নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

......পরিচয়টা অপ্রকাশ্যই থাক.......

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ

......... ”ক্ষুদ্র করো না হে প্রভু আমার হৃদয়ের পরিসর, যেন সম ঠাঁই পায় শত্রু-মিত্র-পর .........

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"থার্টি ফার্স্ট নাইট ও আমাদের যুব সমাজ!

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৪

বত্‍সরের দীর্ঘ ১১টি মাস পেরিয়ে যখন আসে এই বিজয়ের মাস, মানুষ চায় ভুলে যেতে পিছনের সকল স্মৃতি বিজরিত সুখ দুঃখের অতীতকে । নব উদ্যমে শুরু করতে চায় একটি নতুন বত্‍সর । আশায় তাকৈ একটি নতুন দিনের । কিন্তু আজকের এই দিনে আমার মনে পড়ে দীর্ঘ ৪৪ বত্‍সর পূর্বের রক্ত ঝরা ইতিহাস । যেদিন বাংলার দামাল ছেলেরা এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বতন্ত্র সংস্কৃতি, স্বতন্ত্র ভাষা, স্বতন্ত্র ইতিহাস-ঐতিহ্য আর একটি নতুন সকালের স্বপ্ন বাস্তবায়নের আশায় ছিনিয়ে এনেছিল ৬৮ হাজার বর্গমাইল জুড়ে বিস্তৃত সবুজ বাংলার স্বাধীনতার সূর্য । যে সকালে থাকবে না এসিড ঝলসানো কোন মুখ, ধর্ষিতা কোন মা-বোন, কোন পথিক পথ চলবে না ধুরু ধুরু বুক নিয়ে । যাতে থাকবে না স্বজন হারা কোন কান্না, থাকবে না অনাহারীর মুখ । চার দিকে বইবে সুকের বন্যা । কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আজকে এই বাংলায় বসবাস করছে কতিপয় গাদ্দার ও মগজ বিক্রেতা গোলাম । যাদের কাছে এই বাংলার হাওয়া-বাতাস ভাল লাগে না । যারা দেশের খেয়ে অন্যের তরে ডিম পাড়ে । ইউরোপের আকাশে মেঘ দেখলে বাংলায় বসে ছাতা খুঁজে । দাদা বাবুরা কলম তুললে যাদের কলম কালি ছাড়ে । ওরা চায় বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতিকে বিসর্জন দিয়ে পশ্চিমা সংস্কৃতিতে সয়লাব করতে । ওরা চায় এদেশের যুবসমাজকে অপসংস্কৃতির বিষ ছোবলে ধ্বংস করে ফেলতে । এ সকল কথিত বুদ্ধিজীবি আর দেশ প্রেমিকদের উদ্ভট চিন্তে চেতনার ফলশ্রুতিতেই আজ ডিসেম্বরের শেষ রাত্রিতে যেখানে মানুষ পুরনো বত্‍সরের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা চেয়ে পবিত্র জীবন যাপনের শপথ নিয়ে আগামী নতুন বত্‍সরে পা রাখবে, সুখি জীবন যাপনের প্রত্যাশায় একটি আনন্দঘন সকালে উপনীত হতে কল্পনার জাল বুনবে । সেখানে রাত পোহালেই পত্রিকার পাতায় দেখতে হয় বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার করুণ চিত্র । শুনতে হয় ধর্ষিতা মা-বোনদের করুণ আর্তনাদ । খবর আসে অমুক স্থানে মদ খেয়ে প্রেয়সীর সাথে গাড়ি চালানোর সময় টহলরত পুলিশের উপরে উঠিয়ে দিয়েছে । মদপান করে উশৃঙ্খল যুবকেরা দোকানে ভাংচুর করেছে । অমুক নারীর ইজ্জতের উপর হাত তুলেছে । কিন্তু কেন? কেন ২০কোটি দেশপ্রেমিকের এই বাংলায় সোনার ছেলেরা দেশের বারটা বাজাচ্ছে । কাদের ইঙ্গিতে কাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে? রাজাকারদের সন্তানেরা তো ৩১শে ডিসেম্বরের রাত্রে টি.এস.সি চত্বরে "থার্টি ফার্স্ট নাইট" পালন করতে আসেনা । বাঁধনদের বাঁধন খুলতে আসেনা । নাইট ক্লাব কিংবা বারগুলোতে নর্তকী আর মদের আসর বসায়না ।
তাহলে কারা প্রতি বত্‍সর ৩১শে ডিসেম্বরে রাত ১২টা বাজতেই "থার্টি ফার্স্ট নাইট" পালনের নামে ষোড়শী যুবক-যুবতীর অশ্লীল প্রদর্শনীর আয়োজন করে? কাদের উদ্যোগে নারী স্বাধিনতার নামে বেহায়াপনা, বেলেল্লাপনা আর নির্লজ্জতার মহড়ার আয়োজন চলে? কারা আমদানী করেছে দেশের আগামী দিনের মুল চালিকা শক্তি যুব সমাজকে ধ্বংস করার এই মরণস্ত্র? দেশের বোদ্ধামহলই বা নীরব কেন? গত ২০০০ সালের মিলিনিয়াম থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন কালে বাঁধনের লজ্জাজনক পরিণতি তো এখনও ইতিহাসে রুপ নেয়নি । এ থেকে শিক্ষা নেয়ার সময় কি আমাদের এখনও হয়নি? এ মর্মান্তিক ঘটনাও কি আমাদের হ্নদয়ে চিন্তার খোরাক যোগাবে না?
আমাদের বাংলাদেশের মত একটি মুসলিম রাষ্ট্রে থার্টি ফার্স্ট নাইটের কর্মকাণ্ড একদিকে যেমনি দুঃখজনক, অন্যদিকে উদ্বেগেরও । এ উদ্বেগ পতনের । যে জাতির পতন চার দিক থেকে ধেয়ে আসে, সে জাতিকে রক্ষা করবে কে? সে পতন ঠেকাবে সাধ্যকার? কিন্তু যখন ভাবি এতো আমার দেশ, ওরা তো আমাদেরই ভাই-বোন, ছেলে-মেয়ে, তখন মনে হয় আমাকেই আজ ধরতে হবে হাল । আমিই জাতির দূর্দিনের কাণ্ডারী ।
আজ আমাদের একথা বুঝতে হবে, যারা আমাদের সন্তানদের স্বাধীনতা আর আধুনিকতার নামে উড়াল দেবার স্বপ্ন দেখাচ্ছে ওরা দেশের শত্রু । বাঙ্গালী জাতির শত্রু । ওরা চায় এদেশের যুবসমাজকে অকর্মন্য করতে । দেশকে নেতৃত্ব শূন্য করে পরাধীনতার শিকল পরাতে । ওরা স্বাধীনতাবাদী নয় । ওরা আপনার ছেলে মেয়েকে নগ্ন করে উল্লাসে মাতিয়ে লোলুপ দৃষ্টিতে দাঁত কেলিয়ে উপভোগ করে । ওরা মানবতার দুশমন ।
আমি অবিভাবকদেরকে উদাত্ত আহবান জানাবো, আপনাদের কে সোচ্চার হতে হবে । সন্তানদেরকে ধর্মিয় শিক্ষায় শিক্ষিত করে মার্জিত জীবন যাপনের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে হবে । অপসংস্কৃতির ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে ওদের মনে ভীতি সঞ্চার করতে হবে । সর্বোপরি সরকারকে এগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে । তবেই না মগজ বিক্রিত গোলামদের আমদানীকৃত থার্টি ফার্স্ট নাইট সহ সকল অপসংস্কৃতির করাল গ্রাস হতে রক্ষা পাবে আমাদের দেশের প্রাণ যুবসমাজ ।
পরিশেষে বলব হে বাংলার তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতী বন্ধুগন!
হে বাংলা মায়ের বীর সন্তানেরা! তোমাদের পূর্ব পুরুষেরা বুকের তাজা খুন ঢেলে যে স্বাধিনতা অর্জন করেছিল, তা আজ ভিনদেশী গাদ্দারেরা অপসংস্কৃতির জোয়ারে ভাসিয়ে দিতে চাচ্ছে । তোমাদেরকে আজ সতর্ক হতে হবে । তাদের বিরুদ্ধে আবারও তোমাদের পূর্ব পুরুষের ন্যায় ৭১এর চেতনায় জেগে উঠতে হবে । তবেই তাদের বিদায়ী আত্মা শান্তি পাবে । সবুজ বাংলা রক্ষা পাবে বিদেশী শকুনদের থাবা থেকে । তাই আর দেরী নয় এখনই বজ্র কণ্ঠে আওয়াজ তোল অপসংস্কৃতির কবর রচনা কর ।
আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে অপসংস্কৃতির বেড়াজাল থেকে রক্ষা করুণ, আমিন ।।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:১৭

