নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবেসে বিয়ে- অতঃপর (একটি সত্য কাহিনী অবলম্বনে)

০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৯

ভালবেসে বিয়ে- অতঃপর
(একটি সত্য কাহিনী অবলম্বনে)
মোঃ খুরশীদ আলম

মেঘা ও রানা (ছদ্মনাম) একে অপরকে ভালবাসে। মেঘা অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে আর রানা ইন্টারমিডিয়েট।
এ বয়সে তাদের ভালবাসা বাংলা ফিল্মের যে কোন কাহিনীকেও হার মানায়। উভয়ে একে অপরের কোয়াটার কিলোমিটারের মধ্যে বসবাস করে। যখন যেভাবে চায় দেখা সাক্ষাত করতে দ্বিধাবোধ করে না। কোন বাঁধা যেন তাদের জন্য বাঁধা নয়।

ঘুম হতে উঠেই প্রেয়সীকে ফোন দেয়া, কিছুক্ষণ কথা বলা, সময়ে অসময়ে প্রেয়সীর ঘরের আশে পাশে উঁকি ঝুঁকি দেয়া এ এক কঠিন ব্যাধি। এই ব্যাধি একেবারে সারে না, কিছুটা লাঘব হয় যদি প্রেয়সীকে একনজর দেখা যায়, দু’একটা বাক্য বিনিময় যদি করা যায়। আমাদের আলোচ্য মেঘা-রানাদ্বয়ও এর ব্যতিক্রম নয়, একেবারেই নয়, বরং কিছুমাত্রায় বেশী।

কথায় আছে- “চোরের দশ দিন গ্রেহস্থের এক দিন। “
আবার অনেকে বলে থাকেন- “ বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান, এইবার ঘুঘু তুমি বধিবে পরান। “ সব কাহিনীর মতো এখানেও ধরা পড়ার বিষয়টা রয়েছে। মা-বাবার অনুসন্ধানী দৃষ্টিতে যখন উভয়ের লুকোচুরি ধরা পড়ল ততক্ষণে ভালবাসার ফাইনাল এক্সাম হয়ে গেছে বেশ কয়েক শুভক্ষণে; চোখের আড়ালে; সকলের দৃষ্টির অগোচরে।

অপরিণত বয়সের এই বাদরামোকে পশ্রয় দেয়া যায় না- মেঘার বাবার মন্তব্য।
যা হয়েছেতো হয়েছেই, ভবিষ্যতে যেন ওই বখাটে আমার চৌহদ্দির অতিক্রম করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।
যা ভাবা তাই কাজ, মেয়ের প্রতি নজরদারি আরো কঠোর করা হলো, মজনুকে শাসানো হলো, ছেলের পিতৃদেবকে বরাবরের মতো বলা হলো “ বামুন হয়ে চাঁদে হাত বাড়ানোর খেসারত যে কতো কঠোর হতে পারে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারবেন না, খেসারি ডালের মতো পিষে ফেলব, ভাল চানতো ছেলেকে বুঝান।”

ছেলের বাপ ছেলেকে যতোই বুঝায় কোন কাজ হয়না। আর হবেই বা ক্যামনে। ভালুক ভায়াতো মধু’র স্বাদ পেয়ে গেছে। জীবন বাজি রেখে মৌচাকে ঢিল মারাতেইতো সফলতা !
অবশেষে শুভক্ষণ এলো, কঠোর নজরদারির বেষ্টনী ভেঙ্গে পাখি জোড়া একদিন উড়াল দিল, অজানা গন্তব্যে, উদ্দেশ্য একটাই “তোরে নিয়া ঘর বাধিমু নদীর ওপার যাইয়া। “
ছেলের বাবা বড় অসহায়, ভাবে, “ এমন যদি জানতাম জন্মের সময় নুন খাওয়াইয়া মাইরা ফালাইতাম পোলারে” – ছেলের বাবার আক্রোশ।
“ থাম, ছোট ছেলে বুঝতে পারে নাই, মাথা গরম করলে কি চলবো, ঠাণ্ডা মাথায় সিদ্ধান্ত নিতে অইবো” – ছেলের মা সান্তনা দেয় তার স্বামীকে।

অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে যুগলদ্বয়কে আবিস্কার করা সম্ভব হয়েছে। আশ্রয় হয়েছে যার যার নিড়ে। মেঘার বাবার মধ্যস্থতায় ও রানার বাবার অনুরোধে উভয়পক্ষের মধ্যে শান্তিচুক্তি হল। লিখিত স্ট্যাম্পে উল্লেখ করা হল প্রাপ্ত বয়স্ক হলে উভয়কে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেয়া হবে। সে পর্যন্ত কেউ কাউকে বিরক্ত করবে না, দেখা সাক্ষাত বন্ধ।
কিন্তু মেঘার মা তা মানবে কেন; তার ঘরের লক্ষীকে ঘর হতে বের করা হয়েছে; বেদনাদায়ক হলেও সত্য তার আগের মেয়ে তো এখন আগের মতো নেই। সুতরাং, এক হাত দেখিয়ে দিতে হবে ঐ বজ্জাত ছেলেরে, পারলে পুরো গুষ্টিশুদ্ধ উদ্ধার করার ব্যবস্থা করতে হবে। এতে যা হবে হোক।
ক্রিং, ক্রিং, ক্রিং........
রিসিভার তুললো রানার মা।
ওপার থেকে ভদ্র সুরে একটা অনুরোধ।
“ দয়া করে আপনার ছেলেকে নিয়ে একটু থানায় আসবেন, কথা আছে।”

রানার বাবা রানাকে নিয়ে সন্ধ্যায় থানায় গেল।
সাব ইনেসপেক্টর প্রথমেই রানাকে থানা হাজতে ঢুকিয়ে দিলেন। তারপর বললেন, “ আপনার ছেলে মেঘা নামের একটা মেয়েকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করেছে, মেয়ের পক্ষ বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেছে, আদালত হতে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। মেয়েকে উদ্ধার করা হয়েছে। আগামী কাল আদালতে তার জবানবন্দি পেশ করা হবে। "

সপ্ত আসমান যেন ভেঙ্গে পড়ল রানার বাবার মাথায়। কি করবে কিছু বুঝে উঠতে পারছে না। ওদিকে মেঘার বাবার মোবাইল বন্ধ।
“মনকে শক্ত কর, পুলিশ অফিসারের সাথে কথা বলে দেখ কিছু করা যায় কিনা। “- রানার মার সান্তনা।
পরের দিন মেঘাকে মেডিকেলে পরীক্ষা করা হলো, বিজ্ঞ আদালতে উপস্থাপন করে জবানবন্দি গ্রহন করা হল। সাধকরা বলে গেছেন “ প্রেমে মরা জলে ডুবে না। “ এই মেয়েকি আর যে সে মেয়ে । বিজ্ঞ আদালতকে মেঘা তার জবানবন্দিতে বলল, “ আমাকে কেউ অপহরণ করেনি বা তুলে নিয়ে যায় নি বরং আমি স্বেচ্ছায় রানার সাথে পালিয়ে গিয়ে অনত্র থেকেছি, আমাদের মাঝে কোন শারিরীক সম্পর্ক হয়নি এবং রানা আমাকে ধর্ষণ করেনি। দীর্ঘ পাঁচ বছর যাবৎ আমরা একে অপরকে ভাল বেসে আসছি। "

