নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

......পরিচয়টা অপ্রকাশ্যই থাক.......

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ

......... ”ক্ষুদ্র করো না হে প্রভু আমার হৃদয়ের পরিসর, যেন সম ঠাঁই পায় শত্রু-মিত্র-পর .........

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কুরআন ও হাদিসের আলোকে ধূমপান হারাম হওয়ার কারণ ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৫

(১) মুসলমানদের জন্য খাদ্যদ্রব্য দুই প্রকার। হালাল আর হারাম। এর বাহিরে কিছু নেই।
আল্লাহ বলেন,
তিনি (আল্লাহ) তাদের জন্য পবিত্র ও ভাল বস্তুকে হালাল করেদেন, আর খারাপ বস্তুকে করেন হারাম”। (সূরা আরাফঃ ১৫৭)
সিগারেট কি পবিত্র ও ভাল বস্তু? অবশ্যই এটা খারাপ বস্তু, আর উপরক্ত আয়াত দিয়ে আল্লাহ খারাপ বস্তুকে হারাম করেছেন।
(২) আল্লাহ বলেন, “এবং খাও ও পান কর, কিন্তু অপব্যয় ও অমিতাচার করোনা। কেননা, আল্লাহ অপব্যয়কারীদের ভালবাসেন না?” (সূরা আরাফঃ ৩১)
এই পৃথিবীর সবাই জানে, ধূমপান করা মানে টাকার অপচয় করা। এমন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ আছে কি যে সিগারেটকে অপচয় বলবে না? আর সকল অপচয় হারাম। ধূমপানের জন্য যে পরিমান অর্থ সারা পৃথিবীতে ব্যয় হয়, তা দিয়ে কোটি কোটি ক্ষুধার্ত ও দরিদ্র মানুষদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা যেত।
(৩) সিগারেটের গন্ধ আশপাশের মানুষকে কষ্ট দেয়। এই গন্ধ যে কতটা অসহ্য তা শুধু অধূমপায়ীরাই বুঝে। ঘুম থেকে উঠার পরে একজন ধূমপায়ীর মুখে যে দুর্গন্ধ হয়, তা দুনিয়ার কোন বাজে গন্ধের সাথেও তুলনা করা যাবেনা।
রাসুল (সঃ) বলেছেন,
“যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস রাখে সে যেন তার প্রতিবেশীকে কষ্ট না দেয়৷” (বুখারী)
ধূমপানকারী তার ধুমপানের দ্বারা স্ত্রী-পরিজন, বন্ধু বান্ধব ও আশে-পার্শের লোকজনকে কষ্ট দিয়ে থাকে৷
অনেকে নীরবে কষ্ট সহ্য করে মনে মনে ধূমপান কারীকে অভিশাপ দেন ৷ তাছাড়া বিভিন্ন গবেষনায় দেখা গেছে, চেইন স্মোকারদের স্ত্রীদের ফুসফুসে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভবনা বেশি।
(৪) মহানবী (সঃ) রসুন বা পেয়াজের গন্ধ নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছেন কেননা এই গন্ধ অন্য মুসল্লিদের কষ্ট দেয়। আর সিগারেটের গন্ধ তো সেগুলো হতে কয়েক হাজারগুন বেশি কষ্টদায়ক।
(৫) আল্লাহ বলেছেন,
“তোমরা নিজেদের হত্যা করোনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ তোমাদের প্রতি অতি দয়ালু।” (সূরা নিসাঃ২৯)
রাসুল (সঃ) বলেছেন, “তোমার প্রতি তোমার শরীরের অধিকার আছে।”
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর ১০ লাখের বেশি মানুষ মারা যায় ধূমপানের কারণে। যারা ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যায়, তাদের মধ্যে ৯০% হল ধুমপানের কারণে।
