নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের দৃষ্টিতে দেনমহর ও বর্তমান পেক্ষাপট

১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫১

ইসলামের দৃষ্টিতে দেনমহর ও বর্তমান পেক্ষাপট

শান্তির ধর্ম ইসলাম দুনীয়া ও আখেরাতের স্থায়ী মুক্তি ও কল্যানের জন্য যে পথ-পদ্ধতি, তরিকা আমাদের সামনে তুলে ধরেছে তা নিছক কোন আনুষ্ঠানিকতা বা লৌকিকতার বেড়াজালে আবদ্ধ থাকেনি। বরং তা ব্যাক্তি থেকে ব্যাক্তি, সমাজ থেকে সমাজে, দেশ হতে দেশান্তরে ছড়িয়ে অন্ধকারকে আলোকিত করেছে, পশ্চাদপদকে অগ্রগামী করেছে, অমানবিতার শিকড় উপড়ে মানবিকতা প্রতিষ্ঠা করেছে, ধনী গরীবের বৈষম্য দূর করেছে, জাতভেদের কবর রচনা করে রাজাপ্রজাকে এক কাতারে শামিল করেছে। সাড়ে চৌদ্দশত বছর পূর্বে মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের প্রচারিত ধর্ম ইলমামই শুধু নয়, এর পূর্বেও আসমানী কিতাবধারী ও অন্যান্য নবীরাসুলগণের মিশনে সাড়া দিয়ে যারা একত্ববাদ স্বীকার করে নিয়েছেন তারা সকলেই দুনীয়াবাসীর প্রেরণা এবং আদর্শ হয়ে ইতিহাসে নিজেদের আসন সুউচ্চ করেছেন। নবুওয়াতের ধারাবাহিকতায় মুহাম্মদ (স) মূলত তার পূর্ববর্তী নবীরাসূলগণের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এই ধারার সফল সমাপ্তি টেনেছেন। তিনি ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে যেমন সফলতার ছাপ রেখেছেন তেমনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত হয়েছেন একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে। আল্লাহর হুকুম-আহকাম অনুশীলনের মাধ্যমে দেখিয়েছেন কিভাবে আদর্শ সমাজ গড়তে হয়। কিভাবে সৃষ্টির সেরা মানুষ নিজের মনুষ্যত্বকে জিইয়ে রাখে।

