নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাশ্মির : ধর্ম ও মুক্তির দ্বৈরথ

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৮:০৩


কাশ্মির শুধু মুসলিমদের নয়, শুধু হিন্দু কিংবা বৌদ্ধদেরও নয়। লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মির মিলে যে জে-কে স্টেট, সেখানে লাদাখে বৌদ্ধ ও মুসলিমরা থাকেন, কাশ্মিরে থাকেন মুসলিম, পন্ডিত ও শিখরা। আর জম্মুতে জনসংখ্যার ষাট শতাংশ হিন্দু, চল্লিশ শতাংশ মুসলিম। যদিও স্টেটে গড়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম—প্রায় ৭০ ভাগ।

হিন্দু ধর্ম কি মানুষের মুক্তি চায় না, বৌদ্ধধর্মও কি চায় না—যেভাবে ইসলাম চায়? এই প্রশ্নের উত্তর জানা প্রয়োজন। কেননা, মানুষের মুক্তির প্রশ্নে মুক্তি ও ধর্মকে কাশ্মিরে মুখোমুখী করে দাঁড় করানো হয়েছে এই অজুহাতে যে, এটা রাষ্ট্রের সমাধান, এখানে ধর্মের নাক-গলানো যাবে না। অর্থাৎ ধর্মের সমাধান রাষ্ট্র মানুক চাই না-মানুক, রাষ্ট্রের সমাধান ধার্মিকমাত্রই মানতে বাধ্য, তা রাষ্ট্র যদি নির্দিষ্ট ধর্মানুসারীদের পক্ষপাতি হয়েও করে, তাহলেও।

এক.
রাষ্ট্রের সমাধানটা আসলে কী? ইন্ডিয়া-রাষ্ট্র কাশ্মিরকে ভালোবাসে না। সমাধান তো ঘৃণা দিয়ে হয় না। রাষ্ট্র নিজে তো ঘৃণা করেই (রাজনীতিকরাই এখন রাষ্ট্র), ইন্ডিয়ান জনসাধারণের কমসংখ্যক আছেন যারা কাশ্মিরের প্রতি হৃদ্যতা রাখেন। যুগের পর যুগ বেশুমার হত্যা ও নিপীড়ন কাশ্মিরের প্রতি রাষ্ট্র ও সমাজের ঘৃণার বহিঃপ্রকাশ, তাতে সন্দেহ কি। ইন্ডিয়া এই ঘৃণ্য-কাশ্মিরকে ধরে রেখেছে কেনো? কারণ পাকিস্তান তার জাতশত্রু, সে পাকিস্তানের কাছে হারতে চায় না। কাশ্মিরকে পুড়িয়ে পুড়িয়ে সে পাকিস্তানকে পোড়ায়। কাশ্মির হাতছাড়া হওয়া মানে পাকিস্তানের কাছে হেরে যাওয়া। এই হারের লজ্জায়, জাতীয়তাবাদের গয়রাতের জিঘাংসা সে কাশ্মিরের উপর মেটায়।


কাশ্মিরিরা ইন্ডিয়াকে ঘৃণা করে বলে— কাওয়ার্ড

কারণ কাশ্মিরিরা পাকিস্তানের প্রতি হৃদ্যতা পোষণা করে, আর ইন্ডিয়াকে ঘৃণা করে বলে— কাওয়ার্ড। তাতে ইন্ডিয়া ভীষণ বিব্রত ও ক্ষিপ্ত হয়। তারপরও যদি কাশ্মিরের প্রতি ইন্ডিয়ার সামান্য আকর্ষণ থেকে থাকে, তা হলো স্বর্গসম সেখানকার ভূমি—জনসমষ্টি নয়। হতে পারে জনসমষ্টির বিচারে সারা ইন্ডিয়ায় একমাত্র সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠী বলে।

পাকিস্তান কি কাশ্মিরকে ভালোবাসে? প্রজারা হয়তো বাসে, রাজারা? প্রজারা যে বাসে, তা কি এই কারণে নয় যে, তারা মুসলিম? হিন্দু-বৌদ্ধদেরও কি তারা একইরকমভাবে পাশে চায়, যেভাবে ভূখণ্ডসহ মুসলিমদের চায়? বাকি রাজনীতিকদের ভালোবাসার বেশিরভাগই তো মেকি। তাদেরও আসল চাওয়া ভূস্বর্গ—মানুষ নয়। তাদের স্বত্ব হলো, তারা জানে, কাশ্মিরের জনগণ পাকিস্তানের সমর্থন প্রবলভাবে কামনা করে। রাষ্ট্র চোরাপথে সেনা কিংবা বিদ্রোহী পাঠায়। কেননা, ইন্ডিয়াকে হারাতে সে-ও উদগ্রীব; এই সুযোগ সে হেলায় নষ্ট করতে চায় না। কাশ্মিরিদের নিখাঁদ মুক্তির জন্য ততটা দায় তার নেই।

