৃত্যুর পর রসূল করীম (সাঃ)-এর ভবিষ্যদ্বাণী (খিলাফত আলা মিনহাজিন্ নবুওয়ত) অনুযায়ী আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামা’তে নবুওয়তের পদ্ধতিতে খিলাফত পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়। এই জামা’তের বর্তমান খলীফা হলেন হযরত মির্যা মাসরূর আহমদ (আই:)। খিলাফত ব্যবস্থার কল্যাণে এই জামা’ত এখন বিশ্বের ১৮৯টি দেশে হাজার হাজার শাখায় বিস্তৃত। কোটি কোটি মানুষ ইতোমধ্যে এই ঐশী জামা’তে অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন। বিংশ শতাব্দীর শেষের মাত্র এক বছরেই চার কোটি তের লক্ষেরও অধিক লোক এই ইলাহী জামা’তভুক্ত হয়েছেন। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া জাতি তথা আফ্রিকায় এ জামা’ত শত শত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল স্থাপন করেছে। এছাড়া এ জামা’ত স্যাটেলাইট টেলিভিশন MTA (মুসলিম টেলিভিশন আহ্‌মদীয়া)-এর মাধ্যমে দিবারাত্র বিশ্বের প্রধান প্রধান ৮টি ভাষায় ইসলামের সৌন্দর্য্য এবং শান্তিপূর্ণ শিক্ষা প্রচার করে যাচ্ছে।
এ পর্যায়ে আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামাতের পবিত্র প্রতিষ্ঠাতার কয়েকটি দাবী উপস্থাপিত হলো:

“হে ভাই সকল! আমি মহা সম্মানিত আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে ইলহাম প্রাপ্ত। ওলীদের জ্ঞান-ভান্ডার (ইলমে লাদুন্নী) থেকে আমাকে জ্ঞান দান করা হয়েছে। আবার, এই উম্মতের ধর্ম সংস্কারের লক্ষ্যে, মীমাংসাকারীরূপে এদের মত-বিরোধের নিস্পত্তি করার জন্য, ক্রুশীয় মতবাদকে ঐশী নিদর্শনাদির সাহায্যে ধ্বংস করতে আর খোদা-প্রদত্ত ক্ষমতা দ্বারা জগতে একটি পবিত্র পরিবর্তন সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে আমাকে শতাব্দীর শিরোভাগে আবির্ভূত করা হয়েছে। সুস্পষ্ট ইলহাম ও সত্য ওহী দ্বারা আল্লাহ্ তা’আলা আমাকে ‘মসীহ্ মাওউদ’ আর ‘প্রতিশ্রুত মাহ্‌দী’ নামে সম্বোধন করেছেন। আমি ভন্ড বা প্রতারকদের অন্তর্ভূক্ত নই, আমি মিথ্যাচারীও নই, মানুষকে বিপথে পরিচালনাকারীও নই”। (‘নজমুল হুদা’ পুস্তক, রূহানী খাযায়েন, ১৪তম খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ৫৯)

“ধর্ম সংস্কারের লক্ষ্যে খোদার পক্ষ থেকে যার আসার কথা ছিল সেই ব্যক্তি আমিই। যাতে করে ধরাপৃষ্ঠ থেকে বিলুপ্ত ঈমানকে আমি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করি আর খোদার নিকট থেকে শক্তিলাভ করে তাঁরই প্রদত্ত ক্ষমতা বলে জগতকে সংশোধন, তাকওয়া ও সত্যনিষ্ঠার দিকে আকর্ষণ করি আর আমি যেন এদের বিশ্বাস ও আচরণগহত ভুলত্রটি দূরীভূত করি আর...আল্লাহ্‌র ওহী দ্বারা আমাকে একথা সুস্পষ্টরূপে বুঝানো হয়েছে, এই উম্মতের জন্য সূচনালগ্ন থেকে যে মসীহ্ সম্বন্ধে প্রতিশ্রুতি প্রদান করা হয়েছিল আর সেই শেষ ‘মাহ্‌দী’-ইসলামের অধঃপতনের যুগে, পথভ্রষ্টতার বিস্তৃতির যুগে খোদা তা’আলার কাছ থেকে যার সরাসরি ‘হিদায়াত’ লাভ করার কথা ছিল আর ঐশী তকদীরে সেই আধ্যাত্মিক খাদ্যভান্ডার মানবজাতির সামনে যাঁর পক্ষ থেকে নতুনভাবে পরিবেশন করা নির্ধারিত ছিল, যাঁর আগমনের সুসংবাদ তের’শ বছর পূর্বে আমাদের মহানবী (সাঃ) প্রদান করেছিলেন-আমিই সেই ব্যক্তি”। (‘তায্‌কিরাতুশ শাহাদাতাইন’ পুস্তক, রূহানী খাযায়েন, ২০তম খন্ড, পৃষ্ঠাঃ ৩,৪)

“আমি এখন কেবল আল্লাহ্‌র প্রতি কর্তব্য হিসাবে অতীব জরুরী এই বিষয়টি জানাচ্ছি, আল্লাহ্ তা’আলা চতুর্দশ হিজরী শতাব্দীর প্রারম্ভে সুরক্ষিত ইসলাম ধর্মের সংস্কার ও সমর্থনের উদ্দেশ্যে আমাকে তাঁর পক্ষ থেকে প্রত্যাদিষ্ট করে প্রেরণ করেছেন।

