নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

DEATH IS BETTER THAN DISGRACE

রসায়ন

রসায়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরআনে কোন বহুবিবাহ নাই। ইসলামে বিয়ে একটাই। ৪ বিয়ের কথা বলে কোরআনের নামে মিথ্যাচার। চলুন সত্যিটা জানি। | কুরআনিক ইসলাম পর্ব-১

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪১

কোরআনে মুসলিম পুরুষদের কোন বহুবিবাহ (৪টা পর্যন্ত) করার নিয়ম বা সুযোগ কিছুই নাই। কোরআন কখোনই একজন পুরুষকে চার বিয়ের অনুমতি দেয়নি। কোরআনের অর্থকে বদলে দিয়ে এই কাজ করেছে বহুগামীরা। আসুন আজকে সত্যিটা দেখে যান।

কোরআনের যে আয়াতকে পুরুষদের চার বিয়ে সপক্ষে উপস্থাপন করা হয় তাহলো ৪, সূরা নিসার ৩ নং আয়াতের খন্ডিতাংশ

আসুন সেই আয়াতাংশটি দেখে নিই

".....সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত।....[সুরা নিসা - ৪:৩]"

এবার আসুন পুরো আয়াতটা দেখি,

"আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীমদের হক যথাথভাবে পুরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্যে থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা। [সুরা নিসা - ৪:৩]"


ট্র্যাডিশনালিস্টদের একগ্রুপ বলে এই আয়াতে নাকি বলেছে এতীমদের দেখভাল করা ঝামেলা তাই সাধারণ মহিলাদের থেকে ৪ টা অবধি বিয়ে করা যাবে তবে, ন্যায়বিচার করতে না পারলে ১টি। অথচ যদি সূরা নিসার ১-১০ আয়াত পড়েন তাহলে একদম পরিষ্কার বুঝতে পারবেন এটি এতীমদের নিয়ে বিধান। এখানে অন্য কিছু নাই।

আবার ট্র্যাডিশনালিস্টদের আরেকগ্রুপ বলছে এই আয়াতে বলা হয়েছে এতীম মেয়েদের নিজের দায়িত্বে রাখার সময়ে তাদের দেখভাল করতে সমস্যা হলে তাদের বিয়ে করে তাদেরকে পরিবারের সম্পদকে ভোগ করা যায়, যাতে কোন সমস্যা নাই।

বিয়ে বলতে কুর'আনে 'না-কা-হা' মূল শব্দ হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। বিভিন্ন আয়াতে 'বিয়ে করো' নির্দেশ এসেছে, আবার 'বিয়ে দাও' এমন নির্দেশও এসেছে,যা বাক্যসংগঠন ও শব্দে ব্যকরণগত দিকটি বিবেচনা করলে আমরা বুঝতে পারি। বিয়ে করা বলতে 'নাকাহা' এবং বিয়ে দাও বলতে 'আন/উনকিহু' শব্দ ব্যাকরণগতভাবে ক্ষেত্রেবিশেষে প্রযুক্ত হয়েছে। সেই বিশ্লেষণে ৪:৩ আয়াতে 'উনকিহু' কথাটির দ্বারা 'এতিমদেরকে বিয়ে দেয়ার' নির্দেশ দেয়া হচ্ছে প্রতীয়মান হয়।
৪:২৫ আয়াতে সুস্পষ্ট যে 'বিয়ে করো' কথাটি বুঝাতে 'ইয়ানকাহা' এবং 'বিয়ে দাও' বুঝাতে ইনকিহুহুন্না (নারীবাচক বহু বচন) বলা হয়েছে।
বিয়ে দেয়া সম্পর্কিত আয়াতগুলি হচ্ছে-২৮:২৭, ২৪:৩২, ২:২২১।

‘সে বললো, আমি চাই আমার দুই মেয়ের একজনের সাথে তোমায় বিয়ে দিতে (উনকিহা) ...।’ (কুর'আন,২৮:২৭)

‘তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত, তাদের বিয়ে দাও (আনকিহু) এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের (ইবাদিকু ওয়া আইমাকুম) মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও, যদি তারা গরীব হয়, তবে আললাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছ্বল করে দেবেন; আললাহ সর্বব্যাপী, সর্বজ্ঞ।’(কুর'আন,২৪:৩২)

‘মুশরিক নারীদেরকে বিয়ে করো না (লা তানকিহু) যতোক্ষণ পর্যন্ত না তারা বিশ্বাস আনে, এবং একজন বিশ্বাসী দাসী (আমাতুন, দাসী তৎকালীন সমাজে) মুশরিক নারীর চেয়ে উত্তম, যদিও সে তোমাদেরকে মোহিত করে; আর তোমাদের নারীদেরকে মুশরিক পুরুষদের সাথে বিয়ে দিও (লা তুনকিহু) না যতোক্ষন পর্যন্ত না তারা বিশ্বাস আনে, এবং একজন বিশ্বাসী দাস (আবদুন) মুশরিক পুরুষের চেয়ে উত্তম,যদিও সে তোমাদেরকে মোহিত করে; তারা তোমাদেরকে আগুনের দিকে আহবান করে,আর আললাহ আহবান করেন জান্নাতের দিকে ও তাঁরই অনুগ্রহে ক্ষমার দিকে; আর তিনি মানুষের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করেন, যেনো তারা স্মরণ করে।‘(কুর'আন,২:২২১)

কোরআন নাজিল হয়েছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে। সেজন্য কোরআনের আরবির সাথে আধুনিক আরবির কিছু পার্থক্য আছে। কোরআনকে বুঝতে হয় প্যান টেক্সচুয়াল অ্যানালাইসিস, অর্থাৎ কোরআনেই কিভাবে বিভিন্ন শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করা হয়েছে তার বিশ্লেষণ দেখে।

এবার চলুন দেখি কোরআন আসলে কি বলেছে। এই সূরা নিসার ১২৭ নং আয়াতে যদি যান তাহলে দেখতে পাবেন,

"আর তারা নারীদের ব্যাপারে তোমার মতামত জানতে চায়। বলো,আল্লাহ তাদের ব্যাপারে তোমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন এবং কুর’আনে তোমাদেরকে ঐসব এতিম নারীদের বিষয়ে যা যা পাঠ করে শোনানো হয়, যাদেরকে তোমরা নির্ধারিত অধিকার প্রদান করো না,অথচ বিয়ের (তানকিহুহুন্না) বাসনা রাখো; আর নিগৃহীত দুর্বল(/প্রতিবন্ধী) শিশুদের ব্যাপারেও, আর তোমাদের উচিত এতিমদের সাথে ন্যায়সঙ্গত আচরণ করা। আর যা কিছু ভালো কাজ তোমরা করো, নিশ্চয় আললাহ তা জানেন। [সুরা নিসা - ৪:১২৭]"

তার মানে হলো ১২৭ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন তোমাদেরকে তো এতীমদের ব্যাপারে বিধানাবলী শোনানোই হয়েছে, যা ১-১০ আয়াতই নির্দেশ করে। এছাড়া আল্লাহ বলছে তোমরা মেয়েদেরকে তাদের সম্পত্তি ও প্রাপ্ত সম্পদ দিতে চাও না অথচ তাদের সম্পত্তির লোভে বিয়ে করতে চাও! যা [৪:৩] এ বিয়ে করার কথা বুঝলে পুরোই উল্টো হয়ে যায়। যেমন, আপনি এতিম মেয়েদের সম্পত্তি খরচ করে ফেলতে পারেন সেই ভয়ে আপনি তাদেরকে বিয়ে করে ফেললেন কিন্তু [৪:১২৭] এ যেয়ে আল্লাহ এই কাজটার সমালোচনা করেছেন ! তাহলে জিনিস মিলে নাতো। অর্থাৎ [৪:১২৭] থেকে একদম সুষ্পষ্ট যে এতিম মেয়েদেরকে সম্পত্তির লোভে বিয়ে করা আল্লাহর নির্দেশ লঙ্ঘন।


সূরা নিসা [৪:৩] এ মূলত বলা হয়েছে নারী এতীমদেরকে বিয়ে দিয়ে দিতে যদি তাদের দেখভাল করা সম্ভব না হয়। কখনোই এখানে চার বিয়ের পারমিশন দেয়া হয়নি।

সূরা নিসার প্রথম আয়াতে যদি লক্ষ্য করেন দেখবেন যে আল্লাহ পুরো মানবজাতিকে (ইয়া আয়্যুহান নাস) সম্বোধন করে কথা বলছেন। অর্থাৎ নারী ও পুরুষ উভয়ের উদ্দেশ্যে আল্লাহর কথাগুলো বলা। তো যদি ৪:৩ এ বিয়ে করা বুঝে কেউ তার মানে মেয়েরাও চাইলে মেয়েদেরকে বিয়ে করতে পারবে, অর্থাৎ লেসবিয়ানিজম ! মাজাআল্লাহ ! অর্থাৎ বিয়ে করা কোনভাবেই মিলে না।

এরপরে আরো বড় তামাশা দেখেন অনুবাদে। [৪:৩] এ যে আরবির অনুবাদ করেছে ২ (মাসনা), ৩ (সুলাসা) ও ৪ (রুবায়া) এগুলো কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ২, ৩, ৪ বুঝায় না।

২ এর আরবি হলো ইসনা
৩ এর আরবি হলো সালাসা
৪ এর আরবি হলো আরবা


তাহলে কোরআনের যে আয়াতের ইচ্ছাকৃত ভুল অনুবাদ করে মাসনা, সুলাসা আর রুবায়ার অনুবাদ ২, ৩, ৪ করেছে এগুলোর প্রকৃত অর্থ কি ?

মাসনা মানে ২টা একসাথে (Two's)
সুলাসা মানে ৩টা একসাথে (Three's)
রুবায়া মানে ৪টা একসাথে (Four's)


তার মানে কেউ যদি নিসা [৪:৩] এর অনুবাদে "নিজেই বহুবিবাহ করা' বুঝে তাহলে অর্থ দাঁড়াবে কেউ বহুবিবাহ করতে চাইলে তাকে একসাথেই ২টা, বা ৩টা বা ৪টা বিয়ে করতে হবে। একটা একটা করে বহুবিবাহ করতে পারবে না, একযোগে করতে হবে সব। এছাড়া বিয়েরও কোন লিমিট নাই, কারণ যেকেউ চাইলে ইচ্ছামতো একসাথে ২, ৩ বা ৪ টা করে বিয়ে করে নিতে পারবে। তাহলে কেউ একদিনে ৪টা বিয়ে করে করলে ১০ দিনে বউ দাঁড়াবে ৪০ টায় !!! এগুলো কোনভাবেই কোন সেন্স তৈরি করে না।

মাসনা বা two's এর প্রয়োগও রয়েছে কোরআনে, যেখানে এর দাঁড়া ২ বুঝানো হয়নি, সূরা সাবা, [৩৪:৪৬] এও "মাসনা" শব্দটা আছে [৪:৩] এর মতো। যেখানে এর অর্থ কিন্তু জোড়া (Two's) । তাহলে [৪:৩] দিয়ে যদি নিজেই এতিম মেয়েদেরকে বহুবিবাহ করা বুঝায় তাহলে এর অর্থ হবে একসাথে ২ বিয়ে করতে হবে। একবার একটা করে তারপরে আবার আরেকটার সুযোগ নাই। একসাথেই ২ জনকে বিয়ে করতে হবে। সুলাসার (এক সাথে ৩টা) ক্ষেত্রেও তাই, রুবায়াও (একসাথে ৪টা) একই।

৪ এর আরবি হলো আরবা, রুবায়া না
, কোরআনে আরবা বা চার শব্দের প্রয়োগ দেখতে পারেন সূরা নূরের ৪ নাম্বার আয়াতে [২৪:৪]

কাজেই কোরআনের অর্থ বদলে দিয়ে কামনা চরিতার্থ করার একটা অংশ ক্লিয়ার করা হলো। এবার চলেন বিয়ে দেয়ার বিষয়টি আরো ক্লিয়ার হই।

সূরা নিসার ঐ বিয়ের পরের আয়াতেই অর্থাৎ [৪:৪] এ বলা হয়েছে (ট্র্যাডিশনাল অনুবাদকদের করা অর্থ)

"আর তোমরা নারীদেরকে সন্তুষ্টচিত্তে তাদের মোহর দিয়ে দাও, অতঃপর যদি তারা তোমাদের জন্য তা থেকে খুশি হয়ে কিছু ছাড় দেয়, তাহলে তোমরা তা সানন্দে তৃপ্তিসহকারে খাও। [সুরা নিসা - ৪:৪]"

অর্থাৎ [৪:৩] অনুযায়ী এতিম মেয়েদেরকে বিয়ে করে এরপরে ৪:৪ অনুযায়ী মোহরানা দিবেন, এবং তারা কিছু মাফ করলে সেটা ভোগ করতে পারবেন !

আসলেই কি তাই ?

[৪:৪] এ মোহরানা শব্দটাই নাই, আছে সাদাকা, সাদাকা মানে দান; মোহরানা নয়। কোরআনে মোহরানার জন্য স্পেসিফিক আরবি আছে, তাহলো "উজুর" । কোরআনের বিয়ে নিয়ে ৫টা আয়াতে আল্লাহ মোহরানা (mahr) বুঝাতে "উজুরাহুন্না" ব্যবহার করেছেন । মোহরানা অর্থাৎ "উজুরাহুন্নার" সবগুলো আয়াত দেখতে পারেন চাইলে প্রমাণ হিসেবে

মোহরানার নিজস্ব আরবি আছে, উজুর (৪:২৪, ৪:২৫, ৫:৫, ৩৩:৫০)

কাজেই একদম দিনের আলোর মতো স্পষ্ট যে [৪:৪] এ কোন মোহরানাই নাই ! আছে দান করার বা সাদকার কথা। সাদকা হয়ে গেছে মোহরানা !

তো এবারে কি দাঁড়ালো তাহলে, আল্লাহ কোরআনে কি বলেছেন এই কথিত চার বিয়ের আয়াতে ?

আল্লাহ প্রথমেই ইয়া আয়্যুহান নাস বলে পুরো মানবজাতিকে (নারী পুরুষ লিঙ্গ নির্বিশেষে) সম্বোধন করে এতীমদেরকে কিভাবে দেখভাল করতে হবে সেসব বিধান বর্ণনা করেছেন। এতিমদেরকে কিভাবে রক্ষা করতে হবে, দেখভাল করতে হবে, তাদের সম্পত্তি রক্ষা করার কথা, ফেরত দেওয়ার কথা বর্ণনা করেছেন।

[৪:৩] এ আল্লাহ বলেছেন,
‘আর যদি তোমরা সন্দেহ করো এতিমদের সাথে ন্যায়বিচার (তুক্ব'সিতু) করতে পারবে না তবে (এতিম) মেয়েদের মধ্য হতে যেমন সঙ্গত মনে করো বিয়ে দাও দু'জন, তিনজন বা চারজন করে...কিন্তু যদি আশংকা করো ন্যায়সঙ্গত আচরণ (তা'দিলু) করতে পারবে না,তাহলে একজনকে (একজন করে) অথবা যা তোমাদের ডান হাতের অধিকারভুক্ত হয়; এটিই হলো আরও নিকটবর্তী (কার্যকর) পথ, যাতে তোমাদেরকে অবিচার করতে না হয় । [সুরা নিসা - ৪:৩]'

অর্থাৎ এতিমদের লালনপালনে, দেখভাল করতে যেয়ে যদি কেউ (এই কেউ এটা পুরুষ বা নারী উভয়েই হতে পারে, যেহেতেু [৪:১] এ আল্লাহ লিঙ্গ নিরপেক্ষ শব্দ "নাস" বলে সব মানুষকে বুঝিয়েছেন) মনে করে সে সবার প্রতি সমানভাবে খেয়াল রাখতে পারবে না, ভালোমতো দেখাশোনা করতে পারবে না, সেক্ষেত্রে সে তাদের দৈহিক ও বুদ্ধবৃত্তিক ম্যাচুরিটি তথা বিয়ের বয়সে ([৪:৬] দ্রষ্টব্য) পৌঁছলে নারী এতিমদেরকে বিয়ে দিয়ে দিতে হবে। সে বিয়ে কিভাবে দিবেন ? হ্যাঁ সে কথাটাই আল্লাহ বলেছেন [৪:৩] এ। একসাথে ২জন, ৩জন বা ৪জন করে বিয়ে দিতে হবে, একসাথে দিলে বিয়ে আয়োজনের খরচ কম পড়বে যেহেতু, কিন্তু যদি একসাথে বিয়ে দিতে গেলে কারো প্রতি বৈষম্যের আশঙ্কা থাকে, অর্থাৎ কারো প্রতি বেশী খেয়াল রাখা বা কারো প্রতি কম, সেক্ষেত্রে একটি করেই বিয়ে দিতে হবে। বিয়ের সময় বিয়ে আয়োজনে আপনার হয়তো কিছু টাকা খরচ হবে। এই খরচের পরিমাণটা চাইলে এতিম মেয়েরা আপনাকে কম করতে বলতে পারে, যদি তারা বিয়েতে কম খরচের জন্য বলে, আপনি তা করতে পারেন, এটিই আপনার পক্ষ থেকে তাদের জন্য [৪:৪] উল্লেখিত সাদকাতিহিন্না বা দান যার ইচ্ছাকৃত ভুল অনুবাদ মোহরানা করেছে ট্র্যাডিশনালিস্টরা।

এখন প্রশ্ন আসতে পারে, এতিম মেয়েদেরকে নাহয় বিয়ে দিলাম তো পুরুষ এতিমদের বেলায় কি হবে ?
এর উত্তরও কোরআনে আছে। চলুন দেখে আসি।

"আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, এতীম সংক্রান্ত হুকুম। বলে দাও, তাদের কাজ-কর্ম সঠিকভাবে গুছিয়ে দেয়া উত্তম আর যদি তাদের ব্যয়ভার নিজের সাথে মিশিয়ে নাও, তাহলে মনে করবে তারা তোমাদের ভাই । বস্তুতঃ অমঙ্গলকামী ও মঙ্গলকামীদেরকে আল্লাহ জানেন। আল্লাহ যদি ইচ্ছা করতেন, তাহলে তোমাদের উপর জটিলতা আরোপ করতে পারতেন। নিশ্চয়ই তিনি পরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞ। [সুরা বাকারা - ২:২২০]"

অর্থাৎ আপনি তাদেরকে উপকার করবেন, প্রতিষ্ঠিত হতে সহায়তা করবেন। আর সবচেয়ে ভালো হয় তাদেরকে যদি পরিবারের একজন করে নেন, কারণ তারাও আমাদের ভাই।

কি চমৎকার আল্লাহর বিধান। এতিমদেরকে দেখভাল করার এতো সুন্দর বিধান যদি ঠিকই মানতো তাহলে কোন এতিমখানা লাগতো না মুসলিমদের মাঝে। সব এতিমরা কারো না কারো পরিবারের সদস্য হয়ে থাকতো। তাদের পড়ালেখা, দেখাশোনা, ভালোমন্দ দেখভাল সব করতে হতো সবাইকে। এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া দায়িত্ব।

অথচ এই সুন্দর বিধানকে আজকে কিভাবে চার বিয়ের হাতিয়ার বানানো হয়েছে, ভাবুন একবার !!! যে বিধান আল্লাহ দিলেন এতিমদের কল্যাণার্থে সেটা হয়ে গেলো বহুবিবাহের হাতিয়ার ! এতিমরা এখন এতিমখানায় মানবেতর জীবনযাপন করে, অথচ কোরআনের শিক্ষা তথা আল্লাহর নির্দেশ এর পুরো উল্টা !

তো মানুষ এখন কয়টা করে বিয়ে করবে অর্থাৎ স্ত্রী রাখতে পারবে ?

