নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামে দু’য়ার গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত -০৪

১৩ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

ইসলামে দু’য়ার গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত



আল্লাহপাক সকলের প্রার্থনাই শ্রবণ করেন : দয়ালু আল্লাহ সকলের প্রার্থনা শ্রবণ করেন ও মঞ্জুর করেন। ফেরাউন আখেরাত ত্যাগ করে দুনীয়ার রাজত্ব ও ক্ষমতায় সন্তুষ্ট ছিল। এ সম্পর্কীত একটি কাহিনী রয়েছে। মিশরের কৃষিকাজ নির্ভর করতো নীল নদের জোয়ারের উপর ভিত্তি করে। একবার নীল নদের জলোচ্ছাস বন্ধ হয়ে গেলে প্রজাগণ ফেরাউনের নিকট গিয়ে জানালো, তুমি নিজের খোদায়ী দাবী কর; আর আমরা পানির অভাবে দুর্ভীক্ষে মরতে বসেছি। তোমার এই খোদায়ী কোন দিন কাজে লাগবে? ফেরাউন প্রজাদের প্রশ্নের উত্তরে বললো, আগামীকাল নীল নদে আবশ্যই জলোচ্ছাস হবে। রাতে সে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করল, হে আল্লাহ! আমি এমন উপযুক্ত যদিও নই যে, আমার কোন দু’য়া কবুল হবে, কিন্তু আমার সাহস দেখুন আমি আপনাকে ত্যাগ করেছি, বেহেশতের আশা বিসর্জন দিয়েছি, অনন্তকালের জাহান্নামের শাস্তিকে বরণ করেছি। এ সমস্ত কিছুর বিনিময়ে শুধু একটা প্রার্থনা যে, আপনি আমার একটি দু’য়া কবুল করুন। আমি নীল নদকে আদেশ করামাত্রই যেন তার মধ্যে জলোচ্ছাস আরম্ভ হয়। এর ফলে তার প্রার্থনা কবুল হল এবং নীল নদে জলোচ্ছাসও হল। অভিশপ্ত কাফেরের দু’য়া কিভাবে কবুল হল? এমন প্রশ্ন করে বসবেন না যেন। কেননা আল্লাহ তায়ালা অসীম দয়ালু, তিনি সকলের দু’য়াই কবুল করেন। সবচেয়ে অধিক অভিসাপগ্রস্থ শয়তানের প্রার্থনাও আল্লাহ মঞ্জুর করেছিলেন। আবার সময়টিও এমন ছিল যখন মহান আল্লাহ শয়তানের প্রতি মারাত্বক রকম রাগান্বিত ছিলেন। শয়তান এমন প্রার্থনা করেছিল যা সাধারণত কেউ করে থাকে না, বিচিত্র রাকমের প্রার্থনা যখন কবুল হওয়ার কোন অবকাশও ছিল না। সে দু’য়া করল, “হে আল্লাহ! আমাকে কেয়ামত পর্যন্ত অবকাশ দান করুন।” অথচ আল্লাহর তরফ থেকে অভিশাপ এসেছিল- “ নিশ্চয় তোর প্রতি কিয়ামত দিবস পর্যন্ত আমার অভিশাপ।” এমন বিচিত্র সময়ে বিচিত্র রকমের প্রার্থনা যখন কবুল হয়ে গেল তখন ফিরাউনের দু’য়া কবুল হয়ে যাওয়া এমন কি আর অসম্ভব। আল্লাহ তায়ালা শয়তানের দু’য়া কবুল করলেন, তোমাকে কেয়ামত পর্যান্ত অবকাশ দেওয়া হল।
দৃষ্টান্ত দু’টি মুসলমানদের জন্য বড়ই আশাপ্রদ। কেননা আল্লাহর দরবারে যখন তার শত্রুর দু’য়াও কবুল হয় তখন একত্ববাদে বিশ্বাসী আল্লাহর জিকিরকারী গোলামের দু’য়া কিভাবে নামঞ্জুর হতে পারে।

