নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রসঙ্গ- একাধিক (চার) বিয়ের বৈধতার বিরুদ্ধে ব্লগার এ আর 15 এর উদ্দেশ্যমূলক পোষ্টের জবাব দাখিল ও আলেম ওলামাদের ব্যঙ্গ করা এবং তার দৃষ্টি আকর্ষণ

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:২৭

প্রসঙ্গ- একাধিক (চার) বিয়ের বৈধতার বিরুদ্ধে ব্লগার এ আর 15 এর উদ্দেশ্যমূলক পোষ্টের জবাব দাখিল ও আলেম ওলামাদের ব্যঙ্গ করা এবং তার দৃষ্টি আকর্ষণ


আলেম-ওলামাদেরকে কাঠমোল্লা বা অন্যকোন নেতিবাচক বিশেষণে উপস্থাপন করা শরিয়তের সাথে ধৃষ্টতা ও চরম বেয়াদবির শামিল। হাদিসের কিতাব ‘মুসনাদে আহমদ’ এর ইলম অধ্যায়- ইলম ও উলামার মর্যাদা ও ফজিলত অনুচ্ছেদের ২ নং হাদিস – আনাস ইবন মালিক রা. হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, “রাসূল স. বলেছেন-জমিনের আলিমগণের উদাহরণ হচ্ছে আকাশে নক্ষত্ররাজির ন্যায়। এদের সাহায্যে জল ও স্থলের অন্ধকারের পথের দিশা পাওয়া যায়। আর যদি তারকারাজি নির্মিলিত হয়ে যায়, তবে পথ নির্দেশকদের পথভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।”

আমরা যারা ব্লগে নিজেদের পান্ডিত্য জাহির করি তাদের সকলকে প্রথমেই স্বীকার করতে হবে যে, আমরা কেউ মাদরাসা তথা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হতে জ্ঞানপ্রাপ্ত আলেম নই। আলেম না হয়ে ইসলামের কোন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও কথা বলতে কিংবা লেখালেখি করতে আমাদের সংশয় ঘটে না-এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ যখন আমরা ধর্মীয় (পরিবর্তনশীল নয়) হুকুম-আহকামের বিষয়ে নিজের মতামতকে নিজের মতো করে ব্লগে তুলে ধরি। একথা সর্বজনবিধিত যে, ইসলামের কোন প্রতিষ্ঠিত হুকুম-আহকামই পরিবর্তন করা যায় না। কিন্তু একশ্রেনীর লোকজন যখন ইচ্ছাকৃতভাবে সঠিক ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে গিয়ে বিপরীত ব্যাখ্যার অবতারণা করেন সেটা তখন চরম ধৃষ্ঠতার মধ্যেই পড়ে।

ইসলামে চার বিয়ে জায়েজ নাকি নাজায়েজ শিরোনামে ১৭ আগষ্ট ১২.৩৮ ইং তারিখে এমনই এক ব্লগ লিখেছেন প্রিয় ব্লগার জনাব এ আর ১৫। আমি জানিনা সেটা তিনি কোন উদ্দেশ্যে লিখেছেন। কলমে যা আসে তা লিখলেই সেটা শরিয়াতের মাসয়ালা হয়ে যায় না, মাসয়ালা সেটাই যেটা কিতাবে আছে এবং সর্বজন কর্র্তক গৃহীত। তিনি একাধিক (চার) বিয়ের বৈধতা রহিত হয়েছে এবং সূরা নিসার 3নং আয়াত দ্বারা ইয়াতিমদের মধ্যে হতে ০৪ জনকে বিয়ের করার কথা বলা হয়েছে মর্মে এবং শধুমাত্র ০১ টি বিয়েই বৈধ মর্মে তার লেখায় দাবি করেছেন কিন্তু কোন কিতাবে তা স্পষ্টাকারে লেখা আছে তার দলিল পেশ করেননি। দলিল পেশ না করে তিনি সেটা ভাল করেননি মর্মেও আমার কাছে প্রতিয়মান হচ্ছে।

ওদিকে মূল প্রেক্ষাপট বা সঠিক মর্ম অনুধাবন না করে অনেকেই লেখকের পক্ষে মন্তব্য করেছেন। মূল প্রোক্ষাপট বা সঠিক তথ্য না জেনে মিথ্যাকে সমর্থন করাও মিথ্যা বলার শামিল। “তাফসির তাওযিহুল কুরআন, কুরআনুল কারিম, তাফসির আহসানুল বয়ান, তাফসির ইবনে কাসির 2য় খন্ড, তাফসির তাইসিরুল কুরআন, বাংলা কুরান (দারুস সালাম) নামক কিতাবসমূহে সূরা নিসার 3নং আয়াতের যে অনুবাদ ও বিস্তারিত ব্যাখ্যা (পোষ্ট বড় হয়ে যাবে সেই আশঙ্কায় ব্যাখ্যা সমূহ লিখলাম না, আগ্রহীরা কিতাবসমূহ দেখে নিবেন, অবশ্য উক্ত পোষ্টের লেখক চ্যালেঞ্জ করলে দলিল প্রমাণ সহ হাজির হবো ইনশাআল্লাহ) করা হয়েছে তাতে শর্তসাপেক্ষে একজন পুরুষ মুসলমানকে চারটি পর্যন্ত বিবাহ করার যে অনুমোদন দেয়া হয়েছে তা অদ্যাবধি বলবৎ আছে এবং সূরা নিসায় চার বিয়ে ইয়াতিম মেয়েদেরকে নয় বরং ইয়াতিম ব্যতিত অন্য সাধারণ মেয়েদেরকে করার জন্য বলা হয়েছে মর্মে প্রতিয়মান হয়। আশা করি উক্ত পোষ্টের লেখক এখানে উল্লেখিত কিতাবসমূহ দেখে নিবেন এবং তার ভুল নিরসনে সচেষ্ট হয়ে ভবিষ্যতে ব্লগে শুদ্ধতার চর্চা অব্যাহত রাখবেন। আর সম্মানী ব্যক্তিবর্গকে অর্থাৎ আলেম-ওলামাদের সম্ভাষণের ব্যাপারে এবং আচরণের দিক থেকে যথার্থ শালীনতা বজায় রাখবেন।

মন্তব্য ৬৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

শেরজা তপন বলেছেন: হায়রে চার বিয়ে-রে!!!!
জীবনে কতবার নাস্তানুবাদ হয়েছি - আমার বিদেশী বন্ধুরা যখন এবিষয়ে প্রশ্ন করে, চোখ নাচিয়ে কটাক্ষ করে বলত; ইস তোমাদের কত মজা, চারখানা বৌ একসাথে ওফ ভাবতে পারিনা!!!
আমি বিব্রত হয়েছি।নিজেকে ও আমার ধর্মকে ডিফেন্ড করার জন্য কিছুটা ধর্ম থেকে নিয়ে- কিছুটা নিজের মত ব্যাখ্যা করেছি!
এভাবে তর্ক- বিতর্ক আর কতদিন চলবে?
আমার মনে হয়, এভাবে ছেড়া ছেড়া ব্লগিং না করে আমরা একটা বিতর্কের আয়োজন করতে পারি। এইসব আলোচনা শেষ হওয়া উচিত...

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৩৮

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ভাইয়া হতাশ হবেন না। চার বিয়ে করার বিষয়ে শরিয়তের যে ব্যাখ্যা সেটাতো আমার আপনার উপর ফরজ বা ওয়াজিব কিছু নয়। কোন কারণে কেউ যদি একাধিক বিয়ে করেও থাকে শরিয়াতের ফায়সালা তার জন্য। অন্তত আমার-আপনার হয়তো একাধিক বিয়ে করার মতো কোন কারণ ‍সৃষ্টি হয়নি বলেই আমি মনে করি। সুতরাং হতাশা নয় চাই আরো জ্ঞানার্জন।
এখানে আপনি নাস্তানাবুদ হওয়ার যে ব্যাপারটি ঘটেছে সেটা হচ্ছে ব্যাপারটি সম্পর্কে আপনার পূর্ণ জ্ঞান না থাকা। আমি যে কিতাবগুলোর রেফারেন্স উল্লেখ করেছি সময় করে সেগুলো পড়ুন। আপনার জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি পাবে। আসলে আমরাতো পড়াশুনা করিনা, সেটাই আমাদের সমস্যা। আমরা যতটুকু জানি ততটুকুর উপর গর্ব করে বসে থাকি-এটা ঠিক নয়।
চার বিয়ের ব্যাপারে শরিয়তের যে বক্তব্য সেটা শর্তাধীন। আবার একাধিক বিয়ে করে সকল স্ত্রীদের সমানভাবে অধিকার রক্ষা না করতে পারলে সেজন্যও শরিয়তে কঠোরতা আছে-আপনার বন্ধুরা সেটা হয়তো জানতেন না। না জানাটা অপরাধ নয়-তবে না জেনেও ব্যঙ্গ করাটা ধৃষ্টতা, এমন করার অধিকার আমাদের কারো নেই। বিশেষত ধর্মীয় বিষয়ে।
ভাইয়া একটা কথা মনে রাখবেন, আজীবন উপকৃত হবেন। আপনাকে কেউ যদি কোন বিষয়ে প্রশ্ন করে, আপনি প্রশ্নকারীর উদ্দেশ্য বুঝতে চেষ্টা করুন। কেননা হয়তো সে সত্যিকার অর্থেই জানতে চাচ্ছে সমাধান অথবা আপনাকে নাস্তানাবুদ করা জন্য বা হেয় করার জন্য প্রশ্ন করছে। প্রশ্নকারী পজিটিভ হলে উত্তর দিন নয়তো এড়িয়ে যান। আর সত্যি কথা বলতে গেলে, শরিয়াতের কোন বিষয়ে উত্তর দেয়ার জন্য আমরা সিলেকটেড নাই- কোন মুফতি, মোহাদ্দেস বা আলেমও নই। সুতরাং বিতর্ক থেকে দূরে থাকাই নিজের ঈমান হেফাজত করার মাধ্যম বলে মনে করি।
ভাল থাকবেন। ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

অজ্ঞ বালক বলেছেন: চার বিয়া নিয়া আর কত?!

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সঠিক ফায়সালা মাইনা নিতে সমস্যা কোথায় ?

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৩

অজ্ঞ বালক বলেছেন: এককালে আমেরিকায় দাসপ্রথা চালু ছিল, কিন্তু সেইটা নীতিহীন একটা বিষয় আছিল। এককালে নাকি টেবিলের পায়ায় কাপড় প্যাচাইয়া রাখা হইতো, তা না হইলে সেইটারে অশ্লীলতা কওয়া হইতো!

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪০

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: বকবক বাদ দিয়ে মূল কথায় আসুন। একের অধিক অবৈধ হলে রেফারেন্স দিন।

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৩

এ আর ১৫ বলেছেন: খুব বেশি চালাক হয়ে গেছেন , তাই না ?
উপরের দিকে থুতু মারলে , তখন নিজের মুখে এসে সেটা পড়ে , সেটা নিশ্চয়ই জানে ।
আপনি একমত হয়েছেন -- ইসলামে শর্ত সাপেক্ষে চার বিয়ে করতে পারবে ।
সেই শর্তটা কি ?
সেই শর্ত হোল -- সব নারীর প্রতি ন্যায় পরায়ন আচরন করতে হবে , কোন রকম পক্ষপাত্তিত্ব করতে পারবে না , সমান ভাবে সব কিছু ভালোবাসা সহ সব ধরনের ট্রিটমেন্ট করতে হবে ।
এখন প্রমাণ করুন কোন পুরুষের পক্ষে এই শর্ত পালন করা কি সম্ভব ? যদি শর্ত পালন করতে পারে একাধিক বিয়ে পরতে পারবে ,যদি না পারে তখন একটা বিবাহ ।
দলিল সহ পেশ করুন পুরুষ মানুষের পক্ষে এই শর্ত পালন করা সম্ভব । ধন্যবাদ

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আপনি বলেছেন একের অধিক বৈধ নয়-এটাই বিধান। আমি বলেছি একের অধিক ( সর্বাধিক চার টি) বৈধ তবে শর্তাধীন। একের অধিক বৈধ নয় এরুপ দলিল দেখান যদি সত্যবাদী হয়ে থাকেন। শর্ত পালনের বিষয় আসছে বিয়ের পরে। যে মনে করে শর্তাবলী পালন করতে পারবে সে পরিস্থিতি বিবেচনায় একের অধিক বিয়ে করতে পারে-শরিয়তে বাধা নাই। অযথা তর্ক না বাড়িয়ে আমার দেয়া রেফারেন্সের কিতাবগুলো পড়ে দেখেন- আপনার ভুল শুধরে যাবে, শুধরাতে সমস্যা কোথায়? আর যদি আপনি সত্যবাদী হোন তবে কিতাবের নাম উল্লেখ করুন। আমি দেখে নেব।
আর একটা কথা - ব্যবহারটা একটু সুন্দর করবেন, এতে আপনার মানসিকতার প্রকাশ পায়।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৪১

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: তাহলে আপনি মেনে নিলেন যে, শর্তের অধীনে সর্বাধিক চারটি বিয়ে করা যাবে । আপনার শুভ বুদ্ধির উদয় দেখে ভাল লাগল।

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: ছোট্র একটা জীবন যার যা ভালো লাগে তাই তো করা উচিত।
কেউ যদি দুই বা চার বিয়ে করে সুখী থাকে থাকুক। তাতে সমস্যা কি?

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৩৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ভাল লাগাটা শরিয়তের বিধানে বৈধ হতে হবে, মনগড়া কথা বলা নাস্তিকদের সাজে-মুসলমানের নয়।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এত কিছু থাকতে চার বিয়ে নিয়ে কেন মাঠে নামলেন। খাওয়াতে পরাতে পারলে যার মনে যা চায় করেন । আরব দেশের মত ৫০টা বাচ্চার বাপ হলেও ক্ষতি নাই ।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: নেওয়াজ ভাই, আসলে চার বিয়ে নিয়েই শুধু নয় শরিয়তের কোন প্রতিষ্ঠিত বিধান নিয়ে কোন বিরূপ মন্তব্য আসলে বা কোন প্রচলিত বিধান যেটা শরিয়ত সমর্থিত যদি সেটা নিয়ে কেউ ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে তবে একজন ইমানদার হিসাবে আমাদের সকলের উচিত মূল সত্য তুলে ধরা। কেননা চাইলেও আমরা তার বিচারের ব্যবস্থা করতে পারছি না। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে অন্তত লেখালেখি করে হলেও মূল কথাতো তুলে ধরতে হবে। আগামীকাল যদি কোন বিভ্রান্ত ব্যক্তি বলে পাঁচ ওয়াক্ত নয় বরং ৩ ওয়াক্ত নামায ফরয তখন কি করা যাবে? চুপ করে বসে থাকলে চলবে?

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৩৮

লরুজন বলেছেন: দোয়া করতাছি
আল্লাহ যেন আফনার চার বিয়ার মনের খায়েশ পূরণ কইরা দেইন
অনন্ত দুইডা বিয়া যেন আল্লাহ আফনার কইরা দেইন
!!

চিন্তা কইরেন না, আমার দোয়া লাইগ্যা যায়।।।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: মনের ভাব প্রকাশ করার এই ভাষা কোথায় পেলেন?

