নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

DEATH IS BETTER THAN DISGRACE

রসায়ন

রসায়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওষুধ শিল্প ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় | মতামত পোস্ট

১৩ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩২

বাংলাদেশের অন্যতম উদীয়মান শিল্প হচ্ছে ওষুধ শিল্প । দেশে যেসব ওষুধের দরকার তার ৯৮% ই বাংলাদেশী প্রোডাকশনের দ্বারা মেটানো সম্ভব হচ্ছে । শুধু প্যারাসিটামল বা গ্যাস্ট্রিকের ওষুধই না, বাংলাদেশে অ্যান্টিবায়োটিক, ইনসুলিন, ক্যান্সারের ওষুধ, জলাতঙ্ক সহ বিভিন্ন রোগের ভ্যাক্সিন এমনকি ইদানিংকালে সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে । এসব উচ্চ মানের জেনেটিক্যাল আর সফিস্টিকেটেড প্রোডাকশন ইউটিলিটির ওষুধ ও ভ্যাক্সিন এখন এদেশেই তৈরী হয়, যা বিশ্বের ১৪০ এর অধিক দেশে রপ্তানি হচ্ছে ।

আর এই যে এতো সুবিশাল ওষুধ শিল্প আর বায়োমেডিক্যাল গবেষণা তার নেতৃত্বে আছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় । এদেশের ফার্মাসিটিউক্যালসগুলোর ৯০% এর অধিক ফার্মাসিস্ট, ফার্মাকোলজিস্ট ও গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী





এতো বড় ফার্মাসিটিউক্যালস খাত আমাদের, যা নিয়ে কতো গর্ব আর ভাবনা আমাদের অথচ এর পিছনের এ খবর ক'জন জানে । খালি তো মিডিয়া আর হেটার্সরা পড়ে আছে ঢাবি বিশ্ব ব়্যাংকিংয়ে নাই এ খবর নিয়ে ।

যেই না বরাদ্দ রিসার্চের জন্য তাতেও কতো কি করে দেখাচ্ছে আমাদের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা, যদি বরাদ্দ বাড়ানো যেতো তবে আমরাও হয়তো গবেষণায় অন্যদের টেক্কা দিতে পারতাম ।

বালিশ উঠাতে যে বরাদ্দ তার অর্ধেকও যদি বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষণা খাতে ব্যয় করা যেতো তবে হয়তো দেশের পরিস্থিতিটাই পাল্টে যেতো ।


মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: হয়তো নয় নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় পর্যাপ্ত বরাদ্দ পেলে গবেষণায় এই বিশ্ববিদ্যালয় যুগান্তকারী অবদান রাখতো।

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৮

রসায়ন বলেছেন: হ্যাঁ ভাই, সেটাই ।

২| ১৩ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:১৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: ফার্মাসিউটিকাল সেক্টর থেকে দেশ অনেক টাকা রপ্তানি করতে পারতো যদি সদিচ্ছা থাকতো। ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানিগুলোর বাংলাদেশে প্লান্ট সেট আপ ও মেইনটেইন করতে যে টাকা খরচ হয়, তার কয়েকগুন বেশি টাকা খরচ হয় অন্য দেশে । কিন্ত ঔষুধের কোয়ালিটি কন্ত্রোল বিশ্বমানের না হওয়ায় বাংলাদেশের ঔষধ এর বাইরে ডিমান্ড কম।।

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১৯

রসায়ন বলেছেন: এটা ভুল কথা । বাংলাদেশের ওষুধ বিশ্বমানের । আর বাংলাদেশের ওষুধ এখন বিশ্বের অনেক দেশে রপ্তানি হচ্ছে । মানসম্মত না হলে তারা এসব কিনতো না । আর বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৯:৩৭

ইসিয়াক বলেছেন: আচ্ছা

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২০

রসায়ন বলেছেন: আচ্ছা (২)

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১০:০৩

কলাবাগান১ বলেছেন: হাজার কোটি টাকা খরচ করে বড়লোকেরা বসুন্ধরা শপিং মল বানায়, কিন্তু এক কোটি টাকাও দান করে না বিশ্ববিদ্যালয়ে রিসার্চ এর জন্য....বিদেশে দেখি বাংগালী অনেক টাকা ওয়ালা লোক...তারা টাকা দিয়ে গ্রামে স্কুল/কলেজ/মসজিদ/মাদ্রাসা বানায় বাবা-মায়ের নামে...কিন্তু রিসার্চ এর কোন ধারনাই নাই...পাগলা মসজিদে প্রতি তিন মাসে ১ থেকে দেড় কোটি টাকা দান করা হয়..একটা মাত্র মসজিদে....অথচ আমেরিকান ধনকুবর রা তাদের বেশীর ভাগ টাকা পয়সা দান করে বিশ্ববিদ্যালয়ে

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২১

রসায়ন বলেছেন: সেটাই, একাডেমিক ও রিসার্চ ফ্যাসিলিটিতে আমাদের অনুদান ও সাহায্য করার টেন্ডেন্সি একেবারেই নাই । কোম্পানিরাও তেমন কোন বিনিয়োগ করে না
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রিসার্চ খাতে ।

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ৪নং মন্তব্যকারী তো আমার মনের কথা বলেছে।

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

রসায়ন বলেছেন: আমারও

৬| ১৪ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ১২:১৭

রাকু হাসান বলেছেন:

গবেষনার আমরা অনেক পিছিয়ে । একটি দেশের দ্রুত উন্নয়নের জন্য বিকল্প নেই।কত ভালো উদ্যোগ চোখের সামনে বন্ধ হয়ে যেতে দেখিছি স্পনসরের অভাবে। সরকার নিজেই গবেষনায় পর্যাপ্ত বরাদ্ধ দিচ্ছে না । বিশ্ব বিদ্যালয়ের মতো সেক্টরের দান করার প্রবণতা এখনও আমাদের তৈরি হয় নি । এ কথা আমি অবশ্যই মানবো ঔষধ শিল্পের উন্নয়নে ঢাবির অবদান আছে অনেক। ঢাবির ফার্মাসিস্টরা চাকরির বাজারে এগিয়েই থাকে। সরকার এই শিল্পে মনোযোগ বাড়ানো উচিত। ধন্যবাদ আপনাকে।

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২২

রসায়ন বলেছেন: গবেষণায় পিছিয়ে বলেই সবদিক দিয়েই পিছিয়ে । এই সহজ জিনিসটা সরকার বুঝতে দেরী করছে ।

৭| ১৪ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ২:৫০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান আইএমসি বিশ্বের ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টর নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
তাদের প্রতিবেদনের গ্রহণযোগ্যতা বিশ্বব্যাপী। আই এমসির ২০১৭ প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল সেক্টরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে শতকরা বত্রিশ ভাগ। পৃথিবীর খুব কম দেশেই এটি সম্ভব হয়েছে।

একসময় দেশের চাহিদার ৭০ শতাংশ ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হতো
এখন সেখান দেশের চাহিদার ৯৮ শতাংশ মিটিয়ে বিশ্বের ১২৭টি দেশে বাংলাদেশে প্রস্তুত ওধুষ রপ্তানি হচ্ছে।

শুধুমাত্র দেশের অভ্যন্তরেই বর্তমানে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকার বাজার রয়েছে এদেশের ওষুধের।
আর দেশের বাইরে রপ্তানি করে বছরে আয় হচ্ছে ৬৫০ কোটি টাকারও বেশি।(২০১৬-১৭ অর্থবছরের হিসাব) রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হারও ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ওষুধ রপ্তানি খাতটিকে ইতিমধ্যে দারুণ সম্ভাবনাময় একটি খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছেও। প্রতিবছর ওষুধ রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি নতুন নতুন দেশ যোগ হচ্ছে বাংলাদেশের ওষুধ আমদানিকারক দেশের তালিকায়। যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু জাপানসহ উন্নত বিশ্বের শতাধিক দেশে যাচ্ছে বাংলাদেশে প্রস্তুত বিভিন্ন ধরনের ওষুধ। বাংলাদেশের ওষুধের রপ্তানি প্রায় দ্বিগুণে পৌঁছেছে (২০১৫-১৬ হিসেব)।

বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির তথ্য অনুযায়ী দেশের দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান ওষুধ উৎপাদন করছে। এসব কোম্পানি সম্মিলিতভাবে প্রায় ৫ হাজার ব্র্যান্ডের ৮ হাজারের বেশি ওষুধ উত্পাদন করছে। যার মধ্যে বড় ১০টি কোম্পানি দেশের চাহিদা ৮০ শতাংশ মিটিয়েও রফতানি করছে। বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি বড় বাজার। এছাড়া যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান, ফ্রান্স, সুইডেন, ইতালি, কানাডা, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, তুরস্ক, সৌদি আরব, ইরান মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, মরক্কো, আলজেরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হচ্ছে।

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৩

রসায়ন বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি পড়ে গবেষণা খাত নিয়ে আমার আক্ষেপ আরো বেড়ে গেলো । হেলায় আমাদের মেধাগুলো কাজে লাগাতে পারছি না আমরা ।

৮| ১৪ ই জুলাই, ২০১৯ বিকাল ৩:০৮

সাাজ্জাাদ বলেছেন: প্রথমত , ঢাবিয়ান এর একটি কথা "ঔষুধের কোয়ালিটি কন্ত্রোল বিশ্বমানের না হওয়ায় বাংলাদেশের ঔষধ এর বাইরে ডিমান্ড কম।" সাথে আমি একমত না।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে একজন ফার্মাসিস্ট। আমি দেশেও কাজ করেছি আর এখন দেশের বাইরে কাজ করছি। ওষুধ শিল্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সুনাম ছড়িয়েছে আরও অনেক আগে। দেশে যে ওষুধ তৈরি হয় তা বিদেশী কোনও ওষুধের চেয়ে খারাপ না। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেসিক জিএমপি পার করে আরও অ্যাডভান্স লেভেলে কাজ করছে। সম্প্রতি স্কোয়ার এবং বেক্সিমকো এর এফডিএ সার্টিফিকেট অর্জন ফার্মা ফিল্ডে একটি বড় সাফল্য।
আর কি বলব, বাকি কথা হাসান কালবৈশাখী সাহেব খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করছেন,সে জন্য উনাকে ধন্যবাদ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৪

রসায়ন বলেছেন: আপনার সাথে একমত ।

৯| ১৪ ই জুলাই, ২০১৯ রাত ৮:৪৬

কোলড বলেছেন: Are you by any chance pharmacist from DU pharmacy department?
Bangladesh pharma sector has made huge stride over the last 10 years but technical skills is still years away from Indian standard let alone US.
Square and Beximco has FDA approved facility but square has no products in US and Beximco products were developed by Indian consultant.
In fact I personally know the guy who helps hire most of the Indian technical people in Bangladesh pharma industry.

Rest of the companies are making good money from local market and also by exporting to non regulated countries.

In US, pharmacist used to dominate the pharma R&D but now it's mostly chemical engineer, physical chemistry etc.
I know the Dhaka pharmacy department faculty background. Most of them got PhD from Japan in pharmacology or chemistry which has very few application in generic drug development and that shows up in skill set in pharma companies.

This professor ABM Faruque, I doubt if he has any PhD at all!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.