দুনীয়া ও আখেরাতের কল্যান চেয়ে দু’আ করতে হবে : দুনীয়া ও আখেরাতের কল্যান চেয়ে দু’আ করতে হবে। হযরত আবদুল আজিজ বিন সুহায়েব বলেন, হযরত কাতাদা হযরত আনাসকে রা. জিজ্ঞাসা করেন, হযরত রাসুল স. কোন দুয়া দ্বারা বেশীরভাগ দু’য়া করতেন? হযরত আনাস রা. বলেন- বেশিরভাগ তিনি এই দু’য়া করতেন- “ হে আল্লাহ তুমি আমাদেরকে দুনীয়াতেও কল্যান দান কর ও পরকালেও কল্যান বিহিত কর এবং দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর।” কাতাদা বলেন, হযরত আনাস রা. যখনই কোন দু’আ করার ইচ্ছা করতেন, এ দু’য়া পড়তেন। অন্য কোন দু’য়া করতে চাইলে এ দু’য়ার সাথে করতেন।
আজকাল দু’য়ার উদ্দেশ্য অনেকটা দুনীয়া লাভের হাতিয়ার হয়ে পড়েছে। জৈনক অফিসার তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করত, “তুমি নামায পড়ে কি পেলে?” এটা শুধু কথার কথা নয় বরং সবৈব সত্যি। আজকাল মহান আল্লাহর এবাদতের পিছনেও কারো কারো দুনীয়া লাভের উদ্দেশ্য কাজ করে থাকে (আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন)। একজন অফিসার মাত্রাতিরিক্ত ঘুষ গ্রহণ করতেন। আমার নামাযের প্রতি তিনি নিষ্ঠাবান ছিলেন। ফজরের নামাযের পরে এশরাক পর্যন্ত তিনি ওযিফা পাঠ করতেন। পীর সাহেবের নিষেধের কারণে তিনি ওযিফা আদায়ের সময় মুখে কোন কথা বলতেন না। মামলায় জড়িত তদবিরকারীদের সাথে তিনি ইশারায় কথা বলতেন। যেমন কোন আগন্তুক তাকে কোন মামলার তদবিরের বিনিময়ে একশত টাকা দিতে সম্মত হলে এক আঙ্গুল দেখাতেন। তিনি সম্মত না হলে দুই আঙ্গুল দেখাতেন অর্থাৎ দুইশত টাকায় তদবির সার্বস্থ করতেন। যেমনটা রফা হতো তদানুযায়ী ঘুষের টাকা গ্রহণ করার জন্য যায়নামাযের কোনা তুলে ধরতেন এবং সেখানেই টাকা জমা পড়তো। এশরাকের নামায পর্যন্ত তিনি কয়েকশ টাকা নিয়ে স্থান ত্যাগ করতেন। সত্য কথা বলতে গেলে আজকাল বিনিময় বা পাওয়া বলতে এটাকেই বুঝায়। এই ধরণের লোক আমাদের সমাজে কম নয়।
আজকাল দুনীয়া লাভের জন্যও দু’য়া করা হয়। মালে বরকত, চাকুরী লাভ, ঋণ মুক্তি, সুস্থতা ইত্যাদি উদ্দেশ্যকে মুখ্য করে দু’য়া করা হয়। দুনীয়া লাভের উদ্দেশ্যে দু’য়া করা নাযায়েজ তা নয় বরং দুনীয়াকে প্রাধান্য না দেয়া এবং আখেরাতের কামিয়াবির উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দুনীয়া চাওয়াটাই উদ্দেশ্য হওয়া বঞ্চনীয়।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৫

রাজীব নুর বলেছেন: দোয়া বা বদ দোয়া বিজ্ঞান মানে না।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: বিজ্ঞান কাকে বলে, বিজ্ঞানের সংজ্ঞা কি সেটাই হয়তো আপনি জানেন না।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপন দোয়া করেন, করোনা যেন চলে যায়।

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৮

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ধৈর্য হারা হবেন না, আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখুন। পৃথিবীর ইতিহাসে সমস্যা অনেক হয়েছে আবার একদিন সমাধানও বের হয়ে এসেছে। আমি মুসলমান তাই আল্লাহর রহমতের উপর আস্থা রাখি। আপনি যেমন আপনার ক্রিয়াকলাপও তেমন হবে, স্বাভাবিক। আমি দু’য়া করছি সকলের জন্য । আপনি আপনার দায়িত্বটা পালন করেন।

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



নিউজিল্যান্ড'এর মুসলমানেরা দোয়া করার পর করোনা চলে গেছে; আপনার ইমানের জোর দেখান।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২৬

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আপনি তো দূরে অবস্থান করছেন। সামনে পাইলে আমার ইমানের জোর প্রত্যক্ষ করার সৌভাগ্য আপনার হতো হয়তো।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯

নতুন বলেছেন: আল্লাহপাক সকলের প্রার্থনাই শ্রবণ করেন : দয়ালু আল্লাহ সকলের প্রার্থনা শ্রবণ করেন ও মঞ্জুর করেন। ফেরাউন আখেরাত ত্যাগ করে দুনীয়ার রাজত্ব ও ক্ষমতায় সন্তুষ্ট ছিল। এ সম্পর্কীত একটি কাহিনী রয়েছে।

কয়েকটা প্রমান দেখান তো যেখানে প্রার্থনা কবুল হয়েছে??? আজগুবি কাহিনি অনেক আছে, প্রমান কয়টা আছে?

