নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্নহারা স্বপ্নবাজ আমি

মেশকাত মাহমুদ

ব্যক্তিজীবনে অহিংসায় বিশ্বাস করি। বুদ্ধের দর্শন গভীরভাবে ভাবায় আমায়। “আসক্তিই সকল দুঃখের কারণ, অধিকারবোধ থেকেই দুঃখের সৃষ্টি।” এই দুটো বাক্যের উপর অগাধ বিশ্বাস। কারো চিন্তা-চেতনাকেই ছোট করে দেখিনা। আমি বিশ্বাস করি যে মতবাদই হোক, তার গভীরে না ঢুকে সে সম্পর্কে মন্তব্য করা উচিত না। যেকোন চরমপন্থা, হোক সেটা যেকোন ধর্ম অবলম্বন করে অথবা অন্য যেকোন মতবাদের উপর ভিত্তি করে, আমি ঘৃণা করি। শুরুতেই অহিংসা আর এখন ঘৃণা দুটো শব্দ পরস্পর বিরোধী হয়ে যায়। কিন্তু চরমপন্থার ক্ষেত্রে মানবজীবনের কোন মূল্য নেই। যে মতবাদের বাস্তবায়নে নিঃসংকোচে নির্দিধায় মানুষ হত্যা করা হয়, আমি যতটাই অহিংসতায় বিশ্বাস করি, ঠিক ততটাই ঘৃণা করি। সবার উপর মানুষের জীবন আর মৌলিক অধিকার সত্য, এর উপরে কিছু নাই। এটাই আমার জীবনের দর্শন। নিজে অসুস্থ হয়েও মানসিকভাবে অসুস্থ মানুষগুলোর এবং তাদের পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে নিজে মনঃচিকিৎসক হওয়ার পথে অগ্রসর হচ্ছি। প্রতিটি মৃত্যু আমাকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তোলে। সবসময় একটা মানবতাবাদী সমাজের স্বপ্ন দেখি, যদিও জানি পৃথিবীতে হানাহানি কোনদিন শেষ হবেনা। তৃতীয় বিশ্বের মানুষের জীবন, প্রথম বিশ্বের একটা পোষা কুকুরের জীবনের মূল্যের থেকেও কম। এটা খুব ভাবায় আমায়। ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধে উঠতে খুব ইচ্ছে করে। পারিনা, তবে চেষ্টা করে যায়। যেদিন SELF ACTUALIZATION আসবে সেদিন ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধে উঠে যাবো, এই ভাবনাই হৃদয়ের বাম অলিন্দে, মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাসে ধারণ করে যায়।।

মেশকাত মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবতার সেবক তরুণ ডাক্তাররা কি শুধু নির্যাতিত হয়েই যাবে??!!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৮

অনেকদিনপর এই বিষয়ে লিখছি। আর যখন লিখছি তখন কিছুটা শারীরিক আর প্রচন্ড মানসিকভাবে আহত হয়ে লিখছি। আমাদের সবার সামাজিক পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড আছে। তারপরও আমরা স্পাইনলেস। আর আমরা মেরুদন্ডহীন আমাদেরই কিছু অসাধু ডাক্তারদের জন্য। আমরা অনেকেই আছি যারা সবকিছু ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিতে পারি। কিন্তু পারিনা শুধু আমাদেরই জন্য। আমাদের পরিনতির জন্য আমাদেরই এক অংশ অনেকাংশে দায়ী। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে উপক্রমনিকা লিখলাম। এবার সবার কাছে আকুল আবেদন নিয়ে মূল আলোচনায় আসছি। এ এমন এক ঘটনা যা ডাক্তারদের ক্ষেত্রে সচারাচর ঘটেনা।আমার আগেও অনেকে আক্রান্ত হয়েছে। আমি সবসময় প্রতিবাদমূখর থেকেছি। সবসময় আমার ডাক্তার সমাজের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আজ আমিও আক্রান্ত হলাম। সব ছিন্ন-ভিন্ন করে দিতে পারতাম, কিন্তু তাতে আমাদের ডাক্তার সমাজের দূর্নাম হত। এমনিতেই আমরা দোষী। তাই সামাজিক, ডাক্তার সমাজ আর আইনগতভাবেই এর প্রতিকার চাই।

