নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ কোথায় আছেন?

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৫৩

এমন একটা প্রশ্ন আমাদের মনে অনেক সময়ই ঘুরপাক খায়। আল্লাহ আমাদের প্রভু, আমাদের একমাত্র প্রতিপালক । আমাদের সবচেয়ে আপনজন তিনি । আমরা তারই ইবাদত করি । তিনি কোথায় আছেন, কোথায় থাকেন তিনি, সে সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা রাখা তার একজন বান্দা হিসেবেই আমাদের জন্য জরুরি বৈ কি। বান্দা যার বন্দেগি করে, তার সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ জানাশোনা না থাকলে তার বন্দেগিতে সংশয় থেকে যাওয়া বিচিত্র নয়।

কোরআন কী বলে
আল্লাহ কোথায় আছেন, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি নিজেই বলছেন- পরম করুণাময় আরশের উপর আছেন। (সুরা তাহা, আয়াত ৫)
এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, আর তিনিই আল্লাহ যিনি আসমানে আছেন। (সুরা আনআম, আয়াত ৩)
এ আয়াতে জানা যায়, আল্লাহ আসমানে আছেন। তার আরশ আসমানে। কোরআনে এ-ও বলা হয়েছে, আল্লাহ তায়লার ‘কুরসি’, যেখানে তিনি সমাসীন আছেন, তা আসমান ও জমিনব্যাপী বিস্তৃত । আল্লাহ তায়ালা যে আসমানে আছেন, এর সমর্থনে আরো একটি আয়াত পাওয়া যায়, সুরা নাহলে আল্লাহ তায়লা ইরশাদ করেন, ‘তারা তাদের উপরের প্রতিপালককে ভয় করে ।’ (সূরা নাহল, আয়াত ৫০)

হাদিসের ভাষ্য
হাদিসের দিকে তাকালেও দেখবো, আল্লাহ তায়ালা যে আসমানে আছেন, তার প্রমাণ পাওয়া যায় রাসুলের [সা.] অনেক বাণী ও সাহাবের উক্তি থেকেও । রাসুলকে [সআ.] আল্লাহ সপ্তম আকাশের উপরে উঠিয়ে নিয়েছিলেন মেরাজের উদ্দেশ্যে । সেখানেই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করা হয়েছিল। (বুখারী ও মুসলিম)
এক হাদিসে তিনি ইরশাদ করেন, যারা জমিনে আছে তাদের প্রতি দয়া করো, তবে যিনি আসমানে আছেন তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন। (তিরমিযি)
রাসুল [সা.] একবার এক ক্রীতদাসীকে জিজ্ঞেস করলেন, বলতো আল্লাহ কোথায়? সে বললো, আসমানে। তারপর তিনি বললেন, বলতো আমি কে? সে বলল, আপনি আল্লাহর রাসুল। রাসুল [সা.] বললেন, একে মুক্ত করে দাও, কারণ সে মুমিনা । (মুসলিম)

সাহাবিদের বক্তব্য
রাসুলের [সা.] সাহাবিরাও এ ব্যাপারে একই মত পোষণ করতেন । আবু বকর [রা.] বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর ইবাদত করে (সে জেনে রাখুক) নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা আসমানের উপরে জীবিত আছেন, কখনোই মৃত হবেন না। (সুনানে দারেমি)

ইমামদের অভিমত
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারককে [রহ.] আল্লাহ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ আসমানে আরশের উপর আছেন, সৃষ্টি হতে আলাদা হয়ে।’ অর্থাৎ তার এই উপরে থাকা সৃষ্টির থাকার মতো নয় নয়। চার মাযহাবের ইমামগণও এ ব্যাপারে একমত যে, তিনি আরশের উপর আছেন, তিনি তাঁর কোনো সৃষ্টির সাথে তুলনীয় নন।