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৮

এ আর ১৫ বলেছেন: শর্ত পালনের বিষয় আসছে বিয়ের পরে।

ঠিক কথা বিয়ে না করলে , শর্ত বাস্তবায়ন করবে কি করে

যে মনে করে শর্তাবলী পালন করতে পারবে সে পরিস্থিতি বিবেচনায় একের অধিক বিয়ে করতে পারে-শরিয়তে বাধা নাই।

তাহোলে আপনার আল্লাহর উপর ঈমাণ নাই সেটাই প্রতিফলিত হচ্ছে । আপনি ঐ লোকের কথা বিশ্বাষ করেন কিন্তু আল্লাহর কথা বিশ্বাষ করেন না (নাউযুবিল্লাহ ) । ঐ লোক কয় আমি শর্ত পালন করতে পারুম , কিন্তু আল্লাহ বলে তোমরা কখনো নারী দিগকে সমান রাখতে পারবা না ( ৪--- ১২৯ )
তাহোলে আপনি এবং ঐ লোক আল্লাহর কথার উপর খবরদারি করেন (নাউযুবিলল্লাহ )

বিস্তারিত ব্যাখা
আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায় সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে, একটিই অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকে; এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভাবনা।
আপনি কি জানেন না উপরে লাইন দুটি একাধিক বিবাহের অন্যতম প্রধান শর্ত ? এখানে ন্যায় সঙ্গত আচরনে, পক্ষপাত হীন ব্যবহার বহু বিবাহের অন্যতম প্রধান শর্ত , সেটা পালন করতে না পারলে একটার বেশি বিবাহ নহে ।
এই আয়াত নাজিল হওয়ার পরে , অনেকে মনে করছে ন্যায় সঙ্গত ভাবে সবাইকে ট্রিট করতে পারবে, তাই বহু বিবাহ করেছে ।

এর পরে অনেক জন শর্ত পালন করতে পারবে মনে করে একাধিক বিবাহ করে, তখন তাদের উদ্দেশ্যে আয়াত ৪--১২৯ অনেক পরে নাজিল হয় --

তোমরা কখনও নারীদেরকে সমান রাখতে পারবে না, যদিও এর আকাঙ্ক্ষী হও। অতএব, সম্পূর্ণ ঝুঁকেও পড়ো না যে, একজনকে ফেলে রাখ দোদুল্যমান অবস্থায়। যদি সংশোধন কর এবং খোদাভীরু হও, তবে আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।


এই সমস্ত ব্যক্তি ৪--৩ এর পক্ষপাত হীন ন্যায় সঙ্গত আচরনের শর্ত পালন করতে পারেনি এবং এইটা আল্লাহর স্ট্যাটমেন্ট তোমরা কোন দিন সেটা পারবা না । যেহেতু তারা শর্ত পালন করতে পারিনি , সে জন্য তো আল্লাহ তাদেরকে ৩ জন বিবি তালাক দিয়ে দিতে আদেশ দেন নি , তিনি পরের লাইনে দিক নির্দেশনা তাদের দিয়েছেন কিভাবে ব্যালেন্স করে চলতে হবে । ৪-১২৯ আয়াত নাজিল হওয়ার আগে যারা একাধিক বিবাহ অলরেডি করে ফেলেছিল , এই দিক নির্দেশনা শুধু তাদের জন্য ।

৪--১২৯ আয়াত থেকে একটা মেসেজ পেলাম যে কোন পুরুষের পক্ষে নারীদের সাথে ন্যায় সঙ্গতভাবে ট্রিট করা সম্ভব নহে ।

এবং ৪--৩ এর বহু বিবাহ করার অন্যতম প্রধান শর্ত অবশ্যই পক্ষপাত হীন হতে হবে এবং ন্যায় সঙ্গত আচরন করতে হবে ----এই শর্ত পালন করা কোন পুরুষের পক্ষে সম্ভব নহে যেটা আল্লাহ ৪--১২৯ তে কনফার্ম করেছেন ।

সুতরাং ৪--১২৯ নাজিল হওয়ার পর বহু বিবাহ বাতিল ।

এখন আপনি মনে করেন --- যে মনে করে শর্তাবলী পালন করতে পারবে সে পরিস্থিতি বিবেচনায় একের অধিক বিয়ে করতে পারে-শরিয়তে বাধা নাই।
তার মানে হইলো আল্লাহ যে বোলছে তোমরা এই শর্ত পালন করতে পারবে না , সেটা আপনি মানেন না ( নাউযুবিল্লাহ ) , আপনি মানেন ঐ বেডার কথা যে মনে করে তিনি শর্ত পালন করতে পারবে , এর পর আপনি দাবি করবেন আপনার ঈমাণ ঠিক আছে । আল্লাহ কি মনে করে সেটা মানেন না , মানেন ঐ বেডার কথা (নাউযুবিল্লাহ )


১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আমার দেয়া রেফারেন্সের কিতাবগুলো পড়ুন। তারপর মন্তব্য করুন। আশা করি আপনার পান্ডিত্যের ঝুড়ি বেঁকে যাবে। আমি আপনার নিজের কোন মতামতকে কোন ভাবেই গ্রহণ করবো না। গ্রহণ করবো আয়াতসমূহের ব্যাখ্যার তাফসির ও মাসয়ালাসমূহকে । খুব বেশী চালাকি করে উত্তর দিচ্ছেন দেখছি। আমি যদি আপনার প্রত্যেক শব্দের উত্তর দিতে যাই তবে আমার অনেক সময় ব্যায় হবে বিধান আমি সেদিকে যেতে চাইছি না। তবে হ্যাঁ, অন্যান্য ব্লগার বন্ধুরা যদি বিষয়টি নিয়ে আমাকে সিরিয়াস হতে বলে তবে আমি তাদের মতামতকে শ্রদ্ধা দিখিয়ে আবশ্যই কলাম ধরবো। আর তখন অন্যান্য ব্লগারদের ভোটাভুুটিও প্রার্থনা করবো।
সুতরাং চালাকি নয়, কিতাব থেকে কথা বলুন।

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:৫৯

নতুন নকিব বলেছেন:



বিষয়টি নিয়ে লেখার জন্য শুকরিয়া।

সময় সুযোগ পেলে মেহেরবানি করে আপনি পোস্টটি এডিট করে তাফসীরের কিতাবগুলোর সংশ্লিষ্ট পৃষ্ঠার স্ক্রীনশট নিয়ে অথবা অন্য কোনোভাবে লিখে দিয়ে বিস্তারিত দলিলভিত্তিক তথ্যাদি যুক্ত করে দেন। দলিলসহ আলোচনা উপস্থাপন করলে অনেকের জন্য তা খুবই ভালো হবে। কারণ, ইতোমধ্যে অনেককেই সাম্প্রতিক প্রকাশিত অন্য একটি পোস্ট বিভ্রান্তিতে ফেলেছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:২৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ঠিক আছে আমি তাহলে কিতাবগুলো থেকে হুবহু তুলে ধরবো, নিজের কোন মতামত নয়। তবে আপনারা যারা সহব্লগার আছেন তারা যদি এই বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে থাকেন। ব্লগ লেখার আড়ালে ধর্মীয় কটূক্তির উত্তর দিতে আমি প্রস্তুত।
যদি সম্ভব হয় আপনি একটা জনমত তৈরী করার চেষ্টা করেন। অন্যান্য সহব্লগারদের বলুন তারা কিভাবে বিষয়টিকে দেখছে। একটি বিচারক প্যানেল তৈরী করুন যদি সম্ভব হয়। সময় বেধে দিন আমাকে ও তথাকথিত এ আর ১৫ কে। আমি উপযুক্ত দলিল-আদিল্লাসহ ব্লগে হাজির থাকবো।
তবে আর একটা কথা যদি এটাও সম্ভব হয় সত্য প্রকাশকারীকে পুরুস্কৃত করা যায় কিনা সেটাও ভেবে দেখবেন।
ধন্যবাদ।

১০| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

@ মোঃ খুরশীদ আলম আপনাকে ধন্যবাদ বিষটি আবার সামনে আনার জন্য।
তবে চোর কি কভূ শোনে ধর্মের কাহিনী !! এদের যতই বুঝাবেন এরা ততই বাঁকাবে।
ঘী ঢেলেও কুকুরের লেজ সোজা করা যাবেনা। এরা ধর্ম মানে কিন্তু শর্ত মানেনা্। ধর্মে
সবাইকে ঢালাও ভাবে ৪ বিয়া করতে অনুমতি দেয়নি সত্য। তবে বিশেষ কারনে ধর্ম
সর্বোচ্চ চার বিয়ের পারমিশন দেয়। এটা যদি না যায়েজ হতো আর কেউ যদি তা করতো
তা হলে মোল্লা মলবীরা চুপ থাকতোনা, সরকারও ছাড়তোনা। সুদ ঘুষ জেনার ব্যাপারে
আল্লাহর নিষেদ, মোল্লাদেরও নিষেধ। তারা কোরআ্ন হাদিসের বাইরে কোন কথা বলেনা।
কিন্তু কিছু মাথা মোটা ধর্মীয় চেতনার দন্ড খাড়া করার নামে কু তর্কে মাতে। এদের থেকে
সাবধান থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারন এদের সাথে তর্কে জড়ালে এরা আপনাকে
তাদের স্তরে নামিয়ে আনবে। তোরা ধর্মের কথা মানবিনা ঠিক আছে সেটা তোদের ব্যাপার
তবে অন্য যদি তা মানে তাকে বাধা দেবার তুই কে? কারো প্রয়োজনে ধর্মের শর্ত মেনে
যদি কেউ একটার অধিক বিয়ে করে তাতে তোর কি? ভাত কাপড় তুই দিবি !!

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। তবে আচরণ আরো ঠান্ডা ও শালীন হওয়া ভাল। আমরা তো এখানে কেউ কারো শত্রু নই। কারো ত্রুটি থাকলে সেটা সংশোধন করা বা ধরিয়ে দেওয়াটাই কর্তব্য- আর কিছু নয়।

১১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০২

এ আর ১৫ বলেছেন: জী আপনার মতামতের পক্ষে অনেক তফসির আছে , ওনারা কখনো সুরা নিসার আয়াত ৩ এবং ১২৯ কে একসাথে নিয়ে বিশ্লেষন করে নি। যারা বিশ্লেষন করেছে, তারা বহু বিবাহের বিপক্ষে রায় দিয়েছে। আপনার দেওয়া তফসির সম্পর্কে জানা আছে।

আপনারা শুধু ওই লোকের কথা মানেন কিন্তু আল্লাহর কথা মানেন না। আহারা ঈমাণ, নিজেরে মুসলমান দাবি করেন। আপনি কি মনে করেন, আপনা মতামতের তফসির না পড়ে লিখতেছি।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: এতো কথা বলার কি আছে? আপনাকেতো বললাম আপনার মতামতের পক্ষে কিতাবের রেফারেন্স প্রদান করুন। দলিল আদিল্লা দিতে আপনি এতো গরিমসি করছেন কেন? আমিতো আপনার সাথে যুদ্ধে করতে প্রস্তুত আছি।

১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমি বাংলাদেশের ৯৯% হুজুরদেরকে আলেম হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করি না। এই ৯৯% এর মধ্যে অধিকাংশই কাঠমোল্লা, অজ্ঞ এবং জাস্ট হুজুর নামধারী। এরা কোরান জাস্ট নামকা ওয়াস্তে এবং নিজের ও রাজনৈতিক প্রয়োজনে ব্যবহার করে।

১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩০

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আলেমদের সম্পর্কে আপনার মূল্যায়ন অত্যন্ত নিম্নমানের। একজন আলেমকে মূল্যায়ন করতে হলে আপনাকে সেই আলেমের চেয়ে বেশী পড়াশুনা করতে হবে বা জানতে হবে। আল্লাহ যার ধ্বংস চান তাকে আলেমদের পিছনে লাগিয়ে দেন। মানসিকতা বদলান। আলেমদের সাথে সম্পর্ক করুন, দেখবেন আপনার ধারণা পরিবর্তন হয়ে যাবে।

১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:১২

এ আর ১৫ বলেছেন: নুর সাহেব লিখেছে,,,,
কারো প্রয়োজনে ধর্মের শর্ত মেনে
যদি কেউ একটার অধিক বিয়ে করে তাতে তোর কি? ভাত কাপড় তুই দিবি
,,,,,,,,,,,,
ধর্মের শর্ত কোন মমিন মানতে পারবে,, যেখানে আল্লাহ বলেছেন, ৪--১২৯ আয়াতে তোমরা কোন দিন এই শর্ত পালন করতে পারবে না।
বিস্তারিত বলা হয়েছে ৮ নাম্বার কমেন্টে, সেই ব্যাখা দেখার পর দাবি প্রয়োজনে ধর্মের শর্ত মেনে, যেখানে আল্লাহ বলে দিয়েছেন এই শর্ত তোমরা মানতে পারবা না। এখন তো দেখা যাচ্ছে আপনার লেজই সোজা হয় না সরমেয়দের মত

১৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি আপনি কেউকে জিজ্ঞেস করেন, আলেম কাকে বলে?
শতকরা ৯৯ জন উত্তর দিবেন, আলেম মানে তো হুজুর! যারা মাদ্রাসায় লেখা পড়া করে তারাই আলেম।

বলা বাহুল্য উত্তরটি নিঃসন্দেহে ভুল। মাদ্রাসায় পড়লেন, দাঁড়ি টুপি পড়লেই কেউ আলেম হয়ে যান না। আলেম মানে হচ্ছে জ্ঞানী। যিনি কোন বিষয়ে সঠিক ও সুক্ষ জ্ঞান ধারন করেন তিনিই আলেম। তবে শব্দিক অর্থ দিয়ে আলেমের পরিচয় সম্ভব নহে, পারিভাষিক অর্থ দ্বারা আলেমের পরিচয় পাওয়া যায়। আলেম হবার জন্য কারো মাদ্রাসায় পড়া জরুরী নয়। ধার্মিক প্রেক্ষাপটে বিশেষ করে ইসলামি প্রেক্ষাপটে যে ব্যক্তি কোরআন, হাদীস, ইজমা কিয়াস ও অন্যান্য বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন এবং যিনি পরিবর্তিত সমাজ ব্যবস্থার সাথে প্রচলিত দ্বীনের সঠিক সমন্বয় ঘটানোর ব্যাপারে নিজ অবস্থানকে যৌক্তিকভাবে প্রমান করতে পারবেন, তিনিই একজন ধর্মীয় আলেম। আমাদের দেশে প্রকৃত কোন ধর্মীয় আলেম আছে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। অন্য ধর্মের কথা জানি না, তবে মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশে ইসলামিক আলেমদের সংখ্যা দিন দিন আশংকাজনকহারে কমে যাচ্ছে।

বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যানে যে সকল তথাকথিত আলেম বিখ্যাত হয়েছেন বা শ্রোতা প্রিয়তা পেয়েছেন দুই একজন বাদ দিয়ে অধিকাংশ বিভিন্ন দল, আকীদা বা মতে বিভক্ত। সেই সাথে আছে আত্ম অহংকার, ক্ষমতার দাপট, একে অন্যের সাথে রেষারেষি ও গীবত। অথচ একজন প্রকৃত আলেম কখনই অহংকারী হবেন না। তিনি কখনই নিজের ক্ষমতার কথা, নিজের প্রভাবের কথা মানুষকে জোর গলায় জানাবেন না। কিন্তু আমরা ইউটিউবের মাধ্যমে দেখেছি আমাদের বিখ্যাত সব আলেমরা কি পরিমান অহংকারী, ক্ষমতা প্রয়োগ করতে চায়, নিজ সুবিধার কারনে কোরান হাদীস ব্যবহার করে। আমাদের দেশের মানুষ এই সব জেনে বুঝেও এদেরকে অনুসরন করে। কারন অলস বাংলাদেশী মুসলমানরা নিজে কোরান হাদীস পড়বে না, বুঝবে না। তারা শটকার্ট প্রিয়। অন্যের লেজ না ধরলে আমরা সাহস পাই না। অবশ্য তাদেরকে ধন্যবাদ কারন এত লেজ ধরে টানাটানির কারনে অনেক কিছুই দৃশ্যমান হচ্ছে।

