নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মাধুকরী

সামির কবির

মাধুকরী

সামির কবির › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিরোনামহীন

১১ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

১৩ অক্টোবর ২০১

আব্বার এখন পৃথিবীটা খুব খুব ছোট, একটি ঘর। আব্বার দিন ও রাত এখন সমান। এভাবে উনি কিভাবে আছেন ভাবতে্ই আমার সব কিছু শেষ হয়ে যায়।

অথচ এইতো সেদিন আব্বা কত সুস্থ ছিলেন। আজ দুমাস হয়ে গেল, আব্বার এখন পৃথিবীটা খুব খুব ছোট, একটি ঘর।
কিন্তু একাকিত্বটা অনেক বড়, তার চিন্তা গুলো অনেক বড়, সিমাহীন আকাশের মতই। আমি জানি সারাদিন শুয়ে শুয়ে আব্বা শুধুই চিন্তা করেন। বিশেষ করে তার অতীত জীবন।

উহ ! আমি আর পারিনা, সত্যি পারিনা, আমি আর কিছু ভাবতে পারিনা এসব ভাবলে। চোখের সামনে বাবার অসুস্থতা কতটা বেদনা দায়ক হতে পারে আমার ধারনা ছিলোনা। তাছাড়াও আনুসাংগিক যা কিছু রয়েছে তা না হয় নাই বা লিখলাম।

আমার জীবনে কোন বিনোদন নেই আছে অফুরন্ত দুশ্চিন্তা। হ্যা একটি বেহেশতি অনুভুতি রয়েছে আমার, সন্তানের সাথে ভালোবাসা। কিন্তু সেটিই যেন আমার কাছে পাপ মনে হয়, যখন আব্বার অসুস্থতার কথা ভাবি। আমি ক্যামন জানি, ভীষন ছাগল টাইপের একটা কিছু...কিশোর ভাই ঠিকই বলেছেন , আমার মতো মানুষেরা নিজেও ভালো থাকেনা অন্যকেউ থাকতে দেয় না।



২৪ সেপ্টমবর ২০১৮

এভাবে কিভাবে বেচে থাকা যায়? তবু বেচে আছি, থাকবো হয়তো আল্লাহ যতদিন চান।
তুমি, তুমি, তুমি, তুমি আর তুমি আর তোমরা সবাই..আর তোমারা সবাই ভালো থাকো।

আল্লাহ তুমি আমার দুশ্চিন্তা দুর করে দাও। আমাকে তোমার আরো কাছে নাও। তুমি ছাড়া আর কে আছে আমার হে খোদা।
আর যেন পারছিনা ও আমার সৃষ্টিকর্তা, তুমি আমাকে শান্তি দাও, আমাকে পথ দেখাও।

১৪ সেপ্টমবর ২০১৮

যাবার আগে আব্বা কেঁদে দিলেন।
আমার খুব জানার ই্চ্ছা কেন তিনি কাঁদছিলেন। মৃত্যু ভয়ে নাকি পরিবারের জন্য ? সেদিন প্রেশকিপশনে দেখছিলাম আব্বার বষয় ৭৬ ! ৭৬ এও আব্বা চাকুরী করছেন এমনকি ট্যুরেও যান। তাহলে এতদিনে জীবনকে দেখার বোঝার পাওয়ার আর কিছু অবশেষ আব্বার থাকার কথা নয়। পরিবার সন্তান সন্ততি, জীবন যাপন সবই আব্বার হয়েছে, তবু কেন আব্বা কাদছিলেন ? তাহলে কি একমাত্র মৃত্যু ভয় ? তা সত্যি কেউই মরতে চায়না, এ এক ভীষণ মায়া।
কিন্তুু আমার প্রশ্নটি অজনাই থেকে যাবে কেননা আমি আসলে আব্বাকে প্রশ্নই করতে পারবো না, আপনি কেন কাদছিলেন।

সম্ভবত ২০১৩ কি ১৪ তে মনে নেই যখন আমাকে ওটিতে যেতে হয়, আমিও কেঁদেছিলাম, সত্যি করে যদি বলি, সত্যি বলছি মৃত্যু ভয় আমাকে পায়নি। তখন কাকের বয়ষ দেড় দুবছর, দারুন সময় সেটি, কথা বলে, হাটে সব কিছু। আমার শুধু একটি কথাই মনে হচ্ছিলো আমি যদি আর না আসি, ওকে আমার মতো করে কে ভালোবাসবে ? ওর খাওয়া পড়ার অভাব হবে না, হয়তো আমার অনুপস্থিতে আমার চেয়ে ভালোই কেউ দেবে কিন্তু আমার মতো করে কেউকি ওকে ভালোবাসবে ?

আসলে আমার খুব জানার ই্চ্ছা আব্বা কেন কাঁদছিলেন, নিজের জন্য নাকি তার পরিবারের জন্য।

২৫ অগাষ্ট ২০১৮

আব্বা !

১৭ জুলাই ২০১৮

শেষবার লিখেছিলাম আজ অনেক দিন পর, আজও তাই লিখতে হচ্ছে, এই অনেকদিন বাড়তেই থাকবে সন্দেহ নাই।

- সত্যি বেকুব বনে গেছি আমি, এ কোন সমস্যার পড়লাম জীবনে ! সত্যি কোন পথ পাচ্ছি না, দিন দিন সব কিছু প্রকট হচ্ছে, মনে হচ্ছে জীবনে শেষ পরীক্ষা যেখান থেকে আমি বের হয়তে হতে পারবো কোন রকমে তবে আলোর মুখ আমি আর কোন দিনই দেখবো না।

- কিভাবে দিন যাচ্ছে তা ক্যাবল আমি জানি, এখনো আছি ভাবতে অবাক লাগে, কিভাবে আছি আমি !
- ভালো লাগার বিষয় হলো , একটির পর একটি সবকিছুকে আল্লাহর দেয়া পরীক্ষা হিসাবে মানতে পারছি, এই ভালোলাগা ছাড়া অবশ্য আমার আর কোন পথও খোলা নাই। উনার উপরই ভরসা করে আছি রিযিকের জন্য।


২৩ জুন ২০১৮

আজ অনেক দিন পর, এখন আর বিষয়গুলিকে ধাক্কা মনে হয় না, আল্লাহর অশেষ দয়া।
কেননা ঈদের মাত্র কয়েকদিন আগে আমি এমন একটি সংবাদ শুনবো তা ভাবিনি, গত দুবছর ঈদ বলে আর কিছু ছিলো না, এবার ব্যতিক্রম কি। আলহামদুলইল্লাহ। আল্লাহ আপনি আমার সহায় হোন।
৬ জুন ২০১৮

১লা জুনের ধাক্কাটা না সামলাতেই আরো একটি। আলহামদুলইল্লাহ তবুও।
বাইক চালাতেই ভয় পাই, আত্মবিশ্বাস বলতে যেন আর কিছু নেই। কিন্তু গতকাল যা হলো তার পরও আমি বেচে আছি, ভালো আছি, আল্লাহ আমাকে হায়াত দিয়েছেন তার শুকরিয়া।

যখন ঞ্জান ফিরলো লাশ ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি নিজেকে, কানে কিছু হাহাকার আর চিৎকার শুনছিলাম, ঘোলা চোখে ভরা বালতিটার উপচে পড়া পানি গড়াতে দেখলাম। নগ্ন আমি শুয়েই আছি, শুধু কবরে নয়, বাথরুমে।

২ জুন ২০১৮

আমি যখন লিখি লজ্জ্বা পাই নিশ্চই আমি অনেক ভালো আছি, তাদের কি অবস্থা যারা আমার চেয়ে কষ্টে আছে। আল্লাহ তুমি তাদের সবাইকে ভালো রাখো।


১ জুন ২০১৮

ক্যামন যেন হয়ে গেল সবকিছু, আমার জীবনটা, পারছিনা যেন আর। বেশীর ভাগ সময় আল্লাহর সাহায্য আর তার করুনার আশায় জিকির করতে থাকি কিন্তু কিছুতেই যেন আর কুলিয়ে উঠতে পারছিনা। সব দিক থেকে নেগেটিভ আর সব কিছু বন্ধ হবার উপক্রম।
এখন আমার অন্যতম বললেও ভুল হয় প্রধান বলাটাই ঠিক, ব্যবসা সেটিরও করুন দশা আজ। হ্যা সব কিছুর জন্য আমিই দায়ি।

আমি জানি আমার শেষ লেখা গুলির একটি এটি।

পারিবারিক সম্পর্ক আমাদের কখনোই ভালো ছিলো না, ধিরে ধিরে তা তলানির পর্যায়ে পৌছে গেছে। আমার আসল চরিত্র এখন ক্রমাগত প্রকাশ পাচ্ছে। যখন আমার উপর চাপ বাড়ছে তখন আমার জবান দিয়ে বের হচ্চে আমার আসল ভাষা।

জীবনে এখন যে আর খুব বেশী কিছু চাওয়া পাওয়ার আছে তা কিন্তু নয় অথচ আমি সেটুকু্ই আর দিতে পারছিনা। বর্তমান এর চেয়ে ভবিষৎ কি তা ভাবলে ....

২৬ মে ২০১৮

আমার মতো বোকারাই শুধু এভাবে বিলাপ বকে, কাজের কাজ না করে শুধু হাতাশা আর ভাগ্যের দোষ দেয়া। সত্যি আমি খুব বোকা। সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই ব্যস্ত, শুধু ব্যস্ত না আমি, আরাম আয়েশে চিন্তাহীন সময় পার করছি। আমি সত্যি জানিনা ভবিষৎ কি, খুব সন্নিকটে আমার ভবিষৎ যা পুরোটাই অন্ধকারে ঢাকা

বিকেল,
অবশেষে আমি করেই ফেললাম, করার কথাই ছিলো আজ নয়তো কাল। এই সেদিনই বোধ হয় লিখছিলাম, এ কোন শহরে আমার বসবাস। আসলেও তাই, রাজপথে আমি পড়ে রয়েছি, কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, সবাই সাবার মতো ব্যস্ত, কি কাততলিয় আজ সকালেই কথাটি লিখছিলাম "সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই ব্যস্ত, শুধু ব্যস্ত না আমি"। এটাই খুব স্বাভাবিক সবাই এগিয়ে যাবে ও যাক।

দুজন অবশ্য এগিয়ে আসলো পরে, দুজনেই তরুন ছাত্র। ভালো লাগলো। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া স্পিড কমিয়ে এনিছিলাম, যা হবার অল্পের উপর দিয়ে গেছে, কিন্তুু চিৎপটাংটা রক্ষা করতে পারিনি, কোথায় কোথায় ব্যাথা পেয়েছি তার চেয়ে বরাবরের মতো এবারো আমি ভাবছিলাম হাটুর ছিড়ে যাওয়া প্যান্টটা দেখে, নুতনই ছিলো আরো অনেক দিন পড়া যেতে, তারপর মনে হলো বাইকটার কি হলো কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে একটা প্রশ্ন, চাকার নিচে পড়া কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে আমাকে কি বলছিলো...গালি নাকি বলছিলো কুকুর কোথাকার !

২৫ মে ২০১৮

এত হিসাবী জীবন ভালো লাগেনা, জীবনে কখনো হিসাব করিনি। কষ্ট হয়, কিন্তু এটাই বাস্তবতা। মাঝে মাঝে আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখে হাসি, করুনা হয় নিজের উপর। প্রশ্ন করি দুটো, উত্তর পাইনা একটিরও।

২৩ মে ২০১৮

প্রতিবছরই রোযা খুব দ্রুত চলে যায়। সবকিছু কত পাল্টে গেছে, অবশ্য মাঝে মাঝে ভুলেই যাই আমি রাজধানীতে বাস করি। এটা বানিজ্যর শহর। সবাই কিছু না কিছু কিনতে আর বিক্রি করতে ব্যস্ত। রোযার আগেই দেখছি ঈদ শুরু হয়ে গেছে। অথচ মনে পড়ে ছোট বেলায় রোযা মানে ছিলো রোযা, ধর্ম, কর্ম, ইবাদতই ছিলো ছোট বড় সবার মূল ভাবনা। অবশ্য জেলা শহরের কথা আলাদা, তবে এখন সেখানকার চিত্রও পাল্টে গেছে, প্রথম রোযাতে ঢাকার চিত্র দেখে যেন নিজের কাছে একটু লজ্বাই পেলাম, এ কোন শহরে বসবাস আমার।

আবারো একটা ঈদ আসন্ন। তবে এবার আমি অভিঞ্জ, গতবার একটি ঈদ আমি পার করেছি আমার ব্যর্থতা আর অপারগতার সাগরে সাতার কেটে। এবার আমার চামড়াও মোটা হয়ে গেছে, শুকিয়ে গেছে চোখের পানি, ব্যাপার নহে। আমার আমিকে প্রকাশ তো হতেই হবে তাই না ? আগামী বছর আমি আরো অভিঞ্জ হয়ে যাবো, ততদিনে ঈদ এর সংগা আমার কাছে পাল্টে যাবে, যদিও এখনি ঈদ আর কোন বিশেষ দিন নয় আমার বা আমার উপর যারা নির্ভরশীল তাদের কাছে।

২০ মে ২০১৮

আশেপাশের সবাই গুছিয়ে নিচ্ছে তাদের জীবন, আমিও নিচ্ছি আমার মতো করে, হয়তো তাদের মতো করে নয়, এটাই বরং বলা ভালো তাদের মতো করে পারছিনা আমি। আমি তাদের চোখে বোকা। হ্যা আমি বোকা সেটা আমি জানি। খুব সহসাই ক্যামন হয়ে গেলো আমার জীবনটা। সময়ের আগেই আমি বেশী বুড়ো হয়ে গেলাম। মানষিক ভাবে বেশী আর সেটিই আমাকে আরো বেশী বুড়ো করেছে।
কিভাবে আমার সংসার চলে যাচ্ছে আমি জানিনা। সত্যি জানিনা, হিসাব করতে ভয় পাই, কিন্তু খুব হিসাবী হয়ে গেছি। উপায় নেই অবশ্য হিসাবী না হয়ে। জানিনা বললে ভুল হবে, জানি সঞ্চয় থেকে প্রতিমাসে কিছু খরচ হয়, ভাব দেখাই আমি কিছু জানিনা। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে জানিনা। আব্বার সাথে দেখা হয় কিন্তু উনি আমাকে কিছু জিঞ্জাসা করেননা, আমি কি করছি বা কি করবো অথবা কিভাবেই বা চলছে আমার সংসার। আব্বা অবশ্য জানেনই না হয়তো সব কিছু। উনি জানেন আমি ভালোই আছি। শুধু সত্যটা জানে আমার মা। প্রতিদিনই কিছু না কিছু চেষ্টা করে কিনে দিতে যা ডেইলি লাগে একটা সংসারে কিন্তু আমার জানা মতে আম্মার সংসারই চলার কথা নয় আম্মা কেন আর কিভাবে করেন জানিনা। কেননা আজ একবছর আমি আর টাকা দিতে পারিনা তাদের। তবু চলে তো যাচ্ছে তাই না ! হ্যা চলে যাচ্ছে তখন শুধু একটি প্রশ্ন মনের মাঝে আসে ভবিষৎ কি ? এটা যদি হয় বর্তমান ভবিষৎ কি ?

গুছিয়ে নিক সবাই তাদের মতো করে তাদের সামর্থ্যের মধ্যে। অনেক অনেক কথা আমার লিখার মতো কিন্তু হয়ে উঠে না।
আশেপাশের মানুষদের খুব দেখি, দেখি তাদের সুখ, সামর্থ্য আর দু:খ আর কষ্ট। হ্যা সাবই গুছিয়ে নিক ট্রেনটা ছাড়া আগেই...আমি শুধু পিছিয়ে রইলাম সবার সাজানো গুছানো দেখার সাক্ষি হয়ে।

১৯ মে ২০১৮

প্রচন্ড সুখী আর দুশ্চিন্তা মুক্ত আমি হলেও হটাৎই আজ বুকটা ধুক করে উঠলো, কি করছি আমি !
কি আমার ভবিষৎ ?