মেঘার বাবা এখন সন্দেহ করতে শুরু করেছে, এই মেয়েকি আসলে তার ঔরষজাত। সারা জীবন খেয়ে না খেয়ে মেয়েকে মানুষ করেছে এই দৃশ্য দেখার জন্য। কে জানে, মনে মনে হয়তো এই দোয়া করছে যে এই দৃশ্য দেখার আগে তার মরণ হলো না কেন।
যা হোক, আদালতের ফরমালিটি সম্পন্ন করে মাইনর হওয়ায় মেঘাকে সেফ হোমে পাঠানো হল আর রানাকে জেল হাজতে।
থানা, পুলিশ, আদালত, জেল সবখানে জলের মতো টাকা ছিটিয়েছে রানার বাবা। অবশেষে এক মাস দশ দিন জেল খেটে জামিনে মুক্তি পায় রানা। কিন্তু ওদিকে মেঘার মুক্তি আজো মিলেনি। কারণ সে মাইনর। মেঘার পিতা প্রায়ই তাকে দেখতে যেত সেফ হোমে, পরামর্শ দিত , “ আদালতে বলবি রানা তোকে তুলে নিয়ে গেছে, তোর সাথে তোর ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন মিলন করেছে, তাহলে তোকে আমরা নিয়ে যাব, অন্যথায় নয়। “
“ তোমাদের মতো মা বাবা আমার দরকার নাই, আমি এখানে পঁচে মরব, তবুও এমন কথা বলব না” – মেঘার উত্তর।
প্রায় এক বছর তিন মাস পরে মেঘা সেফ হোম থেকে বের হল, পিতা-মাতার জিম্মায়।
প্রথম প্রেম কেউ ভুলতে পারেনা; মেঘার বেলায়ও তা হল। হওয়াটাই স্বাভাবিক; যার জন্য প্রায় পনের মাস সেফ কাস্টডিতে অবর্ণনীয় যন্ত্রনা সহ্য করেছে তাকে কিভাবে ভোলা যায়। এই পনেরটি মাস নিজের পিতাও তাকে যথাসময়ে দেখতে যায়নি, খরচ সরবরাহ করেনি, জামা কাপড় সরবরাহ করেনি। পিতৃসুলভ আচরণ করেনি। এই পনের মাস যাবতীয় খরচ বহন করেছে রানা ও তার পিতা। সুতরাং রানাকে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়।

এখন মেঘা তার পিত্রালয়ে, স্বাভাবিক আচরণ করছে; যেন কিছুই হয়নি। নিয়ম মতো মামলা চলছে, আর চলছে গোপনে পিতার সংবাদ রানাকে সরবরাহ। মেঘার পিতা কখন কি বলছে, কি করছে, কি ফন্দি আঁকছে সব খবরাখরব রানাকে পৌছে দেয়া হতো বিশেষ কৌশলে। এ না হলে প্রেম, এ না হলে ভালবাসা!
মেঘার বাবাও কম যায় না। তিনি মেঘার জন্য অন লাইনে জন্ম নিবন্ধন তৈরী করলেন, নাম দিলেন বড় বোনের নামে, জন্ম তারিখ বড় বোনের কিন্তু সেখানে ছবি মেঘার। সেই মোতাবেক পাসপোর্ট তৈরী করলেন মেয়ের। ছবি মেঘার কিন্তু নাম বড় মেয়ের। এখানে একটা কথা বলে রাখা দরকার মেঘার বড় বোন স্বামীসহ বিদেশে থাকে। মেঘার বাবা কৌশলে মেয়েকে বিদেশ পাঠাতে চেয়েছিল, তাই এই ফন্দি আটে।

মেঘার বাবা জানতো না ভালবাসলে মানুষ অন্ধ হয়ে যায়। তখন, “অন্ধকারটা সাদা দেখায় সাদা জিনিস কালো।” ভালবাসলে “ ডাঙ্গায় রুই কাতলা চলে আর জলে উড়ে চিল। ” মেঘার বাবার এই তথ্য জানা ছিল না। মেঘা তার বাবার সব গোপন রহস্য ফাঁস করে দিল।
আরে ভাই এটাতো বাংলাদেশ, বাংলা মায়ের দামাল ছেলে রানা, এতো সহজে চুপসে যাবে কেন ?