সেই নবী (স) এর আদর্শের একটি বিশেষ দিক সম্পর্কে আলোচনা করার নিয়্যত রাখি আল্লাহ যদি কবুল করেন।
## মহর কি ? ##
মহর স্ত্রীর অধিকার এবং তার নিজস্ব সম্পদ, আবশ্যই পরিশোধযোগ্য ঋণ বিশেষ যা স্বামী কতৃক স্ত্রীকে পরিশোধ করতে হয়, স্ত্রীর কোন অভিভাবক বা প্রতিনিধিকে নয়। জাহেলি যুগে স্ত্রীলোকদের মহরের ব্যপারে নানা প্রকার জুলুম নির্যাতন চালু ছিল।
► মেয়ের অভিভাবকরাই মোহর আদায় করে তা আত্নসাৎ করে ভোগ করত। ফলে মহরের মালিকের হাতে (স্ত্রীর) তা পৌছাত না।
► সেই সময় মহর পরিশোধ করাকে মনে করা হতো জরিমানা পরিশোধ করা হচ্ছে।
► স্ত্রীকে অসহায় মনে করে অনেক স্বামীই বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করে স্ত্রীর মহর মাফ করিয়ে নিত।
কোরআন এসকল জুলুম নির্যাতন কঠোরভাবে বন্ধ করেছে । আল্লাহ পাক ফরমান “ আর তোমরা স্ত্রীদের মোহর দিয়ে দাও খুশীমনে। তারা যদি খুশী হয়ে তা থেকে অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর।” (সূরা নিসা- 04)
উপরোক্ত আয়াত হতে স্পষ্ট প্রতিয়মান হচ্ছে যে, স্ত্রীর মহর রাগ করে নয়, জরিমানা মনে করে নয়, লস বা ক্ষতি মনে করে নয় বরং খুশী মনে পরিশোধ করে দিতে হবে। স্ত্রীর অভিভাবককে নয় বরং তা স্ত্রীকেই পরিশোধ করতে হবে। এই মহর স্ত্রীর নিজস্ব, যেখানে চায় খরচ করতে পারবে। বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে, ফুসলিযে-ফাসলিয়ে, তালবাহানা করে, চাপ সৃষ্টি করে স্ত্রীর নিকট হতে মহর ক্ষমা করিয়ে নেওয়ার কোন সুযোগ নাই। স্ত্রী যদিওবা স্বামীর চাপে পড়ে মহরের দাবী ত্যাগ করে তথাপিও তা আদায় হয়েছে কিংবা মাফ হয়েছে মর্মে গণ্য হবে না। বরং তা জুলুম বলে গণ্য হবে। জুলুম সম্পের্কে বলা হয়েছে- “সাবধান; জুলুম করো না, মনে রেখ, কারো পক্ষে অন্যের সম্পদ তার আন্তরিক তুষ্টি ব্যতীত গ্রহণ করা হালাল হবে না।” (মেশকাত শরীফ) এ হাদীসটি এমন একটি মূলনীতির নির্দেশ দেয় যা সর্বপ্রকার প্রাপ্য ও লেনদেনের ব্যাপারে হালাল এবং হারামের সীমারেখা নির্দেশ করে।
## উপরোক্ত আলোচনা হতে যা স্পষ্ট হলো ##
► দেনমোহর স্ত্রীর প্রাপ্য হক বা অধিকার
► স্বামীর জন্য এটি স্ত্রীর প্রাপ্য ঋণ
► স্ত্রীকেই প্রদান করতে হবে
► দেনমোহর পরিশোধ না করলে গুণাহগার হতে হবে।
## আমাদের সমাজে বিবাহের পদ্ধতি ##
সাধারণত আমাদের সমাজে বিবাহের দুটি পদ্ধতি প্রচলিত। একটি হচ্ছে অভিভাবক কর্তৃক বিবাহের পাত্রপাত্রী নির্বাচনের মাধ্যমে যা সামাজিক আচার-আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক পাত্রপাত্রী পরস্পর পরস্পরের সম্মতিতে কিন্তু অভিভাবকের অনুমতি ব্যতীরেকে অনুষ্টিত বিয়ে। আধুনিকতার ছোঁয়ায়, অবাধ স্বাধীনতার অজুহাতে এবং মিডিয়ার কল্যানে দ্বিতীয় পদ্ধতিটি আজকাল বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বিশেষ করে আধুনিক শিক্ষিত যুবক-যুবতীদের কাছে।

=দেনমোহর বিষয়ে শরিয়তের ফায়সালা =
যেহেতু মুসলিম সমাজে বিয়ের প্রাক্কালে দেনমোহর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই এ বিষয়ে শরিয়তের ফায়সালা জেনে রাখা প্রয়োজন।
► মহর ছাড়া বিবাহ হতে পাড়ে না। বিবাহ পড়ানোর সময় মহরের কথা উল্লেখ থাকুক বা না থাকুক বিবাহ হয়ে যাবে এবং মহর দিতে হবে। এমনকি, যদি কেহ মহর না দিবার কথা উল্লেখ করে বিবাহ করে, তবুও মহর দিতে হবে। ( কারণ মহর ছাড়া বিবাহ হয় না।)
► যদি বিবাহের সময় মহর কত হবে তা উল্লেখ না করা হয় অথবা শর্ত দিয়ে বিয়ে করে যে, কোন মহর দিবে না, তবুও, স্বামী-স্ত্রীর কোন একজন মারা গেলে বা বাসর ঘর হয়ে গেলে পূর্ণ মহর দিতে হবে।