এছাড়া হৃদ রোগ, গ্যাস্ট্রিক আলসারসহ অনেক জীবননাশকারি রোগ সৃষ্টি করে ধূমপান। এমনকি গর্ভবতী মায়েরা ধূমপান করলে তাদের বাচ্চাদের বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মানোর সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে। ইসলামে কখনো এভাবে নিজের বা মানুষের ক্ষতি করা সম্পূর্ণ হারাম।
(৬) আল্লাহ বলেছেন, “এবং তোমরা নিজ হাতে নিজেকে ধ্বংসে পতিত করো না।” (সূরা বাকারাঃ আয়াত ১৯৫)
ধূমপান ক্যান্সার, যক্ষা প্রভৃতির মত ধ্বংসাত্মক রোগের কারণ। ধূমপান নিজে নিজেকে ধ্বংস করে দেয়।
(৭) ধূমপান যে বিষপান এটা সবাই একবাক্যে স্বীকার করে। এমনকি ইউরোপে একসময় এটাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং ধূমপানকারীকে শাস্তি প্রদানও করা হত।
ইসলামে সকল বিষাক্ত জিনিস ভক্ষন করা নিষিদ্ধ। রাসুল (সঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি বিষ পানে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামের আগুনের মধ্যে অনন্তকাল তাই চাটতে থাকবে। সেখানে সে চিরকাল অবস্থান করবে।” (সহিহ মুসলিম)
(৮) আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জাহান্নামীদের খাদ্যের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন,
“এটা তাদের পুষ্টিও যোগাবেনা ক্ষুধাও নিবারণ করবে না৷” (সূরা আল-গাশিয়াহ : ৭)
ধুমপানের মধ্যে এ বৈশিষ্ট্যই রয়েছে যে তা পানকারীর পুষ্টির যোগান দেয় না, ক্ষুধাও নেভায় না৷ ধুমপানের তুলনা জাহান্নামী খাবারের সাথেই করা যায়৷
(৯) বাস্তবতার আলোকে দেখা যায় এটা সমাজের ভাল মানুষের কাজ না। সমাজে যারা বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়ায় তাদের ৯৮% ভাগ ধূমপান করে থাকে৷ যারা মাদক দ্রব্য সেবন করে তাদের ৯৫% ভাগ প্রথমে ধুমপানে অভ্যস্ত হয়েছে তারপর মাদক সেবন শুরু করেছে৷
আপনি একজনকে সিগারেট খাওয়ালেন কিংবা তাকে খাওয়া শিখাইলেন। তাহলে উপরক্ত হাদিস অনুযায়ী আপনি আজীবন তার পাপ পেতে থাকবেন। আবার আপনি যদি সিগারেট হারাম, এটা প্রচার করে মানুষকে তা থেকে বিরত রাখলেন, তাহলে আজীবন তার সওয়াব পেতে থাকবেন।
যারা ধূমপান এখনো করছেন, তারা খাস দিলে আল্লাহর কাছে তওবা করে যেভাবে পারেন, এই মুহূর্তে ধূমপান ও অন্যান্য পান বন্ধ করুন। আর কাফফারা সরূপ ভাল কাজ যেমন- নামাজ বেশি বেশি করে আদায় করুন। আল্লাহ আপনাকে নিশ্চিত উত্তম প্রতিদান দিবেন।
আল্লাহ বলেন,
“হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা কর, একেবারে বিশুদ্ধ তওবা যাতে আল্লাহ তোমাদের ক্রুটি-বিচ্যুতি মার্জনা করে দেন এবং তোমাদেরকে সেই জান্নাতে প্রবেশ করান যার পাদদেশ দিয়ে ঝরনাধারা প্রবাহিত।” (সূরা আত্ তাহরীম-আয়াত-৮) ।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুণ । ( আ মি ন )

