নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মানুষ-মানুষের কল্যাণে কাজ করি,মানুষের কথা বলি।।

শিবলী আখঞ্জী

শিবলী আখঞ্জী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্যাতনের শিকার হয়ে পাষণ্ড স্বামীর সাথে সংসার করার চেয়ে না করাই ভাল এই জ্ঞানটুকু ফেরানো গেল না

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:১৬

নাসরিন আক্তার নামের একটি মেয়ে মেয়েটির বিয়ে হয়েছে মাত্র আড়াই মাস হলো,গ্রামের অর্ধ শিক্ষিত সদ্য বিবাহিত নারীর বয়স হলেই আর কত হবে;বড়জোর চব্বিশ পঁচিশ!

নির্যাতনের ছাপ লেগে আছে চোখে মুখে,সুন্দর ফর্সা মেয়েটাকে মধ্যবয়সী নারীর মত মনে হয়।পাষণ্ড স্বামী নাসরিন কে বিয়ে করার আগে আরো কয়েকবার বিয়ে করেছে,স্বামী রাসেলের কুকীর্তি নাসরিন জেনে গেছে এটাই নাসরিনের দোষ।
পাষন্ড রাসেল নাসরিনকে বেধরক পিটিয়েছে হাত দিয়ে লাঠি দিয়ে,নাসরিনের বাবার মুখ থেকে শুনেছি জ্বলন্ত সিগারেট দিয়ে নাসরিনের দুই স্তনের দুই বোটায় আগুনের ছ্যাঁক দিয়েছে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে থানায় মামলা দায়ের করেছিল নাসরিন।রাসেলের সাথে নাসরিন যে বাসায় ভাড়া থাকতো সেই বাসার মালিক কে নাসরিন নিয়ে এসেছে মধ্যস্থতা করে ছাড়িয়ে নিয়ে যেতে।
এতক্ষণে মামলার কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে রাসেলকে আদালতে প্রেরন করার সময় হয়ে গেছে। রাসেলকে আদালতে উপস্থিত করানোর জন্য গাড়িতে উঠাচ্ছে পুলিশ নাসরিন অসুস্থ শরীর নিয়ে থানার সামনে কাঁপাকাঁপা হয়ে দাঁড়িয়েছিল,নাসরিনের কাছে এসে পা বরাবর লুটিয়ে পরলো রাসেল।মোটামুটি জোর করে রাসেল কে গাড়িতে উঠানো হল রাসেল হাত জোড় করে ক্ষমা ভিক্ষা চাইল নাসরিনের কাছে।আদালতের এজলাসে দাঁড়াইয়া আসামি যেমন করে বিচারকের সামনে কাকুতিমিনতি করে ঠিক সেভাবেই হাতজোড় করে নাসরিনের কাছে ক্ষমা চেয়েছে রাসেল,কাঁদতে কাঁদতে শেষ পর্যন্ত ‘আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না নাসরিন’ এই কথাটিও উচ্চারণ করেছে শালা কমজাতের বাচ্চা রাসেল।পুলিশের গাড়িটা আদালতের উদ্দেশ্য ছাড়িয়া গেল নাসরিন থানার বারান্দায় বেহুঁশ হয়ে পড়ে গেল তারপর নাসরিনের বাবা একজন মহিলা পুলিশ আরো অন্যান্য পুলিশ সদস্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মাথায় পানি ঢেলে নাসরিনের জ্ঞান ফিরিয়ে আনা হলো।নির্যাতনের শিকার হয়ে পাষণ্ড স্বামীর সাথে সংসার করার চেয়ে না করাই ভালো এই জ্ঞানটুকু ফেরানো গেল না........

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



সমস্যা, বিয়ে ভেংগে যাবার পর, কেহ সাহায্য করে না

২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫৬

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: মেয়েরা সাবলম্বী না হলে জামাই এর মার খেয়েও সংসার করতে হয় । কারন তাদের কেউ নিতে চায় না ।
তারা হয়ে দাঁড়ায় সমাজের বোঝা । কাউকে শেষ পর্যন্ত জীবন বিলিয়ে দিতে হয় ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.