আমার পোস্টিং একটা বিচ্ছিন্ন দূরবর্তি উপজেলায়। অন্য জেলার ভেতর দিয়ে জামালপুর জেলার এই উপজেলায় যেতে হয়। দূরত্ব শহর থেকে ৪০ কি.মি. ওয়ানওয়ে টাইপের রোড। একটা ট্রাক চললে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পড়তে হয়। সম্পূর্ণ রাস্তায় দুর্ঘটনাপ্রবণ। রাস্তার প্রতিটি বাঁকে মৃত্যু উত পেতে থাকে। যাহোক মূল ঘটনায় আসা যাক। গতরাত্রে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আমার ইমারজেন্সি ডিউটি ছিল। ইনডোর থেকে ডাকা হলো একটা রোগী খুব খারাপ। ইনডোরে গেলাম। দেখলাম রোগীর ভর্তি দুপুর দুইটাই। SACMO ভর্তি দিয়েছিল। একিউট এবডোমেনের রোগী। Lower abdomen- Severely tender. Anaemia ছিলনা। আমার ধারণা Severe PID অথবা Severe UTI হবে। আমি দেখলাম ভূল ট্রিটমেন্ট দেওয়া এবং বেশিরভাগ ঔষধ Z ক্যাটাগরির ZISKA কোম্পানির দেওয়া। একজন SACMO' র কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি কিছু আশা করে লাভ নেই। আমি এন্টিবায়োটিক, এন্টি-আলসারেন্ট, পেইনকিলার, এন্টিস্পাজমোটিক চেইঞ্জ করলাম। সিস্টাররা Nalbun IV দিতে ভয় পায়। এজন্য আমি নিজে IV দিলাম। পেইন রিলিফ হয়ে ৫ মিনিটের মধ্যে রোগী ঘুমিয়ে পড়ল। রোগীর লোক ডিস্পেন্সারী থেকে ঔষধ পরিবর্তন করে আনল। ডিস্পেনসারীর মালিক জিসকার ঔষধ পরিবর্তন দেখে এম-আর কে জানায়। আজ ডিউটি থেকে ফেরার পথে ZISKA'র এম-আর আমার পথ রোধ করে। আমাকে ঔষধ পরিবর্তনের কারণ জিজ্ঞেস করে। আমি তাঁর সাহস দেখে অবাক হয়ে যায়। ছেলেটা মাদকাসক্ত এবং লোকাল। তারপরও নিজেকে সামলে নিয়ে বললাম, রোগীর প্রয়োজনেই ঔষধ পরিবর্তন করেছি। সে আমাকে ক্ষেপে গিয়ে বলে, " আমাকে চিনস? বকশীগঞ্জ থাকস আর আমাকে চিনস না?" আমি বললাম তোমাকে তো আমার চেনার দরকার নেই। তুমি একটি Z ক্যাটাগরীর কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টেটিভ। সে আমাকে ধাক্কা মারে এবং শারীরিকভাবে আহত করে। আমি শুধু একটা কথাই বলেছি, আমি ৭ দিনের মধ্যে এখান থেকে চলে গিয়ে বকশিগঞ্জের রাস্তা তোর রক্ত মাংসে একাকার করে দিতে পারি। কিন্তু আমি আইনের আর আমার ডাক্তার সোসাইটির বাইরে যাবোনা।

