নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

DEATH IS BETTER THAN DISGRACE

রসায়ন

রসায়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীটা ধ্বংস হয়ে যাবে । বিজ্ঞান পোস্ট

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৫২

মাঝে মাঝে এমন খবর ইন্টারনেটে ছড়ায় যে অমুক তারিখে নাকি পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে :(
এসব খবর অনেক প্যানিক সৃষ্টি করে সমাজে ।
অবশ্যই এই পৃথিবী আর সৌরজগতের শেষ আছে । এটা সাইন্স কিংবা রিলিজিয়ন উভয়ের কথা।

রিলিজিয়ন এর দিকে যাবো না তবে কি কি কারণে এই সাধের পৃথিবী ধ্বংস হতে পারে আসুন দেখা যাক ;)

এক. গ্রহাণুর আঘাত ।

উপগ্রহ থেকে ছোট আকারের মহাকাশীয় পাথরখন্ডকে গ্রহাণু বলে। এর আকার এক সেমি হতে কয়েক কিঃমিঃ পর্যন্ত হতে পারে। পৃথিবীকে প্রতিদিন প্রায় ১০০ টন মহাকাশীয় ধুলা আর ছোট পাথর খন্ড আঘাত করে তবে পৃথিবীকে তথা মানবকুলকে ধ্বংস করতে মিনিমাম ১০-২০ মাইল সাইজের গ্রহাণুর আঘাত প্রয়োজন তাও গ্রহাণুটি পাথর বা ধাতুর তৈরি হতে হবে । বরফ বা ধূলিকণা এটা পারবে না । এছাড়া পানিতে হিট করলে ইমপ্যাক্ট কম হবে । আজ থেকে ৬০ মিলিয়ন বছর আগে ৬ মাইল আকারের একটি গ্রহাণুর আঘাতে ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে যায় । তবে বর্তমানে এমন সম্ভাবনা খুব কম । এছাড়া স্পেস প্রব এর সাহায্যে এসবের উপস্থিতি ঘটনা ঘটার বহু আগেই ডিটেক্ট করা সম্ভব

দুই . সূর্যের জ্বালানি শেষ হয়ে যাওয়া

সূর্য নামের আমাদের প্যারেন্ট নক্ষত্রটি একসময় জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে তখন এটি রেড জায়ান্ট এ পরিণত হবে । ওইসময় সূর্যের ব্যাস এত বড় হয়ে যাবে যে পৃথিবীকে গিলে ফেলবে । তবে এটা ঘটতে আরো ৮ বিলিয়ন বছর বাকি

তিন. মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে সুপারনোভা বিস্ফোরণ

সূর্যের চেয়ে ১৫ গুন ভারী তারায় জ্বালানি শেষ হলে তখন তাতে সুপারনোভা বিস্ফোরণ ঘটে । এটি এতোটাই শক্তিশালী যে এর এক সেকেন্ডে যে শক্তি উৎপাদিত হয় সেটি সূর্যের সারা জীবনের শক্তির চাইতেও বেশি। সুপারনোভার শক ওয়েভ আর চার্জড পারটিকেল পৃথিবীর সব প্রাণকে পুড়িয়ে ফেলতে পারে নিমিষেই কিংবা বায়ু মন্ডল উধাও আর সব পানিকে বাষ্পে পরিণত করে ফেলতে পারে। তবে পৃথিবীর নিকটবর্তী এত বড় কোন তারা নেই যেটার থেকে এরকম ভাবে আমরা আক্রান্ত হতে পারি । পৃথিবীর তথা সৌরজগতের নিকটবর্তী যে তারাটির সুপারনোভা হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেটি হলো আই.কে পেগাসি যা কিনা ১৫০ আলোক বর্ষ দূরে । এত দূর যে এর রেডিয়েশনের ফলে আমাদের বলার মত কোন ক্ষতির সম্ভাবনা নেই ।


চার. পৃথিবীর ম্যাগনেটিক পোল বদলে যাওয়া

পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র কয়েক মিলিয়ন বছর পর পর বদলে যায় । অর্থাৎ উত্তর মেরু হয়ে যায় দক্ষিণ মেরু আর দক্ষিণ মেরু হয়ে যায় উত্তর মেরু। এটা খুবই স্বল্প সময়েই ঘটে যায় তাই এর ফল মারাত্মক নয় তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে । আর যদি সেটা হয় তবে পৃথিবীর জীবকূলের বিশাল ক্ষতি হবে । যেমন জেনারেটর , বৈদ্যুতিক মোটর , ঘড়ি , কম্পাস , ট্রান্সফরমার , এসব আর ঠিকমতো কাজ করবে না। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে যাতে অনেক লোক মারা যাবে । এছাড়া সূর্যের থেকে আগত ক্ষতিকারক রশ্মি ও চার্জড কণা সরাসরি পৃথিবীতে পড়বে যাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে । তবে সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটবে না

তাই এখন থেকে আর প্যানিক নয় ।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: রসায়ন ,