উত্তর হলো ১টা। জ্বি এটাই কোরআন বলে। [৪:১২৯] এ আল্লাহ বলেন

"আর তোমরা চাইলেও নারীদের (স্ত্রীদের) মধ্যে কখনো সমআচরণ (তা’দিলু) করতে সমর্থ হবে না, অতএব একজনকে উপেক্ষা করে অন্যের প্রতি পুরোপুরি ঝুঁকে পড়ো না; আর যদি তোমরা ভুল সংশোধন করে নাও ও আললাহকে ভয় করো (আললাহ-সচেতন হও) আললাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়। আর যদি তারা পৃথক হয়ে যায় তবে আললাহ তাঁর প্রাচুর্য্য থেকে তাদের প্রত্যকেকে স্বচ্ছল করবেন; আল্লাহ সর্বব্যাপী, প্রজ্ঞাময়।’ [সুরা নিসা - ৪:১২৯-১৩০]"

অর্থাৎ একাধিক স্ত্রী থাকলে কখনোই সমান আচরণ করা সম্ভব না, কাজেই বিয়ে করতে হবে একটা। এছাড়া সূরা নিসায় [৪:১০-১২] সম্পত্তিও আল্লাহর আইনে বণ্টন করা যাবে না। এছাড়া ৩৩:০৪ এ উল্লেখ আছে আল্লাহ কোন মানুষকে ২টা হৃদয় দেননি। [৪:২০] এ উল্লেখ আছে একজন স্ত্রীর বদলে আরেকজন স্ত্রী নিতে চায় মানুষ।

মূলত উপরের আয়াতসমূহ এবং [৪:১২৯-৩০] থেকে সুষ্পষ্ট যে একটি বিয়ে করাই কোরআনে বর্ণিত আল্লাহর বিধান।

এখন অনেকে বলতে পারেন রাসূল সা. তো অনেকগুলো বিয়ে করেছেন। তো বহুবিবাহে সমস্যা কি ! এটা তো ঠিকই আছে !
আসুন জিনিসটা একটু যাচাই করে দেখি, কোরআনের সংশ্লিষ্ট আয়াতটা পড়া যাক,

"হে নাবী! আমি তোমার জন্য বৈধ করেছি তোমার স্ত্রীদেরকে, যাদের মোহর তুমি প্রদান করেছ এবং বৈধ করেছি ‘ফায়’ হিসাবে আল্লাহ তোমাকে যা দান করেছেন তন্মধ্য হতে যারা তোমার মালিকানাধীন হয়েছে তাদেরকে এবং বিয়ের জন্য বৈধ করেছি তোমার চাচার কন্যা ও ফুফুর কন্যাকে, মামার কন্যা ও খালার কন্যাকে, যারা তোমার সাথে দেশ ত্যাগ করেছে এবং কোন মু’মিনা নারী নাবীর নিকট নিজেকে নিবেদন করলে, এবং নাবী তাকে বিয়ে করতে চাইলে সেও বৈধ। এটা বিশেষ করে তোমারই জন্য, অন্য মু’মিনদের জন্য নয়; যাতে তোমার কোন অসুবিধা না হয়। মু’মিনদের স্ত্রী এবং তাদের মালিকানাধীন দাসীদের সম্বন্ধে যা আমি নির্ধারিত করেছি তা আমি জানি। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। [সুরা আহযাব - ৩৩:৫০]"

ভালো মতো আয়াতটা খেয়াল করুন, এখানে লিখা আছে, "এটা বিশেষ করে তোমার জন্যই, অন্য কোন মুমিনদের জন্য নয়!"

কাজেই বহুবিবাহের যে নিয়ম ছিলো সেটা একমাত্র রাসূল সা. এরজন্যই প্রযোজ্য ছিলো। আর কেউ বহুবিবাহ করার জন্য অনুমতি প্রাপ্ত নয়। কুরআন ১৪০০ বছর আগেই এক বিয়ের বিধান দিয়েছে। এটাই সুন্নাতাল্লাহ, বা আল্লাহর নিয়ম।

সামনে ইসলামের নামে কোরআনের নামে আরো নানা এরকম মিথ্যাচার নিয়ে লিখবো।


কোরআনই আল্লাহ প্রেরিত একমাত্র জীবনবিধান, প্রচলিত হাদীস তাফসীর ফিকাহ এসব সত্য মিথ্যা যেকোনটাই হতে পারে, এবং তা কখনোই কোরআনের সম্পূরক বা সমকক্ষ নয়। কোরআনের বাইরে কোন জিনিস কোন বিধান হতে পারে না। আল্লাহর প্রেরিত একমাত্র গ্রন্থ কুরআন। কাজেই প্রচলিত হাদীস তাফসীর অমুক তমুকের মতে কি আছে সেসব বলতে আসবেন না।

মন্তব্য ৮৭ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৮৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১০

হাবিব বলেছেন: পুরোটাই পড়লাম। আলোচনা যুক্তিযুক্ত মনে হয়েছে। এরকম আরো পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৪০

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ হাবীব ভাই। জ্বি, অবশ্যই, এই সিরিজ কন্টিনিউ করবো ইনশাআল্লাহ।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১৬

সাসুম বলেছেন: এক্সিলেন্ট লিখা!

পুরা লিখা পড়ার পর আমার এক্টাই কোশ্চেন- নবীর উপর শুধু মাত্র আনলিমিটেড বিয়ে ফরজ করা হয়েছে কোরান অনুযায়ী।

এদিকে- নবী জীবিত থাকা অবস্থায় সাহাবী, মুজাহিদ ও আনসার দের বহু বিবাহ ও দাসী সম্ভোগ এর বিধান নিয়ে কোন আইন করেন নি বা বাধা দেন নি বা নিষেধ করেন নি।

বিষয় টা, কিছুটা কন্ট্রাডিক্টরি বটে।

যদি কোরানের আইন হয় বহু বিবাহ একমাত্র রাসুলের জন্য প্রযোজ্য তাহলে রাসুল কেন অনুমোদন দিলেন বা বাধা দিলেন না- বেচে থাকা অবস্থায় তার সাহাবী দের বহু বিবাহের।

এটা নিয়ে যদি একটু আলোকপাত করতেন।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৪৪

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

নবী জীবিতাবস্থায় উনার সাহাবীদেরকে অবশ্যই কোরআনের বিধান জানিয়েছেন। তারা তদানুযায়ী কাজ করেছে। তবে অনেকে কোরআনের বিধান নাজিল হবার পূর্বেই বহুবিবাহ করে থাকতে পারে। তবে কোরআনের এসব আয়াত অবতীর্ণ হবার পরে বহুবিবাহ করার কোন ভিত্তি নাই। রাসূল অবশ্যই তাদের এ ব্যাপারে নিষেধ করেছেন। আর দাসী নিয়ে যে কথাটা বললেন সেটাও এই বহুবিবাহের মতোই একটা ভুল অনুবাদ। কোরআনের "মা মালাকাত আইমানুকুম" শব্দগুচ্ছের ভুল অনুবাদ দাসী করে এতো বিপত্তির তৈরি করেছে কথিত ইসলামিস্টরা। এ বিষয়ে আলাদা ব্লগে লিখবো। সাথেই থাকবেন।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩৫

এ আর ১৫ বলেছেন: এক্সিলেন্ট রাইটিং , এই বিষয়ে আমি কয়েকটা লিখা লিখেছিলাম , কয়েক জন অতি কাটমোল্লা মার্কা ব্যক্তি তীব্র আপত্তি করেছিল , একজন আমার নাম মেনশন করে কয়েকটা আর্টিকেল লিখে ফেলে ।
আমার পোস্টে একজন ব্লগার সুরা নিসার ২০ নং আয়াতটি দিয়ে মন্তব্য করেন --
(৪--২০)
যদি তোমরা এক স্ত্রীর স্থলে অন্য স্ত্রী পরিবর্তন করতে ইচ্ছা কর এবং তাদের একজনকে প্রচুর ধন-সম্পদ প্রদান করে থাক, তবে তা থেকে কিছুই ফেরত গ্রহণ করো না। তোমরা কি তা অন্যায়ভাবে ও প্রকাশ্য গোনাহর মাধ্যমে গ্রহণ করবে


উপরের আয়াতে দেখুন একজন স্ত্রীর বদলে অন্য আরেক জন স্ত্রী গ্রহন করার কথা বলা হচ্ছে , এক সাথে ২ বা ততধিক স্ত্রী রাখার কথা বলা হয় নি ।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৪৭

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আপনার মন্তব্য পেয়ে ভালো লাগলো।

জ্বি, এতোদিন ধরে এতিমের বিধানের অপব্যবহারে অভ্যস্তরা এতো সহজে তো এটা মানতে চাইবে না। কিন্তু তারা মানলেই কি বা মানলেই কি, কোরআনের বিধান যা আছে সেটাই থাকবে। আপনার লিখা আমি পড়ি। সামনে আপনার থেকেও আরো লিখা চাই। মানুষকে সত্যিটা জানাতে হবে।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৩

সাসুম বলেছেন: সাধারণত এই সকল ক্ষেত্রে হাদিস ও রেফারেন্স দিয়ে কথা বলা উত্তম ক্যাচাল এড়ানোর জন্যঃ

ব্লগার এভো, আপনি যদি এই পোস্ট দেখে থাকেন-

একটু জানাবেন, উপরের আয়াত গুলো নাজিল হবার পরে নবীজি জীবিত থাকা অবস্থায় কোন সাহাবী বা মোসলমান একের অধিক বিবাহ করেছিলেন কিনা কিংবা এ সংক্রান্ত কোন হাদিস বা কোন রেফারেন্স কি পাওয়া যায় কিনা। কিংবা রাসুলের নিষেধ এর কোন সূত্র পাওয়া যায় কিনা। আপনাকে মেনশান করার কারন- কোন এক কমেন্টে আপনি এই ধরনের একটা কমেন্ট করেছিলেন, সো আশা করি আপনার কাছে রেফারেন্স টাও থাকবে।

লেখকঃ দাসী যখন আসবে তখন আসবে গণিমত এর মাল হিসেবে নারীদের অবজ্ঞা ও ভাগ বন্টন। এটা নিয়েও আপনার কাছ থেকে যুক্তিগত আলোচনা আশা করি।

আপ্নার সাথে আলোচনা করা যাবে বুঝা যায়। কল্লা ফেলতে আসেন না কিংবা ভুল কে ভুল হিসেবে দেখেন।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০০

রসায়ন বলেছেন: জ্বি। সামনে আলোচনা করবো উল্লিখিত বিষয়ে।

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৫

অপু তানভীর বলেছেন: মুসলিম পুরুষ সব মেনে নিবে কিন্তু চার বিয়ার বিধান ছাড়া তারা কিছুই টিকে থাকতে পারবে না । চারটে বিয়ে করতে পারুক কিংবা না পারুক, একটা নিয়ম আছে, এইটা জেনেও অনেকে সুখ লাভ করে ।
বর্তমান সময়ে চারটা বিয়ে করার কথা যারা ভাবে, চারটা করতে ইচ্ছে ইচ্ছে পেষণ করে কিংবা এটা সমর্থন করে তাদের আসলে এমন একটা শব্দ দিয়ে বর্ণনা করতে ইচ্ছে করছে কিন্তু বলতে পারছি না । সামুতে সব শব্দ পরিস্কার ভাবে বলা যায় না ।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:১০

রসায়ন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। তারা বিয়ে না করলেও চারটা অপশন খোলা আছে শুনে তৃপ্তি পায়। কোরআন না পড়ার কারণে এবং হাদীস তাফসীরের মনগড়া বিভিন্ন কথাবার্তা টিকাতে যেয়ে কোরআনের জলজ্যান্ত মিথ্যা অনুবাদ করে বসে আছেন ওনারা।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪৬

এভো বলেছেন: জনাব সাসুম কমেন্ট ৪ ,
ধন্যবাদ আমার কথা স্মরণ করার জন্য , আপনি নীচের লিংক থেকে হয়ত কিছু তথ্য পাবেন , বাকি তথ্য গুলো পেলে জানাব, ধন্যবাদ

ইসলামে চার বিয়ে জায়েজ নাকি নাজায়েজ

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:০৮

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৫

কুশন বলেছেন: Absolutely outstanding analysis!! Thank you very much!

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩২

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৫১

রানার ব্লগ বলেছেন: হযরত আলীর স্ত্রীর সংখ্যা ৭ তাদের নাম নিম্নে দেয়া হলোঃ

ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ
উমামা বিনতে জয়নব
উম্মুল বনিন
লায়লা বিনতে মাসঊদ
আসমা বিনতে উমাইস
খাওলা বিনতে জাফর
আস-সাহবা বিনতে রাবিয়া


ফাতেমা ব্যাতিত এদের সবাই কে নবীর মৃত্যুর পরে বিবাহ করেছেন।
ফাতেমা জীবিত থাকাকালীন আলী কে অন্য বিয়ে করতে অনুমতি দেন নাই নবী মুহাম্মাদ।

বহু বিবাহ যদি কুরানে নিষিদ্ধ থাকে তবে আলী কি করে করলো?

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪১

রসায়ন বলেছেন: দেখেন আপনি যা বলছেন তা হলো ইতিহাস। ইতিহাস লিখে সরকারি দল। ইতিহাস বিকৃত হয়। আপনি আমার কথাকে কোরআন দিয়ে ডিফেন্ড করতে পারেন কিন্তু প্রচলিত এসব হাদীস তাফসীর ইতিহাস নয় যা আমি আমার পোস্টের শেষে উল্লেখ করেছিলাম। তবে যাই হোক, যেহেতু এনেছেনই তাই বলছি।

প্রচলিত ইতিহাসে পাওয়া যায়, হযরত আলী ও মুয়াবিয়ার মধ্যে দ্বন্দ্বের কথা। মুয়াবিয়া অপকৌশলে আলী র. এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধ ষড়যন্ত্র করে। মুয়াবিয়ার খিলাফত চলাকালীন ইসলামিক এম্পায়ারের ৭০ হাজারের মতো মসজিদে হযরত আলী ও নবী পরিবারের বিরুদ্ধে গালাগালি ও কুৎসা রটনা করে জুমার খুতবা দেওয়ার নিয়ম চালু করেছিলো মুয়াবিয়া। মুয়াবিয়ার মা এবং নানার বংশ পুরোটাই খ্রিস্টান জাজক। মুয়াবিয়ার পরবর্তীতে তার ছেলে ইয়াজিদও বাপের থেকেও বেশী হিংস্র হয়ে ওঠে। সে কারবালার নৃশংস কান্ড ঘটায়। তাদের ডিসেন্টেন্ড হলো উমাইয়ারা। এরাও এমন উগ্রপন্থি ছিলো। তো এসব লোকের হাতে বানানো ইতিহাসে কি আছে না আছে সেসব কোন রেফারেন্স হতে পারে না।

ইসলামের জন্য আল্লাহ মনোনিত কিতাব একমাত্র কোরআন। কাজেই কে কি বললো সেটা কোন কথা না, দেখতে হবে কোরআনে কি বলা আছে কি নাই।

ধন্যবাদ।

৯| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:১৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: একটা কথা আপনি ভাল লিখেছেনে যে কুৎসা এবং অপপ্রচারও কিন্ত সেই সময়ে অনেক তথ্যের উৎস। নবীজির শত্রুর সংখ্যা ছিল অনেক। আজকের যুগে বহু নাস্তিকদের হাতিয়ার হচ্ছে সেইসব মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচার।

নবুওয়াতের ১০টি বছর অসহ্য নির্যাতন, নিপীড়ন-উৎপীড়ন, জ্বালা-যন্ত্রণা সহ্য করে ঘাত-প্রতিঘাত পারি দিয়েছেন রাসূলু মানুষের নায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে । নবীজি এবং তার সাহাবীগনের বিরুদ্ধে নাস্তিকদের বহু তথ্যই তাই রসুল এবং তার সাহাবীগনের জীবন ধারার সাথে সামঞ্জষ্যপূ্র্ন নয়।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০০

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাবিয়ান ভাই আপনার সুন্দর মতামতের জন্য। ইতিহাসকে এজ ইট নেয়ার সুযোগ নাই। মাত্র ৫০ বছর আগের মুক্তিযুদ্ধ অথচ দেখুন একেকদলের কাছে একেকরকম বর্ণনা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে জামাতে ইসলামের একরকম মত আবার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের আরেকরকম। ইসলামের ব্যাপারে আমাদের ক্রাইটেরিয়া বা সত্যমিথ্যার মানদন্ডের নাম হলো কোরআন।

১০| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৪৬

করুণাধারা বলেছেন: আজকাল দেখা যাচ্ছে ধর্মীয় বিষয়ে বিতর্কিত পোস্ট দিয়ে লেখক উধাও হয়ে যান, পাঠকের মন্তব্যর উত্তর না দিয়ে। আপনি সময় নিয়ে উওর দিয়েছেন। ধন্যবাদ পোস্টের জন্য ।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০১

রসায়ন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আমার পোস্টে মন্তব্য করার জন্য।

১১| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২৪

কামাল১৮ বলেছেন: মোল্লা মৌলভীরা না জেনেই কোরানের ভুল ব্যাখ্যা করছে।মানুষে একসাথে একটা বিবাহ ঠিক আছে।নবীর বিষয় আলাদা।তাকে আল্লাহ ৩০ জন পুরুষের সমান শক্তি দিয়েছিলেন।

০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:০৩

রসায়ন বলেছেন: জ্বি নবীর ব্যাপার আলাদা। এটা কোরআনে আল্লাহ সুষ্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। সাধারণ মানুষ নিজেরা ধর্মগ্রন্থ পড়ে না, সেজন্য সত্য থেকে দূরে। বিশেষত কোরআনের কথা যদি ধরেন, তাহলে একে না বুঝে আউড়ে সওয়াব কামানোর বই হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছ, অথচ অর্থ বুঝে, এনালাইলিস করতে ও তা মানতে শেখানো হয়নি। এজন্য সত্য আমাদের থেকে দূরে।

১২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১১:৫০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রথমত যেটি লক্ষণীয় সহোদন দুই বোনকে এক সঙ্গে বিবাহ করা জায়েয নেই। রসুল সাঃ তার নিজের দুই মেয়েকে উসমান রাঃ এর সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন। জয়নাব আর কুলসুম( রাঃ) একজনের মৃত্যুর পর আরেকজনকে। চৌদ্দ ধরনের আত্নীয় বিবাহ হারাম করা হয়েছে। আ্লী রাঃ খোলাফায়ে রাশেদীন তিনি হারাম কাজ করেন নি। তারা রসুল সাঃ এর কাছ থেকে কুরআন আর ইসলাম শিখেছেন।

আপনার বিশ্লেষণ ধর্মী পোস্ট প্রয়াসে স্বাগত। তবে খেয়াল রাখতে হবে ধর্ম বিষয়ে কুরআন আর সুন্নাহ দুটো মিলেই পরিপূর্ণ ইসলাম্ । ইসলামে ভন্ড পীরদের মত মনগড়া কিছু করার সুযোগ নেই। একজন সাহাবীকে অনুসরণ করলেও মানুষ সফলকাম হবে । সাহাবীরা হলেন আকাশের নক্ষত্রের মত। তাদের উপর আল্লাহ রাযি খুশি হয়ে গেছেন। কোন পীর আউলিয়ার সে গ্যারান্টি নেই ।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:২৬

রসায়ন বলেছেন: কোরআন ও সুন্নাহ মানতে হবে, ভালো বলেছেন। তবে সুন্নাহ বলতে কি বুঝেন এটার কোরআনিক আলাদা মিনিং আছে। সেটা নিয়ে সামনে আলোচনা করবো। সাহাবী একটা ব্রড টার্ম, আর ইতিহাসের কথা সত্য মিথ্যা উভয় হতে পারে, কাজেই সাহাবীরা যা করেছে তা যে সঠিকভাবে অবিকল আমাদের নিকট পৌঁছেছে তার কোনই গ্যারান্টি নাই। কোরআন হলো আল্লাহর থেকে প্রেরিত মহাসত্য। মানুষের হিদায়াত ও সফলতার জন্য আল্লাহর থেকে প্রেরিত একমাত্র গ্রন্থ, সূরা বাকারার ২ নং আয়াত দ্রষ্টব্য।

১৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৪:৩৪

সোহানী বলেছেন: অনেকদিন ধরেই আপনার মতো একজনকে খুঁজছিলাম যিনি আমাকে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।

অনেক ধন্যবাদ। আপনাকে ফলো করলাম আরো কিছু জানার জন্য। পরবর্তীতে আলোচনায় আসবো।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:২৬

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সামনে আরো আলোচনা করবো বিভিন্ন বিষয়ে।

১৪| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৩৭

বিটপি বলেছেন: ইসলাম বিদ্বেষীদের মন্তব্য সম্পূর্ন শোনা কথা নির্ভর। এরা কোন কথা শুনে তা খতিয়ে না দেখেই প্রচার করে - যেটা মুনাফিকের অন্যতম লক্ষণ। নবীজির ৩০ জন পুরুষের সমান শক্তি ছিল - এই জঘন্য মিথ্যাচার আপনি যাচাই না করেই মেনে নিয়েছেন। সত্য কি, তা জানতে হলে পড়ুন
নবী মুহাম্মদকে “কামুক” হিসেবে বিশ্ব দরবারে কারা পেশ করেছে?