আমার প্রফেশনাল কলিগগণ, আপনাদের সবার উদ্দেশ্যেই বলছি। কিছু ডাক্তারের অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের কারণেই সেই মাদকাসক্ত ভ্রষ্ট এম-আর আমার গায়ে হাত তুলতে পেরেছে। আমি যথাযথ অথরিটিকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এর যথাযথ বিচার না হওয়া পর্যন্ত ইমার্জেন্সি, আউটডোর দুটোই বন্ধ থাকবে। আশা করব আপনারা সবাই এর সাথে একাত্ব থাকবেন। আমি উদাত্ত আহবান জানাবো, যতদিন পর্যন্ত ZISKA'র সর্বোচ্চ অথরিটি ডাক্তার সমাজের কাছে ক্ষমা না চাইবে ততদিন পর্যন্ত জিসকার মত ভুঁইফোড় অবাঞ্চিত Z ক্যাটাগরির কোম্পানীর একটা ড্রাগ যেন লেখা না হয়। আমরা মানুষ খুন করার জন্য ডাক্তার হয়নি। আমরা মানবতাকে রক্ষার জন্য ডাক্তার হয়েছি। সামগ্রিক দিক থেকে Z ক্যাটাগরির একটা কোম্পনীর ঔষধ লেখা মানে মানুষকে খুন করা। আজ আমার সাথে যা হয়েছে, এর বিরুদ্ধে যদি আমরা ব্যবস্থা না নেই, তবে এর পুনরাবৃত্তি হতেই থাকবে। কারণ প্রকৃতি নির্মম বিচারক। বালুর মধ্যে মাথা গুঁজে থাকলে অনেকেরই এই পরিনতি হবে। তাই সবার প্রতি আমার আবারো উদাত্ত্ব আহবান যতদিন পর্যন্ত জিসকা সমগ্র ডাক্তার সমাজের কাছে ক্ষমা না চাইবে ততদিন পর্যন্ত এই কোম্পানীর সব ঔষধ লেখা এবং হাসপাতাল কম্পাউন্ডের ভিতর জিসকার যেকোন পর্যায়ের কর্মচারী-কর্মকর্তা ঢোকা বন্ধ রাখবেন। এটাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখার কোন সুযোগ নেই। উল্লেখ্য যে, আমি কোনদিনই এধরণের Z ক্যাটাগরীর কোন কোম্পানীর ড্রাগ লিখি নাই।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৪

মানবী বলেছেন: আপনার উপরের বক্তব্য পড়ে মনে হলো আপনার সাথে অন্যায় হয়েছে। শুধুমাত্র আপনাকে শারিরীক আক্রমনের কারনে এর জেল হওয়া জরুরী। থানায় মামলা সহ উল্লেখিত ওষুধ কম্পানীতে রিপোর্ট করে লোকটির শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরী।

তবে একজন অতি তুচ্ছ(তার নীচ মানসিকতা আর অন্যায় আচরনের জন্য তুচ্ছ মনে হলো) একজনএম আর এর কারনে করে ইমারজেন্সী আউটডোর বন্ধ রেখে নিরীহ রুগীদের জিন্মী করার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
কোন চিকিৎসকের সাথে এম আরের সমস্যা হলে সেখানে রুগীদের ভুগতে হবে কেনো?
একজন চিকিৎসক হিসেবে বলছি, আপনার মা বাবা, স্ত্রী সন্তান সব সময় আপনার আশে পাশে থাকেননা। হয়তো তাঁদের কোন মেডিকেল ইমারজেন্সীর সময় সেই হাসপাতালও এমনি ভাবে বন্ধ রাখতে পারে, এমনকি বিনা চিকিৎসায় তাদের কারো মৃত্যুও হতে পারে- বিষয়টা আপনার কাছে কতোখানি মানবিক মনে হবে?
আপনি নিজেই বলেছেন আপনার পোস্টিং দুর্গম এলাকায়, তাহলে সেই এলাকার সাধারণ মানুষ আরও বেসী অসহায়। আপনি একজন চিকিৎসক হয়ে তাঁদের সেই অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছেন, এটা এক ধরনের ব্ল্যাক মেইলিং।