পাসপোর্টের কপি ও জন্ম নিবন্ধন হাতিয়ে নিয়ে আবার মেঘাকে নিয়ে চম্পট দিল, উভয়ে তখন হাতের নাগালের বাইরে, দূরে বহুদূরে। থানা পুলিশ করে বিশেষ কোন লাভ হলো না। তারাও বুঝতে পারলো “ এ বাঁধন যাবে না ছিঁড়ে। “
রানার বাবা অনেক খোজাখুজি করে উভয়কে আবিস্কার করলেন গাজীপুর কোন এক আত্নীয়ের বাসায়। সেখানে মেঘার বাবার করা জন্ম নিবন্ধন ও পাসপোর্টের কপি শো করে উভয়ের চার হাত এক করে দিলেন। মেঘা হয়ে গেল ভিন্ন নাম। সে আর এখন মেঘা নয়।
এবাবে চলতে লাগল বেশ কিছু দিন। ভালবাসা দিয়ে মন ভরলেও পেটতো ভরে না। পেট্রোল পাম্পে কাজ নিল রানা। সেখান হতে যৎসামান্য রোজগার হতো আর রানার পিতা মাসে মাসে টাকা পাঠাতেন তাদের জন্য । এভাবে চলে যেত। দেখতে দেখতে মেঘা একটি সুন্দর ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দিল। দাদা দাদির আনন্দ আর ধরে না। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মোতাবেক উভয়কে নিয়ে এলেন নিজ বাসায়।

সকল ক্ষোভ আর দুঃখ ভুলে মেঘার মা-বাবা, বোনেরা এলো রানার বাসায়। যা হবার হয়েছে, এখন নাতীর চেহারা দেখে সব ভুলে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করল। আসা-যাওয়া হতে লাগল। এভাবে চলল কিছুদিন। কিন্তু একদিন হঠাৎ ....
“ বেয়াই সাহেব, আমার মেয়েরতো একটা ভবিষ্যত আছে, আমি আর কত দিন বলেন “? – মেঘার বাবা।
“ বেয়াই একথা বলছেন কেন ?” – রানার বাবা।
“ মানে আমি চাচ্ছি মেঘার বিয়ের অনুষ্ঠানটা করতে, মেয়ের তো কাবিন চার লাখ টাকা করা হয়েছে, আমাদের অঞ্চলে এটা একেবারেই কম, তাছাড়া আমার বড় ও মেঝ মেয়ের বিয়েতে কাবিন করা হয়েছে দশ লাখ টাকা করে। মেঘারটাও তেমন না হলে কি আর চলে ? “ – মেঘার বাবা।
“ বেয়াই কি বলেন এসব, ওদের বিয়ে হয়েছে, কাবিন হয়েছে, সন্তানের মা-বাবা হয়েছে ওরা, এখন আবার কিভাবে নতুন করে কাবিন হবে, একজন মানুষের বিয়ে কয়বার হয়, কয়বার হয় কাবিন?” - রানার বাবা ও মা সমস্বরে।
রাগ করে চলে গেলেন মেঘার বাবা। অনেক দিন পরে আবার এলেন বেয়াইর বাড়ী, মেয়েকে নাইয়র নিতে চান তিনি।
রানার মা বাবা বউকে নাইয়র পাঠালেন কয়েকদিনের জন্য। কিন্তু সাপ্তাহ যায়, মাস যায় মেঘার বেড়ানো শেষ হয়না। বিষয়টা ভাল ঠেকছে না । তাই রানা গেল শ্বশুড়ের বাসায়, মেঘাকে আনতে।
মেঘার প্রস্তাব “ আমার একটা ভবিষ্যত আছে, আমার কাবিন নতুন করে করতে হবে, কমপক্ষে দশ লাখ, নয়তো তোমার মতো তুমি থাক, আমার মতো আমি। “
“ অবাস্তব একটা বিষয় নিয়ে সংসারে অশান্তি করে কি লাভ , চল বাসায় চল”
কিন্তু মেঘা তার বক্তব্যে অনড়। ব্যর্থ হয়ে রানা ফিরে এলো বাসায়।
কোন এক কোম্পানীতে মার্কেটিংয়ের চাকরী নিয়েছে রানা। যা বেতন পায় তার সিংহভাগ বউয়ের কাছে পাঠাতে হয়। খান্দানি বউ, তার আবার যা হা মুখে রোচে না। এদিকে রানার মা-বাবাও রানার প্রতি বিরক্ত। মা বাবার অবাধ্য হয়ে যে ঘটনাগুলো তারা করেছে তাতে সবার সুখ নষ্ট হয়েছে, সবাইকে কষ্ট করতে হচ্ছে, রানা তার কিছুটা এখন আঁচ করতে পারে।
হঠাৎ একদিন খবর এলো মেঘার বাবা চাকুরী থেকে ফিরার সময় রাস্তায় স্টক করেছেন। হাসপাতালে নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়েছে। সংসারে নেমে এলো শোকের ছায়া। শোক কাটাতে না কাটাতে মেঘার মা তার অন্যান্য সন্তানদের নিয়ে অন্যত্র চলে গেলেন। শহরের অদূরে রানার অবস্থান থেকে প্রায় পঁয়ত্রিশ মাইল দূরে। মাঝে মাঝে রানাকে সেখানে যেতে হয়। বাচ্চাকে দেখতে, বউকে দেখতে, উঠতি বয়সের ছেলে বউ ছাড়াতো আর চলে না।