১৬ মে ২০১৮

আবেগ ছাড়া আমার আর কিছুই নাই, তবে এটাই আমার সব কিছু, যা ছাড়া আবার আমার কোন অস্তিত্ব নাই।
যদিও তার বহি:প্রকাশ নেই, অবলিলায় হত্যা করেছি।
গতকাল রাত ১০টার দিকে আব্বার ফোন, একটু ঘাবড়ে গেলাম বটে, তাড়াহুড়া করে গেলাম, একটু অসুস্থ তবে তেমনটা নয়।
কথায় কথায় অনেক কথাই বললেন, শুনলাম, হ্যা শুধু শুনলাম, কোন উত্তর দেইনি।
যার ভিতরে একটি ছিলো, আমি নাকি স্বাধীনতা চাচ্ছিলাম, তাইতো আলাদা হলাম আমি।
বিন্দু মাত্র অবাক হইনি তার কথায়,
আমি জানতাম, আমার জানাই ছিলো, এমনটা হবে।
অথচ যেদিন বিকেলে আমার ঐরুপ পরিস্থিতিতে আম্মা বললেন আমি যেন আলাদা বাসা নেই, সেদিন আমার প্রথম প্রশ্ন ছিলো আব্বা কি বলেন ?
আম্মার উত্তর ছিলো, তার সম্মতি আছে
এর পর আমার আর কিছু বলার ছিলো না।

গতকাল অবাক না হলেও আজো মনে পড়ে, আম্মার কথা আমার কানে ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো না. আব্বার সম্মতি আছে !
আমি না পেরে বোকার মতো আব্বাকে গিয়ে জিঞ্জাসা করেছিলাম, আব্বা আমাকে স্পষ্টই বললেন হ্যা তার সম্মতি আছে।
অথচ আজ আব্বা কেন এই কথা বলছেন, আমিই নাকি স্বাধীনতা চেয়েছি ? নিশ্চই তাকে সে কথা বলা হয়েছিলো।
আজ আব্বা ফিল করেন আমাদের এক সাথে থাকা উচিৎ। তাহলে কেন সেদিন তিনি বললেন হ্যা তারো সম্মতি আছে।
মনে মনে বলছিলাম, আব্বু একটি ঘরের বাইরেও যে আরো কিছু প্রয়োজন আছে কখনো আমি তা ভাবিও নি।

আজ আমার সব আপন জন আমাকে ফিল করে।
হ্যা আমরা মধ্যব্ত্তি পরিবারের, তারাও এটাও ভেবেছিলো চাকরির সমস্যা হচ্ছে তাই বলে ওর এতবড় সাহস নেই যে চাকরিটা ছেড়ে দেবে, কেননা আমার কপালেও ঐ তকমাটা লাগানো ছিলো, মধ্যবিত্ত। খুব সাহস যারা দেখাতে পারে না। কিন্তু না আমি আত্মঘাতী সাহসটা দেখিয়েই দিলাম। আম্মা প্রায় প্রতিদিন কিছু না কিছু জিনিস কিনে দেন, সেটা যদি ১০০ টাকা মধ্যেও হয় তাহলে মাসে অন্তত আমার ৩০০০ টাকা বাচে। তবে আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই । একটা বেকার মানুষ ঐ বাসায় সবার মাঝে বিষয়টা ক্যামন হতো ভাবতে পারিনা। আম্মা কিভাবে করেন জানিনা, হয়তো ভাইয়ারা আমার জন্য কিছু টাকা দেয়, আমি নিশ্চিত। কিন্তু আমি তো কিছু চাইনি কারো কাছে।

চুপচাপ আব্বার কথা শুনছিলাম কোন উত্তর না দিয়ে আর আব্বার পা টিপছিলাম।
মনে মনে বললাম আব্বু আপনি জানেন না, দুটি মানুষ আমাকে শক্ত হতে শিখিয়েছে।

১৩ মে ২০১৮

আমার চেয়ে সুখী মানুষ পৃথিবীতে খুজে পাওয়া দুস্কর।
কোন স্বপ্ন নাই, নাই কোন টার্গেট জীবনে, নাই কোন দুশ্চিন্তা
শুধু আছে একটা কষ্ট যা বুকে আগলে রেখেছি যত্ন করে, অতি যত্নে।
হারিয়ে গেলে সব শেষ ! সেদিন আর আমাকে খুজে পাওয়া যাবে না।


১২ মে ২০১৮
মাঝে মাঝে খুব কান্না পায়, লুকিয়ে কাদি।
সব কিছুর জন্য আমি ক্যাবল মাত্র আমি দায়ি, নিশ্চই আমার কর্ম অদক্ষতার জন্য অন্য কাউকে দায়ি করতে পারিনা।
দেখতে দেখতে ৭ মাস পার হয়ে গেছে, চাকরিও আর খুজি না, আমি কেন এমনই বা হয়ে গেলাম।
আর কোথাও চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়।

পাইকারীদরে হোটেলে খাওয়ার পরও আমার কেন এখনো টাইফয়েড হয়নি আমি বিস্মিত।
আগে খেতাম ৩৫ টাকা, কি আজব এখন বিল আসে ৫০ টাকা। একপ্লেট ভাত, ডাল, আর একটা ভর্তা।

১১ মে ২০১৮
সবকিছু ক্যামন যেন থেমে আছে, সময় কাটে না। অলসতা, কর্মহীনতা সবকিছু আমাকে জরাজীর্ন করে রেখেছে।
শুধু ব্যায় থেমে নেই, খরচ ক্যাবল উদ্ধমুখি। প্রতিমাসেই কোন না কোন কারনে খরচ ওভারফ্লো।
আজ মাসের ১১ তারিখ অথচ কাছাকাছি ৪০ হাজার টাকা শেষ !
আমি জানি আমি নিভে যাবো, নেভার আগে একটু দুপ করে জ্বলে উঠা।
২৩ জুন ২০১৮

আজ অনেক দিন পর, এখন আর বিষয়গুলিকে ধাক্কা মনে হয় না, আল্লাহর অশেষ দয়া।
কেননা ঈদের মাত্র কয়েকদিন আগে আমি এমন একটি সংবাদ শুনবো তা ভাবিনি, গত দুবছর ঈদ বলে আর কিছু ছিলো না, এবার ব্যতিক্রম কি। আলহামদুলইল্লাহ। আল্লাহ আপনি আমার সহায় হোন।
৬ জুন ২০১৮

১লা জুনের ধাক্কাটা না সামলাতেই আরো একটি। আলহামদুলইল্লাহ তবুও।
বাইক চালাতেই ভয় পাই, আত্মবিশ্বাস বলতে যেন আর কিছু নেই। কিন্তু গতকাল যা হলো তার পরও আমি বেচে আছি, ভালো আছি, আল্লাহ আমাকে হায়াত দিয়েছেন তার শুকরিয়া।

যখন ঞ্জান ফিরলো লাশ ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি নিজেকে, কানে কিছু হাহাকার আর চিৎকার শুনছিলাম, ঘোলা চোখে ভরা বালতিটার উপচে পড়া পানি গড়াতে দেখলাম। নগ্ন আমি শুয়েই আছি, শুধু কবরে নয়, বাথরুমে।

২ জুন ২০১৮

আমি যখন লিখি লজ্জ্বা পাই নিশ্চই আমি অনেক ভালো আছি, তাদের কি অবস্থা যারা আমার চেয়ে কষ্টে আছে। আল্লাহ তুমি তাদের সবাইকে ভালো রাখো।


১ জুন ২০১৮

ক্যামন যেন হয়ে গেল সবকিছু, আমার জীবনটা, পারছিনা যেন আর। বেশীর ভাগ সময় আল্লাহর সাহায্য আর তার করুনার আশায় জিকির করতে থাকি কিন্তু কিছুতেই যেন আর কুলিয়ে উঠতে পারছিনা। সব দিক থেকে নেগেটিভ আর সব কিছু বন্ধ হবার উপক্রম।
এখন আমার অন্যতম বললেও ভুল হয় প্রধান বলাটাই ঠিক, ব্যবসা সেটিরও করুন দশা আজ। হ্যা সব কিছুর জন্য আমিই দায়ি।

আমি জানি আমার শেষ লেখা গুলির একটি এটি।

পারিবারিক সম্পর্ক আমাদের কখনোই ভালো ছিলো না, ধিরে ধিরে তা তলানির পর্যায়ে পৌছে গেছে। আমার আসল চরিত্র এখন ক্রমাগত প্রকাশ পাচ্ছে। যখন আমার উপর চাপ বাড়ছে তখন আমার জবান দিয়ে বের হচ্চে আমার আসল ভাষা।

জীবনে এখন যে আর খুব বেশী কিছু চাওয়া পাওয়ার আছে তা কিন্তু নয় অথচ আমি সেটুকু্ই আর দিতে পারছিনা। বর্তমান এর চেয়ে ভবিষৎ কি তা ভাবলে ....

২৬ মে ২০১৮

আমার মতো বোকারাই শুধু এভাবে বিলাপ বকে, কাজের কাজ না করে শুধু হাতাশা আর ভাগ্যের দোষ দেয়া। সত্যি আমি খুব বোকা। সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই ব্যস্ত, শুধু ব্যস্ত না আমি, আরাম আয়েশে চিন্তাহীন সময় পার করছি। আমি সত্যি জানিনা ভবিষৎ কি, খুব সন্নিকটে আমার ভবিষৎ যা পুরোটাই অন্ধকারে ঢাকা

বিকেল,
অবশেষে আমি করেই ফেললাম, করার কথাই ছিলো আজ নয়তো কাল। এই সেদিনই বোধ হয় লিখছিলাম, এ কোন শহরে আমার বসবাস। আসলেও তাই, রাজপথে আমি পড়ে রয়েছি, কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, সবাই সাবার মতো ব্যস্ত, কি কাততলিয় আজ সকালেই কথাটি লিখছিলাম "সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই ব্যস্ত, শুধু ব্যস্ত না আমি"। এটাই খুব স্বাভাবিক সবাই এগিয়ে যাবে ও যাক।

দুজন অবশ্য এগিয়ে আসলো পরে, দুজনেই তরুন ছাত্র। ভালো লাগলো। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া স্পিড কমিয়ে এনিছিলাম, যা হবার অল্পের উপর দিয়ে গেছে, কিন্তুু চিৎপটাংটা রক্ষা করতে পারিনি, কোথায় কোথায় ব্যাথা পেয়েছি তার চেয়ে বরাবরের মতো এবারো আমি ভাবছিলাম হাটুর ছিড়ে যাওয়া প্যান্টটা দেখে, নুতনই ছিলো আরো অনেক দিন পড়া যেতে, তারপর মনে হলো বাইকটার কি হলো কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে একটা প্রশ্ন, চাকার নিচে পড়া কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে আমাকে কি বলছিলো...গালি নাকি বলছিলো কুকুর কোথাকার !

২৫ মে ২০১৮

এত হিসাবী জীবন ভালো লাগেনা, জীবনে কখনো হিসাব করিনি। কষ্ট হয়, কিন্তু এটাই বাস্তবতা। মাঝে মাঝে আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখে হাসি, করুনা হয় নিজের উপর। প্রশ্ন করি দুটো, উত্তর পাইনা একটিরও।

২৩ মে ২০১৮

প্রতিবছরই রোযা খুব দ্রুত চলে যায়। সবকিছু কত পাল্টে গেছে, অবশ্য মাঝে মাঝে ভুলেই যাই আমি রাজধানীতে বাস করি। এটা বানিজ্যর শহর। সবাই কিছু না কিছু কিনতে আর বিক্রি করতে ব্যস্ত। রোযার আগেই দেখছি ঈদ শুরু হয়ে গেছে। অথচ মনে পড়ে ছোট বেলায় রোযা মানে ছিলো রোযা, ধর্ম, কর্ম, ইবাদতই ছিলো ছোট বড় সবার মূল ভাবনা। অবশ্য জেলা শহরের কথা আলাদা, তবে এখন সেখানকার চিত্রও পাল্টে গেছে, প্রথম রোযাতে ঢাকার চিত্র দেখে যেন নিজের কাছে একটু লজ্বাই পেলাম, এ কোন শহরে বসবাস আমার।

আবারো একটা ঈদ আসন্ন। তবে এবার আমি অভিঞ্জ, গতবার একটি ঈদ আমি পার করেছি আমার ব্যর্থতা আর অপারগতার সাগরে সাতার কেটে। এবার আমার চামড়াও মোটা হয়ে গেছে, শুকিয়ে গেছে চোখের পানি, ব্যাপার নহে। আমার আমিকে প্রকাশ তো হতেই হবে তাই না ? আগামী বছর আমি আরো অভিঞ্জ হয়ে যাবো, ততদিনে ঈদ এর সংগা আমার কাছে পাল্টে যাবে, যদিও এখনি ঈদ আর কোন বিশেষ দিন নয় আমার বা আমার উপর যারা নির্ভরশীল তাদের কাছে।

২০ মে ২০১৮

আশেপাশের সবাই গুছিয়ে নিচ্ছে তাদের জীবন, আমিও নিচ্ছি আমার মতো করে, হয়তো তাদের মতো করে নয়, এটাই বরং বলা ভালো তাদের মতো করে পারছিনা আমি। আমি তাদের চোখে বোকা। হ্যা আমি বোকা সেটা আমি জানি। খুব সহসাই ক্যামন হয়ে গেলো আমার জীবনটা। সময়ের আগেই আমি বেশী বুড়ো হয়ে গেলাম। মানষিক ভাবে বেশী আর সেটিই আমাকে আরো বেশী বুড়ো করেছে।
কিভাবে আমার সংসার চলে যাচ্ছে আমি জানিনা। সত্যি জানিনা, হিসাব করতে ভয় পাই, কিন্তু খুব হিসাবী হয়ে গেছি। উপায় নেই অবশ্য হিসাবী না হয়ে। জানিনা বললে ভুল হবে, জানি সঞ্চয় থেকে প্রতিমাসে কিছু খরচ হয়, ভাব দেখাই আমি কিছু জানিনা। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে জানিনা। আব্বার সাথে দেখা হয় কিন্তু উনি আমাকে কিছু জিঞ্জাসা করেননা, আমি কি করছি বা কি করবো অথবা কিভাবেই বা চলছে আমার সংসার। আব্বা অবশ্য জানেনই না হয়তো সব কিছু। উনি জানেন আমি ভালোই আছি। শুধু সত্যটা জানে আমার মা। প্রতিদিনই কিছু না কিছু চেষ্টা করে কিনে দিতে যা ডেইলি লাগে একটা সংসারে কিন্তু আমার জানা মতে আম্মার সংসারই চলার কথা নয় আম্মা কেন আর কিভাবে করেন জানিনা। কেননা আজ একবছর আমি আর টাকা দিতে পারিনা তাদের। তবু চলে তো যাচ্ছে তাই না ! হ্যা চলে যাচ্ছে তখন শুধু একটি প্রশ্ন মনের মাঝে আসে ভবিষৎ কি ? এটা যদি হয় বর্তমান ভবিষৎ কি ?

গুছিয়ে নিক সবাই তাদের মতো করে তাদের সামর্থ্যের মধ্যে। অনেক অনেক কথা আমার লিখার মতো কিন্তু হয়ে উঠে না।
আশেপাশের মানুষদের খুব দেখি, দেখি তাদের সুখ, সামর্থ্য আর দু:খ আর কষ্ট। হ্যা সাবই গুছিয়ে নিক ট্রেনটা ছাড়া আগেই...আমি শুধু পিছিয়ে রইলাম সবার সাজানো গুছানো দেখার সাক্ষি হয়ে।

১৯ মে ২০১৮

প্রচন্ড সুখী আর দুশ্চিন্তা মুক্ত আমি হলেও হটাৎই আজ বুকটা ধুক করে উঠলো, কি করছি আমি !
কি আমার ভবিষৎ ?

১৬ মে ২০১৮

আবেগ ছাড়া আমার আর কিছুই নাই, তবে এটাই আমার সব কিছু, যা ছাড়া আবার আমার কোন অস্তিত্ব নাই।
যদিও তার বহি:প্রকাশ নেই, অবলিলায় হত্যা করেছি।
গতকাল রাত ১০টার দিকে আব্বার ফোন, একটু ঘাবড়ে গেলাম বটে, তাড়াহুড়া করে গেলাম, একটু অসুস্থ তবে তেমনটা নয়।
কথায় কথায় অনেক কথাই বললেন, শুনলাম, হ্যা শুধু শুনলাম, কোন উত্তর দেইনি।
যার ভিতরে একটি ছিলো, আমি নাকি স্বাধীনতা চাচ্ছিলাম, তাইতো আলাদা হলাম আমি।
বিন্দু মাত্র অবাক হইনি তার কথায়,
আমি জানতাম, আমার জানাই ছিলো, এমনটা হবে।
অথচ যেদিন বিকেলে আমার ঐরুপ পরিস্থিতিতে আম্মা বললেন আমি যেন আলাদা বাসা নেই, সেদিন আমার প্রথম প্রশ্ন ছিলো আব্বা কি বলেন ?
আম্মার উত্তর ছিলো, তার সম্মতি আছে
এর পর আমার আর কিছু বলার ছিলো না।

গতকাল অবাক না হলেও আজো মনে পড়ে, আম্মার কথা আমার কানে ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো না. আব্বার সম্মতি আছে !
আমি না পেরে বোকার মতো আব্বাকে গিয়ে জিঞ্জাসা করেছিলাম, আব্বা আমাকে স্পষ্টই বললেন হ্যা তার সম্মতি আছে।
অথচ আজ আব্বা কেন এই কথা বলছেন, আমিই নাকি স্বাধীনতা চেয়েছি ? নিশ্চই তাকে সে কথা বলা হয়েছিলো।
আজ আব্বা ফিল করেন আমাদের এক সাথে থাকা উচিৎ। তাহলে কেন সেদিন তিনি বললেন হ্যা তারো সম্মতি আছে।
মনে মনে বলছিলাম, আব্বু একটি ঘরের বাইরেও যে আরো কিছু প্রয়োজন আছে কখনো আমি তা ভাবিও নি।

আজ আমার সব আপন জন আমাকে ফিল করে।
হ্যা আমরা মধ্যব্ত্তি পরিবারের, তারাও এটাও ভেবেছিলো চাকরির সমস্যা হচ্ছে তাই বলে ওর এতবড় সাহস নেই যে চাকরিটা ছেড়ে দেবে, কেননা আমার কপালেও ঐ তকমাটা লাগানো ছিলো, মধ্যবিত্ত। খুব সাহস যারা দেখাতে পারে না। কিন্তু না আমি আত্মঘাতী সাহসটা দেখিয়েই দিলাম। আম্মা প্রায় প্রতিদিন কিছু না কিছু জিনিস কিনে দেন, সেটা যদি ১০০ টাকা মধ্যেও হয় তাহলে মাসে অন্তত আমার ৩০০০ টাকা বাচে। তবে আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই । একটা বেকার মানুষ ঐ বাসায় সবার মাঝে বিষয়টা ক্যামন হতো ভাবতে পারিনা। আম্মা কিভাবে করেন জানিনা, হয়তো ভাইয়ারা আমার জন্য কিছু টাকা দেয়, আমি নিশ্চিত। কিন্তু আমি তো কিছু চাইনি কারো কাছে।

চুপচাপ আব্বার কথা শুনছিলাম কোন উত্তর না দিয়ে আর আব্বার পা টিপছিলাম।
মনে মনে বললাম আব্বু আপনি জানেন না, দুটি মানুষ আমাকে শক্ত হতে শিখিয়েছে।