অতএব অধিকাংশ বাংলাদেশী হুজুর সম্পর্কে আমি এটাই ভাবি। এরা কেউ ইসলামকে ভালোবেসে হুজুর হয় নাই, এদের মধ্যে অধিকাংশ হইছে পারিবারিক চাপে, এতিম হবার কারনে বাধ্য হয়ে।

বর্তমান ইন্টারনেট এর যুগে মাদ্রাসায় বসে ইসলাম শিক্ষা করা লাগে না। পৃথিবীর বিখ্যাত ও স্বীকৃত ইসলামিক আলেমদের বই ইন্টারনেটে পয়সা দিলে পাওয়া যায়। আর বাংলাদেশে তো আমি কোন ইসলামিক স্কলার দেখি নাই। যা আছে তার অধিকাংশই গারবেজ। এদের লেখা বই অবশ্য পাওয়া যায় গারবেজ ডট কম সাইটে। বাংলাদেশ ইসলামিক স্কলার নামে পয়দা করতে পারে ৮ রশি, ১২ রশি, অমুকবন্দ, তমুকবন্দ, হেন তেন হাবিজাবি।

আপনি আমাকে ব্যবহার শিখাইতে আইসেন না। আপনার চেয়েও বড় বড় বহুত মাওলানারে আমি ইসলামের সবক দিসি। কারো সম্পর্কে না জেনে পটপট করা আপনার অবশ্য পুরানো অভ্যাস। যেমন কয়েকদিন আগে স্টিকি পোষ্টে আপনি যে কমেন্ট করছেন, সেই কমেন্টের ব্যাখ্যা এখনও পাই নাই। আশা করি স্টিকি পোষ্টে গিয়ে আপনার কমেন্টের ব্যাখ্যা দিয়ে আসবেন।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:২৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: পুরো মন্তব্যেতো আমাকে ঝাড়তে গিয়ে গোটা আলেম সমাজকে ঝেড়ে দিলেন। আবশ্য এতে করে ইসলাম ও ইসলামের কর্ণধার আলেম সমাজের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি আমার নিকট পরিস্কার হয়ে গেল। যাক, আপনার বিশ্বাস নিয়ে আপনি থাকুন। সেখানে আমি জল ঢালতে যাব না।
স্টিকি পোষ্টে কমন্টের ব্যাখা তলব করার আপনি কে? কোন ব্লগার অপর কোন ব্লগারের কাছে ব্যাখ্যা তলব করোর অধিকার রাখে না । যেটা রাখে সেটা হলো সবিনয়ে মতামত জানতে চাওয়া।
উক্ত ব্লগে আমি আমার মতামত তুলে ধরেছিলাম বাংলায়, না বুঝার কোন মানে তো দেখিনা। আর যদি বুঝে না থাকেন তাহলে ব্লগিং আপনার জন্য নয় বলেই আমি মনে করি।

১৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৭

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
"তোমরা কখনও নারীদের মাঝে ন্যায় সঙ্গত ও সমতাপূর্ণ আচরণ করতে পারবে না। অতএব,সাধ্যমতো চেষ্টা করো যাতে একবারে একদিকে ঝুঁকে না পড়ো, যাতে আরেকজনকে ফেলে রাখতে হয় দায়িত্বহীনের মতো। জেনে রেখো, যদি সংশোধনের পথ এবং খোদাভীরুতার পথ অবলম্বন করো, তবে আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, করুণাময়।"(৪:১২৯)

এমন সব পুরুষদের উদ্দেশ্যে এ আয়াতটি নাযিল হয়েছে যাদের একাধিক স্ত্রী রয়েছে। আগের আয়াতে দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক সংশোধন ও সৌহাদের ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ আয়াতে পুরুষদেরকে ন্যায় ও সাম্যের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, কিন্তু এ আয়াতের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে যাবার আগে কয়েকটি বিষয়ে পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই:

প্রথমতঃ ইসলাম কখনোই একাধিক স্ত্রী গ্রহণের ব্যাপারে পরামর্শ কিংবা আদেশ দেয় নি,বরং বিশেষ পরিস্থিতিতে একাধিক স্ত্রী গ্রহণকে বৈধতা দিয়েছে।

দ্যাটস ইট।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:২৭

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আপনি তো রাইট পয়েন্টে কথা বললেন, আমি এটাইতো বুঝাতে চাইছি এ আর ১৫ কে। তাকে একটু বুঝান যেন আর বিভ্রান্তি তৈরী না করে।

১৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ব্লগার নুরু ভাই একটা জিনিস! সুযোগ পাইলেই তিনি বিভিন্ন নায়িকার জন্মদিন, মৃত্যূদিন ইত্যাদি নিয়ে শুভেচ্ছা বানী জানান। গত কয়েকদিন আগেও দেখলাম নায়িকা শবনমকে নিয়ে পোস্ট দিসেন। ইদানিং ইসলাম সংক্রান্ত পোস্ট দেখলেই তিনি ঝাপিয়ে পড়েন। এটাকেই বলে বিষয় বস্তুর বৈচিত্র্য।

১৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেনঃ প্রথমতঃ ইসলাম কখনোই একাধিক স্ত্রী গ্রহণের ব্যাপারে পরামর্শ কিংবা আদেশ দেয় নি,বরং বিশেষ পরিস্থিতিতে একাধিক স্ত্রী গ্রহণকে বৈধতা দিয়েছে।

আমি আমার লেখায় এই কথাটি বুঝতে চেয়েছি এবং কোন কোন পরিস্থিতিতে একাধিক (চার এর অধিক নয়) বিয়ের বৈধতা দিয়েছে তা উল্লেখ করাতেই এত কথার উৎপত্তি। ধন্যবাদ কাভা ভাই সহযোগীর হস্ত প্রসারিত করার জন্য। আল্লাহ সবাইকে ধৈর্যশীল হবার তওফিক দান করুন। আমিন

২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: এ আর ১৫ তার লেখায় সূরা নিসার ৩ নং আয়াতকে ১২৯ নং আয়াতের সাথে বর্ণনা করতে গিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস তিনি জেনে শুনে সরলমনা ধর্মভীরু ব্লগারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি দাবী করছেন, একাধিক বিয়ে অবৈধ এবং ৩ নং আয়াত ১২৯ নং আয়াত দ্বারা রহিত হয়েছে।
আপনিকি ওনার সুক্ষ কারচুপি ধরতে সক্ষম হয়েছেন ?

১৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ব্লগার নুরু ভাই একটা জিনিস! সুযোগ পাইলেই তিনি বিভিন্ন নায়িকার জন্মদিন, মৃত্যূদিন ইত্যাদি নিয়ে শুভেচ্ছা বানী জানান। গত কয়েকদিন আগেও দেখলাম নায়িকা শবনমকে নিয়ে পোস্ট দিসেন। ইদানিং ইসলাম সংক্রান্ত পোস্ট দেখলেই তিনি ঝাপিয়ে পড়েন। এটাকেই বলে বিষয় বস্তুর বৈচিত্র্য।

কাভা ভাই আমি শুধু নায়িকার জন্ম মৃত্যু দিন নয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা গুণীজন তাদের জন্ম-মৃত্যু দিবসে তাদের শুভেচ্ছা ও শ্রদ্ধা জানানোর মধ্য দিয় তাদের কর্মময় জীবন গাঁথা তুলে ধরি। তা ছাড়া ইতিহাস ঐতিহ্য জাতীয় ও আন্তর্জাত ইভেন্টগুলোও থাকে নিয়িমিত। ধর্মের ব্যাপারেও আমার দূর্বলতা আছে। বিভিন্ন ধর্মীয় ইস্যুতে আমার লেখা রয়েছে। আমার লেখা ইসলাম ধর্মে একাধিক (চারের অধিক নয়) বিয়ের যৌক্তিকতা নিয়ে অন্তত ৪টি পোস্ট এসেছে সামুতে। সুতরাং আমি আমার লেখার বিষয় বস্তুতে এক ধারায় থিতু থাকিনা। আমি বৈচিত্র আনতে চেষ্টা করি আমার লেখায় তা গদ্যে হোক বা পদ্যে !! একজন মিডিয়া কর্মীর কাছে সব কিছুই লেখার সাবজেক্ট। অনুগ্রহ করে আমাকে ক্ষুদ্রপরিসরে বন্দি না করে বিশ্ব মাঝে উড়তে দিন ইচ্ছে মতোভ। আপনাকে ধন্যবাদ আমাকে মেনশন করার জন্য !!

১৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
আল্লাহ যার ধ্বংস চান তাকে আলেমদের পিছনে লাগিয়ে দেন।
- এই সব ফতোয়াবাজী করে এই দেশের হুজুররা সাধারন মানুষকে ভয় দেখিয়ে তাদের ভন্ডামী জায়েজ করে।

২০| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ইসলামে গত ১৪০০ বছরে অগণিত লোক একাধিক বিয়ে করেছেন। তবে কি এই বিয়েগুলি সব অবৈধ ছিল। ইসলামের বিধান যুগের সাথে পরিবর্তন হয় না। কারণ এটা আল্লাহর বিধান। মানুষের বিধান হলে এটা পরিবর্তনের প্রশ্ন আসত। এই বিধান কেয়ামত পর্যন্ত একই থাকবে। মানা না মানা যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এখনও পর্যন্ত পৃথিবীর যে কোনও যুগের প্রখ্যাত কোনও আলেম একাধিক বিয়ের বিপক্ষে বলেন নাই। জ্ঞানের অভাবে অনেকে সঠিকটা না জেনে ভুল কথায় বিশ্বাস করছেন। রসুল (সাঃ) এর বহু সাহাবী একাধিক বিয়ে করেছেন এগুলি ঐতিহাসিক সত্য এবং না মানলে ইতিহাসকে অস্বীকার করা হয়। একাধিক বিয়েকে যারা খারাপ, অনৈতিক, অশ্লীল, অমানবিক বলছেন তারা ভুলে যাচ্ছেন যে এভাবে বললে সেটা আমাদের রসুল (সাঃ) এর গায়ে গিয়েও লাগে। রসুল বা নবীরা এমন কোনও কাজ করেন নি যা খারাপ, অনৈতিক, অশ্লীল, অমানবিক।

২১| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাল লাগাটা শরিয়তের বিধানে বৈধ হতে হবে, মনগড়া কথা বলা নাস্তিকদের সাজে-মুসলমানের নয়।
শরিয়ত আমাকে ভাত দেয় না।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩০

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: জানলাম শরিয়ত আপনাকে ভাত দেয় না।

২২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: হা হা হা। বিয়ের যুক্তি হিসেবে যদি হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর বিবাহ করা হয়, তাহলে সেটা হবে সুস্পষ্ট নবী অবমাননা।
কারন তিনি যৌণ তাড়নায় বা উনার অন্য স্ত্রীরা বুড়িয়ে যাওয়ায় তিনি বিবাহ করেন নি। তিনি বিভিন্ন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে একাধিক বিবাহ করেছেন। আরবের ইতিহাসে বিভিন্ন গোত্রের মাঝে সমঝোতার জন্যও বিবাহ করার রীতি প্রচলিত ছিলো।

একের অধিক বিবাহ শর্ত সাপেক্ষে অনুমুতি হয়ত আছে। কিন্তু সেটা খুবই কঠিন যা পালন করা সাধারন মানুষের জন্য প্রায় অসম্ভব।

২৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: “ বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে, আমরা তখনও বসে-
বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি, ফিকাহ ও হাদিস চষে ” - জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম!

এই কারণেই সব দেখে শুনেও চুপ করে ছিলাম! কারণ সেই বাণী সমূহা
‘একজন মূর্খ কোন জ্ঞানী ব্যক্তিকে তর্কে হারিয়ে দিলে সে আস্ফালন করতে থাকে। কিন্তু তার এ কথা জানা নেই যে, ঢাকের ঢপঢপে শব্দের মাঝে মোহন বাঁশীর সুর বিলীন হয়ে যায়।’ (সা’দী)

‘আহমকের সঙ্গে তর্ক করো না, কারণ লোকে তোমাদের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করতে ভুল করতে পারে।’ তার মানে তুমিও আহমক বিবেচিত হতে পার। আর এই জন্যেই ‘তর্কে জেতা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, তর্কে না জড়ানো বুদ্ধিমানের কাজ।’

মূর্খদেরকে এড়িয়ে চলতে আদেশ দিয়ে কুরআন বলে,
{وَعِبَادُ الرَّحْمَنِ الَّذِينَ يَمْشُونَ عَلَى الْأَرْضِ هَوْنًا وَإِذَا خَاطَبَهُمُ الْجَاهِلُونَ قَالُوا سَلَامًا} (63) سورة الفرقان
“তারাই পরম দয়াময়ের দাস, যারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাদেরকে যখন অজ্ঞ ব্যক্তিরা সম্বোধন করে, তখন তারা বলে, ‘সালাম’।” (ফুরক্বানঃ ৬৩)
{خُذِ الْعَفْوَ وَأْمُرْ بِالْعُرْفِ وَأَعْرِضْ عَنِ الْجَاهِلِينَ} (199) سورة الأعراف
“তুমি ক্ষমাশীলতার নীতি অবলম্বন কর, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং মূর্খদেরকে এড়িয়ে চল।” (আ’রাফঃ ১৯৯)

কা-ভা ভাই, আপনার ১৪, ১৫, ১৯ এবং ২২ এ পূর্ণ সহমত। আর ১২ নং এ আলেমের যে পরিষ্কার সংগা দিয়েছেন তার যে প্রতি মন্তব্য তা অনেক কিছু ক্লিয়ার করে। তাই নিরবতার পথেই ছিলাম। দিলেন তো ভাইংগা ;)

ইসলামের অনেক সিদ্ধান্তই আপেক্ষিক ছিল্ । যেমন মদীনায় আনসারদের অতিরিক্ত স্ত্রী মোহাজিরদের জন্য ভালবেসে ত্যাগ করার আদেশ এবং তা পালন। এখন ভাই - ঐ রেফারেন্স দিয়া যদি ভাগাভাগির প্রস্তাব আসে! ;) তবেতো আমি নাইক্যা !

