নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

......পরিচয়টা অপ্রকাশ্যই থাক.......

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ

......... ”ক্ষুদ্র করো না হে প্রভু আমার হৃদয়ের পরিসর, যেন সম ঠাঁই পায় শত্রু-মিত্র-পর .........

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিন্দুদের পূজায় মুসলিমদের অংশগ্রহণ কতটুকু বৈধ (?)

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১২

আমাদের অনেক মুসলিম ভাই-বোনদের দেখা যায় যে হিন্দুদের বিভিন্ন পূজা এবং অনুষ্ঠানে গিয়ে আনন্দ করতে! কিন্তু এটা কি মুসলিমদের জন্য বৈধ? আপনি বলতে চান আমি তো সেখানে পূজা করতে যাচ্ছি না, শুধুমাত্র দেখতে যাচ্ছি। কিন্তু কেন? কোন হিন্দু কি আপনার সাথে মসজিদে গিয়ে দেখতে যাই যে আপনি মসজিদে গিয়ে কি করেন? সে তো আর নামায পড়বে না। তবু কি দেখতে আসে!
এবার আসি- হিন্দুদের পূজা কি একটি উৎসব নাকি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান? অবশ্যই হিন্দুরা বলবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান । যে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা তাদের ঈশ্বর কে পাওয়ার চেষ্টা করে। তাহলে মুসলমানগণের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনাকে পেতে কি কোন পদ্ধতির অভাব পরেছে যে হিন্দুদের পূজায় গিয়ে ঈশ্বর কে খুঁজতে হবে?
উমার ইবনে খাত্তাব বলেছেন "তোমরা মুশরিকদের উপসনালয়ে তাদের উৎসবের দিনগুলোতে প্রবেশ করোনা। কারন সেই সময় তাদের উপর আল্লাহর গযব নাযিল হতে থাকে। (বায়হাক্বী)
আল্লাহর নাম, বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী সম্পর্কে আমাদের যদি বিস্তারিত জ্ঞান থাকে তাহলে (পূজা দেখতে গিয়ে) এতগুলো মানুষকে শিরক করতে দেখে আমাদের মাঝে চরম বিতৃষ্ণা ও হাহাকারের (এদের পারলৌকিক পরিণতি চিন্তা করে) অনুভূতি জাগ্রত হওয়া উচিৎ।
আর আপনি যদি বলেন, ধর্ম যারা যার উৎসব সবার! তাহলে আপনি কি কোরআন হাদিসকে অস্বীকার করবেন? আর কোরআন হাদীস অস্বীকার কারী কিভাবে মুসলমান হয়? আর ধর্ম যার যার উৎসব সবার কথাটা কি কোরআন-হাদিসের কথা?
অথচ আবদুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন" যদি কেউ কোণ সম্প্রদায়ের অনুকরন করে ,তাহলে সে উক্ত সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত বলে গন্য হবে" (আবু দাউদ, আস সুনান ৪/৪৪)
তবে অনেকে উৎসুক ভাবেই যায়। ঐ সমস্ত মুসলিমদের যদি বলি- ভাই হিন্দুদের পূজায় অংশগ্রহন করো না, উৎসুক ভাবেও যেও না, তাদের দেব- দেবীর নামে উৎসর্গকৃত প্রসাদও খেওনা। তখন তারা উত্তরে খুব বুক ফুলিয়েই বলে- গেসি তো কি হয়েছে? গেলেই কি আমি হিন্দু হয়ে যাব? আমার ঈমান ঠিক আছে। এখন একটু ভেবে দেখুন, মূর্তিপূজা হচ্ছে আল্লাহর সাথে শির্ক করা। আর শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অন্যায়, সবচেয়ে বড় অপরাধ।
মহান আল্লাহ্ বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর সাথে শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অন্যায়। (সুরা লুকমানঃ ১৩) আর শিরকের অপরাধ আল্লাহ্ কখনো ক্ষমা করবেন না।
মহান আল্লাহ্ বলেনঃ "নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে অংশী স্থাপন করলে তাকে ক্ষমা করবেন না, কিন্তু এর চেয়ে ছোট পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন, এবং যে কেউ আল্লাহর অংশী স্থির করে, সে মহাপাপে আবদ্ধ হয়েছে। (সূরা নিসাঃ ৪৮)। এখন দেখুন, সবচেয়ে বড় অন্যায় আপনার সামনে হচ্ছে।আর রাসুল (সাঃ) বললেন- তোমাদের কেউ কোন গর্হিত/ অন্যায় কাজ হতে দেখলে সে যেন নিজের হাতে (শক্তি প্রয়োগে) তা সংশোধন করে দেয়, যদি তার সে ক্ষমতা না থাকে তবে যেন মুখ দ্বারা তা সংশোধন করে দেয়, আর যদি তাও না পারেতবে যেন সে ঐ কাজটিকে অন্তর থেকে ঘৃণা করবে। আর এটা হল ঈমানের নিম্নতম স্তর। [সহিহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায়, হাদিস নং ৭৮] অথচ আপনি ঐ অন্যায়কে বাঁধা তো দেনই না, মনথেকেও ঘৃণা করেন না বরং ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে মনে মনে উপভোগ করেন। অন্তত মন থেকে ঘৃণা করলেও দুর্বলতম ঈমানদার হিসেবে আপনার ঈমান থাকত কিন্তু ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে তাদের অনুষ্ঠান মনে মনে উপভোগ করার পরেও কি আপনি দাবী করবেন যে- আপনার ঈমান ঠিক আছে? তাই হিন্দুদের পূজার উৎসবে কোন মুসলিমের যাওয়া অবশ্যই হারাম।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩১