আর আপনি বহু বিবাহ এক কথায় নাকচ করে দিয়েও তো ভালো কাজ করেননি। বহু বিবাহ কেবল শখ নয়, প্রয়োজনেও হতে পারে। আর্থিকভাবে সামর্থবানদের বহু বিহাব করা কোন সমাজেই অন্যায় হিসেবে দেখ হয়না। রাসূল (স) যে সমাজে জন্মেছিলেন, সেখানে কোন স্ত্রীলোকের একা থাকাটা খুব কঠিন ছিল। তাই বিধবা বা তালাকপ্রাপ্ত নারীরা খুব দ্রুতই বিবাহ করে ফেলতেন। যেহেতু বাণিজ্য বা যুদ্ধের কারণে পুরুষের সংখ্যা ছিল কম, তাই স্ত্রী বর্তমান আছে - এরকম পুরুষকে বিবাহ করতে তাদের কোন আপত্তি ছিলনা।

কিন্তু কুরআন হাদীস বা অন্য কোন ইসলামী শাস্ত্রে বহু বিবাহে উৎসাহও দেয়া হয়নি, বা নিরুৎসাহিতও করা হয়নি। প্রয়োজন হলে করবে, অসুবিধা কি? তবুও যেন বহুগামিতা বা ব্যভিচারে না জড়ায়। রাসূলের (স) সাহাবীরা অনেকেই বহু বিবাহ করেছিলেন, কারণ ইসলাম বহু বিবাহ করতে কোন নিষেধ করেনি।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:২৯

রসায়ন বলেছেন: আমি তো আমার পোস্টে কোরআনের বাইরে কোথাও যাইনি। কোরআনই হলো আল্লাহর থেকে প্রেরিত একমাত্র গ্রন্থ যা আমরা মুসলিম হিসেবে মানতে আদ্দিষ্ট। কোরআন হলো ফোরকান, সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। কোরআনের আলোকে সব সত্য মিথ্যা যাচাই হবে। কোরআনে কোন বহুবিবাহ নাই, কোরআনের যে আয়াতের ইচ্ছাকৃত ভুল অনুবাদ করে বহুবিবাহের কথা বলা হচ্ছে তা প্রকাশ করেছি। কোরআনে আল্লাহ বহুবিবাহের কোন বিধান রাখেননি নবীর জন্য ছাড়া।

ধন্যবাদ।

১৫| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:১৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: “And if you fear that you shall not be able to deal justly with the orphan girls then marry women ( নিসা) of your choice, two or three, or four; but if you fear that you shall not be able to deal justly, then only one or that your right hands possess. That is nearer to prevent you from doing injustice” (সুরা নিসা, আয়াত- 3)

বাংলা উচ্চারণঃ
অইন্ খিফ্তুম্ আল্লাতুক্ব সিতু ফিল্ ইয়াতা-মা- ফান্কিহূ মা-ত্বোয়া-বা লাকুম্ মিনান্নিসা - য়ি মাছ্না- অছুলা-ছা অরুবা-‘আ ফাইন্ খিফ্তুম্ আল্লা- তা’দিলূ ফাওয়া-হিদাতান্ আও মা-মালাকাত্ আইমা-নুকুম্; যা-লিকা আদ্না য় আল্লা- তা‘ঊলূ।
আরবিতেঃ
وَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تُقْسِطُوا فِي الْيَتَامَى فَانْكِحُوا مَا طَابَ لَكُمْ مِنَ النِّسَاءِ مَثْنَى وَثُلَاثَ وَرُبَاعَ فَإِنْ خِفْتُمْ أَلَّا تَعْدِلُوا فَوَاحِدَةً أَوْ مَا
مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ذَلِكَ أَدْنَى أَلَّا تَعُولُوا

সূরা নিসার তিন নম্বর আয়াতে প্রথমে এতিম মেয়েদের বুঝাতে ইয়াতিমা শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। কিন্তু পরে ইয়াতিম ব্যবহার না করে নিসা ( নারী/ মহিলা) শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে। নিসা মানে নারী বা মহিলা। তাই যারা বলছেন যে ইয়াতিম মেয়েদের থেকে ২ জন, ৩ জন বা ৪ জনকে বিয়ে কর, তারা এই আয়াতের ভুল অর্থ করছেন। ইয়াতিম মেয়েদের মধ্যে থেকে ২,৩ বার ৪ জনকে বিয়ের কথা বলতে চাইলে নিসা শব্দ ব্যবহার করা হতো না বরং ঐ আয়াতের পরের অংশেও ইয়াতিমা ব্যবহৃত হত। ঐ যুগে অনেকে ইয়াতিমের সম্পদ দেখভাল করত। তারা সম্পদের লোভে ঐ ইয়াতিম মেয়েকে বিয়ে করে ফেলত তাদেরকে ঠকানোর জন্য। এই কারণে বলা হয়েছে যদি তোমরা ঐ মেয়েদের হক আদায়ে প্রস্তুত থাক তাহলে বিয়ে কর। আর তা না হোলে নারীদের মধ্যে থেকে ২,৩ বা ৪ টি পর্যন্ত বিয়ে করতে পার।

একাধিক বিয়ের পক্ষে একটি বিখ্যাত আন্তর্জাতিক সাইটের ( islamqa) সুত্রঃ

The ruling on plural marriage and the wisdom behind it

সূরা আন নিসার ১২৯ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন-

وَلَنْ تَسْتَطِيعُوا أَنْ تَعْدِلُوا بَيْنَ النِّسَاءِ وَلَوْ حَرَصْتُمْ فَلَا تَمِيلُوا كُلَّ الْمَيْلِ فَتَذَرُوهَا كَالْمُعَلَّقَةِ وَإِنْ تُصْلِحُوا وَتَتَّقُوا فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَحِيمًا (129)

"তোমরা কখনও নারীদের মাঝে ন্যায় সঙ্গত ও সমতাপূর্ণ আচরণ করতে পারবে না। অতএব,সাধ্যমতো চেষ্টা করো যাতে একবারে একদিকে ঝুঁকে না পড়ো, যাতে আরেকজনকে ফেলে রাখতে হয় দায়িত্বহীনের মতো। জেনে রেখো, যদি সংশোধনের পথ এবং খোদাভীরুতার পথ অবলম্বন করো, তবে আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, করুণাময়।"(৪:১২৯)

এই আয়াতের দ্বিতীয় বাক্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে একাধিক বিবাহ অনুমোদিত। কারণ এখানে বলা হয়েছে যে ' অতএব, সাধ্যমত চেষ্টা কর যাতে একবারে একদিকে ঝুঁকে না পড়ো, যাতে আরেকজনকে ফেলে রাখতে হয় দায়িত্বহীনের মত।'

একাধিক বিয়ে চালু থাকলেই এই ঝুঁকে পড়া বা না পড়ার প্রশ্ন আসছে। একাধিক বিয়ে বাতিল হয়ে গেলে এই ঝুঁকে পড়া বা আরেকজনকে দায়িত্বহীনের মত ফেলে রাখার প্রশ্ন আসে না। তাই এই আয়াত দিয়ে একাধিক বিয়ে বাতিল হয়ে গেছে এই ধারণা ভুল।

আরবে ঐ যুগে অনেকে আগের স্ত্রীর মহরানা না দিয়ে তাকে তালাক দিয়ে ঐ অর্থে আরেকজনকে বিয়ে করতো। এই কারণে সুরা নিসার ২০ নং আয়াত নাজিল হয়েছে যেন এই অপরাধমুলক কাজ কেউ না করে।

সারাংশ হোল শর্ত সাপেক্ষে একাধিক বিয়ে ইসলামে অনুমোদিত। বহু সংখ্যক সাহাবার একাধিক স্ত্রী ছিল। আপনি কোন তফসির বা ফতোয়া দেখাতে পারবেন না যেখানে সুরা নিসার ৩ নং আয়াতকে অন্যভাবে ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে যে তোমরা ইয়াতিমদের মধ্যে থেকে ২ , ৩ অথবা ৪ টি বিয়ে কর।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৩৭

রসায়ন বলেছেন: সূরা নিসা [৪:৩] এর খন্ডিতাংশ দিয়ে বহুবিবাহ জায়েজ করা হয়েছে যা পোস্টে উল্লেখ করেছি, অথচ সেখানে এমন কোন কথাই নাই।

এনিওয়ে, [৪:৩] এ দেখুন প্রথমে আল্লাহ এতিম শব্দটি প্রয়োগ করেছেন যা ছেলে ও মেয়ে উভয় প্রকার এতিমদের কথা বুঝায়। এখানে এতিমের পরে নিসা শব্দটি এতিমদের মধ্যে নারী এতিমদের বুঝিয়েছে।

ঠিক এজন্যই [৪:১২৭] এসে আল্লাহ বলেছেন তোমাদেরকে এতিম নারীদের বিষয়ে শোনানো হয়েছেই, তো সেটা কোথায় শুনিয়েছে ? সেটা [৪:৩-৪] এই।

আরো ভালো করে খেয়াল করেন,

মাসনা, সুলাসা, রুবায়া মানে ২, ৩, ৪ না। সাদাকাতিহুন্না মানেও মোহরানা নয়।

এতিমদের নিরাপত্তা ও দেখভালের আয়াতসমূহ ভুল অনুবাদ ও অপব্যাখ্যা করে বহুবিবাহ কোরআনে আছে এসব মিথ্যার দিন শেষ।

১৬| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:২১

এভো বলেছেন: বিটপি কমেন্ট নং ১৪ ---
আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীগণের নিকট দিনের বা রাতের কোন এক সময়ে পর্যায়ক্রমে মিলিত হতেন। তাঁরা ছিলেন এগারজন। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আনাস (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি কি এত শক্তি রাখতেন? তিনি বললেন, আমরা পরস্পর বলাবলি করতাম যে, তাঁকে ত্রিশজনের শক্তি দেয়া হয়েছে। সা‘ঈদ (রহ.) ক্বাতাদাহ (রহ.) হতে বর্ণনা করেন, আনাস (রাযি.) তাঁদের নিকট হাদীস বর্ণনা প্রসঙ্গে (এগারজনের স্থলে) নয়জন স্ত্রীর কথা বলেছেন। (২৮৪, ৫০৬৮, ৫২১৫ দ্রষ্টব্য) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬৬)

BUKHARI HADITH: Volume 1, Book 5, Number 268:

Narrated Qatada:
Anas bin Malik said, "The Prophet used to visit all his wives in a round, during the day and night and they were eleven in number." I asked Anas, "Had the Prophet the strength for it?" Anas replied, "We used to say that the Prophet was given the strength of thirty (men)." And Sa'id said on the authority of Qatada that Anas had told him about nine wives only (not eleven).

এখন কি বলবেন এই হাদিসটা মিথ্যা বরং আপনি যে লিংক দিলেন সেখানে এই হাদিসটা নিয়ে অনেক টুইস্টিং করা হয়েছে , ধন্যবাদ ।
কেহ যদি হাদিসে প্রমাণীত সত্য কথা বলে সে কি ইসলাম বিদ্বেষি ? নাকি সে সত্যবাদী ?

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৩৯

রসায়ন বলেছেন: হ্যাঁ, এসব হাদীসে অনেক কিছু পাবেন এমন যা নবীর জন্য চরম মানহানীকর, কিন্ত হাদীস এক্কেবারে সহীহ গ্রেডেড !

পারসিক ইঞ্জিনিয়ারদের কোন তুলনা নেই ইসলামের ম্যানিপুলেশনে।

১৭| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১০:৫৩

এ আর ১৫ বলেছেন: সুরা নিসার ৩ নং আয়াত নাজিল হয়েছিল ওহুদের যুদ্ধের পরে , যে যুদ্ধে ৭০ জন সাহাবী শহীদ হন । সুতরাং এই আয়াতে এতিম কণ্যাদের কেই বুঝিয়েছে, এখান সাধারণ নারীদের কথা বলেছে দাবি করা চরম মিথ্যাচার, অপব্যাখা ।
৪ বিবাহ পন্থিরা যে এতই মিথ্যাবাদী এবং তারা হাদিস বিকৃত করনের মাধ্যমে এক বড় অপকর্ম করেছে ।

সাড়ে চুয়াত্তর সাহেবের আবগতির জন্য জানাচ্ছি -- ওনার এই দাবিটা যে কত অবান্তর দাবি দেখুন --
ঐ যুগে অনেকে ইয়াতিমের সম্পদ দেখভাল করত। তারা সম্পদের লোভে ঐ ইয়াতিম মেয়েকে বিয়ে করে ফেলত তাদেরকে ঠকানোর জন্য
এই বাক্যের সাথে ৪-৩ সুরা নাজিল হওয়ার প্রেক্ষাপটের সাথে কোন সম্পর্ক নাই । নবী (সা: ) সাথে যারা হিজরত করেছিলেন তাদের মাঝে কেহ এতিম ছিল না , ছেলে মেয়েরা বাবা মায়ের সাথে চলে আসে। এতিম সন্তান বেড়ে যায় যুদ্ধে সাহাবীদের মৃর্তুর পরে । এই আয়াত সাহাবীদের উদ্দেশ্যে । সাহাবীদের মধ্যে এমন কেহ ছিল না মদিনাতে রিফুজিগত অবস্থায় এতিম মেয়েদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করবে । মুসলিম এতিম মেয়েদের সম্পত্তি ঐ সকল সাহাবী কি করে দখল করবে ?
রিফুজি সাহাবীদের মদিনাতে কোন সম্পত্তি ছিল না । মক্কাতে সম্পত্তি থেকে থাকলে , সেগুলো কোন সাহাবী মদিনাতে বসে দখল কোরবে ?
এই দেখুন চার বিবাহ পন্থিরা কি ভাবে হাদিসের অপব্যাখা করে ৪ বিবাহ জায়েজ করেছে ।
সম্পদহীন সাহাবীদের মৃর্তুর কারনে তার সন্তানরা মদিনাতে এতিম হয়েছে, এনাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে জীবিত সাহাবীরা ঐ সম্পদহীন এতিম কন্যাদের সম্পদ দখল করা পায়তারা শুরু করেছিল তখন । এমন গাজাখোরি কাহিণীর আশ্রয় নিয়েছে , ৪ বিবাহবাজরা ।
বুঝতেই পারছেন কত বড় মিথ্যাবাদী ৪ বিবাহ পন্থিরা ।
৪ বিবাহ পন্থিরা এতিমকে এতিম বলে না --- ওনাদের শব্দ হোল ইয়াতিম :) :) :)
যারা ইয়াতিম লিখে -- বুঝবেন --- এনারা ৪ বিয়ে পন্থি :) :) :)

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২১

রসায়ন বলেছেন: জ্বি ভাই। এরা বিভিন্ন প্রকার গোঁজামিল দেয়।

মাসনা সুলাসা রুবায়া মানে ২, ৩, ৪ বুঝায় এটা তারা জিন্দেগীভর চেষ্টা করলেও প্রমাণ করতে পারবে না।

সাদাকা কেমনে মোহরানা হয় এটাও এরা বুঝার চেষ্টা করবে না, মোহরানার স্পেসিফিক আরবি "উজুর" থাকতে

নারী এতিমদের বিধান ৪:৩-৪ এ আছে এবং পুরুষ এতিমদের ২:২২০ এ। এগুলোও তারা খেয়াল করবে না।


অনেকটা গায়ের জোরে ৪ বিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা !

১৮| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২৬

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পুরুষরা একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি বউ রাখতে পারবে। এদের মধ্যে থেকে কেউ মারা গেলে কোটা পূরণ করতে পারবে। কেউ কেউ আবার এক বিয়ে করারও যোগ্যতা রাখেনা। মালয়েশিয়ায় পুরুষের তিন গুণ নারী। তারা কি করবে? তারা ধনী রাষ্ট্র। ইসলামে কুরআন হাদীস ইজমা কিয়াসও আছে । এসবের চর্চাও অনেক আগে থেকে। ইসলামের ইতিহাস গ্রীক পুরাণ ভাববেন না। ইসলাম আধুনিক ধর্ম। এর ইতিহাস মানত্র চৌদ্দ পনের শত বৎসরের। মওদুদী তত্ত্ব সঠিক পথের সন্ধান দেয় না। সহিহ হাদীস খুজে হাদীসের আলোকে কুরআনের ব্যখ্যা দিতে হয়। রসুল সাঃ ছিলেন জীবন্ত কুরআন। আপনি পুরো কুরআন ঘেটে দিনে কত রাকাত নামায ফরয আশা করি খুজে বের করে দিবেন। জানি পারবেন না। দুই সহোদর একসাথে বিবাহ করা যায় না। বহু বিবাহ মুসলমান সচরাচর করে না। বহু বিবাহ ধর্মীয় রীতি মেনে অন্যায় নয়। হাদীসের বাইরে আপনার সকল ব্যাখ্যা পরিত্যাজ্য । হাদীসের অবমাননা করা হলো ইসলামের অবমাননা। ইসলাম মানে আত্ন সমর্পন। ইসলাম শান্তির ধর্ম মানবতার ধর্ম মনগড়া কিছু নয়।

অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে কিছু কথা বলার সুযোগ করে দেয়া র জন্য । শুভকামনা নিরন্তর ।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৩৫

রসায়ন বলেছেন: কোরআনের কথা কোরআন দিয়ে ডিফেন্ড করেন। আপনার কি মনে হয় বা নাহয় তা দিয়ে তো কোরআনের বিধান বদলানো যাবে না। মালয়েশিয়ার কি আর হবে, কোরআনের বিধান বদলে দিতে হবে মালয়েশিয়ার জন্য ? আর একদেশের লোক আরেকদেশের নাগরিকদের বিয়ে করতে পারবে না এমন বিধানও তো নাই। কাজেই মালয়েশিয়ার নিজেদের রাষ্ট্রীয় আইনের কারণে ঝামেলায় পড়লে সেটা কোরআনের বিধানের দোষ না।

মওদূদী তত্ব কেন, কোন তত্বই সঠিক পথ দিতে পারবে না। ইসলামের জন্য একমাত্র অনুমোদিত সঠিক পথদাতা হলো কোরআন, [২:২], [৬:১৯]

পুরো কোরআন ঘেঁটে নামাজের কথা একবারও পাবো না, কারণ নামাজ শব্দটাই পার্সিয়ান অগ্নিউপাসক জোরাস্ট্রিয়ানদের। যদি সালাত বুঝিয়ে থাকেন তো আপনার প্রতি পাল্টা চ্যালেঞ্জ, পুরো সিহাহ সিত্তাহ ঘেঁটেও আপনি এর পূর্ণাঙ্গ স্ট্রাকচার বের করতে পারবেন না। পারলে দেখিয়ে দিয়ে যেয়েন, অপেক্ষায় থাকবো।

এনিওয়ে, এক পোস্টে আরেক জিনিসের অবতারণা করা পোস্টের মূল আলোচ্য বিষয় থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। এ বিষয়ে আমি আর কোন মন্তব্য করবো না। পোস্ট সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোরআনের থেকে রেফারেন্স দিয়ে কথা বললে ভালো হবে।

ধন্যবাদ।

১৯| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:২৮

সাসুম বলেছেন: অপু তানভীর বলেছেন: মুসলিম পুরুষ সব মেনে নিবে কিন্তু চার বিয়ার বিধান ছাড়া তারা কিছুই টিকে থাকতে পারবে না । চারটে বিয়ে করতে পারুক কিংবা না পারুক, একটা নিয়ম আছে, এইটা জেনেও অনেকে সুখ লাভ করে ।

এটাই আসল জিনিষ, পারুক আর না পারুক- আছে ৪ টা বউ আইনা বিয়া করার নিয়ম। এতেই ৪ বিয়া লাভার দের দাড়িয়ে যায়-



গায়ের লোম আর কি।


বর্তমান সময়ে চারটা বিয়ে করার কথা যারা ভাবে, চারটা করতে ইচ্ছে ইচ্ছে পেষণ করে কিংবা এটা সমর্থন করে তাদের আসলে এমন একটা শব্দ দিয়ে বর্ণনা করতে ইচ্ছে করছে কিন্তু বলতে পারছি না । সামুতে সব শব্দ পরিস্কার ভাবে বলা যায় না ।

এদের এক বাক্যে বলা যায়- নারীলোভী । যাদের জীবন যৌবন আর ফিউচারে আফটারলাইফ এক্টাই উদ্দেশ্য- আন লিমিটেড নারী আর সেক্স সেক্স সেক্স টু দা পাওয়ার ইনফিনিটি

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৩৭

রসায়ন বলেছেন: বাহ, দারুন বলেছেন তো ! ঠিক এটাই, এরা নারীদেরকে সেক্স মেশিন ভাবে।

২০| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৩১

মামহাসান৪৬২ বলেছেন: স্যার, অনেকদিন পর সামুতে আসলাম। আপনার লিখনিটা পড়লাম। আমার কথার উত্তর দেবার দরকার নাই। কারন হ্য়তো আমার সেটা আর দেখা হবে না। আমার কথা ভালো লাগলে ভালো আর ভালো না লাগলে ডাস্টবিনে ছুড়ে ফেলুন। কোরানের সবচেয়ে গ্রহনযোগ্য তাফসির করেছেন আমাদের নবী সাঃ। যেটা আমরা বিভিন্ন সহিহ হাদিস দ্বারা বুঝতে পারবো। পুরো কোরানের প্র্যাকটিকাল এপ্লিকেশন করেছেন উনার নিজের জীবনে । যে তাফসিরের উপর নবী সাঃ নিজে আমল করেছেন, সাহাবারা আমল করেছেন আমাদেরকে সেই তাফসিরটাই গ্রহন করতে হবে। একেক জনের তাফসির একের রকম হবে এটাই স্বাভাবিক। এই জন্যই ইসালমের নামে বিভিন্ন দল উপদল তৈরি হয়েছে যেটা ইসলামে হারাম করা হয়েছে। তাই আমি বলবো আমাদের উচিৎ আমরা কোরান বুঝবো সহিহ হাদিস দ্বারা তার মানে হলো নবী সাঃ নিজে কি করেছেন সাহাবারা কি করেছেন। শুধুমাত্র শাব্দিক অর্থ জেনে কোরানের তাফসির করতে গেলে পদভ্রষ্টতা ছাড়া তার কপালে অন্য কিছুই নেই। একই শব্দের বিভিন্ন অর্থ থাকতে পারে এটাই স্বাভাবিক। আমাদের গ্রহন করা উচিৎ নবী সাঃ সেই শব্দের কি অর্থ করেছেন, সাহাবার কি বুঝেছেন। এর বাইরে অন্য কোনো অর্থ খুজতে গেলে তার কপালে পদভ্রষ্টতা ছাড়া অন্য কিছু নেই।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪৩

রসায়ন বলেছেন: সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য তাফসীর করেছেন স্বয়ং আল্লাহই। কোরআন ব্যাখ্যা সহই নাজিল [ সুরা ইউনুস ১০:৩৭ ], [ সুরা ইউসুফ ১২:১১১ ], [ সুরা ফুরকান ২৫:৩৩ ], [ সুরা আন’য়াম ৬:৯৮ ], [ সুরা আন’য়াম ৬:১২৬ ], [ সুরা আন’য়াম ৬:১১৪-১৬ ], [ সুরা নাহল ১৬:৮৯ ].............। এর কোন ব্যাখ্যার দরকার নাই। রাসূলের দায়িত্ব ছিলো কোরআন প্রচার করা। সহীহ হাদীস যা পাচ্ছেন তা মুয়াবিয়া, ইয়াজিদ, উমাইয়া প্রমুখ ক্ষমতালোভী সন্ত্রাসীদের হাত হয়ে এসেছে। কাজেই এসবকে যা পেলাম তাই নেয়ার সুযোগ নাই। কোরআন হলো ফুরকান বা সত্যমিথ্যার পার্থক্যকারী। কোরআন পড়ে আপনি বাকি জিনিস যাচাই করবেন। কোরআনকে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে যাচাই করতে যাওয়াটা হবে বোকামি ও গর্হিত কাজ।

২১| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৩৮

বিটপি বলেছেন: ১৪ নং প্রতিমন্তব্যে আপনি দাবি করেছেন, কুরআনে কোন বহুবিবাহ নেই। তাহলে সূরা নিসার ৩ নম্বর আয়াতে কিসের কথা বলা হয়েছে? যদি কেবল ইয়াতিম মেয়েদের ক্ষেত্রেও এই আয়াত প্রযোজ্য হয়, তবে তাও তো বহু বিবাহই, নাকি?

