নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

“ একে নষ্ট করে দশে কষ্ট পায়”

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৬

“ একে নষ্ট করে দশে কষ্ট পায়”
স্কুলে পড়াকালীন সময়ে বাসা হতে প্রায় 1 মাইল পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতে হত। সেই সময় উপ পলিশ কমিশনারের অফিসের সামনে ডিউটিরত দুজন কনস্টেবলকে আসা যাওয়ার পথে সালাম দিতাম। পুলিশ দেখলে মনে শ্রদ্ধা জেগে উঠত। আর ভিতরে ভিতরে পুলিশ পুলিশ ভাবটা মনে বেশ র্কা্যকর ছিল। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি শিশুকালের এই মায়ায় কোন খুত ছিল না। ছোটবেলা বন্দর হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ একজন পুলিশের লাশ দেখে খুব কষ্ট লেগেছিল। সেই স্মৃতি আজো মনে পড়ে।
মানুষ মানুষকে ভালবাসে, শ্রদ্ধাকরে, ভয় করে, সম্মান করে। ভয়ভীতি সম্মান শ্রদ্ধা মনের গভীর থেকে উদঘাটিত হয় এবং দৃষ্টিভঙ্গির দ্বারা পরিচালিত হয়। অবশ্য পরিবেশ পরিস্থিতি ঘটনার পরিক্রমা অনেক সময় মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিরও পরিবর্তন ঘটায়।
মানুষের কাছ থেকে মানুষের ভাল আচরণ, ভাল ব্যবহার পাওয়া ধর্মীয় এবং রাষ্টীয় অধিকার। সকল পেশার মানুষকে শ্রদ্ধা ও সম্মানের দৃষ্টিতে দেখা উচিত হলেও কোন কোন পেশার মানুষ তারও বেশী পাওয়ার হকদার বলে আমি মনে করি। যেমন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
4 নভেম্বর 2015 তারিখে ঢাকা আশুলিয়া চেকপোষ্টে কর্তব্যরত পুলিশ কনস্টেবল মুকুল হত্যা এবং এর পূর্বে পুলিশ হত্যা জনমতে ভীতি এবং হতাশা সঞ্চার করেছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর প্রতি আক্রমন জনগণের অসহায়ত্বকে আরো প্রকট করে তুললো। কেন এই হত্যাকান্ড? 16 কোটি জনগনের নিরাপত্তায় যারা জান মাল নিদ ঘুম হারাম করে নিশ্চিত করে তারা যদি হত্যাকান্ডের , সন্ত্রাসী আক্রমনের শিকার হয় তাহলে সাধারন জনগনের শেষ আশ্রয়স্থল কোথায় তা ভাবার সময় এসেছে। ঘটনার প্রেক্ষিতে সন্ত্রাসীদের গুলি করার নির্দেশ পরিবেশ পরিস্থিতিকে কতটুকু ঠান্ডা করবে তাও ভাবতে হবে।
কথায় বলে “ একে নষ্ট করে দশে কষ্ট পায়” রাস্তায় চাঁদাবাজি, অবৈধ লেনদেনে আসামীকে ছেড়ে দেয়াসহ বিভিন্ন কারণে অকারণে পুলিশের ভাবমূর্তি নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে। আবার কথাও ঠিক যে, দেশের সকল পুলিশ দুর্নীতিগ্রস্থ নয়। অর্থের বিপরীতে পেশাকে কলংকিত করে এমন পুলিশ খুব কম আছে। তবে, দু’এক জনের জন্য পুরো ডিপার্টমেন্ট প্রশ্ববিদ্ধ হয়। জনগণ যদি পুলিশের সাথে থাকে সন্ত্রাসীরা মজবুদ ভাবে দাঁড়াতে সক্ষম হবে না। তাই জনগণের বিশ্বাস আস্থা আগে অর্জণ করতে হবে। রাজণৈতিকভাবে ব্যবহার হওয়া যাবে না। নেতাদের সাথে অপ্রোয়জনে সখ্য গড়া যাবেনা। জনগণের সমস্যাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আগাতে হবে। সাধারন জনগন যেন ভোগান্তির সিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা পুলিশ জনগনের বন্ধু সেই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে প্রশাসনকেই এগিয়ে আসতে হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তাই জনগণের বিশ্বাস আস্থা আগে অর্জণ করতে হবে। রাজণৈতিকভাবে ব্যবহার হওয়া যাবে না। নেতাদের সাথে অপ্রোয়জনে সখ্য গড়া যাবেনা। জনগণের সমস্যাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আগাতে হবে। সাধারন জনগন যেন ভোগান্তির সিকার না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা পুলিশ জনগনের বন্ধু সেই ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে প্রশাসনকেই এগিয়ে আসতে হবে। ++

আপনি বললেন এই কথা ! আর তারা কি বলল- গুলির ওপেন অধিকার দিয়ে দিল! এই গুলির হুকুমের যে মিস ইউজ হবে না নিশ্চয়তা কে দেবে? ব্যক্তিগত শত্রুতাকে জঙ্গি আর এইরকম হামলার আড়ালে ফেলে যে বাস্তবায়িত হবে না কে নিশ্চয়তা দেবে- যেমন হয়েছিল রক্ষী বাহিনীর আমলে! শত শত হাজার হাজার নিরপরাধ জিবন দিয়েছিল- ভিন্নমতের কারণে!

আর তারা যেভাবে একদিকে ঝুকে পড়েছে- পুলিশ প্রদান সহ বহু পলুিশ কর্মকর্তার বক্তব্য শুনে মনে হয়- আওয়ামী কোন নেতা কথা বলছে! রাষ্ট্রতো শুধু আওয়ামীলিগের একার নয়!
তবে কেন অন্ধ দলীয় আনুগত্য করতে গিয়ে নিজেদের দাসানুদাস করা!!!!!!?????

বিরোধি দল দমনে কেন আগ্রাসী দলিয় কর্মীর মতো আচরন?

পুলিশকেও দলীয় অন্ধ চামচামী বন্ধ করতে হবে! আর যে সব দুবৃত্ত হামলা করছে তাদেরও বোঝা উচিত- পুলিশ এই দেশেরই নাগরিক। সকলেই এক নয়। একের দোষে অন্যে যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সকলের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, প্রত্যাশা করি ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.