যদি থেকেই থাকে, তাহলে কাশ্মির পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা চাইলে পাকিস্তান কি তা মেনে নেবে? অর্থাৎ আজাদ কাশ্মির, যা পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং টোটাল কাশ্মির প্রভিন্সের ৩৭ ভাগ, তা কি তারা ছেড়ে দেবে? কাশ্মির স্বাধীন হলে অবশ্যই ভারত অধিকৃত জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখ, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণাধীন আজাদ কাশ্মির, গিলগিট ও বাল্টিস্তান এবং চীনের দখলে থাকা আকসাই-চিন ও ট্রান্স-কারাকোরাম মিলেই দেশ গঠন হবে। পাকিস্তান রাষ্ট্রের ভূমিকা তখন কী হবে?


পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মিরের মুজাফফারাবাদে মিছিল। ১৯ জুলাই, ২০০৪। এএফপি

দুই.
কাশ্মিরকে আজকাল দক্ষিণ এশিয়ার ফিলিস্তিন বলা হচ্ছে। উভয় অঞ্চল পরাধীন হয় একই বছরে—১৯৪৭ এবং হোতাও এক—ব্রিটিশ। তাই দীর্ঘমেয়াদি নিগ্রহ, নিপীড়নের ধরন, প্রতিবাদিদের স্টাইল এবং উভয় অঞ্চলের পর্যটন আকর্ষণ ও উভয় দখলদার দেশের সুপ্রাচীন বন্ধুত্বের দিকে নজর রাখলে যদিও কাশ্মিরকে ফিলিস্তিনের সঙ্গে তুলনা করা যায়—কিন্তু ফিলিস্তিন যা পেরেছে তা কাশ্মিরিরা পারবে কি না জানা নেই। ফিলিস্তিন এখন জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র। অকুপাইড হয়েও তারা বেশ কয়েকটি সিটি গড়েছে, বিচারালয় হয়েছে, ভালো সংবাদমাধ্যম আছে, সরকারি-বেসরকারি শিল্প-কারখানা, আন্তর্জাতিকমানের বিশ্ববিদ্যালয়, পৃথিবীর বহুদেশে নিজস্ব কূটনৈতিক মিশন এবং পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীও আছে তাদের। সাহিত্য ও কালচারে আরবি ভাষায় নেতৃত্ব দিচ্ছে তারা। ফিলিস্তিনি নারী রাশিদা তালেব মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য, তাদের ফিল্মমেকাররা হলিউড কাঁপিয়ে অস্কার আয়োজনেও বিচারকপদ অলঙ্কৃত করছেন। তাদের ছাত্ররা ইউরোপ-আমেরিকায় স্টুডেন্ট ইউনিয়ন গড়ে গড়ে সংঘবদ্ধ।

ওআইসির মতো শক্তিশালী সংস্থার সৃষ্টিই হয়েছে বলতে গেলে তাদের উদ্ধারের জন্য, আবার ইরান ও হিজবুল্লাহ হলো তাদের প্রধান শত্রু ইসরায়েলের চরম শত্রু। এ-ছাড়া আরব হওয়ায় তাদের প্রতি আরবদের সহমর্মিতা আছে, রাজারা না-হোক ধনী আরবরা তাদের জন্য উদারহস্তে ব্যয় করছে। বাইতুল মোকাদ্দাস রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয়বহন করে জর্ডান, এমনকি রাইজিং পিরিয়ডে ইয়াসির আরাফাত তার হাজার হাজার সদস্যের মিলিশিয়া বাহিনী নিয়ে জর্ডান ও লেবাননে বসবাস করেছেন। সর্বোপরি তাদের আছে শাশ্বত ইসলামিক ইমোশন—মসজিদে আকসার মর্যাদা রক্ষা। ফলে তারা হিটলারের ইহুদি-বিদ্বেষকে মার্জিনে নিয়ে বিশ্বব্যাপী ইসরায়েলি জায়নবাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়িয়ে দিতে পেরেছে।


পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু, আর্ল মাউন্টব্যাটেন ও মোহম্মদ আলী জিন্নাহ নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক ইন্ডিয়া কনফারেন্সে বসে দেশভাগের ব্রিটিশ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন। ০২ জুন, ১৯৪৭। এপি

কাশ্মির কতটুকু পেরেছে? একটা অমোঘ সত্য হলো— পাকিস্তানের হাতে কাশ্মির নগদে চলে যাবে, তা ভারত ও তার রাষ্ট্রশক্তি কখনও মানবে না এবং জাতিসংঘও তাতে সায় দেবে বলে মনে হয় না। ব্রিটিশরা দ্বিজাতিতত্ত্বের সুযোগ নিয়ে উপমহাদেশে এমন এক হিংসা ছড়িয়ে দিয়েছে যে, গান্ধীর অহিংসানীতি তার জীবদ্দশাতেই ভেসে গেছে। উপমহাদেশের কোনও দেশ নিজেরা শক্ত হয়ে দাঁড়াতে না পারলেও কোমরের অবশিষ্ট শক্তি প্রতিবেশির শত্রুতায় ক্ষয় করতে রাজি। আবার যেই ব্রিটিশ-ইংরেজরা তাদের মেরুদণ্ড ভেঙেছে সোজা হয়ে দাঁড়াতে তাদেরই সহায়তা ভিক্ষা করে। তো এই হাস্যকর রাজনৈতিক চর্চার কারণে কাশ্মিরিদের জন্য অনেক বেশি নিরাপদ কৌশল হলো, পূর্ণ স্বাধীনতার আওয়াজ তোলা—করদরাজ্য হয়ে থাকা নয়। কথা হলো স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই বসে এবং তিব্বত কিংবা বাংলাদেশের মতো জেনোসাইডের শিকার হয়, তাহলে কি কাশ্মির টিকতে পারবে? কাশ্মিরের কবিরা তাদের কাব্য কতদূর পৌঁছাতে পেরেছেন? তাদের বুদ্ধিজীবি, শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিকরা কতটা মগজ রাখেন? তাদের ইন্ডাস্ট্রি কতটা স্বনির্ভর? তাদের আন্তর্জাতিক মিশন কতটা শক্তিধর?

ফিলিস্তিনের চেয়ে বরং বাংলাদেশে তাদের জন্য যুতসই আদর্শ হতে পারে।
স্বাধীনতার পথে বাংলাদেশ যেমন ভারতের একনিষ্ঠ সমর্থন পেয়েছে, পেয়েছে দুই কোটি মুহাজিরের আশ্রয়, যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র এবং সর্বোপরি সারা বিশ্বে বাংলাদেশের পক্ষে লড়েছে ভারত, কাশ্মির কি ততটা পাকিস্তান থেকে পাবে?মনে হয় না। বাংলাদেশ যেমন ভারতের প্ররোচনায় পাকিস্তান ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে, প্রতিশোধের স্পৃহায় ভারত থেকে খানিকটা সেই শোধ তেলার চেষ্টা করতে পারে পাকিস্তান, এ-ই যা। আবার পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বন্ধু চিন কি তার অংশ ছেড়ে দিয়ে কাশ্মিরের স্বাধীনতায় সহযোগী হবে? কাশ্মির উত্তপ্ত হলে ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব যতটা আগুন ছড়ায়, চিনের অংশের কথা তার সিকিভাগও কিন্তু আলোচনায় আসে না।