এক আল্লাহ, এক রাসূল, এক কোরআন যেখানে - সেখানে এক স্ত্রীই তো সাধারন ভাবে মানানসই! নয় কি?
বিশেষায়ীত বিধান কখনো সাধারন নয়। ব্যাতিক্রম যেমন উদাহরন হয় না।

২৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৫

সত্যপীরবাবা বলেছেন: চার বিয়ে এই ব্লগের অতি ধার্মিকদের অতি পছন্দের বিষয় সন্দেহ নাই --- ৭২ হুরের সাথে সহবাসের আগে প্র্যাকটিসের ব্যাপার আছে না ||||||
তবে আমার আগ্রহ বর্তমানের আলোচনার সূত্রপাতকারী ব্লগার নূর মোহাম্মদ নূরুকে নিয়ে --- তাঁর পোস্ট থেকেই তো শুরু। ব্লগার নূর মোহাম্মদ নূরু তাঁর ছোট ভায়ের মতই পল্টি মারেন, কিন্তু অতি ধীরে যেন ধরা না যায় সহজে। বেশ আগের এক পোস্টে ব্লগার নূরু নারীদের উচ্চশিক্ষার বিরুদ্ধে মত জানিয়ে --- মেয়েদের ঘরের বাইরে না যাওয়াই ভাল টাইপ মন্তব্য করার পর, ব্লগার কলাবাগান যখন পা্ল্টা জানতে চাইলেন সেক্ষেত্রে নারী ডাক্তার পাব কিভাবে আমরা, "ভাববার বিষয়" এই বলে নূরু সাহেব তখন পিঠটান দিসিলেন। ওনার ভাবাভাবি এখনো মনে হয় শেষ হয় নাই। যদিও তিনি ইদানীং "নারী জাগরণের পুরোধা ব্যক্তিত্ব" নিয়ে পোস্ট দেন।
কাজেই বছরখানিক পর নূরু সাহেব যদি পল্টি মেরে চার বিয়ার বিপক্ষে পোস্ট দেন তাহলে অবাক হইয়েন না। বছরখানিক লাগবে কারন ঐ যে বললাম, উনি পল্টি দেন অতি ধীরে।

২৫| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ২:৫৮

এ আর ১৫ বলেছেন: দলিল দেওয়ার দায়িত্ব আপনার কারন লেখাটা আপনার এবং দাবিটা আপনার। আপনার দলিল যেটা, আমার দলিল ও সেটা, শুধু পার্থক্য বিশ্লেষণে। ঐ সমস্ত প্রত্যেক দলিলে প্রেক্ষপট হিসাবে বলা হয়েছে ওহুদের যুদ্ধের জন্য অনেক সাহাদাদের শহীদ হওয়ার কারনে পরবর্তিতে বহু বিবাহ অনুমোদন। সেই প্রেক্ষাপট আর বর্তমানে একজন বহুগামী কামুক ব্যক্তির যৌন ললসা মিটানোর প্রেক্ষাপট এক নহে।
ওই সমস্ত দলিলে বলা হয়েছে, শর্ত সাপেক্ষে বহু বিবাহ অনুমোদন করা হয়েছে কিন্তু এই শর্ত পালনের বিষয়ে আল্লাহর সিদ্ধান্তকে কৌশলে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এবার আপনি উপরের একটা মন্তব্যে লিখেছেন যারা আপনাদের ফতুয়া মানে না, তারা নাস্তিক মানে তারা আল্লাহর অস্তিত্ত মানে না, তারমানে নাস্তিক কাকে বলে আপনি জানেন না।
যেখানে নাস্তিক মানেই জানেন না, সেখানে তো প্রমাণ হয়ে যায় আপনি ইসলামের কিছুই জানেন না এবং চার বিবাহ নিয়ে লাফালাফি প্রমাণ করে আপনাদের আলুর দোষ। ধন্যবাদ

২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৪

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আপনি কি মেনে নিয়েছেন যে শর্তাধীন একাধিক বিয়ে (চারটির বেশী নয়) করা শরিয়তে অনুমোদিত। আপনি কি মেনে নিয়েছেন যে, সূরা নিসার ৩ নং আয়াত একই সূরার ১২৯ নং আয়াত দ্বারা রহিত হয়নি। যদি আপনার উত্তর না হয় (আপনার লেখায় অবশ্য আপনি এমনটিই দাবী করেছেন) তবে তার স্বপক্ষে আপনাকে দলিল দিতে হবে। আর যদি বলেন তাহলে আমি আমার দাবীর পক্ষে [একাধিক বিয়ে (চারটির বেশী নয়) করা শরিয়তে অনুমোদিত এবং সূরা নিসার ৩ নং আয়াত একই সূরার ১২৯ নং আয়াত দ্বারা রহিত হয়নি] দলিল পেশ করব।

২৬| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:২৪

এ আর ১৫ বলেছেন: নীচের দাবিটা তো আপনার?

যে মনে করে শর্তাবলী পালন করতে পারবে সে পরিস্থিতি বিবেচনায় একের অধিক বিয়ে করতে পারে-শরিয়তে বাধা নাই

তাহোলে এই দাবিটা সংক্রান্ত দলিল এবং প্রমাণ পেশ করার দায়িত্ব আপনার কারন এটা আপনার দাবি।
এই বিষয়ে কেন,ঐ লোকের মনে করাকে গ্রহন করা হবে এবং কেন, আল্লাহর মনে করাকে প্রত্যাখান করা হবে ( নাউযুবিল্লাহ) , সেটা সংক্রান্ত প্রমাণ দলিল, তথ্য পেশ করার দায়িত্ব আপনার।
এবার দয়া করে পেশ করুন, কেন ঐ লোকের মনে করাকে গ্রহন করা এবং কেন এই বিষয়ে আল্লাহর সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করা হবে ( নাউজুবিল্লাহ) , সেই প্রশ্নের উত্তর। ধন্যবাদ

২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আমার দাবীটি এসেছে আপনার বিভ্রান্তমূলক কথাবার্তার প্রেক্ষিতে। আমি দলিল দিতে প্রস্তুত আছি। আপনাকে ২৫ নং মন্তব্যের জবাবে যে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে সেটার উত্তর দিন। আর আমিতো আমার দাবীর স্বপক্ষে কিতাবসমূহের নাম লিখে দিয়েছি। এখন আপনি যদি জ্ঞান অর্জনে আগ্রহী হন তাহলে সেই কিতাবসমূহ ঘেটে ঘেটে দেখে নিন আমার প্রদত্ত তথ্যের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা। অযথা বাড়াবাড়ি করেন কেন- এটাতো বাচ্চাদের কাজ।

২৭| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




বিভিন্ন গুণী পাঠকের মুল্যবান মন্তব্য সহ পোষ্টটি পাঠ করলাম। এ পোষ্ট সহ আরো অনেকের পোষ্টে ও মন্তব্যে দেখা যায় অনেকের মাঝেই আলেম নিয়ে একটি বিভ্রান্তি রয়েছে । আলেম বলতে আমাদের অনেকেই শুধুমাত্র ইসলামী ধর্মতত্ববিদদের বুজিয়ে থাকেন ।কিন্তু পকৃত পক্ষে আলেম, আলিম (عالِم) একটি আরবী শব্দ যার আভিধানিক অর্থ হলো যে জানে, জ্ঞানী, একজন পন্ডিত (জ্ঞানের যেকোনো ক্ষেত্রে), একজন বিজ্ঞানী, একজন গবেষক , একজন দার্শনিক , একজন প্রযুক্তিবিদ একজন ধর্মতত্ববিদ (যিনি ধর্ম সম্পর্কে জানেন)। সে হিসাবে আলেম অভিধায় শুধুমাত্র একজন ইসলামী ধর্মতত্ববিদই যে আলেম অভিধায় অভিসিক্ত হবেন তাতো নয়, বরং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার অনেক জ্ঞানী ও বিজ্ঞ মানুষই আরবী শব্দের আভিধানিক অর্থ মতে আলেম অভিধায় অভিশিক্ত হওয়ার যোগ্যতা রাখেন । কিন্তু আলেম হিসাবে অভিহিত কেও জ্ঞানের অন্য ক্ষেত্রের বিজ্ঞ ও পন্ডিতদেরকে আলেম হিসাবে অভিহিত করেন না । এ বিষয়টা বেশ পিড়াদায়ক । তাই মনে হয় কাল্পনিক_ ভালবাসা যতার্থই বলেছেন আমাদের সমাজের আলেম নামদারী অনেকেই প্রকুত পক্ষে আলেম নন কারন ইসলামী ভাবধারার বেশীর ভাগ আলেমই জ্ঞানের অন্য শাখার লোকদেরকে আলেম হিসাবে অভিহিত করেন না । এতে করে দেখা যায় আলেম অভিধায় অভিসিক্ত হওয়ার প্রধানতম বৈশিষ্ট জ্ঞানী হওয়ার ঘাটতি রয়েছে তাদের মধ্যে । বিষয়টি আলেম নামধারীগন গুরুত্বের সহিত ভেবে দেখতে পারেন ।তা না হলে কাল্পনিক_ভালবাসাকে বলা কথাটি বুমেরাং হয়ে যেতে পারে ।

তবে হ্যা শিক্ষিত মুসলমান জনগোষ্ঠী বিশেষ করে ইসলামিক পন্ডিত/ধর্মতত্ববিদ যারা ইসলামি শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ও শরিয়াহ আইনের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে থাকেন তাদেরকে উলামা, ওলামা (علماء) হিসাবে অভিহিত করা যায়।


এবার আসা যাক একাধিক বিবাহ প্রসঙ্গে ।

এপ্রিলের শেষ দিকে করোনাক্রান্ত হয়ে আল্লার রহমতে ও সকলের দোয়ায় অরোগ্য লাভের শেষ পর্যায়ে হাসপাতালের কেবিনে শুয়ে অনলা্ইনে ParsToday বাংলা রেডিও প্রোগ্রামে তরজমাসহ সুরা নিসার তেলাওয়াত শুনছিলাম ।একাধিক বিবাহ সম্পর্কে কোরানের আয়াত গুলির তরজমা আমার কাছে ভাল লেগেছে । কাল্পনিক_ভালবাসার মন্তব্যের কথাতেও তার প্রতিফলন ঘটেছে । এখানে ParsToday এর বাংলা রেডিও প্রোগ্রামে প্রচারিত তরজমাসহ সুরা নিসার কথাগুলি তুলে ধরলাম ।

সূরা নিসার তিন নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে-

"যদি তোমরা এতিম কন্যাদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না বলে আশঙ্কা কর,তাহলে তাদেরকে বিয়ে করংনা এবং পবিত্র ও পছন্দনীয় নারীদের মধ্য থেকে দু'জন, তিনজন বা চারজনকে বিয়ে কর। কিন্তু যদি আশঙ্কা কর ন্যায় বিচার করতে পারবে না, তাহলে একটি মাত্র বিয়ে করবে,অথবা তাও যদি না পার, তবে তোমাদের অধিকারভূক্ত দাসীদেরকে বিয়ে করবে, এতে অবিচার না হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।" (৪:৩)

এতিম সংক্রান্ত আয়াতের ধারাবাহিকতায় এই আয়াতে এতিম কন্যাদের কথা বলা হয়েছে। এতিম কন্যাদের কথা আলাদাভাবে উল্লেখ করার কারণ হলো তারা এতিম ছেলে শিশুদের তুলনায় বেশী বঞ্চিত ও অত্যাচারের শিকার হয়। তাই ন্যায় বিচারক মহান আল্লাহ বলছেন, এতিম কন্যাদের ওপর যে কোন অন্যায় আচরণ নিষিদ্ধ। অনেক স্বার্থান্বেষী মানুষ এতিম কন্যাদের সম্পত্তি দখলের জন্য তাদেরকে বিয়ে করতে চায় এবং এ জন্যে সব ধরনের কূটকৌশলের আশ্রয় নেয়। কিন্তু আল্লাহ বলছেন, তোমরা এতিম কন্যাদের বিয়ে করার ফলে তাদের প্রতি যদি সামান্য জুলুমেরও আশঙ্কা থাকে,তবে তাদের বিয়ে কর না।
বিভিন্ন সূত্রের বর্ণনায় বলা হয়েছে, এক শ্রেণীর লোভী মানুষ এতিম কন্যাদেরকে লালন পালনের নামে নিজেদের ঘরে নিয়ে আসতো এবং কিছুকাল পর ওইসব কন্যাদেরকে বিয়ে করে তাদের সম্পত্তি দখল করতো। তাদেরকে বিয়ের মোহরানাও প্রচলিত রীতির তুলনায় অত্যন্ত কম দেয়া হতো। এ অবস্থায় এতিম কন্যাদের ওপর যে কোন অবিচারকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এই আয়াতসহ সূরা নিসার ১২৭ নম্বর আয়াত নাজিল হয়। বহু পুরুষ তাদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় অথবা চতুর্থ স্ত্রী হিসেবে এতিম কন্যাদেরকে বিয়ে করতো। আল্লাহ তাদের মর্যাদা রক্ষার জন্য এ সব পুরুষদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, যদি নতুন বিয়ের ইচ্ছে থাকে তাহলে কেন শুধু এতিম কন্যাদের দিকে দৃষ্টি দিচ্ছ? অন্যান্য মেয়েদেরকেও বিয়ের প্রস্তাব দাও অথবা অন্তত তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীদেরকেই বিয়ে কর।

এই আয়াতে পুরুষদেরকে চারটি বিয়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে,তবে একাধিক বা চার বিবাহের ক্ষেত্রে স্ত্রীদের মধ্যে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার শর্ত বেঁধে দিয়েছে। পবিত্র কোরআনের এই আয়াতে আল্লাহ স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন, "যদি তোমরা স্ত্রীদের সবার সঙ্গে সমান ও ন্যায় আচরণ করতে পারবে না বলে ভয় কর, তাহলে একের বেশী স্ত্রী গ্রহণ করা বৈধ নয়।"

এই আয়াতের শিক্ষণীয় দিকগুলো হলো,
এক. এতিম কন্যাদের সম্পদ ও সম্মান নিয়ে হেলাফেলা বন্ধের জন্য তাদের সাথে সব সময় এমনকি বিয়ের সময়ও ন্যায় বিচার করার নির্দেশ দিয়েছে ইসলাম।
দুই. স্বামী ও স্ত্রী নির্বাচনের অন্যতম শর্ত হলো, অন্তর দিয়ে পছন্দ করা কাওকে জোরপূর্বক বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ করা বৈধ নয়।
তিন. একই সাথে চার জন স্ত্রী রাখা ইসলাম ধর্মে স্বীকৃত। কিন্তু কোন কোন পুরুষ যদি এ আইনের অপব্যবহার করে,তাহলে এ আইনটি ভালো নয় এমন বলা যাবে না। বরং এটা সমাজের বিশেষ প্রয়োজন বা চাহিদা মেটানোর প্রতি ইসলাম ধর্মের উদার নীতির প্রকাশ বলে গন্য করা ।

এই সূরার ১২৯ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন-
"তোমরা কখনও নারীদের মাঝে ন্যায় সঙ্গত ও সমতাপূর্ণ আচরণ করতে পারবে না। অতএব,সাধ্যমতো চেষ্টা করো যাতে একবারে একদিকে ঝুঁকে না পড়ো, যাতে আরেকজনকে ফেলে রাখতে হয় দায়িত্বহীনের মতো। জেনে রেখো, যদি সংশোধনের পথ এবং খোদাভীরুতার পথ অবলম্বন করো, তবে আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, করুণাময়।"(৪-১২৯)

এমন সব পুরুষদের উদ্দেশ্যে এ আয়াতটি নাযিল হয়েছে যাদের একাধিক স্ত্রী রয়েছে। এর আগের আয়াতে ( ৪-১২৮) দাম্পত্য জীবনে পারস্পরিক সংশোধন ও সৌহাদের ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আর ( ৪-১২৯)এ আয়াতে পুরুষদেরকে ন্যায় ও সাম্যের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে, কিন্তু এ আয়াতের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে যাবার আগে কয়েকটি বিষয়ে প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ প্রয়োজন:

প্রথমতঃ ইসলাম কখনোই একাধিক স্ত্রী গ্রহণের ব্যাপারে পরামর্শ কিংবা আদেশ দেয় নি,বরং বিশেষ পরিস্থিতিতে একাধিক স্ত্রী গ্রহণকে বৈধতা দিয়েছে।

দ্বিতীয়তঃ কোনো কোনো প্রাকৃতিক দুর্ঘটনা এবং যুদ্ধ-বিগ্রহ কিংবা কোনো সামাজিক ব্যবস্থার কারণে একাধিক স্ত্রী গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। এসব পরিস্থিতিতে যদি এর বৈধতা দেয়া না হয়, তাহলে অবৈধভাবে এই সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবার আশঙ্কা থেকে যায়। পশ্চিমা বিশ্বে বর্তমানে যেহেতু একাধিক স্ত্রী গ্রহণের ব্যবস্থা নেই,সেজন্যে সেখানে পুরুষেরা প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে একাধিক নারীর সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। তাদের এই সম্পর্কের ওপর কোনোরকম নিয়ন্ত্রণও নেই। এ কারণে ইসলাম একাধিক স্ত্রী গ্রহণকে অবৈধ ঘোষণা না করে বরং সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে। তবে এ ব্যাপারে উৎসাহিতও করে নি বরং একাধিক স্ত্রী গ্রহণের ব্যাপারে ন্যায়নীতি ও সমতা বজায় রাখার মূলনীতি ও মাপকাঠি দিয়েছে। সূরা নিসার তিন নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে যদি ভয় হয় যে সমতা বা ন্যায়নীতি বজায় রাখতে পারবে না তাহলে এক স্ত্রীর ওপরই নির্ভর কর।

সুরা নিসার এই আয়াতগুলির মর্মবানী এই দাঁড়ায় যে শর্ত সাপেক্ষে সর্বোচ্চ চারটি বিয়েকে বৈধতা দেয়া হয়েছে শর্ত সাপেক্ষে , আবার পরেই বলা হয়েছে বিবিধ অবস্থার কারণে শর্তসমুহ পালন করা কোন পুরুষের পক্ষেই সম্ভব নয় । তাই একটি মাত্র বিয়েতেই ক্ষ্যান্ত থাকার বিষয়টিকে উৎসাহিত করে এতেই বেশী মঙ্গল নিহীত রয়েছে বলা হয়েছে ।

নারী পুরুষের মাঝে শান্তিপূর্ণ সমঝোতা ও বন্ধুত্ব এবং খোদাভীরুতা একটি পরিবারের মূল ভিত্তি। এর ফলে ঐ পরিবারের ওপর আল্লাহর রহমত ও দয়া বর্ষিত হয়। বহু বিবাহে শান্তিপুর্ণ সমজোতা ও বন্ধুত্ব বজায় রাখা খুবই কঠীন বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ।


২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: শর্তসাপেক্ষে একাধিক বিয়ে (চারটির অধিক নয়) নিয়ে আপনি যে বিশাল মন্তব্য পেশ করেছেন তা যথাযথ এবং কুরআন সুন্নাহর আলোকে করেছেন-দ্বিধা নেই। এভাবেই বলা হয়েছে তাফসিরের কিতাবগুলোতে। এখন সমস্যা হলো ব্লগার এ আর ১৫ এবং তার সমর্থনকারীদের দাবী হল সূরা নিসার ৩নং আয়াতে একাধিক বিয়ে ইয়াতিমদেরকে করতে বলা হয়েছে এবং সূরা নিসার ১২৯ নং আয়াত দ্বারা ৩ নং আয়াতের আমল রহিত হয়ে গেছে। এবার এদের কিভাবে বুঝাবেন। এরা কোন কিতাব থেকে রেফারেন্স দিতে প্রস্তুত নয়, এরা নিজেদের জ্ঞানে যা বুঝে সেটাই অন্যের উপর চাপাতে চায়।

আপনার অত্যন্ত সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। সুস্থ থাকবেন।

২৮| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: @ এ আর ১৫ এনার প্রোফাইল ঘেটে দেখুন উনি শুধুই ইসলাম ধর্ম ও মুসলিদের বিরুদ্ধে কত লেখা লিখেছে। ওনার মতে মুসলিমরা টেরোরিস্ট ইসলাম ধর্ম টেরোরিস্টদের ধর্ম। উনি অতিসূক্ষ্মভাবে মুসলিম ও ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টায় লিপ্ত আছেন। কিন্তু অনেক ব্লগার না বুঝেই ওনাকে বাহবা দিচ্ছেন; যারা বাহবা দিচ্ছেন তারা হয়তো ভাবছেন উনি ইসলাম নিয়ে যুক্তির নির্ভর ব্যাখ্যা করছে কিন্তু সেটা বিরাট ভুল ধারণা। উনি অতিসূক্ষ্মভাবে ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করতে বিশেষ কাহারো পক্ষহতে এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন।


ব্লগ কতৃপক্ষের কাছে আমার বিনীত নিবেদন ব্লগে ধর্মনিয়ে টানাটানি, হানাহানি ও কাদা ছোড়ছুড়ি বন্ধ করা হউক সেটা যে ধর্মই হোকনা কেন; সমাজে যত হানাহানি কাটাকাটি হয়েছে তা শুধুই ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ীর কারণে।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪২

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সমাজে আবু জেহেলের গোষ্ঠিরা নবি স. এর সময় ছিল এখনও আছে আগামীতেও থাকবে। কিন্তু রাসুল স.ও বলেছেন যে তার উম্মতের একটা অংশ হকের উপর আজীবন থাকবে। এ আর ১৫ নয় শুধু যারা ইসলামের ক্ষতি করতে চেয়েছে সবাই মুসলমান সাজসজ্জা নিয়েই করেছে। আপনি হতাশ হবেন না। ওদের দৌড়াত্ব আমরাও দেখে নেব। যারা আল্লার নূরকে মুখের ফুৎকারে নিভিয়ে দিতে চায় তাতে আল্লাহর কোন ক্ষতি হয়না বরং ষড়যন্ত্রকারীদের দাড়ি পুঁড়ে যায়।

২৯| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: প্রথম বিয়েও শর্ত সাপেক্ষে হয়। স্বামী যদি স্ত্রীর অধিকার আদায় না করে বা কোনওভাবে নির্যাতন করে সে ক্ষেত্রে ইসলামি কোর্ট বিবাহ ভেঙ্গে দিতে পারে বা অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। একইভাবে একাধিক বিয়ের শর্ত মেনে নিয়ে কেউ একাধিক বিয়ে করতে পারে কিন্তু পরে যদি পরে সে সাম্য বজায় না রাখতে পারে সে ক্ষেত্রে ইসলামি কোর্ট সব স্ত্রীর মধ্যে সাম্য বজায় রাখতে বাধ্য করতে পারে বা বিবাহ ভেঙ্গে দিতে পারে। কাজেই শর্ত মেনে একাধিক বিয়ে করা যাবে কিন্তু শর্ত ভাঙলে বৈবাহিক সম্পর্ক ভেঙ্গে দেয়ার এখতিয়ার ইসলামিক কোর্টের আছে। কাজেই ইসলামে একাধিক বিয়ে করা যায় তবে বিয়ের পর শর্ত মানতে হবে।

সূরা আন নিসার ১২৯ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন-

وَلَنْ تَسْتَطِيعُوا أَنْ تَعْدِلُوا بَيْنَ النِّسَاءِ وَلَوْ حَرَصْتُمْ فَلَا تَمِيلُوا كُلَّ الْمَيْلِ فَتَذَرُوهَا كَالْمُعَلَّقَةِ وَإِنْ تُصْلِحُوا وَتَتَّقُوا فَإِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَحِيمًا (129)

"তোমরা কখনও নারীদের মাঝে ন্যায় সঙ্গত ও সমতাপূর্ণ আচরণ করতে পারবে না। অতএব,সাধ্যমতো চেষ্টা করো যাতে একবারে একদিকে ঝুঁকে না পড়ো, যাতে আরেকজনকে ফেলে রাখতে হয় দায়িত্বহীনের মতো। জেনে রেখো, যদি সংশোধনের পথ এবং খোদাভীরুতার পথ অবলম্বন করো, তবে আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, করুণাময়।"(৪:১২৯)

এই আয়াতের দ্বিতীয় বাক্য থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে একাধিক বিবাহ অনুমোদিত। কারণ এখানে বলা হয়েছে যে ' অতএব, সাধ্যমত চেষ্টা কর যাতে একবারে একদিকে ঝুঁকে না পড়ো, যাতে আরেকজনকে ফেলে রাখতে হয় দায়িত্বহীনের মত।'

একাধিক বিয়ে চালু থাকলেই এই ঝুঁকে পড়া বা না পড়ার প্রশ্ন আসছে। একাধিক বিয়ে বাতিল হয়ে গেলে এই ঝুঁকে পড়া বা আরেকজনকে দায়িত্বহীনের মত ফেলে রাখার প্রশ্ন আসে না। তাই এই আয়াত দিয়ে একাধিক বিয়ে বাতিল হয়ে গেছে এই ধারণা ভুল।
"তোমরা কখনও নারীদের মাঝে ন্যায় সঙ্গত ও সমতাপূর্ণ আচরণ করতে পারবে না"। ( সুর ৪ - ১২৯) এই আয়াতের ব্যাখ্যায় 'islamqa' নীচে দেয়া লিঙ্কে বলা হয়েছে;
With regard to justice or fairness in terms of love, he is not held accountable for that, and that is not required of him because he has no control over that. This is what is meant by the verse,

“You will never be able to do perfect justice between wives even if it is your ardent desire”

[al-Nisa’ 4:129 – interpretation of the meaning].

এর সারাংশ হোল স্ত্রীকে ভালবাসার ক্ষেত্রে সমতা পুরুষরা কখনও রাখতে পারবে না কারণ সেটার উপর তার কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই তাকে এর জন্য দোষারোপ করা হবে না। সমতার ব্যাপারটা খরচ ও অন্যান্য বৈষয়িক ব্যাপারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। কারণ এই লিঙ্কের আরেক অংশে বলা আছে What is meant by the justice that is required in order for a man to be permitted to have more than one wife is that he should treat his wives equally in terms of spending, clothing, spending the night with them and other material things that are under his control. কোন কোন ক্ষেত্রে সমতা

৩০| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২০

এ আর ১৫ বলেছেন: @ড: এম এ আলী
ইসলাম ধর্মের অনুসারী মুসলিমরা একই সঙ্গে চার জন নারীকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে পারবেন—এমন মতই বহুল প্রচলিত। একজন মুসলিম একই সঙ্গে চার জন স্ত্রী রাখতে পারবেন বলে যারা মোটাদাগে অভিমত প্রকাশ করেন, তারা সুরা নিসার ৩নং আয়াতের একটি অংশকে সূত্র হিসেবে ব্যবহার করেন। তবে ওই আয়াতের সম্পূর্ণ অংশ ও ওই আয়াত সম্পর্কিত অন্য আয়াত এবং আয়াতটি অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট বা শানে নজুলকে একসঙ্গে বিবেচনা করা হলে প্রকৃতপক্ষে ইসলাম ধর্মে চারটি নয়, একটি বিয়েই বৈধ এমন মতই যুক্তিযুক্ত।
সুরা নিসার ৩নং আয়াতটি (তোমরা যদি আশঙ্কা করো, ইয়াতিম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না, তবে বিবাহ করবে নারীদের মধ্যে যাকে তোমাদের ভালো লাগে দুই, তিন অথবা চার। আর যদি আশঙ্কা করো যে সুবিচার করতে পারবে না, তবে একজনকে অথবা তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীকে। এতে পক্ষপাতিত্ব না করার সম্ভাবনা অধিকতর।) অবতীর্ণ হয় ওহুদের যুদ্ধের পরবর্তী ঘটনাকে কেন্দ্র করে। ওহুদের যুদ্ধে ৭০ জন মুসলিম সাহাবি শহীদ হন। ওই সাহাবিদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের উপলক্ষ করেই মহান আল্লাহ কুরআনের ওই আয়াত নাজিল করেন। যদিও বহু বিবাহের পক্ষে মত প্রকাশকারী অনেক পণ্ডিতই ওই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার শানে নজুলকে গ্রহণ করতে চাননি। তবে ওই আয়াত ও আয়াতের পূর্ববর্তী আয়াতে ‘এতিমদের’ কথা উল্লেখ থাকায় এবং ওই আয়াতের ধারাবাহিকতায় এই আয়াত নাজিল হওয়ায় ওহুদ যুদ্ধ পরবর্তী সৃষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে আয়াতটি নাজিল হয়েছে, সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়। আর এ থেকে এই বিষয়টিও উপলব্ধি করা যায়, কোরআনে বহু বিবাহের অনুমতি বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রদান করা হয়েছিল। এটি ইসলামের স্বাভাবিক কোনও বিধান নয়। যুদ্ধ অথবা অন্য কোনও কারণে নারীর সংখ্যা অধিক হলে তখন নারীর সামাজিক নিরাপত্তা ও সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে একজন পুরুষ একই সময়ে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করতে পারে। ওই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার প্রেক্ষাপট অন্তত আমাদের সেই বার্তাই দেয়।

আর ৩নং আয়াতের শেষের অংশের সঙ্গে ওই সুরার ১২৯নং আয়াতকে যদি একত্রে বিশ্লেষণ করা হয়; তবে ইসলাম ধর্মের অবস্থান, একই সময়ে একজন পুরুষ একজন স্ত্রীই গ্রহণ করতে পারবে, এমন মতের পক্ষে সেই বিষয়টিও স্পষ্ট হয়। ৩নং আয়াতের শেষের অংশে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করার পর যদি তাদের প্রতি সুবিচার করা যাবে না এমন আশঙ্কা থাকে, অর্থাৎ প্রত্যেকের সঙ্গে সমান আচরণ করা সম্ভব নয় বলে মনে হয়; তবে একজন স্ত্রী গ্রহণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১২৯নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর তোমরা যতই ইচ্ছা করো না কেন, তোমাদের স্ত্রীদের প্রতি সমান ব্যবহার কখনোই করতে পারবে না।’ এই দুটি আয়াত একত্রে বিবেচনা করলে ইসলাম যে বহু বিবাহের পক্ষে নয়, সেই বিষয়টি উপলব্ধি করা যায়। কারণ, সুরা নিসার ৩নং আয়াতে একের অধিক বিবাহ করাকে শর্তসাপেক্ষে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আল্লাহ নিজেই বলেছেন, মানুষ যতই চেষ্টা করুক না কেন, সেই শর্ত পূরণ করতে পারবে না। আর যেখানে আশঙ্কা থাকলেই একের অধিক স্ত্রী গ্রহণ করা যাবে না, সেখানে যখন সমান আচরণ বা সুবিচার করা সম্ভব নয় বলে মহান আল্লাহই বলছেন। সেখানে একের অধিক স্ত্রী গ্রহণ করার সুযোগ থাকছে কি?
বহু বিবাহের পক্ষে যারা মত প্রকাশ করেন তারা বলেন, যদি একটি বিবাহ করাই ইসলামে বৈধ হতো তবে তা স্পষ্ট করেই বলা হতো, যেমনটি বলা হয়েছে, ‘একই সঙ্গে দুই বোনকে বিবাহ করা যাবে না’–সেই বিষয়ে। কিন্তু আমরা যদি আইয়্যামে জাহেলিয়ার যুগের দিকে দৃষ্টিপাত করি; তবে দেখতে পাবো, তৎকালে পুরুষরা বহু নারীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে অভ্যস্ত ছিল। তারা একই সঙ্গে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করতো। কখনও-সখনও সেই স্ত্রী গ্রহণের সংখ্যা ১০-২০ জনও হতো। বহু নারীর সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে অভ্যস্তদের যদি হঠাৎ করে এক স্ত্রী গ্রহণের বিষয়ে বাধ্য করা হতো; তবে সামাজিক জীবনে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতো। ফলে আল্লাহ অন্য অনেক বিষয়ের মতোই বহু বিবাহ নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা গ্রহণ করেছেন এবং শর্তসাপেক্ষে বহু বিবাহের অনুমতি প্রদান এবং পরবর্তী সময়ে সেই শর্ত কোনও মানুষের পক্ষে পূরণ করা সম্ভব নয়, এমন অভিমত প্রকাশ করার মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম যে এক বিয়ের পক্ষে, সেই বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন।

আর একটি কথা বলে রাখা ভালো, একই সঙ্গে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করা সুরা ইয়াসিনের ৩৬নং আয়াত (‘পবিত্র তিনি (মহান আল্লাহ), যিনি জমিন হতে উৎপন্ন উদ্ভিদকে, তাদেরই মানুষকে এবং যা তারা জানে না, তার প্রত্যেককে জোড়া জোড়া করে পয়দা করেছেন।’) বিরুদ্ধ। বহু বিবাহের মাধ্যমে আল্লাহর এই আয়াতের ব্যত্যয় ঘটে। কারণ, যখন একজন পুরুষ একসঙ্গে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করেন; তখন আর জোড়া থাকে না। তাহলে যেখানে মহান আল্লাহ বলছেন মানুষকেও জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করা হয়েছে, সেখানে বহু বিবাহের সুযোগ আছে কি?