=প্রচলিত কুসংস্কার; নিরসন হওয়া প্রয়োজন =

উল্লেখিত প্রথম পদ্ধতিটির ক্ষেত্রে কন্যার অভিভাবক সাধারণত সর্ব্বোচ্চ দেনমোহর কাবিননামায় উল্লেখ করার মানসিকতা পোষণ করেন। আবার কেউ কেউ বরকে বুঝান যে “ আরে ভাই, কোটি টাকা দেনমোহর ধার্য্য্ করলেও সমস্যা কোথায়, মোহর তো তোমাকে এখন দিতে হচ্ছেনা, বউয়ের কাছে পরে মাফ চেয়ে নিও ।” কন্যার অভিভাবকরা দেনমোহরকে কন্যার ভবিষ্যত সিকিউরিটি বা নিরাপত্তা বলে মনে করেন। অর্থাৎ কন্যার অভিভাকরা মনে করেন কোন কারণে স্বামী্স্ত্রীতে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটলে কন্যার দেনমোহর আদায় করা যাবে। এখানে দুটি ভূল দৃশ্যমান : -
► অতিরিক্ত দেনমোহর ধায্য করে বরের পক্ষে তা আদায় না করা (বরের সামথ্যের মধ্যে ধায্য করলে বিয়ের সময় তা পরিশোধ করতে সক্ষম হতো)
► বিয়ের মতো পবিত্র একটি বন্ধনের সূচনাতে সুন্নতের আমল থেকে দূরে সরে যাওয়া। (প্রতারণার আশ্রয় নেওয়া)
দ্বিতীয় পদ্ধতির বিয়েতে অর্থাৎ পাত্রপাত্রী স্বেচ্ছায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে সাধারনত প্রাথমিক পর্যায়ে দেনমোহর নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি সৃষ্টি হয়না। প্রেমীকার ভালবাসার মোহে অন্ধ প্রেমীক গোটা ‍দুনীয়াটাই দেনমোহর হিসাবে দিয়ে দেয় (আবশ্য তা কাগজে কলমে)।পুরুষটির মনে তখন শুধু খাই খাই ভাবটাই কাজ করে, অন্য কিছু নয়। এই ধরনের পরিস্থিতিতে চতুর প্রেমীকা বেশীর ভাগ সময়ই বড় অংক মোহর হিসাবে লিখে নেয়।
উপরের আলোচনা হতে এটা প্রতীয়মান হতে পারে যে, অত্র প্রবন্ধের লেখক বেশী দেনমোহর ধার্য্য করার পক্ষে নয়। মোটেও তা নয়। বরং আমি মনে করি বিবাহের উদ্দেশ্য একটি পরিবার গঠন, শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপন এবং স্বামী-স্ত্রী একত্রে মিল মহব্বতের সাথে জীবন যাপন করে ইহকালীন ও পরকালীর উন্নতি সাধন করা। তাই স্বামী-স্ত্রীতে সামঞ্জস্যতা বজায় রাখা, সংসার জীবনে ভবিষ্যতে অনাকাঙ্খিত সমস্যা এড়ানোর জন্য বিবাহের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে এবং দেনমোহর ধার্য্য করার সময় বিশেষ কিছু দিক খেয়াল করার বিষয়ে আমি পরামর্শ দিব। তা হলো :
► স্বামীর সামর্থ্য নিশ্চিত হওয়া ।
► উপস্থিত ক্ষেত্রে নগদ মহর আদায় করা ।
► পাত্রপাত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে উভয়পক্ষের পারিবারিক অবস্থান, আর্থীক, সামাজিক সঙ্গতিগুলো যেন মোটামুটি সমান হয় সেদিকে খেয়াল রাখা ।
► বংশের দিক দিয়ে, মুসলমান হওয়ার দিক দিয়ে, দ্বীনদারী, পরহেজগারীর দিক দিয়ে, সম্পত্তির দিক দিয়ে, পেশার দিক দিয়ে পাত্র-পাত্রীপক্ষ সমান কিনা সে দিকে বিশেষ নজর দেয়া।
► দেশ প্রথা অনুসারে বা উভয় পক্ষের দ্বারা সাব্যস্ত অনুসারে মহর নির্ধারন করা উচিত।
## কিছু তথ্য জানা দরকার ##
► উভয়পক্ষের দ্বারা সাব্যস্ত মহর নগদ আদায়ের পূর্বে স্ত্রীর কাছে যাবার স্বামীর অধিকার নাই, স্বামীর বাড়ীতে নিয়ে যাবার বা তার বাড়ীতে আবদ্ধ রাখার অধিকারও নাই।
► এমনকি, স্ত্রীর এ অধিকার আছে যে, নগদ মহর না পাওয়া পর্য্ন্ত স্বামীকে কাছে থাকতে না দেয়া, স্বামীর বাড়ীতে না যাওয়া এবং নিজের বাপের বাড়ীতে থেকে যাওয়া।
## শরিয়তের বিধান লঙ্ঘনে আমরা প্রতারণার আশ্রয় নেই; কিভাবে? ##
► বিবাহের সময় লোক দেখানোর জন্য মহর বেশী ধার্য্য করি (না হলে লোকে বলে ওমুকের মেয়ের এত ধরেছে ইত্যাদি)
► বিবাহের সময় মোহর আদায় করিনা। “ দেনমহর/কাবিননামা কি মেয়েরে ভাত খাওয়াবে নাকি” উক্তি করি।
► মহর বেশি মনে হলে পাত্রপক্ষ যৌতুকের দাবীও বাড়িয়ে দেয়।