এই রোগাক্রান্ত যুগে কুরআন শরীফের মাহাত্ম্য আর মহানবী হযরত মুহাম্মদ রসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর শ্রেষ্ঠত্ব প্রকাশ করা আমার কর্তব্য। আর খোদা-প্রদত্ত আত্মিক জ্যোতিঃ, অনুগ্রহরাজি, ঐশী নিদর্শন আর খোদা-প্রদত্ত বিশেষ জ্ঞান দ্বারা ইসলাম ধর্মের ওপর আক্রমণকালী সকল শত্রুকে প্রতিহত করাও আমার কাজ”।

(‘বারাকাতুদ্ দোয়া’ পুস্তক, রূহানী খাযায়েন, ৬তম খন্ড)

সুধী পাঠক! খোদা তা’লার চিরন্তন বিধান অনুযায়ী উগ্র মৌলবাদীদের পক্ষ থেকে এই ঐশী জামা’তের প্রচন্ড বিরোধিতা চলছে। আপনাদের কাছে বিনীত আবেদন এই যে, আহ্‌মদীয়াত সম্বন্ধে অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে অনুগ্রহপূর্বক আমাদের সাথে যোগাযোগ করে সত্যতা যাচাই করুন।
সূত্র: http://ahmadiyyabangla.org/
কুরআন চান যদি,
هُوَ الَّذِىْ بَعَثَ فِىْ الْاُمِّيّٖنَ رَسُوْلاً مِّنْهُمْ يَتْلُوْا عَلَيْهِمْ اٰيٰتِهٖ وَيُزَكِّيْهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتٰبَ وَالْحِكْمَةَ وَاِنْ كَانُوْا مِنْ قَبْلُ لَفِىْ ضَلٰلٍ مُّبِيْنٍۙ‏

وَّاٰخَرِيْنَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوْا بِهِمْ‌ؕ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ‏

৩। তিনিই উম্মীদের মধ্যে তাহাদেরই মধ্য হইতে এক রসূল আবির্ভূত করিয়াছেন, যে তাহাদের নিকট তাঁহার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করে, এবং তাহাদিগকে পরিশুদ্ধ করে, এবং তাহাদিগকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়, যদিও পূর্বে তাহারা প্রকাশ্য ভ্রান্তির মধ্যে ছিল।

৪। এবং (তিনি তাহাকে আবির্ভূত করিবেন) তাহাদের মধ্য হইতে অন্য লোকের মধ্যেও যাহারা এখন পর্যন্ত তাহাদের সঙ্গে মিলিত হয় নাই। এবং তিনি মহাপ্ররাক্রমশালী, পরম প্রজ্ঞাময়।

(আল্‌ জুমু’আঃ ৩-৪)
আপনার ঈমান আপনার হাতে, আমার ঈমান আমার। আমি জানি তাই মানি, আপনি যদি জেনে মানেন ভালো, তবে না জেনে মানার চেয়ে না মানা ভালো। তবে জেনে না মানলে বলা হয় কাফির বা অস্বীকারকারী। আর জেনে বিরোধীতা করলে তা আল্লাহর প্রতি বিদ্রোহ।
আর যেসব ভন্ড মৌলবী ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে, তাদের মানলে হয় মুসলমান পথভ্রষ্ট হবে, নইলে হবে নাস্তিক। কখনো কখনো ভন্ড ধা্র্মিক হবার চেয়ে ন্যায়পরায়ণ নাস্তিক হওয়া বেশী শ্রেয়।

২৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:২৬

এ আর ১৫ বলেছেন: কি খরব কার্দিয়ানী --
প্রস্নঃ ৪। উনি কোন ভবিষ্যৎবাণী সম্পূর্ণ করেছেন?

ব্লগার নাজিব হোসেন আকাশের উত্তরঃ উনার সকল ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়, তিন নং উত্তরে কিছু বলা হয়েছে । বিস্তারিত জানতে হলে সমসাময়িক পত্রিকা ও আমাদের বি পুস্তক পড়তে হবে ।

আমার মন্তব্যঃ
আমি বলতে চাচ্ছিলাম উনি কোন ভবিষ্যৎবাণী পূর্ণ করেছেন, এর অর্থ আপনার কথা অনুযায়ী উনি ঈসা (আঃ), মেহেদী। হাদিস অনুযায়ী এদের সম্পর্কে কিছু ভবিষ্যৎ বানী করা আছে যেমনঃ দ্বাজ্জালের সাথে লড়াই করে দ্বাজ্জাল কে হত্যা করা, ক্রস ভেঙ্গে ফেলা, শুকর হত্যা করা, জিযিয়া তুলে নেওয়া, ইয়াযুয মাযুযদের পরাজিত করা ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি জানতে চাই উনি কোনটা পূর্ণ করেছেন।
“উনার সকল ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়” এই কথাটা দিয়ে আপনি সমপূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছেন। আসেন দেখি উনার ভবিষ্যৎ বানী ঃ

১। “আল্লাহ আমাকে এই সুসংবাদ দিয়েছেন যে আমি ৮০ বছর বা তার বেশি বাচব”।(মুয়াহিবুর রহমান)। উনি কত বছর বেচেছিলেন?
২। মির্যা গোলাম আহমদের ছেলে মির্জা বশিরুদ্দিন মাহমুদ-যে কিনা তার দ্বিতীয় খলিফা হয়েছিল তার “আফযাল” এ ৫ই জানুয়ারী, ১৯৯৩ সালে লিখছিলঃ
“About the revelation to the Promised Messiah (Mirza Ghulam) that he would die in either Makka or Madina, we would say that both are the names of Qadiyan.”

