নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মানুষ-মানুষের কল্যাণে কাজ করি,মানুষের কথা বলি।।

শিবলী আখঞ্জী

শিবলী আখঞ্জী › বিস্তারিত পোস্টঃ

দাবা কাহিনী

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০



আজকের দিনটি আদিবাসী পল্লীতেই কাটিয়ে দিলাম।খাগড়াছড়ি শহর থেকে নয় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দিঘিনালার মেরুং এর কাছাকাছি গ্রামটির নাম নয় মাইল।ভিআইপি প্রটোকল ডিউটির সুবাদে শহর থেকে এই এলাকায় প্রায়ই আসাযাওয়া করি ,আজ অন্য একটি কাজে নয় মাইল এলাকায় গিয়েছিলাম।শহরের কোলাহল বিহীন সবুজের ছায়াঘেরা খুব সুন্দর একটি এলাকা,হারিয়ে গেছিলাম পুরোনো সেই ছক্কা লুডুর শৈশবে।গাড়িটা জরাজীর্ণ একটি চায়ের দোকানের সামনে থামলো গাড়ি থেকে নামতে না নামতেই শুনতে পেলাম - এই সিলেটি ফুলা ওবায় আয় ?বুঝতে দেরি হলো না আমার শিখানো আমার মুখের আঞ্চলিক ভাষা ব্যবহার করে আমাকে ডাকছে উর্বশী।

আদিবাসীরা স্বভাবতই খুব ভদ্র তবে ওরা সবার সাথে- আয়, যা, তুই, তোর ,দে, নে, অর্থাৎ তুইতুকারী ব্যবহার করে। ওদের সাথে ভালভাবে না মিশে তুই তোর আয় যা এ জাতীয় সম্বোধন করা দেখে প্রথম প্রথম ওদের কে একটু বেয়াদবই মনে হয়,তবে আদিবাসী মানুষ গুলো মূলত তা কিন্তু নয়।আদিবাসী মানুষেরা অত্যন্ত নির্ভুল শিষ্টাচারের অধিকারী।দোকানে প্রবেশ করতেই লুডু খেলায় প্রক্সি দিতে বলা হল অপারগতা প্রকাশ করতেই দু’তিন খান কচি মুখ থেকে অস্পষ্ট বাঙলায় শুনতে পেলাম ‘একটু খেল না দাদা ’!বেশ কিছুক্ষণ খেলাধূলা চলল ।দোকানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বৃদ্ধ বয়সের এক নারী বাঁশ দিয়ে বানানো হুকা টানছেন,পাহাড়ের উৎপাদিত কাঁচা তামাকের সুঘ্রানে হুকার প্রতি লোভ সামলানো দায়,লুডু খেলা ছেড়ে মন চলে গেছে হুকার ভেতরে।সত্তর বছর বয়সী বৃদ্ধার হুকার গুরুৎগুরুৎ টানে একধরনের সুরের মূর্ছনা সৃষ্টি হয়েছে।
চা বিস্কুট খাওয়ানোর পর আমার হাতে ধরিয়ে দেয়া হল দাবা আদিবাসীরা হুকাকে দাবা নামে চিনে দুই চুমুক দিতে না দিতেই শেষ।তার পর ধরিয়ে দেয়া হলো তামাক আর চিটা গুড় ....
দোকানে বসে থাকা বিমল দা কে দাবা বানায়া দিতে বললাম,তরঘরি করে বস্তা থেকে একটি রূষ্টপুষ্ট পাতা হাতে নিয়ে দা দিয়ে সবজির মত কুটে চিটা গুড় মাখিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই তৈরি করে ফেললেন দাবা



দাবার ছিলিমে আগুনের কুণ্ডলী স্থাপন হয়ে তারপর বেশ কয়েকটি সুখটান খেয়ে আমার কাছে চলে এলো দাবা,দুই চার টান দাবা খেয়ে ভেন্ধা হয়ে বসে রইলাম প্রায় বিশ মিনিটের মত!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৯

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: সুন্দর ভাবে ওনাদের জীবন যাত্রা তুলে ধরেছেন । ভালো লাগল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.