নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারপাশের সব অসাধারণ প্রতিভাবানদের ভিড়ে অতি সাধারন একজন। ভালোবাসি বৃষ্টিতে ভিজে বৃষ্টিকে অনুভব করতে, ভালোবাসি কোন এক জোছনা রাতে আঁধারে মিশে যেতে, ভালোবাসি বন্ধুত্ব, প্রান খোলা হাসি, গান, কবিতা আর আঁধারে হারিয়ে যাওয়া একাকী।

শূন্যভুবনের মেহেদী

অজস্র শব্দমালার বিবর্ণ এপিটাফের ছোট্ট এক বিন্দু

শূন্যভুবনের মেহেদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঝিমিয়ে পড়া মস্ত শহরের ফাঁদ কেটে দূরে হারাই ! (ভ্রমণ ডায়েরি - ১)

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৭



ঝিমিয়ে পড়া মস্ত শহরের ফাঁদ আর ক্লান্তির অতল থেকে একটুখানি মুক্তির জন্য নদী ভ্রমণের কোন তুলনাই হয় না । তবে ঢাকাবাসীর যেন কষ্টের শেষ নেই । শহরের পাশে নদীগুলোতে ঘোরার মতো অবস্থা আর নেই । বিশ্রী দুর্গন্ধ, একটু পর পর কোন না কোন লঞ্চ আসছে-যাচ্ছে, অনেক প্যাসেঞ্জার নৌকা - সব মিলিয়ে কেমন যেন একটা গাদাগাদি অবস্থা ।

তাই মুক্তির জন্য একটু দূরেই চলে আসা ।





জায়গার নাম ষাটনল লঞ্চ ঘাট । লঞ্চ ঘাটের একদম কাছেই (২ মিনিটের দূরত্ব) আছে পর্যটন পার্ক ।




তবে অতিরিক্ত আশা নিয়ে বা ঢাকার অনেক দূর থেকে কারো আশার দরকার আছে বলে মনে হয় না । কারণ, সত্যি বলতে কি এখানে দেখার মতো কিছুই নেই । শুধুমাত্র লঞ্চঘাটটাই অনেক সুন্দর । ছবির মতো প্রথমে সেতু টাইপ একটা চওড়া জায়গা দিয়ে কিছু হেঁটে এরপর বাশের সাঁকো দিয়ে অনেকখানি হেঁটে এরপর মাটি পাওয়া যাবে । আর পর্যটন পার্কটা আসলে নদীর পাশে বাউন্ডারি দিয়ে দেওয়া একটা জায়গা যেখানে বসার জন্য ২/৩ টা ঘরের মতো করে দেওয়া আছে । এছাড়া দেখার মতো কিছুই নেই ।





শুধুমাত্র নাগরিক মোহ থেকে একটু ছুটি লাভ করতে চাইলে আর যদি শুধুমাত্র নদী দেখাটাই উদ্দেশ্য হয় তাহলে আসতে পারেন । ফ্রেন্ড সার্কেল নিয়ে একদম নীরবে নদীর পাশে বসে টলটলা পানি আর গ্রামীণ জীবন দেখতে দেখতে সিগারেটের ধোঁয়া উড়াতে আসলে মন্দ লাগবে না :)




আসা যাওয়ার পথে এমন আরও অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য আপনাকে মুগ্ধ করে দিবে ! সাথে আছে নদীর মৃদু বাতাস যা মনকে দূরে উড়িয়ে নিয়ে যাবে :)



দুপুরে এবং সন্ধ্যায় তোলা ডাঙা থেকে ঘাটের পুরো ছবি :)



ঘাট থেকে ডাঙা এবং ডাঙায় যাওয়ার পুরো বাঁশের সাঁকো আর কাঠের পুল :)


যাওয়ার উপায় >> নারায়ণগঞ্জ লঞ্চ ঘাট থেকে চাঁদপুরগামী যে কোন 'লোকাল' লঞ্চে উঠলেই ১.৩০ ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন । আবারো বলছি, লোকাল লঞ্চ । কারণ, ডিরেক্ট লঞ্চ ষাটনল ঘাট টাচ করে না ।

ভাড়া >> ডেক ৪০/= আর সিট ৫৫/=

খাবার >> তেমন ভালো কোন ব্যবস্থা নেই ২/৩ টা স্থানীয় ছাপড়া হোটেল ছাড়া :(

সিকিউরিটি >> যদিও ঘাট আর পার্কে তেমন মানুষ থাকে না তবে যারা আছে তারা সবাই স্থানীয় গ্রামের মানুষ । যথেষ্ট আন্তরিক ।


হ্যাপি_ট্রাভেলিং :)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১০

উদাস মাঝি বলেছেন: ভালই তো মনে হচ্ছে দেখে, রাতে থাকার ব্যবস্থা আছে কি ?
নিস্তব্ধ জোছনা রাতে , নদী তীরে রাত কাটাতে কি যে ভাল লাগবে :)

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

শূন্যভুবনের মেহেদী বলেছেন: কোন আত্মীয় না থাকলে থাকা যাবে না কারণ আমার জানামতে কোন হোটেল নেই :)

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪২

উদাস মাঝি বলেছেন: এরপরের বার কোথাও ঘুরতে টুরতে গেলে জানায়েন ।
একা কি আর ঘুরে মজা আছে,বলেন ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.