কিন্তু বাস্তব হচ্ছে উনি মক্কা, মদিনা, কাদিয়ান- এই তিন জায়গার কোথাও মৃত্যবরন করেন নাই। উনি মারা গিয়েছেন লাহোরে।

৩। মুহাম্মদী বেগম নামে ১০-১১ বছরের একটি মেয়েকে বিয়ে করার অপ্রাণ চেষ্টা করার পর ব্যর্থ হয়ে উনি বলেছিলেন যে মুহাম্মদী বেগম তার বউ হবে এবং যদি মুহাম্মদী বেগমকে অন্য কারো কাছে বিয়ে দেওয়া হয়, তবে মুহাম্মদী বেগম অচিরেই বিধবা হবে।

এইটাও ত সত্য হয় নাই।

৪। “মিয়া মঞ্জুর মুহাম্মদের একটা ছেলে হবে যার নাম হবে বশিরুদ্দুইল্লা (আল বুশরা, লেখক বাবু মঞ্জুর এলাহি কাদিয়ান)
বাস্তবে হয়েছিল মেয়ে। এইটাও ত সত্য হয় নাই।

প্রস্নঃ৫। উনার শিশ্য/ অনুসারীরা উনার সম্পর্কে কি লিখেছেন?
ব্লগার নাজিব হোসেন আকাশের উত্তর ঃ উনার শিষ্য ঊনার প্রশংসায় মশগুল, বরং ঊনার বিরুদ্ধ বাদীরাই ঊনার প্রশংসায় মশগুল ছিল, যদিও মানতে পারেনি।

আমার মন্তব্যঃ
উনার শিষ্যদের প্রশংসার কিছু নমুনা পেলে ভাল হত, তাহলে কিছু বলতে পারতাম।তবে উনার ছেলে মির্জা বশীরুদ্দিন মাহমুদ, তার “সীরাতুল মাহদী” ভলিউমঃ ২ এ উনার সম্পর্কে বলেছেনঃ “that the Promised Messiah was suffering fromhysteria and “miraq“ (psychosis)”.
উনি নিজের সম্পর্কে বলেছেনঃ
I am a worm my dear, not son of Adam (In) the most stinking, hated spot on the human body And the shame of all people (Durr-e-Sameen Pg 116)

২৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩১

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: আপনার ১৮৯৪ আর ১৮৮৪ এর মধ্যে গন্ডগোল লেগেছে।
এটা পড়ুন।
http://www.astronomyforum.net/astronomy-beginners-forum/130594-two-eclipses-1894-a.html
https://www.alislam.org/library/articles/new/TruthAboutEclipses.html
আর কিছু?

২৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: জানুন, তারপর মানুন। আমরা এবং আপনারা ততদিন এক হতে পারবনা যতদিন আপনারা আমাদের কাছে এসে আমাদের না দেখবেন।
আমাদের বেশীরভাগ বই এখানে পাওয়া যায়, যত চান পড়ুন।
https://www.alislam.org
আমাদের বিরোধীতা করতে গিয়ে ইতিহাস বিকৃতি করবেন না দয়া করে। প্রথম নোবেল একজন আহমদী পেয়েছিলেন। পরেও পেতেন যদিনা আপনাদের মোল্লারা শোরগোল না করতো। আহমদীদের ভালো সহ্য হয়না তাদের। কারণ তারাও খ্রীস্টান পাদ্রীদের মতো দাজ্জালী রাস্তা ধরেছেন, আমরা জিতলে তাদের পেটে লাথি পড়বে।

২৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪০

এ আর ১৫ বলেছেন: আমার করা ১৮ নং মন্তব্যে ইমাম মেহেদী মিথ সম্পর্কে জনাব হানিফ ঢাকা লিখা ব্লগ পেশ করেছি এবার সেটার উত্তর দিন । শুনুন আমি অন্যান ব্লগারদের মত গালাগালি দিচ্ছি না বা দি না তাই কোন চাপ নেই । ঐ ব্লগে দেখিয়েছে কতক গুলো মিথ্যা হাদিসের উপর ভিত্তি করে গোলাম কার্দিয়ানী নিজেকে ইমাম মেহেদী দাবি করেছে !!!!!