পরিশেষে, কোরআনের আয়াতগুলো বিশ্লেষণ করে এবং ওই আয়াত নাজিলের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বলা যায়, ইসলাম ধর্ম একই সঙ্গে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করাকে অনুমোদন করে না। তবে বিশেষ পরিস্থিতিতে অর্থাৎ এমন কোনও মানব সৃষ্ট দুর্যোগ (যেমন যুদ্ধ) অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য কোনও কারণে পুরুষের তুলনায় বিবাহযোগ্য নারীর সংখ্যা যদি বেশি হয় এবং যার ফলে সামাজিক জীবনের শৃঙ্খলা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়, তাহলে পুরুষরা সমাজ জীবনের কল্যাণার্থে এবং নারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একই সঙ্গে একাধিক স্ত্রী গ্রহণ করতে পারে। কিন্তু বিশেষ পরিস্থিতির এই বিধানকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে সর্ব সময়ে একই সঙ্গে একাধিক নারীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়া বা স্ত্রী বর্তমান থাকা অবস্থায় দ্বিতীয় স্ত্রী গ্রহণ করার বিষয়টি ইসলাম অনুমোদন করে, এমন মত প্রদান করা যুক্তিসিদ্ধ হবে বলে মনে হয় না।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

ইসলাম এক বিয়ের পক্ষে

৩১| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫১

নতুন বলেছেন: আমরা যারা ব্লগে নিজেদের পান্ডিত্য জাহির করি তাদের সকলকে প্রথমেই স্বীকার করতে হবে যে, আমরা কেউ মাদরাসা তথা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হতে জ্ঞানপ্রাপ্ত আলেম নই। আলেম না হয়ে ইসলামের কোন স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও কথা বলতে কিংবা লেখালেখি করতে আমাদের সংশয় ঘটে না-এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ যখন আমরা ধর্মীয় (পরিবর্তনশীল নয়) হুকুম-আহকামের বিষয়ে নিজের মতামতকে নিজের মতো করে ব্লগে তুলে ধরি।

এই ওয়াজটা চায়ের দোকানে করতে হয়। ব্লগে না।

ব্লগে যারা লিখছেন এবং পড়ছেন তারা বিভিন্ন বিষয়ে পড়ালেখা করেন এবং কোন বিষয় পাঠ করে তা বিশ্লেষন করার মতন যোগ্যতা রাখেন। আপনারা যদি মনে করেন যে আলেম মানে শুধুই ইসলামী বিষয়েই পড়াশুনা থাকতে হবে তা ভুল। আলেম অর্থ জ্ঞানী

উপরে ডঃ এম এ আলী আলেম সম্পকে খুবই ভালো ভাবে বলেছেন।

এবার আসেন আপনার ৪ বিয়ে প্রসঙ্গে। ৯৯% মানুষ ৪ বিয়ে করছে কামুকতার জন্য। তারা অবশ্যই ৪ জন নারীকে সমান ভাবে দেখে না এবং কোন মতেই ইসলামের ৪ বিয়ে করার যেই ক্রাইটেরিয়া আপনি বললেন সেটার অনুসনর করেনা।

এই ৪ বিয়ের ফাকা দিয়ে হাজারো নারীর জিবন ধ্বংস করছে আমাদের দেশের ভন্ডধামিকেরা।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩৭

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: বিতর্কটা ছিল শর্তের ভিত্তিতে একাধিক বিয়ে ও ইয়াতিম মেয়েদেরকে বিয়ে করা না করার বিষয়ে সূরা নিসার ৩নং আয়াতের বর্ণনা ও ফায়সালা। সেই বিষয়ে কিছুতো বললেননা মশাই।

৩২| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

এ আর ১৫ বলেছেন: চার বৌ
শারিয়ার তালাক এবং লেয়ান আইনে স্বামী তাৎক্ষণিকভাবে বৌকে তালাক দিতে পারে, কাউকে তার কারণ বলতে হবে না। আবার ওই শারিয়া আইনেই পুরুষ ইচ্ছেমত চারটে পর্যন্ত বিয়ে করতে পারে, কাউকে তার কারণ বলতে হবে না। অর্থাৎ সকাল-সন্ধ্যায় তালাক-বিয়ের নাটক চালিয়ে যাবার একটা চমৎকার ফ্রী লাইসেন্স দেয়া আছে স্বামীকে। লাইসেন্সটার ফায়দা অতীত-বর্তমানে অনেকে তুলেছেও বেশ। তার মানেই হল ব্যাপারটার মধ্যে কোথাও নিশ্চয়ই নারী-বিরোধী একটা ফাঁক আছে। যে নারীর মাথায় সেটা পড়ে বজ্র্াঘাত হয়েই পড়ে। এ-আইনের ঘোর সমথর্ক রাও নিজের মেয়ে- বোনের জন্য অবশ্যই অবিবাহিত বর খোঁজেন। তাতে করে আবারও প্রমাণ হল এতে নারীদের প্রতি অমানবিকতাও আছে। কিন্তু ইসলাম তো কোন অমানবিক প্রাকে সমর্থন করতে পারে না। তাহলে ফাঁকটা কোথায় ?

ফাঁকটা বহুবিবাহে নয়, বহুবিবাহের পদ্ধতিতে। ফাঁকটা কোরাণের পুরুষতান্ত্রিক স্বার্থপর ব্যাখ্যায়। প্রতিটি মুসলিম নারীকে সারাটা জীবন এ-আশঙ্কা বা সম্ভাবনার মধ্যে কাটাতে হয় এটা অবশ্যই তাদের অপমান। এগুলো কোরাণের নির্দেশ হবার কথা নয়। সেজন্যই বহু মুসলিম দেশে শক্ত আইন করে বহুবিবাহকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। ওখানকার মওলানারা তো আর জেনেশুনে ইসলামের বিরুদ্ধে যাননি। যেমন সেনেগাল, মরক্কো, তিউনিসিয়া ইত্যাদি (WLUML পৃঃ ৭০), ওসব দেশে বহুবিবাহ করতে গেলে রীতিমত সরকারের কাছে দরখাস্ত করতে হয়, তদন্ত হয়, তারপর অনুমতি মেলে বা দরখাস্ত নাকচ হয়। পাকিস্তানেও প্রেসিডেণ্ট আয়ুব খান এরকম কিছু আইন করেছিলেন (১৯৬১) যা এখনও বলবৎ আছে কিন্তু শুধু কাগজে-কলমে।

চলতি প্রা কেন ইসলাম-বিরোধী তা দেখার আগে দেখা যাক অনিয়ন্ত্রিত চার বিয়ের সমর্থনে কি কি যুক্তি দেখান হয়।

মেয়েরা বাঁজা হতে পারে।
মেয়েদের এমন অসুখ হতে পারে যাতে শারীরিক সংসর্গ সম্ভব নয়।
মাসে এক সপ্তাহ এবং বাচ্চা জন্ম দেবার ব্যাপারে লম্বা সময় ধরে মেয়েদের সাথে শারীরিক সংসর্গ সম্ভব নয়।
মেয়েরা আগেই বুড়িয়ে যায়।
পুরুষের শারীরিক চাহিদা নারীর চেয়ে ৯৯গুণ বেশী − বড়পীর সাহেবের বই “গুনিয়াতুত ত্বালেবীন” পৃঃ ৯৮।
কোন কোন মেয়ে এটা পছন্দ করেন − (আমেরিকার বিখ্যাত ইসলামি নেত্রী আমিনা আস্সিলমির ভিডিও)।
সমাজের ভালোর জন্য পাশ্চাত্যের উন্মুক্ত-যৌনতার চেয়ে এ-ইসলামি আইন ঢের ভালো।
দুনিয়ায় মেয়েদের সংখ্যা পুরুষের চেয়ে বেশি।
১ ও ২ নম্বর কারণ দু’টো ধোপে টেকে না কারণ ওগুলো পুরুষের ক্ষেত্রেও হতে পারে। ৩ নম্বরটা কোন যুক্তিই নয়। ও-কারণটা পৃথিবীর সংখ্যাগরিষ্ঠ স্বামীদের ক্ষেত্রেও ঘটেছে, আমাদের বাবা-মায়ের ক্ষেত্রেও ঘটেছে। কিন্তু তাঁরা ইন্দ্রিয়পালনের চেয়ে কবিতার মত নিজের পরিবার গড়ে তোলার আনন্দেই জীবন কাটিয়েছেন। ৪ নম্বরটা কুযুক্তি ছাড়া আর কিছু নয়। ৫ নম্বরটা নিয়ে আলোচনা-বিতর্ক অর্থহীন। কে কার চেয়ে কত চাঙ্গা তা সংখ্যা গুনে বলা সম্ভব নয়। এর সাথে নারীর হরমোন ইঞ্জেকশন আর পুরুষের ভায়াগ্রা যোগ করলে ও-যুক্তির হালে আরোই পানি থাকবে না। ৬ নম্বরটার কথা মেয়েরাই ভাল বলতে পারবেন, তবে আমার ছোট বোনকে প্রশড়বটা করায় সে রানড়বা করার গরম হাতা নিয়ে সগর্জনে আমাকে তাড়া করেছিল। ৭ নম্বর এক-কথায় সেরে নিচ্ছি। কোন মুসলিম সমাজেই বহুবিবাহ দিয়ে কোনকালেই অবৈধ সম্পর্ক কমেওনি, বন্ধও হয়নি। সেই অবৈধ সম্পর্ক, আর পশ্চিমের অবাধ যৌনতা, এ-দু’টোই হল গিয়ে পচা ডিম। দু’টো পচা ডিমের মধ্যে কোন্টা বেশি পচা তা নিয়ে মাথা ঘামিয়ে লাভ নেই। পরীক্ষায় একশ’র মধ্যে পাঁচ পাওয়া ছাত্রের চেয়ে পঁচিশ পাওয়া ছাত্র “ঢের ভালো” কিন্তু দু’জনেই ফেল। পাশ্চাত্যের চেয়ে “ঢের ভালো” হবার জন্য ইসলাম আসেনি, চরম ভালো দাবি নিয়েই এসেছে।

এবারে ৮ নম্বর। জাতিসঙ্ঘের ১৯৬৪ সালের তালিকায় আছে কোরিয়া, রাশিয়া, বিলাত, ফ্রান্স, জার্মানী, চেকোস্লোভাকিয়া, পোল্যাণ্ড, রুমানিয়া, হাঙ্গেরী, এবং আমেরিকায় মেয়েরা গড়পড়তায় ৫২%, পুরুষ ৪৮% (“উয়োম্যান অ্যাণ্ড হার রাইট্স্” পৃঃ ২৪৬ − আলামা মুতাহ্হেরি), কিন্তু এ-তত্ত্ব মানলে তো চার পর্যন্ত যাবার দরকারই নেই, ৫২কে ৪৮ দিয়ে ভাগ করলে যা হয় সেই ভগড়বাংশ বিয়ে করতে হয়। সেটা কিভাবে সম্ভব ? ইরাণের মত দেশে কি হবে ? কারণ : “ইরাণ ব্যতিক্রম। সেখানে গত জরীপে পুরুষের সংখ্যা নারীর চেয়ে বেশি দেখা গেছে” (পৃঃ ২৪৭), কিন্তু তবু ইরাণে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ তো নয়ই বরং গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মত মু’তা বিয়েও সরগরম চালু আছে। তাই, হিসেবে মিলছে না বলে ৮ নম্বরটা নিজে থেকেই বাতিল হয়ে যায়।

সতীনের সংসার মানে প্রায়ই নরক। তবু যেহেতু কখনো কখনো এটা ছাড়া চলে না তাই কোরাণ একে শর্ত-সাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে মাত্র একটা জায়গায়, সুরা নিসা’র ৩ নম্বর আয়াতে − “এতিমদের তাদের সম্পদ বুঝাইয়া দাও। খারাপ মালামালের সাথে ভালো মালামালের অদল-বদল করিও না। আর তাহাদের ধনসম্পদ নিজেদের ধনসম্পদের সাথে সংমিশ্রিত করিয়া তাহা গ্রাস করিও না। নিশ্চয় ইহা বড়ই মন্দ কর্ম।

আর যদি তোমরা ভয় কর যে এতিম মেয়েদের হক যথাযথভাবে পূরণ করিতে পারিবে না, তাহা হইলে সেই সব মেয়েদের মধ্য হইতে যাহাদিগকে ভাল লাগে তাহাদিগকে বিবাহ করিয়া নাও দুই, তিন বা চারিটি পর্যন্ত। আর যদি এরূপ আশঙ্কা কর যে তাহাদের মধ্যে ন্যায়সঙ্গত আচরণ বজায় রাখিতে পারিবে না তবে একটিই”।

আয়াত ১২৯ − “তোমরা কখনও নারীদিগকে সমান রাখিতে পারিবে না যদিও ইহা চাও” -এর ভিত্তিতে কিছু মওলানা চিরকাল দৃঢ়ভাবে দাবি করেছেন যে, কোরাণ বহুবিবাহ বাতিল করে এক স্ত্রী বহাল রেখেছে। কারণ “ন্যায়সঙ্গত” অর্থাৎ “আদ্ল”-এর মধ্যে পেম্র -ভালবাসাও অন্তর্ভুক্ত যা সমান ভাগে ভাগ করা যায় না। তাঁরা বলেন বিত্তশালী স্বামী চার বৌকে ওজনদরে সমান বাড়ি-গাড়ি দিয়ে রাখলেই বা কি ? সেখানে কি ভালবাসার তাজমহল গড়ে ওঠা সম্ভব ? ভালবাসা কি ভাগাভাগি করার জিনিস ? প্রেমে ভাগীদার গজালে তো মানুষ খুন পর্যন্ত করে ফেলে।

