নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গালি দেয়ার অতি প্রাচীন রীতি

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

গালি দেয়ার অতি প্রাচীন একটি রীতি হলো ৪২০ ( ফোর দুয়েন্টি) বলে সম্বোধন করা। সচেতন মাত্রই বুঝতে পারেন এই সংকেত দিয়ে কে কি বুঝাতে চান। কিন্তু...

গালি দেয়ার আরো একটা পুরাতন শব্দ আমাদের মধ্যে প্রচলীত আছে।
আপনি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন কি বলতে চাচ্ছি।

হ্যাঁ “ মীর জাফর” বলে গালি দেয়া । আশ্চর্য যে আজ পর্যন্ত কোন মানুষ তার সন্তানের নাম মীর জাফর রাখে না। শব্দটি একটি ইতিহাস মনে করিয়ে দেয়। কয়েকটি বর্ণের শব্দ অথচ কয়েক শত বছরের গ্লানি বহন করে।

দুঃখ জনক হলো মীর জাফর বলে মানুষ মানুষকে গালি দেয়। অথচ “ রাজ বল্লভ” “ রায় দুর্লভ“ “ মীরন” “ উর্মী চাঁদ” বলে কাউকে গালি দিতে কি কেউ শুনেছেন ? হয়তো শুনেননি। আমরা কি আজব জাতি। তাই না, বাঙ্গালি জাতি। মুসলমান জাতি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: কারণ আছে বটে- বাকী সবার নাম ম্লান হয়ে গেছে চূড়ান্ত বেঈমানের কাছে!

তারা দেশদ্রোহী এবং প্রতারক বটে! কিন্তু সকল প্রতারণার সফল পূর্ন রুপায়নের দায়
কোরআন ছুঁয়ে সেই শপথ ভংগের দায় তাদের উপর নেই- বরং মীর জাফল আরী খানের একারই!

তাই মীর জাফর সবচে বেশি ঘৃনিত! অন্যদের তুলনায়!

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৬

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: প্রত্যেকের কাছেই প্রত্যেকের ধর্মীয় কিতাব আদর্শ ও নীতির ভিত্তি। মীর জাফরের মতো অন্যরাও তাদের ধর্মীয় কিতাব স্পর্শ করে শপথ করেছিলেন কিন্তু সকলেই ভঙ্গ করেছেন, ইতিহাস তা বলে।
তবে যেহেতু মীর জাফর মুসলমান ছিলেন। তাই চূড়ান্ত বেইমানীর পূর্ব মুহূর্তে একবার উচ্চারণ করেছিলেন “ সকলে মিলে আমরা বাংলাটাকে বিক্রি করে দিচ্ছি না তো ? ” তার মনের এই প্রতিক্রিয়া হয়েছিল তার মধ্যে নূন্যতম ইমান ছিল বলে। কিন্তু ঐ যে সঙ্গদোষ, বিধর্মীদের সাথে আন্তরিকতা যদি দুধে ঘিয়ে মাখামাখি হয় তাহলে ইমান বাঁচানোই দায় হয়ে পড়ে। যেমনটি হয়েছে মীর জাফরের বেলায়। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। আমিন ।

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১০

রাজীব নুর বলেছেন: কোনো চুদুর বুদুর চলতো ন।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:১৮

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: মনে হয় নোয়াখাই্ল্যা একটা পাইছি। অনেক খুশী লাগের আরতুন।

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


গালি দিলে ক্ষোভ কমে; রেগে গেলে আপনি গালি দেবার চেষ্টা করবেন; দেখবেন, ভালো লাগবে।

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: “ সকলে মিলে আমরা বাংলাটাকে বিক্রি করে দিচ্ছি না তো ? ”

ইহা নাটকের সংলাপ , বাস্তবের নহে ! বাস্তবে মীর জাফর বাংলাভাষীই ছিলেন না বোধহয়, কারণ নবাবের ক্ষেত্রেও কথাও একই শোনা যায় ! সঙ্গদোষে লোহা ভাসে ইহা সত্য বটে, তবে ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলীয় নেতা উভয়েই মুসলমান, এবং নবাবের পরাজয়ে মীর জাফরের নিষ্ক্রিয়তাই প্রধান ছিল বলিয়া "মীর জাফর" নামটাই বেঈমানের প্রতিশব্দ হইয়া গিয়াছে ! বাকিদের জোরালো ভূমিকা থাকিলেও তাহারা ছিল আজকের রাজনীতিবিদদের মতোই ফয়দা খাওয়া লোক, হাওয়া বদলের ভাব দেখিলেই পাল টাঙ্গাইতে তোড়জোড় করে! "রাজ্ বল্লভ " "রায় দুর্লভ " "মিরন " "উর্মি চাদ" দের আজকের ক্ষমতাসীন বা বিরোধীদলের রাজনীতিবিদদের মধ্যেও পাওয়া যাইবে ! ইহারা সাধারণত তেলাপোকা হইয়া থাকে। অতিকায় হস্তী লোপ পাইলেও ইহারা টিকিয়া থাকে ! নবাবের মতন অতিকায় হস্তী লোপ পাইলেও ইহারা এবং পরবর্তীতে ইহাদের বংশধররা ইংরেজের গোলামী করিয়া রাজা/ নবাব হইয়াছে।

৫| ০১ লা মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭

বারিধারা ২ বলেছেন: মীর জাফরের মত কেউই কোরআন ছুঁয়ে শপথ করে বেঈমানি করেনি। রায়দুর্লভ , রাজবল্লভ, জগতশেঠ, উমিচাঁদরা প্রকাশ্যে নবাবের বিরোধিতা করেছেন, গোপনে বেইমানী করেন নি। এরা শওকত জংকে নবাব হিসেবে পায়নি বলে সিরাজকে মেনে নিতে পারেনি। মীর জাফর এমনই একজন বিশ্বাসঘাতক, তার তুলনা আর কেউই নেই।

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: অন্যরা কুরআন শপথ করবে কেন ?
ওরাতো ভিন্ন ধর্মী ছিল।
ওরা যার যার ধর্মমতে তুলশী, গীতা আর গঙ্গাজল স্পর্শ করে শপথ করেছে এবং বেইমানীও করেছে। আপনি সেটা অস্বীকার করতে পারেন না।
আপনার কাছে কুরআন যেমন গুরুত্ববহ তেমনি অন্য ধর্মাবলম্বিদের কাছেও তাদের ধর্মগ্রন্থ গুরুত্ববহ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.