নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

►সংসার ভাঙ্গার নেপথ্যে◄

২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:০২

►সংসার ভাঙ্গার নেপথ্যে◄
======মোঃ খুরশীদ আলম

সংসার ভাঙ্গার হিড়িক যেন লেগেছে সবত্র। আদালতে কাজ করার সুবাধে প্রায়ই সংসার ভাঙ্গার মতো কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছেন এমন দম্প্রতিদের দেখা মেলে।
দির্ঘদিন সংসার করেছেন এমন সংসার যেমন ভাংগে তেমনি মেহেদির রং শুকায়নি এমন দম্প্রতিও তালাক চান ।
কিন্তু কেন ?
শখ করে মানুষ মেয়ে বিয়ে দেয়; এটা জানি।
শখ করে তালাক চান এটা বিশ্বাস করবেন এমন মানুষ আছে বলে মনে হয় না।
তিক্ত ও কঠিন হলেও এটাই সত্য যে, আজকাল অনেকেই তা করছেন।
সমাজে অনেক সমস্যা রয়েছে । কিছু সমস্যা ভূক্তভোগিকেই শুধু নয় বরং তার আশে পাশের সকলকে নাড়া দেয়। কিছু সমস্যা আছে যেগুলো কেউই চায়না।
প্রতিপক্ষের ক্ষতি প্রতিপক্ষ চায়; এটা মানুষের স্বভাবজাত। কিন্তু প্রতিপক্ষের সংসার ভাঙ্গার মতো ক্ষতি কেউ চায় এটা বিশ্বাস করা যায় না।
যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি। রোগ হলে আমরা চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হই কিন্তু কিছু কিছু রোগ আমাদের সুখ শান্তির ভিত্তি নষ্ট করে দিচ্ছে ।
যৌতুকের দাবী মিটানো না পেরে স্ত্রীর আত্নহত্যা, যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে হত্যা ইত্যাদি অনেক আগেই শিরোনাম হয়েছে। কিন্তু প্রকৃত সত্য কি সবসময় এমন হয় ? হত্যা, আত্নহত্যা কি সব সমস্যার সমাধান ? ঘর সংসার ভাঙ্গার নেপথ্যে সব সময় কি যৌতুক দাবীটাই দায়ী ? না এর পেছনে অন্য কোন কারণও থাকতে পারে।
যারা সংসার করেছেন, সংসার করছেন তারা এর উত্তর খুঁজে পাবেন। কিন্তু যারা সংসার করেননি বা করছেন না তাদের কাছে এর উত্তর হয়তো ভিন্ন হতে পারে। তাদের উত্তর নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যথা নেই।
যে সব কারণে সংসার ভাঙ্গার উপক্রম হয় :
► একে অপরকে বোঝার বিষয়ে ছাড় না দেয়া ;
► স্বামী স্ত্রীর ছোট খাট বিষয়ে অনেক সময় মুরুব্বিরা বিশেষ করে স্ত্রী পক্ষের দুলাভাই, ভায়রা ভাই ইত্যাদির উষ্কানিমূলক কথাবার্তা সংসারের শেষ দিন দেখিয়ে দেয়।
► স্বামীর সামর্থ্যকে শ্রদ্ধা না দেখানো;
► স্ত্রীর মতামতকে মূল্যায়ন না করা;
► নিজের সীমিত সামর্থ্যকে স্ত্রীর নিকট সুন্দরভাবে উপস্থাপন না করা;
► অন্যের গুঞ্জন কানে নেয়া;
► কথায় বলে, “যে সহে সে রহে” সহ্ন্য করার গুণ আজকাল খুব কম পুরুষ মহিলার মাঝেই দেখা যায়।
► সহ্য গুণ না থাকায় অনেক সময় স্বামী-স্ত্রীতে ঝগড়া মারামারির মতো ঘটনাও ঘটে।
এসব কারণে ঝগড়ার মধ্য দিয়ে সংসারে ফাটল দেখা দেয় আর তালাকের মাধ্যমে সংসারে ভাঙ্গন চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে।
(দয়াময় আমাদের সবাইকে ধৈর্য্য গুণে গুনান্বিত করুন- আমিন )

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: যথার্থ বলেছেন।

ধন্যবাদ।

২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: কষ্ট করে সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ।