প্রমান আছে যে প্রার্থনা কবুল হয় না।
ফিলিস্তিনে, ইরাকে, সিরিয়া, ইয়ামেনে, আফগানস্তানে

লাখ লাখ মানুষ বেচে থাকার জন্য দোয়া করে<<< কবুল হয় না।

আফ্রিকাতে হাজার মানুষ একটু খাবারের জন্য প্রাথনা করে কিন্তু কবুল হয় না।

বাংলাদেশে লাখ লাখ মানুষ দোয়া করে কিন্তু তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হয় না।

তাহলে কোথায় দেখলেন যে দোয়ার গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত???

১৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:০১

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আল্লাহর উপর আস্থা রাখুন। রোগ-শোক, কষ্ট-দুঃখ দিয়ে আল্লাহ তার বান্দাদের পরীক্ষা করেন। পৃথিবীব্যাপি যে যুদ্ধবস্থা বিরাজ করছে তার পিছনে মানুষ দাবী, সৃষ্টিকর্তা নয়। আবার মানুষ যদি সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে তবে আল্লাহ পথ দেখাবেন। সমস্যার রাস্তা মানুষকেই খুজে বের করতে হবে, পাশাপাশি দু’য়া করতে হবে।
বাই দা বাই খালাম্মাকে (আপনার আম্মাকে) বিনয়ের সাথে জিজ্ঞাসা করবেন তার গর্ভাবস্থায় আপনার জন্য দু’য়া করেছিলেন কিনা আর সেগুলো কবুল হয়েছিল কিনা।

৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:১৩

কানিজ রিনা বলেছেন: পৃথিবীতে নমরুদ ফেরাউন ঘুরেফিরে আসবে যাবে রেখে যাবে ইতিহাসের সাক্ষী। তাদের অত্যাচার নিপীড়ন নির্যাতন ইতিহাসে লেখা থাকে। আর আল্লাহ ছাড় দেন, ছেড়ে দেন না। যেমন নমরুদ ফেরাউনদের ছেড়ে দেন নাই।
বিশ্ব নেতাদের যতদিন না বিবেক ফিরবে যুদ্ধ যুদ্ধ মনোভাব। বিশ্ব বিবেক এর কিছু নেতা নমরুদ ফেরাউনের
অহংকার নিয়ে চলে তাদের পতন একদিন হবেই।
যেমন ধ্বংস হয়েছে চেঙ্গিস খান, ইয়াহিয়া খান,
যাদের নিপীড়ন নির্যাতন অসহায় মানুষ নিপিরণ নির্যাতন খুন রাহাজানি অসহায় মানুষ
প্রাণ বিসর্জন দিয়ে গেছেন যেমন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস।
এমন অসংখ্য নেতা যা ইতিহাসের সাক্ষী। অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৫

নতুন বলেছেন: কানিজ রিনা বলেছেন: পৃথিবীতে নমরুদ ফেরাউন ঘুরেফিরে আসবে যাবে রেখে যাবে ইতিহাসের সাক্ষী। তাদের অত্যাচার নিপীড়ন নির্যাতন ইতিহাসে লেখা থাকে। আর আল্লাহ ছাড় দেন, ছেড়ে দেন না। যেমন নমরুদ ফেরাউনদের ছেড়ে দেন নাই।

বিশ্বাস করেন যে নমরুদের নাকে দিয়ে একটা লেঙড়া মশা তার মাথায় চলে গিয়েছিলো এবং তার মস্তিস্কে কামড় দিয়ে তাকে হয়রান করে ছিলো।

যারা এটা বিশ্বাস করে তাদের নিজের মাথার কি অবস্থা সেটাই তারা জানে না। B-))