১৬ নং কমেন্টে যে হাদীস বর্ণনা করা হল, তাঁর প্রথম অংশ হাদীসে ফিলী হিসেবে গন্য করা যায়। রাসূল (স) যা করতেন, তা যদি অন্য কেউ বর্ণনা করে, তবে তাকে হাদীসে ফিলী বলা হয়। কিন্তু "আমরা পরষ্পর বলাবলি করতাম" - এই অংশটি কি হাদীসের পর্যায়ে পড়ে? হাদীসের কোন সংজ্ঞায়ই এটি কোয়ালিফাই করেনা। দিনে অথবা (এবং নয়) রাতে রাসূল (স) পর্যায়ক্রমে তাঁর স্ত্রীগণের সাথে মিলিত হতেই পারেন, কিন্তু তার জন্য তো ৩০ জন পুরুষের সমান শক্তির প্রয়োজন হয়না। দিনে রাতে আমরা সাধারণ মানুষও একাধিকবার যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হই - এটি একেবারেই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার।

রাসূল (স) এর যদি সত্যিই ৩০ জন পুরুষের মত শক্তি থাকত, তাহলে ওহুদ যুদ্ধে তাঁর শিরস্ত্রাণের পেরেক কপালের মধ্যে ঢুকে যেতনা, দাঁত ভেঙ্গে যেতনা। তাই তাঁর শরীরে ৩০ জন পুরুষের মত শক্তি থাকার ব্যাপারটা গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। '

এবার কিছু ছাগুর আগমন ঘটবে, যারা এই বলে ল্যাদাবে যে রাসূলের (স) ৩০ জন পুরুষের মত শক্তি কেবল নারী গমনের কাজে লাগত, যুদ্ধবিদ্যায় তা তেমন কাজে দিতনা - সেই সময় তিনি সাধারণ পুরুষের মতই একজন পুরুষ। ম্যাতকারের সময় আমি কান বন্ধ করে থাকি - কোন জবাব দেইনা।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪৮

রসায়ন বলেছেন: কোরআনের ব্যাপারে এর নির্ভুলতার গ্যারান্টার স্বয়ং আল্লাহ। কিন্তু প্রচলিত হাদীস তা না, এগুলো সংগৃহীত, সংকলিত, তৈরি করা যা কিনা সত্য-মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত, বানোয়াট, মনগড়া, সঠিক, ভালো-মন্দ যেকোন কিছুই হতে পারে।

২২| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪০

সাসুম বলেছেন: @লেখকঃ পার্সিয়ান জোরাস্ট্রিয়ান রা অগ্নি উপাসক ছিলেন না যদ্দুর জানি, তারা আহুরা মাজদা নামক এক খোদায়ী স্রষ্টাতে বিলিভ করত। তবে মুসলিম যা যেমন কাবা মূখী হয়ে নামাজ পড়ে, তারা সূর্য, আগুন বা কোন আলোক উৎসের দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করত। তাদেরকে অগ্নি উপাসক বলা টা মে বি সঠিক ভাবে তাদের কে প্রকাশ করে না ।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪৯

রসায়ন বলেছেন: জ্বি ঠিক বলেছেন। তবে তারা আগুনকে সামনে রেখে তাদের ধর্মকর্ম করে। আগুন তাদের খোদা আহুরা মাজদার আলো বলে তারা বিশ্বাস করে।

২৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৪৮

রানার ব্লগ বলেছেন:



তার অর্থ আপনি বলতে চাচ্ছেন

ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ
উমামা বিনতে জয়নব
উম্মুল বনিন
লায়লা বিনতে মাসঊদ
আসমা বিনতে উমাইস
খাওলা বিনতে জাফর
আস-সাহবা বিনতে রাবিয়া

এনারা আলীর স্ত্রী নন ?

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ১১:৫২

রসায়ন বলেছেন: এগুলো কেবলই ইতিহাস, যা সত্যি মিথ্যা উদ্দেশ প্রণোদিত যেকোন কিছু হতে পারে। হযরত আলী রা. কে নিয়ে কেয়ামতের সময়ে আমাকে কোন প্রশ্ন করা হবে না, কাজেই ইতিহাসে ওনাকে নিয়ে কি বর্ণনা আছে তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছিনা। আমি মুসলিম হিসেবে কোরআন মেনে চলতে আদ্দিষ্ট, সেটাই করার চেষ্টা করছি।

২৪| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১০

সাসুম বলেছেন: লেখক বলেছেন: জ্বি ঠিক বলেছেন। তবে তারা আগুনকে সামনে রেখে তাদের ধর্মকর্ম করে। আগুন তাদের খোদা আহুরা মাজদার আলো বলে তারা বিশ্বাস করে।

আসলে আগুন কে সামনে রেখে না, যেকোন আলোর উৎস কে তারা পবিত্র মনে করত এবং আলোর উৎসের সামনে দাড়িয়ে তাদের প্রার্থনা করত।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৩৯

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ তথ্যটি শেয়ার করার জন্য।

২৫| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনারা নিসা শব্দের ভিন্ন অর্থ করছেন। নিসা আর এতিম মেয়ে এক জিনিস না। কোরআনে কোথাও নিসা বলতে এতিম মেয়েকে বুঝায় নাই। সুরা নিসার ১২৭ নং আয়াতে 'ইয়াতামান নিসাই' বলা হয়েছে যখন এটা দ্বারা এতিম মেয়ে বুঝানো হয়েছে। ৩ নং আয়াতে একই বাক্যে এতিম মেয়ের জন্য একবার ইয়াতামা আরেকবার নিসা শব্দ ব্যবহৃত হতে পারে না। ৩ নং আয়াতে ইয়াতিম মেয়ে এবং নারী উভয়ের ব্যাপারেই বলা আছে। আপনি যা বলছেন তার সমর্থনে একটা প্রসিদ্ধ তফিসিরও দেখাতে পারবেন না। আপনি সারা বিশ্বের আলেমদেরকে চ্যালেঞ্জ করছেন।

সূরা আন নিসার ১২৯ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন-

وَلَنْ تَسْتَطِيعُوا أَنْ تَعْدِلُوا بَيْنَ النِّسَاءِ وَلَوْ حَرَصْتُمْ فَلَا تَمِيلُوا كُلَّ الْمَيْلِ فَتَذَرُوهَا كَالْمُعَلَّقَةِ وَإِنْ تُصْلِحُوا وَتَتَّقُوا فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَحِيمًا (129)

"তোমরা কখনও নারীদের মাঝে ন্যায় সঙ্গত ও সমতাপূর্ণ আচরণ করতে পারবে না। অতএব,সাধ্যমতো চেষ্টা করো যাতে একবারে একদিকে ঝুঁকে না পড়ো, যাতে আরেকজনকে ফেলে রাখতে হয় দায়িত্বহীনের মতো। জেনে রেখো, যদি সংশোধনের পথ এবং খোদাভীরুতার পথ অবলম্বন করো, তবে আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, করুণাময়।"(৪:১২৯)

এই আয়াতের দ্বিতীয় বাক্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে একাধিক বিবাহ অনুমোদিত। কারণ এখানে বলা হয়েছে যে ' অতএব, সাধ্যমত চেষ্টা কর যাতে একবারে একদিকে ঝুঁকে না পড়ো, যাতে আরেকজনকে ফেলে রাখতে হয় দায়িত্বহীনের মত।'

একাধিক বিয়ে চালু থাকলেই এই ঝুঁকে পড়া বা না পড়ার প্রশ্ন আসছে। একাধিক বিয়ে বাতিল হয়ে গেলে এই ঝুঁকে পড়া বা আরেকজনকে দায়িত্বহীনের মত ফেলে রাখার প্রশ্ন আসে না। তাই এই আয়াত দিয়ে একাধিক বিয়ে বাতিল হয়ে গেছে এই ধারণা ভুল।

আপনার কথা অনুযায়ী অনেক সাহাবার সন্তানর ছিল জারজ। কারণ তারা ইসলামের নিয়ম ভেঙ্গে বিয়ে করেছে।

সুলাসা মানে তিন। আমরা বেতের নামাজের নিয়ত করার সময় বলি সালাসা রাকাতে। আরবিতে তালাতা বা সালাসা মানে তিন। বাক্যে প্রয়োগের সময় এটা অনেক সময় সুলাসা হয়। চারকে আরবিতে আরবা বলে। আমরা পড়ি আরবা রাকাতে সালাতিল। এই আরবা বাক্যে প্রয়োগের সময় কখনও কখনও রুবায়া হয়ে যায়। মাসনা মানে dual অর্থাৎ দুই। এগুলি নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। আপনার কথা অনুযায়ী শুধু এতিমদেরকে বিয়ের ক্ষেত্রে ৪ টি পর্যন্ত বিয়ের কথা বলা হয়েছে। তারমানে আপনিও স্বীকার করছেন যে একাধিক বিয়ে অনুমোদিত। কোরআনে এতিমকে সব সময়েই ইয়াতিম বলা হয়েছে এবং নারী বুঝাতে নিসা বুঝানো হয়েছে। সুরা নিসা সুরাটাই নারীদের নিয়ে। এই কারণে সুরার নাম নিসা। এই সুরায় এতিমের চেয়ে নারীদের কথা বেশী বলা আছে।

'ইমাম বুখারি রহ. দ্বারা সংকলিত বুখারী শরীফে হাদিসে সুরা নিসা এর ৩ নং আয়াতটিকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
যুহরী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘উরওয়াহ (রহ.) আমাকে অবহিত করেছেন যে, তিনি ‘আয়িশাহ -কে আল্লাহর এ বাণী সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলেনঃ ‘‘যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, ইয়াতীমদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে নারীদের মধ্য হতে নিজেদের পছন্দমত দুই-দুই, তিন-তিন ও চার-চার জনকে বিয়ে কর, কিন্তু যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, তোমরা সুবিচার করতে পারবে না, তাহলে একজনকে কিংবা তোমাদের অধীনস্থ দাসীকে; এটাই হবে অবিচার না করার কাছাকাছি।’’(সূরাহঃ আন-নিসাঃ ৩) হযরত আয়িশাহ বলেন, হে ভাগ্নে! এক ইয়াতীম বালিকা এমন একজন অভিভাবকের তত্ত্বাবধানে ছিল, যে তার সম্পদ ও রূপের প্রতি আকৃষ্ট ছিল। সে তাকে যথোচিতের চেয়ে কম মাহর দিয়ে বিয়েকরার ইচ্ছা করে। তখন লোকদেরকে নিষেধ করা হলো ঐসব ইয়াতীমদের বিয়ে করার ব্যাপারে। তবে যদি তারা সুবিচার করে ও পূর্ণ মাহর আদায় করে (তাহলে বিয়ে করতে পারবে)। (অন্যথায়) তাদের বাদ দিয়ে অন্য নারীদের বিয়ে করার আদেশ করা হলো।

— ইমাম বুখারী কর্তৃক সংগৃহীত, পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন/গ্রন্থঃ সহীহ বুখারী (তাওহীদ)/অধ্যায়ঃ ৬৭/বিয়ে (كتاب النكاح), হাদিস নং ৫০৬৪'

১০ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫০

রসায়ন বলেছেন: সূরা নিসার ৩ নং আয়াতে কি বলা আছে তা উপরে কয়েকবার বলেছি। কোরআনে এতিম নারীদের বিধান ৪:৩ এ এবং এতিম পুরুষদের বিধান ২:২২০ এ দেয়া হয়েছে। কাজেই সারা দুনিয়ার তাফসীরকারক কেন, কাবার ইমাম বললেও লাভ নাই কারণ তারা প্রচলিত হাদীস তাফসীর ইতিহাস দিয়ে প্রভাবিত হয়ে অনুবাদ করেছে কোরআনের। যেমন সারা দুনিয়ার অধিকাংশ তাফসীরকারক ও অনুবাদকরা মা মালাকাত আইমানুকুম এর অনুবাদ করেছে দাসী বা দাসী সমগোত্রীয় কিছু। কোরআনকে বুঝতে হবে কোরআন দিয়েই, কোরআনই কোরআনের তাফসীর। আল্লাহ আহসানা তাফসীর বা সর্বোত্তম তাফসীর সহ কোরআন নাজিল করেছেন। [২৫:৩৩] পড়ুন।

মাসনা সুলাসা রুবায়া মানে ২, ৩, ৪ না, আমি তো কোরআন থেকে প্রমাণ দিয়েছি, আপনি দিচ্ছেন মনগড়া যুক্তি। আল্লাহ যদি ২, ৩, ৪ বুঝাতো তাহলে এখানে এদের সরাসরি আরবি ইসনা, সালাসা, আরবাই বলতেন।

কোরআন নিয়ে অনেক ইঞ্জিনিয়ারিং করেছে পার্সিয়ানরা, সাদাকা হয়ে গেছে মোহরানা, মাসনা..হয়ে গেছে ২,৩,৪

আর ৪:১২৯-৩০ একসাথে পড়েন। আবার পড়েন। কোরআন একবিয়ের কথা বলেছে। ১৩০ নং আয়াতে কি বলেছে আল্লাহ ?

এছাড়া আল্লাহ কোন মানুষের ভিতরে ২ টি হৃদয় দেননি, আর কতো প্রমাণ চান !

বুখারীর বইতে কি লিখা আছে সেটা বুখারীই জানে, আমি কোরআনের কথা বলছি।

২৬| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪

ঈশ্বরকণা বলেছেন: রসায়ন,
আপনিতো দেখি মহা কনফিউশন ক্রিয়েট করে ফেলেছেন সূরা নিসার ৩ নাম্বার আয়াতটা ব্যাখ্যা করতে যেয়ে । আপনার মূল বক্তব্যটা ঠিক আছে ইসলাম চার বিয়েতে ব্ল্যান্ক চেক দেয় নি কখনোই । কিন্তু সেটা বলতে যেয়ে রাসূলের (সাঃ) ভূমিকাটাই অবমূল্যায়ন করে ফেলেছেন। কুরআন সহজ করেই নাজিল হয়েছে । কিন্তু রাসূলের (সাঃ) সাহাবীরাতো সবাই অনেক শিক্ষিত ছিলেন না। কুরআনের অনেক আয়াতই তাদের জন্য সহজ ছিল না । শুধু ক্বিরাত শুনেই অনেক সময় ঠিকমতো তারা সেগুলোর সঠিক অর্থ পুরোপুরি বুঝতে পারতেন না আর আমলও করতে পারতেন না । তারা সেগুলোর অর্থ রাসূলকে (সাঃ)জিজ্ঞেসও করতেন । সূরা জুমুয়ায় আল্লাহ বলেছেন "তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল (সাঃ)প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং 'শিক্ষা দেন' কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত" (It is He who raised a messenger, among the people who had no Scripture, to recite His revelations to them, to make them grow spiritually and 'teach them' the Scripture and wisdom––before that they were clearly astray--)। ইংরেজিটা কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি থেকে পাবলিশড আব্দুল হালেমের অনুবাদ ।এখন দেখুন কুরআনের একই বাক্যে 'recite' আর 'teach' কথাটা ব্যবহার করা হয়েছে। যদি শুধু " recite" করা থেকেই কুরআন সবার জন্য যথেষ্ট হতো তাহলেতো আর 'শিক্ষা দানের' প্রশ্নটা আসতো না ।আর শিক্ষা দান করাটা সব সময়ই রিসাইটেশনের চেয়ে অনেক বেশি ব্যাপক অর্থ বহন করে। শিক্ষা দেন অবশ্যই ব্যাখ্যা বিশ্লেষণকে অন্তর্ভুক্ত করে তাই না ? তাই রাসূল কুরআনের ব্যাখ্যাকারী ছিলেন সেটাই সঠিক । এই কথার সাথে আপনি যে রেফারেন্স দিয়েছেন ১০:৩৭, ১২:১১১ বা অন্য আয়াতগুলো সেগুলো কোনোভাবেই সাংঘর্ষিক না কিন্তু । শেষে একটা কথা বলি ।আইনস্টাইন যখন ১৯০৫ সালে "On the Electrodynamics of Moving Bodies" আর্টিকালটাতে স্পেস টাইম স্ট্রাকচার ব্যাখ্যা করলেন বেশিরভাগ সাইন্টিস্টই সেটা বুঝতে পারেন নি। বিষয়টা তাকে অনেকবারই ব্যাখ্যা করতে হয়েছিল সবাইকে সহজ করে বোঝাতে। মূল সোর্স ব্যাখ্যা করলেই যে সবাই সেটা সেভাবেই বুঝবে সেটা না আসলে । সে জন্যই শিক্ষকের দরকার । কুরআন সহজ করেই নাজিল হয়েছে সেখানে আল্লাহ অনেক কিছুই আগের জাতিগুলোর ধ্বংসের কাহিনী বলে ব্যাখ্যা করেছেন কিন্তু তবুও রাসূলের (সাঃ) কাজছিলো সাহাবীদের কাছে যেগুলো সহজবোধ্য না সেই সব আয়াত ব্যাখ্যা করা, বুঝিয়ে দেয়া প্রয়োজনে নিজে অনুশীলন করে দেখিয়ে দেয়া। এভাবে (আপনি যেভাবে করতে চাইলেন এই লেখায়) ব্যাকরণগত যুক্তি দিয়ে হয়তো ৪:৩ আয়াতের সমস্যা সমাধান করতে পারবেন কিন্তু অনেক আয়াতের আপাতঃ সমস্যা কিন্তু সমাধান করতে পারবেন না । তাই শুধু শাব্দিক ভাবে কুরআন অনুবাদ করলে সব সময় সঠিক হবে না । আয়াত নাজিল হবার কনটেক্সট, রাসূলের (সাঃ) হাদিস, উদাহরণ এগুলোও বিবেচনায় রাখতে হবে। ৪:৩ আয়াতের কনটেক্সটা তাই বোঝা জরুরি । সেখানে চার বিয়ের ব্যাপারে ব্ল্যান্ক চেক দেয়া হয়নি । সেটা এক্সট্রিম সামাজিক বিবেচনাতেই শুধু সীমিত ভাবে দেয়া হয়েছিল কিছু কঠিন শর্তসহ। সেই সামাজিক বিবেচনা, শর্ত এখনো প্রযোজ্য ।এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইসলামিক স্কলাররা যা বলেছেন সেটা ইগনোর করে নতুন কিছু বলার সুযোগ কিন্তু খুবই কম ।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩২