২| ২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:২৬

কানিজ রিনা বলেছেন: সংশার ভাঙার আর একটি প্রধান কারন
পরোকীয়া। পরকীয়ার দাপটে পরিবার বিচ্ছিন্ন
হচ্ছে। পরোকীয়ার ভাঙা সংশারে সবচেয়ে
ক্ষতি গ্রোস্ত হয় সন্তানেরা। বাবা পরোকীয়া
করে অন্যত্র সংশার বাঁধে মায়ের অসহায়ত্ব্য
ছেলে মেয়েরা মানুষীক বিকার গ্রোস্ত হয়ে
পরে। বাবা মায়ের আদর্শ স্নেহ মমতায় যখন
ছেলে মেয়ে আদর্শ শিখে সেখানে লম্পট
লুচ্চা বাবার কাচথেকে বাচ্চারা কি আদর্শ
পাবে।
আমি নিজেও এর ভুক্তভুগী। একজন পিতা
তখনই শ্রেষ্ঠ যখন বাবা সন্তানের কাছে
ব্যক্তিত্ব্য অর্জন করে। একজন চরিত্রহীন পিতা
কখনও সন্তানের কাছে সম্মান পায়না। ধন্যবাদ।

২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩৪

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আপনি শুধু পরকীয়ার পেছনে বাবাদের (পুরুষদের) দোষারোপ করে ক্ষান্ত থেকেছেন। ক্ষেত্র বিশেষে মহিলারাও পিছিয়ে নেই। তবে অনেক ক্ষেত্রে পুরুষরাই এজন্য দায়ী বলে আমি মনে করি। সমস্যা আসলে অনেক গভীরে, লিখেতো শেষ করা যাবে না।

৩| ২২ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: বড় একটা কারণ হচ্ছে কেমন সঙ্গী প্রয়োজন সেটা বিবেচনায় না নিয়ে শুধুমাত্র আবেগের বশে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করা। একারণে প্রেমের বিয়েতেই ডিভোর্স বেশি। নিজের ক্যারিয়ার, লাইফস্টাইলের সাথে সামঞ্জস্য রেখে জীবনসঙ্গী নির্বাচন করা উচিৎ।

২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:০৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: এখানেই ফিরে আসতে হবে শরিয়তের নির্দেশনায়; ধন্যবাদ।

৪| ২২ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৫

কানিজ রিনা বলেছেন: হ্যা খুরশীদ আলম আপনি ভাল কথা বলেছেন
পরকীয়ার সাথে পুরুষ মহিলা দুইজনই দায়ী
বেশীর ভাগ সময় দেখা যায় পুরুষের সাথে
যে মহিলা জড়ায় তার বিবেচনা বোধ খুব কম
থাকে বিবাহীত পুরুষের সংশার আছে জেনেও
যে মহিলা পরোকীয় জড়ায় কারন সেখানে
স্বার্থপরতা অনেক বেশী কাজ করে। একজন
পুরুষ যদি টাকা ওয়ালা হয় তার টাকার
প্রলভনে পুরুষের স্ত্রী সন্তান গোল্লায় যাক।
এধরনের সার্থপরতা কাজ করে। কোনও নারী
অভাবী স্বামীর ঘরে অভাব সয্য হয় না।
আর একজন পয়সা ওয়ালার হাত ধরতে
দিধা করেনা। তাই আমি বলব পুরুষের পাশা
পাশী নারীর অবনতী বেড়েছে বৈকি। এসব
নির্লজ্জ নারী পুরুষ থাকে আলাদা সার্থের
কারনে সবই করতে পারে। ধন্যবাদ।

২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:০৬

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: কানিজ রিনা, অনেক ক্ষেত্রে কেউ কেউ নারীর সরলতার সুযোগ নেয়। বাস্তবতা হলো নারীরা আসলেই সহজ-সরল হয়ে থাকে। একটু আদর-সোহাগ মাখা কথা বার্তা পেলেই গলে যায়।

৫| ২৩ শে মে, ২০১৭ সকাল ১০:৩১

কানিজ রিনা বলেছেন: তবে একথাও সত্য পরোকীয়ার বেলায় বেশীর
ভাগ মেয়েরা লোভের বশীভূত হয়। চতুর
পুরুষ নানান রকম লোভ দেখায়। সরল
মেয়েরা বুদ্ধিমতীও হয় কিন্তু এক্ষেত্রে বুদ্ধি
কাজে লাগায় না।

২৩ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৮

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: জ্বি সত্য, আপনার সাথে আলোচনা হয়ে অনেক জানলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.