ঘুমখোর বলেছেন: সুন্দর লেখা। ভালো লাগলো। তবে-

আপনার লেখার মধ্যে আপনি একটি প্রশ্ন রেখেছেন। আর তা হলো- “হিন্দুদের পূজা কি একটি উৎসব নাকি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান? অবশ্যই হিন্দুরা বলবে ধর্মীয় অনুষ্ঠান ।” - একজন মুসলমান হিসাবে আমি এটিকে উৎসব হিসাবেই জানবো। ঈমান বিষয়টি অনেক গভীর। সংখ্যা গুরু হিসাবে সংখ্যা লঘুরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের অনুষ্ঠানাদি করতে পারে সে জন্য তাদের পাশে যাওয়া এবং সহযোগিতা করা যায় বলে আমি মনে করি।

নবী মুহাম্মদ (দঃ) এর অনেক হাদিস দেখেছি, সেখানে মানুষের প্রতি সহমর্মিতা, ভালোবাসা প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। সেখানে ধর্মীয় কোন পরিচয় এর কথা বলা হয় নি। ধন্যবাদ।

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: আমাদের সরকার সংখ্যা লঘুদের সহযোগিতা বা নিরাপত্তায় কোন ত্রুটি রাখে বলে আমার মনে হয় না । আর যে সকল মুসলমানরা তাদের পূজায় অংশ গ্রহন করে আমার মনে হয় না তারা কোন সহযোগিতা করার জন্য সেখানে যায় , তারা কেবল মাত্র উত্‍সব পালন করতে যায় , যেটা আদৌ পর্যন্ত ইসলাম সমর্থন করে না । আমার মতে সরকারের সসযোগিতা এবং নিরাপত্তাই সংখ্যা লঘুদের জন্য যথেষ্ট , আমাদেরকে সহযোগিতার নামে আনন্দ উল্লাস করতে যাওয়ার কোন প্রয়োজন নেই ।

২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৫

মরুবিজয় বলেছেন: ধর্ম যার যার - সৃষ্টিকর্তা সবার - বাংলাদেশ তোমার আমার - পাকিস্তান রাজাকারের বাচ্চাদের

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৩২

নতুন বলেছেন: আপনি বলতে চান আমি তো সেখানে পূজা করতে যাচ্ছি না, শুধুমাত্র দেখতে যাচ্ছি। কিন্তু কেন? কোন হিন্দু কি আপনার সাথে মসজিদে গিয়ে দেখতে যাই যে আপনি মসজিদে গিয়ে কি করেন? সে তো আর নামায পড়বে না। তবু কি দেখতে আসে!

ঈদের নামাজের সময় ঈদগাহে যে মেলার মতন বসে তাকে কি হিন্দু/খৃস্টান/বৌদ্ধ ছেলেমেয়েরা আসে মেলার জিনিস কিনতে????

তারা নামাজে আসেনা। আসে বিভিন্ন জিনিস কিনতে...

তেমনি মুসলমান ছেলে/মেয়েরা পূজা মন্ডপে পুরহিতের মন্ত্রপড়া শুনতে/ভক্তিদিতে যায় না যায় ঐখানে উতসবের আমেজের জন্য।

আর এতো কাল ধরেই তো পূজার এলাকাতে মুসলমান/খৃস্টিয়ান/বৌদ্ধরা যায় কিন্তু কতজন হিন্দুধমে` ধম`ান্তর হয়েছে?

