নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

“ তোমরা জাহান্নামের আগুন হতে নিজেরা বাঁচ এবং তোমাদের অধীনস্থদেরকেও বাঁচাও । ”

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৫

“ তোমরা জাহান্নামের আগুন হতে নিজেরা বাঁচ এবং তোমাদের অধীনস্থদেরকেও বাঁচাও । ”

 কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামীদেরকে পুলিশ বিজ্ঞ আদালতে হাজির করে । কারো হাতে হাতকড়া, কারো কোমড়ে দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাধা, কারো পায়ে ডান্ডা বেরী পড়ানো । ‍দূর হতে আসামীদের স্বজনেরা তাকিয়ে থাকে । মাতা সন্তানের জন্য, সন্তান পিতার জন্য, ভাই ভাইয়ের জন্য নিরবে অশ্রু বিসর্জন দিতে থাকে, মাঝে মাঝে আঁচল দিয়ে মা তার চোখের পানি মুছে । এটি আদালত ভবেনের নিত্য দিনের চিত্র । প্রতিদিন এমন দেখি, পুরো সাপ্তাহ, মাস, বছর জুড়ে এ দৃশ্য দেখি । আমি দেখি, আমার সহকর্মীরাও দেখেন । এই দৃশ্যে কোন কৃত্রিমতা নেই, নেই কোন অভিনয়, পুরোটাই সত্য ।
 এই দৃশ্য দেখে একটা কথা মনে পড়ে যায় । দুনীয়ার ক্ষনস্থায়ী জীবনের অবসানের পর জাহান্নামীদেরকে জাহান্নামের রক্ষীরাও এভাবে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাবে । কারো হাতে, কারো গলায়, কারো কোমড়ে আগুনের তৈরী শিকল দিয়ে টেনে হেঁচড়ে জাহান্নামের মধ্যে নিক্ষেপ করা হবে, আর সেখানে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকবে জাহান্নামের আগুন । আহঃ কতো কষ্টেরই না হবে সেই মুহূর্ত (আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করুন) ।
 জনম দুখিনী মা তার সন্তানকে মামলার দায় হতে মুক্তির জন্য টাকা-পয়সা খরচ করে, আইনজীবী নিয়োগ করে । নিম্ন আদালতে হারলে জজ কোর্টে, জজ কোর্টে হারলে উচ্চ আদালতে, সেখানে হারলে সুপ্রীম কোর্টে আপীল করে । কিন্তু আমরা মা, বাবা, সন্তানেরা কখনো কি ভেবেছি আখেরাতের মামলায় হারলে সেখানে আপীল করতে পারবো কিনা ? আখেরাতের মামলা? হ্যা, মরন, কবর, হাশর, মিজান, পুলছিরাতের কথা কি মনে পড়ে, এগুলোইতো আখেরাতের মামলা । দুনীয়ার মামলায় ঘুষ দিয়ে রায় নিজের পক্ষে নেয়া যায় কিন্তু আখেরাতে? হয়তো আমরা ভাবিনি, ভাবার সময়টুকু আমার হয়নি।
 আজ সন্তানের দুঃখ দেখে যে মা বুকফাটা আহাজারি, রোনাজারি আর আর্তনাদে কাতরান সে মা কি কাল কেয়ামতের মাঠে সন্তানকে পরিচয়ে দিবেন, সন্তান মাকে , মা সন্তানকে, অর্দ্ধাঙ্গীকে তার সঙ্গীকে পরিচয় দিবেনা, ভাই ভাইকে পরিচয় দিবেনা । শুধু হায়, আমার কি হবে, সে চিন্তায় সবাই অস্থির হয়ে পড়বে ।
 আমি সন্তানের জন্য সব ‍উজাড় করে দেব । গাড়ি, বাড়ি, নারী, জীবন ভোগের আধুনিক উপকরন সব সন্তানের জন্য বিলিয়ে দেব এটা ভালবাসার নিদর্শন নয় বরং সন্তান যেন মানবতাবোধ শিক্ষা পায়, সন্তান যেন দ্বীন দুনিয়া শিখে, দুনীয়ার হাকিকত সন্তানকে যদি বুঝানো যায় তার জন্য দুনীয়া করা বড়ই সহজ হয়ে যাবে । নয়তো এ সন্তানের জন্য আমাকে এবং সন্তানকেও আখেরাতে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে।
 সে সন্তান বড়ই ভাগ্যবান যার মা তাকে প্রত্যুষে আল্লাহর ফরজ হুকুম (ফজরের নামায) পালনের জন্য তাগিদ দেয় > বেত্রাঘাত করে > ভৎসনা করে > ভাত বন্ধ করে দেয় । সে স্বামী বড়ই দৌলতদার যার স্ত্রী আল্লাহর হুকুম আদায়ের জন্য তার স্বামীকে জাগ্রত করে > চোখে জলের ছিটা দেয় । মূলত এমন মা, এমন সন্তান, এমন স্ত্রী, এমন স্বামীই তো সম্পদ । আমরা এ সম্পদের কদর করিনা । অসুখ হলে রাত ভর জেগে থাকি, ভাল ডাক্তার দেখাই । কখনো কি ভেবেছি রোগের হাত থেকে বাঁচার কৌশলগুলো তাদেরকে শেখানো দরকার । যদি তাই হয়, তবে কেন আমার সন্তানকে, আমার অধীনস্থকে, আমার বন্ধুদেরকে, আমার শুভাকাঙ্খিদেরকে জাহান্নামের আযাব হতে বেঁচে থাকার কৌশল বলবো না । আল্লাহপাক এ বিষয়ের উপর জোর তাগিদ দিয়েছেন “ তোমরা জাহান্নামের আগুন হতে নিজেরা বাঁচ এবং তোমাদের অধীনস্থদেরকেও বাঁচাও । ” আসুন, আমরা সকলে উক্ত আয়াতের উপর আমল করি । নিজের জীবন এবং সকলের জীবন সুন্দর করার পথে ভূমিকা পালন করি । পৃথিবীকে করি দ্বেষমুক্ত, ক্লেশমুক্ত ।




মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:০৭

প্রামানিক বলেছেন: আজ সন্তানের দুঃখ দেখে যে মা বুকফাটা আহাজারি, রোনাজারি আর আর্তনাদে কাতরান সে মা কি কাল কেয়ামতের মাঠে সন্তানকে পরিচয়ে দিবেন, সন্তান মাকে , মা সন্তানকে, অর্দ্ধাঙ্গীকে তার সঙ্গীকে পরিচয় দিবেনা, ভাই ভাইকে পরিচয় দিবেনা । শুধু হায়, আমার কি হবে, সে চিন্তায় সবাই অস্থির হয়ে পড়বে ।

চমৎকার কথা বলেছেন। ধন্যবাদ

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: এটিই সত্যি, সুন্দর সত্যি।

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৭:৫৯

বিপরীত বাক বলেছেন: আখিরাত লাগবে না,, দুনিয়াতেই ভাই ভাই কে দেখে না,, ক্ষতি করার ধান্ধায় থাকে সারাক্ষণ।।

" মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই"".।। এটা একটা বড় মিথ্যে কথা।।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আল মুসলিমু আখুল মুসলিমাত (আল হদীস)- “ এক মুসলমান অপর মুসলমানের ভাই । “ কেউ মানুক আর না মানুক হাদীস কখনো মিথ্যা হয়ে যাবে না । আমার কোন ভাই আমাকে না দেখলেও আমি তার সাথে অনুরুপ আচরন করতে পারিনা। কেননা সবার মন-মস্তিষ্ক, মানসিকতা এক রকম হবে না এটাই সত্য। কোন কোন ক্ষেত্রে ভাই ভাইকে দেখে না এটা যেমন সত্যি তেমনি কোন কোন ভাই ভাইয়ের জন্য জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেয় এটাও সত্য। আসমানের দিকে আপনি যা ছুড়ে দিবেন পরক্ষনে তাই আপনার দিকে তেড়ে আসবে।

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:১৪

বিপরীত বাক বলেছেন: যে ভাই ভাইয়ের জন্য জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেয়, সে মরলে তো লাভের গুড় পিপড়ায় খেল,, আর বেচে থাকলে জাহান্নামের পথে অগ্রগামী থাকে।।

৪| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:২৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: মানুষ তার দৃষ্টিভঙ্গির দ্বারা পরিচালিত হয়।

৫| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩১

বিপরীত বাক বলেছেন: মোদ্দা কথা,,""" মুসলমান মুসলমান ভাই ভাই,"" এটা একটা নির্জলা মিথ্যে কথা।। সম্ভবত এটা বাংলা মেড হাদীস।।। অন্যান্য মুসলিম দেশ এইসব বাংলা মেড হাদীস চোদে না।।। কারণ তারা ক্ষুদ্র ব্যক্তস্বার্থ বা গোষ্ঠী স্বার্থ উদ্ধারে ধর্ম ব্যবহার করে না।।।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫০

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: নাউযুবিল্লাহ ।

৬| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ ভোর ৫:০৯

বিপরীত বাক বলেছেন: মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন:
মানুষ তার দৃষ্টিভঙ্গির
দ্বারা পরিচালিত হয়।

এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতাও একটা বিবেচ্য বিষয়।। আর অনেক ভুয়া হাদিস আছে।। এটা সর্বজনবিদিত।। তাই শিউরে উঠার কিছু নেই।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.