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১০

আবু আবদুর রহমান বলেছেন: ভালো পোস্ট । জাযাকাললাহু খাইরান ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৭:২৩

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: আপনাকেও আল্লাহ তা'আলা উত্তম প্রতিদান দান করুণ ।

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:২৩

যাযাবর চিল বলেছেন: সবই বুজলাম। আপ্নে ভাল কপি পিষ্ট করতে পারেন। আমার প্রশ্ন, ১৫০০ বছর আগেও ধূমপান প্রচলিত ছিল। আল্লাহ এবং রাসুল সাঃ ধূমপানকে হারাম বলে ঘোষণা করেন নি। সেখানে আপ্নে কোন কুতুব ? আপ্নে কি কইতে চান আপনি আল্লাহ বা রাসুল সাঃ এর চেয়ে বেশি জানেন? (নাউযুবিল্লাহ)। আপ্নে জানেন ধূমপান এত্ত ক্ষতিকর, আল্লাহ বা রাসুল সাঃ এগুলা জানতেন না? ব্লগে বইসা বইসা ফতোয়া দিতাছেন? কোন জায়গা থিকা মুফিতি এর ব্যাপারে পিএইচডি করেছেন???

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: ভাই আপনি একজন পরিপক্ক আলেম না হওয়ার কারণে এমন ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্ছার মত লাফাচ্ছেন । আর গণ্ডারের মত গায়ের জোড়ে হারাম জিনিসকে হালাল সাব্যস্ত করতে চাইছেন ।
আপনার জেনেরাখা উচিত যে, ইসলামি শরিয়তের দলিল হল চারটি ১-কুরআন ২-হাদীস ৩-ইজমা' ৪-ক্বিয়াস । ধূম পানের ব্যপারে যদিও কোন স্পষ্ট নস পাওয়া যায় না, তবে ক্বিয়াসের ভিত্তিতে এটাকে হারাম সাব্যস্ত করা যায়, এবং ক্বিয়াসের ভিত্তিতে এটাকে হারাম সাব্যস্ত করা হয়েছে ।।
যে বিষয়ে প্রয়োজন অনুযায়ী জ্ঞান রাখেন না, কি কারণে সে বিষয়ে অন্যের সাথে বাহাস করতে এসে নিজের সম্মানকে নিলামে তুলেন ?
*পবিত্র কুরআন শরিফে আল্লাহ তা'আলা নবী কারিম (সাঃ) কে প্রশ্ন করে বলেছেন- "হে নবী আপনি বলুন, যারা জানে এবং যারা জানেনা তারা কি সমান? "
আল্লাহ তা'আলা আপনাকে দ্বীনের সহীহ বুঝ দান করুন ।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

এ আর ১৫ বলেছেন: এই যে বাবা কিয়াস !!! এই বার কিয়াস দিয়ে গরুর মাংস ভাত রুটি ইত্যাদিকে হারাম ঘোষনা করুন???
গরুর মাংসে আছে হাই কোলস্ট্রল খাইলে রক্ত নালিতে চর্বি জমে হার্ট এটাকের কারন হয় মানুষ মারা যায় , ভাত রুটি শর্করা জাতীয় খাদ্য যেটা গ্লুকোজ ফ্রুটকুজে রপান্তরিত হয়ে রক্তে চিনির পরিমান বাড়ায় ডাইবেটিস রোগের কারন হয়। তাই কোন ইজমা ছাড়া কিয়াসের মাধ্যমে ঐ সমস্ত খাদ্য সমুহকে হারাম ঘোষনা করুন যেই ভাবে সিগারেটকে কিয়াসের মাধ্যমে হারাম ঘোষনা করেছেন !!!!

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১১

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: কারো মাথায় যদি নুন্যতম জ্ঞান বুদ্ধি থেকে থাকে, তাহলে তার সামনে পোষ্টটা পড়ার পর বিষয়টা খোলাসা হয়ে যাবে ।
আর ভাই ক্বিয়াসের সংজ্ঞাটা বলেনতো একটু ।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৯

এ আর ১৫ বলেছেন: জী বাবা কিয়াস !!! আপনার লেখা পড়ার পর মনে হইলো যে ভাবে আপনি সিগারেটকে হারাম ঘোষনা করিয়াছেন সেই ভাবে গরুর মাংস ভাত রুটিকে হারাম ঘোষনা করা যায় । কোলস্ট্রোল হৃদরোগের অন্যতম কারন এবং গরুর মাংসে সেটা সব চেয়ে বেশি তাই আপনি যেই কিয়াস দিয়ে বলেছেন সিগারেট হারাম সেই কিয়াসে গরুর মাংস ভাত রুটি হারাম হইয়া যায় । যদি তাই হয় তাহোলে খামু কি ???

--- কারো মাথায় যদি নুন্যতম জ্ঞান বুদ্ধি থেকে থাকে, তাহলে তার সামনে পোষ্টটা পড়ার পর বিষয়টা খোলাসা হয়ে যাবে । ----- আপনি তো স্বীকার করেছরন - ধূম পানের ব্যপারে যদিও কোন স্পষ্ট নস পাওয়া যায় না, তবে ক্বিয়াসের ভিত্তিতে এটাকে হারাম সাব্যস্ত করা যায়, এবং ক্বিয়াসের ভিত্তিতে এটাকে হারাম সাব্যস্ত করা হয়েছে ।। ---- সেই ভাবে -- গরুর মাংস ভাত রুটির ব্যপারে যদিও কোন স্পষ্ট নস পাওয়া যায় না, তবে ক্বিয়াসের ভিত্তিতে এটাকে হারাম সাব্যস্ত করা যায়, এবং ক্বিয়াসের ভিত্তিতে এটাকে হারাম সাব্যস্ত করা হোক।।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: ক্বিয়াসের সংজ্ঞাটা যদি আপনার জানা থাকতো তাহলে আপনার থেকে এমন মূর্খতা প্রকাশ পেতোনা ।

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১৮

ইসলামের ইলম বলেছেন: র্মূদের এড়িয়ে চলুন। আল্লাহ এদের দ্বীনের সঠি ইলম দান করুন।

৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২০

ইসলামের ইলম বলেছেন: মূর্খদেরেএড়িয়ে চলুন। আল্লাহ এদের দ্বীনের সঠিক ইলম দান করুন। আমিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.