নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সড়ক পথে যাত্রীদের প্রতি

২১ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

সড়ক পথে যাত্রীদের প্রতি

শিরোনাম দেখে বুঝতেই পারছেন আলোচনা কি নিয়ে হতে পারে।
হ্যা, আপনি একেবারে সঠিকটাই ভেবেছেন।
বলছিলাম সড়কে আমাদের নিরাপত্তার ব্যাপারে।
এদেশে যে কয়েক শ্রেণীর মানুষ বাস করে তাদের মধ্যে আমার মনে হয় ড্রাইভার বা চালকরা সবচেয়ে বেশী ভিআইপি, আর সাধারণ যাত্রীগণ হলো ভিএনপি (ভেরী নরমাল পারসন) ।
সড়ক পথের দুর্ঘটনা আজ নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপারে দাঁড়িয়েছে। এমন কোন দিন নাই মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মরছে না বা আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করছে না।
এটা একটা বড় সমস্যা আমাদের জন্য, মহামারি বললেও কম হবে।
এ সমস্যা বন্ধ হওয়া দরকার।
কি হতে পারে এর সমাধান ?
কি করলে দুর্ঘটনা একেবারে শূণ্যের কোঠায় নেমে আসবে ?
যাত্রীবাহী বাসসহ কোন পরিবহনে হর্ণ ব্যবহারের আমি কোন প্রয়োজন মনে করি না।
আমি একজন বাইক চালক। আমি নিজ অভিজ্ঞতা হতে দেখেছি, সড়ক-মহাসড়কে লোকাল সিটি বাসগুলোর চালক, মা্ইক্রো বাসের চালক, কারের চালক, ট্যাম্পু চালক, সিএনজি চালকরা বাইকের ঠিক পিছনে এসে একটানা হর্ণ দিতে থাকে, পথচারীর ঠিক পিছনে এসে হর্ণ দিতে থাকে। ইচ্ছাকৃতভাবে একটি গাড়ি অপর গাড়িকে ওভারটেক করে সড়কে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করে। বাস ভর্তি যাত্রীগণও কম যায় না। দ্রুত চালানোর জন্য চালককে বারবার তাগাদা দিতে থাকে। চালক ও হেলপারের অভদ্র ব্যবহারের শিকার হন কোন কোন যাত্রী কিন্তু অন্য যাত্রীগণ তাদের এহেন অন্যায়ের প্রতিবাদ করেনা। ব্যস্ত সিটি বাসে যাত্রীদের পকেট কাটা দলের আক্রমণের শিকার হন কোন কোন যাত্রী, এরুপ প্রায়ই হয় কিন্তু বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই অপর যাত্রীরা নিরব ভূমিকা পালন করে বা নিরব দর্শক হয়ে থাকে।
এই ধরণের কর্মকাণ্ডের অবসান হওয়া দরকার, এতে আমাদের (যাত্রীদের) ভূমিকাই মূল সমাধান হতে পার বলে আমি মনে করি।
► বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালালে তাৎক্ষণিক চালককে সুধরে দিতে হবে।
► সড়কের ডান বাম দেখে সড়ক পার হতে হবে।
► মনে রাখতে হবে, নিজের নিরাপত্তা নিজের সচেতনতার উপর নির্ভর করে।
সরকারী, বেসরকারী, মিডিয়াসহ সকল ক্ষেত্র হতে সড়ক দুর্ঘটনার কুফল সম্পর্কে খোলামেলা আলোচনা ও সেমিনার আয়োজন করা যেতে পারে।
ব্লগারদের সচেতনতামূলক পোষ্ট সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রাখতে পারে বলে আমি মনে করি।
আরো একটি কথা মনে রাখতে হবে, আমাদের সচেতনতাই পারে যে কোন সমস্যা হতে সমাধানের একমাত্র উপায়।



মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১০

কাইকর বলেছেন: লাইক দিলাম

২১ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: লাইক পাইলাম, ধন্যবাদ জানাইলাম, সাথে অনুরোধ সুধাইলাম “ সড়কে যাত্রী হয়ে চলতে অধিকতর সাবধানতা অবলম্বন করবেন। “

২| ২১ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১১

এখওয়ানআখী বলেছেন: বিষয়বস্তু খুব গুরুত্ববহ। সমাধান নিয়ে আলোচনা প্রয়োজন।

২১ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৬

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আসুন আলোচনা শুরু করি, আমরা আমরাই। সমাধান কি হতে পারে বলে মনে করেন, জানাবেন।

৩| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

ওমেরা বলেছেন: মানুষ তো মরবেই কোন না কোন ভাবে , কিন্ত সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যু খুবই মর্মান্তিক ।

জানেন আমার খুব কাছের আত্বীয় মারা যান , সকালে সে হাসি খুশী ভাবে বাসা থেকে বের হয়ে যান জবের উদ্দেশ্যে , ২৫ মিনিট পর খবর এল সে মারা গিয়েছে । বলেন তো কি আশ্চার্য !!

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: বড়ই মর্মান্তিক, একেবারেই তিক্ত অভিজ্ঞতা আপনার।
আপনার সেই আত্নীয়ের রুহের মাগফেরাত কামনা করি।
ব্যাক্তিগতভাবে আমার সবচেয়ে খারাব লাগে তখন যখন দেখি সড়ক দুর্ঘটনার আসামীরা ভিকটিম পরিবারের সাথে আপোষ করে ফেলে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে এই সমস্ত ঘাতকেরা আইনের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে বেরিয়ে আসে।

৪| ২১ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

রাজীব নুর বলেছেন: সচেতন মূলক পোষ্ট।
ভালো পোষ্ট।

২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩৮

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আমরা সচেতন হলেই সমস্যা আরো হ্রাস পাবে। বলে মনে করি।
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
ধন্যবাদ, বরাবরই আপনাকে পাশে চাই।

৫| ২৫ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৫১

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: বাহ ভাইয়া! ভালো লিখেছেন । আশা করি এই লেখাগুলো পড়ে ও যদি মানুষের সচেতনতা কিছুটা বারে।

২৫ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আসলে এভাবে মানুষের সচেতনতা বাড়ে না। কেননা, বেশীরভাগ মানুষই ব্লগ দেখেনা, পত্রিকা পড়েনা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশীরভাগ মানুষেরই অংশগ্রহণ নাই।
এজন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে গোড়া থেকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক মহোদয়গণ, পরিবারে অভিভাবকগণ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আলেম-ওলামাগণ, শ্রমিক পরিবহনের নেতাগণ এই একটি সমস্যা নিয়ে কথা বললে আমি মনে করি সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দুর্ঘটনাও রোধ করা সম্ভব। সবচেয়ে বেশী কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে ইলেকট্রিক মিডিয়া। ছোট নাটক, পথ নাটক, ভ্রাম্যমান নাটক, বিষয় ভিত্তিক সিনেমা তৈরী ও প্রচার, টক শো ইত্যাদির মাধ্যমে সমস্যাগুলো সমাধান করা সম্ভব।
ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার কোন বিকল্প নাই, এটা মনে রাখতে হবে সর্বাগ্রে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.