রসায়ন বলেছেন: রাসূলের ভূমিকার অবমূল্যায়ন করিনি, রাসূলের নাম দিয়ে যাচ্ছে তাই চালিয়ে দিয়ে কোরআনের অপব্যাখ্যার কথা বলেছি। যেমন আপনি মন্তব্যে যে আয়াতটা দিয়েছেন তাতে আছে "উম্মী" যার অনুবাদ করা হয়েছে নিরক্ষর !! এর সাথেও আমি একমত নই। উম্মী মানে নিরক্ষর না। রাসূল কিতাব থেকেই হিকমত শিক্ষা দেন কেননা কোরআনই হলো কুরআনিল হাকিম/হিকমতপূর্ণ কোরআন [৩৬:১-২]।

রাসূল কোরআন দিয়েই উপদেশ দিতেন

তারা যা বলে, তা আমি সম্যক অবগত আছি। আপনি তাদের উপর জোরজবরকারী নন। অতএব, যে আমার শাস্তিকে ভয় করে, তাকে কোরআনের মাধ্যমে উপদেশ দান করুন। [সুরা ক্বাফ - ৫০:৪৫]

আর আগেও বিভিন্ন কমেন্টে বলেছি, হাদীস তাফসীর এগুলো এসেছে ক্ষমতালোভী মুয়াবিয়া, এজিদ, উমাইয়া, বিভিন্ন পার্সিয়ানদের হাত ধরে। কাজেই এগুলোকে যেমন পেলেন তেমনই নেয়ার সুযোগ নাই। কোরআন তার ব্যাখ্যার জন্য উজবেকিস্তানের কোন গোষ্ঠীর সংগৃহীত কথামালার উপরে নির্ভলশীল না। কোরআনই কোরআনের ব্যাখ্যা। প্রচলিত কিচ্ছাকাহিনী , ইতিহাস, বিভিন্ন রেওয়াত আমি কোরআনের মানদন্ডে দেখি, কোরআনকে সেগুলো দিয়ে বিচার করি না।

সালাম।

২৭| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:৫৫

محمد فسيح الاسلام বলেছেন:

মিথ্যা বলা মহাপাপ। মিথ্যা বোঝানোও একটি পাপ।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৩৩

রসায়ন বলেছেন: হ্যাঁ। সেজন্যই মিথ্যাটাকে আল্লাহর নাজিলকৃত নূরের আলোতে দেখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি।

২৮| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি সহি হাদিসকে অবজ্ঞা করেন বোঝা যায়, কারণ আপনি বলছেন যে বুখারিতে কি লেখা আছে সেটা বুখারিই জানে। এটা ইমাম বুখারি সম্পর্কে এক ধরণের বেয়াদবি পূর্ণ আচরণ। আপনি মনে হয় শুধু কোরআন মানেন, হাদিস মানেন না। এটাই আপনার সমস্যা। আপনি ঢালাওভাবে হাদিস অস্বীকার করতে পারেন না। কোন হাদিস সম্পর্কে প্রশ্ন আসতে পারে। কিন্তু সেটার জবাব সাধারণ মানুষের দেয়ার কথা না। যারা হাদিস বিশেসজ্ঞ তাদের দেয়ার কথা। কোন সাধারণ মানুষের একটা সহি হাদিসকে জাল বলার সুযোগ নাই। কারণ হাদিস শাস্ত্র একটি বিশেষায়িত শাস্ত্র। এটার জন্য আরবি ভাষা জানাও জরুরী। হাদিস ছাড়া ইসলামের অনেক কিছুর ব্যাখ্যা জানতে পারবেন না। যারা তফসির করেন তারাও হাদিসের সাহায্য নিয়ে তফসির করে থাকেন। কোরআন পড়লেই সব সহজেই বুঝে যাবেন এমন যদি হতো তাহলে হাজার পৃষ্ঠার তফসির হতো না। এত ফতোয়া দেয়ার প্রয়োজন হতো না। মানুষ নিজে নিজে কোরআন থেকে আমল করতো।

ইসলামে আলেমদের মধ্যে বহু বিবাহ নিয়ে কোন মত বিরোধ নেই। এমন কি শিয়ারাও বহুবিবাহের পক্ষে বলেছে। তবে বহুবিবাহের জন্য কিছু শর্ত আছে।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১২

রসায়ন বলেছেন: হ্যাঁ ভাই, বুখারীর বইতে কি লিখা না লিখা সেটা বুখারিই জানে ভালো, অবশ্য জানতে নাও পারে কেননা,

সবচেয়ে বড় কথা, বুখারী শরীফের কথা মহানবীর কথা নয়।

মহানবীর মৃত্যুর পর বুখারী ৬ লক্ষ হাদিস সংগ্রহ করে। তিনি কি সে হাদিস লিখে রাখলেন? উত্তর না।
বয়োবৃদ্ধ বুখারীর মৃত্যুর ২ বছর আগে তার ১৭ বছর বয়সী ছাত্র ফিরাবরি (রঃ) কে ৬ হাদিস বর্ণনা করে যান। ফিরাবরি কি বুখারীর হাদিস লিখে রেখেছেন? উত্তর না।

৮৪ বছর বয়সে ফিরাবরি মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুর চার বছর আগে তার ১৬ বছর বয়সী ছাত্র মারওয়াজি কে ৬ লক্ষ হাদিস বর্ণনা করেন। মারওয়াজি কি ৬ লক্ষ হাদিস লিপিবদ্ধ করেছেন? উত্তর না।

মারওয়াজি মৃত্যুর আগে তার ছাত্র আসসিলি (রঃ) কে হাদিস গুলো বলে যান। বুখারীর প্রথম পাণ্ডুলিপি লেখেছে আসসিলি (রঃ)। বুখারীর লেখা কোন পাণ্ডুলিপি বা ম্যানুস্ক্রিপ্ট নাই। যদিও বুখারীর আগেও অনেকের পাণ্ডুলিপি ইসলামি জাদুঘর গুলো তে আছে।

এখন অনেকে বলবে ফিরাবরি মারওয়াজিরা অনেক মেধাবী ছিল। তাদের কে বলে রাখি, ফিরাবরি মারওয়াজির বিবরণ কোথাও নাই।

এ হচ্ছে হাদিসের সার্কাস।

বাংলাদেশে যে বুখারী পড়েন সেটা এর ১৮টা ভার্সনের একটা মাত্র !

সালাম।

২৯| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২৯

এ আর ১৫ বলেছেন: এখানে কয়েকজন চিহ্নিত চার বিবাহবাজ একই যুক্তি নিয়ে কপি পেষ্ট করে চলেছে, ঐ কু যুক্তি গুলোর উত্তর আমার পোস্টে দেওয়া হয়েছে কিন্তু এনারা আবার একই কাহিণী নিয়ে হাজির হয়েছে । বিশেষ পরিস্থিতির জন্য ৪টা এতিম মেয়ে বিয়ে করার নির্দেশ এসেছিল ।

আয়াত নাজিলের প্রেক্ষাপট বিবেচনা কোরলে ৪--৩ আয়াতে এতিম নারীদের বোঝানো হয়েছে । চার বিয়ে বাজরা অনৈতিকভাবে সুরা নিসার আয়াত ৩ এর প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করছে । ৪--১২৯ আয়াত নাজিল হওয়ার সাথে সাথে এই ৪ বিবাহের আদেশ রহিত হয়ে যায় ,, এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে নীচের লিংকে

এবার বিশেষ পরিস্থিতিটা কি সেটার একটু ব্যাখা করি


১৯৭১ সালে ৩০ লক্ষ মানুষ শহীদ হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীণতা যুদ্ধে এবং লক্ষ লক্ষ সন্তান এতিম হয়েছে এবং লক্ষ লক্ষ নারী বিধবা হয়েছে । তাহোলে এদের কি সতিনের সাথে ঘর করতে হয়েছিল ? না ?
কেন ??
১) দেশে লক্ষ লক্ষ অবিবাহিত মুসলমান পুরুষ ছিল, এই সব নারীদের কাহাকে ও সতিনের সাথে ঘর করতে হয় নি ।

২) এতিম এবং বিধবা নারীরা যেমন মুসলমান ছিল,ঠিক তেমনি তাদের আত্মীয় স্বজনরা মুসলমান ছিল , তাই তাদের আত্মিয় স্বজনদের থেকে তারা সাপোর্ট পেয়েছে , আশ্রয় পেয়েছে ।

এবার আসি ১৪০০ বৎসর আগের পরিস্থিতি । মনে করি তখন গোটা দুনিয়ায় মুসলমান ছিল ৭০০ জন নারী পুরুষ বাচ্চা কাচ্চা মিলে । ৩০০ জন আছে সমর্থ পুরুষ । এবার মনে করুন যুদ্ধে ৭০ জন পুরুষ শহীদ হোল , এই ৭০ জন পুরুষের সন্তানরা এতিম হয়ে গেল ।
এখন এতিম দের সাপোর্ট কোথা থেকে আসবে ?
তাদের আত্মীয় স্বজনরা কাফের মুসরিক -- তাই আত্মীয়দের ঘরে তাদের আশ্রয় হবে না ।
এখানে উল্লেখ করতে চাই , যখন রুসল (সা: ) এতিম হয়ে যার তখন তাকে দেখভাল করেন তার চাচা আবু তালেব । তাই তখন মুসলমান এতিম বাচ্চা বা বিধবা নারীরা তাদের কাফের মুসরিক আত্মীয়দের কাছে আশ্রয় পায় নি বা পাবার প্রশ্নই আসে না ।
এতিম এবং বিধবা নারীদের মুসলমান কমোনিটির ভিতরে রাখতে হবে কিন্তু তাদের কোন মুসলামন আত্মীয় নেই সেই সময়ে এবং অবিবাহিত মুসলমান পুরুষ বলতে গেলে ছিল না বা থাকলেও খুব কম ।

তাহোলে এই সব এতিম বিধবাদের পুনর্বাসন করার উপায় .?

তখন একমাত্র উপায় ছিলো তাদের কে অন্য মুসলমানদের সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়া , একজন সর্বোচ্চ ৪ টা । এবার যখন মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধি পেল , তখন চার বিয়ের আদেশ রহিত করা হোল সুরা নিসার ১২৯ নং আয়াতের মাধ্যমে (নীচের লিংকে আলোচনা করা হয়েছে) ।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশে জন সংখ্যা ছিল সাড়ে ৭ কোটি । প্রত্যেক বিধবা বা এতিমের আত্মীয়রা মুসলমান এবং কোটির উপর অবিবাহিত পুরুষ ছিল , সুতরাং পুরুষদের একাধিক বিয়ের প্রয়োজন হয় নি এবং এতিম বিধবারা তাদের মুসলমান আত্মীয়দের কাছে থেকে সেলটার পেয়েছিল অতচ ১৪০০ বৎসর আগে এতিম ও বিধবা নারীরা তাদের কাফের মুসরিক আত্মীয়দের কাছে থেকে কোন সাহায্য পায়নি।
যেহেতু ১৪০০আগে মুসলিম এতিম বা বিধবা নারী পক্ষে তাদের মুসরিক কাফের আত্মীয়দের কাছে ফিরে যাওয়া সম্ভব ছিল না এবং ২০০ জনের বেশি মুসলমান পুরুষ ছিল না তাই ঐ ২০০ জন মুসলমান পুরুষকে এতিম ও বিধবা নারীদের বিয়ে সর্বোচ্চ ৪ টি করার অনুমুতি দেওয়া হয় । মুসলমান জন সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে এই আদেশ রহিত করা হয় । নীচের লিংকে ব্যাখা করা হয়েছে । ধন্যবাদ
Please click here for the link

১০ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫২

রসায়ন বলেছেন: জ্বি ধন্যবাদ। কোরআনে বিয়ে নিয়ে কি বলা হয়েছে, এতিমদের বিধানের কেমন অপব্যবহার হচ্ছে তা পোস্টে উল্লেখ করেছি।

৩০| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:১৮

বিটপি বলেছেন: এ আর ১৫ এর মন্তব্য আমার কাছে খুবই গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। বিবাহ ছাড়া যেহেতু ইয়াতীম মেয়েদেরকে পুনর্বাসিত করার আর কোন উপায় ছিলনা, তাই সেই পরিস্থতিতে বহু বিবাহের জন্য বলা হয়েছিল।

কিন্তু উনার কাছে আমার প্রশ্ন, আপনি রাস্তায় দেখলেন বিপজ্জনক বয়েসের একটা মেয়ে আশ্রয়ের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সে তার আত্মীয়দের কাছে নিরাপদ নয়। এমতাবস্থায় তাকে আশ্রয় দেবার জন্য বিবাহ করা ছাড়া আর কোন উপায়ই কি নেই? আপনি যদি বিবাহিত হন, আপনার বাসায় বৌয়ের এটেনডেন্ট হিসেবে কি তাকে রাখা যায়না?

৩১| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৫৫

এ আর ১৫ বলেছেন: বিটপি বলেছেন --- কিন্তু উনার কাছে আমার প্রশ্ন, আপনি রাস্তায় দেখলেন বিপজ্জনক বয়েসের একটা মেয়ে আশ্রয়ের জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং সে তার আত্মীয়দের কাছে নিরাপদ নয়। এমতাবস্থায় তাকে আশ্রয় দেবার জন্য বিবাহ করা ছাড়া আর কোন উপায়ই কি নেই? আপনি যদি বিবাহিত হন, আপনার বাসায় বৌয়ের এটেনডেন্ট হিসেবে কি তাকে রাখা যায়না?

বর্তমান পরিস্থিতিতে বিয়ে করা একমাত্র সমাধান নহে , তার চাকুরীর ব্যবস্থা করা যায় , তাকে নারীশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করা যায় তাকে অবিবাহিত পুরুষের সাথে বিবাহ দেওয়া যায় । ১৪০০ বৎসর আগে মুসলমান ছিল হাতে গোনা এবংতাদের জন্য অন্য কোন কর্মের ব্যবস্থা ছিল না , তাই স্বল্প সংখ্যক মুসলমানদের একাধিক বিবাহের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল , কিন্তু পরে এটা বাতিল হয়ে যায় সুরা নিসার ১২৯ নং আয়াত নাজিল হওয়ার পর ।
যেহেতু একাধিক বিবাহ বাতিল তাই , কোন বিবাহিত পুরুষ ঐ মহিলাকে বিবাহ করতে পারবে না এবং আমি যেহেতু বিবাহিত তাই আল্লাহ আমাকেও অনুমুতি দেয় নি দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য । ধন্যবাদ

৩২| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৩

আরোগ্য বলেছেন: প্রথমত বলি, যদি পোস্টের বিশ্লেষণ কারো কথা শুনে লিখেছেন তবে যাচাই না করে কিছু প্রচার করা ইসলামের নিষেধ আছে। দ্বিতীয়ত যদি আপনি আরবী ভাষা শিখে পোস্ট লিখে থাকেন তবে বলবো আরো ব্যাকরণ জানতে হবে।
এবার পোস্টের উত্তর দেই। সুরা নিসার ৪ নং আয়াতে نَكَحَ শব্দের (امر)انكِح লিখা হয়েছে যার অর্থ বিয়ে কর ( অনুজ্ঞাবাচক ক্রিয়া) , আর আপনি যেটা বলছেন সেটা হচ্ছে أَنكَحَ শব্দের (امر) أَنكِح যার অর্থ বিয়ে দাও । লক্ষ্য করুন একটা তে হামযা আছে আর একটাতে শুধু আলিফ। এখানে আপনার বুঝতে ভুল হয়েছে।
এরপর আপনি صَدُقَات শব্দের অর্থ করেছেন সাদাকা বা দান, صَدُقَات (সাদুকাত) অর্থ হচ্ছে বিয়ের মোহরানা আর صَدَقَات (সাদাকাত) অর্থ দান।
আবার বলেছেন ৩৩ নং সুরার ৪ নং আয়াতে উল্লেখ আছে আল্লাহ কোন মানুষকে দুটি হৃদয় দেন নি। অথচ প্রকৃত অর্থ হবে আল্লাহ কোন পুরুষের অভ্যন্তরে দুটি হৃদয় তৈরী করেন নি।رَجُل শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে যার অর্থ পুরুষ, এখানে নারী পুরুষ নির্বিশেষে মানুষ শব্দটি বলা হয়নি কারন গর্ভাবস্থায় নারীদের অভ্যন্তরে একের অধিক হৃদয় তৈরী হয়, একটি তার নিজের ও অন্যটি পেটের বাচ্চার।
দয়া করে ভালো মত গবেষণা করে এমন পোস্ট দিবেন। অন্যথায় যাদের আরবি ভাষা সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই তারা বিভ্রান্ত হতে পারে।
কোন হাদিসের উদ্ধৃতি দেইনি নির্ভুল কোরআনের আপনি যে ভুল অর্থ করেছেন তাই কোরআনের ভাষায় বললাম। :)

১০ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:৫৮

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। কোরআন নাজিল হয়েছিলো আজকে থেকে ১৪০০ বছর আগে। কোরআনের ভাষাগত সংস্থান ও শব্দচয়নের নিজস্ব ধরণ আছে। সেজন্য কোরআন গবেষণার ক্ষেত্রে প্যান টেক্সচুয়াল অ্যানালাইসিস বা কোরআন থেকে কোরআনের অর্থ ও ভাষাগত সংস্থান বের করতে হবে।

প্রথম আরবি গ্রামারের কাঠামোবদ্ধ রূপ তৈরি ও বই লিখেন কোরআন নাজিলের প্রায় ২০০ বছর পরে সিবাওয়েহ নামের এক পার্সিয়ান/ইরানিয় ব্যক্তি। সিবাওয়েহদের তৈরি করা গ্রামার আর ক্ল্যাসিক্যাল আরবির সাথে ১৪০০ বছর পূর্বে নাজিলকৃত কোরআন যাচাই করতে গেলে সমস্যা তৈরি হবে।

সিবাওয়েহদের গ্রামার দিয়ে কোরআন যাচাই করতে যেয়ে কোরআন সমালোচকরা কোরআনে অনেক ব্যকরণগত ভুল খুঁজে পাচ্ছে !