হাজার বছর ধরে নারী ছিল বস্তুসমান। ওরাও যে মানুষ, ওদেরও যে কিছু স্বপড়ব কিছু অধিকার থাকতে পারে তা শুধু পুরুষ কেন, নারীর মাথায়ও ছিল না। যত খুশি বিয়েতে অভ্যস্ত পুরুষ ওতে খারাপ কিছু দেখতেও পেত না। তাই আয়াত ৩ নাজিল হলে তারা কিছুটা ছাড় চেয়েছিল নবীজীর কাছে। কিন্তু তাদের এই আবদার পাত্তা দেয়নি কোরাণ, তখনই নাজিল হয় আয়াত ১২৭ − “আর তাহারা আপনার কাছে নারীদের বিবাহের অনুমতি চায়। বলিয়া দিন : আলাহ তোমাদিগকে তাহাদের সম্পর্কে অনুমতি দেন এবং কোরাণে তোমাদিগকে যাহা পড়িয়া শোনানো হয় তাহা ঐ-সব পিতৃহীনা নারীদের বিধান যাহাদিগকে তোমরা নির্ধারিত অধিকার প্রদান কর না অথচ বিবাহ করিবার বাসনা রাখ।”

শব্দগুলো খেয়াল করুন − “বিবাহের অনুমতি চায়…যাহা পড়িয়া শোনানো হয়।” বিয়ে সম্পর্কে কি পড়ে শোনানো হয়েছে আগে ? শোনানো হয়েছে “সেই সব মেয়েদের মধ্য হইতে বিবাহ করিয়া নাও।” এই যে “সেই সব মেয়ে” − এরা কারা ? এরা “ঐ-সব পিতৃহীনা নারী” ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।

পিতৃহীনা নারী মানে বাপ-মরা মেয়ে ছাড়া আর কিছুই নয়। ওহুদ যুদ্ধে অনেকে নিহত হলে এতিমের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল, তাদের স্বার্থরক্ষা করার দরকার ছিল। কিন্তু ইরাণের বা ক্যানাডার মেয়েকে বিয়ে করলে তো আর বাংলাদেশের এতিমের স্বার্থরক্ষা হল না। তারই সমাধান দিয়েছিল এই আয়াত। দেখুন মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ মুহসিন খানের বোখারি-অনুবাদ ৭ম খণ্ড, হাদিস ৩৫, ৫৯ ও ৬২ , কিংবা দেখুন বাংলাদেশ লাইব্রেরীর প্রকাশিত আবদুল করিম খানের সঙ্কলিত সহি বোখারি পৃঃ ৬৭৮, হাদিস ২৪২৮, প্রতিটি শব্দ খুব খেয়াল করে পড়বেন : −

“আয়েশা (রাঃ)-কে আয়াতটি সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হইলে তিনি বলিলেন − অনেক সময় এতিম মেয়ে ধনশালী ও সুন্দরী হইলে অভিভাবক নিজেই উপযুক্ত মোহর না দিয়া তাহাকে আপনার হওয়ার সুবাদে বিবাহ করে কিন্তু এতিম বালিকা ধনবান না হইলে বা

সুন্দরী না হইলে সেইরূপ করে না। এই অন্যায় রহিত করণার্থেই এই আয়াত নাজেল হইয়াছে। এতিম মেয়ে সম্পর্কে নিষেধাজ্ঞা নাজেল হওয়ার পর লোকেরা রসুল (দঃ)-কে শিথিলতার আশায় জিজ্ঞাসা করিলে পূর্ব কড়াকড়ি বহাল থাকার ঘোষণা করিয়া আয়াত নাজেল হইল (আয়াত ১২৭) − “তাহারা আপনার নিকট মেয়েদের সম্পর্কে মসআলা জিজ্ঞাসা করিতেছে। আপনি বলিয়া দিন, − আলাহ তোমাদিগকে তাহাদের সম্বন্ধে ব্যবস্থা দান করিতেছেন এবং পিতৃহীনা নারীগণ সম্বন্ধে তোমাদের প্রতি কেতাব হইতে পাঠ করা হইয়াছে যে, তাহাদের জন্য যাহা বিধিবদ্ধ তাহা তোমরা প্রদান কর না এবং তাহাদিগকে বিবাহ করিতে বাসনা কর।” (উদ্ধৃতি শেষ)

“এই অন্যায় রহিত করণার্থেই এই আয়াত নাজেল হইয়াছে” কথাটার মানেই হল যেখানে “এই অন্যায়” নেই সেখানে খাটাবার জন্য কোরাণ এ-নির্দেশ দেয়নি। তাছাড়া − “তাহাদের জন্য যাহা বিধিবদ্ধ তাহা তোমরা প্রদান কর না ”− এ-কথাটা দুনিয়ার অন্যান্য নারীর ক্ষেত্রে খাটে না কাজেই বহুবিবাহের নির্দেশটা এতিম বালিকাদের বাইরে খাটে না। খোদ আলাহ’র রসুল এই একই উদাহরণ রেখে গেছেন আমাদের জন্য। দেখুন একই বাংলা-সহি বোখারি, পৃঃ ৬৮৭, উদ্ধৃতি : −

হাদিস ২৪৭২ − “আলী (রাঃ) আবু জহলের কন্যাকে বিবাহ করার পয়গাম পাঠাইয়াছে জানিতে পারিয়া ফাতেমা (রাঃ) রসুলুলাহ (দঃ)-এর নিকট গিয়া বলিলেন − আপনার আত্মীয়স্বজনগণ বলিয়া থাকে যে আপনি আপনার মেয়েদের পক্ষ হইয়া একটু রাগও দেখান না। ঐ দেখুন আলী (রাঃ) আবু জহলের কন্যাকে বিবাহ করিতে চাহিতেছে। রসুলুলাহ (দঃ) বলিলেন…‘নিশ্চয় ফাতেমা আমার কলিজার টুকরা। তাহার ব্যথায় আমি ব্যথিত হই। নিশ্চয়ই আমি হালালকে হারাম বা হারামকে হালাল করিতে চাহি না। অবশ্য এই কথা বলিতেছি যে, আলাহর কসম ! আলাহর রসুলের কন্যা এবং আলাহর শত্র“র কন্যা একই ব্যক্তির বিবাহে একত্রিত হইতে পারিবে না।’ এই ভাষণের পর আলী (রাঃ)বিবাহের প্রস্তাব পরিত্যাগ করিলেন।” এটা আছে মুহসিন খানের অনুদিত বোখারী ৪র্থ খণ্ড হাদিস ৩৪২ ও ৫ম খণ্ড হাদিস ৭৬।

এখানে বিবি ফাতেমা’র আপত্তি স্পষ্ট। কোরাণ অনিয়ন্ত্রিত বহুবিবাহ জায়েজ করলে তিনি অবশ্যই আপত্তি করতেন না। তাছাড়া “তাহার ব্যথায় আমি ব্যথিত হই” নবীজীর নিজের মুখের কথা। অর্থাৎ সতীনের ঘরে মেয়েদের ব্যথা আছে, নিশ্চয়ই আছে। যে-কারণে সর্বশ্রেষ্ঠ পয়গম্বর আলাহ’র কসম খেয়ে “হারাম”-এর মত কঠিন শব্দে দ্বিতীয় বিয়ে নাকচ করেছিলেন, কি কারণ সেটা ? সে কি আলাহর শত্র“র মেয়ে এই কারণে ? না, তা অবশ্যই নয়। নীচে দেখুন : −

হাদিস ২৪৭৩, সূত্র হজরত মেসওয়ার ইবনে মাখরামা (রাঃ)। “আমি রসুলুলাহ (আঃ)-কে মিম্বরে বসিয়া বলিতে শুনিয়াছি − হিশাম ইবনে মুগীরা আলী ইবনে আবু তালেব (রাঃ)-এর নিকট তাঁহার মেয়ে বিবাহ দেওয়ার জন্য আমার নিকট প্রস্তাব করিয়াছে। কিন্তু আমি অনুমতি দিই নাই এবং আলী (রাঃ) আমার কন্যা ফাতেমা (রাঃ)- কে তালাক না দেওয়া পর্যন্ত আমি অনুমতি দিব না। কেননা ফাতেমা হইতেছে আমার শরীরের অংশ। আমি ঐ জিনিস ঘৃণা করি যাহা সে ঘৃণা করে এবং তাহাকে যাহা আঘাত করে তাহা আমাকেও আঘাত করে।” হাদিসটা এখানেও পাবেন, মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ মহসিন খানের অনুদিত সহি বুখারি, ৭ম খণ্ড, ১৫৭।

যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ রসুল বিশ্বনবী, দুনিয়ার প্রতিটি মুসলিম নারী তাঁর কলিজার টুকরা। তিনি তাঁর অনাগত অগণিত সমস্ত কলিজার টুকরাকে সতীনের সম্ভাবনায় ঠেলে দেবেন এবং নিজের মেয়েকে রক্ষা করবেন এমন ব্যাখ্যা যাঁরা দেন তাঁরা নবীজীর মর্যাদার খেলাফ করেন। বিবি ফাতেমা কোরাণের বিরুদ্ধে যাবেন এটাও অসম্ভব। এ-দু’টো মিলিয়ে আমরা কি পাচ্ছি ? মুগীরা নিজেই বিয়ের প্রস্তাব করেছিল কাজেই সে মেয়ে তখনো এতিম হয়নি, মুগীরা তখনো বেঁচেই ছিল। হজরত আলী অতুলনীয় মর্যাদা ও শান-এর অধিকারী বলেই বুঝি মুগীরা তাঁকে জামাই করতে চেয়েছিল। কিন্তু নবীজী অনুমতি দেননি। এটা জানার পরেও টাকাকড়ি-জমিজমা বা বাহ্যিক শান-শওকতের লোভে কোন লোভী পিতা তাঁদের আদরের কন্যাকে সতীনের ঘরে পাঠালে সেটা সরাসরি ইসলাম-বিরোধী হতে বাধ্য। শুধু টাকার জোরে কেউ শখের বহুবিবাহ করলে সেটাও ইসলাম-বিরোধী হতে বাধ্য। নীচে কয়েকটা উদ্ধৃতি দিচ্ছি :

এ.ভি.মীর আহমেদের কোরাণ-অনুবাদে ব্যাখ্যা : “আয়াত ১২৭ সরাসরি আয়াত ৩- এর সহিত সম্পর্কিত। এইখানে নারীদের যে অধিকারের কথা বলা হইয়াছে উহা আয়াত ৩-এ বলা আছে, … ইয়াতামান-নিসা অর্থ হইল “পিতৃহীনা বালিকা।”
“মওলানা ওমর আহমদ ওসমানীর মতে সুরা নিসার ৩ নম্বর আয়াতে বলা হইয়াছে শুধু পিতৃহীনা বালিকা ও বিধবার কথাই, অন্যান্য নারীগণের নহে। ‘আল্ নিসা’ শব্দের বিশেষ ‘আল্’ শব্দটি ‘শুধুমাত্র ইয়াতাম’ অর্থাৎ এতিমের নির্দেশ করে। নতুবা শুধু ‘নিসা’ শব্দটিই অন্যান্য নারীগণকে বুঝানোর জন্য যথেষ্ট ছিল। এই বিবাহ করিতে হইলে শুধুমাত্র বিধবা বা এতিমের মধ্য হইতেই করিতে হইবে। একমাত্র এই পটভূমিতেই বহুবিবাহের অনুমতি দেওয়া হইয়াছে।” (ডড়সবহ’ং জরমযঃং রহ ওংষধস – গড়যফ. ঝযধৎরভ ঈযড়ফিযঁৎু).
“বহুবিবাহের অনুমতির প্রকৃতি কিছুতেই অবাধ নহে” − জাস্টিস আফতাব হোসেন। (“ঝঃধঃঁং ড়ভ ডড়সবহ রহ ওংষধস”).
কোরাণের আয়াত ১২৯ − “তোমরা কখনও নারীদিগকে সমান রাখিতে পারিবে না যদিও ইহা চাও।” অন্যান্য আয়াতের পরে এর ভিত্তিতে কোরাণ বহুবিবাহ বাতিল করে এক স্ত্রী বহাল রেখেছে। কারণ “ন্যায়সঙ্গত” অর্থাৎ “আদ্ল্”এর মধ্যে প্রেমভালবাসাও অন্তর্ভুক্ত যা সমান ভাগে ভাগ করা যায় না।” আমীর আলী − স্পিরিট অব্ ইসলাম − ইউনিভার্সিটি প্রেস লণ্ডন, ১৯৬৪, পৃঃ ২২৯-২৩২।
অষ্টম শতাব্দীর কট্টরপন্থী খলিফা মুতাওয়াক্কিল যুক্তিভিত্তিক মু’তাজিলা মুসলিম সম্প্রদায়কে উচ্ছেদ করে সমাজকে যুক্তিহীন ভক্তিবাদের আত্মঘাতী পথে চালিত করেন। সেই গোলকধাঁধায় আমরা আজও এমনভাবে অন্ধ হয়ে ঘুরে মরছি যে আমাদেরই মা- বোনের অশ্র“ চোখে পড়ছে না। অথচ শারিয়ার হাজার বছর আগের মানুষ কি গভীর মমতায়, কি কঠোর হস্তে মাতৃজাতিকে সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছিল তা দেখলে প্রশংসা না করে পারা যায় না। নিয়ন্ত্রিত বহুবিবাহের উদ্ধৃতি দিচ্ছি আসিরিয়ান (প্রায় ২০০০ থেকে ২৫০০ বছর আগে) ও ব্যাবিলনিয়ান হাম্মুরাবী আইন (প্রায় চার হাজার বছর আগে) থেকে − সূত্র ঃ ড্রাইভার অ্যাণ্ড মাইল্স-এর “ল’জ ফ্রম মেসোপটমিয়া অ্যাণ্ড এশিয়া মাইনর” এবং ওমস্টেড-এর “হিস্ট্রি অব্ আসিরিয়া”; উৎস আইনের অধ্যাপক ডঃ আনোয়ার হেকমত-এর “উইমেন অ্যাণ্ড দ্য কোরাণ” পৃঃ ১৫৩ ও ২৪১-২৪৩।

সাধারণ আইন :