নাক দিয়ে কখনোই মসা মস্তিস্কে যেতে যারেনা।

৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৪০

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: আল্লাহর উপর আস্থা রাখুন। রোগ-শোক, কষ্ট-দুঃখ দিয়ে আল্লাহ তার বান্দাদের পরীক্ষা করেন। পৃথিবীব্যাপি যে যুদ্ধবস্থা বিরাজ করছে তার পিছনে মানুষ দাবী, সৃষ্টিকর্তা নয়। আবার মানুষ যদি সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে তবে আল্লাহ পথ দেখাবেন। সমস্যার রাস্তা মানুষকেই খুজে বের করতে হবে, পাশাপাশি দু’য়া করতে হবে।
বাই দা বাই খালাম্মাকে (আপনার আম্মাকে) বিনয়ের সাথে জিজ্ঞাসা করবেন তার গর্ভাবস্থায় আপনার জন্য দু’য়া করেছিলেন কিনা আর সেগুলো কবুল হয়েছিল কিনা।


যদি মানুষ এগিয়ে আসলে সমস্যার সমাধান হয় তবে সৃস্টিকতার কাছে দোয়া কেন?

বিশ্বের কোন মা ই সন্তানের জন্য খারাপ দোয়া করেনা। কিন্তু কয়টা দোয়া কবুল হয়?

আমার প্রথম সন্তান মারা গিয়েছিলো ৬ দিন বয়সে। আমি, স্ত্রী, আমার পরিবার, আত্নীয়স্বজন, বন্ধুরা সবাই দোয়া করেছিলো। কবুল হয় নাই।

এই রকমের কয়েক হাজার শিশু প্রতিদিন মারা যাচ্ছে তাদের সবাই দোয়া করে কিন্তু কোন সৃস্টিকতা কবুল করেনা।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ভাইয়া সব সন্তান পৃথিবীতে ভূমিষ্ট হতে হবে এমন কোন ধরাবাধা কথা নাই। আমরা মা-বাবা চাই সন্তান যেন দুনীয়াতে ভালভাবেই আসে। কিন্তু মহান আল্লাহর ইচ্ছা যেটা সেটাই হয়। কোন কোন সন্তান দুনীয়ায় না আসায় কল্যাণ নিহিত, আমরা স্বল্প জ্ঞানের কারণে তা বুঝি না। মাওঃ আশরাফ আলী থানবী রহ. এর মাওয়াযেজে আশরাফিয়া এর ২য় খন্ডে এ বিষয়ে বিস্তারিত আছে। পড়ে নিতে পারেন- আপনার সন্দেহ দূর হয়ে যাবে।

তিরমিযি শরীফের 6ষ্ঠ খন্ডের 3381 নং হাদিস “ জাবির রা. হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুল স. কে আমি বলতে শুনেছি, কোন ব্যক্তি ( আল্লাহ তায়ালার কাছে) কোন কিছু দু’য়া করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে তা দান করেন কিংবা তার পরিপ্রেক্ষিতে তার হাতে কোন অকল্যান প্রতিহত করেন।, যতক্ষণ পর্যন্ত সে কোন গুনাহের কাজে লিপ্ত হওয়ার বা আত্নীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার জন্য প্রার্থনা না করেন। ”

সুস্থ থাকুন-মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করি।

৮| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০২

নতুন বলেছেন: নিচের তথ্য গুলি দেখুন। কত শিশু মারা যায় প্রতি বছর। তাদের মায়েরা কি আল্লাহের কাছে দোয়া করে না?

এদের দোয়া কেন কবুল হয় না?

https://en.wikipedia.org/wiki/Child_mortality

কোন আগে শিশু এবং মায়ের মৃত্যু হার বেশি ছিলো এখন কমে যাচ্ছে? দোয়া কবুল বেশি হচ্ছে বলে?

না কি চিকিতসা ব্যবস্থা উন্নত হচ্চে বলে?

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩০

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: তিরমিযি শরীফের 6ষ্ঠ খন্ডের 3381 নং হাদিস “ জাবির রা. হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুল স. কে আমি বলতে শুনেছি, কোন ব্যক্তি ( আল্লাহ তায়ালার কাছে) কোন কিছু দু’য়া করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে তা দান করেন কিংবা তার পরিপ্রেক্ষিতে তার হাতে কোন অকল্যান প্রতিহত করেন।, যতক্ষণ পর্যন্ত সে কোন গুনাহের কাজে লিপ্ত হওয়ার বা আত্নীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার জন্য প্রার্থনা না করেন। ”