ধন্যবাদ।

৩৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:৩১

Akimul বলেছেন: আপনি এতকিছু না করে আসল কাজটা করলে হয়ে যেত। তাফসীর পড়লেই সমাধান হয়ে যেত।

সূরা ৪. আন-নিসা
আয়াত নং ৩

وَ اِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تُقۡسِطُوۡا فِی الۡیَتٰمٰی فَانۡکِحُوۡا مَا طَابَ لَکُمۡ مِّنَ النِّسَآءِ مَثۡنٰی وَ ثُلٰثَ وَ رُبٰعَ ۚ فَاِنۡ خِفۡتُمۡ اَلَّا تَعۡدِلُوۡا فَوَاحِدَۃً اَوۡ مَا مَلَکَتۡ اَیۡمَانُکُمۡ ؕ ذٰلِکَ اَدۡنٰۤی اَلَّا تَعُوۡلُوۡا ؕ﴿۳﴾


তাফসীরে আহসানুল-বায়ান

(৩) আর তোমরা যদি আশংকা কর যে, পিতৃহীনাদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিবাহ কর (স্বাধীন) নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে; দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশংকা কর যে, সুবিচার করতে পারবে না, তবে একজনকে (বিবাহ কর) অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত (ক্রীত অথবা যুদ্ধবন্দিনী) দাসীকে (স্ত্রীরূপে ব্যবহার কর)।[1] এটাই তোমাদের পক্ষপাতিত্ব না করার অধিকতর নিকটবর্তী। [2]

[1] এই আয়াতের তাফসীর আয়েশা (রাযিয়াল্লাহু আনহা) এইভাবে বর্ণনা করেছেন যে, বিত্তশালিনী এবং রূপ-সৌন্দর্যের অধিকারিণী ইয়াতীম কন্যা কোন তত্ত্বাবধায়কের তত্ত্বাবধানে থাকলে, সে তার মাল ও সৌন্দর্য দেখে তাকে বিবাহ করে নিত, কিন্তু তাকে অন্য নারীদের ন্যায় সম্পূর্ণ মোহর দিত না। মহান আল্লাহ এ রকম অবিচার করতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, যদি তোমরা ঘরের ইয়াতীম মেয়েদের সাথে সুবিচার করতে না পার, তাহলে তাদেরকে বিবাহই করবে না। অন্য মেয়েদেরকে বিবাহ করার পথ তোমাদের জন্য খোলা আছে। (বুখারী ২৪৯৪নং) এমন কি একের পরিবর্তে দু’জন, তিনজন এবং চারজন পর্যন্ত মেয়েকে তোমরা বিবাহ করতে পার। তবে শর্ত হল, তাদের মধ্যে সুবিচারের দাবী যেন পূরণ করতে পার। সুবিচার করতে না পারলে, একজনকেই বিয়ে কর অথবা অধিকারভুক্ত ক্রীতদাসী নিয়েই তুষ্ট থাক। এই আয়াত থেকে জানা গেল যে, একজন মুসলিম পুরুষ (সে প্রয়োজন বোধ করলে) একই সময়ে চারজন মহিলাকে বিবাহ করে নিজের কাছে রাখতে পারে; এর বেশী রাখতে পারে না। অনেক সহীহ হাদীসেও এ বিষয়কে আরো পরিষ্কার করে বর্ণনা করে দেওয়া হয়েছে এবং চার সংখ্যা পর্যন্ত তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আর নবী করীম (সাঃ) যে চারের অধিক নারীকে বিবাহ করেছিলেন, সেটা ছিল তাঁর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। উম্মতের কারো জন্য তার উপর আমল করা জায়েয নয়। (ইবনে কাসীর)

[2] অর্থাৎ, একজন মহিলাকেই বিবাহ করা যথেষ্ট হতে পারে। কেননা, একাধিক স্ত্রী রাখলে সুবিচারের যত্ন নেওয়া বড়ই কষ্টকর হয়। যার প্রতি আন্তরিক টান থাকবে, তার জীবনের প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবস্থাপনার প্রতিই বেশী খেয়াল থাকবে। এইভাবে সে স্ত্রীদের মধ্যে সুবিচার বজায় রাখতে অক্ষম হবে এবং আল্লাহর কাছে অপরাধী গণ্য হবে। কুরআন এই বাস্তব সত্যকে অন্যত্র অতি সুন্দররূপে এইভাবে বর্ণনা করেছে, [وَلَنْ تَسْتَطِيعُوا أَنْ تَعْدِلُوا بَيْنَ النِّسَاءِ وَلَوْ حَرَصْتُمْ فَلا تَمِيلُوا كُلَّ الْمَيْلِ فَتَذَرُوهَا كَالْمُعَلَّقَةِ] অর্থাৎ ‘‘তোমরা যতই সাগ্রহে চেষ্টা কর না কেন, স্ত্রীদের মাঝে ন্যায়পরায়ণতা কখনই বজায় রাখতে পারবে না। তবে তোমরা কোন এক জনের দিকে সম্পূর্ণভাবে ঝুঁকে পড়ো না এবং অপরকে ঝোলানো অবস্থায় ছেড়ে দিও না।’’ (সূরা নিসাঃ ১২৯) এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, একাধিক বিবাহ করে স্ত্রীদের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতা বজায় না রাখা বড়ই অনুচিত ও বিপজ্জনক ব্যাপার। আল্লাহর রসূল (সাঃ) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তির দু’টি স্ত্রী আছে, কিন্তু সে তন্মধ্যে একটির দিকে ঝুঁকে যায়, এরূপ ব্যক্তি কিয়ামতের দিন তার অর্ধদেহ ধসা অবস্থায় উপস্থিত হবে।’’ (আহমাদ ২/৩৪৭, আসহাবে সুনান, হাকেম ২/১৮৬, ইবনে হিব্বান ৪১৯৪নং)



তাফসীরে জাকারিয়া


৩. আর যদি তোমরা আশংকা কর যে, ইয়াতীম মেয়েদের প্রতি(১) সুবিচার করতে পারবে না(২), তবে বিয়ে করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভাল লাগে, দুই, তিন বা চার(৩); আর যদি আশংকা কর যে সুবিচার করতে পারবে না(৪) তবে একজনকেই বা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীকেই গ্রহণ কর। এতে পক্ষপাতিত্ব(৫) না করার সম্ভাবনা বেশী।

(১) এ আয়াতে ইয়াতীম মেয়েদের বৈবাহিক জীবনের যাবতীয় অধিকার সংরক্ষণের উপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। সাধারণ আইন-কানুনের মত তা শুধু প্রশাসনের উপর ন্যস্ত করার পরিবর্তে জনসাধারণের মধ্যে আল্লাহ-ভীতির অনুভূতি জাগ্রত করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে, যদি ইনসাফ করতে পারবে না বলে মনে কর, তাহলে ইয়াতীম মেয়েদেরকে বিয়ে করবে না; বরং সে ক্ষেত্রে অন্য মেয়েদেরকেই বিয়ে করে নেবে। এ কথা বলার সাথে সাথে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের দায়িত্বের কথাও স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে। যাতে ইয়াতীম ছেলে-মেয়েদের কোন প্রকার অধিকার ক্ষুন্ন না হয় সে ব্যাপারে পুরোপুরি সচেতন থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

(২) জাহেলিয়াত যুগে ইয়াতীম মেয়েদের অধিকার চরমভাবে ক্ষুন্ন করা হত। যদি কোন অভিভাবকের অধিনে কোন ইয়াতীম মেয়ে থাকত আর তারা যদি সুন্দর হত এবং তাদের কিছু সম্পদ-সম্পত্তিও থাকত, তাহলে তাদের অভিভাবকরা নামমাত্র মাহর দিয়ে তাদেরকে বিয়ে করে নিত অথবা তাদের সন্তানদের সাথে বিয়ে দিয়ে সম্পত্তি আত্মসাৎ করার চক্রান্ত করত। এসব অসহায় মেয়েদের পূর্ণ অধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থার কথা তারা চিন্তাও করত না। আয়েশা সিদ্দিকা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত আছে যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যুগে ঠিক এ ধরণের একটি ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। জনৈক ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে একটি ইয়াতীম মেয়ে ছিল। সে ব্যক্তির একটি বাগান ছিল, যার মধ্যে উক্ত ইয়াতীম বালিকাটিরও অংশ ছিল। সে ব্যক্তি উক্ত মেয়েটিকে বিয়ে করে নিল এবং নিজের পক্ষ থেকে দেন-মাহর আদায় তো করলই না, বরং বাগানে মেয়েটির যে অংশ ছিল তাও সে আত্মসাৎ করে নিল। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই উপরোক্ত আয়াত নাযিল হয়। [বুখারীঃ ৪৫৭৩]

অন্য বর্ণনায় এসেছে, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, তখনকার দিনে কারও কাছে কোন ইয়াতীম থাকলে এবং তার সম্পদ ও সৌন্দর্য তাকে মুগ্ধ করলে সে তাকে বিয়ে করতে চাইত। তবে তাকে অন্যদের সমান মাহর দিতে চাইত না। তাই তাদের মাহর পূর্ণ ও সর্বোচ্চ পর্যায়ের না দিয়ে বিয়ে করতে নিষেধ করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে কোন প্রকার ক্রটি করার ইচ্ছা থাকলে তাদের বাদ দিয়ে অন্যান্য মহিলাদের বিয়ে করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। [বুখারী ৪৫৭৪] তবে এর অর্থ এই নয় যে, অন্যান্য নারীদের বেলায় ইনসাফ বিধান করা লাগবে না। বরং অন্যান্য নারীদের বেলায়ও তা করতে হবে। [আত-তাফসীরুস সহীহ]

(৩) বহু-বিবাহ প্রথাটি ইসলামপূর্ব যুগেও দুনিয়ার প্রায় সকল ধর্মমতেই বৈধ বলে বিবেচিত হত। আরব, ভারতীয় উপমহাদেশ, ইরান, মিশর, ব্যাবিলন প্রভৃতি দেশেই এই প্রথার প্রচলন ছিল। বহু-বিবাহের প্রয়োজনীয়তার কথা বর্তমান যুগেও স্বীকৃত। বর্তমান যুগে ইউরোপের এক শ্রেণীর চিন্তাবিদ বহু-বিবাহ রহিত করার জন্য তাদের অনুসারীদেরকে উদ্ভুদ্ধ করে আসছেন বটে, কিন্তু তাতে কোন সুফল হয়নি। বরং তাতে সমস্যা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এর ফল রক্ষিতার রূপে প্রকাশ পেয়েছে। অবশেষে প্রাকৃতিক ও স্বাভাবিক ব্যবস্থারই বিজয় হয়েছে। তাই আজকে ইউরোপের দূরদর্শী চিন্তাশীল ব্যক্তিরা বহু-বিবাহ পুনঃপ্রচলন করার জন্য চিন্তা-ভাবনা করছেন। ইসলাম একই সময়ে চারের অধিক স্ত্রী রাখাকে হারাম ঘোষণা করেছে। ইসলাম এ ক্ষেত্রে ইনসাফ কায়েমের জন্য বিশেষ তাকিদ দিয়েছে এবং ইনসাফের পরিবর্তে যুলুম করা হলে তার জন্য শাস্তির কথা ঘোষণা করেছে।

আলোচ্য আয়াতে একাধিক অর্থাৎ চারজন স্ত্রী গ্রহণ করার সুযোগ অবশ্য দেয়া হয়েছে, অন্যদিকে এই চার পর্যন্ত কথাটি আরোপ করে তার উর্ধ্ব সংখ্যক কোন স্ত্রী গ্রহণ করতে পারবে না বরং তা হবে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ- তাও ব্যক্ত করে দিয়েছে। ইসলাম পূর্ব যুগে কারও কারও দশটি পর্যন্ত স্ত্রী থাকত। ইসলাম এটাকে চারের মধ্যে সীমাবদ্ধ করে দিয়েছে। কায়েস ইবন হারেস বলেন, ‘আমি যখন ইসলাম গ্রহণ করি তখন আমার স্ত্রী সংখ্যা ছিল আট। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসলে তিনি আমাকে বললেন, ‘এর মধ্য থেকে চারটি গ্রহণ করে নাও। [ইবন মাজাহ: ১৯৫২, ১৯৫৩]

(৪) পবিত্র কুরআনে চারজন স্ত্রীর কথা বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং সাথে সাথে এও বলে দেয়া হয়েছে যে, যদি তোমরা তাদের মধ্যে সমতা বিধান তথা ন্যায় বিচার করতে না পার, তাহলে এক স্ত্রীর উপরই নির্ভর কর। এতে বোঝা যাচ্ছে যে, একাধিক বিয়ে ঠিক তখনই বৈধ হতে পারে, যখন শরীআত মোতাবেক সবার সাথে সমান আচরণ করা হবে; তাদের সবার অধিকার সমভাবে সংরক্ষণ করা হবে। এ ব্যাপারে অপারগ হলে এক স্ত্রীর উপরই নির্ভর করতে হবে এবং এটাই ইসলামের নির্দেশ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একাধিক স্ত্রীর বেলায় সবার সাথে পরিপূর্ণ সমতার ব্যবহার করার ব্যাপারে বিশেষ তাকিদ দিয়েছেন এবং যারা এর খেলাফ করবে, তাদের জন্য কঠিন শাস্তির খবর দিয়েছেন। নিজের ব্যবহারিক জীবনেও তিনি এ ব্যাপারে সর্বোত্তম আদর্শ স্থাপন করে দেখিয়েছেন। এমনকি তিনি এমন বিষয়েও সমতাপূর্ণ আদর্শ স্থাপন করেছেন যে ক্ষেত্রে এর প্রয়োজন ছিল না। এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেনঃ যে ব্যক্তির দুই স্ত্রী রয়েছে, সে যদি এদের মধ্যে ব্যবহারের ক্ষেত্রে পূর্ণ সমতা ও ইনসাফ করতে না পারে, তবে কিয়ামতের ময়দানে সে এমনভাবে উঠবে যে, তার শরীরের এক পার্শ্ব অবশ হয়ে থাকবে। [আবু দাউদঃ ২১৩৩, তিরমিযীঃ ১১৪১, ইবন মাজাহঃ ১৯৬৯, আহমাদঃ ২/৪৭১]

এ সূরার ১২৯ নং আয়াতে বলা হয়েছে, কোন এক স্ত্রীর প্রতি যদি তোমার আন্তরিক আকর্ষণ বেশী হয়ে যায়, তবে সেটা তোমার সাধ্যায়ত্ব ব্যাপার নয় বটে, কিন্তু এ ক্ষেত্রেও অন্যজনের প্রতি পরিপূর্ণ উপেক্ষা প্রদর্শন করা জায়েয হবে না। সূরা আন-নিসার এ আয়াতে ইনসাফপূর্ণ ব্যবহার করতে না পারার আশংকার ক্ষেত্রে এক বিয়েতেই তৃপ্ত থাকার নির্দেশ এবং পরবর্তী আয়াতে “তোমরা কোন অবস্থাতেই একাধিক স্ত্রীর মধ্যে সমতা রক্ষা করতে পারবে না” এ দু'আয়াতের মধ্যে সমস্বয় হচ্ছে, এখানে মানুষের সাধ্যায়ত্ব ব্যাপারে স্ত্রীদের মধ্যে সমতা বজায় রাখার কথা বলা হয়েছে। পক্ষান্তরে দ্বিতীয় আয়াতে যা মানুষের সাধ্যের বাইরে অর্থাৎ আন্তরিক আকর্ষণের ব্যাপারে সমতা রক্ষা করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করা হয়েছে। সুতরাং দুটি আয়াতের মর্মে যেমন কোন বৈপরীত্ব নেই, তেমনি এ আয়াতের দ্বারা একাধিক বিবাহের অবৈধতাও প্রমাণিত হয় না। যদি আমরা এ আয়াতের শানে-নুযুলের দিকে দৃষ্টিপাত করি তাহলে ব্যাপারটা আরো স্পষ্ট হয়ে যায়। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলছেন, একটি ইয়াতীম মেয়ে এক ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে ছিল। লোকটি সে ইয়াতীম মেয়েটির সাথে সম্পদে অংশীদারও ছিল। সে তাকে তার সৌন্দর্য ও সম্পদের জন্য ভালবাসত। কিন্তু সে তাকে ইনসাফপূর্ণ মাহর দিতে রাযী হচ্ছিল না। তখন আল্লাহ তা'আলা এ আয়াত নাযিল করে মাহর দানের ক্ষেত্রে ইনসাফপূর্ণ ব্যবস্থা কায়েম করার নির্দেশ দেন। ইয়াতীম হলেই তার মাহর কম হয়ে যাবে, এমনটি যেন না হয় সেদিকে গুরুত্বের সাথে লক্ষ্য রাখার নির্দেশ দান করা হয়। [বুখারীঃ ২৪৯৪, ৪৫৭৪, ৫০৯২, মুসলিমঃ ৩০১৮]

(৫) এতে দুটি শব্দ রয়েছে। একটি أَدْنَىٰ এটি دُنُوٌ ধাতু থেকে উৎপন্ন, যার অর্থ হয় নিকটতর। দ্বিতীয় শব্দটি হচ্ছেঃ لَا تَعُولُوا যা عال শব্দ হতে উৎপন্ন, অর্থ ঝুঁকে পড়া। এখানে শব্দটি অসংগতভাবে ঝুঁকে পড়া এবং দাম্পত্য জীবনে নির্যাতনের পথ অবলম্বন করা অর্থে ব্যবহৃত করা হয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, এ আয়াতে তোমাদের যা বলা হল যে, সমতা বজায় রাখতে না পারার আশংকা থাকলে এক স্ত্রী নিয়েই সংসারযাত্রা নির্বাহ কর কিংবা শরীআতসম্মত ক্রীতদাসী নিয়ে সংসার কর; এটা এমন এক পথ যা অবলম্বন করলে তোমরা যুলুম থেকে বেঁচে থাকতে পারবে। বাড়াবাড়ি বা সীমালংঘনের সম্ভাবনাও দূর হবে। تَعُولُوا শব্দের দ্বিতীয় আরেকটি অর্থ হতে পারে মিসকীন হয়ে যাওয়া। এর সপক্ষে সূরা আত-তাওবার ২৮ নং আয়াতে عَيْلَةً শব্দটি এসেছে। সেখানে শব্দটির অর্থ করা হয়েছে দারিদ্রতা। ইমাম শাফেয়ী বলেন, এর অর্থ, যাতে তোমাদের পরিবারের সংখ্যা বৃদ্ধি না পায়। [ফাতহুল কাদীর]

১৩ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৩৯

রসায়ন বলেছেন: সহীহ আজগুবী শরীফ থেকে এতো কথা না নিয়ে কোরআনের সহজসরল কথা কি ভালো লাগে নাকি ভাই ! কোরআন কি হায়ারোগ্লিফিক ভাষায় নাজিল হয়েছে !

সে যাই হোক, বেশী কথায় যাবো না শুধু হুজুরদের কাছে জিজ্ঞেস করেন যে মাসনা, সুলাসা ও রুবায়ার আরবি ব্যকরণ অনুযায়ী অর্থ কি, তাইলেই বুঝবেন। আর সূরা নিসার ৩ নাম্বার আয়াতটির আগেও ২ টা আয়াত আছে। শুরুতেই আল্লাহ ইয়া আইয়ুহান নাস বলে মহিলা পুরুষ সবাইকে বুঝিয়েছেন কাজেই ৩ নাম্বার আয়াত শুধু ছেলেদেরকে ইন্ডিকেট করবে এটা হাস্যকর। পড়ে দেখুন সূরাটি।

৩৪| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৫৬

সালেহ আকরাম বলেছেন: এই পোস্ট কে লিখেছে? তিনি কি মুফতি সাহেব? তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা জানতে চাই।

১৩ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৪৩

রসায়ন বলেছেন: মুফতি মানে হলো যে ফতোয়া দেয় ? মানুষ আবার মুফতি কেমন করে হলেন শুনি ? মুফতিদের কাছে কি ওহী আসে ? আমি তো কোরআনে পড়েছি (সূরা নিসা ৪:১২৬, ১৭৬) আল্লাহ নিজেই ফতোয়াদাতা হিসেবে নিজেকে বলেছেন।

আমাদের প্রচলিত মোল্লা সমাজ নিজেদেরকে মুফতি (যে ফতোয়া দেয়) বানিয়ে ফেলেছে ! অথচ কুরআনে এই ফতোয়া দানের অধিকার শুধুমাত্র আল্লাহর, আল্লাহই একক বিধানদাতা।

কুরআনে মানুষের প্রশ্নের প্রেক্ষিতে আল্লাহ এর ফতোয়া বা সমাধান দিয়েছেন, আল্লাহ কখোনই কুরআনে বলেন নাই হে মুহাম্মদ লোকরা ফতোয়া জানতে চাইছে, তুমিই ফতোয়াটা দিয়ে দাও....নাই...কোথাও নাই কুরআনে

আসুন দেখি আল্লাহর ফতোয়া দানের আয়াতগুলো

وَيَسْتَفْتُونَكَ فِي النِّسَاء قُلِ اللّهُ يُفْتِيكُمْ فِيهِنَّ وَمَا يُتْلَى عَلَيْكُمْ فِي الْكِتَابِ فِي يَتَامَى النِّسَاء الَّلاتِي لاَ تُؤْتُونَهُنَّ مَا كُتِبَ لَهُنَّ وَتَرْغَبُونَ أَن تَنكِحُوهُنَّ وَالْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الْوِلْدَانِ وَأَن تَقُومُواْ لِلْيَتَامَى بِالْقِسْطِ وَمَا تَفْعَلُواْ مِنْ خَيْرٍ فَإِنَّ اللّهَ كَانَ بِهِ عَلِيمًا

তারা আপনার কাছে নারীদের বিবাহের ফতোয়া চায়। বলে দিনঃ আল্লাহ তোমাদেরকে তাদের সম্পর্কে ফতোয়া দেন এবং কোরআনে তোমাদেরকে যা যা পাট করে শুনানো হয়, তা ঐ সব পিতৃহীনা-না রীদের বিধান, যাদের কে তোমরা নির্ধারিত অধিকার প্রদান কর না অথচ বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার বাসনা রাখ। আর অক্ষম শিশুদের বিধান এই যে, এতীমদের জন্যে ইনসাফের উপর কায়েম থাক। তোমরা যা ভাল কাজ করবে, তা আল্লাহ জানেন। [সুরা নিসা - ৪:১২৭]

يَسْتَفْتُونَكَ قُلِ اللّهُ يُفْتِيكُمْ فِي الْكَلاَلَةِ إِنِ امْرُؤٌ هَلَكَ لَيْسَ لَهُ وَلَدٌ وَلَهُ أُخْتٌ فَلَهَا نِصْفُ مَا تَرَكَ وَهُوَ يَرِثُهَا إِن لَّمْ يَكُن لَّهَا وَلَدٌ فَإِن كَانَتَا اثْنَتَيْنِ فَلَهُمَا الثُّلُثَانِ مِمَّا تَرَكَ وَإِن كَانُواْ إِخْوَةً رِّجَالاً وَنِسَاء فَلِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنثَيَيْنِ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ أَن تَضِلُّواْ وَاللّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ

মানুষ আপনার নিকট ফতোয়া জানতে চায় অতএব, আপনি বলে দিন, আল্লাহ তোমাদিগকে কালালাহ এর মীরাস সংক্রান্ত সুস্পষ্ট ফতোয়া বাতলে দিচ্ছেন, যদি কোন পুরুষ মারা যায় এবং তার কোন সন্তানাদি না থাকে এবং এক বোন থাকে, তবে সে পাবে তার পরিত্যাক্ত সম্পত্তির অর্ধেক অংশ এবং সে যদি নিঃসন্তান হয়, তবে তার ভাই তার উত্তরাধিকারী হবে। তা দুই বোন থাকলে তাদের জন্য পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ। পক্ষান্তরে যদি ভাই ও বোন উভয়ই থাকে, তবে একজন পুরুষের অংশ দুজন নারীর সমান। তোমরা বিভ্রান্ত হবে আল্লাহ তোমাদিগকে সুস্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিচ্ছেন। আর আল্লাহ হচ্ছেন সর্ব বিষয়ে পরিজ্ঞাত। [সুরা নিসা - ৪:১৭৬]

কাফির আর মুসলিমরা যখন বিভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে আসতো তখন আল্লাহ তার সমাধান দিতেন। কোরআনের একটা জায়গায় এমন দেখিনি যেখানে লিখা আছে হে নবী লোকেরা তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে বা ফতোয়া জানতে চায়, তুমিই ফতোয়াটা দিয়ে দাও ! নবীর নামেও তো মুফতি নাই ! মাদরাসার শিক্ষকরা কোন ভিত্তিতে নিজেদের নামে মুফতি লাগান ? ইসলাম প্রচারের জন্য মুফতি নামের কোন পোস্ট আছে সেটা কোরআন থেকে প্রমাণ করেন।

ফতোয়া দাতা হয়ে আল্লাহর সমকক্ষ সাজতে চায় মোল্লারা, কি বিপদ !