১৩ মে ২০১৮

আমার চেয়ে সুখী মানুষ পৃথিবীতে খুজে পাওয়া দুস্কর।
কোন স্বপ্ন নাই, নাই কোন টার্গেট জীবনে, নাই কোন দুশ্চিন্তা
শুধু আছে একটা কষ্ট যা বুকে আগলে রেখেছি যত্ন করে, অতি যত্নে।
হারিয়ে গেলে সব শেষ ! সেদিন আর আমাকে খুজে পাওয়া যাবে না।


১২ মে ২০১৮
মাঝে মাঝে খুব কান্না পায়, লুকিয়ে কাদি।
সব কিছুর জন্য আমি ক্যাবল মাত্র আমি দায়ি, নিশ্চই আমার কর্ম অদক্ষতার জন্য অন্য কাউকে দায়ি করতে পারিনা।
দেখতে দেখতে ৭ মাস পার হয়ে গেছে, চাকরিও আর খুজি না, আমি কেন এমনই বা হয়ে গেলাম।
আর কোথাও চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়।

পাইকারীদরে হোটেলে খাওয়ার পরও আমার কেন এখনো টাইফয়েড হয়নি আমি বিস্মিত।
আগে খেতাম ৩৫ টাকা, কি আজব এখন বিল আসে ৫০ টাকা। একপ্লেট ভাত, ডাল, আর একটা ভর্তা।

১১ মে ২০১৮

সবকিছু ক্যামন যেন থেমে আছে, সময় কাটে না। অলসতা, কর্মহীনতা সবকিছু আমাকে জরাজীর্ন করে রেখেছে।
শুধু ব্যায় থেমে নেই, খরচ ক্যাবল উদ্ধমুখি। প্রতিমাসেই কোন না কোন কারনে খরচ ওভারফ্লো।
আজ মাসের ১১ তারিখ অথচ কাছাকাছি ৪০ হাজার টাকা শেষ !
আমি জানি আমি নিভে যাবো, নেভার আগে একটু দুপ করে জ্বলে উঠা।১৪ সেপ্টমবর ২০১৮

যাবার আগে আব্বা কেঁদে দিলেন।
আমার খুব জানার ই্চ্ছা কেন তিনি কাঁদছিলেন। মৃত্যু ভয়ে নাকি পরিবারের জন্য ? সেদিন প্রেশকিপশনে দেখছিলাম আব্বার বষয় ৭৬ ! ৭৬ এও আব্বা চাকুরী করছেন এমনকি ট্যুরেও যান। তাহলে এতদিনে জীবনকে দেখার বোঝার পাওয়ার আর কিছু অবশেষ আব্বার থাকার কথা নয়। পরিবার সন্তান সন্ততি, জীবন যাপন সবই আব্বার হয়েছে, তবু কেন আব্বা কাদছিলেন ? তাহলে কি একমাত্র মৃত্যু ভয় ? তা সত্যি কেউই মরতে চায়না, এ এক ভীষণ মায়া।
কিন্তুু আমার প্রশ্নটি অজনাই থেকে যাবে কেননা আমি আসলে আব্বাকে প্রশ্নই করতে পারবো না, আপনি কেন কাদছিলেন।

সম্ভবত ২০১৩ কি ১৪ তে মনে নেই যখন আমাকে ওটিতে যেতে হয়, আমিও কেঁদেছিলাম, সত্যি করে যদি বলি, সত্যি বলছি মৃত্যু ভয় আমাকে পায়নি। তখন কাকের বয়ষ দেড় দুবছর, দারুন সময় সেটি, কথা বলে, হাটে সব কিছু। আমার শুধু একটি কথাই মনে হচ্ছিলো আমি যদি আর না আসি, ওকে আমার মতো করে কে ভালোবাসবে ? ওর খাওয়া পড়ার অভাব হবে না, হয়তো আমার অনুপস্থিতে আমার চেয়ে ভালোই কেউ দেবে কিন্তু আমার মতো করে কেউকি ওকে ভালোবাসবে ?

আসলে আমার খুব জানার ই্চ্ছা আব্বা কেন কাঁদছিলেন, নিজের জন্য নাকি তার পরিবারের জন্য।

২৫ অগাষ্ট ২০১৮

আব্বা !

১৭ জুলাই ২০১৮

শেষবার লিখেছিলাম আজ অনেক দিন পর, আজও তাই লিখতে হচ্ছে, এই অনেকদিন বাড়তেই থাকবে সন্দেহ নাই।

- সত্যি বেকুব বনে গেছি আমি, এ কোন সমস্যার পড়লাম জীবনে ! সত্যি কোন পথ পাচ্ছি না, দিন দিন সব কিছু প্রকট হচ্ছে, মনে হচ্ছে জীবনে শেষ পরীক্ষা যেখান থেকে আমি বের হয়তে হতে পারবো কোন রকমে তবে আলোর মুখ আমি আর কোন দিনই দেখবো না।

- কিভাবে দিন যাচ্ছে তা ক্যাবল আমি জানি, এখনো আছি ভাবতে অবাক লাগে, কিভাবে আছি আমি !
- ভালো লাগার বিষয় হলো , একটির পর একটি সবকিছুকে আল্লাহর দেয়া পরীক্ষা হিসাবে মানতে পারছি, এই ভালোলাগা ছাড়া অবশ্য আমার আর কোন পথও খোলা নাই। উনার উপরই ভরসা করে আছি রিযিকের জন্য।


২৩ জুন ২০১৮

আজ অনেক দিন পর, এখন আর বিষয়গুলিকে ধাক্কা মনে হয় না, আল্লাহর অশেষ দয়া।
কেননা ঈদের মাত্র কয়েকদিন আগে আমি এমন একটি সংবাদ শুনবো তা ভাবিনি, গত দুবছর ঈদ বলে আর কিছু ছিলো না, এবার ব্যতিক্রম কি। আলহামদুলইল্লাহ। আল্লাহ আপনি আমার সহায় হোন।
৬ জুন ২০১৮

১লা জুনের ধাক্কাটা না সামলাতেই আরো একটি। আলহামদুলইল্লাহ তবুও।
বাইক চালাতেই ভয় পাই, আত্মবিশ্বাস বলতে যেন আর কিছু নেই। কিন্তু গতকাল যা হলো তার পরও আমি বেচে আছি, ভালো আছি, আল্লাহ আমাকে হায়াত দিয়েছেন তার শুকরিয়া।

যখন ঞ্জান ফিরলো লাশ ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি নিজেকে, কানে কিছু হাহাকার আর চিৎকার শুনছিলাম, ঘোলা চোখে ভরা বালতিটার উপচে পড়া পানি গড়াতে দেখলাম। নগ্ন আমি শুয়েই আছি, শুধু কবরে নয়, বাথরুমে।

২ জুন ২০১৮

আমি যখন লিখি লজ্জ্বা পাই নিশ্চই আমি অনেক ভালো আছি, তাদের কি অবস্থা যারা আমার চেয়ে কষ্টে আছে। আল্লাহ তুমি তাদের সবাইকে ভালো রাখো।


১ জুন ২০১৮

ক্যামন যেন হয়ে গেল সবকিছু, আমার জীবনটা, পারছিনা যেন আর। বেশীর ভাগ সময় আল্লাহর সাহায্য আর তার করুনার আশায় জিকির করতে থাকি কিন্তু কিছুতেই যেন আর কুলিয়ে উঠতে পারছিনা। সব দিক থেকে নেগেটিভ আর সব কিছু বন্ধ হবার উপক্রম।
এখন আমার অন্যতম বললেও ভুল হয় প্রধান বলাটাই ঠিক, ব্যবসা সেটিরও করুন দশা আজ। হ্যা সব কিছুর জন্য আমিই দায়ি।

আমি জানি আমার শেষ লেখা গুলির একটি এটি।

পারিবারিক সম্পর্ক আমাদের কখনোই ভালো ছিলো না, ধিরে ধিরে তা তলানির পর্যায়ে পৌছে গেছে। আমার আসল চরিত্র এখন ক্রমাগত প্রকাশ পাচ্ছে। যখন আমার উপর চাপ বাড়ছে তখন আমার জবান দিয়ে বের হচ্চে আমার আসল ভাষা।

জীবনে এখন যে আর খুব বেশী কিছু চাওয়া পাওয়ার আছে তা কিন্তু নয় অথচ আমি সেটুকু্ই আর দিতে পারছিনা। বর্তমান এর চেয়ে ভবিষৎ কি তা ভাবলে ....

২৬ মে ২০১৮

আমার মতো বোকারাই শুধু এভাবে বিলাপ বকে, কাজের কাজ না করে শুধু হাতাশা আর ভাগ্যের দোষ দেয়া। সত্যি আমি খুব বোকা। সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই ব্যস্ত, শুধু ব্যস্ত না আমি, আরাম আয়েশে চিন্তাহীন সময় পার করছি। আমি সত্যি জানিনা ভবিষৎ কি, খুব সন্নিকটে আমার ভবিষৎ যা পুরোটাই অন্ধকারে ঢাকা

বিকেল,
অবশেষে আমি করেই ফেললাম, করার কথাই ছিলো আজ নয়তো কাল। এই সেদিনই বোধ হয় লিখছিলাম, এ কোন শহরে আমার বসবাস। আসলেও তাই, রাজপথে আমি পড়ে রয়েছি, কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, সবাই সাবার মতো ব্যস্ত, কি কাততলিয় আজ সকালেই কথাটি লিখছিলাম "সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই ব্যস্ত, শুধু ব্যস্ত না আমি"। এটাই খুব স্বাভাবিক সবাই এগিয়ে যাবে ও যাক।

দুজন অবশ্য এগিয়ে আসলো পরে, দুজনেই তরুন ছাত্র। ভালো লাগলো। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া স্পিড কমিয়ে এনিছিলাম, যা হবার অল্পের উপর দিয়ে গেছে, কিন্তুু চিৎপটাংটা রক্ষা করতে পারিনি, কোথায় কোথায় ব্যাথা পেয়েছি তার চেয়ে বরাবরের মতো এবারো আমি ভাবছিলাম হাটুর ছিড়ে যাওয়া প্যান্টটা দেখে, নুতনই ছিলো আরো অনেক দিন পড়া যেতে, তারপর মনে হলো বাইকটার কি হলো কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে একটা প্রশ্ন, চাকার নিচে পড়া কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে আমাকে কি বলছিলো...গালি নাকি বলছিলো কুকুর কোথাকার !

২৫ মে ২০১৮

এত হিসাবী জীবন ভালো লাগেনা, জীবনে কখনো হিসাব করিনি। কষ্ট হয়, কিন্তু এটাই বাস্তবতা। মাঝে মাঝে আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখে হাসি, করুনা হয় নিজের উপর। প্রশ্ন করি দুটো, উত্তর পাইনা একটিরও।

২৩ মে ২০১৮

প্রতিবছরই রোযা খুব দ্রুত চলে যায়। সবকিছু কত পাল্টে গেছে, অবশ্য মাঝে মাঝে ভুলেই যাই আমি রাজধানীতে বাস করি। এটা বানিজ্যর শহর। সবাই কিছু না কিছু কিনতে আর বিক্রি করতে ব্যস্ত। রোযার আগেই দেখছি ঈদ শুরু হয়ে গেছে। অথচ মনে পড়ে ছোট বেলায় রোযা মানে ছিলো রোযা, ধর্ম, কর্ম, ইবাদতই ছিলো ছোট বড় সবার মূল ভাবনা। অবশ্য জেলা শহরের কথা আলাদা, তবে এখন সেখানকার চিত্রও পাল্টে গেছে, প্রথম রোযাতে ঢাকার চিত্র দেখে যেন নিজের কাছে একটু লজ্বাই পেলাম, এ কোন শহরে বসবাস আমার।

আবারো একটা ঈদ আসন্ন। তবে এবার আমি অভিঞ্জ, গতবার একটি ঈদ আমি পার করেছি আমার ব্যর্থতা আর অপারগতার সাগরে সাতার কেটে। এবার আমার চামড়াও মোটা হয়ে গেছে, শুকিয়ে গেছে চোখের পানি, ব্যাপার নহে। আমার আমিকে প্রকাশ তো হতেই হবে তাই না ? আগামী বছর আমি আরো অভিঞ্জ হয়ে যাবো, ততদিনে ঈদ এর সংগা আমার কাছে পাল্টে যাবে, যদিও এখনি ঈদ আর কোন বিশেষ দিন নয় আমার বা আমার উপর যারা নির্ভরশীল তাদের কাছে।

২০ মে ২০১৮

আশেপাশের সবাই গুছিয়ে নিচ্ছে তাদের জীবন, আমিও নিচ্ছি আমার মতো করে, হয়তো তাদের মতো করে নয়, এটাই বরং বলা ভালো তাদের মতো করে পারছিনা আমি। আমি তাদের চোখে বোকা। হ্যা আমি বোকা সেটা আমি জানি। খুব সহসাই ক্যামন হয়ে গেলো আমার জীবনটা। সময়ের আগেই আমি বেশী বুড়ো হয়ে গেলাম। মানষিক ভাবে বেশী আর সেটিই আমাকে আরো বেশী বুড়ো করেছে।
কিভাবে আমার সংসার চলে যাচ্ছে আমি জানিনা। সত্যি জানিনা, হিসাব করতে ভয় পাই, কিন্তু খুব হিসাবী হয়ে গেছি। উপায় নেই অবশ্য হিসাবী না হয়ে। জানিনা বললে ভুল হবে, জানি সঞ্চয় থেকে প্রতিমাসে কিছু খরচ হয়, ভাব দেখাই আমি কিছু জানিনা। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে জানিনা। আব্বার সাথে দেখা হয় কিন্তু উনি আমাকে কিছু জিঞ্জাসা করেননা, আমি কি করছি বা কি করবো অথবা কিভাবেই বা চলছে আমার সংসার। আব্বা অবশ্য জানেনই না হয়তো সব কিছু। উনি জানেন আমি ভালোই আছি। শুধু সত্যটা জানে আমার মা। প্রতিদিনই কিছু না কিছু চেষ্টা করে কিনে দিতে যা ডেইলি লাগে একটা সংসারে কিন্তু আমার জানা মতে আম্মার সংসারই চলার কথা নয় আম্মা কেন আর কিভাবে করেন জানিনা। কেননা আজ একবছর আমি আর টাকা দিতে পারিনা তাদের। তবু চলে তো যাচ্ছে তাই না ! হ্যা চলে যাচ্ছে তখন শুধু একটি প্রশ্ন মনের মাঝে আসে ভবিষৎ কি ? এটা যদি হয় বর্তমান ভবিষৎ কি ?

গুছিয়ে নিক সবাই তাদের মতো করে তাদের সামর্থ্যের মধ্যে। অনেক অনেক কথা আমার লিখার মতো কিন্তু হয়ে উঠে না।
আশেপাশের মানুষদের খুব দেখি, দেখি তাদের সুখ, সামর্থ্য আর দু:খ আর কষ্ট। হ্যা সাবই গুছিয়ে নিক ট্রেনটা ছাড়া আগেই...আমি শুধু পিছিয়ে রইলাম সবার সাজানো গুছানো দেখার সাক্ষি হয়ে।

১৯ মে ২০১৮

প্রচন্ড সুখী আর দুশ্চিন্তা মুক্ত আমি হলেও হটাৎই আজ বুকটা ধুক করে উঠলো, কি করছি আমি !
কি আমার ভবিষৎ ?

১৬ মে ২০১৮

আবেগ ছাড়া আমার আর কিছুই নাই, তবে এটাই আমার সব কিছু, যা ছাড়া আবার আমার কোন অস্তিত্ব নাই।
যদিও তার বহি:প্রকাশ নেই, অবলিলায় হত্যা করেছি।
গতকাল রাত ১০টার দিকে আব্বার ফোন, একটু ঘাবড়ে গেলাম বটে, তাড়াহুড়া করে গেলাম, একটু অসুস্থ তবে তেমনটা নয়।
কথায় কথায় অনেক কথাই বললেন, শুনলাম, হ্যা শুধু শুনলাম, কোন উত্তর দেইনি।
যার ভিতরে একটি ছিলো, আমি নাকি স্বাধীনতা চাচ্ছিলাম, তাইতো আলাদা হলাম আমি।
বিন্দু মাত্র অবাক হইনি তার কথায়,
আমি জানতাম, আমার জানাই ছিলো, এমনটা হবে।
অথচ যেদিন বিকেলে আমার ঐরুপ পরিস্থিতিতে আম্মা বললেন আমি যেন আলাদা বাসা নেই, সেদিন আমার প্রথম প্রশ্ন ছিলো আব্বা কি বলেন ?
আম্মার উত্তর ছিলো, তার সম্মতি আছে
এর পর আমার আর কিছু বলার ছিলো না।

গতকাল অবাক না হলেও আজো মনে পড়ে, আম্মার কথা আমার কানে ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো না. আব্বার সম্মতি আছে !
আমি না পেরে বোকার মতো আব্বাকে গিয়ে জিঞ্জাসা করেছিলাম, আব্বা আমাকে স্পষ্টই বললেন হ্যা তার সম্মতি আছে।
অথচ আজ আব্বা কেন এই কথা বলছেন, আমিই নাকি স্বাধীনতা চেয়েছি ? নিশ্চই তাকে সে কথা বলা হয়েছিলো।
আজ আব্বা ফিল করেন আমাদের এক সাথে থাকা উচিৎ। তাহলে কেন সেদিন তিনি বললেন হ্যা তারো সম্মতি আছে।
মনে মনে বলছিলাম, আব্বু একটি ঘরের বাইরেও যে আরো কিছু প্রয়োজন আছে কখনো আমি তা ভাবিও নি।