## দেনমোহর আদায় না করা হলে ভবিষ্যতে যেসকল সমস্যার সম্মুখিন হতে হয় ##
পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা ইসলাম পারিবারিক জীবনে স্বামীস্ত্রীর যাবতীয় কার্যাবলিকে ইবাদত হিসাবে গণ্য করে। স্বামী স্ত্রীর কথোপকথন, আদর-স্নেহ, মেলামেশা ইত্যাদিতে বিপুল সওয়াব নিহিত রয়েছে। পাশাপাশি পারিবারিক জীবনে দুঃখ-দুর্দশা, বৈষম্য-অবহেলার কারণে যদি সংসার চালিয়ে যাওয়া চূড়ান্ত অসম্ভব হয়ে পড়ে তখন বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাকের ব্যবস্থাও ইসলাম রেখেছে। যে সব বিবাহে দেনমোহর বকেয়া থাকে বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তখন শরগোল দেখা দেয়। দেনমোহরের অর্থ আদায়ের জন্য কন্যাপক্ষকে বিজ্ঞ আদালতের স্মরনাপন্ন হয়ে মামলা করতে হয়। একটি নির্দিষ্ট নিয়মের ভিতর দিয়ে উভয়পক্ষ আগাতে থাকে। চূড়ান্ত রায় পাওয়ার আগে পাত্রপক্ষ সাধারণত অন্যত্র বিয়ে করে সংসার করতে থাকে কিন্তু সামাজিক বিভিন্ন কারণে কন্যাপক্ষ তা করতে সক্ষম হয় না। সময়, শ্রম, অর্থ ব্যয় করে কন্যাপক্ষ তার মহরের পুরো অংশ বুঝে পায় না। স্বামী বা আসামীপক্ষ বিজ্ঞ আদালতের কাছে প্রার্থনা করে সময় ক্ষেপন করে যা সমস্যা দূরীকরণে দির্ঘসূত্রীতা সৃষ্টি করে। এভাবে সমাজে বিভিন্ন সমস্যা ও বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পেতে থাকে এবং পারিবারিক অশান্তি ক্রোন্দল লেগেই থাকে।

## পরিশেষে ##
পরিশেষে বলব, শরিয়ত মানুষকে সভ্য করে, নীতি প্রতিষ্ঠা করে, সামাজিক বিশৃঙ্খলার সুযোগ নষ্ট করে দেয়। পক্ষান্তরে শরিয়তের অবমাননা সামাজিক সমস্যা বৃদ্ধি করে, সমাজ ও দেশে অশান্তি ডেকে আনে, পশুত্বকে চাঙ্গা করে দেয়। তাই সমাজ ও দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শরিয়তের পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসরন বাধ্যতামূলক। বিশেষ করে বিবাহের মত একটি নেক ও পবিত্র আনুষ্ঠানিকতা (যার দ্বারা একটি দম্পতির জীবনের নতুন অধ্যায়ের সূচনা ঘটে) যেন মিথ্যার আশ্রয়ে না ঘটে, পুরোপুরি ধর্মীয় রীতিতে যেন হয় এবং স্ত্রীর হক মহর যেন পুরোপুরি আদায় হয় সে বিষয়ে সকলের সচেতনতা খুবই জরুরী ।

{ লেখাটি তৈরীতে আমি বেহেশতি জেওর, তাফসিরে মাআরেফুল কুরআন (সূরা ‍নিসা) এর সাহায্য ‍নিয়েছি। আরো তথ্য জানতে উক্ত কিতাব ‍দুটি দেখতে পারেন । }

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.