নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংসারের সুখ ► যাহা মান্য করা প্রয়োজন

২১ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪


সংসারের সুখ ► যাহা মান্য করা প্রয়োজন
====== মোঃ খুরশীদ আলম ।

►►► সূচনায় বলি, আমি কোন বিশেষজ্ঞ নহি, ভাল পাঠক বা লেখক কোনটাই নহি। তবে এখন যে লেখাটি লিখিলাম তা অনেকটাই বাস্তব হইতে শিক্ষা লইয়া। উপদেশ দিবার মতো আমার কোন যোগ্যতা নাই। তথাপিও যদি কাহারও কাজে লাগে হেতু এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। ◄◄◄
► ভগ্ন হৃদয়ের অধিকারী পুরুষগণ কি করিতে পারে? তাহাদের দৌড়াত্বই বা কতটুকু। না পারে পঞ্চায়েত ডাকিতে, না পারে থানায় বড়বাবুর স্মরনাপন্ন হইতে। আদালতের দ্বারস্থ হইতে পারে কি? জনজনে বুঝাইতেও পারে না। যাহা পারে তাহা হইল হয়তো রাক্ষুসী বধ করিতে নয়তো আত্নহুতি দিতে। আরো একখান কম্ম তাহারা সুচারুরুপে করিতে পারে। নির্জনে বসিয়া অশ্রু বিসর্জন দিতে। ইহাদের নাওয়া-খাওয়া সংসার ধর্ম সকলই তিক্ত, স্বাদহীন। আপনারে লইয়া ইহাদের কোন ব্যস্ততা নাই, সকলই যেন দেবীরে তুষ্টিতে নতশীর। গৃহলক্ষীর হুকুম-ফরমায়েশ তামিলেই তাহারা অধীক ব্যস্ত। নয়তো, গৃহলক্ষী রুষ্ট হইয়া স্বরুপে আবিভূহ হইয়া সংসারে অনিষ্টসাধনের প্রকট আশংকা রহিয়াছে।
► আজকাল নারীগণ অধিকার লইয়া সচেতন হইয়াছে। যতোই সচেতন হইয়াছে ততোই দায়িত্বজ্ঞান লোপ পাইয়াছে। অধিকার এবং দায়িত্বজ্ঞান শব্দসমূহ এক করিয়া গুলিয়া ফেলিতেছে। এখন নারীর অধিকার লইয়া রো রো ধ্বনি করার আদম কম নহে। আইনে নারীর আশ্রয়। থানায় কিবা পঞ্চায়েতে, মানবাধিকার কর্মশালায় দু’ফোঁটা অশ্রু বিসর্জন দিতে পারিলেই হইলো। তামাম দুনীয়ার সকলেই ইহার পাস পাস বলিয়া অভিনন্দিত করিবে। নারী অধিকার বলিয়া কথা।
► একাকালে নারী তার স্বামীর পূজা-অর্চনা করিয়া মন জয় করিতে ব্যতিব্যস্ত থাকিত। নয়তো, ভগবান রুষ্ট হইবেন। স্বামীসেবাই যে পরম ধর্ম ইহা সনাতন ধার্মীকেরা হৃদয় প্রাণ দিয়া বিশ্বাস করিত। আর মুসলমান নারীগণ বিশ্বাস করিতে ভালবাসিত যে, “স্বামীর পায়ের নিচে স্ত্রীর বেহেশত।” যে যাহা বিশ্বাস করে তাহা অর্জন করার তরে অধ্যবসায় করে। শতবার চেষ্টা করে, সহস্রবার চেষ্টা করে, লাখো চেষ্টা করিয়াও ক্ষান্ত হয়না। সেকালে ঘর ভাঙ্গাভাঙ্গির কথা কমই শোনা যাইত। হাজার লাঞ্চনা সহিয়াও নারী তার স্বামীর গৃহত্যাগ করিত না, স্বামীর ভিটা কামড়াইয়া পড়িয়া থাকিত। স্বামীগৃহে মৃত্যুকামনা তাহাদের আরাধনা ছিল।
► এই কলিযুগে স্বামীর গৃতত্যাগ, স্বামী কর্তৃক পরিত্যাক্তা, স্বামী হত্যা, স্ত্রী হত্যা, পরকীয়ায় আসক্ত, বিষাক্ত দ্রব্য নিক্ষেপ অতিশয় বৃদ্ধি পাইয়াছে। কিঞ্চিত মনোমালিন্য সংসারে ডাকিয়া আনিতেছে প্রবল বিচ্ছেদ। মাতৃভক্ত সন্তান স্ত্রীকে লইয়া পৃথকান্নে বাস করিতেছে। আবার শ্বাশুড়ীমাগণও বউদিগকে প্রতিপক্ষ ভাবিয়া হিংসার অনলে পুড়িতেছে। বিদেশী সংস্কৃতির অনুকরনে নারী তার অধিকার আদায়ে সব্বোর্চ ত্যাগ স্বিকার করিতেছে। সহজ সরলা, অবলা নারী আজকার যাহার-তাহার দ্বারা প্রভাবিত হইয়া সংসারে অশান্তির কারণ হইতেছে। কি জ্ঞাতীগোষ্ঠি, কি পাড়ার খালা, চাচা সকালেই সুযোগ বুঝিয়া সহজ বউটিকে কুমন্ত্র দিতে আগাইয়া আসে। সুন্দরী হইলে পাড়ার বখাটেটিও উপযাচক হইয়া ভাবির কর্ণে ফুসফুসানি মন্ত্র দিতে থাকে। উপযাচক হইয়া যাহারা অন্যের সংসারে শলা দিতে আসে তাহাদের সংসারেও শোরগোল কিন্তু কম নয়।