আজ আমার সব আপন জন আমাকে ফিল করে।
হ্যা আমরা মধ্যব্ত্তি পরিবারের, তারাও এটাও ভেবেছিলো চাকরির সমস্যা হচ্ছে তাই বলে ওর এতবড় সাহস নেই যে চাকরিটা ছেড়ে দেবে, কেননা আমার কপালেও ঐ তকমাটা লাগানো ছিলো, মধ্যবিত্ত। খুব সাহস যারা দেখাতে পারে না। কিন্তু না আমি আত্মঘাতী সাহসটা দেখিয়েই দিলাম। আম্মা প্রায় প্রতিদিন কিছু না কিছু জিনিস কিনে দেন, সেটা যদি ১০০ টাকা মধ্যেও হয় তাহলে মাসে অন্তত আমার ৩০০০ টাকা বাচে। তবে আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই । একটা বেকার মানুষ ঐ বাসায় সবার মাঝে বিষয়টা ক্যামন হতো ভাবতে পারিনা। আম্মা কিভাবে করেন জানিনা, হয়তো ভাইয়ারা আমার জন্য কিছু টাকা দেয়, আমি নিশ্চিত। কিন্তু আমি তো কিছু চাইনি কারো কাছে।

চুপচাপ আব্বার কথা শুনছিলাম কোন উত্তর না দিয়ে আর আব্বার পা টিপছিলাম।
মনে মনে বললাম আব্বু আপনি জানেন না, দুটি মানুষ আমাকে শক্ত হতে শিখিয়েছে।

১৩ মে ২০১৮

আমার চেয়ে সুখী মানুষ পৃথিবীতে খুজে পাওয়া দুস্কর।
কোন স্বপ্ন নাই, নাই কোন টার্গেট জীবনে, নাই কোন দুশ্চিন্তা
শুধু আছে একটা কষ্ট যা বুকে আগলে রেখেছি যত্ন করে, অতি যত্নে।
হারিয়ে গেলে সব শেষ ! সেদিন আর আমাকে খুজে পাওয়া যাবে না।


১২ মে ২০১৮
মাঝে মাঝে খুব কান্না পায়, লুকিয়ে কাদি।
সব কিছুর জন্য আমি ক্যাবল মাত্র আমি দায়ি, নিশ্চই আমার কর্ম অদক্ষতার জন্য অন্য কাউকে দায়ি করতে পারিনা।
দেখতে দেখতে ৭ মাস পার হয়ে গেছে, চাকরিও আর খুজি না, আমি কেন এমনই বা হয়ে গেলাম।
আর কোথাও চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়।

পাইকারীদরে হোটেলে খাওয়ার পরও আমার কেন এখনো টাইফয়েড হয়নি আমি বিস্মিত।
আগে খেতাম ৩৫ টাকা, কি আজব এখন বিল আসে ৫০ টাকা। একপ্লেট ভাত, ডাল, আর একটা ভর্তা।

১১ মে ২০১৮
সবকিছু ক্যামন যেন থেমে আছে, সময় কাটে না। অলসতা, কর্মহীনতা সবকিছু আমাকে জরাজীর্ন করে রেখেছে।
শুধু ব্যায় থেমে নেই, খরচ ক্যাবল উদ্ধমুখি। প্রতিমাসেই কোন না কোন কারনে খরচ ওভারফ্লো।
আজ মাসের ১১ তারিখ অথচ কাছাকাছি ৪০ হাজার টাকা শেষ !
আমি জানি আমি নিভে যাবো, নেভার আগে একটু দুপ করে জ্বলে উঠা।
২৩ জুন ২০১৮

আজ অনেক দিন পর, এখন আর বিষয়গুলিকে ধাক্কা মনে হয় না, আল্লাহর অশেষ দয়া।
কেননা ঈদের মাত্র কয়েকদিন আগে আমি এমন একটি সংবাদ শুনবো তা ভাবিনি, গত দুবছর ঈদ বলে আর কিছু ছিলো না, এবার ব্যতিক্রম কি। আলহামদুলইল্লাহ। আল্লাহ আপনি আমার সহায় হোন।
৬ জুন ২০১৮

১লা জুনের ধাক্কাটা না সামলাতেই আরো একটি। আলহামদুলইল্লাহ তবুও।
বাইক চালাতেই ভয় পাই, আত্মবিশ্বাস বলতে যেন আর কিছু নেই। কিন্তু গতকাল যা হলো তার পরও আমি বেচে আছি, ভালো আছি, আল্লাহ আমাকে হায়াত দিয়েছেন তার শুকরিয়া।

যখন ঞ্জান ফিরলো লাশ ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি নিজেকে, কানে কিছু হাহাকার আর চিৎকার শুনছিলাম, ঘোলা চোখে ভরা বালতিটার উপচে পড়া পানি গড়াতে দেখলাম। নগ্ন আমি শুয়েই আছি, শুধু কবরে নয়, বাথরুমে।

২ জুন ২০১৮

আমি যখন লিখি লজ্জ্বা পাই নিশ্চই আমি অনেক ভালো আছি, তাদের কি অবস্থা যারা আমার চেয়ে কষ্টে আছে। আল্লাহ তুমি তাদের সবাইকে ভালো রাখো।


১ জুন ২০১৮

ক্যামন যেন হয়ে গেল সবকিছু, আমার জীবনটা, পারছিনা যেন আর। বেশীর ভাগ সময় আল্লাহর সাহায্য আর তার করুনার আশায় জিকির করতে থাকি কিন্তু কিছুতেই যেন আর কুলিয়ে উঠতে পারছিনা। সব দিক থেকে নেগেটিভ আর সব কিছু বন্ধ হবার উপক্রম।
এখন আমার অন্যতম বললেও ভুল হয় প্রধান বলাটাই ঠিক, ব্যবসা সেটিরও করুন দশা আজ। হ্যা সব কিছুর জন্য আমিই দায়ি।

আমি জানি আমার শেষ লেখা গুলির একটি এটি।

পারিবারিক সম্পর্ক আমাদের কখনোই ভালো ছিলো না, ধিরে ধিরে তা তলানির পর্যায়ে পৌছে গেছে। আমার আসল চরিত্র এখন ক্রমাগত প্রকাশ পাচ্ছে। যখন আমার উপর চাপ বাড়ছে তখন আমার জবান দিয়ে বের হচ্চে আমার আসল ভাষা।

জীবনে এখন যে আর খুব বেশী কিছু চাওয়া পাওয়ার আছে তা কিন্তু নয় অথচ আমি সেটুকু্ই আর দিতে পারছিনা। বর্তমান এর চেয়ে ভবিষৎ কি তা ভাবলে ....

২৬ মে ২০১৮

আমার মতো বোকারাই শুধু এভাবে বিলাপ বকে, কাজের কাজ না করে শুধু হাতাশা আর ভাগ্যের দোষ দেয়া। সত্যি আমি খুব বোকা। সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই ব্যস্ত, শুধু ব্যস্ত না আমি, আরাম আয়েশে চিন্তাহীন সময় পার করছি। আমি সত্যি জানিনা ভবিষৎ কি, খুব সন্নিকটে আমার ভবিষৎ যা পুরোটাই অন্ধকারে ঢাকা

বিকেল,
অবশেষে আমি করেই ফেললাম, করার কথাই ছিলো আজ নয়তো কাল। এই সেদিনই বোধ হয় লিখছিলাম, এ কোন শহরে আমার বসবাস। আসলেও তাই, রাজপথে আমি পড়ে রয়েছি, কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, সবাই সাবার মতো ব্যস্ত, কি কাততলিয় আজ সকালেই কথাটি লিখছিলাম "সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই ব্যস্ত, শুধু ব্যস্ত না আমি"। এটাই খুব স্বাভাবিক সবাই এগিয়ে যাবে ও যাক।

দুজন অবশ্য এগিয়ে আসলো পরে, দুজনেই তরুন ছাত্র। ভালো লাগলো। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া স্পিড কমিয়ে এনিছিলাম, যা হবার অল্পের উপর দিয়ে গেছে, কিন্তুু চিৎপটাংটা রক্ষা করতে পারিনি, কোথায় কোথায় ব্যাথা পেয়েছি তার চেয়ে বরাবরের মতো এবারো আমি ভাবছিলাম হাটুর ছিড়ে যাওয়া প্যান্টটা দেখে, নুতনই ছিলো আরো অনেক দিন পড়া যেতে, তারপর মনে হলো বাইকটার কি হলো কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে একটা প্রশ্ন, চাকার নিচে পড়া কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে আমাকে কি বলছিলো...গালি নাকি বলছিলো কুকুর কোথাকার !

২৫ মে ২০১৮

এত হিসাবী জীবন ভালো লাগেনা, জীবনে কখনো হিসাব করিনি। কষ্ট হয়, কিন্তু এটাই বাস্তবতা। মাঝে মাঝে আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখে হাসি, করুনা হয় নিজের উপর। প্রশ্ন করি দুটো, উত্তর পাইনা একটিরও।

২৩ মে ২০১৮

প্রতিবছরই রোযা খুব দ্রুত চলে যায়। সবকিছু কত পাল্টে গেছে, অবশ্য মাঝে মাঝে ভুলেই যাই আমি রাজধানীতে বাস করি। এটা বানিজ্যর শহর। সবাই কিছু না কিছু কিনতে আর বিক্রি করতে ব্যস্ত। রোযার আগেই দেখছি ঈদ শুরু হয়ে গেছে। অথচ মনে পড়ে ছোট বেলায় রোযা মানে ছিলো রোযা, ধর্ম, কর্ম, ইবাদতই ছিলো ছোট বড় সবার মূল ভাবনা। অবশ্য জেলা শহরের কথা আলাদা, তবে এখন সেখানকার চিত্রও পাল্টে গেছে, প্রথম রোযাতে ঢাকার চিত্র দেখে যেন নিজের কাছে একটু লজ্বাই পেলাম, এ কোন শহরে বসবাস আমার।

আবারো একটা ঈদ আসন্ন। তবে এবার আমি অভিঞ্জ, গতবার একটি ঈদ আমি পার করেছি আমার ব্যর্থতা আর অপারগতার সাগরে সাতার কেটে। এবার আমার চামড়াও মোটা হয়ে গেছে, শুকিয়ে গেছে চোখের পানি, ব্যাপার নহে। আমার আমিকে প্রকাশ তো হতেই হবে তাই না ? আগামী বছর আমি আরো অভিঞ্জ হয়ে যাবো, ততদিনে ঈদ এর সংগা আমার কাছে পাল্টে যাবে, যদিও এখনি ঈদ আর কোন বিশেষ দিন নয় আমার বা আমার উপর যারা নির্ভরশীল তাদের কাছে।

২০ মে ২০১৮

আশেপাশের সবাই গুছিয়ে নিচ্ছে তাদের জীবন, আমিও নিচ্ছি আমার মতো করে, হয়তো তাদের মতো করে নয়, এটাই বরং বলা ভালো তাদের মতো করে পারছিনা আমি। আমি তাদের চোখে বোকা। হ্যা আমি বোকা সেটা আমি জানি। খুব সহসাই ক্যামন হয়ে গেলো আমার জীবনটা। সময়ের আগেই আমি বেশী বুড়ো হয়ে গেলাম। মানষিক ভাবে বেশী আর সেটিই আমাকে আরো বেশী বুড়ো করেছে।
কিভাবে আমার সংসার চলে যাচ্ছে আমি জানিনা। সত্যি জানিনা, হিসাব করতে ভয় পাই, কিন্তু খুব হিসাবী হয়ে গেছি। উপায় নেই অবশ্য হিসাবী না হয়ে। জানিনা বললে ভুল হবে, জানি সঞ্চয় থেকে প্রতিমাসে কিছু খরচ হয়, ভাব দেখাই আমি কিছু জানিনা। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে জানিনা। আব্বার সাথে দেখা হয় কিন্তু উনি আমাকে কিছু জিঞ্জাসা করেননা, আমি কি করছি বা কি করবো অথবা কিভাবেই বা চলছে আমার সংসার। আব্বা অবশ্য জানেনই না হয়তো সব কিছু। উনি জানেন আমি ভালোই আছি। শুধু সত্যটা জানে আমার মা। প্রতিদিনই কিছু না কিছু চেষ্টা করে কিনে দিতে যা ডেইলি লাগে একটা সংসারে কিন্তু আমার জানা মতে আম্মার সংসারই চলার কথা নয় আম্মা কেন আর কিভাবে করেন জানিনা। কেননা আজ একবছর আমি আর টাকা দিতে পারিনা তাদের। তবু চলে তো যাচ্ছে তাই না ! হ্যা চলে যাচ্ছে তখন শুধু একটি প্রশ্ন মনের মাঝে আসে ভবিষৎ কি ? এটা যদি হয় বর্তমান ভবিষৎ কি ?

গুছিয়ে নিক সবাই তাদের মতো করে তাদের সামর্থ্যের মধ্যে। অনেক অনেক কথা আমার লিখার মতো কিন্তু হয়ে উঠে না।
আশেপাশের মানুষদের খুব দেখি, দেখি তাদের সুখ, সামর্থ্য আর দু:খ আর কষ্ট। হ্যা সাবই গুছিয়ে নিক ট্রেনটা ছাড়া আগেই...আমি শুধু পিছিয়ে রইলাম সবার সাজানো গুছানো দেখার সাক্ষি হয়ে।

১৯ মে ২০১৮

প্রচন্ড সুখী আর দুশ্চিন্তা মুক্ত আমি হলেও হটাৎই আজ বুকটা ধুক করে উঠলো, কি করছি আমি !
কি আমার ভবিষৎ ?

১৬ মে ২০১৮

আবেগ ছাড়া আমার আর কিছুই নাই, তবে এটাই আমার সব কিছু, যা ছাড়া আবার আমার কোন অস্তিত্ব নাই।
যদিও তার বহি:প্রকাশ নেই, অবলিলায় হত্যা করেছি।
গতকাল রাত ১০টার দিকে আব্বার ফোন, একটু ঘাবড়ে গেলাম বটে, তাড়াহুড়া করে গেলাম, একটু অসুস্থ তবে তেমনটা নয়।
কথায় কথায় অনেক কথাই বললেন, শুনলাম, হ্যা শুধু শুনলাম, কোন উত্তর দেইনি।
যার ভিতরে একটি ছিলো, আমি নাকি স্বাধীনতা চাচ্ছিলাম, তাইতো আলাদা হলাম আমি।
বিন্দু মাত্র অবাক হইনি তার কথায়,
আমি জানতাম, আমার জানাই ছিলো, এমনটা হবে।
অথচ যেদিন বিকেলে আমার ঐরুপ পরিস্থিতিতে আম্মা বললেন আমি যেন আলাদা বাসা নেই, সেদিন আমার প্রথম প্রশ্ন ছিলো আব্বা কি বলেন ?
আম্মার উত্তর ছিলো, তার সম্মতি আছে
এর পর আমার আর কিছু বলার ছিলো না।

গতকাল অবাক না হলেও আজো মনে পড়ে, আম্মার কথা আমার কানে ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো না. আব্বার সম্মতি আছে !
আমি না পেরে বোকার মতো আব্বাকে গিয়ে জিঞ্জাসা করেছিলাম, আব্বা আমাকে স্পষ্টই বললেন হ্যা তার সম্মতি আছে।
অথচ আজ আব্বা কেন এই কথা বলছেন, আমিই নাকি স্বাধীনতা চেয়েছি ? নিশ্চই তাকে সে কথা বলা হয়েছিলো।
আজ আব্বা ফিল করেন আমাদের এক সাথে থাকা উচিৎ। তাহলে কেন সেদিন তিনি বললেন হ্যা তারো সম্মতি আছে।
মনে মনে বলছিলাম, আব্বু একটি ঘরের বাইরেও যে আরো কিছু প্রয়োজন আছে কখনো আমি তা ভাবিও নি।

আজ আমার সব আপন জন আমাকে ফিল করে।
হ্যা আমরা মধ্যব্ত্তি পরিবারের, তারাও এটাও ভেবেছিলো চাকরির সমস্যা হচ্ছে তাই বলে ওর এতবড় সাহস নেই যে চাকরিটা ছেড়ে দেবে, কেননা আমার কপালেও ঐ তকমাটা লাগানো ছিলো, মধ্যবিত্ত। খুব সাহস যারা দেখাতে পারে না। কিন্তু না আমি আত্মঘাতী সাহসটা দেখিয়েই দিলাম। আম্মা প্রায় প্রতিদিন কিছু না কিছু জিনিস কিনে দেন, সেটা যদি ১০০ টাকা মধ্যেও হয় তাহলে মাসে অন্তত আমার ৩০০০ টাকা বাচে। তবে আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই । একটা বেকার মানুষ ঐ বাসায় সবার মাঝে বিষয়টা ক্যামন হতো ভাবতে পারিনা। আম্মা কিভাবে করেন জানিনা, হয়তো ভাইয়ারা আমার জন্য কিছু টাকা দেয়, আমি নিশ্চিত। কিন্তু আমি তো কিছু চাইনি কারো কাছে।

চুপচাপ আব্বার কথা শুনছিলাম কোন উত্তর না দিয়ে আর আব্বার পা টিপছিলাম।
মনে মনে বললাম আব্বু আপনি জানেন না, দুটি মানুষ আমাকে শক্ত হতে শিখিয়েছে।

১৩ মে ২০১৮

আমার চেয়ে সুখী মানুষ পৃথিবীতে খুজে পাওয়া দুস্কর।
কোন স্বপ্ন নাই, নাই কোন টার্গেট জীবনে, নাই কোন দুশ্চিন্তা
শুধু আছে একটা কষ্ট যা বুকে আগলে রেখেছি যত্ন করে, অতি যত্নে।
হারিয়ে গেলে সব শেষ ! সেদিন আর আমাকে খুজে পাওয়া যাবে না।


১২ মে ২০১৮
মাঝে মাঝে খুব কান্না পায়, লুকিয়ে কাদি।
সব কিছুর জন্য আমি ক্যাবল মাত্র আমি দায়ি, নিশ্চই আমার কর্ম অদক্ষতার জন্য অন্য কাউকে দায়ি করতে পারিনা।
দেখতে দেখতে ৭ মাস পার হয়ে গেছে, চাকরিও আর খুজি না, আমি কেন এমনই বা হয়ে গেলাম।
আর কোথাও চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়।