যা হোক, এভাবে চলছে উভয়ের। মাঝখান দিয়ে মেঘা তার শ্বড়ুর বাড়ীতে এসেছিল। কয়েকদিন থেকে আবার চলে যায় মার কাছে। এখন তার দাবী বাচ্চাকে ও তাকে নিয়ে মার কাছে থেকে যেতে হবে। এই শর্ত মানলে রানা তার সাথে থাকতে পারে, না হলে না।
অল্প বেতনের কর্মচারী রানা কি করবে ভেবে পায় না, সারা দিন বউ আর বাচ্চার জন্য চিন্তিত থাকে। কাজ কর্মে মন বসে না, মাঝে সাঁজে ভাবে এই কি সেই মেঘা যে তার জন্য পনের মাস সেফ কাস্টডিতে ছিল। অংক মিলাতে পারে না। মনের অজান্তে চোখের কোনে জল গড়িয়ে পড়ে। আর ভাবে, আহা! মা বাবার বাধ্য হয়ে চললে আজ জীবনটা অন্য রকম হতে পারতো।

এদিকে মামলা চলছে কোর্টে, রানার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হয়েছে। মামলার অভিযোগকারী পরপারে, সাক্ষীরা আদালতে আসছে না সাক্ষী দিতে। কি হবে রানা ও মেঘার ভবিষ্যত? কি হবে মামলার ফলাফল? কে দায়ী এর জন্য? আমাদের সমাজ ? নাকি আমাদের অজ্ঞতা? নাকি আমাদের অতি আধুনিকতা যেখানে প্রেম ভালবাসাকে স্বর্গীয় বলে প্রচারণা চালানো হয়।

ভাবে রানা, এভাবে ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ে, ভাবনাগুলো স্বপ্ন হয়ে ধরা দেয় ঘুমের মাঝে। ঘুম ভাংলে আবার সেই স্মৃতি তাকে আঘাত করে, বারবার আঘাত করে। এই ব্যথা কাউকে বুঝাতে পারে না। এই ব্যাথা সকলে বুঝে না। রানা ভাবে, এভাবে তার জীবন আর চলবে কতো দিন?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: রানার অবস্থা তো খুব খারাপ।

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: জ্বি, এখন দোটানায় বেচারি। কি করবে কিছুই বুঝতে পারছে না।

২| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

মৌরি হক দোলা বলেছেন: দারুণ এক প্রেম কাহিনি :) সত্য ঘটনা! খুবই দুঃখজনক :(

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: এ দুঃখ শুধু রানার নয়, পুরো পরিবারের। বলতে পারেন পুরো সমাজের।

৩| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

কাইকর বলেছেন: খুবই দুঃখ জনক ঘটন

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: দুঃখজনক। তবে, আমরা জানিনা এই দুঃখের সমাপ্তি কিভাবে হবে।

৪| ০৭ ই জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

মুরাদ পাভেল বলেছেন: দুঃখজনক

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৬

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: যথার্থ বলেছেন। এখান থেকে অনেক কিছু শেখার আছে আমাদের।

৫| ০৯ ই জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৪

অচেনা হৃদি বলেছেন: আমি ভুল করেছি ক্লাস এইটে তোমাকে ভালবেসে !
হি হি হি.....

১০ ই জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আশা করি এখন সুখে আছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.