একটু আগে আপনার ১২ নং কমেন্টে আপনি আমার সাথে সহ মত প্রকাশ করে বলেছেন আপনি ও নাকি কোরান বিরুধী হাদিস মানেন না তাহোলে কোরান বিরুধী হাদিস দিয়ে দাবি করা নবুয়াত প্রাপ্ত একজনরে ইমাম মেহেদী বানাই ফেলেছেন কেন ??
দেখুন আমি টারজন আশাবাদি অধম বা কাউয়ার মত নোংরা ভাষায় গালাগালি করি না ---এই লোক গুলো আরো জঘন্য ফেতনার অনুসারি তাই তাদের যুক্তি তর্কের চেয়ে গালাগালি বেশি ।

৩০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪১

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: আর কত মিথ্যাচার করবেন আপনারা? আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ (সা) ও সাহাবাগণ (রা) কে নিয়ে অমুসলিমরা যেভাবে মিথ্যাচার করে তার মতোই তো হয়ে গেলেন! পারলে আমাদের শরীয়তের ভুল দেখান তো, অথবা আমাদের মসজিদের।

৩১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪৭

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: কোরআন বিরোধী হাদিস?
আর কয়টা আয়াত লাগবে?
আর কয়বার কুরআন থেকে বের করবো যে আল্লাহ মানুষের সাথে এখনো কথা বলেন? আর কয়বার আপনি অস্বীকার করবেন যে আল্লাহর সত্যিকারের প্রেমিকদের আল্লাহ ইলহাম দিয়ে সহায়তা করেন? আমাদের সেরা মনীষীরা কি স্বপ্নের মাধ্যমে আলামত পাননি? ছায়ানবী কাকে বলে বোঝেন?
আমি বললে শেষ হবেনা ভাই, আপনার জেলা যেটাই হোক, আহমদীয়া মসজিদ পাবেন। ঈমান ঠুনকো না হয়ে থাকলে কিছুদিন যান ওখানে।

৩২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫০

এ আর ১৫ বলেছেন: কার্দিয়ানি বলেছেন ---
প্রস্নঃ ৪। উনি কোন ভবিষ্যৎবাণী সম্পূর্ণ করেছেন?

ব্লগার নাজিব হোসেন আকাশের উত্তরঃ উনার সকল ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়, তিন নং উত্তরে কিছু বলা হয়েছে । বিস্তারিত জানতে হলে সমসাময়িক পত্রিকা ও আমাদের বি পুস্তক পড়তে হবে ।

আমার মন্তব্যঃ
আমি বলতে চাচ্ছিলাম উনি কোন ভবিষ্যৎবাণী পূর্ণ করেছেন, এর অর্থ আপনার কথা অনুযায়ী উনি ঈসা (আঃ), মেহেদী। হাদিস অনুযায়ী এদের সম্পর্কে কিছু ভবিষ্যৎ বানী করা আছে যেমনঃ দ্বাজ্জালের সাথে লড়াই করে দ্বাজ্জাল কে হত্যা করা, ক্রস ভেঙ্গে ফেলা, শুকর হত্যা করা, জিযিয়া তুলে নেওয়া, ইয়াযুয মাযুযদের পরাজিত করা ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি জানতে চাই উনি কোনটা পূর্ণ করেছেন।
“উনার সকল ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হয়” এই কথাটা দিয়ে আপনি সমপূর্ণ মিথ্যা কথা বলেছেন। আসেন দেখি উনার ভবিষ্যৎ বানী ঃ

১। “আল্লাহ আমাকে এই সুসংবাদ দিয়েছেন যে আমি ৮০ বছর বা তার বেশি বাচব”।(মুয়াহিবুর রহমান)। উনি কত বছর বেচেছিলেন?
২। মির্যা গোলাম আহমদের ছেলে মির্জা বশিরুদ্দিন মাহমুদ-যে কিনা তার দ্বিতীয় খলিফা হয়েছিল তার “আফযাল” এ ৫ই জানুয়ারী, ১৯৯৩ সালে লিখছিলঃ
“About the revelation to the Promised Messiah (Mirza Ghulam) that he would die in either Makka or Madina, we would say that both are the names of Qadiyan.”

কিন্তু বাস্তব হচ্ছে উনি মক্কা, মদিনা, কাদিয়ান- এই তিন জায়গার কোথাও মৃত্যবরন করেন নাই। উনি মারা গিয়েছেন লাহোরে।

৩। মুহাম্মদী বেগম নামে ১০-১১ বছরের একটি মেয়েকে বিয়ে করার অপ্রাণ চেষ্টা করার পর ব্যর্থ হয়ে উনি বলেছিলেন যে মুহাম্মদী বেগম তার বউ হবে এবং যদি মুহাম্মদী বেগমকে অন্য কারো কাছে বিয়ে দেওয়া হয়, তবে মুহাম্মদী বেগম অচিরেই বিধবা হবে।

এইটাও ত সত্য হয় নাই।

৪। “মিয়া মঞ্জুর মুহাম্মদের একটা ছেলে হবে যার নাম হবে বশিরুদ্দুইল্লা (আল বুশরা, লেখক বাবু মঞ্জুর এলাহি কাদিয়ান)
বাস্তবে হয়েছিল মেয়ে। এইটাও ত সত্য হয় নাই।