আপনার সাথে যা ঘটেছে তা অন্যায়, এই অপরাধীর বিচার জরুরী। তাকে হাসপাতালের আশে পাশে কোথাও এ্যালাও না করে অসহায় রুগীদের চিকিৎসা চালি যাবার অনুরোধ রইলো।

ভালো থাকুন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৭

মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ মানবী। আমি একবারের জন্যও ইমার্জেন্সি বা আউটডোর বন্ধ করার কথা বলিনি। আমার কলিগরা চেয়েছিল। কিন্তু আমি নিষেধ করে এটা ব্লক করে দিয়েছি। মানবী আপনি আমার প্রোফাইলের লেখাটা দেখবেন। তাইলেই বুঝতে পারবেন আমি কি ধরণের আদর্শে বিশ্বাসী।

২| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:১০

নতুন বলেছেন: আপনার সাথে যেটা হয়েছে তা অবশ্যই অন্যায় এবং ঐ লোকটির সাজা হওয়া দরকার। আশা করি পুলিশ প্রশাসন তার ব্যবস্তা করবে। এবং তার বিরুদ্ধে ঔষুক কম্পানীও ব্যবস্তা নেবে।

এটি নীচ মানুষিকতার মানুষের জন্য অন্য মানুষেকে কস্টদেবার দরকার নাই। বরং জনগনই সচেতন হলে এই রকমের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সমাজে প্রতিরোধ গড়বে।

আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই সচেতন না। তারাই কিন্তু ঐ ঔষুধ কিনতো না যদি জানতো যে এই ঔষুধের মান ভালোনা। সচেতনতার বিকল্প নাই।

আশা করি এই সব ঘটনায় আপনার ব্রত পাল্টাবেন না। বিষয়টি নিয়ে অফিসিয়ালী ঐ কম্পানীকে লিখুন... কম্পানীর মালিক কিন্তু এই রকমের নেশা খোর এমআর নিয়োগ দিয়ে তার কম্পানীর বদনাম কথনোই করতে চাইবেনা। এবং অবশ্যই তারা তার জন্য ক্ষমা চাইবে।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১১

মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন। কোম্পানীর হেড অফ সেলস আমার মেডিকেলেরই সিনিয়র ভাই। তিনি আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। ইতিমধ্যেই নেশাখোরটাকে ক্লোজ করে দেওয়া হয়েছে। উনি আমার দশ বছর সিনিয়র। খুবই ভালো। আর একটা ব্যাপার আমি নিজে উদ্দোগী হয়ে রোগীদের সাফারিংস বন্ধ করেছি। কোন ভূল কিছু হতে দেইনি। মানবতার প্রতি আমার অগাধ বিশ্বাস।।

৩| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২২

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: ডাক্তারের অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের কারণেই সেই মাদকাসক্ত ভ্রষ্ট এম-আর আমার গায়ে হাত তুলতে পেরেছে...
মানে আপনাদের স্বজাতির অপরাধের শিকার আপনারা...!!!

বিচার না হওয়া পর্যন্ত ইমার্জেন্সি, আউটডোর দুটোই বন্ধ থাকবে...
কিন্তু শাস্তি ভোগ করতে হবে সাধারণ রোগীদের..!!!

অথচ, আপনাদের একশন নেবার দরকার ছিল এম আর বা ঐ কোম্পানীর বিরুদ্ধে আর আপনারা একশন নিলেন রোগীদের বিরুদ্ধে...কি চমৎকার আপনাদের বিবেচনা!!!
আপনি নিজেই আপনাদের অনৈতিক মানসিকতার পরিচয় দিলেন...নিশ্চিত করে বলতে পারি, আপনারা আবার মার খাবেন!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৮

মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ। জানিনা লেখাটা ঠিকভাবে পড়েছেন কিনা। এখানে একবারের জন্য ইমার্জেন্সি আউটডোর বন্ধ করার কথা বলা হয়নি। রাত ৩ টা সময় গিয়ে স্ট্যাব ইনজুরির ভিকটিমকে ব্লাড দিয়েছি। শুধু তাই করিনি বাকি রাত দৌড়িয়ে রক্ত নিজে জোগাড় করে দিয়েছি। ঘটনাটা ইন্টার্নির সময়ের। এরকম অনেক ঘটনা আমার ব্যক্তিগত জীবনে আছে। আমি হলফ করে বলতে পারি নিঃসন্দেহে আপনার চেয়ে বিপন্ন মানবতার জন্য বহুগুণ বেশি করেছি। আর প্রার্থনা করবেন যেন আজীবন মানবতার সেবা করে যেতে পারি।

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আমরা মানুষ খুন করার জন্য ডাক্তার হয়নি। আমরা মানবতাকে রক্ষার জন্য ডাক্তার হয়েছি...

ইমারজেন্সি/আউটডোর সব বন্ধ করে দিয়ে মানবাতাকে কিভাবে রক্ষা করবেন শুনি, আর এতে যদি কোন রোগী চিকিৎসার অভাবে মারা যায় তবে সেটা কি মানুষ খুন হবে না?

হাসালেন ভাই...হাহাহাহাহাহাহাহাহাহা!

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২০

মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: আবারো বলছি একবারের জন্যও ইমার্জেন্সি- আউটডোর বন্ধ করার কথা বলা হয়নি।

৫| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩

মাঘের নীল আকাশ বলেছেন: আমার প্রফেশনাল কলিগগণ, আপনাদের সবার উদ্দেশ্যেই বলছি। কিছু ডাক্তারের অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের কারণেই সেই মাদকাসক্ত ভ্রষ্ট এম-আর আমার গায়ে হাত তুলতে পেরেছে। আমি যথাযথ অথরিটিকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এর যথাযথ বিচার না হওয়া পর্যন্ত ইমার্জেন্সি, আউটডোর দুটোই বন্ধ থাকবে। ...

এটা তাহলে কে বলেছে?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০৩

মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: আমার আদর্শের সাথে এটা যায়না। যা লিখেছি ইমপালসিভ হয়ে। মানবতা আমার কাছে সবচেয়ে বড়। আমার কলিগরা চেয়েছিল। বন্ধও করে দিয়েছিল। আমিই থামিয়েছি।

৬| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫

মানবী বলেছেন: "আমি যথাযথ অথরিটিকে বিষয়টি জানিয়েছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এর যথাযথ বিচার না হওয়া পর্যন্ত ইমার্জেন্সি, আউটডোর দুটোই বন্ধ থাকবে। আশা করব আপনারা সবাই এর সাথে একাত্ব থাকবেন। "

-মেশকাত মাহমুদ আপনি কমেন্টের জবাবে একাধিকবার দাবী করছেন ইমারজেন্সী বা আউটডোর বন্ধ রাখার কথা কোথাও উল্লেখ করা হয়নি অথচ উপরের বক্তব্যটি আপনার পোস্ট থেকেই কোট করা। কোন এক অদ্ভিত কারনে আপনি নিজের পোস্টের বিশেষ অংশ পড়তে পারছেননা!!

"আমি উদাত্ত আহবান জানাবো, যতদিন পর্যন্ত ZISKA'র সর্বোচ্চ অথরিটি ডাক্তার সমাজের কাছে ক্ষমা না চাইবে ততদিন পর্যন্ত জিসকার মত ভুঁইফোড় অবাঞ্চিত Z ক্যাটাগরির কোম্পানীর একটা ড্রাগ যেন লেখা না হয়। আমরা মানুষ খুন করার জন্য ডাক্তার হয়নি। আমরা মানবতাকে রক্ষার জন্য ডাক্তার হয়েছি। সামগ্রিক দিক থেকে Z ক্যাটাগরির একটা কোম্পনীর ঔষধ লেখা মানে মানুষকে খুন করা"

- আপনি বলছেন ওষুধ কম্পানী ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত ZISKA'র ওষুধ কেই প্রেসক্রাইব করবেনা অর্থাৎ ZISKA' কর্মকর্তারা ক্ষমা চাইলে এই কম্পানীর ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে বাঁধা নেই!!! শুধু মাত্র আপনার কাছে ক্ষমা চাওয়ার কারনে এসব নিম্ন শ্রেনীর কম্পানীর নিম্নমানের ওষুধের মান উন্নত হয়ে যাবে? তখন এই ওষুধ আর মানুষ মারবেনা?