পাইকারীদরে হোটেলে খাওয়ার পরও আমার কেন এখনো টাইফয়েড হয়নি আমি বিস্মিত।
আগে খেতাম ৩৫ টাকা, কি আজব এখন বিল আসে ৫০ টাকা। একপ্লেট ভাত, ডাল, আর একটা ভর্তা।

১১ মে ২০১৮

সবকিছু ক্যামন যেন থেমে আছে, সময় কাটে না। অলসতা, কর্মহীনতা সবকিছু আমাকে জরাজীর্ন করে রেখেছে।
শুধু ব্যায় থেমে নেই, খরচ ক্যাবল উদ্ধমুখি। প্রতিমাসেই কোন না কোন কারনে খরচ ওভারফ্লো।
আজ মাসের ১১ তারিখ অথচ কাছাকাছি ৪০ হাজার টাকা শেষ !
আমি জানি আমি নিভে যাবো, নেভার আগে একটু দুপ করে জ্বলে উঠা।২৪ সেপ্টমবর ২০১৮

এভাবে কিভাবে বেচে থাকা যায়? তবু বেচে আছি, থাকবো হয়তো আল্লাহ যতদিন চান।
তুমি, তুমি, তুমি, তুমি আর তুমি আর তোমরা সবাই..আর তোমারা সবাই ভালো থাকো।

আল্লাহ তুমি আমার দুশ্চিন্তা দুর করে দাও। আমাকে তোমার আরো কাছে নাও। তুমি ছাড়া আর কে আছে আমার হে খোদা।
আর যেন পারছিনা ও আমার সৃষ্টিকর্তা, তুমি আমাকে শান্তি দাও, আমাকে পথ দেখাও।

১৪ সেপ্টমবর ২০১৮

যাবার আগে আব্বা কেঁদে দিলেন।
আমার খুব জানার ই্চ্ছা কেন তিনি কাঁদছিলেন। মৃত্যু ভয়ে নাকি পরিবারের জন্য ? সেদিন প্রেশকিপশনে দেখছিলাম আব্বার বষয় ৭৬ ! ৭৬ এও আব্বা চাকুরী করছেন এমনকি ট্যুরেও যান। তাহলে এতদিনে জীবনকে দেখার বোঝার পাওয়ার আর কিছু অবশেষ আব্বার থাকার কথা নয়। পরিবার সন্তান সন্ততি, জীবন যাপন সবই আব্বার হয়েছে, তবু কেন আব্বা কাদছিলেন ? তাহলে কি একমাত্র মৃত্যু ভয় ? তা সত্যি কেউই মরতে চায়না, এ এক ভীষণ মায়া।
কিন্তুু আমার প্রশ্নটি অজনাই থেকে যাবে কেননা আমি আসলে আব্বাকে প্রশ্নই করতে পারবো না, আপনি কেন কাদছিলেন।

সম্ভবত ২০১৩ কি ১৪ তে মনে নেই যখন আমাকে ওটিতে যেতে হয়, আমিও কেঁদেছিলাম, সত্যি করে যদি বলি, সত্যি বলছি মৃত্যু ভয় আমাকে পায়নি। তখন কাকের বয়ষ দেড় দুবছর, দারুন সময় সেটি, কথা বলে, হাটে সব কিছু। আমার শুধু একটি কথাই মনে হচ্ছিলো আমি যদি আর না আসি, ওকে আমার মতো করে কে ভালোবাসবে ? ওর খাওয়া পড়ার অভাব হবে না, হয়তো আমার অনুপস্থিতে আমার চেয়ে ভালোই কেউ দেবে কিন্তু আমার মতো করে কেউকি ওকে ভালোবাসবে ?

আসলে আমার খুব জানার ই্চ্ছা আব্বা কেন কাঁদছিলেন, নিজের জন্য নাকি তার পরিবারের জন্য।

২৫ অগাষ্ট ২০১৮

আব্বা !

১৭ জুলাই ২০১৮

শেষবার লিখেছিলাম আজ অনেক দিন পর, আজও তাই লিখতে হচ্ছে, এই অনেকদিন বাড়তেই থাকবে সন্দেহ নাই।

- সত্যি বেকুব বনে গেছি আমি, এ কোন সমস্যার পড়লাম জীবনে ! সত্যি কোন পথ পাচ্ছি না, দিন দিন সব কিছু প্রকট হচ্ছে, মনে হচ্ছে জীবনে শেষ পরীক্ষা যেখান থেকে আমি বের হয়তে হতে পারবো কোন রকমে তবে আলোর মুখ আমি আর কোন দিনই দেখবো না।

- কিভাবে দিন যাচ্ছে তা ক্যাবল আমি জানি, এখনো আছি ভাবতে অবাক লাগে, কিভাবে আছি আমি !
- ভালো লাগার বিষয় হলো , একটির পর একটি সবকিছুকে আল্লাহর দেয়া পরীক্ষা হিসাবে মানতে পারছি, এই ভালোলাগা ছাড়া অবশ্য আমার আর কোন পথও খোলা নাই। উনার উপরই ভরসা করে আছি রিযিকের জন্য।


২৩ জুন ২০১৮

আজ অনেক দিন পর, এখন আর বিষয়গুলিকে ধাক্কা মনে হয় না, আল্লাহর অশেষ দয়া।
কেননা ঈদের মাত্র কয়েকদিন আগে আমি এমন একটি সংবাদ শুনবো তা ভাবিনি, গত দুবছর ঈদ বলে আর কিছু ছিলো না, এবার ব্যতিক্রম কি। আলহামদুলইল্লাহ। আল্লাহ আপনি আমার সহায় হোন।
৬ জুন ২০১৮

১লা জুনের ধাক্কাটা না সামলাতেই আরো একটি। আলহামদুলইল্লাহ তবুও।
বাইক চালাতেই ভয় পাই, আত্মবিশ্বাস বলতে যেন আর কিছু নেই। কিন্তু গতকাল যা হলো তার পরও আমি বেচে আছি, ভালো আছি, আল্লাহ আমাকে হায়াত দিয়েছেন তার শুকরিয়া।

যখন ঞ্জান ফিরলো লাশ ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি নিজেকে, কানে কিছু হাহাকার আর চিৎকার শুনছিলাম, ঘোলা চোখে ভরা বালতিটার উপচে পড়া পানি গড়াতে দেখলাম। নগ্ন আমি শুয়েই আছি, শুধু কবরে নয়, বাথরুমে।

২ জুন ২০১৮

আমি যখন লিখি লজ্জ্বা পাই নিশ্চই আমি অনেক ভালো আছি, তাদের কি অবস্থা যারা আমার চেয়ে কষ্টে আছে। আল্লাহ তুমি তাদের সবাইকে ভালো রাখো।


১ জুন ২০১৮

ক্যামন যেন হয়ে গেল সবকিছু, আমার জীবনটা, পারছিনা যেন আর। বেশীর ভাগ সময় আল্লাহর সাহায্য আর তার করুনার আশায় জিকির করতে থাকি কিন্তু কিছুতেই যেন আর কুলিয়ে উঠতে পারছিনা। সব দিক থেকে নেগেটিভ আর সব কিছু বন্ধ হবার উপক্রম।
এখন আমার অন্যতম বললেও ভুল হয় প্রধান বলাটাই ঠিক, ব্যবসা সেটিরও করুন দশা আজ। হ্যা সব কিছুর জন্য আমিই দায়ি।

আমি জানি আমার শেষ লেখা গুলির একটি এটি।

পারিবারিক সম্পর্ক আমাদের কখনোই ভালো ছিলো না, ধিরে ধিরে তা তলানির পর্যায়ে পৌছে গেছে। আমার আসল চরিত্র এখন ক্রমাগত প্রকাশ পাচ্ছে। যখন আমার উপর চাপ বাড়ছে তখন আমার জবান দিয়ে বের হচ্চে আমার আসল ভাষা।

জীবনে এখন যে আর খুব বেশী কিছু চাওয়া পাওয়ার আছে তা কিন্তু নয় অথচ আমি সেটুকু্ই আর দিতে পারছিনা। বর্তমান এর চেয়ে ভবিষৎ কি তা ভাবলে ....

২৬ মে ২০১৮

আমার মতো বোকারাই শুধু এভাবে বিলাপ বকে, কাজের কাজ না করে শুধু হাতাশা আর ভাগ্যের দোষ দেয়া। সত্যি আমি খুব বোকা। সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই ব্যস্ত, শুধু ব্যস্ত না আমি, আরাম আয়েশে চিন্তাহীন সময় পার করছি। আমি সত্যি জানিনা ভবিষৎ কি, খুব সন্নিকটে আমার ভবিষৎ যা পুরোটাই অন্ধকারে ঢাকা

বিকেল,
অবশেষে আমি করেই ফেললাম, করার কথাই ছিলো আজ নয়তো কাল। এই সেদিনই বোধ হয় লিখছিলাম, এ কোন শহরে আমার বসবাস। আসলেও তাই, রাজপথে আমি পড়ে রয়েছি, কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, সবাই সাবার মতো ব্যস্ত, কি কাততলিয় আজ সকালেই কথাটি লিখছিলাম "সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই ব্যস্ত, শুধু ব্যস্ত না আমি"। এটাই খুব স্বাভাবিক সবাই এগিয়ে যাবে ও যাক।

দুজন অবশ্য এগিয়ে আসলো পরে, দুজনেই তরুন ছাত্র। ভালো লাগলো। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া স্পিড কমিয়ে এনিছিলাম, যা হবার অল্পের উপর দিয়ে গেছে, কিন্তুু চিৎপটাংটা রক্ষা করতে পারিনি, কোথায় কোথায় ব্যাথা পেয়েছি তার চেয়ে বরাবরের মতো এবারো আমি ভাবছিলাম হাটুর ছিড়ে যাওয়া প্যান্টটা দেখে, নুতনই ছিলো আরো অনেক দিন পড়া যেতে, তারপর মনে হলো বাইকটার কি হলো কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে একটা প্রশ্ন, চাকার নিচে পড়া কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে আমাকে কি বলছিলো...গালি নাকি বলছিলো কুকুর কোথাকার !

২৫ মে ২০১৮

এত হিসাবী জীবন ভালো লাগেনা, জীবনে কখনো হিসাব করিনি। কষ্ট হয়, কিন্তু এটাই বাস্তবতা। মাঝে মাঝে আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখে হাসি, করুনা হয় নিজের উপর। প্রশ্ন করি দুটো, উত্তর পাইনা একটিরও।

২৩ মে ২০১৮

প্রতিবছরই রোযা খুব দ্রুত চলে যায়। সবকিছু কত পাল্টে গেছে, অবশ্য মাঝে মাঝে ভুলেই যাই আমি রাজধানীতে বাস করি। এটা বানিজ্যর শহর। সবাই কিছু না কিছু কিনতে আর বিক্রি করতে ব্যস্ত। রোযার আগেই দেখছি ঈদ শুরু হয়ে গেছে। অথচ মনে পড়ে ছোট বেলায় রোযা মানে ছিলো রোযা, ধর্ম, কর্ম, ইবাদতই ছিলো ছোট বড় সবার মূল ভাবনা। অবশ্য জেলা শহরের কথা আলাদা, তবে এখন সেখানকার চিত্রও পাল্টে গেছে, প্রথম রোযাতে ঢাকার চিত্র দেখে যেন নিজের কাছে একটু লজ্বাই পেলাম, এ কোন শহরে বসবাস আমার।

আবারো একটা ঈদ আসন্ন। তবে এবার আমি অভিঞ্জ, গতবার একটি ঈদ আমি পার করেছি আমার ব্যর্থতা আর অপারগতার সাগরে সাতার কেটে। এবার আমার চামড়াও মোটা হয়ে গেছে, শুকিয়ে গেছে চোখের পানি, ব্যাপার নহে। আমার আমিকে প্রকাশ তো হতেই হবে তাই না ? আগামী বছর আমি আরো অভিঞ্জ হয়ে যাবো, ততদিনে ঈদ এর সংগা আমার কাছে পাল্টে যাবে, যদিও এখনি ঈদ আর কোন বিশেষ দিন নয় আমার বা আমার উপর যারা নির্ভরশীল তাদের কাছে।

২০ মে ২০১৮

আশেপাশের সবাই গুছিয়ে নিচ্ছে তাদের জীবন, আমিও নিচ্ছি আমার মতো করে, হয়তো তাদের মতো করে নয়, এটাই বরং বলা ভালো তাদের মতো করে পারছিনা আমি। আমি তাদের চোখে বোকা। হ্যা আমি বোকা সেটা আমি জানি। খুব সহসাই ক্যামন হয়ে গেলো আমার জীবনটা। সময়ের আগেই আমি বেশী বুড়ো হয়ে গেলাম। মানষিক ভাবে বেশী আর সেটিই আমাকে আরো বেশী বুড়ো করেছে।
কিভাবে আমার সংসার চলে যাচ্ছে আমি জানিনা। সত্যি জানিনা, হিসাব করতে ভয় পাই, কিন্তু খুব হিসাবী হয়ে গেছি। উপায় নেই অবশ্য হিসাবী না হয়ে। জানিনা বললে ভুল হবে, জানি সঞ্চয় থেকে প্রতিমাসে কিছু খরচ হয়, ভাব দেখাই আমি কিছু জানিনা। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে জানিনা। আব্বার সাথে দেখা হয় কিন্তু উনি আমাকে কিছু জিঞ্জাসা করেননা, আমি কি করছি বা কি করবো অথবা কিভাবেই বা চলছে আমার সংসার। আব্বা অবশ্য জানেনই না হয়তো সব কিছু। উনি জানেন আমি ভালোই আছি। শুধু সত্যটা জানে আমার মা। প্রতিদিনই কিছু না কিছু চেষ্টা করে কিনে দিতে যা ডেইলি লাগে একটা সংসারে কিন্তু আমার জানা মতে আম্মার সংসারই চলার কথা নয় আম্মা কেন আর কিভাবে করেন জানিনা। কেননা আজ একবছর আমি আর টাকা দিতে পারিনা তাদের। তবু চলে তো যাচ্ছে তাই না ! হ্যা চলে যাচ্ছে তখন শুধু একটি প্রশ্ন মনের মাঝে আসে ভবিষৎ কি ? এটা যদি হয় বর্তমান ভবিষৎ কি ?

গুছিয়ে নিক সবাই তাদের মতো করে তাদের সামর্থ্যের মধ্যে। অনেক অনেক কথা আমার লিখার মতো কিন্তু হয়ে উঠে না।
আশেপাশের মানুষদের খুব দেখি, দেখি তাদের সুখ, সামর্থ্য আর দু:খ আর কষ্ট। হ্যা সাবই গুছিয়ে নিক ট্রেনটা ছাড়া আগেই...আমি শুধু পিছিয়ে রইলাম সবার সাজানো গুছানো দেখার সাক্ষি হয়ে।

১৯ মে ২০১৮

প্রচন্ড সুখী আর দুশ্চিন্তা মুক্ত আমি হলেও হটাৎই আজ বুকটা ধুক করে উঠলো, কি করছি আমি !
কি আমার ভবিষৎ ?

১৬ মে ২০১৮

আবেগ ছাড়া আমার আর কিছুই নাই, তবে এটাই আমার সব কিছু, যা ছাড়া আবার আমার কোন অস্তিত্ব নাই।
যদিও তার বহি:প্রকাশ নেই, অবলিলায় হত্যা করেছি।
গতকাল রাত ১০টার দিকে আব্বার ফোন, একটু ঘাবড়ে গেলাম বটে, তাড়াহুড়া করে গেলাম, একটু অসুস্থ তবে তেমনটা নয়।
কথায় কথায় অনেক কথাই বললেন, শুনলাম, হ্যা শুধু শুনলাম, কোন উত্তর দেইনি।
যার ভিতরে একটি ছিলো, আমি নাকি স্বাধীনতা চাচ্ছিলাম, তাইতো আলাদা হলাম আমি।
বিন্দু মাত্র অবাক হইনি তার কথায়,
আমি জানতাম, আমার জানাই ছিলো, এমনটা হবে।
অথচ যেদিন বিকেলে আমার ঐরুপ পরিস্থিতিতে আম্মা বললেন আমি যেন আলাদা বাসা নেই, সেদিন আমার প্রথম প্রশ্ন ছিলো আব্বা কি বলেন ?
আম্মার উত্তর ছিলো, তার সম্মতি আছে
এর পর আমার আর কিছু বলার ছিলো না।

গতকাল অবাক না হলেও আজো মনে পড়ে, আম্মার কথা আমার কানে ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো না. আব্বার সম্মতি আছে !
আমি না পেরে বোকার মতো আব্বাকে গিয়ে জিঞ্জাসা করেছিলাম, আব্বা আমাকে স্পষ্টই বললেন হ্যা তার সম্মতি আছে।
অথচ আজ আব্বা কেন এই কথা বলছেন, আমিই নাকি স্বাধীনতা চেয়েছি ? নিশ্চই তাকে সে কথা বলা হয়েছিলো।
আজ আব্বা ফিল করেন আমাদের এক সাথে থাকা উচিৎ। তাহলে কেন সেদিন তিনি বললেন হ্যা তারো সম্মতি আছে।
মনে মনে বলছিলাম, আব্বু একটি ঘরের বাইরেও যে আরো কিছু প্রয়োজন আছে কখনো আমি তা ভাবিও নি।

আজ আমার সব আপন জন আমাকে ফিল করে।
হ্যা আমরা মধ্যব্ত্তি পরিবারের, তারাও এটাও ভেবেছিলো চাকরির সমস্যা হচ্ছে তাই বলে ওর এতবড় সাহস নেই যে চাকরিটা ছেড়ে দেবে, কেননা আমার কপালেও ঐ তকমাটা লাগানো ছিলো, মধ্যবিত্ত। খুব সাহস যারা দেখাতে পারে না। কিন্তু না আমি আত্মঘাতী সাহসটা দেখিয়েই দিলাম। আম্মা প্রায় প্রতিদিন কিছু না কিছু জিনিস কিনে দেন, সেটা যদি ১০০ টাকা মধ্যেও হয় তাহলে মাসে অন্তত আমার ৩০০০ টাকা বাচে। তবে আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই । একটা বেকার মানুষ ঐ বাসায় সবার মাঝে বিষয়টা ক্যামন হতো ভাবতে পারিনা। আম্মা কিভাবে করেন জানিনা, হয়তো ভাইয়ারা আমার জন্য কিছু টাকা দেয়, আমি নিশ্চিত। কিন্তু আমি তো কিছু চাইনি কারো কাছে।