প্রস্নঃ৫। উনার শিশ্য/ অনুসারীরা উনার সম্পর্কে কি লিখেছেন?
ব্লগার নাজিব হোসেন আকাশের উত্তর ঃ উনার শিষ্য ঊনার প্রশংসায় মশগুল, বরং ঊনার বিরুদ্ধ বাদীরাই ঊনার প্রশংসায় মশগুল ছিল, যদিও মানতে পারেনি।

আমার মন্তব্যঃ
উনার শিষ্যদের প্রশংসার কিছু নমুনা পেলে ভাল হত, তাহলে কিছু বলতে পারতাম।তবে উনার ছেলে মির্জা বশীরুদ্দিন মাহমুদ, তার “সীরাতুল মাহদী” ভলিউমঃ ২ এ উনার সম্পর্কে বলেছেনঃ “that the Promised Messiah was suffering fromhysteria and “miraq“ (psychosis)”.
উনি নিজের সম্পর্কে বলেছেনঃ
I am a worm my dear, not son of Adam (In) the most stinking, hated spot on the human body And the shame of all people (Durr-e-Sameen Pg 116)
--------

উত্তর ++ আমার ১৮ নং মন্তব্যে লিংক দেওয়া হয়েছে আবার দিলমা .. আপনার হাদিস গুলো যে মিথ্যা সেটা ঐ লিংকে গেলেই বুঝবেন --- কোরান বিরুধী হাদিস মানেন না কিন্তু ঐ গুলো মানেন ???????
ইমাম মেহেদী- একটি ষড়যন্ত্র এবং পৌরাণিক কাহিনী

৩৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৬

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: আপনার অবগতির জন্য বলি, (যদি আদৌ না জেনে থাকেন),আমাদের মিথ্য প্রমাণের চেষ্টা প্রচুর, এবং প্রতিদিন আমি নিজেও নতুন নতুন হাইপোথিসিস পড়ি।
আপনার যদি কৌতুহল থাকে আমাদের মসজিদে যাবেন, কোনও পরিচিত আহমদীকে জিজ্ঞেস করুন। জবাব খুঁজলে জবাব পায়, উত্তর আগে জেনে প্রশ্ন চলেনা। আপনাদের মোল্লা কেমন আপনারা জানেন, তবুও তাদের কথা মানেন।

৩৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭

এ আর ১৫ বলেছেন: বাবা কার্দিয়ানি ___ ৩২ নং মন্তব্য ভুলে পেষ্ট করা হয়েছে ঠিক করে দিচ্ছি । ৩২ নংটা উপেক্ষা করুন --
মহানবী (সাঃ) বলেছেন:

“ইমাম মাহ্‌দী আবির্ভূত হবার সংবাদ পাওয়া মাত্রই তাঁর হাতে বয়’আত করিও, যদি বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়েও যেতে হয়; কেননা নিশ্চয় তিনি আল্লাহ্‌র খলীফা আল-মাহ্‌দী”। (সুনানে ইবনে মাজা-বাবু খুরূজুল মাহ্‌দী)

যাঁরা মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর উপরোক্ত আদেশানুযায়ী তাঁকে মান্য করে তাঁর বয়’আত গ্রহণ করেছেন তারাই আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামা’তের সদস্য।

আহ্‌মদীয়া মুসলিম জামা’তের প্রতিষ্ঠাতা হযরত মির্যা গোলাম আহ্‌মদ কাদিয়ানী (আঃ) {জন্ম ১৮৩৫, মৃত্যু ১৯০৮ খৃঃ}। তিনি আল্লাহ্ তা’আলার নিকট থেকে ইলহাম প্রাপ্ত হয়ে জগতের সংশোধনকল্পে মহান আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে প্রত্যাদিষ্ট হবার দাবী করেন আর বলেন, তিনি সেই ‘প্রতিশ্রুত মসীহ্’ ও মাহ্‌দী যাঁর আগমনের সুসংবাদ স্বয়ং মহানবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সাঃ) করেছিলেন, যাঁর আবির্ভাবের মাধ্যমে সব ধর্মমতের ওপর ইসলাম ধর্মের বিজয় নির্ধারিত।

ইমাম মাহ্‌দী (আঃ)-এর সত্যতা সম্পর্কে হযরত রসূল করীম (সাঃ) বলেছেন:

“নিশ্চয় আমাদের মাহ্‌দীর সত্যতার এমন দু’টি লক্ষণ আছে, যা আকাশমন্ডল ও পৃথিবী সৃষ্টি অবধি আজ পর্যন্ত অন্য কারও সত্যতার নিদর্শন স্বরূপ প্রদর্শিত হয়নি। একই রমযান মাসে (চন্দ্র গ্রহণের) প্রথম রাতে চন্দ্র গ্রহণ হবে এবং (সূর্য গ্রহণের) মধ্যম তারিখে সূর্য গ্রহণ হবে”। (দারকুতনী-১৮৮ পৃঃ এবং আরও ছয়টি প্রসিদ্ধ কিতাবে এই হাদীস বর্ণিত হয়েছে)

--------

উত্তর ++ আমার ১৮ নং মন্তব্যে লিংক দেওয়া হয়েছে আবার দিলমা .. আপনার হাদিস গুলো যে মিথ্যা সেটা ঐ লিংকে গেলেই বুঝবেন --- কোরান বিরুধী হাদিস মানেন না কিন্তু ঐ গুলো মানেন ???????
ইমাম মেহেদী- একটি ষড়যন্ত্র এবং পৌরাণিক কাহিনী