একজন ভালো চিকিৎসকের সবচেয়ে আগে একজন অতি উচ্চমানের মানুষ হওয়া জরুরী তা নাহলে অসহায় রুগীদের রোগের উপশম না করে তা শুধু বৃদ্ধিই করে যায়।
এই এম আর এর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হলো একসময় আপডেট জানালে আমরা সবাই জানতে পারবো। ভালো থাকুন।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৬

মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: যাহোক ইমপালসিভ হয়ে ইমার্জেন্সি-আউটডোর বন্ধ করার কথা বলেছি। কিন্তু আমি আমার কলিগরা চাইলেও এটা করতে দেইনি।
এম আর এর চাকুরী ইতিমধ্যেই চলে গেছে। সে ভবিস্যতে অন্যকোন কোম্পানিতেও চাকুরী করতে পারবেনা। আইনগত পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। আরেকটা কথা এ ক্যাটাগরী ছাড়া আমার চার বছরের প্র্যাকটিস লাইফে একটা ঔষধও লিখিনি মানবী ম্যাডাম।

৭| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২২

ভিটামিন সি বলেছেন: কি আর বলবো, সবাই তো বলেই দিয়েছে আপনাকে। ডাক্তার হয়েছেন, আমাদের মতো পুঙ্গবদের সেবা করুন। সেবাই ধর্ম, সেবাই হউক কর্ম। টাকা কামাবেন ঠিকাছে, মানবতাকে ভুলে যাবেন না যেন। আর অন্যায়রে কাছে মাথানত তো নয়ই।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৮

মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ ভিটামিন। টাকাটা কখনোই মূখ্য হতে পারেনা। আর মানবতাহীনতা আর অন্যাইয়ের কাছে মাথানত করা তো নয়ই।।

৮| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪১

মানবী বলেছেন: এম আরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার পোস্টের বর্ণনা পড়ে মনে হয়েছে এম আর হলেও সে স্থানীয় বখাটে, তাই সাবধানে থাকাই ভালো। সম্ভব হলে থানায় একটু ইনফর্ম করে রাখলে হয়তো আরো ভালো হয়।

ভালো ও নিরাপদ থাকুন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ মানবী। জিডি করে রাখা হয়েছে। সাবধান থাকার চেষ্টাও আছে।। আপনিও ভালো থাকুন। সত্য ও ন্যায়ের পথে থাকুন।।

৯| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৬

দুরন্ত পথিক০৫ বলেছেন: উপরের কমেন্ট দেখেই মনে হচ্ছে, এই দেশের আবাল পাব্লিককে এইসব বলে লাভ নাই।
আবালদের কথা আউটডোর, ইমার্জেন্সি বন্ধ করে রোগীদের কষ্ট দিবেন কেনো।
প্রাইভেট ভার্সিটির স্টুডেন্টরা রাস্তা ব্লক করে লাখ লাখ মানুষ্কে কষ্ট কেনো দিচ্ছে সেই বিষয়ে এইসব আবালরা কিছু বলবেনা, খালি হাস্পাতাল বন্ধ হলেই অদের চুল্কানি।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৩

মেশকাত মাহমুদ বলেছেন: ধন্যবাদ পথিক ভাই। তারপরও আমি বন্ধের পক্ষে না। তবে এটাকে শেষ অস্ত্র হিসেবে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় ব্যবহার করতেই হয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.