দু’য়া করার রীতি রেওয়াজ প্রত্যেক ধর্মেই আছে। স্বংয় শয়তানও আল্লাহর কাছে কেয়ামত পর্যন্ত অবকাশ চেয়ে দু’য়া করেছে।
বর্তমানে জ্ঞানশূন্য কোন কোন ব্যক্তি হতাশ হয়ে পড়েছে- হতাশা নয়- আল্লার দরবার নৈরাশ্যের দরবার নয়-চাওয়ার দরবার-পাওয়ার দরবার।
আর যারা দু’য়া করেনা তাদের কোন ধর্ম নেই। এদের শরিয়তের পরিভাষায় হয়তো নাস্তিক বলে থাকে।

৯| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাইয়া সব সন্তান পৃথিবীতে ভূমিষ্ট হতে হবে এমন কোন ধরাবাধা কথা নাই। আমরা মা-বাবা চাই সন্তান যেন দুনীয়াতে ভালভাবেই আসে। কিন্তু মহান আল্লাহর ইচ্ছা যেটা সেটাই হয়। কোন কোন সন্তান দুনীয়ায় না আসায় কল্যাণ নিহিত, মাওঃ আশরাফ আলী থানবী রহ. এর মাওয়াযেজে আশরাফিয়া এর ২য় খন্ডে এ বিষয়ে বিস্তারিত আছে। পড়ে নিতে পারেন- আপনার সন্দেহ দূর হয়ে যাবে।

ভাই চমতকার একটা কথা বলেছেন যে আমরা স্বল্প জ্ঞানের কারণে তা বুঝি না।

কিছু স্বল্প জ্ঞানের মানুষেরা বর্তমানের বিজ্ঞান জানেনা তাই গায়েবি জিনিসেই বিশ্বাস করি।

মানুষের জন্মের প্রকৃিয়া সম্পকে জানুন তবেই বুঝতে পারবেন অনেক বিষয় থাকে যার কারনে অনেক শিশু জন্মের আগেই মারা যায়।

এখন বিশ্বাসীরা বলবেন যে আল্লাহ তাদের দুনিয়াতে নিয়ে যায় কারন তাতে কল্যান নিহিত আছে।

সৃস্টিকতা এক দম্পতিকে সন্তান দিলেন এবং জন্মের আগে মারা গেলো এখানে সৃস্টিকতা কি ব্যর্থ না??? তিনি যদি দিতে নাই চাইতেন তবে ঐ নারী গর্ভ ধারন না করলেই তো হতো। ৯ মাস গর্ভে বড় করার পরে ৬ দিন পরে মারা যাবে সেটা সৃস্টিকতার ব্যর্থতা সেটা অন্ধবিশ্বাসীরা স্বীকার করতে চাইবেনা।

আপনি একজনকে খেতে বসালেন, আপনার চুলায় রান্না চলছে, এখন লবন বেশি হয়েগেছে তাই শেষে খাবার ফেলে দিলেন।
এখন মেহমানকে বললেন যে আপনারা চলে যান খাবার ফেলে দিতে হয়েছে কারন তাতে কল্যান নিহিত আছে???

স্বীকার করেনিন যে আপনি রান্না ঠিক মতন করতে পারেন নাই।

যদি মেহমানকে না খাবার দেয়াতেই কল্যান থাকতো তবে আপনি তাকে দাওয়াত না দিলেই পারতেন।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৭

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আপনি বিজ্ঞানকে ইসলামের বিরুদ্ধে দাড় করিয়ে দিলেন। যুক্তি দিলেন অনেক। ইসলাম যুক্তিতে বিশ্বাসী নয়। ইসলামে সেই ইমানদার, মোমেন যে অদেখা বিষয়গুলোকে বিশ্বাস করে যা সূরা বাকারার প্রথমেই বলা হয়েছে।

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৩

নতুন বলেছেন: ইসলাম যুক্তিতে বিশ্বাসী নয়। ইসলামে সেই ইমানদার, মোমেন যে অদেখা বিষয়গুলোকে বিশ্বাস করে যা সূরা বাকারার প্রথমেই বলা হয়েছে।

এই তো আসল কথায় এসেছেন।

এর পরে কোন পোস্টে আর ইসলামের কোন নিয়ম যে কতটা ভালো সেটার পক্ষে যুক্তি দেবেন না।

বলবেন এটাই উপর থেকে এসেছে এটাই ফাইনাল। যখন ভালোর পক্ষে যুক্তি দেবেন তখন এর সমস্যা গুলির পক্ষে যুক্তির মোকাবেলা করার মতন সাহস থাকতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.