নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একজন মানুষ-মানুষের কল্যাণে কাজ করি,মানুষের কথা বলি।।

শিবলী আখঞ্জী

শিবলী আখঞ্জী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডিজিটাল আইনের বত্তিশ ধারাঃ প্যাজগিটা কোথায় !

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৪৫


-------------------------------------------

৩২ ধারায় অপরাধ কর্ম সম্পাদন করতে হলেঃ

প্রথমত বেআইনি ভাবে প্রবেশ করতে হবে ।

দ্বিতীয়ত প্রবেশের স্থানটি সরকারী আধাসরকারী স্বায়ত্বশাসিত সংবিধিবদ্ধ কোনও সংস্থা হতে হবে।

তৃতীয়ত উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান গুলোর অতি গোপনীয় বা গোপনীয় তথ্যউপাত্ত ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণ/ প্রেরণ করতে হবে।

অর্থাৎ বেশ কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করে উক্ত অপরাধটি সম্পন্ন করতে হবে,

# আইনটি যতটা না জটিল উক্ত আইনে অপরাধী হওয়াটা তারচেয়ে বেশী জটিল!

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে বর্তমানে একটাই আলোচিত বিষয়,আর তা হল বত্তিশ ধারা এবং মনে হইতাছে এই বিষয়ে সবচেয়ে বেশি মনোক্ষুন্ন হয়েছেন এদেশের গণ্যমান্য সংবাদকর্মীরা দুঃখের বিষয় আইন গ্রন্থ জীবনে যারা ছোঁয়া ত দুরের কথা চোখেও দেখেনি তারাও এই বিষয়টি নিয়ে সুড়সুড়ি দিতাছে আবার কেউ কেউ কালো আইন লালো আইন বলেও আখ্যা দিতেছেন;কিন্তু কেন !প্যাজগিটা কোথায়! এই আইন জনসম্মুখে আসার আগে উনারা কি শুধু বেআইনি প্রবেশ বাহির হইয়াই পূর্বের সময় গুলো কাটিয়ে দিয়েছেন?সরকারী আধাসরকারী স্বায়ত্বশাসিত সংবিধিবদ্ধ সংস্থার গোপনীয় বিষয়সমূহ অনুসন্ধান গবেষণা করটাই কি শুধু সংবাদ কর্মীদের কাজ ? সরকারী আধাসরকারী স্বায়ত্বশাসিত সংবিধিবদ্ধ সংস্থা গুলো কি শুধুই ঘুষ দুর্নীতিবাজদের অনুমোদিত আখ্রা ?যদি তাই হয় রাষ্ট্রের কাছে জনগনের প্রাপ্য সেবা গুলো জনগণের কাছে পৌঁছয় কোন সুড়ঙ্গ পথে?

সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা,সংবাদপত্র সমাজ ও রাষ্ট্রের দর্পণ,গণমাধ্যম সুনির্দিষ্ট স্থানে রশি দিয়ে বাঁধা জন্তু জানোয়ার নয় এর পরিধি বিশাল।

দিন যত যাচ্ছে এদেশ ততই সামনের দিকে এগিয়ে
যাচ্ছে এবং তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়তেছে অপরাধকর্ম আর নিত্যনতুন অপরাধ ঠেকাতেই প্রণয়ন হচ্ছে নতুন নতুন আইন।এই আইনটি আপাত দৃষ্টিতে জটিল মনে হলেও নির্দিষ্ট পেশায় নিয়োজিত ব্যাক্তিবর্গের হাহুতাশ করার কোন কারণ দেখতাছিনা;পেশাদারিত্বের ব্যাপারে একটু স্বচ্ছ সচেতন হলেই সব সমস্যা মিটে যায়।

রাষ্ট্রে বলবৎ কোনো আইনই পেশাদারিত্বের ব্যাঘাত ঘটায় না প্রবৃত্তি প্রলোভন আর এ জাতীয় অন্যান্য সমসাময়িক বিষয় গুলোই প্রধান অন্তরায়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫৪

শাহিন-৯৯ বলেছেন: ওয়াটার গেট কেলেঙ্গারীতে সাংবাদিকদ্বয় পুরস্কার পেয়েছিল, আমাদের দেশে সাজাভোগ করতে হবে।

২| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:০৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
দুর্নীতিবাজ সংঘবদ্ধ সরকারি আমলারা কৌশলে এই আইনটির ধারায় এসব প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে।


ডিফেন্স ও এন্টিটেররিষ্ট পুলিশিং বাদে সরকারি অফিসে সব তথ্য উম্মুক্ত থাকা উচিৎ।

৩| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:৩৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ডিফেন্স ও এন্টিটেররিষ্ট পুলিশিং বাদে সরকারি অফিসে সব তথ্য উম্মুক্ত থাকা উচিৎ হাসান কালবৈশাখীর মন্তব্যের সাথে সহমত ।

৪| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশ পচে গেছে।

৫| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০২

খাঁজা বাবা বলেছেন: ব্যপারটা হচ্ছে আপনি আইনটি নিয়ে অনেক ঘাটাঘাটি করেছেন, কিন্তু আসল ব্যপারটা থেকে বুঝে বা না বুঝে দূরে থেকেছেন।
আপনি যদি উকিল হন তবে আপনি অচিতেই এই আইনটির দ্বারা লাভবান হবেন। ;P

৬| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:০৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তা বটে তা বটে!

আপনি টেন্ডারে জালীয়াতি করেছেন। ন্যায্যত মান সম্পন্ন, নিম্ন দরদাতাকে না দিয়ে আপনি স্বজনপ্রীতিতে ডুবে অধিকা দরে আপনার দলীয় কর্শকে টেন্ডার পাইয়ে দিলেন! এবং ফাইলকে অতি গোপনীয় আখ্যা দিয়ে নিজেকে তথা নিজের অপরাধকে সুরক্ষিত করলেন!
এক্ষনে আমি সাংবাদিক তা উদঘাটন করতে গেলে বুঝি - লাইট ক্যামেরা একশন বলব- আর আপনি ফাইল খুলে খূলে দেখাবেন???

নাকি আমাকে গোপন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন এবং তথ্যের সপক্ষে প্রমাণ সহ প্রতিবেদন তৈরী করতে হবে! আর প্রমাণ বুজী আপনি চাহিবা মাত্র আপনার অপরাধের প্রমাণ আমার হাতে তুলিয়া দিবেন!!!
এইরকম উদ্ভট ভাবনা লয়ৈ বত্তিশৈর ওকালতি মানায়ই বটে ;)

জয়ের এক দূর্নীতির সংবাদ প্রমান সহ প্রকাশ করায় আমার দেশ সম্পাদক কত বছর জেল খেটেছেন তা জাতি অবহিত!
৩২ দিয়ে ্এখন তাদের কুইক রেন্টাল, বাংলাদেশ ব্যাকং সাইবার লুট, বিচারপতি অপসারন সহ সকল অসাংবিধানিক কাজের তথ্য প্রমাণ জনতার আড়ালের রাখারই অপচেষ্টা মাত্র। আর কিছূ নয়!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.