নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

জৈনক ব্লগারের হতাশা চট্টগ্রামবাসীরা কি মানুষ নাকি রোবট ? তাসপিয়া হত্যাকাণ্ড ও একটি পর্যালোচনা

০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৩১

জৈনক ব্লগারের হতাশা
চট্টগ্রামবাসীরা কি মানুষ নাকি রোবট ?
তাসপিয়া হত্যাকাণ্ড ও একটি পর্যালোচনা


পৃথিবীতে সবচেয়ে ঘৃণ্য কাজ হলো হত্যা। শুধুমাত্র মানুষ নয় বরং যে কোন প্রাণীকেই অপ্রয়োজনে হত্যা করা অপরাধের সামিল। ইসলামে একজন নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা পুরো মানবজাতিকে হত্যা করার নামান্তর বলে গণ্য করা হয়। মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের কাছে মানুষের 3টি জিনিস খুবই মূল্যবান ও সম্মানিত। সেগুলো হলো (1) মানুষের জান, (2) ইজ্জত এবং (3) সম্পদ। এই বিষয়গুলোকে যে যত বেশী মূল্যায়ন করবে সে তত বেশী দামী মানুষে পরিণত হবে।

একটা হত্যাকাণ্ড একটা ম্যাসেজ। ভিকটিম, পরিবেশ পরিস্থিতি আমাদেরকে জানিয়ে দিয়ে যায় যে, আরো একটি ঘটনা ঘটার আগে তোমরা সচেতন হও, সাবধান হও। আমরা তার কতটুকু উপলিব্ধি করতে পারি?

মানুষ দিন দিন আধুনিক হচ্ছে। মানুষের জীবনযাত্রা যতবেশী উন্নত হচ্ছে অপরাধের ধরণ ও প্রকৃতি তত বেশী নৃসংশ হচ্ছে। এটা বড়ই বেদনাদায়ক। মানুষ সভ্য জাতি বলে জানি কিন্তু মানুষের কর্মকাণ্ড অনেক সময় বন্যকেও হার মানায়, মানুষ নিজের স্বার্থে আগলে ধরে অসভ্যতা এবং বিবেকবোধকে নির্বাসন দেয়।

সম্প্রতি চট্টগ্রামে তাসফিয়া নামক একজন স্কুল পড়ুয়ার হত্যাকাণ্ডে পুরো জাতি অবাক হয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় হত্যাকাণ্ড বলে আলোচনা হলেও এখন অবশ্য হত্যাকাণ্ড না আত্নহত্যা তার উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ড হোক আর আত্নহত্যা হোক এটা যে একটা ক্রাইম সেই ব্যাপারে কারো কোন সন্দেহ থাকা উচিত নয়, সন্দেহ নেইও।