রসায়ন এর লেখা এ্যাস্ট্রোফিজিক্স ভালো লাগলো ।

তবে প্রক্সিমা সেন্টুরী সূর্য্যের সবচেয়ে নিকটবর্তী প্রতিবেশী নক্ষত্র হলেও দূরত্ব মাত্র সাড়ে তিন আলোকবর্ষ । তাই ডাইনোসর দেখা যাওয়ার কথা নয় ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৩

রসায়ন বলেছেন: জি ঠিক বলেছেন । তথ্যটি সংশোধন করা হয়েছে ।

২| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৬

আটলান্টিক বলেছেন: জ্বি আহমেদ জী এস সাহেব রসায়ন ভুল তথ্য দিয়েছেন এই ব্যাপারে।
সৌরজগতের ছাড়পাশে অদৃশ্য ব্ল্যাক হোল থাকতে পারে যাদের দ্বারা সমস্ত সৌরজগত গিলে নিতে পারে।

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৫

রসায়ন বলেছেন: জি তথ্যটি ভুল ছিল যা সংশোধন করা হয়েছে । এনিওয়ে , সৌরজগতের নিকটবর্তী কোন ব্ল্যাকহোল আবিস্কার হয় নি এবং নেই বলেই ধরে নেয়া যায়(এভিডেন্স সাপেক্ষেই) ।

৩| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৬

আটলান্টিক বলেছেন: জ্বি আহমেদ জী এস সাহেব রসায়ন ভুল তথ্য দিয়েছেন এই ব্যাপারে।
সৌরজগতের ছাড়পাশে অদৃশ্য ব্ল্যাক হোল থাকতে পারে যাদের দ্বারা সমস্ত সৌরজগত গিলে নিতে পারে।

৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩০

আবু তালেব শেখ বলেছেন: আল্লাহ ভালো জানেন

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৬

রসায়ন বলেছেন: আল্লাহ তো জানেনই। আমরাও কিছু জানতে চেষ্টা করি ।

৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


যাক, আপনার পোষ্ট পড়ার আগ অবধি হেলমেট পরে রা্স্তায় বের হতাম: কোন সময় গ্রহানু ইত্যাদি এসে মাথায় পড়ে; আসলে, ভাবছিলাম সামনের দিনগুলোতে ঘুমাতেও হেলমেট পরবো; আপনি বাঁচালেন, আমার মাথা একটু বাতাস পাচ্ছে!

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৮

রসায়ন বলেছেন: বলেন কি ভাই । গ্রহাণু পড়লে বায়ুমন্ডলেই জ্বলে শেষ হয়ে যাবে । আর মানুষ মারার সাইজ হলে সেটার উজ্জ্বলতা দেখেই সবাই টের পাবে কিছু একটা আসছে । তাই আমরা সেইফই বলা চলে ।

৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৩৩

নতুন বলেছেন: ম্যাগনেটিক পোল পরিবত`ন হতে শেষ বার ১০০ বছরের মতন লেগেছিলো...

তাই সামনেও যদি হয় তবে ১০০ বছরে সেই সমস্যা মোকাবেলার জন্য প্রযুক্তিগত পরিবত`ন মানুষ করে নেবে... :)

তাই আপাতত দুনিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে এমন চিন্তা করার দরকার নাই।

আর যদি হয়েই যায় তবে তো সবই শেষ ... এবং আমাদের করার কিছুই নাই...

তাই আসলে এটা নিয়ে অত চিন্তা করার কারন নাই।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:১৮

রসায়ন বলেছেন: আমরা বিদ্যুতের সাথে নিজেদের অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে ফেলেছি তাই প্রব্লেমটা হবে বেশি আর রেডিয়েশনের ফলেও অনেক ক্ষতি হবে। আমরা চাই পৃথিবী নিরাপদ থাকুক।

৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:১৪

জাহিদ অনিক বলেছেন:


কবে যে এই দুনিয়াটা ধ্বংস হয়ে যাবে, সেই অপেক্ষতেই রাত কাটে না আমার।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

রসায়ন বলেছেন: তাহলে ভাই আপনাকে না ঘুমিয়েই কাটাতে হবে

৮| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: বিজ্ঞান বিষয়টা আমার কাছে খুব কঠিন লাগে।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

রসায়ন বলেছেন: চেষ্টা করেছি সহজভাবে বলতে। বিজ্ঞান কিন্তু আসলে মজার।

৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫২

আমিন রবিন বলেছেন: ম্যাগনেটিক পোল পরিবত`ন নিয়ে বিশদ জানতে চাই।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

রসায়ন বলেছেন: ঠিক আছে। পোস্ট করবো এটা নিয়ে ।

১০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪

আটলান্টিক বলেছেন: টাইম ট্রাভেল কোনদিন কি সম্ভব? আপনার মতামত জানতে চায়

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:০৩

রসায়ন বলেছেন: দেখি পড়াশোনা করে । তবে সম্ভাবনা আছে। গ্রাভিটি আলোর গতিকেও হার মানাতে পারে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.