৩৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৬:২৩

Amimul বলেছেন: অপব্যাখ্যা আর এমন এমন কথা বলেছে এই লোক দেখে মনে হচ্ছে না ইসলাম এর সাথে কোনো সম্পর্ক আছে। মহানবী সাঃ এর সময়ও এমন মানুষ ছিলো যারা ইসলাম এর ভেতরে মুসলিম নাম দিয়ে প্রবেশ করে মুসলিন দের মাঝে বিভেধ সৃষ্টি করার চেষ্টা করতো আর লাঞ্চিত হয়ে ফিরে যেতো।
কি বচ্চাদের মতো করে অপ ব্যাক্ষা দিয়েছে

১৩ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৪৫

রসায়ন বলেছেন: আমি রেফারেন্স সহকারে পোস্ট দিয়েছি। আপনি ভুল বেরে দেখান, এরপরে এর জবাব দিবো। শুধু মনগড়া ট্যাগিং করলে আপনি সত্যি হয়ে যাবেন না, রেফারেন্স সহকারে কথা বলেন।

৩৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ১০:৩৬

নতুন বলেছেন: আপনি ব্যক্ষা করেছেন ভালো। কিন্তু ইসলামে যদি ৪ বিবাহ নাই থাকে তবে রাসুল সা: এর সাহাবীরা সবাই কোরানের এই কথাটা বুঝতে পারেনাই।

একটু বলবেন কি রাসুল সা: এর সবচেয়ে কাছের সাহাবীরা কতটা বিবাহ করেছিলেন? এই হিসাব দেখলেই বুঝতে পারবেন আপনি যেই ভাবে ভাবছেন ব্যপারটা সেইভাবে সাহাবারা ভাবে নাই।

১৩ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৪৭

রসায়ন বলেছেন: ইসলামের দলীল হলো কোরআন, কোন মানুষ না। আর সাহাবীদের নামে যেসব কথাবার্তা আছে তা যে সত্যি সেটা কিসের ভিত্তিতে মানবো ?

৩৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২২

Amimul বলেছেন: আসসালামু আলাইকুম। আহা করি কমেন্ট এপ্রুভ করবেন।
জানিনা পোস্টদাতা মেয়ে নাকি ছেলে কিন্তু কথাগুলো আর অপব্যাক্ষ্যাগুলো দেখে একদমই একজন মেয়ের মতো ই লাগছে।
❌আশলে কুরআন মাজীদ এর সাথে আশলেই যাদের সম্পর্ক থাকেনা তারা এমন ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে,যেসব আয়াত দিলো সেসব এর একটারও তাফসীর পড়েছে কিনা জীবনেও সেটা দেখে মনে হয়না কারন তাফসীর পড়লেত এমন ব্যাখ্যা দিতে পারতোনা।
প্রথমত হিন্দুরা কতো বিয়ে করেছে বা কাফেররা কতো বিয়ে করেছে বা ইসলামে ৪ বিয়ে পর্যন্ত সীমা দেয়ার আগ পর্যন্ত কে কয়টা বিয়ে করেছে এর সাথে ৪ বিয়ে করা যে জায়েজ এর সম্পর্ক কি? কোনো সম্পর্ক নেই।
আর একটা মাদ্রাসার বাচ্চাও জানে যে যদি সমতা ও সক্ষমতা ও ইনসাফ থাকলে অবশ্যই অবশ্যই ২/৩/৪ বিয়ে করতে পারবে।
এখানে স্ত্রীদের প্রথম অনুমতি নেয়া ইসলাম এর কোথাও নেই। যদি মুসলিম হন তাহলে মানবেন নাহলে যা খুশি মানেন কিন্তু এভাবে কুরআন বা হাদীস নিয়ে অবব্যাখ্যা করে তারা অবশ্যই আল্লাহ তায়ালার নামে মিথ্যাচার করে। (আস্তাগফিরুল্লাহ)
❏ মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ বলুন, তোমরা কি ভেবে দেখেছ আল্লাহ তোমাদের যে জীবিকা দিয়েছেন তোমরা যে তার কিছু হালাল ও কিছু হারাম করেছ? বলুন, আল্লাহ কি তোমাদের এর অনুমতি দিয়েছেন, নাকি তোমরা আল্লাহর প্রতি মিথ্যারোপ করছ?’ (সুরা ইউনুস, আয়াত : ৫৯)

আর এখানে হাস্যকর বিষয় দেখুন যে উনি সূরা নিসার ১২৯ আয়াত কে যদিও ১২৭ লিখেছে তবুও অর্ধেক দিয়ে অপপ্রচার অপব্যাখ্যা দিচ্ছে। এখানে দেখুন পুরো আয়াতঃ

❏তোমরা যতই আগ্রহ পোষণ কর না কেন তোমরা কখনো স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার করতে পারবে না। তবে তোমরা কোনো একজনের দিকে সম্পূর্ণরূপে ঝুঁকে পড় না ও অপরকে ঝুলন্ত অবস্থায় রেখ না। যদি তোমরা নিজেদেরকে সংশোধন কর ও সাবধান হও তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু”। [সূরা আন-নিসা, আয়াত: ১২৯]

এখানে সস্পষ্টতই বলাই আছে সমতার কথা একজনের প্রতি ঝুকে পড়তে বারন করেছেন মহান আল্লাহ তায়ালা। এখানে কোথায় পেলেন যে বিয়ে করার দিকে অনুৎসাহিত করা হয়েছে? আর কীভাবে অপব্যাখ্যা দিচ্ছে ইমান থাকলে মনেহয়না কেও এভাবে অপব্যাখ্যা দিতে পারে (নাউযুবিল্লাহ)। আবার বলছে বহুবিবাহের প্রতি ভীতি দেখিয়েছে? আরকি এখানে মিথ্যাচার হচ্ছে কেমন দেখেন। আল্লাহ তায়ালাই বলেছেন ২/৩/৪ বিয়ে করো আবার আল্লাহ তায়ালাই কি আবার বলবে যে বহু বিবাহ করোনা? তাহলে কি আল্লাহ তায়ালা ঐ বহু বিবাহের কথা ভুল করে বলেছে? (নাউযুবিল্লাহ) মানুষ মুখের কথায়ও ইমান হারায়, মুসলিম থেকে খারিজ হয়ে যায়। আর আমি একমাত্র নারীদেরকেই দেখেছি আল্লাহ তায়ালার বিধানের সামনে তাদের উর্ধতন মাথা নত করবে না। (আউযুবিল্লাহ)। হয়তো এটাই কারন, যে মহানবী সাঃ বলেছেন বেশিরভাগ নারী জাহান্নামী।
সূরা নীসার ১২৯ নম্বর আয়াতে বুঝাই যাচ্ছে যে সমতা করার প্রতি সতর্ক করা হয়েছে যাতে সকল স্ত্রীর প্রতি ইনসাফ করা হয়। নিচের লিংকে তাফসীর পড়ে নাবেনঃ https://cutt.ly/yFaMgMkyFaMgMk

‼️পরে আরেকটি হাদীদ দিয়ে বলা হচ্ছে রাসুল (ﷺ) নাকি অধিক বিবাহ করার ব্যাপারে কঠোর সতর্ক করেছে (আস্তাগফিরুল্লাহ) এভাবে মুসলিম মিথ্যাচার করতে পারে?
চলুন হাদীসটা দেখিঃ

❏রাসূল (ﷺ) বলেন,
"যে ব্যক্তির দুই জন স্ত্রী আছে, কিন্তু তার মধ্যে এক জনের দিকে ঝুঁকে যায়, এরূপ ব্যক্তি কিয়ামতের দিন অর্ধদেহ ধসা অবস্থায় উপস্থিত হবে।"
(আহমেদ ২/৩৪৭; আসবে সুনান; হাকিম ২/১৮৬) ইবনে হিব্বান ৪১৯)

এই পোস্টকারীর মতো এমন কেও হতবুদ্ধি আছে যে এই হাদীস পড়ে বুঝেছে একাধীক বিয়ে করতে বারন বা তার বিরুদ্ধে এই হাদীস? এই হাদীসে বলাই আছে যার একাধীক স্ত্রী অলরেডি আছে কিন্তু একজনের প্রতি ঝুকে গিয়েছে অবশ্যই সে পুরুষ অন্যায় করেছে আর সে ইনসাফ করেনি। এখানে ইনসাফ করার কথা বলা হয়েছে এবং ইনসাফ না করার বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছে তাই অপব্যাখ্যার কোনো সুযোগ নেই। আশলে আল্লাহ তায়ালার এই বিধান নিয়ে নারীদের এতো সমস্যার মেইন কারনই হচ্ছে স্যাকুলার শিক্ষা ছোটো থেকে তাদের মাথায় প্রবেশ করে করে বড় আকার ধারন করে। তাছাড়াও যার আকীদাহ ও তাওহীদ ঠিক নেই তাদেরও ইসলাম নিয়ে, ইসলাম এর বিধান নিহে অনেক সমস্যা থাকে। একজন ব্যাক্তি যে মনে করে যে আল্লাগ তায়ালার বিধান অশান্তির কারন বা এমন কিছু তার মুলত আল্লাহ তায়ালার প্রতি বিস্বাস (তাওহীদ) এ সমস্যা আছে।


ইসলাম বহু বিবাহকে সমর্থন করে এবং সৌদির ফতুয়া বোর্ড থেকে ফতুয়াও আছে যে ব্যাক্তি ইনসাফ করতে পারবে এবং সে যেখানে থাকে সেখানে নারী সংখ্যা বেশি কিন্তু সে একাধিক বিয়ে করবেনা সে ব্যাক্তি পাপী বা পাপ হবে।

আরেকটা বিষয় সমতা কাকে বলে জানেন? এরও সুন্দর ব্যাখ্যা আমরা হাদীসে পাই। যেমন সাহাবাদের সময় এমনও নারী ছিলো যাদের দাবী ছিলো এমন একজন পুরুষ বা স্বামী যে কিনা তার এবং তার সন্তানদের ভরন পোষন করলেই তার জন্য ইনসাফ।
আশলে ইনসাফ ত হচ্ছে একজন নারীর উপর ডিপেন্ড করে। স্বামীর প্রতি সন্তুষ্ট ও কোনো দাবী না থাকা,যে নারীদের কোনো দাবী নেই স্বামীর প্রতি এটাই ইনসাফ।
‼️ কিন্তু ইসলাম সবসময় বলে একাধিক স্ত্রী থাকলে সমতা বজায় রাখতেই হবে, ব্যাভিচার এর উদ্দেশ্যে বিয়ে করা যাবেনা। একজন নারী পছন্দ হলো তাকে শুধু ভোগ করার জন্য বিয়ে করা তার পর তার আর কোনো খোজ খোবর নেই অন্য স্ত্রীর প্রতি ঠিকই খোজ খবর নিচ্ছে তাহলে সে ব্যাক্তি পাপী, সে সমতা ত করেইনাই বরং ব্যাভিচার এর উদ্দেশ্যে বিয়ে করেছে।

✅ শেষকথা হচ্ছে নিজের ইমান ঠিক করুন। নফসের পুজা বাদ দিন। কুরআন মাজীদ তাফসীর সহমারে পড়ুন যাতে স্পষ্ট ভাবে বুঝতে পারেন।
আর একটা কথা ভাবুন মহাম আল্লাহ তায়ালা ও মহানবী সাঃ যদি একাধিক বিয়ের বিরুদ্ধেই বলতো তাহলে মহানবী সাঃ একাধিক বিয়ে করে ভুল করেছে? (আস্তাগফিরুল্লাহ)।
মহানবী সাঃ জীবনে এমন একটাও কাজ করেনাই যেটা আল্লাহ তায়ালার অনুমতি নেই। আর মহানবী সাঃ নবুয়াত প্রাপ্ত হবার পরেও একাধিক বিয়ে করেছেন এবং একাধি স্ত্রী একসংগে রেখেছেন।
যদি এমনই হতো যে আল্লাহ তায়ালা একাধিক বিয়ের বিরুদ্ধে কিছু বলেছেন তাহলে মহানবী সাঃ ও একাধিক বিয়ে করতেন না।

কি বলেন বা বলবেন ভেবে চিন্তে বলবেন, আগেও বলেছি মুখের কথায়ও মানুষ ইমান হরায়। নফস এর পূজার বসেই মানুষ বেশি পাপ করে থাকে।
আশা করি বুঝেছেন। জাজাকাল্লাহ খাইরান।

১৩ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৪৯

রসায়ন বলেছেন: কোরআন থেকে আগের কোন নবীরা বা উত্তম চরিত্রের লোকজন একাধিক বিয়ে করেছে এমন একটা প্রমাণ দেখান।

সে যাই হোক, বেশী কথায় যাবো না শুধু হুজুরদের কাছে জিজ্ঞেস করেন যে ৪:৩ এ মাসনা, সুলাসা ও রুবায়ার আরবি ব্যকরণ অনুযায়ী অর্থ কি, তাইলেই বুঝবেন। আর সূরা নিসার ৩ নাম্বার আয়াতটির আগেও ২ টা আয়াত আছে। শুরুতেই আল্লাহ ইয়া আইয়ুহান নাস বলে মহিলা পুরুষ সবাইকে বুঝিয়েছেন কাজেই ৩ নাম্বার আয়াত শুধু ছেলেদেরকে ইন্ডিকেট করবে এটা হাস্যকর। পড়ে দেখুন সূরাটি।

৩৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:২১

এ আর ১৫ বলেছেন: @Amimul
আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা। সুরা ৪--৩ এর শেষের ২লাইন ।

আপনি কি জানেন না উপরে লাইন দুটি একাধিক বিবাহের অন্যতম প্রধান শর্ত ? এখানে ন্যায় সঙ্গত আচরনে, পক্ষপাত হীন ব্যবহার বহু বিবাহের অন্যতম প্রধান শর্ত , সেটা পালন করতে না পারলে একটার বেশি বিবাহ নহে ।
এই আয়াত নাজিল হওয়ার পরে , অনেকে মনে করছে ন্যায় সঙ্গত ভাবে সবাইকে ট্রিট করতে পারবে, তাই বহু বিবাহ করেছে ।

জী সেই বহু বিবাহিত ব্যক্তি যাদের একাধিক স্ত্রী আছে তাদের উদ্দেশ্যে আয়াত ৪--১২৯ অনেক পরে নাজিল হয়েছে --

তোমরা কখনও নারীদেরকে সমান রাখতে পারবে না, যদিও এর আকাঙ্ক্ষী হও। অতএব, সম্পূর্ণ ঝুঁকেও পড়ো না যে, একজনকে ফেলে রাখ দোদুল্যমান অবস্থায়। যদি সংশোধন কর এবং খোদাভীরু হও, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।


এই সমস্ত ব্যক্তি ৪--৩ এর পক্ষপাত হীন ন্যায় সঙ্গত আচরনের শর্ত পালন করতে পারেনি এবং এইটা আল্লাহর স্ট্যাটমেন্ট তোমরা কোন দিন সেটা পারবা না । এই কারনে আল্লাহ তাদের ৩ জনকে তালাক দিয়ে দিতে বোলবেন কি ? না তিনি বলেন নি , তিনি পরের লাইনে দিক নির্দেশনা তাদের দিয়েছেন কিভাবে ব্যালেন্স করে চলতে হবে ।

৪--১২৯ আয়াত থেকে একটা মেসেজ পেলাম যে কোন পুরুষের পক্ষে নারীদের সাথে ন্যায় সঙ্গতভাবে ট্রিট করা সম্ভব নহে ।

এবং ৪--৩ এর বহু বিবাহ করার অন্যতম প্রধান শর্ত অবশ্যই পক্ষপাত হীন হতে হবে এবং ন্যায় সঙ্গত আচরন করতে হবে ----এই শর্ত পালন করা কোন পুরুষের পক্ষে সম্ভব নহে যেটা আল্লাহ ৪--১২৯ তে কনফার্ম করেছেন ।

সুতরাং ৪--১২৯ নাজিল হওয়ার পর বহু বিবাহ বাতিল ।

এবার আসি এতিম মেয়ে নাকি সাধারণ নারী ---- আপনারা যদি মনে করেন ৪--৩ , এতিম মেয়ে নহে সাধারন নারীকে ও বলা হয়েছে, তাহোলে সে অনুযায়ি সাধারণ নারী হোলেও ১টার বেশি বিবাহ সম্ভব নহে যদি আয়াত ৪--৩ এবং ৪--১২৯ কে এক সাথে বিশ্লেষণ করা হয় ।

এটা ৪--৩ আয়াতের আরেক অনুবাদ থেকে ---- যদি তোমরা আশঙ্কা কর যে, ইয়াতীমদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে নারীদের মধ্য হতে নিজেদের পছন্দমত দুই-দুই, তিন-তিন ও চার-চার জনকে বিয়ে কর,


এখানে নারী বলতে কি এতিম নারী নাকি সাধারণ নারীদের বুঝিয়েছে ? আপনাদের মত মানুষের যদি ভাষা বোঝাজনিত সমস্যা থাকে তাহোলে সেটার দায় কি আমার ?
যে সব ভীক্ষুক ক্ষুদার্থ, সেই সব মানুষ থেকে চার জন মানুষকে খাবার দাও

এবার বলুন তো এই বাক্য দিয়ে চার জন মানুষ বলতে কাদের বোঝানো হয়েছে ? তারা কি সাধারন মানুষ ? নাকি অক্ষুদার্থ ভীক্ষুক ? নাকি ক্ষুদার্থ ভীক্ষুক ? আপনার কথা অনুযায়ি সাধারন মানুষকে বোঝানো হয়েছে ?
ধন্য আপনার বোধ শক্তি ।
এখন অলটিমেটলি এটা যদি আপনাদের দাবি অনুযায়ি সাধারন নারী হয় , তাহোলে ও তো ৪ বিবাহ করতে পারেন না ।

সুরা নিসার ৩ নং আয়াত নাজিল হয়েছিল ওহুদের যুদ্ধের পরে , যে যুদ্ধে ৭০ জন সাহাবী শহীদ হন । সুতরাং এই আয়াতে এতিম কণ্যাদের কেই বুঝিয়েছে, এখান সাধারণ নারীদের কথা বলেছে দাবি করা চরম মিথ্যাচার, অপব্যাখা ।
৪ বিবাহ পন্থিরা যে এতই মিথ্যাবাদী এবং তারা হাদিস বিকৃত করনের মাধ্যমে এক বড় অপকর্ম করেছে ।

আপনাদের আবগতির জন্য জানাচ্ছি -- ওনার এই দাবিটা যে কত অবান্তর দাবি দেখুন --

ঐ যুগে অনেকে ইয়াতিমের সম্পদ দেখভাল করত। তারা সম্পদের লোভে ঐ ইয়াতিম মেয়েকে বিয়ে করে ফেলত তাদেরকে ঠকানোর জন্য।

এই বাক্যের সাথে ৪-৩ সুরা নাজিল হওয়ার প্রেক্ষাপটের সাথে কোন সম্পর্ক নাই কারন ৪--৩ নাজিল হয় ওহুদের যুদ্ধে ৭০ সাহাবির শহীদ হওয়াতে তাদের এতিম মেয়েদের সাপোর্ট দেওয়ার প্রক্ষিতে । নবী (সা: ) সাথে যারা হিজরত করেছিলেন তাদের মাঝে কেহ এতিম ছিল না , ছেলে মেয়েরা বাবা মায়ের সাথে চলে আসে। এতিম সন্তান বেড়ে যায় যুদ্ধে সাহাবীদের মৃর্তুর পরে । এই আয়াত সাহাবীদের উদ্দেশ্যে । সাহাবীদের মধ্যে এমন কেহ ছিল না মদিনাতে রিফুজিগত অবস্থায় এতিম মেয়েদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করবে । মুসলিম এতিম মেয়েদের সম্পত্তি ঐ সকল সাহাবী কি করে দখল করবে ?
রিফুজি সাহাবীদের মদিনাতে কোন সম্পত্তি ছিল না । মক্কাতে সম্পত্তি থেকে থাকলে , সেগুলো কোন সাহাবী মদিনাতে বসে দখল কোরবে ?
এই দেখুন চার বিবাহ পন্থিরা কি ভাবে হাদিসের অপব্যাখা করে ৪ বিবাহ জায়েজ করেছে ।
সম্পদহীন সাহাবীদের মৃর্তুর কারনে তার সন্তানরা মদিনাতে এতিম হয়েছে, এনাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে জীবিত সাহাবীরা ঐ সম্পদহীন এতিম কন্যাদের সম্পদ দখল করা পায়তারা শুরু করেছিল তখন । এমন গাজাখোরি কাহিণীর আশ্রয় নিয়েছে , ৪ বিবাহবাজরা ।
বুঝতেই পারছেন কত বড় মিথ্যাবাদী ৪ বিবাহ পন্থিরা ।

১৩ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৫১

রসায়ন বলেছেন: মাসনা সুলাসা ও রুবায়ার অর্থ কি এই এক প্রশ্নেই চার বিবাহপন্থী মোল্লারা কুপোকাত হয়ে যাবে ভাই

৩৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৫৮

Amimul বলেছেন: @এ আর ১৫ 
ভাইজান দয়া করে মুসলিম না হলে কেনো ইসলা। নিয়ে কথা বলেন? আর কি মনগড়া জাস্যকর ব্যাখ্যা দিচ্ছেন?

