নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

►দুটি প্রসঙ্গঃ মুক্তিযোদ্ধার মূল্যায়ন, বর্তমান সময় এবং আমার মুক্তচিন্তা

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৩১

►দুটি প্রসঙ্গঃ মুক্তিযোদ্ধার মূল্যায়ন, বর্তমান সময় এবং আমার মুক্তচিন্তা
===== মোঃ খুরশীদ আলম

প্রসঙ্গঃ 1
ভাল কিছু করতে পারা কতটা সুখের, কতটা আনন্দের তা ভাষায় বর্ণনা করা যায় না। বিশেষ করে দশের জন্য, দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার মতো মানসিকতা যারা দেখাতে পারেন তারাযে সর্বকালের, সর্বযুগের শ্রেষ্ঠ সন্তান তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। সেই মুক্তিযোদ্ধারা সর্ব্বোচ্চ সুবিধা পাবেন, সর্বক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন এটাই স্বাভাবিক। কারণ যাদের ত্যাগে এদেশ পেলাম তারা যদি নিগৃহীত হয়, অধিকার বঞ্চিত হয় তাহলেতো নিজেদের অস্তিত্বের সাথেই দ্বিমুখীতা করা হয় বলেই আমি মনে করি। অথচ তিক্ত হলেও সত্য, অনেক মুক্তিযোদ্ধারা ভাতা পাননা, হতদরিদ্র জীবন যাপন করেন, যা কারোই কাম্য নয়।আবার কেউ কেউ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আত্নীয় পরিচয়ে বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা ভোগ করে থাকেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সদাসয় সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মূল্যায়ন করবেন বলে আমি মনে করি। কেননা মুক্তিযোদ্ধারা কারো একার নয়, কোন দলের নয় বরং তারা পুরো জাতির সম্পদ, তারা সকলের গৌরব। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা প্রণয়ন, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ছাটাই প্রকল্প চালূকরণ, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পাঠ্য তালিকায় স্থান দেয়াসহ দুর্নীতি, সন্ত্রাস, ঘুষ, চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর হস্তক্ষেপ, সর্বত্র আইনের সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকারের উদ্যোগি ভূমিকাই উক্ত সম্পদের (মুক্তিযোদ্ধাদের) যথাযথ মূল্যায়ন হবে বলে আমি মনে করি। তার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা আত্নীয় পরিচয়ে কেউ যেন বাড়তি সুবিধা আদায় করতে না পারে তাও দেখতে হবে কেননা মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে পিতা যে সাহস ও বীরত্বের সাথে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তা হয়তো সন্তানের দ্বারা সম্ভব নাও হতে পারে। সাহসের অভাব বা অন্য কোন কারণে সন্তানের ভূমিকা হয়তো ভিন্নও হতে পারতো। তাই মুক্তিযোদ্ধার নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ যেন ধোঁকা দিতে না পারে তাও দেখতে হবে।

প্রসঙ্গঃ 2
আজকাল হরহামেশাই আইন হাতে তুলে নেয়ার ঘটনা ঘটছে। রাস্তায় দুর্ঘটনা কবলিত মানুষকে ঘিরে মানুষ তামাশা করে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় না বিপদে পড়ার ভয়ে। ইভটিজিং, মাদক, চোরাচালান, মানব প্রাচার, ঘুষ বানিজ্য যেন সমাজের অনুসঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সর্বত্র হাহাকার, অসহায়ের আর্তি, দুর্বলের চিৎকার আকাশ-বাতাস ভারি করে তুলেছে। এ অবস্থা থেকে এখনই উত্তোরন না ঘটলে সভ্য সমাজ তার বাসযোগ্য প্রথিবী হারাবে। ঘরে বাইরে যে যেখানে আছি সেখানেই মানবতার চর্চা হোক সেই প্রত্যাশায়।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:২৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: যাদের ত্যাগে এদেশ পেলাম তারা যদি নিগৃহীত হয়, অধিকার বঞ্চিত হয় তাহলেতো নিজেদের অস্তিত্বের সাথেই দ্বিমুখীতা-এবং এটাই বাস্তব।। ভেবে দেখবেন।।

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:৪৭

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: জ্বি, আপনি সত্যি বলেছেন। আমি বুঝাতে চেয়েছি মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধার নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ যেন অনৈতিক কোন সুবিধা ভোগ করতে না পারে, অন্যায়ভাবে সুযোগ গ্রহণ করতে না পারে। যারা দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের সব্বোচ্চটাই দেওয়া উচিত বলেই আমি মনে করি।

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৩৬

কি করি আজ ভেবে না পাই বলেছেন: সাহসের অভাব বা অন্য কোন কারণে সন্তানের ভূমিকা হয়তো ভিন্নও হতে পারতো। তাই মুক্তিযোদ্ধার নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ যেন ধোঁকা দিতে না পারে তাও দেখতে হবে।
ভালো বলেছেন

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৫২

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: মূল্যায়নের জন্য ধন্যবাদ ভাই কি করি আজ ভেবে না পাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.