নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি

সরকার মাধ্যমিক পর্যায়ে বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বইপুস্তক পৌছে দিচ্ছেন।
নিসন্দেহে এটা সরকারের সফলতা, স্বীকার করতে হবে। ভাবতে ভাল লাগে যে শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতার অভাব নাই। তবে, মাঝে মাঝে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কারণে দায়িত্বশীলদের আন্তরিকতার ব্যাপারে প্রশ্ন জাগে।
তবে চিন্তার কারন হলো, শিক্ষাক্ষেত্রের সর্বত্র নজরদারি আছে কিনা?
সরকার বছরের প্রথম দিন স্কুলে বইপুস্তক সরবরাহ করেন, ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু দেশের বেশিরভাগ স্কুলগুলো বছরের তিন মাস অতিক্রম করার পরেও শিক্ষার্থীদের হাতে সিলেবাস পৌছে দিতে সক্ষম হয়না।
এর পিছনে কোন যৌক্তিক কারণ আছে কিনা আমি জানিনা। এই ধরনের কার্যকলাপ সরকারের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করে কিনা ভেবে দেখবেন।
৫ম, ৮ম ও ১০ম শ্রেণীতে পরীক্ষার পূর্বপ্রস্তুতির পূর্বে বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যালয়ে কোচিং করার বিষয়ে শিক্ষকগণ যোভাবে চাপ সৃষ্টি করেন সেটা অনেকটা বাড়াবাড়ির পর্যায়ে পড়ে। সকল অবিভাবকদের কোচিং খরচ মেটানোর সামর্থ থাকেনা। কোচিং না করলে পরীক্ষায় নাম্বার কমিয়ে দেবার হুমকি দেয়। উপর মহল ওটা জানেন কিনা তা বলতে পারছিনা। এ ব্যাপারে দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বোর্ড হতো যে বই সরবরাহ করা হয় নিঃসন্দেহে সেগুলোর গুনগতমান অনেক উর্দ্ধে। তারপরও বিভিন্ন লেখকদের বই বিদ্যালয়ে পাঠ্য করার পিছনে কিছু শিক্ষকদের দুরভিসন্ধি কাজ করে। ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম পর্যন্ত ইংরেজী গ্রামার ও ব্যাকরন যে নিপুনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তা অনুসারে পড়ানো হলে আর কোন লোখকের বই পড়া দরকার নেই কিন্তু বিদ্যালয়ে ঐ বইগুলো না পড়িয়ে অন্য লেখকের বইকে পাঠ্য করার পিছনে আর্থিকভাবে অবৈধ সুবিধা আদায়ের উদ্দেশ্যই নিহিত থাকে। সব অবিভাবকের আর্থিক সামর্থ সমান থাকে কি না সেটা ভেবে দেখবেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাচ্চাদের মানসিক বিকাশে খেলাধুলার গুরুত্ব বুঝে বিভিন্ন সময় বক্তৃতা দিয়ে থাকেন। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ক্লাশ করার পরে বাচ্চাদের খেলাধুলার সময়টা বের করা কতটা কষ্টকর তা দায়িত্বশীলগণ ভেবে দেখবেন।
৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ১৬ টি বই পড়ানো হয়। মনে হয় সেটা বয়স ও ক্ষমতার তুলনায় অনেক বেশি।
বিদ্যালয় থেকে বাধ্যতামূলকভাবে বেশি দাম দিয়ে খাতা কিনতে হয়। নজরদারি চাই।

শিক্ষাক্ষেত্রে দুরদর্শী নেতৃত্ব চাই। আমাদের সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ গড়ে তুলতে যে সমস্ত বাধার সম্মুখীন আমরা হচ্ছি তার বেশিরভাগই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সৃষ্টি।

মহান শিক্ষামন্ত্রীর মহনুভবতা কামনা করছি।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:২২

হংস বলাকা বলেছেন: ঠিক বলছেন

২| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন:



শিক্ষা মন্ত্রীর কি সময় অাছে এসব পোষ্ট দেখার। তিনি শুধু বুলি প্রশ্রাবে ব্যস্ত।

অাপনারা বিস্বাস করেন অার নাই করেন শিক্ষা ব্যবস্থার ১২টা বেজে ১৩টার কাটায় ঝুলছে।

৩| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

রাজীব নুর বলেছেন: সরকারের ইচ্ছের বাইরে কেউ,ই যেতে পারবে না । অামরা অাশাবাদি হয়ে কোন লাভ নেই । কারন সরকার জানে তারা ক্ষমতার বাইরে জেগে তাদের পরিনতি হবে ভয়াবহ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.