৩৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০০

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: আপনি ভবিষ্যতে হয় নাস্তিক হবেন নাইলে খ্রিস্টান।
যান, আকাশে সশরীরে বসবাস করা ইসা(আ) এর আশায় বসে থাকুন। তিনি আসলে আমাকে খবর দিয়েন।

৩৬| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০০

এ আর ১৫ বলেছেন: ৩। উনার নিদর্শন কি ?
উত্তর: ঊনার নিদর্শন ১৮৮৪ সালের চন্দ ও সূর্য গ্রহণ একই রমজানে, যা সৌরজগতের নিয়মের ব্যতিক্রম ।

কিভাবে ব্যাতিক্রম হইলো???

আর খুইজা তো পাইলাম না যে ১৮৮৪ সালের রমজানে সূয` গ্রহন হইছিলো।

নিচের লিস্টে দেখেন ১৮৮৪ এ ৩টা সূয` গ্রহন হইছিলো

৩৭| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

এ আর ১৫ বলেছেন: এই কার্দিয়ানি বাবাজী টারজন কাউয়া আর আশাবাদি অধমের মত নাস্তিক নাস্তিক আওড়ানো শুরু করেছে . আমার ৩৬ নাম্বার কমেন্টা পুরো আসছেনা ( কি কারনে জানিনা ) দয়া করে আমার করা ৩৪ নং কমেন্টা যে লিংকটা দিয়েছি সেটায় গিয়ে ঐ ব্লগে নতুন নামক ব্লগারের করা ২৫ নং কমেন্টেটা পড়ুন যেখানে উত্তর দেওয়া আছে ।

৩৮| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৮

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: ফাজিল, ওটা ১৮৮৪ না, ১৮৯৪। ওহী প্রাপ্তির পরে।
Jesus in India theory জানেন?
বনী ইসরায়েল বনী ইসমায়েল জানেন? রাসূলূল্লাহ(সা) যেখানে খ্রীস্টানদের কাছে নবুওয়াত দাবী করতে মোহাবালার দাবী জানান, আপনি কে?
ইসলাম জানুন, আহমদীয়া জানতে পারবেন। অশিক্ষিত মূর্খের সাথে সময় নষ্ট করার জন্য বিরক্ত লাগছে।
বললেই হয় আপনি ইসলাম কি জানতে চান, এটা এতো বড় বিষয় যা আমি এক বছরেও আপনাকে বোঝাতে পারবনা।
বারবার এক কমেন্ট কপি পেস্ট কেন?

৩৯| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:১৮

এ আর ১৫ বলেছেন: ফাজিল, ওটা ১৮৮৪ না, ১৮৯৪। ওহী প্রাপ্তির পরে।

১৮৯৩ তিনি মারা গেলেন ১৮৯৪ এর ঘটনা দিয়ে কি হবে এবং এতে কিছুই প্রমাণ করে না ।

আপনার গাজাখরি দাবির উত্তর ---- নিচের লিংক
দাজ্জাল ঈমাম মেহিদী এবং হযরত ঈসা (আঃ)- প্রচলিত বিশ্বাস VS কোরআন কি বলে? দাজ্জাল ঈমাম মেহিদী এবং হযরত ঈসা (আঃ)- প্রচলিত বিশ্বাস VS কোরআন কি বলে?

৪০| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২১

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: মারা গেছেন 1908, এতো মিথ্যাচার কেন?

৪১| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১২

নতুন নকিব বলেছেন:



কোনটাই কম না!

ক্যাচালপ্রিয় দুইটারই নাট বোল্ট অধিকাংশ লুজ!

একটা বৃটিশ প্রভূদের পা-চাটা মিথ্যাবাদী গোলামের মিথ্যাবাদী শিষ্য ৷

কুরআন অনলি মূর্তিবাদী ভাস্কর্যওয়ালা আরেকটা।

৪২| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:১৮

এ আর ১৫ বলেছেন: Hi Kardiany .... If he died in 1908 then is that any issue if something happened on 1894। Another Kardiany claimed the miracle occurred in 1884 but you kardi say 1894 .. it doesn't matter in favour of your claiming । Your all hadith are fake to proof Imam Mehedi mith.
In one way you say you don't believe anti Quran hadith but in the other way using anti Quran hadith to proof Golam Ahmed is shadow prophet।

৪৩| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:২৬

এ আর ১৫ বলেছেন: Kardi ..... Can you tell me why your shadow prophet received all messages from Allah (Ohy) in Arabic. Allah sent ohy to all other prophets in their mother language but why Golam Kardi never received ohy in his mother language why he got ohy in Arabic.
Hazrat Musa (A) Hazrat Isa (A) received ohy in Hibru our Rosul (SM) received in his mother language then why your so called Shadow prophet ( based on fake hadith) didn't received ohy in his mother language? ???