পাকিস্তান জানে, কাশ্মিরের জনগণ তাদের সমর্থন প্রবলভাবে কামনা করে

তারপরও যদি পাকিস্তান সত্যিই বন্ধুর মতো তাদের সহায়তা করে, তাহলেও আন্দাজ উচিত পাকিস্তানের ভূরাজনৈতিক সামর্থ্যই-বা কতটুকু। এ-অঞ্চলে, বলতে গেলে গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় পাকিস্তান বড় একা। বাংলাদেশ তাকে জন্মশত্রু জ্ঞান করে—সাপোর্ট করে ভারতকে। শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ সবাই ইন্ডিয়াকে নমঃ নমঃ করে—কতকটা নিজেদের ঘটে বুদ্ধি না-থাকায় কতকটা হিন্দু ও বৌদ্ধদের বিরাট একটি অংশের আশ্রয় ভারতে হওয়ায়। একে তো এই দেশগুলো পাকিস্তানের সরাসরি প্রতিবেশি নয়, আবার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠও নয়। তার প্রতিবেশি এক হলো চিন, আর হলো আরব-সাগরকূলের সৌদি আরব। আফগানকে না-গুণলেও চলে। দীর্ঘদিনের বন্ধু চিনকে তো ট্রান্স-কারাকোরাম ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের পরের বছর নিজেই ছেড়ে দিয়েছে পাকিস্তান। আর সৌদি আরব একে তো ভূরাজনীতিতে অপটু, উপরন্তু উপমহাদেশে রাজনৈতিক প্রভাবশূন্যও বটে।

একটা তিক্ত সত্য মনে রাখা দরকার— ভারত আজ সত্তর বছর পরে যা করেছে, পাকিস্তান সত্তর বছর আগে থেকে তা করেছে। অর্থাৎ ভারত ৩৫ (ক) ও আর্টিকেল ৩৭০-এর বলে অন্তত এতদিন তাদের বিধানসভা দিয়েছিল, নিজস্ব সংবিধানের সুযোগ দিয়েছিল, বিশেষ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা দিয়েছিল; আজ না হয় তা কেড়ে নিয়ে বিরাট অন্যায় করেছে। কিন্তু পাকিস্তান তার নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরিদের কী দিয়েছে? আজাদ কাশ্মিরে যারা আছে, তাদের তো নেতাও নেই, ক্ষমতাও নেই, স্কুলও নেই, হাসপাতালও নেই। এমনকি তারা পাকিস্তানিও নয়। স্রেফ লেজকাটা হনুমান—কাশ্মিরি। স্বাধীনতাকামীদের নিরাপদ ঘাঁটি বানিয়ে রাখার অজুহাতে এলাকাটাকে পাকিস্তান ঘুটঘুটে অন্ধকার বানিয়ে রেখেছে। সীমান্তে উত্তেজনা হলেই জনসাধারণ নিদারুণ উৎকণ্ঠা বুকে নিয়ে পালাতে থাকে।


কাশ্মিরের সঙ্গে থাকছে শুধু কথিত ‘মুসলিম উম্মাহ’ চেতনা

কাশ্মিরিরা নিজেদের ইন্ডিয়ান ভাবে না ঠিক—বিশ্ব মিডিয়াও তাদের বিভক্ত ভূখণ্ডকে পরিচয় করিয়ে দেয় ‘ভারত অধিকৃত কাশ্মির’ ও ‘পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মির’ বলে—কিন্তু তারা তো নিজেদের পাকিস্তানিও ভাবে না। তাহলে পাকিস্তান নিজের ভাবে কেনো তাদের? মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে? সেটা হলে জিজ্ঞাসা রাখি, ’৪৭ থেকে ’৭১ পর্যন্ত বাংলাদেশের সঙ্গে যে আচরণ করেছে পাকিস্তান, সেই চরিত্র বদলে কি ইদানিং সত্যিকার শুদ্ধ মুসলিম হয়ে গেছে সে?


তিন.
তো কাশ্মিরের সঙ্গে থাকছে কে? কথিত ‘মুসলিম উম্মাহ’ চেতনা। তাহলে বলি, বিশ্বে নতুন করে আরও একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশের আবির্ভাব এই ক্রিশ্চিয়ান ডমিনেটিং ওয়ার্ল্ড সহজে মেনে নেবে না—তাতে সর্বধর্মবাদি সেক্যুলারিকরণের মূলমন্ত্রকে সে-দেশের সকাল-সাঁঝের তসবি বানিয়ে নিলেও।

এর মানে বিশ্ব-রাজনীতিতে অন্য কোনও ধর্ম তা দিতে পারছে না, তা নয়। ইন্ডিয়ার সিদ্ধান্তে হিন্দুত্ববাদিরা খুশি হচ্ছে, যদিও কাশ্মিরে রয়েছে বিরাট সংখ্যক স্বাধীনতাকামী হিন্দুর আবাস। তবে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে মুসলিমরা। আবার মুসলিমরা ‘গাযওয়ায়ে হিন্দের’ বুলিতে চঞ্চল, তবে তারা জম্মুর মতো জায়গায়ও সংখ্যালঘু। তথাপি ধর্মীয় সদস্য সংখ্যার হিসাব কাশ্মিরের মুক্তিকে কোনও দিক থেকে সুফল দিতে পারছে না। আবার কাশ্মিরের মতো ধর্মপরায়ণ মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল নিজেদের ধর্মকে ভুলে কেবল সেক্যুলার রাজনীতি দিয়ে সমাধানে আসতে পারবে, তা-ও সম্ভব নয়। কেননা, তখন সর্বশেষ ভরসার ‘মুসলিম উম্মাহ’ চেতনাও যে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে ছেড়ে যাবে—তা না বললেও চলে।