► কথায় কহে “ সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে ” গুনবতী অর্ধাঙ্গীনী, বহিন, মা সুযোগসন্ধানী অপরের বিষাক্ত নিশ্বাসের প্রভাবে রুগ্ন হইয়া তাহার রমনীসুলভ গুণ হারায়। স্বামী-স্ত্রীতে কোন্দল বাধিয়া যায়, সুখের সংসারে ভাটা পড়ে, সহধর্মীনিকে তখন রাক্ষুসী-ডাইনী মনে হয়। সংসার ভাঙ্গে, জীবনভর কষ্ট ভোগ করিতে হয়, অপরের ভোগের সামগ্রীও হইতে হয় কখনো কখনো। সংসারে শান্তি প্রবাহ যেন ঠিক থাকে তাহার লক্ষ্যে পুরুষগণকেই আগাইয়া আসিতে হবে, নারীগণও বসিয়া থাকিলে চলিবে না। আমি পুরুষগণকে দূষিতেছিনা, নারীগণকেও পূজীতেছি না। অন্যকেহ যেন সুযোগ না লইতে পারে সজাগ থাকিতে হইবে। সংসার সুখের করার জন্য ইহা পুরুষগণের দাওয়াই। আর রমনীরা যাহা করিতে পারিবেন তাহা হইল,
→ কেহ সংসারের ব্যাপারে পরামর্শ দিতে আসিলে তাহা বিন্দুমাত্রও কর্ণপাত করা চলিবে না।
→ সংসারের মন্দভাল স্বামী্স্ত্রীতেই পরামর্শ করিয়া ঠিক করিতে হইবে।
→ কোন স্ত্রীলোক অন্যের সংসারের বিষয়ে হাসিঠাট্টাসূলভ কথাবার্তা উঠাইলে বা কাহারো মন্দ কথা বলিতে আসিলে তাহাকে মুখের উপর শুধাইয়া দিবে - “ আমি আপনার কাছে কাহারও মন্দ অভ্যাস শুনিতে আগ্রহী নই, দয়া করিয়া আমাকে এসব বলিবেন না। নয়তো, আমি তাহাকে আপনার বিষেয়ে সবিশেষ জ্ঞাত করিব। ”
→ অন্যের ত্রুটি যে আমার নিকট বর্ণনা করিতেছে, সে আমার ত্রুটি অন্যের নিকটে বর্ণনা করিবে না তা সঠিক করিয়া বলা যায় না।
► এহেন চরিত্রের লোকদিগকে কিছু শাস্তির ব্যবস্থা করিবে । যেমন :
♣ গৃহে আমন্ত্রন জানাইবে না।
♣ অতী প্রয়োজন ব্যতীত কথা বলিবে না।
♣ ইহাদিগকে পান, জল, চা, তামাক দিবে না।
♣ সৌজন্য দেখাইয়া গৃহে বসিতে বলিবেনা।
♣ স্বামীর অনুমতি ছাড়া ধারকর্জ দিবে না।
♣ ইহাদের দিকে তাকাইয়া মুচকি হাসিবে না।
মোট কথা ইহাদের এড়াইয়া চলিতে পারিলেই তোমার লাভ। কিছুদিন অতিবাহিত হইলে আপনিই বুঝিতে পারিবে যে, ইহাদেরকে এড়াইয়া তোমার কতখানি সুখ হইয়াছে।
এই সকল কর্তব্যকাজ আমরা সকলেই মানিয়া চলিব। তাহলে আশাকরি সংসারের দুঃখকষ্ট মাথায় লইয়া নিরবে নির্জনে চোখের জল ত্যাগ করিতে হইবে না।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪৬

কানিজ রিনা বলেছেন: আপনি একটু কষ্ট করিয়া সণাতন শরৎচন্দ্রের।
নারীর মুল্য বইখানা মুখস্ত করার অনুরোধ রইল।
ধন্যবাদ

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: কানিজ রিনা, সুন্দর পরামর্শ দেবার জ্নন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। বইটা যদি আমাকে দিতে পারেন তাহলে ভাল হতো।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৪:২২

কানিজ রিনা বলেছেন: লাইব্রেরীতে পাওয়া যাবে। শরৎরচনা বলি অনেক
গুলখন্ড আছে সচীপএ দেখে বের করবেন।
বড় বড় বইএর দোকানে না থাকলে অডার দিবেন।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ, ফর্মূলা দেবার জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.