চুপচাপ আব্বার কথা শুনছিলাম কোন উত্তর না দিয়ে আর আব্বার পা টিপছিলাম।
মনে মনে বললাম আব্বু আপনি জানেন না, দুটি মানুষ আমাকে শক্ত হতে শিখিয়েছে।

১৩ মে ২০১৮

আমার চেয়ে সুখী মানুষ পৃথিবীতে খুজে পাওয়া দুস্কর।
কোন স্বপ্ন নাই, নাই কোন টার্গেট জীবনে, নাই কোন দুশ্চিন্তা
শুধু আছে একটা কষ্ট যা বুকে আগলে রেখেছি যত্ন করে, অতি যত্নে।
হারিয়ে গেলে সব শেষ ! সেদিন আর আমাকে খুজে পাওয়া যাবে না।


১২ মে ২০১৮
মাঝে মাঝে খুব কান্না পায়, লুকিয়ে কাদি।
সব কিছুর জন্য আমি ক্যাবল মাত্র আমি দায়ি, নিশ্চই আমার কর্ম অদক্ষতার জন্য অন্য কাউকে দায়ি করতে পারিনা।
দেখতে দেখতে ৭ মাস পার হয়ে গেছে, চাকরিও আর খুজি না, আমি কেন এমনই বা হয়ে গেলাম।
আর কোথাও চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়।

পাইকারীদরে হোটেলে খাওয়ার পরও আমার কেন এখনো টাইফয়েড হয়নি আমি বিস্মিত।
আগে খেতাম ৩৫ টাকা, কি আজব এখন বিল আসে ৫০ টাকা। একপ্লেট ভাত, ডাল, আর একটা ভর্তা।

১১ মে ২০১৮
সবকিছু ক্যামন যেন থেমে আছে, সময় কাটে না। অলসতা, কর্মহীনতা সবকিছু আমাকে জরাজীর্ন করে রেখেছে।
শুধু ব্যায় থেমে নেই, খরচ ক্যাবল উদ্ধমুখি। প্রতিমাসেই কোন না কোন কারনে খরচ ওভারফ্লো।
আজ মাসের ১১ তারিখ অথচ কাছাকাছি ৪০ হাজার টাকা শেষ !
আমি জানি আমি নিভে যাবো, নেভার আগে একটু দুপ করে জ্বলে উঠা।
২৩ জুন ২০১৮

আজ অনেক দিন পর, এখন আর বিষয়গুলিকে ধাক্কা মনে হয় না, আল্লাহর অশেষ দয়া।
কেননা ঈদের মাত্র কয়েকদিন আগে আমি এমন একটি সংবাদ শুনবো তা ভাবিনি, গত দুবছর ঈদ বলে আর কিছু ছিলো না, এবার ব্যতিক্রম কি। আলহামদুলইল্লাহ। আল্লাহ আপনি আমার সহায় হোন।
৬ জুন ২০১৮

১লা জুনের ধাক্কাটা না সামলাতেই আরো একটি। আলহামদুলইল্লাহ তবুও।
বাইক চালাতেই ভয় পাই, আত্মবিশ্বাস বলতে যেন আর কিছু নেই। কিন্তু গতকাল যা হলো তার পরও আমি বেচে আছি, ভালো আছি, আল্লাহ আমাকে হায়াত দিয়েছেন তার শুকরিয়া।

যখন ঞ্জান ফিরলো লাশ ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি নিজেকে, কানে কিছু হাহাকার আর চিৎকার শুনছিলাম, ঘোলা চোখে ভরা বালতিটার উপচে পড়া পানি গড়াতে দেখলাম। নগ্ন আমি শুয়েই আছি, শুধু কবরে নয়, বাথরুমে।

২ জুন ২০১৮

আমি যখন লিখি লজ্জ্বা পাই নিশ্চই আমি অনেক ভালো আছি, তাদের কি অবস্থা যারা আমার চেয়ে কষ্টে আছে। আল্লাহ তুমি তাদের সবাইকে ভালো রাখো।


১ জুন ২০১৮

ক্যামন যেন হয়ে গেল সবকিছু, আমার জীবনটা, পারছিনা যেন আর। বেশীর ভাগ সময় আল্লাহর সাহায্য আর তার করুনার আশায় জিকির করতে থাকি কিন্তু কিছুতেই যেন আর কুলিয়ে উঠতে পারছিনা। সব দিক থেকে নেগেটিভ আর সব কিছু বন্ধ হবার উপক্রম।
এখন আমার অন্যতম বললেও ভুল হয় প্রধান বলাটাই ঠিক, ব্যবসা সেটিরও করুন দশা আজ। হ্যা সব কিছুর জন্য আমিই দায়ি।

আমি জানি আমার শেষ লেখা গুলির একটি এটি।

পারিবারিক সম্পর্ক আমাদের কখনোই ভালো ছিলো না, ধিরে ধিরে তা তলানির পর্যায়ে পৌছে গেছে। আমার আসল চরিত্র এখন ক্রমাগত প্রকাশ পাচ্ছে। যখন আমার উপর চাপ বাড়ছে তখন আমার জবান দিয়ে বের হচ্চে আমার আসল ভাষা।

জীবনে এখন যে আর খুব বেশী কিছু চাওয়া পাওয়ার আছে তা কিন্তু নয় অথচ আমি সেটুকু্ই আর দিতে পারছিনা। বর্তমান এর চেয়ে ভবিষৎ কি তা ভাবলে ....

২৬ মে ২০১৮

আমার মতো বোকারাই শুধু এভাবে বিলাপ বকে, কাজের কাজ না করে শুধু হাতাশা আর ভাগ্যের দোষ দেয়া। সত্যি আমি খুব বোকা। সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই ব্যস্ত, শুধু ব্যস্ত না আমি, আরাম আয়েশে চিন্তাহীন সময় পার করছি। আমি সত্যি জানিনা ভবিষৎ কি, খুব সন্নিকটে আমার ভবিষৎ যা পুরোটাই অন্ধকারে ঢাকা

বিকেল,
অবশেষে আমি করেই ফেললাম, করার কথাই ছিলো আজ নয়তো কাল। এই সেদিনই বোধ হয় লিখছিলাম, এ কোন শহরে আমার বসবাস। আসলেও তাই, রাজপথে আমি পড়ে রয়েছি, কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, সবাই সাবার মতো ব্যস্ত, কি কাততলিয় আজ সকালেই কথাটি লিখছিলাম "সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই ব্যস্ত, শুধু ব্যস্ত না আমি"। এটাই খুব স্বাভাবিক সবাই এগিয়ে যাবে ও যাক।

দুজন অবশ্য এগিয়ে আসলো পরে, দুজনেই তরুন ছাত্র। ভালো লাগলো। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া স্পিড কমিয়ে এনিছিলাম, যা হবার অল্পের উপর দিয়ে গেছে, কিন্তুু চিৎপটাংটা রক্ষা করতে পারিনি, কোথায় কোথায় ব্যাথা পেয়েছি তার চেয়ে বরাবরের মতো এবারো আমি ভাবছিলাম হাটুর ছিড়ে যাওয়া প্যান্টটা দেখে, নুতনই ছিলো আরো অনেক দিন পড়া যেতে, তারপর মনে হলো বাইকটার কি হলো কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে একটা প্রশ্ন, চাকার নিচে পড়া কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে আমাকে কি বলছিলো...গালি নাকি বলছিলো কুকুর কোথাকার !

২৫ মে ২০১৮

এত হিসাবী জীবন ভালো লাগেনা, জীবনে কখনো হিসাব করিনি। কষ্ট হয়, কিন্তু এটাই বাস্তবতা। মাঝে মাঝে আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখে হাসি, করুনা হয় নিজের উপর। প্রশ্ন করি দুটো, উত্তর পাইনা একটিরও।

২৩ মে ২০১৮

প্রতিবছরই রোযা খুব দ্রুত চলে যায়। সবকিছু কত পাল্টে গেছে, অবশ্য মাঝে মাঝে ভুলেই যাই আমি রাজধানীতে বাস করি। এটা বানিজ্যর শহর। সবাই কিছু না কিছু কিনতে আর বিক্রি করতে ব্যস্ত। রোযার আগেই দেখছি ঈদ শুরু হয়ে গেছে। অথচ মনে পড়ে ছোট বেলায় রোযা মানে ছিলো রোযা, ধর্ম, কর্ম, ইবাদতই ছিলো ছোট বড় সবার মূল ভাবনা। অবশ্য জেলা শহরের কথা আলাদা, তবে এখন সেখানকার চিত্রও পাল্টে গেছে, প্রথম রোযাতে ঢাকার চিত্র দেখে যেন নিজের কাছে একটু লজ্বাই পেলাম, এ কোন শহরে বসবাস আমার।

আবারো একটা ঈদ আসন্ন। তবে এবার আমি অভিঞ্জ, গতবার একটি ঈদ আমি পার করেছি আমার ব্যর্থতা আর অপারগতার সাগরে সাতার কেটে। এবার আমার চামড়াও মোটা হয়ে গেছে, শুকিয়ে গেছে চোখের পানি, ব্যাপার নহে। আমার আমিকে প্রকাশ তো হতেই হবে তাই না ? আগামী বছর আমি আরো অভিঞ্জ হয়ে যাবো, ততদিনে ঈদ এর সংগা আমার কাছে পাল্টে যাবে, যদিও এখনি ঈদ আর কোন বিশেষ দিন নয় আমার বা আমার উপর যারা নির্ভরশীল তাদের কাছে।

২০ মে ২০১৮

আশেপাশের সবাই গুছিয়ে নিচ্ছে তাদের জীবন, আমিও নিচ্ছি আমার মতো করে, হয়তো তাদের মতো করে নয়, এটাই বরং বলা ভালো তাদের মতো করে পারছিনা আমি। আমি তাদের চোখে বোকা। হ্যা আমি বোকা সেটা আমি জানি। খুব সহসাই ক্যামন হয়ে গেলো আমার জীবনটা। সময়ের আগেই আমি বেশী বুড়ো হয়ে গেলাম। মানষিক ভাবে বেশী আর সেটিই আমাকে আরো বেশী বুড়ো করেছে।
কিভাবে আমার সংসার চলে যাচ্ছে আমি জানিনা। সত্যি জানিনা, হিসাব করতে ভয় পাই, কিন্তু খুব হিসাবী হয়ে গেছি। উপায় নেই অবশ্য হিসাবী না হয়ে। জানিনা বললে ভুল হবে, জানি সঞ্চয় থেকে প্রতিমাসে কিছু খরচ হয়, ভাব দেখাই আমি কিছু জানিনা। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে জানিনা। আব্বার সাথে দেখা হয় কিন্তু উনি আমাকে কিছু জিঞ্জাসা করেননা, আমি কি করছি বা কি করবো অথবা কিভাবেই বা চলছে আমার সংসার। আব্বা অবশ্য জানেনই না হয়তো সব কিছু। উনি জানেন আমি ভালোই আছি। শুধু সত্যটা জানে আমার মা। প্রতিদিনই কিছু না কিছু চেষ্টা করে কিনে দিতে যা ডেইলি লাগে একটা সংসারে কিন্তু আমার জানা মতে আম্মার সংসারই চলার কথা নয় আম্মা কেন আর কিভাবে করেন জানিনা। কেননা আজ একবছর আমি আর টাকা দিতে পারিনা তাদের। তবু চলে তো যাচ্ছে তাই না ! হ্যা চলে যাচ্ছে তখন শুধু একটি প্রশ্ন মনের মাঝে আসে ভবিষৎ কি ? এটা যদি হয় বর্তমান ভবিষৎ কি ?

গুছিয়ে নিক সবাই তাদের মতো করে তাদের সামর্থ্যের মধ্যে। অনেক অনেক কথা আমার লিখার মতো কিন্তু হয়ে উঠে না।
আশেপাশের মানুষদের খুব দেখি, দেখি তাদের সুখ, সামর্থ্য আর দু:খ আর কষ্ট। হ্যা সাবই গুছিয়ে নিক ট্রেনটা ছাড়া আগেই...আমি শুধু পিছিয়ে রইলাম সবার সাজানো গুছানো দেখার সাক্ষি হয়ে।

১৯ মে ২০১৮

প্রচন্ড সুখী আর দুশ্চিন্তা মুক্ত আমি হলেও হটাৎই আজ বুকটা ধুক করে উঠলো, কি করছি আমি !
কি আমার ভবিষৎ ?

১৬ মে ২০১৮

আবেগ ছাড়া আমার আর কিছুই নাই, তবে এটাই আমার সব কিছু, যা ছাড়া আবার আমার কোন অস্তিত্ব নাই।
যদিও তার বহি:প্রকাশ নেই, অবলিলায় হত্যা করেছি।
গতকাল রাত ১০টার দিকে আব্বার ফোন, একটু ঘাবড়ে গেলাম বটে, তাড়াহুড়া করে গেলাম, একটু অসুস্থ তবে তেমনটা নয়।
কথায় কথায় অনেক কথাই বললেন, শুনলাম, হ্যা শুধু শুনলাম, কোন উত্তর দেইনি।
যার ভিতরে একটি ছিলো, আমি নাকি স্বাধীনতা চাচ্ছিলাম, তাইতো আলাদা হলাম আমি।
বিন্দু মাত্র অবাক হইনি তার কথায়,
আমি জানতাম, আমার জানাই ছিলো, এমনটা হবে।
অথচ যেদিন বিকেলে আমার ঐরুপ পরিস্থিতিতে আম্মা বললেন আমি যেন আলাদা বাসা নেই, সেদিন আমার প্রথম প্রশ্ন ছিলো আব্বা কি বলেন ?
আম্মার উত্তর ছিলো, তার সম্মতি আছে
এর পর আমার আর কিছু বলার ছিলো না।

গতকাল অবাক না হলেও আজো মনে পড়ে, আম্মার কথা আমার কানে ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো না. আব্বার সম্মতি আছে !
আমি না পেরে বোকার মতো আব্বাকে গিয়ে জিঞ্জাসা করেছিলাম, আব্বা আমাকে স্পষ্টই বললেন হ্যা তার সম্মতি আছে।
অথচ আজ আব্বা কেন এই কথা বলছেন, আমিই নাকি স্বাধীনতা চেয়েছি ? নিশ্চই তাকে সে কথা বলা হয়েছিলো।
আজ আব্বা ফিল করেন আমাদের এক সাথে থাকা উচিৎ। তাহলে কেন সেদিন তিনি বললেন হ্যা তারো সম্মতি আছে।
মনে মনে বলছিলাম, আব্বু একটি ঘরের বাইরেও যে আরো কিছু প্রয়োজন আছে কখনো আমি তা ভাবিও নি।

আজ আমার সব আপন জন আমাকে ফিল করে।
হ্যা আমরা মধ্যব্ত্তি পরিবারের, তারাও এটাও ভেবেছিলো চাকরির সমস্যা হচ্ছে তাই বলে ওর এতবড় সাহস নেই যে চাকরিটা ছেড়ে দেবে, কেননা আমার কপালেও ঐ তকমাটা লাগানো ছিলো, মধ্যবিত্ত। খুব সাহস যারা দেখাতে পারে না। কিন্তু না আমি আত্মঘাতী সাহসটা দেখিয়েই দিলাম। আম্মা প্রায় প্রতিদিন কিছু না কিছু জিনিস কিনে দেন, সেটা যদি ১০০ টাকা মধ্যেও হয় তাহলে মাসে অন্তত আমার ৩০০০ টাকা বাচে। তবে আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই । একটা বেকার মানুষ ঐ বাসায় সবার মাঝে বিষয়টা ক্যামন হতো ভাবতে পারিনা। আম্মা কিভাবে করেন জানিনা, হয়তো ভাইয়ারা আমার জন্য কিছু টাকা দেয়, আমি নিশ্চিত। কিন্তু আমি তো কিছু চাইনি কারো কাছে।

চুপচাপ আব্বার কথা শুনছিলাম কোন উত্তর না দিয়ে আর আব্বার পা টিপছিলাম।
মনে মনে বললাম আব্বু আপনি জানেন না, দুটি মানুষ আমাকে শক্ত হতে শিখিয়েছে।

১৩ মে ২০১৮

আমার চেয়ে সুখী মানুষ পৃথিবীতে খুজে পাওয়া দুস্কর।
কোন স্বপ্ন নাই, নাই কোন টার্গেট জীবনে, নাই কোন দুশ্চিন্তা
শুধু আছে একটা কষ্ট যা বুকে আগলে রেখেছি যত্ন করে, অতি যত্নে।
হারিয়ে গেলে সব শেষ ! সেদিন আর আমাকে খুজে পাওয়া যাবে না।


১২ মে ২০১৮
মাঝে মাঝে খুব কান্না পায়, লুকিয়ে কাদি।
সব কিছুর জন্য আমি ক্যাবল মাত্র আমি দায়ি, নিশ্চই আমার কর্ম অদক্ষতার জন্য অন্য কাউকে দায়ি করতে পারিনা।
দেখতে দেখতে ৭ মাস পার হয়ে গেছে, চাকরিও আর খুজি না, আমি কেন এমনই বা হয়ে গেলাম।
আর কোথাও চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়।

পাইকারীদরে হোটেলে খাওয়ার পরও আমার কেন এখনো টাইফয়েড হয়নি আমি বিস্মিত।
আগে খেতাম ৩৫ টাকা, কি আজব এখন বিল আসে ৫০ টাকা। একপ্লেট ভাত, ডাল, আর একটা ভর্তা।

১১ মে ২০১৮

সবকিছু ক্যামন যেন থেমে আছে, সময় কাটে না। অলসতা, কর্মহীনতা সবকিছু আমাকে জরাজীর্ন করে রেখেছে।
শুধু ব্যায় থেমে নেই, খরচ ক্যাবল উদ্ধমুখি। প্রতিমাসেই কোন না কোন কারনে খরচ ওভারফ্লো।
আজ মাসের ১১ তারিখ অথচ কাছাকাছি ৪০ হাজার টাকা শেষ !
আমি জানি আমি নিভে যাবো, নেভার আগে একটু দুপ করে জ্বলে উঠা।১৪ সেপ্টমবর ২০১৮

যাবার আগে আব্বা কেঁদে দিলেন।
আমার খুব জানার ই্চ্ছা কেন তিনি কাঁদছিলেন। মৃত্যু ভয়ে নাকি পরিবারের জন্য ? সেদিন প্রেশকিপশনে দেখছিলাম আব্বার বষয় ৭৬ ! ৭৬ এও আব্বা চাকুরী করছেন এমনকি ট্যুরেও যান। তাহলে এতদিনে জীবনকে দেখার বোঝার পাওয়ার আর কিছু অবশেষ আব্বার থাকার কথা নয়। পরিবার সন্তান সন্ততি, জীবন যাপন সবই আব্বার হয়েছে, তবু কেন আব্বা কাদছিলেন ? তাহলে কি একমাত্র মৃত্যু ভয় ? তা সত্যি কেউই মরতে চায়না, এ এক ভীষণ মায়া।
কিন্তুু আমার প্রশ্নটি অজনাই থেকে যাবে কেননা আমি আসলে আব্বাকে প্রশ্নই করতে পারবো না, আপনি কেন কাদছিলেন।

সম্ভবত ২০১৩ কি ১৪ তে মনে নেই যখন আমাকে ওটিতে যেতে হয়, আমিও কেঁদেছিলাম, সত্যি করে যদি বলি, সত্যি বলছি মৃত্যু ভয় আমাকে পায়নি। তখন কাকের বয়ষ দেড় দুবছর, দারুন সময় সেটি, কথা বলে, হাটে সব কিছু। আমার শুধু একটি কথাই মনে হচ্ছিলো আমি যদি আর না আসি, ওকে আমার মতো করে কে ভালোবাসবে ? ওর খাওয়া পড়ার অভাব হবে না, হয়তো আমার অনুপস্থিতে আমার চেয়ে ভালোই কেউ দেবে কিন্তু আমার মতো করে কেউকি ওকে ভালোবাসবে ?