৪৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭

এ আর ১৫ বলেছেন: New Nut bolt lose Nokib .... confronted this kardiany for couples of week without any solid references but using nasty language but couldn't stop this guy because talebani Nokib only know slug language ।
Now look I am confronting him with reference and giving him evidence that all the hadith he is using in favour of kardiany are fake।

Today I am confronting him for that reason if my nut bolts are losed then what happens about your nut bolts when you arguing with him couple of weeks।
I am not Quran only but Quran and Quran supported hadith only।

৪৫| ২৭ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:৫২

এ আর ১৫ বলেছেন: কার্দি আনি ----- সুরা জুমু আয়াত ৩ এবং ৪ এর উদাহরন দিয়েছেন কিন্তু এই দুটো আয়াত হোল সুরা জুমুর আয়াত ২ এবং ৩___
কুরআন চান যদি,
هُوَ الَّذِىْ بَعَثَ فِىْ الْاُمِّيّٖنَ رَسُوْلاً مِّنْهُمْ يَتْلُوْا عَلَيْهِمْ اٰيٰتِهٖ وَيُزَكِّيْهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتٰبَ وَالْحِكْمَةَ وَاِنْ كَانُوْا مِنْ قَبْلُ لَفِىْ ضَلٰلٍ مُّبِيْنٍۙ‏

وَّاٰخَرِيْنَ مِنْهُمْ لَمَّا يَلْحَقُوْا بِهِمْ‌ؕ وَهُوَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُ‏

৩। [আসলে আয়াত ২] তিনিই উম্মীদের মধ্যে তাহাদেরই মধ্য হইতে এক রসূল আবির্ভূত করিয়াছেন, যে তাহাদের নিকট তাঁহার আয়াতসমূহ আবৃত্তি করে, এবং তাহাদিগকে পরিশুদ্ধ করে, এবং তাহাদিগকে কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয়, যদিও পূর্বে তাহারা প্রকাশ্য ভ্রান্তির মধ্যে ছিল।
--------
এবার দেখা যাক সঠিক অনুবাদ ৬২-২
Sahih International: It is He who has sent among the unlettered a Messenger from themselves reciting to them His verses and purifying them and teaching them the Book and wisdom - although they were before in clear error -

Pickthall: He it is Who hath sent among the unlettered ones a messenger of their own, to recite unto them His revelations and to make them grow, and to teach them the Scripture and wisdom, though heretofore they were indeed in error manifest,

Yusuf Ali: It is He Who has sent amongst the Unlettered a messenger from among themselves, to rehearse to them His Signs, to sanctify them, and to instruct them in Scripture and Wisdom,- although they had been, before, in manifest error;-

Shakir: He it is Who raised among the inhabitants of Mecca an Messenger from among themselves, who recites to them His communications and purifies them, and teaches them the Book and the Wisdom, although they were before certainly in clear error,

Muhammad Sarwar: It is He who has sent to the illiterate a Messenger from among their own people to recite to them His revelations and purify them. He will teach the Book to them

Mohsin Khan: He it is Who sent among the unlettered ones a Messenger (Muhammad SAW) from among themselves, reciting to them His Verses, purifying them (from the filth of disbelief and polytheism), and teaching them the Book (this Quran, Islamic laws and Islamic jurisprudence) and Al-Hikmah (As-Sunnah: legal ways, orders, acts of worship, etc. of Prophet Muhammad SAW). And verily, they had been before in mainfest error;

Arberry: It is He who has raised up from among the common people a Messenger from among them, to recite His signs to them and to purify them, and to teach them the Book and the Wisdom, though before that they were in manifest error,
বাংলা :::::: তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।

৪।[ আসলে আয়াত ৩] এবং (তিনি তাহাকে আবির্ভূত করিবেন) তাহাদের মধ্য হইতে অন্য লোকের মধ্যেও যাহারা এখন পর্যন্ত তাহাদের সঙ্গে মিলিত হয় নাই। এবং তিনি মহাপ্ররাক্রমশালী, পরম প্রজ্ঞাময়।
এবার দেখা যাক ৬২-৩ এর সঠিক অনুবাদ টা কি

Sahih International: And [to] others of them who have not yet joined them. And He is the Exalted in Might, the Wise.

Pickthall: Along with others of them who have not yet joined them. He is the Mighty, the Wise.

Yusuf Ali: As well as (to confer all these benefits upon) others of them, who have not already joined them: And He is exalted in Might, Wise.

Shakir: And others from among them who have not yet joined them; and He is the Mighty, the Wise.

Muhammad Sarwar: and others who have not yet joined, and He will give them wisdom. Before this they had been in plain error. God is Majestic and All-wise.

Mohsin Khan: And He has sent him (Prophet Muhammad SAW) also to others among them (Muslims) who have not yet joined them (but they will come). And He (Allah) is the All-Mighty, the All-Wise.

Arberry: and others of them who have not yet joined them. And He is the All-mighty, the All-wise.