সুতরাং কাশ্মিরের মুক্তি দূরঅস্ত! আল্লাহ তাদের সহায় হোন।



মনযূরুল হক, ০৭ আগস্ট ২০১৯, পার্কওয়েস্ট, বারিধারা

নিবন্ধটি ০৭ আগস্ট দৈনিক যুগান্তর অনলাইনে “কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্র ও ধর্মের রাজনীতি” শিরোনামে এবং ০৮ আগস্ট সাউথ এশিয়ান মনিটরে “কাশ্মীর নিয়ে কেন ভারত-পাকিস্তানের এত আকর্ষণ?” শিরোনামে প্রকাশিত।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:০০

রাজীব নুর বলেছেন: ধ্বংস হোক আরব লিগ
ইউরোপিয়ন ইউনিয়ন
ওআইসি জাতিসংঘ অথবা
এখনই সরে যাক পৃথিবী থেকে ইঙ্গ-মার্কিন পতাকা পৃথিবীর রক্ত-বমি
যেনো মানুষের সবগুলো চিৎকারের নাম হয় শাস্তি।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ৯:২৪

মনযূরুল হক বলেছেন: চমৎকার কবিতা। আর আসলেই এইসব ইউনিয়ন হলো, মানুষের সাথে প্রতরণা করার সবচেয়ে বড় সংঘ...

২| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:০৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


সমস্যাটির অনেক ব্যাপারেই ধারনা দিতে চেয়েছেন; কিন্তু লেখার ষ্টাইলটা কেমন আকর্ষনীয় নয়।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪৭

মনযূরুল হক বলেছেন: দোয়া করবেন, ভাই... যেন আপনার মনমতো আকর্ষণীয় স্টাইলে লিখতে পারি...

৩| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:১২

অজ্ঞ বালক বলেছেন: তুখোড় পোস্ট। নির্মোহ ভাবে করা বিশ্লেষণ। বেশ ভালা পাইলাম পইড়া।

০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৪৮

মনযূরুল হক বলেছেন: মাথায় ঘুর ঘুর করছিল... লিখে ফেললাম...

কমেন্টের জন্য ধন্য ধন্যবাদ..

৪| ০৮ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ১১:৫৭

রাকু হাসান বলেছেন:

বাহ! বেশ লিখেছেন । এভাবেই লিখে ফেলবেন এবং ছেড়ে দিবে আামাদের জন্য । কিছু পয়েন্ট ভালো লেগেছে । করুণ বাস্তবতার কথা তুলে ধরেছেন । ফিলিস্তিন থেকে ভয়ঙ্কর হতে পারে কাশ্মিরের পরিস্থিতি । এরা কাকে নিয়ে যুদ্ধ করবে ? কার সমর্থন পাবে ?শুকুনের মত চেয়ে আছে চীন,ভারত,পাকিস্থান । কাশ্মির স্বাধীন হওয়ার পক্ষে বা বিপক্ষে কি বলবেন ? যুক্তরাষ্ট কি এখানে কলকাঠি নাড়তে পারে ভারতের বিরোদ্ধে ?

০৯ ই আগস্ট, ২০১৯ রাত ২:২৭

মনযূরুল হক বলেছেন: মনে হয় না যুক্তরাষ্ট্র কিছু বলবে। যুক্তরাষ্ট্র তার নিজের স্বার্থ ছাড়া কারও স্বার্থ বা সাহায্যে কোনওদিন এগিয়ে আসে নি... পাকিস্তানের চেয়ে ভারতের তার সমঝোতা রক্ষা করা বেশি দরকার...

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৪:০৬

পদ্মপুকুর বলেছেন: নির্মোহ বিশ্লেষণ। আমি চাই স্বাধীন কাশ্মীর।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫৬

মনযূরুল হক বলেছেন: -- আমিও চাই...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.