যদি স্ত্রী সন্তানধারণ করিতে পারে তবে স্বামী তাহাকে তালাক দিতে পারিবে না।
যদি স্ত্রী সন্তানধারণ না করে তবে স্বামী তাহার স্ত্রীকে তালাক দিতে পারিবে কিন্তু স্বামী তাহাকে ঐ সকল কিছুই ফিরাইয়া দিবে যাহা কিছু সেই স্ত্রী বিবাহকালে আনিয়াছিল, এবং সারাজীবন স্ত্রীর খরচ বহন করিবে।
যদি স্ত্রী সন্তানধারণ না করে তবে সে স্বামী বিবাহ করিতে পারে কিন্তু দ্বিতীয় স্ত্রী কোন ব্যাপারেই মর্যাদায় প্রম স্ত্রীর সমান হইবে না।
যদি স্ত্রী সন্তানধারণ না করে তবে সেই স্ত্রী স্বামীকে মাত্র একবার একটি দাসী উপহার দিতে পারে। যদি সেই দাসী সন্তানধারণ করে, তবে সেই ব্যক্তি দ্বিতীয় বিবাহ করিতে পারিবে না।
যদি কেহ স্ত্রীকে ত্যাগ করিয়া উধাও হইয়া যায় তবে সে স্ত্রী যখন ইচ্ছা দ্বিতীয় বিবাহ করিতে পারিবে এবং প্রম স্বামী ফিরিয়া আসিয়া স্ত্রীকে দাফব করিতে পারিবে না।
স্ত্রী যদি বন্ধ্যা, পঙ্গু বা অনারোগ্য ব্যাধিতে আμμান্ত হয় তবে স্বামী অন্য নারীকে বিবাহ করিতে পারে কিন্তু প্রম স্ত্রীর মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত একই বাড়িতে থাকিবে এবং তাহার যতড়ব লইবে।
স্ত্রী যদি অনারোগ্য ব্যাধিতে আμμান্ত হয় ও নিজের গোত্রে ফিরিয়া যাইতে চায় তবে স্বামী তাহাকে ঐ সকল কিছুই ফিরাইয়া দিবে যাহা কিছু সেই স্ত্রী বিবাহকালে আনিয়াছিল।
এই হল মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার সত্যিকারের উদাহরণ, মুখে মিষ্টি উপদেশ আর আইনে হিংস্রতার ঠকবাজি নয়। তাই বুঝি ওরা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিল তাদের সেই প্রাচীন সভ্যতাগুলোকে। ওরা জানত, মাতৃজাতিকে অপমান করে পঙ্গু করে জাতির উনড়বতি অসম্ভব। কারণবিহীন শখের বহুবিবাহ এক মারাত্মক সামাজিক অভিশাপ। স্বামী বহুবিবাহ করুক বা না করুক, তার এই ফ্রী লাইসেন্সটাই নারীর অপমান। তাই, একে নিয়ন্ত্রণ করে কোরাণে ফিরে আসতে হবে। দেখুন একটা এলাকার চেহারা ঃ “বহুবিবাহ প্র া আজও বিদ্যমান। এলাকায় বেশির ভাগ লোকের একাধিক স্ত্রী। যে-বছর গোলায় বেশি ধান মেলে নূতন বিয়ের আকাক্সক্ষাও বেড়ে যায়। বিয়ে করতে হবে এমন মানসিকতা বিরাজ করে। (প্রম) স্ত্রী বাধা দিলে উচ্চারিত হয় তালাক” − পৃঃ ৬৩, ফতোয়া ১৯৯১-১৯৯৫ − শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র, ঢাকা। নারী-নিপীড়নের এই অভিশাপ ইন্দোনেশিয়াতে সম্প্রতি ফিরে এসেছে “পলিগ্যামী রেস্টুরেণ্ট”-এর চার-তরকারির খাবারে আর চালু হয়েছে চার টপিং দিয়ে ‘পলিগ্যামী পিজা।’ ঠাট্টা আর বলে কাকে !

অথচ বহুবিবাহকে আমরা মুসলিম দেশ সেনেগাল, মরক্কো, তিউনিসিয়ার মতো আইন দিয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, ইজতহাদ করে আমরা বহুবিবাহের মধ্যে এতিম ছাড়াও অনাথ দরিদ ্র নারী অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। তাতে ইসলামের নাম উজ্জ্বলই হবে। দুনিয়ার তাবৎ মুসলমান পুরুষ মহান হৃদয় নয়, এ কলিকালে বহু কুলাঙ্গার সব সমাজেই আছে। পুরুষ যেখানে পুরুষ, সেখানে নারীদেহে তার চূড়ান্ত স্বার্থ আছে।

কোরাণ সেটা জানে, রসুল সেটা বিলক্ষণ জানতেন। তাই তাঁরা নারী- অত্যাচারের ফ্রী লাইসেন্স কাউকে দেননি। আজ ইসলামের নামে যত অনৈসলামিক বিধান আমরা দেখি, সবগুলো নবীজীর অনেক পরে পুরুষতন্ত্রের বানানো ॥
লেখক পরিচিতি

হাসান মাহমুদ
[email protected]
http://www.hasanmahmud.com/

In SHARIAKIBOLE.COM it is written as:-

সদস্য – ওয়ার্ল্ড মুসলিম কংগ্রেস উপদেষ্টা বোর্ড
সাধারণ সম্পাদক- মুসলিমস ফেসিং টুমরো- ক্যানাডা
রিসার্চ এসোসিয়েট- দ্বীন রিসার্চ সেন্টার, – হল্যান্ড
প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, আমেরিকান ইসলামিক লিডারশীপ কোয়ালিশন
ক্যানাডা প্রতিনিধি, ফ্রি মুসলিমস কোয়ালিশন
প্রাক্তন ডিরেক্টর অফ শারিয়া ল’ ও প্রেসিডেন্ট, মুসলিম ক্যানাডিয়ান কংগ্রেস

লিংক -- চার বৌ

৩৩| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন:
১। বাংলাদেশের আলেম সম্পর্কে আমার দৃষ্টি ভঙ্গি আপনি কি জানতে পারলেন? এটা সুস্পষ্টভাবে জানতে চাই
২। ইসলাম সম্পর্কে আমার দৃষ্টিভঙ্গি কি সেটা প্রমানসহ সুস্পষ্ট ভাবে বলবেন।
৩। স্টিকি পোষ্টে আপনি কল্পিত কিছু কাহিনী বলে আসছেন। যিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁকে আপনি অভিযুক্তের সাথে রিকশায় ঘুরিয়েছিয়েন। আপনার মনগড়া কাহিনী বলেছেন।

আশা করি খুব দ্রুত আপনি উপরের এই তিনটি প্রশ্নের যথাযথ জবাব দিবেন। এই বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আপনার অন্য কোন লেখা প্রকাশিত হবে না।

আমাদের ব্লগে নতুন নকিব নামে একজন ব্লগার ইসলাম সম্পর্কে লিখেন। বর্তমান সময়ে এই ব্লগে যে কয়েকজন ব্লগার ধর্ম নিয়ে ব্লগিং করছেন তার মধ্যে তিনি অন্যতম সেরা। বিনয়ী, যৌক্তিক। একজন প্রকৃত আলেম আর যাইহোক অহংকারী এবং কথায় কথায় নিজের আলেম স্বত্তাকে বেঁচে না।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩৪

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: একজন ব্লগার কখনো হুমকি দিয়ে কথা বলেনা, যেটা বলে থাকে সন্ত্রাসীরা।
আমার লেখা প্রকাশিত হবে না সেটা আপনি বলার কে? কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে আমার মত ব্লগারকে ব্যান করে দিবে তবে সেটা তাদের সিদ্ধান্ত। আমি তাদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাবো।
আর ব্লগও আমার বাপের জমিদারী নয় যে আমি এখানে জমিদারিত্ব ফলাতেই হবে।

৩৪| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:১৯

এ আর ১৫ বলেছেন: আমার দাবীটি এসেছে আপনার বিভ্রান্তমূলক কথাবার্তার প্রেক্ষিতে। আমি দলিল দিতে প্রস্তুত আছি

তাহোলে দলিল দেন কেন ----
কেন ঐ লোকের মনে করাকে গ্রহন করা এবং কেন এই বিষয়ে আল্লাহর সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করা হবে ( নাউজুবিল্লাহ)

আপনাকে ২৫ নং মন্তব্যের জবাবে যে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে সেটার উত্তর দিন

বহু নারী বিষয়ে আল্লাহর অভিমত পাবেন সুরা নিসা আয়াত ১২৯ ( “তোমরা কখনও নারীদিগকে সমান রাখিতে পারিবে না যদিও ইহা চাও”)
নারীদের সমান রাখিতে হইবে --- এই শর্ত আরোপ করা হয়েছে সুরা নিসা আয়াত ৩ ।
বহু আলেম ৪-৩ এবং ৪ -১২৯ ভিত্তি করে বহু বিবাহ নিষিদ্ধের পক্ষে মত দিয়েছেন -- যেমন আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রান্ড ঈমাম
Please click here

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০০

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: Click This Link

৩৫| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৩:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই কে আছিস!
আতেলদেরকে চারখানা বিবাহ করাইয়া দাও!
ব্যাস কেল্লাফতে ;)
অত:পর চতুর্মূখি আক্রমনে উহার সকাল সন্ধ্যা হঈয়া যাইবে। ব্লগিংও করিবেক নাই!
ক্যচালো লাগিবেক নাই ;) =p~ =p~ =p~

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আলোচনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টাকে অপচেষ্টা বলে।

৩৬| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৫৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি তো এখনও আমার প্রশ্নের জবাব ও ব্যাখ্যা দেন নাই হুজুর।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আপনি আমার কাছে ব্যাখ্যা তলব করতে পারেন না। আপনি আমার বস বা শিক্ষক কোনটিই নন।

৩৭| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:৪৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনি আমার কাছে ব্যাখ্যা তলব করতে পারেন না। আপনি আমার বস বা শিক্ষক কোনটিই নন।

হা হা হাহা হা

উনি বলিয়া যাইবেন আমরা মানিয়া লইব :P
কুছু বলা যাইবে না। কিছু জানতে চাহিলে উনি উত্তর দিতে বাধ্য নহেন!!! =p~

তবে আর কি @ কা_ভা ভাই! আগে উনার বস হইয়া যান :P তারপর উত্তর খুঁজেন ;)

২০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০২

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: শরিয়তের ফায়সালা কেউ মানতে বাধ্য নয়-যেহেতু মানুষ বিবেক ও কাজ কর্মে স্বাধীন। আমৃত্যু ইচ্ছামতো চলেন কার কি আসে যায়।
আর আমিও বলিনি আমি যা বলবো তা মানতে হবে। মূল ট্রপিক থেকে পিছনে ফিরলেন কেন?

৩৮| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শব্দটা ট্রপিক নয়- টপিক!

আর মূল বিষয়ে আমিতো অংশই নিতে আগ্রহ বোধ করিনি, আপনার অপূর্ণতা বুঝে আসায়।
কা_ভা ভাই যা জানেত চাইলো আমারও সেই বিষয়গুেলা নিয়ে আপনার ভাবনা/মত কি জানার ইচ্ছে ছিল।
তাই একটু ফানি মুডে নক করেছিলাম।

এখন আপনি না আপনার মূল বিষয়ে সিরিয়াস? না পাঠকের তৃষ্না নিবারনের নূন্যতম দায়বোধ রাখেন!
এবং পাঠকের প্রতি যার নূন্যতম শ্রদ্ধা নেই- এবং প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে - দিতে বাধ্য নই বলে? তার মূখে টপিক থেকে পেছনে ফেরার কথা মানায় না। সরি টু সে!

যাক ভাল থাকেন।

২০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩০

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আপনার কা- ভাইয়ের প্রশ্ন করার মুড দেখেছেন? হুমকি দিয়ে কথা বলেন উনি, উনাকে একটু বুঝান। ব্লগ হুমকি দেয়ার ময়দান নয়। আযান দিচ্ছে যান মাগরিবের নামায পড়ে আসুন, আমিও যাচ্ছি।

৩৯| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হ

উনার মুড পেলেন কোথায়?

১২, ১৪, ১৫ ১৯ নং কমেন্টে এজইউজুয়াল একজন অশংগ্রহণকারী হিসেবে মন্তব্য করেছেন। এবং উনি উনার ক্ষমতার অপব্যবহার কখনোই করেন না বলেই আপনি এখনো বেঁচে আছেন :P ব্লগীয় জীবন আরকি ;)
৩৩ এ উনি উত্তর চেয়েছন, এবং না হলে কি হবে তার হালকা হিন্টস দিয়েছেন। এবং ৩৬এও আপনাকে হুজুর বলে উত্তরই চাইছেন!
উনাকে আমি চিনি, বুঝি, জানি। উনার যথেষ্ট ধৈর্য; যা হয়তো আমারও একটু কমই হবে।
ব্লগের মায়েরে বাপরে যদি বুঝাইতে আসেন ব্লগ কি? তবেতো মুশকিল ভায়া !!!!
আরেকটু সাবালক হোন। বিনয় হোন এবং জ্ঞানীর পরিচয় দিন।
প্রশ্নের উত্তরে প্রশ্ন বা অন্যকোন এলেবেলে কথা নয় উত্তরই উত্তম। আমিও অপেক্ষায় - -

২০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৬

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: হুম বুঝলাম-আপনার কা-ভাইকে সমিহ করে কথা বলতে হবে আমার ব্লগ বাঁচানোর জন্য যেমনটি আপনি বলেন। শুনেন ব্লগ বাঁচা মরার উপর আমার ইমান ও জীবন জিবিকা নির্ভর করেনা। আমি যেটা পড়েছি, জেনেছি আমার দাবীর সমর্থনে সেটা দলিল দ্বারা পেশ করেছি। একেবারেই সিম্পল- যেটা আপনারা পারছেন না- বড়ই হতাশাজনক।

৪০| ২০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাই, আমি মনে করি, এইখানে আপনার আর আমার কিছু করনীয় নেই।

উনি যে ধরনের মন্তব্য করেছেন তাতে একটা প্রচ্ছন্ন ব্যাপার আছে যে আমি কিছুটা ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষী। দুই আমি হুজুরদের সম্মান দেই না। দুটো অভিযোগই ভয়াবহ। তাই আমি এটার প্রমান চেয়েছি। প্রমান দিতে না পারলে কি হবে - সেটা ভিন্ন ব্যাপার।

দুই, উনি ব্লগার জেন রসির পোষ্টে বলেছেন, আমাদের ব্লগার এরিস ( উনি অবশ্য লিখেছেন এরিক) নাকি রিকশায় করে অভিযুক্ত অধ্যাপকের সাথে ঘুরেছে। কোন পোস্ট না পড়ে, না বুঝে একটা মন গড়া ফতোয়া যেভাবে এক ধরনের তৃতীয় শ্রেনীর হুজুরটাইপ পাবলিক দেয়, উনিও দিসেন। এই সব লোক নিজেদেরকে আলেম দাবী করে, পন্ডিত মনে করে। অন্তরে অহংকার বোঝাই করে চলে। আর সাধারন মানুষ দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই সব পাবলিক থেকেই ইসলাম ধর্মের আইডিয়া পায়। আমি উনার বিরুদ্ধে বলছি দেখে দেখেন উনার নিজেকে আলেম ওলামা পর্যায়ে নিয়ে গেছে। মুখে দাঁড়ি টুপি দিয়ে এই দেশে মাদ্রাসার নামে হাজার হাজার লোক ভন্ডামী করে।

এই ভিডিও দেখেন। উনার বক্তব্য মতে এই লোকও আলেম। এর দাঁড়ি টুপি সবই আছে।

আপনি জানেন, আইপি ট্র্যাক করে এই ধরনের **** দের কি করা যায়। কিন্তু সেটা সময়ের নষ্ট। এরাই বাইরে গিয়ে বলবে, - ব্লগ হচ্ছে নাস্তিকদের জায়গা, ব্লগ হচ্ছে শয়তানের জায়গা।


এরে যা বলছি, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে যদি না করে, অর্থাৎ যদি ব্যাখ্যা পাই, তখন উনাকে আলেমগিরি একটু সামান্য দেখানোর ব্যবস্থা করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.