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: চোরে মার বড় গলা কথাটা মনে পড়ছে খুব| একটা পাকভক্ত রামছাগল স্বাধীনতার কথা, বিজয়ের কথা বলছে!
মিস্টার ছাগু, আপনি যে বাংলাদেশে বসে আরব আমিরাতের খোয়াব দেখেন তার জন্য কি আপনাকে মেডেল দেয়া হবে কাঁঠালপাতার?

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৪৮

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: কুকুরের পেটে ঘিঁ হজম হয় না, (যদিও ঘিঁ খুবই ভাল বস্তু) কথাটা মনে পড়ছে খুব।.....
ভাল কথা বললাম আমি আর ক্রেডিটটা পেলো পাকিস্তান, হা...হা..হা...
ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা দু-একটা সব জাগায়ই পাওয়া যায়, বুঝুক আর না বুঝুক লাফালাফি মিস নাই, চালায়া যান কিছু মনে করি নাই ।

২| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৯

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: রাম ছাগল, তোর এই নাদিগুলা ঘি এর সাথে তুলনা করলি! তোরে ছাগল কৈলে ছাগলেরও অপমান

৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:১৫

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: দো'আ করি আপনি হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত হন, যে শব্দগুলো দ্বারা আমাকে সম্ভোদন করলেন আপনার আত্মা প্রশান্তি না হওয়া পর্যন্ত সেগুলো বলতে পারেন সমস্যা নেই, আর আপনাকে কুকুরের সাথে তুলনা করার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.