১৩ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৫২

রসায়ন বলেছেন: আপনাদের বানোয়াট কিতাব দিয়ে কোরআনের সহজ সরল বিধানকে মনগড়া বলেন, হায়রে ! আবার বলেন আরেকজন মুসলিম কিনা !

মুসলিমদের হুজ্জত, বোরহান (দলীল) হলো কোরআন। কোরআনের বিপরীতে যেটাই যাবে সেটাই জালিয়াতি, ভুয়া, মনগড়া।

৪০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৫৯

Amimul বলেছেন: @এ আর ১৫ 
ভাইজান দয়া করে মুসলিম না হলে কেনো ইসলা। নিয়ে কথা বলেন? আর কি মনগড়া জাস্যকর ব্যাখ্যা দিচ্ছেন?,
যদিও আমি সব উত্তর দিয়েই দিয়েছি উপরের কমেন্টে তবুও কিছু মানুষ ইসলাম এর বিরুদ্ধে লাগতে যা মনে চায় বলেই যাচ্ছে অজথা মনগড়া কথা ও ব্যাখ্যা দিয়ে।
ইসলাম এর বিরুদ্ধে লাগতে হবে অন্তত কুরআন এর আয়াতগুলোর তাফসীর পড়েত আসবেন।
ভাই আপনারা মনগড়া ব্যাখ্যা এগুলো দিলে লাভ কি বলেন, শুধু শুধু আমার সময় নষ্ট করলেন।

১৩ ই মে, ২০২২ দুপুর ১:৫৯

রসায়ন বলেছেন: একটা জিনিস তো বুঝতে হবে। কোন জিনিসের ব্যাখ্যা সেই করতে পারে যে তার চাইতে অধিক জানে।

কোরআন প্রেরণ করেছেন আল্লাহ। তিনি হলেন সর্বজ্ঞানী, সর্ব বিষয়ে জ্ঞাত। তো সেই কিতাব আবার মানুষ তাফসীর করবে কিভাবে ! মানুষের কি অতো জ্ঞান আছে যে আল্লাহর কিতাবকে ব্যাখা করবে !

এজন্যই আল্লাহ বলেন

আমি তাদের কাছে গ্রন্থ পৌছিয়েছি, যা আমি স্বীয় জ্ঞানে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি, যা পথপ্রদর্শক এবং মুমিনদের জন্যে রহমত। [সুরা আরাফ - ৭:৫২]

অর্থাৎ আল্লাহ নিজেই এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন "স্বীয় জ্ঞানে"

এজন্যই আল্লাহ কোরআনকে মুফাসসাল, তাবিল, আহসানা তাসফির, ফুসসিলাত ইত্যাদি বলেছেন যার অর্থ বিশদভাবে বিবৃত বা ব্যাখাকৃত !

আসুন কিছু আয়াত দেখে নিন,

আর যারা কিছু জানে না তারা বলে, ‘আল্লাহ আমাদের সাথে কথা বলেন না কেন? অথবা আমাদের কাছে কেন আসে না কোন আয়াত? এভাবে তাদের পূর্ববর্তীরাও তাদের মত কথা বলতো। তাদের অন্তর একই রকম। অবশ্যই আমরা আয়াতসমূহকে স্পষ্টভাবে বিবৃত করেছি, এমন কওমের জন্য, যারা দৃঢ়বিশ্বাস রাখে। [সুরা বাকারা - ২:১১৮]

আমি তাদের কাছে গ্রন্থ পৌছিয়েছি, যা আমি স্বীয় জ্ঞানে বিস্তারিত বর্ণনা করেছি, যা পথপ্রদর্শক এবং মুমিনদের জন্যে রহমত। [সুরা আরাফ - ৭:৫২]

আলিফ, লা-ম, রা; এটি এমন এক কিতাব, যার আয়াত সমূহ সুপ্রতিষ্ঠিত অতঃপর সবিস্তারে বর্ণিত এক মহাজ্ঞানী, সর্বজ্ঞ সত্তার পক্ষ হতে। [সুরা হুদ - ১১:১]

আমি রাত আর দিনকে দু’টো নিদর্শন বানিয়েছি। আমি রাতের নিদর্শনটিকে জ্যোতিহীন করেছি, আর দিনের নিদর্শনটিকে করেছি আলোয় উজ্জ্বল যাতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের অনুগ্রহ অনুসন্ধান করতে পার আর যাতে বছরের সংখ্যা আর হিসাব জানতে পার; আমি সকল বিষয় বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করে দিয়েছি। [সুরা বনী-ইসরাঈল - ১৭:১২]

এটা কিতাব, এর আয়াতসমূহ বিশদভাবে বিবৃত আরবী কোরআনরূপে জ্ঞানী লোকদের জন্য। [সুরা হা-মীম - ৪১:৩]

আর তারা আপনার কাছে যে বিষয়ই উপস্থিত করে না কেন, আমি সেটার সঠিক সমাধান ও সুন্দর ব্যাখ্যা (আহসানা তাফসির) আপনার কাছে নিয়ে আসি। [সুরা ফুরকান - ২৫:৩৩]

পাপিষ্ঠ মোল্লারা আল্লাহর কিতাব পরিবর্তন করতে অসমর্থ হয়ে এর বিপরীতে অন্য কিতাব দাঁড় করিয়েছে এবং কোরআনকে সেসবের আলোকে উপস্থাপন করে মানুষকে পথভ্রষ্ট করছে।

আল্লাহ তাফসীর করেই কোরআন নাজিল করেছেন । কোরআন হলো স্বয়ংসম্পূর্ণ । কাজেই কেউ নিজের মনের মতো ব্যাখ্যা করলে সেটা সুস্পষ্ট শিরক ! আল্লাহই হলেন তাফসীরকারী অন্যকেউ তাফসীর কারক হলে সে শিরক করলো

৪১| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:০২

Amimul বলেছেন: বেমুসলিমরাই কুরআন এর অপব্যাক্ষ্যা অপপ্রচার দিয়েই যায় অথচ সবকিছুর জবাব অনেক আগেই আকফেরদের দেয়াই আছে বরং কুরআন এর তাফসীর পড়লে আর কারও সমস্যাই থাকেনা সেখানে বেমুসলিমরা এদের অপব্যাখ্যা দিয়েই যাবে

৪২| ১২ ই আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:০৫

Amimul বলেছেন: বেমুসলিমরাই কুরআন এর অপব্যাক্ষ্যা অপপ্রচার দিয়েই যায় অথচ সবকিছুর জবাব অনেক আগেই আকফেরদের দেয়াই আছে বরং কুরআন এর তাফসীর পড়লে আর কারও সমস্যাই থাকেনা সেখানে বেমুসলিমরা এদের অপব্যাখ্যা দিয়েই যাবে, (হাস্যকর) আর মুসলিমরা কখনো আল্লাহ তায়ালার বিধান এর বিরুদ্ধে কথা বলেনা। আল্লাহ তায়ালা যেটা জায়েজ করেছেন কিয়ামত পর্যন্ত জায়েজ থাকবে। যারা মনে করে যে আল্লাহ তায়ালার বিধান মানব জাতীর কল্যানের জন নয় (নাউযুবিল্লাহ) তারা মুসলিম নয়। মুসলিম বললেও নিজেকে ইমান নেই তাদের ইমান আনতে হবে।
তাই যতই প্রমান ও দলিল পেশ করিনা কেনো বেমুসলিমরা যতক্ষন না গোড়ামি ছাওড়বে ততক্ষন হেদায়েত পাবে কিভাবে?

৪৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৪৯

Amimul বলেছেন: আরকি কাফেররা নিজেরা নিজেরাই খুশি হয় অপব্যাখ্যা করে। কি হাস্যকর বাচ্চাদের মতো করে অপব্যাখ্যা দিয়েছে মনগড়া বিকৃতি করে।

৪৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৪৯

Amimul বলেছেন: আরকি কাফেররা নিজেরা নিজেরাই খুশি হয় অপব্যাখ্যা করে। কি হাস্যকর বাচ্চাদের মতো করে অপব্যাখ্যা দিয়েছে মনগড়া বিকৃতি করে।

৪৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:১০

নীল আকাশ বলেছেন: স্বল্প জ্ঞান নিয়ে ইসলাম নিয়ে জ্ঞান দিতে আসবেন না। মহানবী (সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম)র চোখের সামনে খুলাফায়ে রাশিদিন সহ অনেক সাহাবীরা একের অধিক বিয়ে করেছেন। ইসলামে যদি এটা জায়েজ না হতো তাহলে কি অনুমতি দিতেন? অনেক বিয়ে উনি নিজেই পড়িয়েছেন।
সুন্নাহ ও হাদিস কুরআনের পরিপূরক। একটা বাদ দিয়ে আরেকটা পড়বেন না।

৪৬| ২৩ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:৩৫

Amimul বলেছেন: হাদীস কেনো মানতে হবে? উত্তর আয়াত পড়ুনঃ
আমি এই কুরআন আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি,যাতে মানুষের প্রতি অবতীর্ণ বিষয় গুলো আপনি সঠিকভাবে স্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করে দিতে পারেন।(সূরা নাহল-৪৪)

তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন তাদের নিকট, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তাঁর আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব (কুরআন) এবং হিকমত, যদিও তারা ইতোপূর্বে স্পষ্ট গোমরাহীতে লিপ্ত ছিল। (সূরা-আল্ জুমুআহ: ২)

আর কুরআন হাদীস সারাজীবন অধ্যায়ন করে দলিল সহকারে আমাদের বুঝিয়ে দেয় শায়েখগন তাই ইসলামে কেনো কি করতে হবে সবকিছুরই সুন্দর উত্তর আছে।

৪৭| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:৫৭

Amimul বলেছেন: ◈ মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
তাদের প্রেরণ করেছিলাম স্পষ্ট নিদর্শন ও গ্রন্থসহ এবং তোমার প্রতি কুরআন অবতীর্ণ করেছি মানুষকে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য, যা তাদের প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছিল, যাতে তারা চিন্তা ভাবনা করে। (সূরা আন-নাহালঃ ৪৪)

আমিতো তোমার প্রতি এই কিতাব অবতীর্ণ করেছি যারা এ বিষয়ে মতভেদ করে তাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য এবং মু’মিনদের জন্য পথ-নির্দেশ ও দয়া স্বরূপ।(সূরা আন-নাহাল: ৬৮)

হাদীস অস্বিকার কারীরা কি বাচ্চাদের ন্যায় তর্ক করে। আয়াত নিজে একবারও পড়েছেন।? আর মিথ্যাচার ত করবেই কিছু কমেন্ট দেখলাম ইমাম বুখারি রহিঃ নাকি বলেছেন হাদীস সব সঠিক নায়। কি হাস্যকর। ফাসেকি নফস নিয়ে ও নফিসের পুজোরিরাই এমন কাজ করে।
কুরআন মাজীদ মহানবী সাঃ ছাড়া কিভাবে বুঝবেন? সয়ং আল্লাহ তায়ালাই বলে দিয়েছে কুরআন বুঝিয়ে দিতে মহানবী সাঃ কে। এই বুঝ কোথায় পাবেন?
কুরআন মাজীদ এর বানী এক এক সময় এক এক ঘটনার উপর ভিত্তি করে + ঘটনার পরে নাযিল হয়েছে। এটা না জানলে কিভাবে বুঝবেন কোন আয়াত কেনো?
আর মরা মাছ খান? খেলে কেনো খান? বলেন দেখি?
হাদীস অস্বীকারকারী বাচ্চারা ইবাদাত না করে হিন্দুদের মতো নষ্টামি করার জন্যে হাদীস মানতে চায়না। কেননা হাদীস মানলে নামাজ পড়া লাগবে ৫ ওয়াক্ত, দাড়ি রাখা লাগবে আরও অনেক হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা লাগবে যে তাই হাদীস না মানার জন্য বাচ্চাদের মতো কথা বলবে।

৪৮| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৮:৪০

শার্দূল ২২ বলেছেন: খুব বেশি গুরুত্বপুর্ন পোষ্ট যা আমার চোখেই পড়েনি, আসলে আমি খুব একটা নিয়মিত না। এই পোষ্ট পড়ে আমার সীমাহীন ভালো লাগলো, বিশাল একটা জট খুললো যা আমার মনের মধ্যে ক্যাচাল লেগেছিলো এত বছর। এমনিতেই সায় ছিলোনা,
আমার জেলা শহর হলো মোল্লাদের আখড়া, ছোট কাল থেকেই শুনে আসছি এই হুজুর আরেকটা বউ নিয়ে আসছে, ঐ হুজুর ৩ টা, কলিমুলল্লাহ সলিমুললাঃ সবাইকে খালি বিয়ে করে তালাকা দেয় ৪ কোটা পুরন করা কর্তন করা নিয়ে জনম কাটায় দিলো।

ভাবলাম ব্যপারটা কি , কোন তাবিজের শক্তিতে এরা এত বিয়ে করে , এর জবাব কোরাণে যা পেলাম তা তো সবাই জানি। হতাশ হয়ে গেলাম, কিভাবে সম্ভব । পরে নিজেকে সান্তনা দিলাম পরের আয়াত পড়ে যে যদি সমান বিচার করতে না পারো একটাই ঠিক, যেহেতু আরবি আমার ভাষা না সেহেতু অনুবাদকদের উপর ভরসা না করে উপায় নেই, আর সেই সময় প্রযুক্তির এত উন্নত ব্যবহার হয়নি ধর্মের বিষয়ে। আমি মনে মনে ভাবলাম, ধরে নিলাম আমার চার বউ। আমি কাজের মানুষ কাজ করে বাসা ফিরি রাতে, আমার চার বউ সাজু গুজু করে চার বাড়ির চার দরজায় দাড়িয়ে আছে, সবাই আজকে আমাকে আশা করছে, তো আমিতো আমার অস্তিত্ব কে চার ভাগ করতে পারবোনা, সারা রাত থাকলাম নাকি রাতের কিছু সময় সেটা বিষয় না, বিষয় হলো আগে কার বাসায় গেলাম, প্রথমে যার রুমে যাবো সেতো খুশি কিন্তু বাকি ৩ জন তো ভাববে আমি তাদের উপেক্ষা করেছি বা যার কাছে আগে আসছি তাকে প্রাধান্য দিয়েছি, তাহলে কি তারা কষ্ট পাবেনা? তবে কি সমান বিচার হলো? সুতরাং আমাকে দিয়ে বহু বিবাহ হবেনা। আর এত নিয়ম না থাকলেও এমনিতেই হতোনা কারণ আমার আবার সম্পর্ক ভালোবাসা এসবে একটু ভিন্নতা আছে।

যাই হোক চার বিয়ে নিয়ে আমার মনে এত বছর আল্লাহর উপর একটা অভিমান ছিলো, আবার বিশ্বাসও ছিলো কোথাও একটা ভুল হচ্ছে আমাদের। আল্লাহ তার বান্দার হার্ট ব্রেইন বানিয়েছেন, তাদের আবেগ ইমোশান মান অভিমান সব তার হাতে বানানো। তিনি বাকি তিনজন নারীর মনের অবস্থ্যা অবশ্যই জানেন। এই বিশ্বাস আরো শক্ত হলো সুরা নিশায় বউ পিটানো নিয়ে ।

দাররা শব্দটার দুটো অর্থ, একটা হলো প্রহার করা। দাররা কে যখন আল্লাহ প্রহার হিসেবে বুঝিয়েছেন কোরাণে সকল যায়গায় তখন কি দিয়ে কাকে পেটাতে হবে বা প্রহার করবে সেটা বলে দিয়েছেন, যেমন মুসাকে আঃ কে বললো তুমি লাঠি দিয়ে পাথর কে আঘাৎ করো, লাঠি দিয়ে নিল নদের পানিকে আঘাৎ করো , ইত্যাদি। বউ পেটানোর সময় আল্লাহ কি দিয়ে পেটাতে হবে সেটা বলেননি। হুজুর রা বের করলো মেসওয়াক দিয়ে মারা যাবে, তাও চেহারায় না , শরীরের অন্য জায়গায় । এই বলদদের কে বুঝাবে যে ভাই, মার তো মারই। একটা মানুষ পুকুরে পড়ে মরুক আর আটলান্টিক সাগরে ডুবে মরুক, মরা তো হবেই, নাকি মরার মর্যাদা বাড়বে কমবে? সে যাইহোক অনেক লম্বা কথা এই বিষয়ে ।

আসলে কোরাণ আরবি হওায়াতে হুজুররা মাণ্জা মারা অনুবাদ করে আমাদের কি নাচানটাই নাচাইলো গত ১৪০০ বছর ধরে। আসলে অনুবাদ বিষয়টাই একটু কম্পলিকেটেড হয়, যেমন ধরুন আপনাকে যদি বলা হয় ডিকশনারী খুজে হেড মাষ্টারের অনুবাদ করো, আপনি যাবেন আগে হেড খুজতে , পাবেন মাথা, পরে যাবেন মাষ্টার খুজতে পাবেন শিক্ষক, এক সাথে দাড়ালো মাথার শিক্ষক। বিষয় গুলো এমনি। যেমন হিন্দুদের স্মৃতি আর পুরানকে হিন্দিতে অনুবাদ করতে গিয়ে তারা ৪ জন হেল্পিং হ্যানড থাকবে মানে সাহায্যকারী বন্ধুকে বানিয়ে দিলো চার হাত বিশিষ্ট একজন দেবতা।

অনেক চমৎকার লজিক আপনার, এতে কোন সন্দেহ নেই, আপনাকে আমি নজরে রাখলাম, নিজেরতো ভাই এত মেধা সময় নেই খুজে খুজে সমস্যা সমাধান করার, আপনারাই ভরসা উপরের আল্লহর মর্জিতে।

শুভ কামনা

৪৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:০৯

Amimul বলেছেন: @শার্দুল ২২ - ভাই হিন্দু হলে মুসলিমদের যতোই পথভ্রষ্ট করার চেষ্টাই করেননা কেনো কোনো ফায়দা নেই, মুসলিম কখনো কোনো ভাড়া করা টাট্টুর কথা শুনে ইমান কেনো নিজের মন্তব্যও চেঞ্জ করে না।
হিন্দুরা যে টাকা দিয়ে কিছু ভাড়া করা টাট্টু বাজারে ছেড়েছে এইযে তার প্রমান:

প্রমান ১ঃ Click This Link

প্রমান ২ঃ Click This Link

আর কুরআন মাজীদ নিয়ে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার মুসলিম একটা বাচ্চাও বুঝে ও বলবে কি নাদান তারা। একটা বাচ্চার থেকেও ছোটো মস্তিষ্ক নিয়ে ঘুরে এই ইসলাম এর শত্রুরা।
আর কি হাস্যকরভাবে কাজ করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.