আসলে আমার খুব জানার ই্চ্ছা আব্বা কেন কাঁদছিলেন, নিজের জন্য নাকি তার পরিবারের জন্য।

২৫ অগাষ্ট ২০১৮

আব্বা !

১৭ জুলাই ২০১৮

শেষবার লিখেছিলাম আজ অনেক দিন পর, আজও তাই লিখতে হচ্ছে, এই অনেকদিন বাড়তেই থাকবে সন্দেহ নাই।

- সত্যি বেকুব বনে গেছি আমি, এ কোন সমস্যার পড়লাম জীবনে ! সত্যি কোন পথ পাচ্ছি না, দিন দিন সব কিছু প্রকট হচ্ছে, মনে হচ্ছে জীবনে শেষ পরীক্ষা যেখান থেকে আমি বের হয়তে হতে পারবো কোন রকমে তবে আলোর মুখ আমি আর কোন দিনই দেখবো না।

- কিভাবে দিন যাচ্ছে তা ক্যাবল আমি জানি, এখনো আছি ভাবতে অবাক লাগে, কিভাবে আছি আমি !
- ভালো লাগার বিষয় হলো , একটির পর একটি সবকিছুকে আল্লাহর দেয়া পরীক্ষা হিসাবে মানতে পারছি, এই ভালোলাগা ছাড়া অবশ্য আমার আর কোন পথও খোলা নাই। উনার উপরই ভরসা করে আছি রিযিকের জন্য।


২৩ জুন ২০১৮

আজ অনেক দিন পর, এখন আর বিষয়গুলিকে ধাক্কা মনে হয় না, আল্লাহর অশেষ দয়া।
কেননা ঈদের মাত্র কয়েকদিন আগে আমি এমন একটি সংবাদ শুনবো তা ভাবিনি, গত দুবছর ঈদ বলে আর কিছু ছিলো না, এবার ব্যতিক্রম কি। আলহামদুলইল্লাহ। আল্লাহ আপনি আমার সহায় হোন।
৬ জুন ২০১৮

১লা জুনের ধাক্কাটা না সামলাতেই আরো একটি। আলহামদুলইল্লাহ তবুও।
বাইক চালাতেই ভয় পাই, আত্মবিশ্বাস বলতে যেন আর কিছু নেই। কিন্তু গতকাল যা হলো তার পরও আমি বেচে আছি, ভালো আছি, আল্লাহ আমাকে হায়াত দিয়েছেন তার শুকরিয়া।

যখন ঞ্জান ফিরলো লাশ ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি নিজেকে, কানে কিছু হাহাকার আর চিৎকার শুনছিলাম, ঘোলা চোখে ভরা বালতিটার উপচে পড়া পানি গড়াতে দেখলাম। নগ্ন আমি শুয়েই আছি, শুধু কবরে নয়, বাথরুমে।

২ জুন ২০১৮

আমি যখন লিখি লজ্জ্বা পাই নিশ্চই আমি অনেক ভালো আছি, তাদের কি অবস্থা যারা আমার চেয়ে কষ্টে আছে। আল্লাহ তুমি তাদের সবাইকে ভালো রাখো।


১ জুন ২০১৮

ক্যামন যেন হয়ে গেল সবকিছু, আমার জীবনটা, পারছিনা যেন আর। বেশীর ভাগ সময় আল্লাহর সাহায্য আর তার করুনার আশায় জিকির করতে থাকি কিন্তু কিছুতেই যেন আর কুলিয়ে উঠতে পারছিনা। সব দিক থেকে নেগেটিভ আর সব কিছু বন্ধ হবার উপক্রম।
এখন আমার অন্যতম বললেও ভুল হয় প্রধান বলাটাই ঠিক, ব্যবসা সেটিরও করুন দশা আজ। হ্যা সব কিছুর জন্য আমিই দায়ি।

আমি জানি আমার শেষ লেখা গুলির একটি এটি।

পারিবারিক সম্পর্ক আমাদের কখনোই ভালো ছিলো না, ধিরে ধিরে তা তলানির পর্যায়ে পৌছে গেছে। আমার আসল চরিত্র এখন ক্রমাগত প্রকাশ পাচ্ছে। যখন আমার উপর চাপ বাড়ছে তখন আমার জবান দিয়ে বের হচ্চে আমার আসল ভাষা।

জীবনে এখন যে আর খুব বেশী কিছু চাওয়া পাওয়ার আছে তা কিন্তু নয় অথচ আমি সেটুকু্ই আর দিতে পারছিনা। বর্তমান এর চেয়ে ভবিষৎ কি তা ভাবলে ....

২৬ মে ২০১৮

আমার মতো বোকারাই শুধু এভাবে বিলাপ বকে, কাজের কাজ না করে শুধু হাতাশা আর ভাগ্যের দোষ দেয়া। সত্যি আমি খুব বোকা। সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই ব্যস্ত, শুধু ব্যস্ত না আমি, আরাম আয়েশে চিন্তাহীন সময় পার করছি। আমি সত্যি জানিনা ভবিষৎ কি, খুব সন্নিকটে আমার ভবিষৎ যা পুরোটাই অন্ধকারে ঢাকা

বিকেল,
অবশেষে আমি করেই ফেললাম, করার কথাই ছিলো আজ নয়তো কাল। এই সেদিনই বোধ হয় লিখছিলাম, এ কোন শহরে আমার বসবাস। আসলেও তাই, রাজপথে আমি পড়ে রয়েছি, কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, সবাই সাবার মতো ব্যস্ত, কি কাততলিয় আজ সকালেই কথাটি লিখছিলাম "সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই ব্যস্ত, শুধু ব্যস্ত না আমি"। এটাই খুব স্বাভাবিক সবাই এগিয়ে যাবে ও যাক।

দুজন অবশ্য এগিয়ে আসলো পরে, দুজনেই তরুন ছাত্র। ভালো লাগলো। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া স্পিড কমিয়ে এনিছিলাম, যা হবার অল্পের উপর দিয়ে গেছে, কিন্তুু চিৎপটাংটা রক্ষা করতে পারিনি, কোথায় কোথায় ব্যাথা পেয়েছি তার চেয়ে বরাবরের মতো এবারো আমি ভাবছিলাম হাটুর ছিড়ে যাওয়া প্যান্টটা দেখে, নুতনই ছিলো আরো অনেক দিন পড়া যেতে, তারপর মনে হলো বাইকটার কি হলো কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে একটা প্রশ্ন, চাকার নিচে পড়া কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে আমাকে কি বলছিলো...গালি নাকি বলছিলো কুকুর কোথাকার !

২৫ মে ২০১৮

এত হিসাবী জীবন ভালো লাগেনা, জীবনে কখনো হিসাব করিনি। কষ্ট হয়, কিন্তু এটাই বাস্তবতা। মাঝে মাঝে আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখে হাসি, করুনা হয় নিজের উপর। প্রশ্ন করি দুটো, উত্তর পাইনা একটিরও।

২৩ মে ২০১৮

প্রতিবছরই রোযা খুব দ্রুত চলে যায়। সবকিছু কত পাল্টে গেছে, অবশ্য মাঝে মাঝে ভুলেই যাই আমি রাজধানীতে বাস করি। এটা বানিজ্যর শহর। সবাই কিছু না কিছু কিনতে আর বিক্রি করতে ব্যস্ত। রোযার আগেই দেখছি ঈদ শুরু হয়ে গেছে। অথচ মনে পড়ে ছোট বেলায় রোযা মানে ছিলো রোযা, ধর্ম, কর্ম, ইবাদতই ছিলো ছোট বড় সবার মূল ভাবনা। অবশ্য জেলা শহরের কথা আলাদা, তবে এখন সেখানকার চিত্রও পাল্টে গেছে, প্রথম রোযাতে ঢাকার চিত্র দেখে যেন নিজের কাছে একটু লজ্বাই পেলাম, এ কোন শহরে বসবাস আমার।

আবারো একটা ঈদ আসন্ন। তবে এবার আমি অভিঞ্জ, গতবার একটি ঈদ আমি পার করেছি আমার ব্যর্থতা আর অপারগতার সাগরে সাতার কেটে। এবার আমার চামড়াও মোটা হয়ে গেছে, শুকিয়ে গেছে চোখের পানি, ব্যাপার নহে। আমার আমিকে প্রকাশ তো হতেই হবে তাই না ? আগামী বছর আমি আরো অভিঞ্জ হয়ে যাবো, ততদিনে ঈদ এর সংগা আমার কাছে পাল্টে যাবে, যদিও এখনি ঈদ আর কোন বিশেষ দিন নয় আমার বা আমার উপর যারা নির্ভরশীল তাদের কাছে।

২০ মে ২০১৮

আশেপাশের সবাই গুছিয়ে নিচ্ছে তাদের জীবন, আমিও নিচ্ছি আমার মতো করে, হয়তো তাদের মতো করে নয়, এটাই বরং বলা ভালো তাদের মতো করে পারছিনা আমি। আমি তাদের চোখে বোকা। হ্যা আমি বোকা সেটা আমি জানি। খুব সহসাই ক্যামন হয়ে গেলো আমার জীবনটা। সময়ের আগেই আমি বেশী বুড়ো হয়ে গেলাম। মানষিক ভাবে বেশী আর সেটিই আমাকে আরো বেশী বুড়ো করেছে।
কিভাবে আমার সংসার চলে যাচ্ছে আমি জানিনা। সত্যি জানিনা, হিসাব করতে ভয় পাই, কিন্তু খুব হিসাবী হয়ে গেছি। উপায় নেই অবশ্য হিসাবী না হয়ে। জানিনা বললে ভুল হবে, জানি সঞ্চয় থেকে প্রতিমাসে কিছু খরচ হয়, ভাব দেখাই আমি কিছু জানিনা। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে জানিনা। আব্বার সাথে দেখা হয় কিন্তু উনি আমাকে কিছু জিঞ্জাসা করেননা, আমি কি করছি বা কি করবো অথবা কিভাবেই বা চলছে আমার সংসার। আব্বা অবশ্য জানেনই না হয়তো সব কিছু। উনি জানেন আমি ভালোই আছি। শুধু সত্যটা জানে আমার মা। প্রতিদিনই কিছু না কিছু চেষ্টা করে কিনে দিতে যা ডেইলি লাগে একটা সংসারে কিন্তু আমার জানা মতে আম্মার সংসারই চলার কথা নয় আম্মা কেন আর কিভাবে করেন জানিনা। কেননা আজ একবছর আমি আর টাকা দিতে পারিনা তাদের। তবু চলে তো যাচ্ছে তাই না ! হ্যা চলে যাচ্ছে তখন শুধু একটি প্রশ্ন মনের মাঝে আসে ভবিষৎ কি ? এটা যদি হয় বর্তমান ভবিষৎ কি ?

গুছিয়ে নিক সবাই তাদের মতো করে তাদের সামর্থ্যের মধ্যে। অনেক অনেক কথা আমার লিখার মতো কিন্তু হয়ে উঠে না।
আশেপাশের মানুষদের খুব দেখি, দেখি তাদের সুখ, সামর্থ্য আর দু:খ আর কষ্ট। হ্যা সাবই গুছিয়ে নিক ট্রেনটা ছাড়া আগেই...আমি শুধু পিছিয়ে রইলাম সবার সাজানো গুছানো দেখার সাক্ষি হয়ে।

১৯ মে ২০১৮

প্রচন্ড সুখী আর দুশ্চিন্তা মুক্ত আমি হলেও হটাৎই আজ বুকটা ধুক করে উঠলো, কি করছি আমি !
কি আমার ভবিষৎ ?

১৬ মে ২০১৮

আবেগ ছাড়া আমার আর কিছুই নাই, তবে এটাই আমার সব কিছু, যা ছাড়া আবার আমার কোন অস্তিত্ব নাই।
যদিও তার বহি:প্রকাশ নেই, অবলিলায় হত্যা করেছি।
গতকাল রাত ১০টার দিকে আব্বার ফোন, একটু ঘাবড়ে গেলাম বটে, তাড়াহুড়া করে গেলাম, একটু অসুস্থ তবে তেমনটা নয়।
কথায় কথায় অনেক কথাই বললেন, শুনলাম, হ্যা শুধু শুনলাম, কোন উত্তর দেইনি।
যার ভিতরে একটি ছিলো, আমি নাকি স্বাধীনতা চাচ্ছিলাম, তাইতো আলাদা হলাম আমি।
বিন্দু মাত্র অবাক হইনি তার কথায়,
আমি জানতাম, আমার জানাই ছিলো, এমনটা হবে।
অথচ যেদিন বিকেলে আমার ঐরুপ পরিস্থিতিতে আম্মা বললেন আমি যেন আলাদা বাসা নেই, সেদিন আমার প্রথম প্রশ্ন ছিলো আব্বা কি বলেন ?
আম্মার উত্তর ছিলো, তার সম্মতি আছে
এর পর আমার আর কিছু বলার ছিলো না।

গতকাল অবাক না হলেও আজো মনে পড়ে, আম্মার কথা আমার কানে ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো না. আব্বার সম্মতি আছে !
আমি না পেরে বোকার মতো আব্বাকে গিয়ে জিঞ্জাসা করেছিলাম, আব্বা আমাকে স্পষ্টই বললেন হ্যা তার সম্মতি আছে।
অথচ আজ আব্বা কেন এই কথা বলছেন, আমিই নাকি স্বাধীনতা চেয়েছি ? নিশ্চই তাকে সে কথা বলা হয়েছিলো।
আজ আব্বা ফিল করেন আমাদের এক সাথে থাকা উচিৎ। তাহলে কেন সেদিন তিনি বললেন হ্যা তারো সম্মতি আছে।
মনে মনে বলছিলাম, আব্বু একটি ঘরের বাইরেও যে আরো কিছু প্রয়োজন আছে কখনো আমি তা ভাবিও নি।

আজ আমার সব আপন জন আমাকে ফিল করে।
হ্যা আমরা মধ্যব্ত্তি পরিবারের, তারাও এটাও ভেবেছিলো চাকরির সমস্যা হচ্ছে তাই বলে ওর এতবড় সাহস নেই যে চাকরিটা ছেড়ে দেবে, কেননা আমার কপালেও ঐ তকমাটা লাগানো ছিলো, মধ্যবিত্ত। খুব সাহস যারা দেখাতে পারে না। কিন্তু না আমি আত্মঘাতী সাহসটা দেখিয়েই দিলাম। আম্মা প্রায় প্রতিদিন কিছু না কিছু জিনিস কিনে দেন, সেটা যদি ১০০ টাকা মধ্যেও হয় তাহলে মাসে অন্তত আমার ৩০০০ টাকা বাচে। তবে আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই । একটা বেকার মানুষ ঐ বাসায় সবার মাঝে বিষয়টা ক্যামন হতো ভাবতে পারিনা। আম্মা কিভাবে করেন জানিনা, হয়তো ভাইয়ারা আমার জন্য কিছু টাকা দেয়, আমি নিশ্চিত। কিন্তু আমি তো কিছু চাইনি কারো কাছে।

চুপচাপ আব্বার কথা শুনছিলাম কোন উত্তর না দিয়ে আর আব্বার পা টিপছিলাম।
মনে মনে বললাম আব্বু আপনি জানেন না, দুটি মানুষ আমাকে শক্ত হতে শিখিয়েছে।

