নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

দলিল খুঁজে কেন

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০২

দলিল খুঁজে কেন

মানুষ এতো চালাক আর আধুনিক হয়েছে যে, কথায় কথায় দলিল খুঁজে।
কত হাজার লেখক কবি কত কথা লিখেছেন।
গল্প, কবিতা, ছড়া, প্রবন্ধ, চটি পড়ার পাঠকের অভাব নাই।
কোন বিখ্যাত লেখক বা কবির কোন বই বের হলেই (তা অশালীন হলেও) গোগ্রাসে গিলতে থাকে পাঠকমহল।

এখানে কেউ দলিল খুঁজে না।

লেখক বলল, নারকেল গাছে গোপাল ভাঁড় ইলিশ মাছ চাষ করছে। কোই কেউ তো দলিল খুঁজেনা।
কোন কোন লেখকের লেখায় ভালবাসার বিন্যাসটা ও তার উপস্থাপনাটা জানোয়ারকেও হার মানায়।
এখানেতো কেউ দলিল খুঁজে না।

কিন্তু আপনি কোন ভাল উপদেশ দিন, দেখবেন সবাই সিরিয়াল ধরে আর দলিল খুঁজে।
কোন হাদিসে আছে, কোথায় আছে, কিভাবে আছে দুনীয়ার সব প্রশ্ন করে আপনার চৌদ্দ গোষ্ঠি উদ্ধার করে ছাড়বে।
কোন কোন কথার দলিল দরকার হয়না। এটা তারা বুঝে না তা নয়, বরং নিজেদেরকে জাহির করতে গিয়েই এমন করে।
যেমনটা করেছে ইবলিশ শয়তান।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


কেহ রাফারেন্স চাহিলে আমার মগজ উত্তপ্ত হয়ে বাস্পীভুত হওয়ার শুরু করে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ : অতিরিক্ত উত্তেজনা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

শামছুল ইসলাম বলেছেন: আমার মনের মাধুরী মিশিয়ে তোমারে করেছি রচনা - এই তো কবিতা, গল্প, উপন্যাসের মূলকথা। সুতরাং আমার কথা হলো, প্রমাণ চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আচ্ছা লজ্জা দেবো না। +++

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: দলিল মানে প্রমান।
এ যুগে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না। তাই সবাই দলিল খোজে।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: হয়তো এজন্যই এযুগে বেশী অশান্তি।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৯