বাংলা :::: এই রসূল প্রেরিত হয়েছেন অন্য আরও লোকদের জন্যে, যারা এখনও তাদের সাথে মিলিত হয়নি। তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
=========================================================================

এই বার বাবা কার্দি ব্যাখা করেন এই আয়াতের [যার ভুল রেফারেন্স নাম্বার দিয়েছিলেন ] মাধ্যমে কি করে গোলাম কার্দিকে ছায়া নবী বা ইমাম মেহেদী হিসাবে স্বিকৃতি দিয়েছে ।
এই আয়াতের মাধ্যমে শেষ নবী সহ পুর্বের যত নবী এসেছিল তাদের ব্যপারে বলা হয়েছে যারা নিরক্ষর মানুষকে হেদায়েত করেছিলেন । এই আয়াত দিয়ে আপনার নবী সম্পর্কে কিছুই প্রমাণ করে না
আল্লাহ ইসলাম ধর্মকে সব নবীর মাধ্যমে পাঠিয়ে ছিলেন তাদের প্রত্যেকের মাত্রি ভাষায় যেমন একই ধর্ম ইসলামের জন্য আল্লাহ ওহি পাঠিয়েছিলেন হিব্রু ভাষার হযরত মুশা [আ:] এবং হযরত ঈশা[আ:] কে আমাদের শেষ নবী [সা:] ওহি হিব্রু ভাষায় পাঠান নি পাঠিয়েছেন তার ভাষা আরবীতে তাহোলে গোলাম কার্দিয়ানীকে পান্জাবী ভাষায় ওহি না পাঠিয়ে কেন আরবীতে আল্লাহ তালা ওহি পাঠিয়ে ছিলেন ????

৪৬| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩৭

ইউনিয়ন বলেছেন: চরম বিনুদিত হইলাম :-B

৪৭| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

নতুন নকিব বলেছেন:



চ্রমে না গিয়ে আর উপায় কই!

৪৮| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: @এ আর ১৫ ! আমি আফনেরে নাস্তিক কই নাই ! ১৫ বিচিওয়ালা পাঁঠা কইছি ! আফনের ৫ বিচি ফাটাইয়া আমি বাংলাদেশের বিজয় উদযাপন করছি ! এহন আফনের ১০ বিচি ! :D

৪৯| ২৮ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৩

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: Click This Link

৫০| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ১০:৪০

নতুন নকিব বলেছেন:



মুনাফিক নেতা আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই দুবৃত্তরাও জনসম্মুখে এমনি গলা ফাটিয়ে কালিমা পড়তো। মুসলিম দাবি করতে হলে ভন্ড অহির দাবিদার বাতিলদের প্রত্যাখ্যান করতে হবে আগে। এর বাইরে কিয়ামত তক কালিমা শাহাদাত পড়ে মুখে ফেনা তুললেও মুনাফিকের খাতা থেকে নাম কাটানো যাবে না।

ভন্ড ভন্ডই।

বাতিল বাতিলই।

নকল নকলই।

দালাল দালালই।

'আহমদি মুসলিম' 'বামপন্থী মুসলিম' 'ভ্যাজালযুক্ত মুসলিম' 'দালাল মুসলিম' 'ট্রেডিশনাল মুসলিম' 'কাদিয়ানী মুসলিম' 'খতমে নুবুয়্যত অস্বীকারকারী মুসলিম' 'ভ্যাজাইল্যা মুসলিম' ইত্যাকার যত প্রকার বিশেষায়িত বিশেষ শ্রেনির নামধারী মুসলিম থাকতে পারে; সবগুলোই আগাগোড়া ফেতনাবাজ ছাড়া আর কিছুই না। বিশ্বব্যাপী মুসলিমরা 'মুসলিম' নামেই পরিচিত। কুরআন হাদিসে 'মুসলিম' নামেই এই উম্মতকে সম্বোধন করা হয়েছে। অসংখ্য প্রমান পবিত্র কুরআন এবং হাদিসে বিদ্যমান।

খাতামুন্নাবিয়্যীন অস্বীকারকারী কাদিয়ানি মুনাফিকরা কিয়ামত পর্যন্ত এ জমিনে জিল্লতি লাঞ্চনা গঞ্জনা বঞ্চনার চিরস্থায়ী বেঁড়ি গলে জড়িয়েই থাকবে।

সূর্য পশ্চিম দিকে উদিত হতে পারে, সূঁচের ছিদ্র দিয়ে হাতি যেতে পারে, দুইয়ে নেয়া দুধ আবার বাঁটে ঢুকে যেতে পারে; কাদিয়ানী কাফেরদের 'কাফের' হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ সংশয় থাকতে পারে না। থাকার প্রশ্ন কখনও কোন মুমিন-মুসলিমের অন্তরে স্থান পেতে পারে না। স্থান পেলে তার ঈমান নষ্ট হবে।

৫১| ২৯ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬

একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: আমাদের নকিব ভাইয়ের জন্মের সময়ে পাছায় ছাপ্পা মারা ছিলো যে তিনি মুসলমান। ঈমান কাকে বলে তিনি খুবই ভালো জানেন। তিনি গালাগালি, মিথ্যাচার, নোংরা ভাষা ও গলাবাজীর জোরে জান্নাতে যাবেন, আর কিছুই লাগবে না। নামাজ না পড়লেও, কুরআনের অনুযায়ী আমল না করলেও, রাসূলুল্লাহ (সা) এর সুন্নতের পরোয়া না করলেও তিনিই সাচ্চা মুসলিম। তিনি জান্নাতে নিজের জায়গা পাকা করেছেন।
আপনারা সবাই নকিব ভাইয়ের মত হন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.