আরো কিছু অভিমত
ইবনে কাসির [রহ.] বলেন, তাফসিরকারকগণ এ ব্যপারে একমত পোষণ করেন যে, জাহমিয়ারা আল্লাহ সম্বন্ধে বলে যে, আল্লাহ সর্বত্র আছেন, আল্লাহ তাআলা তাদের এ জাতীয় কথা থেকে পবিত্র ও অনেক ঊর্ধ্বে। আর আয়াতের ব্যখ্যা হলো, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা আমাদের সাথে আছেন দেখার দ্বারা, শ্রবণের দ্বারা । এই আয়াতের পূর্বের ও শেষের অংশ এ কথারই প্রমাণ বহন করে । (তাফসিরে জালালাইন, ইবনে কাসির)
হাদিসে আছে, রাসুল [সা.] বলেছেন, ‘আল্লাহ আরশের উপর আছেন । তবে তোমরা কী করো বা না করো তিনি তা জানেন।’ (আবু দাউদ)

মূল কথা কী?
সুস্থ বিবেকও বলে যে, আল্লাহ যদি তিনি সর্বত্রই বিরাজমান থাকেন তার সত্তাগতভাবে, তবে অবশ্যই রাসুল [সা.] তা জানতেন এবং সাহাবিদের শিক্ষা দিতেন। পৃথিবীতে অনেক অপবিত্র জায়গা আছে যেখানে তাঁর থাকার প্রশ্নই ওঠে না। আল্লাহ তায়ালার সত্তা একক ও অভিন্ন । কিন্তু সর্বত্র বলতে বহু জায়গা বুঝায় । তাকে কোনো অবস্থাতেই বহুভাগে বিভক্ত করা যায় না। সুতরাং এটাই সত্য যে, তিনি আসমানে আরশের উপর আছেন। তবে তিনি তার দেখা, শোনা ও জ্ঞানের দ্বারা সকল বিষয় সম্পর্কে পূর্ণরূপে অবহিত আছেন ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০০

আব্দুল্লাহ রিফাত বলেছেন: ধন্যবাদ

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৯

মনযূরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও...।

২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০২

Juned Ahmed বলেছেন: মহান আল্লাহ মুমিন বান্দাদের চার-পাশেই থাকেন

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৩

মনযূরুল হক বলেছেন: “আমি মুমিনের কাছেই আছি...।” (সূরা বাকারা)

৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৩৭

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: আকাশে বাতাসে খুঁজে লাভ নেই। আল্লাহ্‌র আসল ঠিকানা মুমিনের অন্তর।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

মনযূরুল হক বলেছেন: আল্লাহ্‌র আসল ঠিকানা মুমিনের অন্তর।যেহেতু আমাদের হৃদয়ের সব কথা ও অনুভূতি আল্লাহ জানেন এবং তিনিই হৃদয়ে শান্তি ও সুস্থ চিন্তা ঢেলে দেন...

৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:৫৩

তট রেখা বলেছেন: সচেতনতামূলক পোস্ট। আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই আল্লাহ সম্পর্কে ভ্রান্ত আক্বিদা পোষন করে, যা আল্লাহ সম্পর্কে মিথ্যা চারের নামান্তর। জাযাকাল্লাহ খায়রান।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১৫

মনযূরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ...।

৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২

নিমগ্ন বলেছেন: এইটা একটা বাল পোস্টু।

আল্লা অপবিত্র জায়গায় নাই কেনে???

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:১৮

মনযূরুল হক বলেছেন: নিচের কমেন্টের দিকে নজর দিন...।

৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১১

নীল আকাশ ২০১৬ বলেছেন: কারণ অপবিত্র জায়গায় নিমগ্নরা নিমগ্ন থাকে, তাই।

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৪

মনযূরুল হক বলেছেন: রাইট...।

৭| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০

হাবীব কাইউম বলেছেন: একটা হলো অবস্থান, আরেকটা ক্ষমতা। তাঁর অবস্থান আরশে; তবে তাঁর ক্ষমতা সর্বত্র বিস্তৃত। মানুষের কণ্ঠনালীর চেয়েও নিকটে তাঁর থাকার অর্থ কি এই নয় যে, তিনি মানুষের সব কথা শোনেন এবং সব ভাবনা জানেন?

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬

মনযূরুল হক বলেছেন: হ্যাঁ, মানুষের কণ্ঠনালীর চেয়েও নিকটে তাঁর থাকার অর্থ এটাই যে, তিনি মানুষের সব কথা শোনেন এবং সব ভাবনা জানেন...।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.