নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরবানি ও আমার ভাবনা

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১০

কুরবানী ও আমার ভাবনা
============= মোঃ খুরশীদ আলম

আমাদের ধর্মকর্ম অনেকটা আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে।বলছি এজন্য যে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানগুলো আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে পালন করলেও আমাদের বাহ্নিক ও অভ্যন্তরীন চারিত্রিক অবকাঠামোগত পরিবর্তন তেমন একটা চোখে পড়ে না। ফলে সামাজিক অবস্থা অপরিবর্তিত থাকে। সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের পূর্বশর্তই হলো ব্যক্তিচরিত্রের পরিবর্তন । আর ব্যক্তিচরিত্রের পরিবর্তন ঘটতে পারে একমাত্র ধর্মীয় অনুশাসন সমূহ ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুযায়ী যথাযথভাবে পালনে অভ্যস্থ হওয়ায়।
আসছে কুরবানি, সারা বিশ্বের মুসলমানদের 2য় বৃহত্তম খুশীর দিন। পশু কুরবানীর মধ্য দিয়ে মুসলমানগণ দিবসটি পালন করে থাকে। সাম্য মৈত্রি আর হিংসা বিদ্বেষ ভুলে সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করার যে আহ্বান পবিত্র “ঈদুল আযহা” আমাদের দিয়ে যায় তার কতটুকু আমরা বাস্তবায়িত করি তা ভাবনার দাবী রাখে।
কুরবানি কি, কেন , তা হয়ত শাব্দিক এবং আভিধানিক অর্থে আমরা সবাই জানি। তবে, কুরবানি কেন, কোন প্রেক্ষাপটে এর আবির্ভাব তা কতটুকু উপলব্ধি করতে পারি ? শুধুমাত্র পশুর গলায় ছুরি চালিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হাত তুলে বসে থাকাই কুরবানি নয় । এ ‍উপলব্ধিটুকু আজ বড় প্রয়োজন।
এক বন্ধু বলেছিল এবার নাকি গরু দিয়ে কুরবানি দিতে পারবে না। প্রশ্ন করলাম, কেন? উত্তরে বললো তার সব ছেলেরা এবার সমান ভাবে টাকা দিচ্ছে না। অপর বন্ধু বলল গরুর দাম চড়া হলেও কিছু করার নেই। গরু দিয়েই কুরবানি দিতে হবে কেননা তার বাসায় ছাগলের মাংস কেউ খায় না। আশ্চার্য় হলাম, ভাবটা এমন যেন আল্লাহ তাদের উপর কুরবানির আদেশ চাপিয়ে দিয়েছেন। ফলে সামর্থ্য না থাকলেও আবশ্যই আদায় করতে হবে। আসলে, আমরা শিখি না, শিখার চেষ্টাও করি না। জানা উচিত, যে আমল ফরয তার মাসয়ালা-মাসায়েল জানাও ফরয। যে এবাদত ওয়াজিব তার মাসয়ালা-মাসায়েল তথা নিয়ম কানুন জানাও ওয়াজিব। মাসয়ালা মাসায়েল জানা না থাকার কারণে বে খবর বে আমল মুসলমান “হু” শুনে হুশ হারিয়ে ফেলে।
ইব্রাহিম আঃ যৌবন বয়স থেকেই আল্লাহর দরবারে পরম আকুতি মিনতি করেন যেন তাকে একটি ছেলে সন্তান দান করা হয়। ছেলে তার নবী হবে মনে বড় বাসনা। বৃদ্ধ বয়সে আল্লাহ তাকে ঈসমাইল আঃ কে দান করলেন। আল্লাহর হুকুমে চোখের মনি হযরত ঈসমাইল আঃ কে কুরবানি করতে উদ্যত হলেন আল্লার নবী। ছেলেও প্রস্তুত। যেমন বাপ তেমন তার ছেলে। হবেই বা না কেন? এ যে মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সঃ এর বংশধারা।
আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সন্তানের গলায় ছুরি চালালেন । উদ্দেশ্য একমাত্র আল্লাহকে রাজি খুশি করানো, গোশত খাওয়া নয়। এখানে নিয়্যতই ছিল মূখ্য। আল্লাহ খুশী হলেন, ঈসমাইল আঃ এর পরিবর্তে জান্নাতের পশু কুরবানি হলো। আল্লাহ বললেন খাও ও আনন্দ কর। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যার নিয়্যত শুদ্ধ তার কুরবানি শুদ্ধ। ইবরাহিম, ইসমাইলও মুসলমান ছিলেন আর আমরাও মুসলমান। ধর্ম একই পরিবর্তন হলো নীতি রীতি।
আমাদের সমাজে লক্ষ টাকা ব্যয় করে পশু কুরবানি দেওয়া অনেকের জন্য সহজ কিন্তু আরামের ঘুম হারাম করে ভোরে দুই রাকায়াত সালাত আদায় করা অনেক কঠিন, সরকারী অর্থ লোপাট করা, 2 টাকার বিল 200 টাকা দেখানো হতে বিরত থাকা অনেক কঠিন, অন্যের হক নষ্ট করা অনেক সহজ, মাজলুমের মাথায় হাত বুলানো অনেক কঠিন। তবে, কুরবানি কি? কেবলই গোশত খাওয়া ? আল্লাহর দরবারে এ রক্ত, মাংসের কোন মূল্য নেই। তোমার শুদ্ধ নিয়্যত ছাড়া।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.