যারা পূজা মন্ডপে যায় তারা পুজার অনুস্ঠানে যায়না এইটুকু বুঝতে পারেন? তাহলে এটা নিয়ে এতো চিন্তার কি আছে?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১৯

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: যারা পূজা মন্ডপে যায় তারা পুজার অনুস্ঠানে যায়না এইটুকু বুঝতে পারেন?
পূজা মণ্ডপে যাওয়া আর অনষ্ঠানে যাওয়াতো একই কথা কোন পার্থক্যতো দেখছি না ।

৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:২৩

নতুন বলেছেন: তাহলে তো অনেক হিন্দু ছেলে মেয়ে ঈদগায়ে নামাজেও আসে সেটা দেখেন না?

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৯

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: ভাইজান ঈদের নামাজের সময়তো কোনদিন মেলা বসতে দেখলাম না । ঈদের নামাজের সময়তো সবাই নামাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে । হ্যাঁ তবে ঈদের দু একদিন পরে হয়তোবা বসে সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ, সেই মেলাটা হয় ঈদকে কেন্দ্র করে কিন্তু সেই মেলার সাথে আর ইসলাম ধর্মের সাথে কোন সম্পর্ক নেই । মেলায় সরণ্জ্ঞামাদি সবার জন্যই , সেটা কোন এক ধর্মের মানুষের জন্য সিমাবদ্ধ না । আর যারা পূজায় যায় তারা তো কোন মেলায় যায় না , তারা সরাসরি পূজা মণ্ডপে যায় যেখানে হিন্দুদের পূজার কাজ সম্পাদন করা হয় এবং পূজাকে কেন্দ্র করে নাচ/গান করা হয় ।

৫| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১১

ঘুমখোর বলেছেন: আমি অতো শতো বুঝি না। পূঁজা এলাকায় গেলেই পূঁজা করা হয় না। পূঁজার জন্য মন্ত্র উচ্চারণ করতে হয়। যেমন- সংসদে দাঁড়িয়ে নেতারা মন্ত্র উচ্চারণ করে পূঁজা করে থাকেন। সেখানেতো আপনিও থাকেন। আমিও থাকি। ধর্ম এতো হালকা কিছু নয় যে, পূঁজা এলাকায় গেলেই পূঁজা হয়ে যায়, কিংবা- মসজিদের পাশ দিয়ে গেলেই হিন্দুর নামাজ পড়া হয়ে যায়।

হিন্দু ভাইয়েরা, খৃস্টান বোনেরা- আপনারা আমাকে দাওয়াত দিন অথবা না দিন, সুযোগ পেয়ে চলে আসবো। তাতে যদি আমার দোযখ হয়, হাসি মুখে যেতে আনন্দবোধ করবো। আমরা অনেক পূঁজা করছি, যা কেউ দ্যাখে না- দেখতে চায় না !

২৪ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: আমিতো পূজা করার কথা বলিনি পূজায় যাওয়ার কথা বলেছি । হিন্দুরা যে পদ্ধতিতে পূজা উদযাপন করে সে পদ্ধতিতে মুসলমানদের কোন অনুষ্ঠান করাই মারাত্তক গুনাহের কাজ যেমন গান বাজনা , এটাকে ইসলাম আদৌ সমর্থন করেণা । প্রথমত এটা মূলত গুনাহের কাজ আবার যদি সেটা হিন্দুদের পূজায় গিয়ে উদযাপন করা হয় তাহলে তো ডাবোল গুনাহ । আর যে ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞান , সে তো অজ্ঞানের মতই কথা বলবে ।

৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৪:২৫

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাইজান ঈদের নামাজের সময়তো কোনদিন মেলা বসতে দেখলাম না । ঈদের নামাজের সময়তো সবাই নামাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে ।

ঈদের নামাজ যেখানে হয় সেখানে অনেকেই খাবার/খেলনা নিয়ে বসে বিক্রির জন্য .. স্হায়ী মেলার কথা বলিনাই। সেটাতে সকল ধমের ছেলেমেয়েই আসে...

আর যারা পূজায় যায় তারা তো কোন মেলায় যায় না , তারা সরাসরি পূজা মণ্ডপে যায় যেখানে হিন্দুদের পূজার কাজ সম্পাদন করা হয় এবং পূজাকে কেন্দ্র করে নাচ/গান করা হয় ।

কতজন ছেলে মেয়ে পুজাকে কেন্দ করে নাচ/গান করে??

২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:১০

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: সবাই তো পূজাকে কেন্দ্র করেই নাচ/গান করে , সেখানে আর কোনো উত্‍সও থাকে না নাচ/গান করার একমাত্র পূজা ছাড়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.