১৩ মে ২০১৮

আমার চেয়ে সুখী মানুষ পৃথিবীতে খুজে পাওয়া দুস্কর।
কোন স্বপ্ন নাই, নাই কোন টার্গেট জীবনে, নাই কোন দুশ্চিন্তা
শুধু আছে একটা কষ্ট যা বুকে আগলে রেখেছি যত্ন করে, অতি যত্নে।
হারিয়ে গেলে সব শেষ ! সেদিন আর আমাকে খুজে পাওয়া যাবে না।


১২ মে ২০১৮
মাঝে মাঝে খুব কান্না পায়, লুকিয়ে কাদি।
সব কিছুর জন্য আমি ক্যাবল মাত্র আমি দায়ি, নিশ্চই আমার কর্ম অদক্ষতার জন্য অন্য কাউকে দায়ি করতে পারিনা।
দেখতে দেখতে ৭ মাস পার হয়ে গেছে, চাকরিও আর খুজি না, আমি কেন এমনই বা হয়ে গেলাম।
আর কোথাও চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়।

পাইকারীদরে হোটেলে খাওয়ার পরও আমার কেন এখনো টাইফয়েড হয়নি আমি বিস্মিত।
আগে খেতাম ৩৫ টাকা, কি আজব এখন বিল আসে ৫০ টাকা। একপ্লেট ভাত, ডাল, আর একটা ভর্তা।

১১ মে ২০১৮
সবকিছু ক্যামন যেন থেমে আছে, সময় কাটে না। অলসতা, কর্মহীনতা সবকিছু আমাকে জরাজীর্ন করে রেখেছে।
শুধু ব্যায় থেমে নেই, খরচ ক্যাবল উদ্ধমুখি। প্রতিমাসেই কোন না কোন কারনে খরচ ওভারফ্লো।
আজ মাসের ১১ তারিখ অথচ কাছাকাছি ৪০ হাজার টাকা শেষ !
আমি জানি আমি নিভে যাবো, নেভার আগে একটু দুপ করে জ্বলে উঠা।
২৩ জুন ২০১৮

আজ অনেক দিন পর, এখন আর বিষয়গুলিকে ধাক্কা মনে হয় না, আল্লাহর অশেষ দয়া।
কেননা ঈদের মাত্র কয়েকদিন আগে আমি এমন একটি সংবাদ শুনবো তা ভাবিনি, গত দুবছর ঈদ বলে আর কিছু ছিলো না, এবার ব্যতিক্রম কি। আলহামদুলইল্লাহ। আল্লাহ আপনি আমার সহায় হোন।
৬ জুন ২০১৮

১লা জুনের ধাক্কাটা না সামলাতেই আরো একটি। আলহামদুলইল্লাহ তবুও।
বাইক চালাতেই ভয় পাই, আত্মবিশ্বাস বলতে যেন আর কিছু নেই। কিন্তু গতকাল যা হলো তার পরও আমি বেচে আছি, ভালো আছি, আল্লাহ আমাকে হায়াত দিয়েছেন তার শুকরিয়া।

যখন ঞ্জান ফিরলো লাশ ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি নিজেকে, কানে কিছু হাহাকার আর চিৎকার শুনছিলাম, ঘোলা চোখে ভরা বালতিটার উপচে পড়া পানি গড়াতে দেখলাম। নগ্ন আমি শুয়েই আছি, শুধু কবরে নয়, বাথরুমে।

২ জুন ২০১৮

আমি যখন লিখি লজ্জ্বা পাই নিশ্চই আমি অনেক ভালো আছি, তাদের কি অবস্থা যারা আমার চেয়ে কষ্টে আছে। আল্লাহ তুমি তাদের সবাইকে ভালো রাখো।


১ জুন ২০১৮

ক্যামন যেন হয়ে গেল সবকিছু, আমার জীবনটা, পারছিনা যেন আর। বেশীর ভাগ সময় আল্লাহর সাহায্য আর তার করুনার আশায় জিকির করতে থাকি কিন্তু কিছুতেই যেন আর কুলিয়ে উঠতে পারছিনা। সব দিক থেকে নেগেটিভ আর সব কিছু বন্ধ হবার উপক্রম।
এখন আমার অন্যতম বললেও ভুল হয় প্রধান বলাটাই ঠিক, ব্যবসা সেটিরও করুন দশা আজ। হ্যা সব কিছুর জন্য আমিই দায়ি।

আমি জানি আমার শেষ লেখা গুলির একটি এটি।

পারিবারিক সম্পর্ক আমাদের কখনোই ভালো ছিলো না, ধিরে ধিরে তা তলানির পর্যায়ে পৌছে গেছে। আমার আসল চরিত্র এখন ক্রমাগত প্রকাশ পাচ্ছে। যখন আমার উপর চাপ বাড়ছে তখন আমার জবান দিয়ে বের হচ্চে আমার আসল ভাষা।

জীবনে এখন যে আর খুব বেশী কিছু চাওয়া পাওয়ার আছে তা কিন্তু নয় অথচ আমি সেটুকু্ই আর দিতে পারছিনা। বর্তমান এর চেয়ে ভবিষৎ কি তা ভাবলে ....

২৬ মে ২০১৮

আমার মতো বোকারাই শুধু এভাবে বিলাপ বকে, কাজের কাজ না করে শুধু হাতাশা আর ভাগ্যের দোষ দেয়া। সত্যি আমি খুব বোকা। সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই ব্যস্ত, শুধু ব্যস্ত না আমি, আরাম আয়েশে চিন্তাহীন সময় পার করছি। আমি সত্যি জানিনা ভবিষৎ কি, খুব সন্নিকটে আমার ভবিষৎ যা পুরোটাই অন্ধকারে ঢাকা

বিকেল,
অবশেষে আমি করেই ফেললাম, করার কথাই ছিলো আজ নয়তো কাল। এই সেদিনই বোধ হয় লিখছিলাম, এ কোন শহরে আমার বসবাস। আসলেও তাই, রাজপথে আমি পড়ে রয়েছি, কারো কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, সবাই সাবার মতো ব্যস্ত, কি কাততলিয় আজ সকালেই কথাটি লিখছিলাম "সবাই এগিয়ে যাচ্ছে, সবাই ব্যস্ত, শুধু ব্যস্ত না আমি"। এটাই খুব স্বাভাবিক সবাই এগিয়ে যাবে ও যাক।

দুজন অবশ্য এগিয়ে আসলো পরে, দুজনেই তরুন ছাত্র। ভালো লাগলো। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া স্পিড কমিয়ে এনিছিলাম, যা হবার অল্পের উপর দিয়ে গেছে, কিন্তুু চিৎপটাংটা রক্ষা করতে পারিনি, কোথায় কোথায় ব্যাথা পেয়েছি তার চেয়ে বরাবরের মতো এবারো আমি ভাবছিলাম হাটুর ছিড়ে যাওয়া প্যান্টটা দেখে, নুতনই ছিলো আরো অনেক দিন পড়া যেতে, তারপর মনে হলো বাইকটার কি হলো কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে একটা প্রশ্ন, চাকার নিচে পড়া কুকুরটা ঘেউ ঘেউ করে আমাকে কি বলছিলো...গালি নাকি বলছিলো কুকুর কোথাকার !

২৫ মে ২০১৮

এত হিসাবী জীবন ভালো লাগেনা, জীবনে কখনো হিসাব করিনি। কষ্ট হয়, কিন্তু এটাই বাস্তবতা। মাঝে মাঝে আয়নার সামনে দাড়িয়ে নিজেকে দেখে হাসি, করুনা হয় নিজের উপর। প্রশ্ন করি দুটো, উত্তর পাইনা একটিরও।

২৩ মে ২০১৮

প্রতিবছরই রোযা খুব দ্রুত চলে যায়। সবকিছু কত পাল্টে গেছে, অবশ্য মাঝে মাঝে ভুলেই যাই আমি রাজধানীতে বাস করি। এটা বানিজ্যর শহর। সবাই কিছু না কিছু কিনতে আর বিক্রি করতে ব্যস্ত। রোযার আগেই দেখছি ঈদ শুরু হয়ে গেছে। অথচ মনে পড়ে ছোট বেলায় রোযা মানে ছিলো রোযা, ধর্ম, কর্ম, ইবাদতই ছিলো ছোট বড় সবার মূল ভাবনা। অবশ্য জেলা শহরের কথা আলাদা, তবে এখন সেখানকার চিত্রও পাল্টে গেছে, প্রথম রোযাতে ঢাকার চিত্র দেখে যেন নিজের কাছে একটু লজ্বাই পেলাম, এ কোন শহরে বসবাস আমার।

আবারো একটা ঈদ আসন্ন। তবে এবার আমি অভিঞ্জ, গতবার একটি ঈদ আমি পার করেছি আমার ব্যর্থতা আর অপারগতার সাগরে সাতার কেটে। এবার আমার চামড়াও মোটা হয়ে গেছে, শুকিয়ে গেছে চোখের পানি, ব্যাপার নহে। আমার আমিকে প্রকাশ তো হতেই হবে তাই না ? আগামী বছর আমি আরো অভিঞ্জ হয়ে যাবো, ততদিনে ঈদ এর সংগা আমার কাছে পাল্টে যাবে, যদিও এখনি ঈদ আর কোন বিশেষ দিন নয় আমার বা আমার উপর যারা নির্ভরশীল তাদের কাছে।

২০ মে ২০১৮

আশেপাশের সবাই গুছিয়ে নিচ্ছে তাদের জীবন, আমিও নিচ্ছি আমার মতো করে, হয়তো তাদের মতো করে নয়, এটাই বরং বলা ভালো তাদের মতো করে পারছিনা আমি। আমি তাদের চোখে বোকা। হ্যা আমি বোকা সেটা আমি জানি। খুব সহসাই ক্যামন হয়ে গেলো আমার জীবনটা। সময়ের আগেই আমি বেশী বুড়ো হয়ে গেলাম। মানষিক ভাবে বেশী আর সেটিই আমাকে আরো বেশী বুড়ো করেছে।
কিভাবে আমার সংসার চলে যাচ্ছে আমি জানিনা। সত্যি জানিনা, হিসাব করতে ভয় পাই, কিন্তু খুব হিসাবী হয়ে গেছি। উপায় নেই অবশ্য হিসাবী না হয়ে। জানিনা বললে ভুল হবে, জানি সঞ্চয় থেকে প্রতিমাসে কিছু খরচ হয়, ভাব দেখাই আমি কিছু জানিনা। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে জানিনা। আব্বার সাথে দেখা হয় কিন্তু উনি আমাকে কিছু জিঞ্জাসা করেননা, আমি কি করছি বা কি করবো অথবা কিভাবেই বা চলছে আমার সংসার। আব্বা অবশ্য জানেনই না হয়তো সব কিছু। উনি জানেন আমি ভালোই আছি। শুধু সত্যটা জানে আমার মা। প্রতিদিনই কিছু না কিছু চেষ্টা করে কিনে দিতে যা ডেইলি লাগে একটা সংসারে কিন্তু আমার জানা মতে আম্মার সংসারই চলার কথা নয় আম্মা কেন আর কিভাবে করেন জানিনা। কেননা আজ একবছর আমি আর টাকা দিতে পারিনা তাদের। তবু চলে তো যাচ্ছে তাই না ! হ্যা চলে যাচ্ছে তখন শুধু একটি প্রশ্ন মনের মাঝে আসে ভবিষৎ কি ? এটা যদি হয় বর্তমান ভবিষৎ কি ?

গুছিয়ে নিক সবাই তাদের মতো করে তাদের সামর্থ্যের মধ্যে। অনেক অনেক কথা আমার লিখার মতো কিন্তু হয়ে উঠে না।
আশেপাশের মানুষদের খুব দেখি, দেখি তাদের সুখ, সামর্থ্য আর দু:খ আর কষ্ট। হ্যা সাবই গুছিয়ে নিক ট্রেনটা ছাড়া আগেই...আমি শুধু পিছিয়ে রইলাম সবার সাজানো গুছানো দেখার সাক্ষি হয়ে।

১৯ মে ২০১৮

প্রচন্ড সুখী আর দুশ্চিন্তা মুক্ত আমি হলেও হটাৎই আজ বুকটা ধুক করে উঠলো, কি করছি আমি !
কি আমার ভবিষৎ ?

১৬ মে ২০১৮

আবেগ ছাড়া আমার আর কিছুই নাই, তবে এটাই আমার সব কিছু, যা ছাড়া আবার আমার কোন অস্তিত্ব নাই।
যদিও তার বহি:প্রকাশ নেই, অবলিলায় হত্যা করেছি।
গতকাল রাত ১০টার দিকে আব্বার ফোন, একটু ঘাবড়ে গেলাম বটে, তাড়াহুড়া করে গেলাম, একটু অসুস্থ তবে তেমনটা নয়।
কথায় কথায় অনেক কথাই বললেন, শুনলাম, হ্যা শুধু শুনলাম, কোন উত্তর দেইনি।
যার ভিতরে একটি ছিলো, আমি নাকি স্বাধীনতা চাচ্ছিলাম, তাইতো আলাদা হলাম আমি।
বিন্দু মাত্র অবাক হইনি তার কথায়,
আমি জানতাম, আমার জানাই ছিলো, এমনটা হবে।
অথচ যেদিন বিকেলে আমার ঐরুপ পরিস্থিতিতে আম্মা বললেন আমি যেন আলাদা বাসা নেই, সেদিন আমার প্রথম প্রশ্ন ছিলো আব্বা কি বলেন ?
আম্মার উত্তর ছিলো, তার সম্মতি আছে
এর পর আমার আর কিছু বলার ছিলো না।

গতকাল অবাক না হলেও আজো মনে পড়ে, আম্মার কথা আমার কানে ঠিক বিশ্বাস হচ্ছিলো না. আব্বার সম্মতি আছে !
আমি না পেরে বোকার মতো আব্বাকে গিয়ে জিঞ্জাসা করেছিলাম, আব্বা আমাকে স্পষ্টই বললেন হ্যা তার সম্মতি আছে।
অথচ আজ আব্বা কেন এই কথা বলছেন, আমিই নাকি স্বাধীনতা চেয়েছি ? নিশ্চই তাকে সে কথা বলা হয়েছিলো।
আজ আব্বা ফিল করেন আমাদের এক সাথে থাকা উচিৎ। তাহলে কেন সেদিন তিনি বললেন হ্যা তারো সম্মতি আছে।
মনে মনে বলছিলাম, আব্বু একটি ঘরের বাইরেও যে আরো কিছু প্রয়োজন আছে কখনো আমি তা ভাবিও নি।

আজ আমার সব আপন জন আমাকে ফিল করে।
হ্যা আমরা মধ্যব্ত্তি পরিবারের, তারাও এটাও ভেবেছিলো চাকরির সমস্যা হচ্ছে তাই বলে ওর এতবড় সাহস নেই যে চাকরিটা ছেড়ে দেবে, কেননা আমার কপালেও ঐ তকমাটা লাগানো ছিলো, মধ্যবিত্ত। খুব সাহস যারা দেখাতে পারে না। কিন্তু না আমি আত্মঘাতী সাহসটা দেখিয়েই দিলাম। আম্মা প্রায় প্রতিদিন কিছু না কিছু জিনিস কিনে দেন, সেটা যদি ১০০ টাকা মধ্যেও হয় তাহলে মাসে অন্তত আমার ৩০০০ টাকা বাচে। তবে আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই । একটা বেকার মানুষ ঐ বাসায় সবার মাঝে বিষয়টা ক্যামন হতো ভাবতে পারিনা। আম্মা কিভাবে করেন জানিনা, হয়তো ভাইয়ারা আমার জন্য কিছু টাকা দেয়, আমি নিশ্চিত। কিন্তু আমি তো কিছু চাইনি কারো কাছে।

চুপচাপ আব্বার কথা শুনছিলাম কোন উত্তর না দিয়ে আর আব্বার পা টিপছিলাম।
মনে মনে বললাম আব্বু আপনি জানেন না, দুটি মানুষ আমাকে শক্ত হতে শিখিয়েছে।

১৩ মে ২০১৮

আমার চেয়ে সুখী মানুষ পৃথিবীতে খুজে পাওয়া দুস্কর।
কোন স্বপ্ন নাই, নাই কোন টার্গেট জীবনে, নাই কোন দুশ্চিন্তা
শুধু আছে একটা কষ্ট যা বুকে আগলে রেখেছি যত্ন করে, অতি যত্নে।
হারিয়ে গেলে সব শেষ ! সেদিন আর আমাকে খুজে পাওয়া যাবে না।


১২ মে ২০১৮
মাঝে মাঝে খুব কান্না পায়, লুকিয়ে কাদি।
সব কিছুর জন্য আমি ক্যাবল মাত্র আমি দায়ি, নিশ্চই আমার কর্ম অদক্ষতার জন্য অন্য কাউকে দায়ি করতে পারিনা।
দেখতে দেখতে ৭ মাস পার হয়ে গেছে, চাকরিও আর খুজি না, আমি কেন এমনই বা হয়ে গেলাম।
আর কোথাও চাকরি পাওয়া সম্ভব নয়।

পাইকারীদরে হোটেলে খাওয়ার পরও আমার কেন এখনো টাইফয়েড হয়নি আমি বিস্মিত।
আগে খেতাম ৩৫ টাকা, কি আজব এখন বিল আসে ৫০ টাকা। একপ্লেট ভাত, ডাল, আর একটা ভর্তা।

১১ মে ২০১৮

সবকিছু ক্যামন যেন থেমে আছে, সময় কাটে না। অলসতা, কর্মহীনতা সবকিছু আমাকে জরাজীর্ন করে রেখেছে।
শুধু ব্যায় থেমে নেই, খরচ ক্যাবল উদ্ধমুখি। প্রতিমাসেই কোন না কোন কারনে খরচ ওভারফ্লো।
আজ মাসের ১১ তারিখ অথচ কাছাকাছি ৪০ হাজার টাকা শেষ !
আমি জানি আমি নিভে যাবো, নেভার আগে একটু দুপ করে জ্বলে উঠা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.