কোন হত্যাকাণ্ডে সচেতন মানুষ মাত্রই নেতীবাচক পতিক্রিয়া ব্যক্ত করবে এটাই স্বাভাবিক। এই ঘটনাটাতেও তাই হয়েছে। মানুষের পতিক্রিয়া, প্রতিবাদ, ক্ষোভ ব্লগ জগতেও ঝড় তুলেছে। আমি অবাক হইনি কারণ এটাই হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু যতটুকু আশ্বস্ত হয়েছি তার চেয়ে বেশী বেদনাকাতর হয়েছি এই ব্লগের একজন ব্লগার ঢাবিয়ান চট্টগ্রামবাসীরা মানুষ নাকি রোবট ?এই ঘটনাকে ইস্যু করে পুরো চট্টগ্রামবাসীকে কটাক্ষ করে কথা বলার কারণে। তিনি চট্টগ্রাম বাসীকে রোবট বলে জড় পদার্থের সাথে তুলনা করেছেন। বেশ কয়েকজন প্রথিতজশা ব্লগার মন্তব্যও করেছেন তার লেখায়। আমি জানিনা তিনি কোন স্বর্গ্বের বাসিন্দা। কথা বার্তায় আমরা স্বাধীন হলেও স্বাধীনতারও একটা মাত্রা আছে, এটা সবার মনে রাখা উচিত। তার লেখার শিরোনাম স্বাধীনতার মাত্রা ছেড়ে তা অন্য কারো অনুভূতিকে আঘাত করতে পারে এটা তার জানা ছিল না, হয়তো। তিনি মনে হয় ণৈরাজ্য শুধু চট্টগ্রামেই খুঁজে পেয়েছেন আর সারাদেশে যেন জান্নাতের হাওয়া বইছে। তিনি নিদ্বিধায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যর্থ বুঝাতে গিয়ে উল্লেখ করেছেন “ বাংলাদেশের পুলিশ কাদের পক্ষ হয়ে কাজ করে তা অজানা নয়। “ এমন মন্তব্য আইনের প্রতি তার শ্রদ্ধাহীনতারই বহিঃপ্রকাশ মাত্র। ঘটনার পরবর্তীতে সুষ্ঠূ তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীকে বিচারালয়ে উপস্থাপন করাই পুলিশের কাজ এবং তা হচ্ছেও। প্রত্যেকের ঘরে ঘরে পুলিশ পাহাড়ার ব্যবস্থা করে সমস্যা কমানো বা নির্মূল করা যাবে কিনা তা প্রশ্ন থাকল। শেষের দিকে উনার আলোচনা উনাকে একজন নাবালক ও আনাড়ি ব্যাক্তির অবয়বে তুলে ধরছে অথবা অতি ধুরন্ধর কোন কাকের চিত্র ফুটিয়ে তুলছে। তিনি চট্টগ্রামবাসীকে জেগে উঠতে বলেছেন, পুলিশকে বিচার করতে বাধ্য করতে চট্টগ্রামবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন। হয়তো তিনি জানেন না, বিচার করা পুলিশের কাজ নয়, অপরাধীকে বিচারের মুখোমুখী করাটাই পুলিশের কাজ। আমাদের দেশের পুলিশ কোনভাবেই এ ব্যাপারে দুর্বল নয়। নেহায়েত হীন মানসিকতা হতেই তার এই মন্তব্য করা বলে আমি মনে করি। দিন দুপুরে তাসপিয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি তার লেখায় উল্লেখ করেছেন। কিন্তু খবরে আমরা জেনেছি রাতের বেলায় ঘটনা ঘটেছে। তিনি কোথায় পেলেন দিন দুপুর তা পরিস্কার করেননি।

হত্যা, খুন, গুম, চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ বর্তমানে মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা হতে কেউই নিঃসংকোচ নয়। সমস্যাগুলো এতো বেশী ঘটছে যে অনেকটা গা সারা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কিছু কি করার নেই? আবশ্যই আছে। আইন কখনো সমস্যার মূল উৎপাটন করতে পারে না। সচেতনতা, আল্লাহভীতি, পারিবারিক শাসন, সামাজিক রীতিনীতির আনুগত্যতাই পারে যে কোন সমস্যার মূল উৎপাটন করতে।

হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রামে জনসংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, কর্মসংস্থানের উর্বর উৎস হিসাবে রাজধানী ঢাকার পরেই চট্টগ্রামের অবস্থান। বন্দর নগরী চট্টগ্রামে শত শত মিল কারখানায় লক্ষ লক্ষ শ্রমীক তাদের রুটি-রুজির ব্যবস্থা করেছে। এই শ্রমীক ভাইবোনদের অধিকাংশই চট্টগ্রামের বাইরের জনগন। ধর্মীয় অনুশাসন, সন্তানদের প্রতি কড়া নজরদারি এবং আতিথীয়তায় ব্যাপারে চট্টগ্রামের মানুষদের (স্থায়ী বাসিন্দা) জুড়ি মেলা ভার। মেয়েদের সন্ধ্যার পরে ঘরের বাইরে থাকার স্বাধীনতা এখানে কল্পনাও করা যায়না। এই ব্যাপারগুলো চট্টগামের সাথে যোগাযোগ আছে এমন সবাই কম বেশী জানেন।