ঢাকার লোক বলেছেন: সাধারণ গল্পের জন্য রেফারেন্স লাগে না , যেমন বাঘ ও রাখালের গল্প, এতে কেউ জিজ্ঞেস করেনা কোথাকার কোন রাখাল ইত্যাদি ! কিন্তু ধর্মীয় বিষয়ের গুরুত্ব বুঝাতে গল্প বলতে হলে অনেক ক্ষেত্রেই উপযুক্ত রেফারেন্স দরকার ! সেদিন এক জুম্মার নামাজে খুৎবায় দান খয়রাতের গুরুত্ব বুঝাতে এক খতিব সাহেব বললেন, এক লোক তার হজের জন্য জমাকৃত টাকা এক দরিদ্রকে দান করে দেন, এতে নাকি আল্লাহ খুশি হয়ে ওই লোকের হজ কবুল করে নিয়েছেন ! নামাজ শেষে সুযোগ পেয়ে উনাকে জিজ্ঞেস করলাম, "আল্লাহ ওই লোকের হজ কবুল করে নিয়েছেন" এ তিনি কিভাবে জেনেছেন ?
তিনি যার কাছ থেকে গল্পটি শুনেছেন তিনি বলেছেন ! বললাম, রাসূল (স) মারা যাওয়ার পর ওহী নাজিল হওয়া বন্ধ হয়ে গেছে , হজ কবুল হওয়ার খবর কোরান হাদিসে না থাকলে আর কারো জানার কোনো পথ নেই ! সে মাওলানা, পীর,আউলিয়া, মুহাদ্দেস, এমনকি কাবা শরীফের ইমাম সাহেব হলেও না !! উনি বুঝতে পেরে বললেন, ঠিক , এ ধরনের গল্প বলার ব্যাপারে হুশিয়ার হওয়া দরকার ।
গ্রাম দেশে ওয়াজে কিছু মাওলানা সুরালো গলায় অনেক মিথ্যা গল্প বলে মানুষকে আকৃষ্ট করে থাকেন, এগুলোর সত্যতা যাচাই না করে গ্রহণ করা এক ধরনের মূর্খতা। "এক দেশে এক রাজা ছিল --" জাতীয় গল্প কোনো বিষয়ে ধর্মীয় গুরুত্ব বুঝাতে ব্যাবহার করার ক্ষেত্রে আরো যত্নবান হওয়া দরকার ।
মন্তব্যটা একটু দীর্ঘ হয়ে গেলো, আশা করি বুঝাতে সক্ষম হয়েছি।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ধর্মীয় কিছু ব্যাপার রয়েছে যেগুলোতে রেফারেন্সের দরকার পড়েনা। অনুধাবন করতে হয় মনদিয়ে, ভিতরের মনুষ্যত্ব দিয়ে। যেমন আপনার বর্ণিত ঘটনার ব্যাপারেই বলি-
আপনি প্রতিদিন কিছু কিছু করে জমালেন হজ্ব করতে যাবেন বলে। প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শেষ। এদিকে আপনার মা মৃত্যুশয্যায়। জরুরী ভিত্তিতে তার চিকিৎসার জন্য এতো টাকা প্রয়োজন যে আপনি আপনার হজ্বের জন্য জমানো টাকা আপনার মায়ের জন্য ব্যয় করলেন। এখন আপনি কি একটি কবুলিয়্যাত হজ্বের আশা করতে পারেন না দয়াময় আল্লাহর কাছে? না কি আল্লাহর কাছে সওয়াবের কমতি আছে (নাউযুবিল্লাহ)। আল্লাহ কি আসলে আনুষ্ঠানিকতা চান নাকি বান্দার অন্তরের অবস্থা জানতে চান? তাহলে কেন আয়াত এলো -“ তোমাদের কুরবানির মাংস আমার কাছে আসেনা, আসে তোমাদের তাক্বওয়া।”

কিছু কথা আমাদের মধ্যে প্রচলিত হয়েছে যেগুলোর দলিল আছে কিনা আমি জানিনা তবে বিশ্বাস করি। যেমন ওযু করা অবস্থায় মোমিনের গুণাহ মাফ করে দেয়া হয়, আযান ও জিকিরের শব্দে শয়তান দূরে পালাতে থাকে, মানুষকে ভাল পরামর্শ দিলে সাদকা করার সওয়াব পাওয়া যায়। এখন আপনি দলিল চান। আমি যদি দিতে না পারি তাহলে কি আপনি মানুষকে ভাল পরামর্শ দিবেন না, জিকির আযকার করা বন্ধ করে দিবেন, না দিবেন না বলেই আমার বিশ্বাস।

আমি এটা বলছি না যে দলিল লাগবে না, দলিল আবশ্য লাগবে, তবে সেটা বর্তমানে একটা ফেতনায় পরিণত হয়েছে। আমার লেখাটির উদ্দেশ্য ছিল সেটা বুঝানো, দলিলের প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করা নয়। একজন মুসলিম হিসাবে সেটা আমার জন্য শোভনীয় নয়। সেটা আমি করতেও পারিনা।


৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:৪২

প্রামানিক বলেছেন: কথায় দলিল খোঁজা অনেকের অভ্যাস।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: অনেক দিন পর আপনাকে দেখলাম। আপনিনা একদম বদলাননি। স্বাস্থ্যের সবদিক কুশলে আছে আশা করি।
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.