নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ : নিয়মানুবর্তিতা সর্বক্ষেত্রে

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৩

প্রসঙ্গ : নিয়মানুবর্তিতা সর্বক্ষেত্রে
( মোঃ খুরশীদ আলম )

ছাত্রজীবনে সময়ের মূল্য, জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য, নিয়মানুবর্তিতা ইত্যাদি পড়েননি এমন মানুষ খুজে পাওয়া দুষ্কর । বুঝে হোক বা না বুঝে হোক, আমরা প্রত্যেকেই পড়েছি এবং ছা্ত্রজীবনের উল্লেখযোগ্য সময় ব্যয় করেছি এগুলো শিখতে এবং গলধঃকরণ করতে ।বিষয়গুলি রপ্ত করার পিছনে সময় ব্যয় করার উদ্দেশ্য কি ছিল? আমরা কি উদ্দেশ্য বিহীন কিছু করি? যেখানে উদ্দেশ্য বিহীন এই ধরাধাম সৃষ্টি হয়নি সেখানে স্বার্থপরতার এই পৃথিবীতে মানুষের প্রত্যেক কাজের পিছনে উদ্দেশ্য থাকবে এটা অতি স্বাভাবিক একটি ব্যাপার । তিক্ত হলেও সত্য যে, ছাত্রজীবনে সময়ের মূল্য, নিয়মানুবর্তিতা, জীবনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সঠিকভাবে বুঝতে পারলে এবং সময় ও নিয়মানুবর্তিতার সঠিক ব্যবহার করতে সক্ষম হলে আজ আমরা যার যার অবস্থানে কিছুটা হলেও উন্নত হতাম, একথা জোর দিয়ে বলা যায় ।
অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে, আজ যারা সমাজের উঁচু তলার মানুষ, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসীন, জীবনের সোনালী সময়টুকু যারা পইপই করে বুঝেশুনে পদক্ষেপ নিয়েছেন অর্থাৎ সময়ের সঠিক ব্যবহার করেছেন কর্মক্ষেত্রে তারা তাদের সময়ানুবর্তিতা বা দায়িত্বের প্রতি কতটুকু যত্নশীল। গৃহ হতে চাকুরীস্থলে, মসজিদ হতে বাজারে কোথায় নিয়মের সহিহ চর্চা? মসজিদে দুনীয়াবি কথা আলোচনা করা নিষেধ থাকলেও এখন মসজিদে ঘরবাইরের সব কথাই হয় । এমনকি নির্বাচনি প্রচারনাও। বাজারে দোকানদার তার ইচ্ছামত দাম হাকলেও অভাবী ক্রেতার কিছুই করার থাকেনা । দোকানদারের সরল উক্তি “ নিলে নাও না নিলে চলে যাও ।” কেননা, নেওয়ার মতো অনেক সামর্থবান ক্রেতা আছেন, টাকার অংক যাদের কাছে মূখ্য নয়, প্যাকেটের বাইরে থেকে দামি কেনাকাটাগুলো অন্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কিনা সেটাই তাদের কাছে মূখ্য।
অফিসের বস, সব সময় নিয়মের কথা বলেন, তিনি যদি সময়মতো অফিসে না আসেন, চার আনার পিয়নকে তিনি যদি বাসার কর্মচারীর মতো ব্যক্তিগত কাজে খাটান, ক্ষমতার বলে তিনি যদি অসহায় কর্মচারীর প্রতি অশোভনীয় দায়িত্ব চাপিয়ে দেন তবে কর্মচারীর চোখে তিনি কি শুধু বস? হয়তো না। অবহেলিত এই সকল কর্মচারীদের হজমশক্তি খুব বেশী। সকল অনিয়ম তারা হাসিমুখে হজম করতে পারদর্শী। তবে সত্য কথা হলো, অনিয়ম কখনো নিয়মকে প্রতিষ্ঠিত করেনা, নিয়ম প্রতিষ্ঠার অন্তরায় হলো অনিয়মকে পশ্রয় দেয়া বা অনিয়মের অনুশীলন করা। জানিনা, আর কতো শিক্ষিত হলে আমরা অনিয়মের বেড়াজাল হলে বের হয়ে সত্য ও সুন্দর প্রতিষ্ঠিত করতে পরব। সর্বক্ষেত্রে নিয়মের সঠিক চর্চা হোক এই স্বপ্ন দেখি। স্বপ্ন দেখি মানুষ মানুষকে মানুষ ভাবতে শিখেছে। ছোট কর্মচারী বড় কর্মচারী ভেদাভেদ দূর হোক।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১২

সুমন কর বলেছেন: পোস্ট ২বার এসেছে।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৬

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ, মনে করিয়ে দেবার জন্য ।

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৩১

রুদ্র জাহেদ বলেছেন: এখন সব অনিয়মই নিয়ম হয়ে যাচ্ছে বোধহয়।করপোরেট ওয়ার্ল্ডে কত জঘন্য আচরন প্রত্যক্ষ হয়

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: জানিনা কবে ঘুম ভাঙ্গবে নিয়ম রচনাকারীদের ।

৩| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৭

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
স্বপ্ন দেখি মানুষ মানুষকে মানুষ ভাবতে শিখেছে।
ছোট কর্মচারী বড় কর্মচারী ভেদাভেদ দূর হোক।


ভাল লাগল আপনার কথা। কিন্তু আমল করার লোক যে বড় কমে যাচ্ছে। এসবে গুরুত্ব নাই। হজম করে যাচ্ছি ...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.