চট্টগ্রামসহ সারাদেশের আলোচ্য সমস্যার মতো সমস্যাগুলো একটা বোঝা। এর জন্য মানসিকতা, অতি আধুনিক হওয়ার প্রতিযোগিতা, ধর্মহীনতা, অবাধ্যতাই মূলত দায়ী। অল্প বয়সের দুরন্তপনা সন্তানগুলোর দিকে কোমলে কঠোরে নাজরদারি না করলেই সমস্যা হতে পারে। এগুলো বুঝতে হবে। না বুঝে কোন মানুষ বা কোন সমাজকে দোষারোপ করাটা নির্বুদ্ধিতার সামিল।

তাসপিয়া চলে গেছে, কিন্তু আমাদের সে একটা ম্যাসেজ দিয়ে গেল। সেটা কি? সন্তানদের ভুল গুলো, সন্তানদের অপরিণত চাহিদাগুলো মুরুব্বিদের বুঝতে হবে। খুব সতর্কতার সাথে, কোমলে কঠরে সন্তানদের মানুষ করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হলো শিশু বয়স হতেই সন্তানকে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে। হোক না নারী শিশু কিংবা পুরুষ।



মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: হুম, তাসপিয়া অনেক কিছু শিক্ষা দিয়ে গেছে। তবে সেখান থেকে আমরা শিক্ষাগ্রহণ করবো কিনা সেটাই আসল কথা।

০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: না আমরা শিখতে অভ্যস্থ নই। আমরা শুধু মানুষের দোষ-ত্রুটি নিয়ে চিল্লাইতে অভ্যস্ত।
কে কি করল না করলো তাই আমাদের আলোচনা জুড়ে থাকে। নিজে কি করলাম সেটা নিয়ে মাথা ঘামাবার দরকার নাই।

২| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আদনানকে রিমণ্ডে নেওয়া যাবেনা !!
তাসফিয়ার বাবা , চাচা ইয়াবা ব্যবসায়ী,
তাসফিয়া মরিয়া প্রমান করে গেছে আমরা
এখনও মানুষ হয়নি !!
তোমার অকাল প্রস্থান, লজ্জা দুঃখ ক্ষোভ ও কষ্ট আমার

০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আদনানকে রিমাণ্ডে নেয়া না গেলে সেটাও আইনী পদ্ধতি। আইনের বাইরে কিছু করার সুযোগ নাই।
গাজীপুরের কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পরিচালকের উপস্থিতিতে আদনানকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত।
মানুষ মনে করে রিমাণ্ড হলো মারধর। সব সময় তা নয় মানসিকভাবে বিভিন্ন এঙ্গেলেও কথা বের করা সম্ভব।

৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: প্রেম ভালোবাসা সুন্দর একটি ব্যাপার।
যারা এটাকে নোংরা বানায় তাদের আল্লাহ হেদায়েত দান করুক।

০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: প্রেম ভালবাসার সজ্ঞা এক এক জন এক একভাবে দেয়। বেশীর ভাগই নিজের মতো করে বলে।
বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে প্রেম ভালবাসা নামে যেসব হয় এগুলো নোংরামি আর পশুত্বে ভরা ।
এগুলোকে প্রেম ভালবাসা বলে না।

৪| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


মেয়াটা তা'হলে মরে গিয়ে আপনাকে ম্যাসেজ দিয়ে গেছে? ম্যাঁওপ্যাঁও ভাবনা

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সবার ভাবনা আপনার মতো ‍উন্নত হবে বলে কোন কথা নাই।
ম্যাঁওপ্যাঁও যারা করে তারাও সমাজের অংশ। এই বিরাট অংশকে বাদ দিয়ে আপনার অস্তিত্ব কি টিকাতে পারবেন?
যদি পারেন তাহলে কোন কথাই নাই। আর যদি না পারেন, তাহলে এদের সাথেই বাকী জীবন কাটিয়ে দিন।
আশা করি আপনার মঙ্গল বৈ অমঙ্গল হবে না।

৫| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৩

লাবণ্য ২ বলেছেন: তাছফিয়ার মত মেয়েদের জন্য তো দারুন উপদেশ দিছেন ভাই , যারা পেটের দায়ে কাজ শেষে সন্ধ্যার পরে ঘরে ফেরে সেইসব মেয়েদের জন্য কি উপদেশ দিবেন ভাই?

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ম্যাডাম, দুঃখজনক হলেও এ কথা সত্য যে, আমরা উপদেশ গ্রহণ করতে খুব কমই অভ্যস্ত। (স্বাধীন বলে কথা)
তবে হ্যা, যারা উপদেশ গ্রহণ করে তাদের জন্য সুসংবাদ অপেক্ষা করে।
এটা মানুষ তখনই হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করে যখন মূল্যবান কিছু অবহেলায় হারায়।
তখন অনুভূতি শুধু একটাই হয় “ হায়, যদি এমন না করতাম, হায় যদি এমন না হতো, তবে কতোই না ভাল হতো। ”

পেটের দায়ে যারা কাজ শেষে ঘেরে ফেরে সেই সব মেয়েদের জন্য উপদেশ চেয়েছেন আপনি। আমি আপনাকে নিরাশ করতে চাই না। তাদের জন্য আপাতত এটাই উপদেশ যে, তারা যেন আপনার কথা মতো সব সময় কাজ শেষে সন্ধ্যার পরে বাসায় ফিরে যায়। ডানে-বামে যেন না যায়।
আসলে সত্য কথা কি, যারা পেটের দায়ে রাত দিন পরিশ্রম করে তাদের এতো আজাইর‌্যা সময় নাই যে, চাকুরীর পরে বাজে কাজে সময় নষ্ট করবে। ওদের প্রতিটি সেকেন্ডের দাম আছে। তারা সমস্যায় কমই পড়ে। সমস্যায় পড়ে সেই সমস্ত চরিত্রগুলো যারা বেশী ওভার স্মার্টগিরী দেখাতে যায়। যাদের কাছে অশ্লীলতা হলো স্বাধীনতা। ভাল থাকবেন।

৬| ০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

কলাবাগান১ বলেছেন: উনার কাছে স্বাধীনতার কথা হল রূপকথার গল্প...

উনি আবার চান বোর্ডে স্ট্যান্ড করার সিস্টেম...আমেরিকা/ব্রিটেন/জার্মানী..কারা কারা বোর্ডে স্ট্যান্ড করার সিস্টেম বজায় রেখেছে??? তারা কি এগিয়ে যাচ্ছে না এ/বি/সি গ্রেডিং সিস্টেম দিয়ে...এই গ্রেডিং সিস্টেম হল ডেমোক্রেটাইজেশন অফ দ্যা সিস্টেম..যেটা আগে শুধু বোর্ডের ২০ জন ছাত্র/ছাত্রী ই এর হাতে ছিল....

০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: এভাবে না বললেও চলতো ভাই। সবাইতো একই গ্রহের অধিবাসী, তাই না ?

৭| ০৯ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৫৮

শামচুল হক বলেছেন: তাসফিয়ার বাবা, চাচা ইয়াবা ব্যাবসায়ী আর জীবন দিল তাসফিয়া। এইটা কেমন বিচার?

১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: বলেছেন: শামচুল হক বলেছেন : তাসফিয়ার বাবা, চাচা ইয়াবা ব্যাবসায়ী আর জীবন দিল তাসফিয়া। এইটা কেমন বিচার?
প্রশ্ন থাকলো তাসফিয়া কি তার বাবা, চাচাদের কর্মফল ভোগ করেছে ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.